Latest Post

বনলতা এক্সপ্রেসের আসন/ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী: রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নামই পেতে যাচ্ছে নতুন এই বিরতিহীন ট্রেন। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ট্রেনটি পয়লা বৈশাখ থেকে চালু সম্ভব হচ্ছে না।
 
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের মানুষের উপহারস্বরূপ দেওয়া বিরতিহীন ট্রেনটির নাম চূড়ান্ত করেছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার অপেক্ষা।
জানতে চাইলে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে একথা জানান। কিন্তু এতে আশাহত হওয়ার কিছু নেই, চলতি মাসেই বহুল প্রত্যাশিত এই বিরতিহীন ট্রেনটি চালু হতে যাচ্ছে।




পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রও বুধবার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি বলছে, রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ওই ট্রেনটি নাম নির্ধারণ হতে চলেছে 'বনলতা এক্সপ্রেস'। এছাড়া ১১ এপ্রিল সকাল থেকে এর আগাম টিকিট ছাড়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আগে ট্রেনটির উদ্বোধনী তারিখ নির্ধারণ করা ছিল ১৪ এপ্রিল। পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ, নববর্ষের দিন দুপুর ১টা ১৫মিনিটে (সম্ভাব্য) ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে প্রস্তুতির জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন হওয়ায় তা পিছিয়ে গেছে। রেলওয়ের সূত্রটি বলছে, ওইদিন চালু না হলেও সব প্রস্তুতিই থাকছে। ২০ এপ্রিলের পর যে কোনো একটি দিনে ট্রেনটি উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, রাজশাহী-ঢাকা রুটে উদ্বোধন হতে যাওয়া বিরতিহীন এই ট্রেনটির ছবি এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের ফ্যান গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তির নিজস্ব ওয়ালে অত্যাধুনিক এই ট্রেনের ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। 
এতে রাজশাহীর ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে নতুন করে কৌতূহল এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ভ্রমণপিয়াসুরা নতুন লাল-সবুজ ট্রেনের বগির ভেতরের ছবিগুলো নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করছেন। যেন অপেক্ষার প্রহর আর কাটছে না। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে নতুন ট্রেনের বগির সিট ক্যাপাসিটি ও বায়োটয়লেটসহ অত্যাধুনিক বিভিন্ন সুবিধার দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। 



এই প্রথম দেশের আন্তঃনগর কোনো ট্রেনে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট সংযুক্ত হচ্ছে। এ কারণে মলমূত্র আর রেললাইনের ওপরে পড়বে না। স্টেশনে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায়ও যাত্রীরা টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথমবারের মতো ট্রেনটিতে রিক্লেনার চেয়ার বসানো থাকবে। যেখানে পা এবং হেলান দেওয়ার আরামদায়ক সুবিধা রয়েছে। আর এসি বাথের কেবিনে বেডরেস্ট দেওয়া হবে। যা রাতে বিছিয়ে দিলে ছোট খাটের মতো হয়ে যাবে। এছাড়া কেবিনে ওপরের সিটে ওঠার জন্য স্টিলের মইয়ের বাদলে সিঁড়ি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, শিগগিরই ট্রেনের সময়সূচি, আগাম টিকিট প্রাপ্তির দিন-ক্ষণসহ সব কিছুই রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হবে। এর সম্ভব্য নামের তালিকা থেকে 'বনলতা এক্সপ্রেস' নামটি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হতে চলেছে। এই নামটি ছিল সম্ভাব্য নামের তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে। পরে এটি চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়া অন্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘হিমসাগর এক্সপ্রেস’। এছাড়া ছিল 'গ্রিনসিটি এক্সপ্রেস' এবং ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস'। খোদ প্রধানমন্ত্রীই ট্রেনটির নাম ঠিক করে দেন।
রাজশাহী-ঢাকাসহ দেশের তিনটি রুটে নতুন ট্রেন চালুর জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে ৫০টি অত্যাধুনিক বগি। এরই মধ্যে ১৫টির বেশি বগি এসে পৌঁছেছে দেশে। রাজশাহী-ঢাকা রুটে নতুন বিরতিহীন ট্রেনে এ বগিগুলো সংযোজন করা হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল ও ৮ এপ্রিল পার্বতীপুর থেকে টাঙ্গাইল (বঙ্গবন্ধু সেতু) পর্যন্ত ট্রায়াল ট্রেন সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এপ্রিলের শেষ দিকে উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে প্রথম বিরতিহীন এই ট্রেন। আর এর মধ্যে দিয়ে রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। 
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, নতুন ট্রেনের মোট বগির সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৭টি, এসি ২টি, একটি পাওয়ার কার, দু’টি গার্ডব্রেক ও একটি খাওয়ার বগি। ট্রেনটিতে মোট আসন সংখ্যা হবে ৯২৮টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের ভাড়া হতে পারে ৩৭৫ টাকা। আর স্নিগ্ধার (এসি চেয়ার) ভাড়া হতে পারে ৭১৯ টাকা। এছাড়া ৮৬৩ টাকায় পাওয়া যেতে পারে এসি কেবিন আর ১ হাজার ২৮৮ টাকায় মিলতে পারে এসি বাথ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এ ভাড়া প্রস্তাব করেছে। যা অনুমোদন হতে পারে।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান সাংবাদিকদের জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা নতুন অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ দিয়ে ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন চলবে। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে শুক্রবার। সিগন্যাল পাসিং দ্রুত শেষ হলে ঢাকা-রাজশাহী বিরতিহীন ট্রেনটির ভ্রমণ সময় হবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা। 
বিরতিহীন এ ট্রেন হবে দেশের সর্বাধুনিক হাইস্পিড কোচের ট্রেন। ঘণ্টায় এর গতি হবে ১৪০ কিলোমিটার; অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ট্রেনটি আড়াই কিলোমিটার যাবে। বিদ্যমান ট্রেনগুলোতে এখন ৩৪৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগে। এতে রাজশাহী-ঢাকা ট্রেন ভ্রমণে সময় বাঁচবে আড়াই ঘণ্টা। প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে ট্রেনটি দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়। রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে বেলা ১১টায়। বিরতিহীন চার্জ হিসেবে বিদ্যমান ভাড়ার সঙ্গে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে ভ্রমণকারীদের।
বর্তমানে রাজশাহী-ঢাকা রুটে মোট তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু আছে। এগুলো হলো- পদ্মা, ধূমকেতু ও সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস। শুরুতে এসব ট্রেন যেক’টি স্টেশনে থামতো, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি স্থানে থামছে। বর্তমানে ১৪টি স্টপেজ রয়েছে আন্তঃনগর এই ট্রেনগুলোর। শুরুতে আন্তঃনগর থাকলেও এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক প্রভাবে পরবর্তী সময়ে ট্রেনগুলোকে মাঝপথে স্টপেজ দিতে বাধ্য করা হয়। ফলে শেষ পর্যন্ত এই ট্রেনগুলো এখন অনেকটা লোকাল ট্রেনে পরিণত হয়েছে। আর এতে রাজশাহী-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর প্রায়ই শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। 
তবে এর বিপরীতে উদ্বোধন হতে যাওয়া ট্রেনটি খুবই আরামদায়ক হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রতিটি বগি বর্তমান বগিগুলোর চেয়ে প্রশস্ত। ট্রেনের কারিগরি যন্ত্রাংশগুলো অনেক উন্নতমানের। এখন থেকে যেসব ইঞ্জিন রেলওয়ে বহরে যুক্ত হচ্ছে, তাও অত্যাধুনিক। তাই এটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হয়ে আসছে রেলযাত্রীদের জন্য।

(banglanews24)
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এসএস/এএ



খোকন আহম্মেদ হীরা : জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসা থেকে ৯৩ বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপক কুমার রায়ের নেতৃত্বে থানা পুলিশ চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়।






বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, জেলেদের জন্য দেওয়া সরকারের বিশেষ খাদ্য সহায়তার চাল চেয়ারম্যানের বাসায় মজুত করা হয়েছে এ খবর পেয়ে কাজিরহাট থানার পুলিশ নিয়ে চেয়ারম্যান মনির হাওলাদারের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই বাসা থেকে ৯৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের সময় চেয়ারম্যান মনির হাওলাদার ঢাকায় অবস্থান করায় তাকে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া জেলেদের বরাদ্দের চাল তার বাসায় কিভাবে গেল সে বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইউএনও আরও জানান, বিষয়টির তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।
(amadershomoy)

শেখ সেকেন্দার আলী, মালয়েশিয়া থেকে : মালয়েশিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনের লাশ এখনো মর্গে পড়ে আছে। নিহত ১১ জনের লাশের এখনো দাবিদার খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে স্টার অনলাইনের সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে।
নিহত ৯ জনের লাশ পোস্টমর্টেম করার পর তাদের দাবিদারদের এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ২ জনের লাশ সেরডাং হাসপাতালে মর্গে থাকলেও এখনো কেউ সনাক্ত করেনি।


কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট জেলা পুলিশ প্রধান এসিপি জুলকিফলি আদমসাহ জানায়, গত ৮ই এপ্রিল দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের লাশের দাবিদারদের এখনো পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য রোববার (৭ এপ্রিল) একেএল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এমএএস কার্গো, জালান এস ৮ পেকেলিলিংয়ের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটি নীলাই, নেগরি সেম্বিলান থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসছিল।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলার দেবপুরের মো. আনোয়ারের ছেলে সোহেল (২৪) ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরভাগল গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে আলামিন (২৫), কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মহিন (৩৭) ও দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকাগাঁও গ্রামের মো. ইউনুস মুন্সির ছেলে মো. রাজিব মুন্সি (২৭) এবং নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৩)। নিহতদের লাশ বর্তমানে সেরডাং হাসপাতালে আছে।


(amadershomoy)

রাজধানীর ডেমরায় একটি মসজিদ থেকে বস্তাবন্দি শিশু মনির হোসেনের (৮) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার নূর-ই মদিনা মাদরাসার অধ্যক্ষ ও মসজিদুল-ই-আয়েশায় ইমাম আব্দুল জলিল হাদী এবং তার সহযোগী মো. আকরামের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


অন্যদিকে ইমামের আরেক সহযোগী আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে শিশু আইনে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে শিশু কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্য তারা মনিরকে অপহরণ করেছিল। তবে অপহরণের কিছুক্ষণ পরই গামছা দিয়ে তার মুখ পেঁচানোর কারণে মারা যায় মনির। তার মৃত্যুর পরও তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করা হয়।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি ওয়ারী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘মনির ও তার দুই ভাইবোন ৭ এপ্রিল সকালে মাদরাসায় পড়তে যায়। বেলা ১১টায় মাদরাসা ছুটি হওয়ার পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অধ্যক্ষ ও তার দুই সহযোগী মনিরকে অপহরণ করে। মাদরাসার পাশের নির্মাণাধীন মসজিদুল-ই-আয়েশায় নিয়ে যায় তাকে। ওই মসজিদের ইমাম আব্দুল জলিল হাদী। সেখানে নেয়ার পর মসজিদের সিঁড়িতে মনির কান্না শুরু করে। তখন অপহরণকারীদের একজন মুখ চেপে ধরে। মুখ চেপে ধরায় মনির আরও জোরে চিৎকার করে। তখন অধ্যক্ষ হাদীর গামছা দিয়ে মনিরের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলা হয়। একপর্যায়ে মারা গেছে বুঝতে পেরে মনিরকে সিমেন্টের একটি বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেয়। বস্তায় ঢুকানোর আগে মনিরের হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়।’
তিনি আরও বলেন, মারা গেছে জেনেও পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মনিরের বাবা সাইদুল হকের কাছে রাতে ফোন করে তারা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মনিরের বাবা এক লাখ টাকা নিয়ে মসজিদে আসে। ছেলে ফিরে পাওয়ার আশায় মসজিদেই অপেক্ষা করে এবং টাকাটা মসজিদের ইমাম হাদীর কাছে রাখে। সারারাত অপেক্ষার পরও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে পরদিন টাকা নিয়ে চলে যান তিনি। পরে পুলিশকে নিখোঁজের বিষয়ে জানালে পুলিশ মসজিদ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রঙের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, মরদেহের পরনে থাকা ফুল প্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে ডেমরার ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার নূর-ই আয়েশা জামে মসজিদের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু মনির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির আগের দিন রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে নিখোঁজ ছিল।
এ ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি জিডি ও পরবর্তীতে হত্যা মামলা করা হয়।
(jagonews24)
জেএ/জেএইচ/পিআর

‘নির্বাকতার ঔজ্জ্বল্যে দীপ্ত হোক বিশ্বমৈত্রী’ স্লোগান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বারের মতো হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব ২০১৯।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের (ডুমা) আয়োজনে এই উৎসব চলবে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
বর্ণাঢ্য এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে ইংল্যান্ড, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের মূকাভিনয় দল।
এছাড়াও অংশ নেবে বাংলাদেশে মূকাভিনয় চর্চারত দলসমূহ। এদের মধ্যে আছে প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট (চট্টগ্রাম), মুক্তমঞ্চ নির্বাক দল (গাজীপুর), রঙ্গন মাইম একাডেমি (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), মাইম আর্ট (ঢাকা), সাইলেন্ট থিয়েটার (চট্টগ্রাম), মিরর মাইম থিয়েটার, মামারস (ঢাকা), ব্ল্যাকফ্লেইম থিয়েটার (ঢাকা), কাকাশিস (রংপুর), জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি মাইম সোসাইটি এবং মাইম অ্যাকশন ময়মনসিংহ।



প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে থাকবে উৎসবের মূল আয়োজন। এছাড়াও শহীদ মিনার, কার্জন হল, কলাভবন, শাহবাগসহ পুরো ক্যাম্পাসজুড়েই থাকবে পথ–শো। তিন দিনের আয়োজনে থাকছে মূকাভিনয়ের ওপর কর্মশালা, সেমিনার, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মূকাভিনয় প্রতিযোগিতা এবং পোস্টার প্রদর্শনী।
১১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।
১২ এপ্রিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন প্রধান অতিথি থাকবেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, অভিনেতা ও পরিচালক তৌকির আহমেদ, ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
১৩ এপ্রিল উৎসবের সমাপনী দিন প্রধান অতিথি থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
তিন দিনের এই উৎসবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে থাকবে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দলের মূকাভিনয় প্রদর্শনী। ১৩ এপ্রিল রাত ১০ টায় অংশগ্রহণকারী দল এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে আন্তর্জাতিক এ মূকাভিনয় উৎসব।
উৎসব সম্পর্কে সংগঠনের পরিচালক মীর লোকমান বলেন, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার ক্ষেত্রে আমাদের এই আয়োজন ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। আগামী দিনে নিঃসন্দেহে ক্রিকেটের মতই আরেকটি ‘ব্রান্ড অব বাংলাদেশ’ হবে এই মূকাভিনয়।
২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি “না বলা কথাগুলো না বলেই হোক বলা” স্লোগান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর লোকমানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে মূকাভিনয় সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন’।
পথচলার মাত্র ৮ বছরে সংগঠনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব আয়োজনসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও জেলা শহরে ৫ শতাধিক মূকাভিনয় প্রদর্শনী করেছে। একই সঙ্গে পুরস্কৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং সুনামও কুড়িয়েছে বেশ।
ইতোমধ্যে আর্মেনিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতে মূকাভিনয় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি এবার ৩য় বারের মতো আন্তর্জাতিক এই উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে।

(rtvonline)

ডিটিএইচ এবং কেবল টিভির ব্যবসায় আরও বেশি স্বচ্ছতা আনতে মাস দুয়েক আগেই নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় টিভি দেখার খরচ বেড়েছে গৃহস্থের। তার জেরে এখন বেসিক প্যাকের ফ্রি চ্যানেল এবং পছন্দের চ্যানেলগুলি ছাড়া অতিরিক্ত চ্যানেল নিচ্ছেন না টিভি দর্শকরা। ডিটিএইচ সার্ভিস প্রোভাইডাররা বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে তাঁদের লাভ তুলে নিচ্ছেন। কিন্তু কেবল অপারেটররা সেটা পারছেন না—এমনটাই দাবি কেবল অপারেটররা। 


কেবল অপারেটরদের দাবি, তাঁরা দর্শকদের কাছ থেকে যে ভাড়া নেন তার ৮০ শতাংশ যায় ব্রডকাস্টারদের কাছে। বাকি ২০ শতাংশ তাদের কাছে থাকে। ফলে তাঁদের লাভ প্রায় ৪৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাই কর্মচারীদের বেতন দিয়ে, সঠিক ভাবে পরিষেবা চালু রাখতে ২০ থেকে ২৫ টাকা সার্ভিস চার্জ বসানোর অনুমতি দিক টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)। সেটা চালু হলে আরও খরচ বাড়বে কেবল টিভি দেখার খরচ।
এখন কেবল টিভির কোন চ্যানেল দেখার জন্য কত টাকা দিতে হচ্ছে, তা জানা যায়।সামগ্রিক ভাবে একটা স্বচ্ছতা এসেছে। তার সঙ্গে এটাও ঠিক, আগামী দিনে টিভি দেখার খরচ বাড়তেও চলেছে। সেখানে কেবল টিভির কাছে বড় প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম (ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখার পদ্ধতি)। ওটিটি নানা প্যাক নিয়ে আসছে। যেমন হটস্টার ৩৬৫ ভিআইপি প্ল্যানে সারা বছর সব হিন্দি টিভি চ্যানেল, খেলার চ্যানেলগুলি দিচ্ছে। নেটফ্লিক্সও তাদের নতুন সস্তার প্যাক ঘোষণা করেছে। অ্যামজন প্রাইম তাদের সমস্ত সুবিধা দিচ্ছে এখন ৯৯৯ টাকার বার্ষিক প্ল্যানে।

(andabazar)

(প্রিয়.কম) বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকার চেক দিয়েছে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১০ এপ্রিল, বুধবার বিকেল ৩টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা গ্রিন লাইন পরিবহন মালিককে পরিশোধ করতে বলে হাইকোর্ট।

আদালত বলে, ‘৩টার (বিকেল) মধ্যে রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকার কিছু অংশ না দিলে আমাদের (আদালত) মতো আমরা ব্যবস্থা নেব।’
পরে বেলা ৩টায় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের উপস্থিতিতে এই চেক প্রদান করা হয়।
বাকি ৪৫ লাখ টাকা এক মাসের মধ্যে রাসেলকে বুঝিয়ে দিতে গ্রিন লাইনের মালিককে নির্দেশ দিয়েছে ওই বেঞ্চ।
রাসেল ও গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিক হাজী মো. আলাউদ্দিনের উপস্থিতিতে আদালত এই আদেশ দেয়।


পরে দুই বিচারক গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘রাসেলের চিকিৎসায় তো অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ৫০ লাখ টাকা আমরা দিতে বলেছি। এত কম দিয়েছেন কেন?’
জবাবে গ্রিন লাইন মালিকের পক্ষের আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ বলেন, ‘আমরা এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছি। এর মধ্যে ভাগে ভাগে টাকা দেবো।’
তখন আদালত বলে, ‘ভাগে ভাগে না; একসঙ্গে দিতে হবে।’
এরপর এক মাসের মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা রাসেল সরকারকে দেওয়ার আদেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে রাসেল সরকারের ক্ষতিগ্রস্ত ডান পায়ের চিকিৎসা সাভারের সিআরপিতে করানোর ও বাম পায়ে কৃত্রিম পা লাগানোর চিকিৎসা করাতে আদেশ দেয় আদালত।
আদালতে গ্রিন লাইন মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শামসুল হক রেজা।
গত ৪ এপ্রিল পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৩১ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে গত রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল/আজাদ চৌধুরী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) হ্যান্ডবল টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইবি টিমের ব্যবস্থাপক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল ও ৯ খেলোয়াড় আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রাব্বি ও ইমনের হাত ও কোমর ভেঙে গেছে জানিয়েছে ইবি খেলোয়াড়েরা।
অন্য আহতরা হলেন- আশিক, শিমুল, সাকিব, সালমান, জাকারিয়া, দিপন, শোভন, সালফি, সৌরভ। তাদের সবাই সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজন জাতীয় হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড়।


ইবির খেলোয়াররা জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাবির মাঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল খেলার সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ইবি তিন পয়েন্টে এগিয়ে গেলে ফাউল করতে থাকে জাবির খেলোয়াড়রা। এ সময় ইবির খেলোয়াড়রা রেফারির কাছে ফাউলের আবেদন করেন। এতে জাবির খেলোয়াড় ও দর্শকরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইবির খেলোয়াড়দের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় তারা। ইবির শিক্ষক, কোচ ও কর্মকর্তারা ঠেকাতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন।
ইবি টিমের ব্যবস্থাপক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, খেলার মাঠে নূন্যতম নিরাপত্তা ছিল না। তারা আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর সন্ত্রাসী হামলা শুরু করলে আমরা থামাতে যাই। এ সময় আমি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিলেও তারা থামেনি। 
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা লজ্জিত ও দুঃখ প্রকাশ করছি। নিরাপত্তা দিতে না পারায় আমরা মর্মাহত।
জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় আমি সত্যি লজ্জিত। জড়িতদের চিহ্নিত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবি উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমরা এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সব ধরনের খেলাধুলার ক্ষেত্রে জাবিকে কালো তালিকায় রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে এই ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে জ্যাম সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ইবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আনিছুর রহমান এসে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
(samakal)

শাহীন চৌধুরী : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, উন্নয়নের জন্য এডহক ভিত্তিতে না নিয়ে সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণ করুন। সিদ্ধান্ত ও উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা। দ্রুত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো অপরিহার্য।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং-২০১৯’ এ বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কাষ্টমার সার্ভিস বাড়াতে হবে। জনকল্যাণম‚লক উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। এসব কাজে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্ভাবনী কর্মসূচি মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে। বস্তি এলকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ কিংবা আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচি এ আস্থাকে সুসংহত করেছে। মুক্ত চিন্তা লালন ও বিকাশকে উৎসাহিত করার উপরে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ইপিআরসি’র কার্যক্রম উদ্বাবনী উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত করা উচিত।


বিদ্যুৎ বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/কোম্পানির সমন্বয়ে অনুষ্ঠিতব্য ইনোভেশন শোকেসিং-২০১৯ এর ২৫টি পাইলট উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্য থেকে ০৫টি উদ্যোগকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। সেগুলো হলো-বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর আলোর ফেরিওয়ালা ১ম, যৌথভাবে ২য় হয় টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)-এর জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব মাল্টি ফুয়েল উন্নত চুলার আদর্শ মডেল তৈরি ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি. (ডিপিডিসি)-এর লাইফ সেভিংস ডিভাইস এগেইন্সট ইলেক্ট্রিক্যাল হ্যাজার্ড এবং যৌথভাবে ৩য় হয় ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিঃ (ডেসকো)-এর ইরষষ ঢ়ধু ঃযৎড়ঁময ঝগঝ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী কোম্পানী লিঃ (ওজোপাডিকো)-এর Time Based Preventive Maintenance Apps for Sub Station।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব (সমন্বয় ও সংস্থাপন) ড. মো. শামসুল আরেফিন, এ-টুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা বেগমও বক্তব্য রাখেন।
(amadershomoy)

ঢাকা: উচ্চ আদালতের দেওয়া আদেশ মতো একটি মামলার বিচার সম্পন্ন করতে না পারায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ২৪ এপ্রিল তাকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।



আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসমা খাতুন নামে এ তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট মামলা হয়। এ মামলায় ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নয়ন কর্মকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে নয়ন কর্মকার হাইকার্টে জামিন আবেদন করে। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন মামলা চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গতবছর ৮ জুলাই নির্দেশ দেন। কিন্তু অদ্যবধি মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় বুধবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন নয়ন কর্মকারের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। এরপর আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বিচারককে তলব করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০,২০১৯
(banglanews24)

৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের শ্রুতি লেখকের জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা শ্রুতি লেখকের জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।



বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী প্রার্থী হিসেবে আবেদনকারীদের মধ্যে যেসব প্রার্থীর শ্রুতি লেখক প্রয়োজন তাদের সরকারি কর্ম কমিশন থেকে শ্রুতি লেখক দেয়া হবে। প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে যারা শ্রুতি লেখক চান তাদের ৯ এপ্রিল অফিস চলাকালীন পিএসসির প্রধান কার্যালয় আগারগাঁওয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে বলা হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে যারা শ্রুতি লেখকের জন্য আবেদন করতে পারেননি তাদের জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন আবেদন জমা দিতে বলা হয়।
তবে এ সময়ের পরে আর আবেদন জমা নেয়া হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনের সঙ্গে অনলাইন আবেদনপত্রের কপি, প্রার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, শ্রুতি লেখকের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সিভিল সার্জনের ডাক্তারি প্রত্যয়নপত্র, সমাজসেবা অধিদফতরের অধীন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক বা সমমর্যাদাসম্পন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত প্রতিবন্ধী সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে বলা হয়েছে।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আবেদনকারী প্রার্থীরা শুধু অনুমোদিত শ্রুতি লেখকের সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। তবে আবেদন না করলে শ্রুতি লেখক পাওয়া যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে শ্রুতি লেখকের জন্য গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে অনেকে আবেদন করতে ব্যর্থ হওয়ায় আবেদনের সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।
(jagonews24)
এমএইচএম/এমবিআর/পিআর

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে নাজমুল হোসেন (১০) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে রেলপথ পুলিশ।
বুধবার সকালে উদ্ধারের সময় মৃতদেহের গলায় গামছা পেঁচানো ছিল।
পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধে হত্যার পর তাকে ওই স্থানে ফেলে যায় কেউ। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে শ্যামপুর থেকে ইয়াছিন আরাফাত (১১) নামে আরেক মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


ঢাকা রেলপথ থানার বিমানবন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, নাজমুলকে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সম্ভাব্য কয়েকটি দিক মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। তবে শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, খিলক্ষেতে লা মেরিডিয়ান হোটেলের পেছনের এলাকার রেললাইন থেকে সকাল ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার বাবা মৃত আমিরুল হোসেন। মা নাজমা বেগম খিলক্ষেতের জামতলা এলাকায় তৃতীয় স্বামী খোরশেদ আলমের সঙ্গে থাকেন। নাজমুল তার প্রথম পক্ষের সন্তান। সে শাহজাদপুর এলাকার একটি এতিমখানা মাদ্রাসায় থেকে পড়ালেখা করত।
তদন্ত সংশ্নিষ্টরা জানান, কোনো বিরোধের জের ধরে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে তদন্তের পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় রেলপথ থানায় মামলা হয়েছে।
মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: শ্যামপুরের মিতালী গলির বাসা থেকে ইয়াসিন আরাফাত নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা স্বজন ও পুলিশের।
শ্যামপুর থানা পুলিশ জানায়, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা হানিফ পেশায় রিকশাচালক ও মা লিপি বেগম গৃহিণী। মঙ্গলবার মা তাকে মাদ্রাসায় যেতে বলার পরও সে যায়নি। এ নিয়ে তাকে বকুনি দেন লিপি। পরে ঘরের ভেতর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় ছিল ইয়াসিন।
এদিকে শিশুটিকে মাদ্রাসায় নির্যাতন করা হতো বলে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে। অবশ্য শিশুটির স্বজনরা বলেছেন, এমন কিছু তাদের জানা নেই।
শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, শিশুটিকে নির্যাতনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(samakal)

...
ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড এর পরিচালনা পরিষদ গঠন করেছে সরকার।
শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব।



বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা আইন, ২০০২ এর ধারা ৬ এর বিধান এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টি ট্রাস্ট আইন, ১৯৯০ (২০০২ এ সংশোধিত) এর ধারা ৬ অনুযায়ী তিন বছরের জন্য বোর্ড ও পরিষদ গঠন করে বুধবার (১০ এপ্রিল) পৃথক আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দুই সংস্থাতেই ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপিচালক। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দুই সংস্থায় এক নম্বর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদরের পৌর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী। আর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আমুগঞ্জের বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাজাহান আলম সাজু কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ, অবসর সুবিধাসহ নানাবিধ কাজ করে থাকে এই দুই সংস্থা। প্রায় তিন মাস আগে পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অন্য সদস্যরা:
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-৩), জনপ্রশাসনের উপসচিব বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগের উপসচিব বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।
এছাড়া কুষ্টিয়া সদরের ঝাউদিয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরজাহান শারমীন, রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মো. নাজিম উদ্দিন তালুকদার, কলাবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল, সবুজবাগের ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপম বড়ুয়া, পল্লবীর বঙ্গবন্ধু বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো. শাহে আলম, নরসিংদীর লঅখপুর কে ইউ ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ নজুরুল ইসলাম, পাবনা সদরের মালিগাছা মজিদপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মো. তেলায়াত হোসাইন খান, ফরিদপুরের ভাঙ্গার ইকামতে দ্বীন ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, গাজীপুরের শ্রীপুর কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম মোকেসেদুর রহমান, বগুড়া শেরপুরের সালফা টেকনেক্যিাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের ট্রেড-ইন্সট্রাকটর রামচন্দ্র পাল, রাজধানীর লালবাগের হাজী সেলিম ডিগ্রি কলেজের অফিস সহায়ক মো. শাহজাহান খান ও মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ীর শেখদী আব্দুল্লাহ মোল্লা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহায়ক মো. হুমায়ুন কবির সদস্য হিসেবে থাকবেন।     
শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্য সদস্য রয়েছেন— মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন), মাধ্যকি ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (কলেজ-২), জনপ্রশাসনের উপসচিব বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগের উপসচিব বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।
এছাড়াও চাঁদপুরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, ঢাকার খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মো. ফজলুর রহমান, সিদ্ধেশ্বরী কলেজের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান মজুমদার, বাড্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিটিসিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বাবুল, পল্লবীর বঙ্গবন্ধু বিদ্যানিকেতনের সিনিয়র শিক্ষক মো. শফিকুল আলম, বাসাবো নূরে মোহাম্মদীয়া (সা.) হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রামের ছিপাতলী গাউছিয়া মুইনিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল ফরাহ মো. ফরিদ উদ্দীন, ঢাকা ডেমরার ডগাইর দারুচ্ছুন্নাত ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক মো. হারুন অর রশিদ, রামপুরার মহানগর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সলিমউল্লাহ সেলিম, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী সোনারং বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. মুহিবুর রহমান, ঢাকার কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহায়ক এম আরজু সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

(banglanews24)

ডুবতে যাওয়া সিমেন্টবাহী ট্রলারটি
বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতে ডুবতে যাওয়া এক হাজার ২শ বস্তা সিমেন্টবাহী একটি ট্রলারকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পানগুছি নদী সংলগ্ন মোরেলগঞ্জ বাজারের ব্রিজের নিচে ধারণ ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত সিমেন্টের বস্তা বহনের কারণে ট্রলারটি ডুবে যাচ্ছিল।

খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ট্রলারটি উদ্ধার করে।
বাগেরহাটের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সরদার মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, ওভার লোডের কারণে এক হাজার ২শ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে ট্রলারটির অর্ধেক ডুবেছিল। ট্রলারটি ডুবতে দেখে সিমেন্টের মালিক শহিদুল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়েন। 
পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ট্রলারে পাম্প বসিয়ে এবং সিমেন্ট খালাস করে ট্রলারটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
জিপি
ক্লিক করুন, আরো পড়ুন :   বাগেরহাট

(banglanews24)


রাজধানীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দফা বজ্রঝড় হয়েছে। এর মধ্যে সন্ধ্যায় ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। এর স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিট। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিট থেকে ৫ মিনিট পর্যন্ত এই ঝড়ের সঙ্গে বজ্রবৃষ্টিও ছিল।


এদিকে দুই জেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন তিন কৃষক। সুনামগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। এ ছাড়া মৌলভীবাজারে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন এক নারী।
সিলেটে মারা যাওয়া তিনজন হলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তেরাকুড়ি গ্রামের মো. জিতু মিয়া (৩৮), গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশার মো. রাজন মিয়া (২৮) ও আনোয়ার হোসেন (৪২)।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৬৩ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় আগামীকাল বুধবারও অস্থায়ী দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা কমে যেতে পারে।
বুধবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
(prothomalo)

দুস্থদের চাল আত্মসাতের মামলায় দিনাজপুরের হাকিমপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত আটটায় নিজ কার্যালয় থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম গোলাম রসুল ওরফে বাবু। তিনি উপজেলার আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন


হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রাফিউল আলম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রসুল খাদ্যগুদাম থেকে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের ৬৯৮ জন ভিজিডি কার্ড ভোগীর চাল উত্তোলন করেন। প্রত্যেকের জন্য প্রতি মাসের বরাদ্দ ৩০ কেজি চাল। কিন্তু চেয়ারম্যান মঙ্গলবার শুধু জানুয়ারি মাসের চাল বিতরণ করেন। অভিযোগ পেয়ে রাত ৮টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ফেব্রুয়ারি মাসের চালের কোনো হদিস দিতে পারেননি তিনি। পরে চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রীতা লস্কর গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আলীহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে জানান, গোলাম রসুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রসুলকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তিনি থানাহাজতে আছেন।

(prothomalo)

এ বছরের শুরুতেই বেশ কিছু নতুনত্ব এসেছে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইন ও ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায়। এর মধ্যে অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে মা–বাবার জন্য সন্তানের স্পনসর করা নতুন ভিসার ঘোষণাও দেওয়া হয়। ৮ এপ্রিল নতুন এ ভিসার বিস্তারিত জানিয়ে ভিসাটি চালু করা হয়েছে। এ ভিসার নাম টেম্পোরারি স্পনসরড প্যারেন্ট ভিসা সাবক্লাস ৮৭০। ভিসাটি মূলত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের মা–বাবার জন্য





এ ভিসার আওতায় স্পনসরড হওয়া মা–বাবা টানা পাঁচ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ পাবেন। বছরে ১৫ হাজার ভিসা দেবে অভিবাসন বিভাগ। ভিসাটি তিন ও পাঁচ বছর মেয়াদি। ভিসা খরচ পড়বে তিন বছর মেয়াদের জন্য ৫ হাজার এবং ৫ বছর মেয়াদের জন্য থেকে ১০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। সর্বোচ্চ দুবার এই ভিসায় আবেদন করা যাবে। অর্থাৎ মোট ১০ বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ থাকছে এ ভিসায়।




১ জুলাই থেকে ভিসার আবেদন গ্রহণ করবে অভিবাসন বিভাগ। ভিসার আবশ্যিক শর্তে থাকছে, স্পনসরকে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক কিংবা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। ভিসায় আবেদন করার আগে স্পনসর হিসেবে অনুমোদিত হতে হবে। অর্থাৎ স্পনসরশিপের জন্য আগে আবেদন করতে হবে। মঞ্জুর হলে তবেই মা–বাবাকে স্পনসর করা যাবে। স্পনসরের বার্ষিক আয় প্রায় ৮৪ হাজার ডলার হতে হবে। তবে এই অর্থ স্পনসরের অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী স্ত্রী কিংবা অন্য ভাইবোনের সম্মিলিত অর্থ হলেও তা গ্রহণযোগ্য।

স্পনসর হিসেবে আবেদন করা যাবে ১৭ এপ্রিল থেকে। আবেদন ফি ৪২০ ডলার। স্পনসরের মেয়াদ ছয় মাস। এ ভিসাতে অবশ্যই দেশটিতে কাজ করার অনুমতি নেই মা–বাবার। আপন মা–বাবার মতোই দত্তক ও সৎবাবা–মাকেও স্পনসর করা যাবে। এ ভিসায় আবেদন করার সময় মা–বাবাকে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অবস্থান করতে হবে। টেম্পোরারি স্পনসরড প্যারেন্ট ভিসা সাবক্লাস ৮৭০–এর বিস্তারিত পাওয়া যাবে দেশটির অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে।
...
কাউসার খান: অভিবাসন আইনজীবী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।

(prothomalo)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget