Latest Post

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নাসার ২৫তম হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার চ্যালেঞ্জে উল্লেখযোগ্য ফল ভারতের। গোটা বিশ্বের ১০০টি স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। সেখানে চার-চারটি পুরস্কার পকেটে পুরল ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা। চাঁদ, মঙ্গল বা অন্য কোনও পাথুরে গ্রহের মাটিতে চলতে পারে এমন যান তৈরি করতে হয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের। টেস্ট রোভারের ডিজাইন এবং পারফরমেন্স দেখে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করে নাসা। 



যে তিন ভারতীয় দল চারটি পুরস্কার জিতেছে, তারা হল- গাজিয়াবাদের কেআইইটি গ্র‍ুপ অফ ইনস্টিটিউশনস। এরা পেয়েছে এআইএএ নিল আর্মস্ট্রং সেরা ডিজাইনের শিরোপা। এসটিইএম এনগেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে লাভলি প্রফোশনাল ইউনিভার্সিটি। মুম্বইয়ের মুকেশ পটেল স্কুল অফ টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পডুয়ারা পেয়েছে দুটি পুরস্কার। একটি ফ্র্যাংক জো সেক্সটন মেমোরিয়াল ক্রিউ অ্যাওয়ার্ড এবং অন্যটি সিস্টেম সেফটি চ্যালেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড। 


চার চাকার টেস্ট রোভার বানাতে হয়েছিল প্রতিযোগীদের। চাঁদ বা মঙ্গলের মতো কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের টেস্ট রোভার চালিয়ে দেখাতে হয় পড়ুয়াদের। প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পেয়েছে জার্মানি। ১২ ও ১৩ এপ্রিল এই প্রতিযোগিতা হয়। 
 
(eisamay)

বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ব্যয় বাড়ছে। চলতি বছর এ খাতে ব্যয় গত বছরের চেয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ৭৯ হাজার কোটি ডলারে (৩ দশমিক ৭৯ ট্রিলিয়ন ডলার) পৌঁছবে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটাই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ঘটছে দ্রুত। সংশ্লিষ্ট খাত এখন ডিজিটাল ব্যবসায় পরিণত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত বিশ্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় চলতি বছর খাতটির যেমন প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করা হয়েছিল, বাস্তবে তেমনটা হবে না।

গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ডাটা সেন্টার সিস্টেম বাজারে ব্যয়ে সবচেয়ে বেশি পতন দেখা যাবে। বাজারটিতে গত বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডাটা সেন্টার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সর্বনিম্ন গড় মূল্যের পতনের কারণে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে গার্টনারের রিসার্চ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন-ডেভিড লাভলক বলেন, মুদ্রা অস্থিরতা ও সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দার কারণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। যে কারণে গত প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) চেয়ে চলতি প্রান্তিকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় কিছুটা কমতে পারে। তবে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। কারণ তারা প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আয় বাড়াতে আগ্রহী। তবে ব্যয়ের ধরন কিছুটা পাল্টে যাবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয় বাড়ছে। আগামী কয়েক বছরেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে ব্যয় প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা শ্লথগতি দেখা যাবে। ভবিষ্যতে ডিজিটাল ব্যবসা, ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), মেশিন লার্নিং (এমএন) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ক্লাউড প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা। ক্লাউড বাজার এতটাই ক্রমবর্ধমান যে চলতি বছর ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে এর আকার ২১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। গত বছর এ বাজারের আকার ছিল ১৮ হাজার ২৪০ কোটি ডলার। সাধারণ ব্যবহারকারী কিংবা বিভিন্ন খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ও স্টোরেজের মতো সেবার চাহিদা বেড়েছে।
ক্লাউড প্রযুক্তি বাজারে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি আসবে সিস্টেম অবকাঠামো সেবা খাত থেকে। চলতি বছর সিস্টেম অবকাঠামো সেবা খাতে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। ক্লাউড সিস্টেম অবকাঠামো সেবা খাতে ব্যয় গত বছরের ৩ হাজার ৫০ কোটি ডলারের চেয়ে বেড়ে ৩ হাজার ৮৯০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। এখন ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন অবকাঠামো সেবা খাত বৈশ্বিক ক্লাউড বাজারের বড় একটি অংশ দখল করে আছে। চলতি বছর এ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। চলতি বছর ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন অবকাঠামো সেবা খাতে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে।
জন-ড্যাভিড লাভলক বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের (সিআইও) জন্য প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল ব্যবসা খাতে সফলতার জন্য তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠান পাবলিক কিংবা প্রাইভেট খাতের হোক না কেন, এআইয়ের সহায়তায় ব্যবসা মডেল ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। এআই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। যদিও বিভিন্ন ব্যবসা ও উৎপাদন-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এআই ব্যবহারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার বাজার বেড়েছে। এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যয় এখন নির্দিষ্ট অনুষঙ্গে সীমাবদ্ধ নেই। ব্যয়সংকোচন ও উদ্ভাবন বাড়াতে ক্লাউড সেবায় আপগ্রেড এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার বাজারের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
(bonikbarta)

রাজধানীতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজট কমাতে ‘ইয়েস পার্কিং’ নামে অ্যাপ চালু করেছে বাংলা ট্র্যাক গ্রুপ। এ অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তি ঘণ্টা ভিত্তিতে পার্কিং স্পেস ভাড়া নিতে পারবেন।

ইয়েস পার্কিং ডিজিটাল পার্কিং প্লেস হিসেবে সেবা দেবে। ইয়েস পার্কিং নগরবাসীর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে পার্কিং স্পেস শনাক্ত ও রিজার্ভ করতে সহায়তা করবে, যা রাজধানীতে পিক আওয়ারে গাড়ির যানজট কমাবে। এছাড়া যদি কোনো পার্কিং স্পেস খালি বা অব্যবহূত থাকে, তাহলে এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মালিকরা সেটা ভাড়া দিতে পারবেন।
ইয়েস পার্কিং বিষয়ে বাংলা ট্র্যাক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা মানুষের প্রয়োজন বিবেচনা করি এবং সচেতনতার সঙ্গে তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো যেমন—নেভিগেশন ও পার্কিং স্পেস খুঁজে পাওয়ার সমাধান দিতে পরিকল্পনা করি। আমরা বিশ্বাস করি, এসব বিষয়ে আরো অগ্রগতি হতে পারে। ইয়েস পার্কিং অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

বাগেরহাট: 
বাগেরহাটের শরণখোলায় লোকালয় থেকে উদ্ধার হওয়া অজগর সাপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করেছে ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা।




বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সোনাতলা গ্রামের ছালাম খানের বাড়ির বাগান থেকে ভিলেজ টাইগার টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যরা সাপটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে বিকেলে বনবিভাগ সাপটিকে সুন্দরবনের ধাবড়ির ভাড়ানী এলাকায় সাপটিকে অবমুক্ত করে।

সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে বলেন, টাইগার টিমের লতিব ভাই এবং মিঠু খান অজগরটি উদ্ধার করে বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে আমরা সকলের সহায়তায় সাপটিকে সুন্দরবনে অবমুক্ত করি। ১১ ফুট লম্বা এবং ১৪ কেজি ওজনের সাপটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসেছিল।
এর আগে, ৬ মার্চও সোনাতলা গ্রামে একটি অজগর সাপ এসেছিল। সাপটিকে উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, এপিল ১৮ ২০১৯
(banglanews24)

মহাকাশে দূরত্ব মাপার উপায় কী? মাইল বা কিলোমিটারের মতো পরিচিত মাপকাঠি দিয়ে আমাদের সৌরজগতে মাপজোক করা সম্ভব নয়৷
গত কয়েক দশকে আমরা সৌরজগতের সীমানার বাইরেও মহাকাশযান পাঠিয়েছি৷ এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাজাগতিক বস্তু, অর্থাৎ প্রায় ৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে চাঁদের বুকে মানুষ পা রেখেছে৷ প্রায় দেড়শো কোটি কিলোমিটার দূরে শনিগ্রহের সঙ্গে তুলনা করলে সেই দূরত্ব অবশ্য কিছুই নয়৷

কখনো যদি আমাদের সবচেয়ে কাছের সৌরজগতে যেতে হয়, তার জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ কোটি কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে৷ সেই দূরত্ব অতিক্রম করতে আলোর প্রায় ৩ বছর সময় লাগবে৷ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আলো একই গতিতে এগিয়ে যায়৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাই সেই সময়কে মানদণ্ড হিসেবে স্থির করেই দূরত্বের বর্ণনা দেন৷সেইসঙ্গে তথাকথিত ‘প্যারালাক্স' পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁরা দূরত্ব মাপেন৷ সে ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো বিশেষ নক্ষত্রের কোণ মাপেন৷ ৬ মাস পর আবার নতুন করে সেই মাপ নেওয়া হয়৷ ত্রিকোণমিতির সাহায্যে তাঁরা অঙ্ক কষে পৃথিবী থেকে সেই নক্ষত্রের দূরত্ব নির্ণয় করেন৷ তবে এই প্রক্রিয়া শুধু অপেক্ষাকৃত কাছের অঞ্চলে প্রয়োগ করা সম্ভব৷ অর্থাৎ প্রায় ১৫০ আলোকবর্ষ পর্যন্ত দূরত্বে তা কার্যকর হয়৷
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের আয়তন অথবা আমাদের প্রতিবেশী ছায়াপথের সঙ্গে দূরত্ব মাপতে চাইলে অন্য মাপকাঠির প্রয়োজন হয়৷ তার পোশাকি নাম ‘সেফাইড' – অর্থাৎ যে সব নক্ষত্রের মিটমিটে আলোর বিকিরণের সঠিক পরিমাণ জানা আছে, সেগুলিই মাপকাঠি হয়ে ওঠে৷ সেগুলিকে মান নির্ণায়ক মোমবাতিও বলা হয়৷ ‘সেফাইড' থেকে যে পরিমাণ আলো টেলিস্কোপে ধরা পড়ে, তা বিচার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দূরত্ব মাপতে পারেন৷ নির্দিষ্ট ধরনের বিস্ফোরণরত নক্ষত্র আরও উজ্জ্বল মান নির্ণায়ক মোমবাতি৷
মহাকাশে হাবল টেলিস্কোপে দৃশ্যমান ব্রহ্মাণ্ডের প্রান্ত পর্যন্ত আলোর এই সব উৎস ধরা পড়ে৷ একটি ছবিতে এমন সব গ্যালাক্সি দেখা যাচ্ছে, যেগুলি পৃথিবী থেকে প্রায় ১,৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে৷ এত দূরের কোনো দৃশ্য সত্যি বিরল৷

(dw)

চাঁদের বুকে আচমকা আছড়ে পড়ল উল্কা। চাঁদের মাটি চিরে ফোয়ারার মতো বেরিয়ে এলো পানির কণা। এরপর মহাকাশে কোথায় যেন বাষ্প হয়ে উধাও হয়ে গেল পানি। হারিয়ে গেল মহাকাশের অতল অন্ধকারে।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-জিওসায়েন্সে’ -এ আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি বের হয়েছে। গবেষক দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী মেহেদী বেন্না।চমকে দেয়ার মতো এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছে নাসার পাঠানো উপগ্রহ ‘ল্যাডি’। যার পুরো নাম- ‘লুনার অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যান্ড ডাস্ট এনভায়রনমেন্ট এক্সপ্লোরার’। তাহলে কি আগামী দিনে চাঁদে সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশ বানাতে বা ভিন গ্রহে যাওয়ার জন্য পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে ট্রান্সপোর্টেশন হাব গড়ে তোলার চিন্তাটা কমবে আমাদের? এ আবিষ্কার অনিবার্যভাবে সেই প্রশ্নেরই জন্ম দেয়।
উল্কার আচমকা আঘাতে চাঁদ থেকে পানির কণা বেরিয়ে আসবে তাত্ত্বিকভাবে তা বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল না। তবে চোখে না দেখতে পারলে বিজ্ঞান কিছুই বিশ্বাস করে না। ‘সিয়িং ইজ বিলিভিং’ -এ প্রথম সেই চমকে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটলো।
সুইডেন থেকে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) বিশিষ্ট বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা সত্যিই একটি মাইলস্টোন আবিষ্কার। অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, চাঁদের মাটির নীচে এখনও জল থাকতে পারে। সে জন্যই সম্প্রতি চাঁদ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে নাসার।’তিনি বলেন, ‘চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য আমাদের (নাসা) প্ল্যানেটারি ডিভিশন একটি নতুন কর্মসূচি নিয়েছে। তার নাম- ‘ডালি’ ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অফ লুনার ইনস্ট্রুমেন্টেশন’। এ আবিষ্কার একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিল।’
নাসার বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, ‘লুনার ফ্লাশলাইট নামে নতুন একটি যন্ত্র বানানো হচ্ছে। সেটাও নাসার অ্যাডভান্সড এক্সপ্লোরেশান সিস্টেম (এইএস)-এর অংশ হিসেবে চাঁদের মাটির নীচে থাকা জলের খোঁজ-খবর নেবে। উল্কার মতোই কৃত্রিমভাবে চাঁদে আঘাত হানার কথাও ভাবা হয়েছে। সেই অভিঘাতের ফলে চাঁদের মাটির নীচ থেকে যে জলের অণু ও হাইড্রোক্সিল আয়ন বেরিয়ে আসবে, তার পরিমাণ মাপা হবে।’

    (jagonews24)

(প্রিয়.কম) আমাদের দেশে শীতকাল থাকে মাত্র কয়েক মাস। এরপর বাকি পাঁচটি ঋতু আসে পালাক্রমে। এর কারণ হলো আমাদের বাড়ি; এই পৃথিবীটি ঠিক সোজা হয়ে তার অক্ষের ওপর ঘোরে না, বরং অক্ষ থেকে একটু হেলে গিয়ে ঘোরে; এ কারণেই ঋতু পরিবর্তন হয়, বছরের একেক সময়ে পৃথিবীর একেক অংশে শীতকাল থাকে। শীত আসে, আবার চলেও যায়। কিন্তু জনপ্রিয় সিরিজ ‘গেম অব থ্রোনসের’ মতো যদি পৃথিবীতে বছরের পর বছর শীতকাল থাকত, তাহলে কেমন হতো?

ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবেনির অ্যাটমস্ফেরিক সায়েন্সেজ রিসার্চ সেন্টারের গবেষক, ক্রিস্টোফার ওয়ালচেক জানান, ঠিক কী কারণে এমন বছরের পর বছর শীতকাল থাকবে, তা জানাটা জরুরি।ধরুন, আমাদের পৃথিবী যদি ঘোরা বন্ধ করে দেয়। তা আসলে হবে না, কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে ধরে নিলাম, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দিকে গিয়ে পৃথিবী ঘোরা বন্ধ করে দিলো। এতে উত্তর মেরু পাকাপাকিভাবে সূর্য থেকে দূরে সরে থাকবে। ফলে উত্তর গোলার্ধে দিন হবে ছোট, রাত হবে বড়। মেরুর কাছাকাছি দেশগুলোতে বরফের ঝড় হবে বেশি বেশি। যেহেতু গ্রীষ্ম এসে বরফ গলিয়ে দিতে পারবে না, তাই বরফ জমতেই থাকবে।কয়েক বছর পর বাস্তুসংস্থানে বড় পরিবর্তন চলে আসবে। যেসব গাছ শীতে পাতা ঝরায় এবং বসন্ত এলে নতুন কুঁড়ি বের করে, সেগুলো মারা যেতে থাকবে। এতে কাঠবিড়ালি ও ভাল্লুক খাবার পাবে না, মারা যাবে। হরিণের সংখ্যাও কমে আসবে। সব প্রজাতির প্রাণীই কমে আসবে। হাইবারনেশন বা শীতনিদ্রায় থাকা প্রাণীগুলো মারা পড়বে।
গেম অব থ্রোনসের দেশ ওয়েস্টেরসে বছর দুই-তিন পর শীত চলে যায়। কিন্তু পৃথিবীতে যদি শীত রয়েই যায়? যদি শত শত বছর ধরে শীত না দূর হয়? তাহলে অবস্থাটা হবে অনেকটা আইস এজ বা তুষার যুগের মতো, যেখানে শীত ছাড়া কোনো ঋতু থাকবে না।ঋতুহীন এই আইস এজে পানি তো জমে যাবেই, মাটির ওপরেও মোটা প্রলেপে বরফ জমে তৈরি করবে হিমবাহ। ইউরোপ এবং কানাডা জমে যাবে পুরোপুরি। নিউ ইয়র্ক থাকবে এমনই এক হিমবাহ ঘেঁষে। কৃষিকাজের বদলে মানুষ আবার শিকারের কাজে ফিরে যাবে। তবে এমনটা হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই নেই। তাই এমন ভয়াবহ শীত কখনো আপনার জীবনে আসবে না, এটা জেনে নিয়েই উপভোগ করুন ‘গেম অব থ্রোনস’।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
(priyo)

রিয়্যালিটি শো ‘গানের রাজা’-এর প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনার ফাইরুজ লাবিবা। সারা দেশের পাঁচ হাজার প্রতিযোগীকে টপকে প্রথমবারের মতো আয়োজিত চ্যানেল আই ‘গানের রাজা’ হলো লাবিবা। পুরস্কার হিসেবে সে পেয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। প্রথম রানার্স আপ হয়ে তিন লাখ টাকা পেয়েছে নেত্রকোনা জেলার শফিকুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়ে দুই লাখ টাকা জিতে নিয়েছে ময়মনসিংহের সিঁথি সরকার।

শুক্রবার এই রিয়্যালিটি শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চ্যাম্পিয়নের মাথায় মুকুট পরান প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা।সংগীতের এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু, এসিআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলমগীর, সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরসহ দেশের সংগীতাঙ্গনের গুণীজনেরা।গ্র্যান্ড ফিনালে আসরের বাড়তি চমক ছিল চিত্রতারকাদের পরিবেশনা। বিজয়ীদের নাম ঘোষণার আগে জনপ্রিয় গানে পারফর্ম করেন পূর্ণিমা, রোশান, পরীমনি। এ ছাড়া প্রতিযোগীদের সঙ্গে গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী এস আই টুটুল, তপন চৌধুরী, আগুন, ডলি সায়ন্তনি ও তপু।
চূড়ান্ত পর্বে অতিথি বিচারক ছিলেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা রুনা লায়লা। গ্র্যান্ড ফিনালেতে ছিলেন প্রতিযোগিতার প্রধান দুই বিচারক কোনাল ও ইমরান।গানের রাজা’ অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন তাহের শিপন। ঢাকাসহ দেশের সাতটি বিভাগে অডিশনের মাধ্যমে প্রাথমিক প্রতিযোগী নির্বাচন শুরু হয় গত বছর নভেম্বর মাসে। সব বিভাগ থেকে সেরা ৫০ জন ‘গানের রাজা’ নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর থেকে চ্যানেল আইতে প্রচার শুরু হয়।
একে একে বিভিন্ন পর্ব শেষে চূড়ান্ত পর্বে লড়ে সেরা পাঁচ প্রতিযোগী। তাদের মধ্য থেকে শুক্রবার মাথায় উঠলো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। বরাবরের মতো গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজন উপস্থপনায় ছিলেন লাক্স তারকা মুমতাহিনা টয়া ও শিশুশিল্পী সাহির আমান খান।
(prothomalo)

বাগেরহাট: 
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের হাড়বাড়িয়া খালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের চারটি কুমিরের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে কুমিরের বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- একই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী, মোংলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মদিনুল আহসান, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান,  সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির প্রমুখ।

 পরে মন্ত্রী বেনর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। বনের চলমান সমস্যা নিরসন ও পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ডিএফও মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের নদ-নদীতে কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রতিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে চারটি কুমির হারবাড়িয়া খালে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নারী ও একটি পুরুষ কুমির রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কুমির সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবমুক্ত করা হবে।
জানা যায়, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ২০৭টি কুমির রয়েছে। এদের মধ্যে আট থেকে নয় বছর বয়সী ৩৩টি কুমির আছে। যারমধ্যে ২৫টি নারী ও আটটি পুরুষ। এদের থেকে তিনটি নারী ও একটি পুরুষকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিবার বিবেচনায় ভদ্রা নদীতে অভমুক্ত করা হয়েছে। এ নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। 
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের ভদ্রা খালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের চারটি কুমিরে অবমুক্ত করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
(banglanews24)

শুরুটা কোত্থেকে করা উচিত—এ নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করতে হচ্ছে। ভাবনার মধ্যে যে ছন্দপতন হয়েছে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে, সেখান থেকে নিজের চারপাশ ভালো রাখা আজকাল এক প্রকার বিপরীতভাবে বেঁচে থাকার মতো কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢেঁকি ছাঁটা চালের পিঠার সঙ্গে আমাদের যে একটা বিস্তর ব্যবধান হয়ে গেছে; আমরা তা বুঝতেই পারছি না। সেই স্বাদ সাধ্যের বাইরে চলে গেল, সীমারেখা ভেদ করে তার সঙ্গে আমাদের পার্থক্য আজ যেন যোজন যোজন মাইল। এখন তো সবকিছু কিনতেই পাওয়া যায়। সহজ জীবন। কার এত ঠ্যাকা পড়ে আছে এত কষ্ট করে চাল প্রসেস করে পিঠা বানানোর। চারপাশের ধার করা উপাদানেই তো সহজে হয়ে যাচ্ছে সবকিছু। দরকার কি? কিইবা প্রয়োজন?
যে বীজে নতুন গাছ প্রাণ পাবে, বেড়ে উঠবে আপন শক্তিতে, আপন স্রোতেই, সেখানেই আজ বিষ মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে অধিক ফলনের আশায়। সময়ের ব্যবধানে সেখানে যে ফল আসবে, তাকে গোগ্রাসে গিলবে প্রজন্ম। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও পান করে যাবে সেই সুধা। এর পরের গল্প তো আরো করুণ, তাদের রোপণ করা বীজ কে উৎপাদন করবে আর পরের নতুন প্রজন্মই বা গ্রহণ করবে কি? প্রশ্নটি হয়তো সত্যি অবান্তর এ সময়ে। অযথাই দুশ্চিন্তা করে সময়কে কলুষিত করা। কিন্তু এ যে কালিমাখা মুখে আমার বেঁচে থাকা ব্যাহত হচ্ছে, তার জবাব আমি কার কাছে চাইব। জীবন তো যার যার, তার তার। কিন্তু আমার শৈশবের চেতনায় আমার যে শিক্ষা—‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’ অথবা ‘সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি’—এসব কি তাহলে ইতিহাস? অথবা যদি স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতেই চাই, তাহলে আমার উপকরণগুলোয় কী কী থেকে যাচ্ছে এ বেঁচে থাকায়।
বলছি নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এলাকার আমাজুরা হলে ৭ এপ্রিল মধ্যরাতে শেষ হওয়া ‘ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর গল্প। বাংলাদেশ থেকে আগত অন্তত ২০ জন তারকা শিল্পীর উপস্থিতির এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের সারাংশ। তাদের আমি দুই ভাগে ভাগ করব। এক কাতারে শিল্পী, আরেক কাতারে অতিথি শিল্পী। প্রথমেই যাই শিল্পীর কাতারে কারা ছিলেন। আমার কাছে শিল্পী শব্দের মানে বৃহৎ, যা দৈর্ঘ্যে পরিমাপ করা যায় না। বছরের পর বছর সাধনা করেই এ শব্দকে স্থায়িত্ব দান করতে হয়। এ কাতারে থাকলেন আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, সুবর্ণা মুস্তাফা, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন, মিশা সওদাগর ও তিশা। আর অতিথি শিল্পীর কাতারে যারা ছিলেন, তাদের অধিকাংশই অপরিচিত। এছাড়া কয়েকজন কিছু অংশে পরিচিত। যেমন সাজু খাদেম, প্রভা, ভাবনা, তাহসান, রিজিয়া পারভীন, আবু হেনা রনি, নাদিয়া, পিয়া বিপাশা, নিশাত সাওলা, নাভেদ আহমেদ, ইশরাত পায়েল, সজল, শিরীন শীলাসহ আরো অনেকেই, যাদের আমি সত্যিকার অর্থেই চিনি না।

প্রচণ্ড কষ্টের জায়গা থেকে বলছি, যারা শিল্পীর কাতারে আছেন বলে আমার কাছে মনে হয়, এ রকম একটা অস্তিত্ববিহীন অনুষ্ঠানে আসায় তাদের ব্যক্তিগত মর্যাদা অনেকখানি নিচে নামিয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি, শিল্পীর একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকে, আর তাকে কখনই ভেদ করা উচিত না, কেউ ভেদ করতে চাইলে করতেও দেয়া উচিত না। তাতে করে শিল্পীর যতটা না ক্ষতি হয়, তার থেকে বেশি ক্ষতি হয় তাদের অনুসরণকারীদের। কারণ তাদের অনুসরণকারীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান। যাদের আইডল মনে করা হয়, তারাই যদি তাদের অবস্থানকে শক্ত না করতে পারেন, তাহলে নতুনরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? বিষয়টি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায়—শিল্পী মাথা উঁচু করে থাকে সূর্যের দিকে। এতে চোখ যদি গলেও যায়, কিছু যায়-আসে না। বেগুনি রশ্মি অথবা অতি বেগুনি রশ্মিও সেই মাথাকে কখনো নত করতে পারে না। জাতীয় পুরস্কার, একুশে পদক পাওয়ার পরও কীভাবে এসব শিল্পী এ রকম একটা অর্থহীন, উদ্ভট, অস্তিত্ববিহীন অনুষ্ঠানে এলেন, আমার মাথায় ধরে না।
জাতীয় সীমানা পেরিয়ে শিল্পী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা রপ্ত করবেন প্রতিটি মুহূর্তে। শিল্পী ক্রমেই উঠবে উপরে; সঙ্গে নিয়ে যাবে নিজের দেশকে। তা না করে এ শিল্পীরাই এলেন প্রশ্নবিদ্ধ এক ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে। যে অ্যাওয়ার্ড কানাল স্ট্রিট অথবা ব্রডওয়ের কোনো গিফট শপের দোকান থেকে ২০ ডলারে কিনে হাতে তুলে দেয়া হয়। আমার খুব বলতে ইচ্ছা করে এ শিল্পীদের যে, তাদের আরেকটু রিসার্চ করা উচিত ছিল। উচিত ছিল আমি যেখানে পা ফেলছি, তা আসলে কোথায়—সমুদ্রে নাকি নর্দমায়। তাহলে আমি কি ধরেই নেব এ শিল্পীদের আর কিছুই দেয়ার নেই। তাদের কি ফুরিয়েই গেছে দেয়ার, যা অবশিষ্ট ছিল? নাকি সত্যি সত্যিই কিছুই বাকি নেই আর।
৮৫০ আসনবিশিষ্ট হলে তাহসানের মতো আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভোগা শিল্পী যখন গান করছিলেন, তখন তার সামনে দর্শক ছিল শ দেড়েক (সূত্র: প্রথম আলো)। লিওনের গানে কানায় কানায় পূর্ণ। তাহলে বুঝতেই হবে এসব শিল্পীর আসলে অবস্থানটা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। জাহিদ হাসানের ভাঁড়ামি আরো প্র্যাকটিস করা উচিত। ভাঁড় যে রসের উপাদান সৃষ্টি করে, তা জমে যে গাওয়া মিষ্টি ঘিয়ে পরিণত হয়, সেটা সময়ের এ সহজ নষ্টামিতে তিনি ভুলেই গেছেন। মানুষ যে এখন পেছনে গালাগালি করে, সেটা হয়তো তিনি কোনো দিনও জানবেন না। অথচ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বেলা হয়ে গেছে অনেক বেশি। মিশা সওদাগর বলেছেন ‘এ অ্যাওয়ার্ডের মূল্য কতটুকু, আমি জানি না।’ আমার খুব আদর করে বলতে ইচ্ছা করে; মায়ের পেটের ভাই আমার, সত্যি করুণা করেই বলছি— যা সম্পর্কে আপনার ধারণাই নেই, সেখানে আপনার উপস্থিতি কেন? কেন নিজেদের এত সস্তা করে ফেলেন? আমরা নতুনরা তো প্রশ্নবিদ্ধে জড়িয়ে যাই। মেহের আফরোজ শাওন তার ব্যক্তিগত বিষয় তুলে এনেছেন এই বলে যে, জাহিদ হাসান তার জীবনে ছিলেন এক ব্রিজের মতো বাহন। আমি অবাক হয়ে যাই। নতুন করে আর এসব জনসমক্ষে বলার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই জানি, কতটুকু অধিকার নিয়ে আমাদের মাঝে আপনি বিচরণ করেন। নতুন করে আর কিছু বলার নেই। দয়া করে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মাতেন। সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি— সুবর্ণা মুস্তাফার মতো একজন গুণী শিল্পী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ইস! বিষয়টা এমন যেন, ‘আমার মাথা ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমাকে পদ্ম ফুলের বিল দেখাতে নিয়ে যাবে।’ আমি নিশ্চিত, যখন তিনি ঘরে ফিরছিলেন, তখন অনেক রাতে হাইওয়ের জানালা খুলে দিয়ে ঠাণ্ডায় কপালের ঘাম মুছছিলেন। নরকেও মানুষ মনে হয় বরফে গলে, আর কারো কারো চোখের জলে এ পৃথিবীর এখন আর কোনো কিছুই আসে-যায় না। অযথা ভাঁড় সাজু খাদেম যখন জোর করে বলছিলেন, আমরা সুবর্ণা মুস্তাফার অনুভূতির কথা পরে শুনব, আর তার মাথা ফিরে স্টেজের পেছনে চলে গেল। এ যাত্রা দেখে আমি এত কষ্ট পেয়েছি যে, তা বলে বোঝাতে পারব না। এটা নিতান্তই অপমান।
অন্যদিকে আকবর হোসেন পাঠান ফারুক এবং তিশা যে আসেননি, তাতে একটু স্বস্তি থাকুক বুকের ভেতর। তাই আপনাদের সম্মান করে স্পষ্ট ভাষায় বলছি, এর পর থেকে রিসার্চের মাত্রাটা আরেকটু বাড়িয়ে দিন। শামুকেই যদি পা কাটবেন, সেটা সমুদ্রে হোক, কাদামাটির জলাশয়ে কেন হবে? হাতে সামান্য কিছু টাকার জন্য কলঙ্কিত করবেন না সারা জীবনের দীর্ঘ অর্জন। শিল্পীদের অবশ্যই সীমাবদ্ধতা আছে। অস্তিত্বের জন্যই থাকা উচিত।
এ অনুষ্ঠানে আসা বাকি শিল্পীদের আমি অতিথি শিল্পী বললাম এজন্য যে, তারা কনফিউজড। এতটাই কনফিউজড যে, জানছেনই না কোনটা গ্রহণ করবেন আর কোনটা ছেড়ে দেবেন। তারা আসলে জানেনই না কীভাবে শিল্পীর কাতারে একটা সত্তাকে একটা বিশাল ভ্রমণের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই জলে ভেসে যাচ্ছে এসব। তার জ্বলন্ত উদাহরণ স্বয়ং এক উপস্থাপকই। কী করছে না করছে, তার কোনো আগাগোড়া নেই। নেই সূচনা, নেই উপসংহার। টাকাই যদি জীবনের মুখ্য বিষয় হয়ে থাকে, তাহলে সেটা উপার্জন করার অনেকগুলো প্রথাগত উপায় আছে। শাকসবজি উৎপাদন, গরু-ছাগল পালন করেও টাকা উপার্জন করা যায়। শুধু শুধু ডায়াসে উঠে পিটি খেলার কোনো প্রয়োজন হয় না। ডায়াস সবার জন্য নয়। কারণ কয়েক বছর থেকেই দেখে আসছি—এ রকম অনেক শিল্পীই আসে, আবার হারিয়েও যায় খুব সহজে; শীতের পাখির মতো।
সানি লিওনি প্রসঙ্গতেই বৃহৎ আপত্তি। ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গে তার কী সম্পৃক্ততা—আমার মাথায়ই ধরে না। গত কয়েক বছরে বাংলা সিনেমায় অযথা আইটেম গান নামক যে বিষয়টা যুক্ত হয়েছে, আমার কাছে মনে হয়েছে, এ উপস্থাপন এক ধরনের মঞ্চ সংস্করণ। তার প্রমাণ হচ্ছে, নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলা টাইম টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাত্কারে এ অনুষ্ঠানের কর্ণধার আলমগীর খান আলম অনুষ্ঠান সঞ্চালককে বলেছিলেন, ‘এটা দর্শকদের জন্য বাড়তি এক ধরনের বিনোদন। তিনি ‘লায়লা ম্যায় লায়লা’ গানটা করবেন এবং তারপর চলে যাবেন। অ্যাওয়ার্ড আদান-প্রদানের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ অথচ অনুষ্ঠানে তার হাত দিয়েই সবচেয়ে বেশি অ্যাওয়ার্ড আদান-প্রদান হয়েছে। ‘লায়লা’ গানের মধ্য দিয়ে সানি লিওন যে ‘কয়লা’ প্রবাসী বাঙালির মুখে মাখিয়ে দিয়ে গেলেন, তার উপযুক্ত উদাহরণ হচ্ছে আজ বাংলা সংস্কৃতির বিশাল এক অংশ সিনেমা, নাটক, গানের অধঃপতনের চূড়ান্ত অস্ত্রের স্থলন। নিজের শিকড়ে শান দেয়া মরা কুড়ালের থাবা। মানেটা হচ্ছে, এক ধরনের ব্লেন্ডেড জুস আপনাকে দেয়া হচ্ছে, যার মধ্যে সব ধরনের ভালো-মন্দ উপাদান থাকবে। আপনি এখন গিলতেই থাকেন। আমার ঘোর আপত্তি এখানেই। কেন এ ব্লেন্ডারে আমার শিল্পীরা। তাছাড়া ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড কোনো সার্টিফায়েড অনুষ্ঠান নয় যে, বাংলাদেশ থেকে তাদের এখানে আসতে হবে। এছাড়া বাস্তবিকভাবে বাংলাদেশের সিনেমা কিংবা অডিও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এর কোনো ধরনের যোগসাজশ সত্যিকার অর্থেই নেই। টাইম টেলিভিশনে দেয়া সে সাক্ষাত্কারে আলমগীর খান আলম এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমাদের নিজস্ব একটা বোর্ড আছে’। উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল—তারা কারা? সে উত্তর আলম যথাযথভাবে দিতে পারেননি। তাই শিল্পীর মনে রাখতে হবে, আমার অর্জিত একুশে পদক আর জাতীয় পুরস্কার থাকার পর আমার পরবর্তী ধাপ আসলে হবে কোথায়? অনার্স ফার্স্ট ক্লাস নেয়ার পর, আমি যাব উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে। তারপর তা বিলিয়ে দেব আগন্তুকের কাছে। সে শিক্ষা আগন্তুক গ্রহণ করে নতুন উদ্যমে শুরু করবে—শিকড়ের সন্ধানকে আরো কীভাবে মজবুত করা যায়। কারণ কোনোভাবেই পরিণত শিল্পীর আর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার অবকাশ নেই।
শিল্পী কখনো ব্যবসা করার হাতিয়ার হতে পারেন না। কারণ আলমের এ ব্যবসার বলি হচ্ছে যাদেরকে আমি অতিথি শিল্পী বলে মনে করছি, তাদের এ অনুষ্ঠানে যোগদান করাকে ঘিরে। বিশেষ করে নারী শিল্পীরা। তাদের কেমন করে যেন একটি লুকানো ইচ্ছা থাকে, যদি এর মধ্য দিয়ে আমেরিকায় থেকে যেতে পারি। তাই সাপের মতো ফণা তুলে থাকা কিছু ব্যবসায়ীও ওত পেতে থাকে কীভাবে আড়ালে থেকেই তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছাকে স্থায়িত্ব দিতে পারবে সাময়িক বাস্তবতায়। ফলে এসব অতিথি শিল্পীর যদি বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকে, সেগুলো সময়ের পরিক্রমায় ধূলিতে পরিণত হয়। তাদের আর কিছুই দেয়ার থাকে না। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় সহজ কথা সহজ করে যদি বলা যায়, তাহলে সারসংক্ষেপটা এ রকম দাঁড়ায়—‘কমিউনিটির বড় বড় ৭০টি প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সর নিয়েছেন আলম (সূত্র: প্রথম আলো)। ধরলাম, গড়প্রতি স্পন্সর ১ হাজার ডলার করে হলেও ৭০ হাজার ডলার। নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এলাকার আমাজুরা হলে ৮৫০ আসন রয়েছে। সব টিকিট বিক্রি শেষ। গড়ে ৫০ ডলার করে টিকিট হলেও ৪২ হাজার ৫০০ ডলার। ধরলাম ৫০ হাজার ডলার। সব মিলিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের একটি অনুষ্ঠান। এতজন শিল্পী এবং অতিথির থাকা-খাওয়া, শিল্পীদের আনা-নেয়া বাংলাদেশ ও ভারত থেকে, তাদের সম্মানী ও হল ভাড়া। বাড়তি আরো কী পরিমাণ টাকা লাগতে পারে, সেটা অনুমান করলেই পাওয়া যায়। এজন্য আপনাকে আমাকে গণিতবিদ হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এগুলো কোত্থেকে আসে? সাপের মতো ফণা তুলে থাকা লুকিয়ে যে মানুষগুলো পেছনে থাকে, তারাই এর জোগানদাতা। আর বলির পাঠার মতো অতিথি শিল্পীদের জীবনবোধের বিসর্জন। এ জায়গায় আমার আপত্তি নেই। এগুলো চলতেই থাকবে। বাই ডিফল্ট। আমার আপত্তি আমার প্রাণের শিল্পীরা কেন এ জায়গায়? ভীষণ ব্যথিত হই, যখন দেখি আমার শিল্পীরা অনুষ্ঠানের অফিশিয়াল পোস্টারে যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। অন্যদিকে এ অনুষ্ঠানের কর্ণধার বলেছেন, ‘আগামী বছর থেকে নিয়মিত শো হবে দুবাইয়ে (সূত্র: সময় সংবাদ)। তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জায়গা থেকে তিনি সেটা করতেই পারেন, সেখানে অতিথি শিল্পীদের জীবন বিসর্জন হোক, তাতে আমার কিছুই যায়-আসে না। কিন্তু যারা নিজেদের শিল্পী মনে করেন বা আমরা ধরেই নিই তারা নিজেদের নিয়ে গেছেন সীমানার বাইরে, যাদের ওপর আমাদের আস্থা অনেকাংশে বেশি, তারা যেন এ গোলকধাঁধায় নিজেদের ভাসিয়ে না দেন।
স্পন্সরদের জন্য আমার খুব কষ্ট হয়, স্টেজের পেছনে শিল্পী কপালে হাত দিয়ে বসে থাকেন আর তারা সানি লিওনির সঙ্গে তাদের সব দাঁতগুলো বের করে হাত বাড়িয়ে সস্তা পুরস্কার নিতে ব্যস্ত। চোখে আর মুখে দৃশ্যমান কী যেন তারা খুঁজতে ব্যস্ত? আমার কষ্ট এখানেই, আমার শিল্পীরা হারিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অপব্যবহার করা হচ্ছে। এ দোষ আমি ব্যবস্থাপক কিংবা স্পন্সরদের কোনোভাবেই দেব না। বরং আমি অধিকার নিয়ে আমার শিল্পীদের স্মরণ করিয়ে দেব, দয়া করে রিসার্চটা আরেকটু বাড়িয়ে দিন। আপনাদের অস্তিত্ব সংকট মানে একটা দেশের পুরো সংস্কৃতি নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। তার জ্বলন্ত উদাহরণ আজ আমাদের নাটক, গান, চলচ্চিত্র—কোন দিকে যাবে, ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করছে। নির্দিষ্ট ঠিকানা না থাকার কারণে গন্তব্যে যেতে এ পথ শেষ হচ্ছে না। মানে কোথাও আমরা ভালো কিছু করতে পারছি না। অথচ রূপকথার গল্পের মতো দারুণ শক্ত একটা ইতিহাস আছে আমাদের সংস্কৃতিতে। আর সমস্যাটা হচ্ছে— বিশেষ করে আমরা যারা আগন্তুক, নতুন, যারা সত্যিকার অর্থে দেশের জন্য ভালো কাজ করতে চাই, কিংবা কঠিন সংকল্পবোধ ধারণ করি বুকের ভেতর, নিজের সংস্কৃতিকে নিয়ে যেতে চাই পরবর্তী আরেক উচ্চ ধাপে— তারা প্রচণ্ড রকমের দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ি।
শেষটা করব ক্ষমা চেয়ে। এ লেখা আমার লেখার কথা না। এটা আমার কাজ না। আমার কাজ হচ্ছে আমার চিত্রগল্পের চরিত্র এবার কোন দিকে মোড় নেবে! কিন্তু ক্ষমা আমাকে চাইতেই হবে। এখানে যাদের আমার ভাবনায় শিল্পী বলে বুকের ভেতর লালন করি, তাদের অনেকের সঙ্গেই আমার সরাসরি যোগাযোগ আছে। কথা হয়, আলোচনা হয়। তারা যেন কোনোভাবেই এ লেখাকে ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ না করে। আমি শুধু আপনাদের ভালোবেসে স্মরণ করিয়ে দিলাম—নিজ স্বার্থেই আপনাদের আসলে কোনদিকে, কীভাবে, কী করে, কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আমার মতো যারা আপনাদের যথেষ্ট মূল্যায়ন করে এবং যে আস্থা তৈরি হয়েছে দীর্ঘকাল ধরে, তাতে ফাটল ধরাবেন না। ঢেঁকির চালের পিঠার সঙ্গে বিস্তর ব্যবধান বরং নাই-ই হোক। সেই স্বাদ সাধ্যের মধ্যেই থাকুক। যে বীজে নতুন গাছ প্রাণ পাবে, বেড়ে উঠবে আপন শক্তিতে, আপন স্রোতে, সেখানে এ অনুষ্ঠানের মতো যাকে ক্যান্সার সেল বলে মনে হয়, সে যেন ভিড় করতে না পারে। আর তা আমাদের সুস্থ থাকা অবস্থাতেই সজাগ থাকা উচিত। অযথা অধিক ফলনের আশায় আগামী প্রজন্মের কাছে একটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সংস্কৃতির বাহন আমরা তুলে না দিই। সংস্কৃতি স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকুক আর আমরা তাকে আরো সমৃদ্ধ করি আপন শক্তিতে। বেঁচে থাকার উপকরণগুলো হোক নির্ভেজাল। নিজের সন্তানকে বড় করে তুলতে শিখি নিজের আত্মপরিচয়ে। ধার করা কোনো পচা জৈব সার আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বিশাল এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে আমাদের নাটকে, গানে, চলচ্চিত্রে। এ অস্তিত্বে আত্মপরিচয়কেই স্বাগত জানাই, সংকটগুলোকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে।
লেখক: স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা
(bonikbarta)

পৃথিবীর দ্রুততম চতুষ্পদ প্রাণীরা
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন পশু নিঃসন্দেহে চিতা বাঘ। তবু হরিণের পেছনে ছুটে সব সময় নাগাল পায় না কেন। তবে কি হরিণ চিতার চেয়ে বেশি গতিবেগে দৌড়ায় তখন? চলো জেনে নেওয়া যাক।চুতষ্পদ মানে চার পেয়ে প্রাণীদের মধ্যে চিতার গতিবেগই সবচেয়ে বেশি। এরা ঘণ্টায় ছুটতে পারে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে আফ্রিকার স্প্রিংবক হরিণ। এরা দৌড়াতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে। আর চার মিটার শূন্যে লাফিয়ে এক লাফে যেতে পারে ১৫ মিটার দূরত্বে। তাই চিতাকে একটু বেগ পেতেই হয়।

তৃতীয় স্থানে আছে প্রনহর্ন নামে আরেক প্রজাতির হরিণ। সিংওয়ালা এ হরিণ সাড়ে ৮৮ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে।


ঘণ্টায় ৮০.৫ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে সক্ষম আফ্রিকান ওয়াইল্ড বিস্ট আছে চতুর্থ স্থানে। তানজানিয়ার ওয়াইল্ড বিস্ট দৌড়ে জন্য বেশি পরিচিত।

লম্বা প্যাঁচানো শিং আর লাফ দেওয়ার জন্য বিখ্যাত ব্লাকবাক হরিণ দৌড়ায় ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে। সে আছে পঞ্চম স্থানে। বনের রাজা সিংহের গতিও একই। তবে সিংহ বেশিক্ষণ এই গতিতে দৌড়াতে পারে না।

ছোট প্রাণী বলে খরগোশকে কিন্তু ছোট করে দেখার জো নেই। ছোট্ট বাদামি খরগোশ ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে সক্ষম।
আফ্রিকার বুনো কুকুরের হিংস্রতা ও ক্ষিপ্র গতির কথাও সবার জানা। সপ্তম স্থানে থাকা এই কুকুর দৌড়ায় ৭১ কিলোমিটার গতিতে।
এছাড়া ক্যাঙ্গারু, ঘোড়া, খেঁকশিয়াল ৭০-৭১ কিলোমিটার, জেব্রা ৬৪, মহিষ ৫৫, জিরাফ ও নেকড়ে ৪৫ কিলোমিটার গতিতে দৌড়ায়। আর রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গতি ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার।
তবে পৃথিবীর তাবৎ পশু-পাখির মধ্যে সর্বোচ্চগতি ফ্যালকন পাখির। এরা ঘণ্টায় ২৪২ মাইল বেগে উড়তে সক্ষম।
(banglanews24)

এম এ হালিম : গ্রিনলাইন পরিবহন বাসের চাপায় বাম পাহারানো রাসেল সরকারকে সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) থেকে কৃত্রিম পা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিআরপির কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শফিক তার বাম পা টি সংযুক্ত করেন।
মোহাম্মদ শফিক বলেন, রাসেলকে সিআরপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুইজারল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজির পা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে তার পা সম্পুর্ণ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা পর আজ রাসেলের নতুন পা সংযোজন করা হয়।তিনি বলেন, রাসেলের এই পা নিয়ে তার স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসতে প্রায় ৪ সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। আর এই সময়ের মধ্যে নতুন এই পা দিয়ে তার চলাফেরাসহ দৈনন্দিন কাজের বিষয়গুলো অনুশীলন করানো হবে।
কৃত্রিম পা পেয়ে রাসেলে বলেন, পা লাগানোর পর আমার হারিয়ে যাওয়া জীবনের কথা মনে পরে গেলো। আজ থেকে এক বছর আগের কথা মনে পরলে আমার গা শিউরে উঠে। সেই সময় মনে হচ্ছিল যেন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই । কিন্তু সিআরপিতে এসে আবার আমি নতুন জীবন খুঁজে পেয়েছি। ধন্যবাদ সিআরপি ও এই সংস্থার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে।সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, তার এই দুর্ঘটনার কারণে যেমন সবাই এগিয়ে এসেছে আমরাও আমাদের থেকে তার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি। রাসেলকে আমাদের এখানে যে ধরনের সুবিধা দেওয়া সম্ভব আমরা তাকে সব ধরনের সুবিধা দিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেল সরকারের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট: ২) আজ সকালে নাজিম উদ্দিন রোডের বিশেষ কারাগারে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়াকে জেল কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞেস করে, তিনি কী খাবেন? বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। এ উপলক্ষে কারাগারে উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া কী খেতে চান তা জানতে চাওয়া হয়। বেগম জিয়ার মনেই ছিলো না যে আজ জাতির পিতার জন্মদিন। তিনি বলেন, ‘কী উপলক্ষে?’ তখন তাকে বলা হয়, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তখন বেগম খালেদা জিয়া একটু ম্লান হাসেন। তিনি বলেন, ‘উনি (বঙ্গবন্ধু) আমাকে পছন্দ করতেন। আমাকে খুব আদর করতেন। আমাকে একটা শাড়িও দিয়েছিলেন।’ এটুকু বলেই তিনি অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন।

৩) এরপর যখন তাকে আবারও জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনি কী খাবেন?’ তখন তিনি বলেন, ‘ভালো-মন্দ একটা কিছু হলেই হলো। আমার কোন পছন্দ নেই।’
৪) উল্লেখ্য, স্বাধীনতার কিছুদিন পর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রয়াত জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়াকে তার ধানমণ্ডির ৩২ এর বাসভবনে ডেকে নিয়েছিলেন। এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কিছু স্মৃতিগ্রন্থ থেকে জানা যায়, এ সময় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার কিছু দাম্পত্য কলহ চলছিল। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খালেদা জিয়াকে একটি শাড়ি উপহার দেন এবং জিয়াউর রহমানকে ঠিকঠাকমতো সংসার করার জন্য বোঝান। বেগম খালেদা জিয়াকে আরেকটি কন্যা হিসেবে সম্বোধন করেন শেখ মুজিব।
৫) কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর বেগম খালেদা জিয়াই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। তাদের কূটনৈতিক চাকরিতে পদোন্নতি দিয়েছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ১৫ আগস্ট নিজের মিথ্যা জন্মদিনের নামে কেক কাটার উৎসব করেছেন। এজন্য তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন।
৬) সাধারণত বলা হয় যে, কারাগারে গেলে মানুষের আত্মোপলব্ধি হয়। আজ কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার আত্মোপলব্ধি হলো যে, বঙ্গবন্ধু তাকে ভালবাসতেন। সূত্র: বাংলা ইনসাইডার
(amadershomoy)

৫জি ডিজিটাল ইনডোর সিস্টেম ও ৫জি ক্লাউড এক্স প্রযুক্তির প্রয়োগে নতুন মাত্রার হোটেল অভিজ্ঞতা আসতে চলেছেবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন ও শেনজেন টেলিকমের সঙ্গে বিশ্বের প্রথম ৫জি স্মার্ট হোটেল তৈরির জন্য কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।


হোটেল ইন্ডাস্ট্রির সমন্বিত টার্মিনাল ও ক্লাউড প্রযুক্তির সঙ্গে প্রথম এন্ড-টু-এন্ড ৫জি নেটওয়ার্ক প্রবর্তন করার মাধ্যমে প্রকল্পটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন হোটেলকে ৫জি স্মার্ট হোটেলে রূপান্তরিত করবে।
অতিথিদের সেরা উদ্ভাবনী ও বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা দিতে এবং ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে সমগ্র হোটেল শিল্পকে ডিজিটাল করার পথকে সুগম করবে এই উদ্যোগ।
শেনজেন টেলিকম ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনে হুয়াওয়ের ৫জি নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করছে যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইনডোর ও আউটডোর ৫জি কভারেজ নিশ্চিত করা যায়। এটি একটি নতুন প্রজন্মের হোটেল পরিষেবার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গণ্য হবে।
অতিথিরা ৫জি স্মার্টফোন ও গ্রাহককেন্দ্রিক সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে ৫জি হোটেল অ্যাপ্লিকেশনের সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও এতে থাকবে ৫জি ওয়েলকাম রোবট, ৫জি ক্লাউড কম্পিউটিং টার্মিনাল, ৫জি ক্লাউড গেম এবং ৫জি ক্লাউড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) রোয়িং মেশিন যা ব্যবসায়িক কাজে আসা কিংবা ভ্রমণরত অতিথিদের জন্য দক্ষ কর্মপরিবেশ এবং অনন্য বিনোদন নিশ্চিত করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশন, গোল্ডেন সানের সাংস্কৃতিক বাণিজ্যিক পর্যটন কমিটির মহাসচিব কাই ইউন, শেনজেন ওসিটি হোটেল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার, চায়না টেলিকম শেনজেন শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফেং ওয়েই এবং হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সলিউশন এর চিফ মার্কেটিং অফিসার ড. পিটার ঝু মূল বক্তব্য দেন।
হুয়াওয়ের ওয়্যারলেস সলিউশনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ড. পিটার ঝু বলেন, ‘৫জি এখন আমাদের দোরগোড়ায় রয়েছে – এই বছর হয়ে যাওয়া বসন্ত উৎসবের ভিডিও ফোরকে আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন মানে সম্প্রচার করা থেকে শুরু করে আজকের দিনের ৫জি বিনোদন ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলোর ব্যবসায়িক রূপান্তর- সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে চলেছে ৫জি। ৫জি প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে প্রবেশ করেছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে শেনজেন টেলিকমের সঙ্গে আমরা ৫জি ডিজিটাল ইনডোর সিস্টেম ও ৫জি ক্লাউড এক্স প্রযুক্তি সরবরাহ করেছি যা হোটেলের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি আমাদের উভয়পক্ষের ৫জি সক্ষমতার একটি প্রদর্শনী।’
তিনি বলেন, ‘হুয়াওয়ে ৫জি প্রযুক্তিতে স্বচ্ছ ও উন্মুক্তভাবে বিনিয়োগ চালিয়ে যাবে এবং শেনজেন টেলিকম ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনের সঙ্গে মিলে ৫জি স্মার্ট হোটেল নির্মাণের জন্য নির্ভরযোগ্য ৫জি অবকাঠামো তৈরি করবে। আমরা আন্তরিকভাবে আরও শিল্প অংশীদারদেরকে এই উদ্যোগের সঙ্গে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যাতে সবাই একসঙ্গে একটি সমৃদ্ধ ৫জি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারি।’
শেনজেন ওসিটি হোটেল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার গোল্ডেন সান বলেছেন, এই হোটেল সর্বদা অতিথিদের অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। যেহেতু ভোক্তাদের খরচ ক্রমেই বাড়ছে, তাই গ্রাহকরা উচ্চমান এবং সেবা আশা করছে। অতিথিরা সব সময় নতুন জিনিস এবং নতুন অভিজ্ঞতা আশা করে। শেনজেন টেলিকম এবং হুয়াওয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগটি এই হোটেলের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। উন্নত প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে এখন আমরা আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও সে অনুযায়ী কাজ করতে পারব।
তিনি বলেন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনে ৫জি এক্সপেরিয়েন্স জোন দেখতে আমরা অতি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি কারণ আমাদের তিন অংশীদারদের জন্যই ৫জি হোটেল গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপ একেবারে প্রথম। অন্যদিকে, আমরা ৫জি প্রযুক্তি প্রবর্তন করে স্মার্ট হোটেল এবং ডিজিটাল হোটেল রূপান্তরকে নিশ্চিত করতেও আশা করি।
গোল্ডেন সান আরও বলেন, আমরা হোটেলের বিভিন্ন বিষয়ে ৫জির আরও ব্যাপক প্রয়োগ করতে শেনজেন টেলিকম ও হুয়াওয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। আমরা আশা করি আমাদের অভিজ্ঞতা হোটেল শিল্প ও পর্যটনকে ডিজিটাল করতে সহায়তা করবে।
চায়না টেলিকমের শেনজেন শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফেং ওয়েই বলেন, শেনজেন টেলিকমের কাছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন হলো অত্যন্ত সম্মানজনক একটি গ্রাহক। প্রচুর ভিআইপি গ্রাহকের সংখ্যা, ব্যবহারকারীদের উচ্চমানের অভিজ্ঞতা, স্বল্প সময়ে সেবা প্রদান এবং সেরা মানের নির্মাণ পরিবেশ নিশ্চিত করে নেটওয়ার্ক স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
তিনি বলেন, হুয়াওয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় শেনজেন টেলিকম মাত্র দুই দিনের মধ্যেই প্রথমতলায় ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলিতে ৫জি নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স জোন স্থাপন করেছে। এর ফলে আমরা জিবিপিএস মানের ডাউনলোডের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পেরেছি এবং ৫জি-সমর্থিত হোটেল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছি যেগুলোতে বড় মানের ব্যান্ডউইথ এবং শর্ট ডিলে প্রযুক্তির দরকার হয়। ভবিষ্যতে আমরা পুরো হোটেলে ৫জি নেটওয়ার্ক সরবরাহ করবো এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন ও হুয়াওয়ে মিলে একসাথে বিশ্বব্যাপী ৫জি পাঁচ-তারকা হোটেলগুলোর জন্য অনুসরণীয় মানদণ্ড তৈরি করব।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন হলো চীনের প্রথম স্প্যানিশ ঘরানার বিলাসবহুল ব্যবসায়িক হোটেল। এটি শীর্ষস্থানীয় ও বৈশ্বিক ইভেন্টগুলোর জন্য একটি বড় অংশীদার। পুরো বছরজুড়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেনজেন তার সৃজনশীলতা, মননশীল পরিবেশ ও বিশেষায়িত পরিষেবার জন্য অনেক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় হোটেল ইন্ডাস্ট্রি পুরস্কার জিতেছে।
প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য শেনজেন টেলিকম ও হুয়াওয়ে যৌথভাবে হোটেলের প্রথমতলায় এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলোতে ৫জি ডিজিটাল ইনডোর সিস্টেম স্থাপন করেছে। হোটেল লবিতে অতিথিরা ৫জি ডাউনলোড ও আপলোডের জন্য তাদের সিপিই বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ৫জি নেটওয়ার্কে ঢুকতে পারবেন।
৫জি সম্বলিত বুদ্ধিমান রোবটগুলোর মাধ্যমে অতিথিদের তথ্য সংগ্রহ করা, গন্তব্য নির্দেশিকা দেয়া ও পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে হোটেল পরিসেবার মান আরও উন্নত হবে। নতুন নেটওয়ার্কে আচ্ছাদিত রাষ্ট্রীয় স্যুটগুলো অতিথিদের ক্লাউড ভিআর রোয়িং মেশিন, ক্লাউড গেমস ও ফোর-কে মানের চলচ্চিত্রের মতো ৫জি হোটেল পরিষেবা প্রদান করবে।
এই অনুষ্ঠানের জন্য নির্মিত এক্সপেরিয়েন্স জোনটি ছিল বিশ্বের দ্রুততম মোবাইল ডাউনলোড ও একটি অনন্য বহুমুখী টেলিযোগাযোগ ও অতিথি বিনোদন অভিজ্ঞতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই হুয়াওয়ের উদ্দেশ্য।
গ্রাহক-কেন্দ্রিক নতুনত্ব এবং উন্মুক্ত অংশীদারিত্বের দ্বারা পরিচালিত হয়ে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সমাধান পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান।
এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে কাজ করে চলেছে। এই বিশালসংখ্যক কর্মীরা বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

(jugantor)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget