Latest Post

ইউক্রেনে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাল্পনিক প্রেসিডেন্ট এর ভূমিকায় অভিনয় করা কমেডিয়ান ভোলোমির জেলেনস্কি এবার সত্যি সত্যিই দেশটির হাল ধরতে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন জেলেনস্কি।




ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে হবে। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩৯ জন প্রার্থী। কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে না পারলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীকে নিয়ে ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন (রান অফ নির্বাচন) অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী বলা যায়, কমেডিয়ান ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও পেট্রো পোরোশেনকোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনি লড়াই হবে।


সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল নামে হাস্যরসাত্মক একটি টিভি শো করেছিলেন জেলেনস্কি। সেখানে দেখা গেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর সাধারণ এক নাগরিক দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এবার সে কল্পিত টিভি শো-ই হয়তো বাস্তব রূপে হাজির হচ্ছে জেলেনস্কির জীবনে। ৩ সপ্তাহ আগেই তিনি ৭০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন। তার প্রতিপক্ষ পেত্রো পোরোশেঙ্কো পরাজ মেনে নিয়েছেন।
রবিবার জেলেনস্কি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি কখনও আপনাদের হতাশ করবো না। আমি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হইনি। তারপরও ইউক্রেনের নাগরিক হিসেবে সোভিয়েত পরবর্তী দেশগুলোকে আমি বলতে চাই, আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। সবকিছুই সম্ভব।’
বুথফেরত জরিপ সঠিক হলে আগামী পাঁচবছরের জন্য তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে পাওয়া যাবে চূড়ান্ত ফলাফল
বিবিসির বর্ণনা অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারার বাইরে ছিলেন জেলেনস্কি। তাকে কোনও সমাবেশ করতে দেখা যায়নি, হাতে গোনা কয়েকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে দেখে মনে হয়েছে তার শক্ত কোনও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। প্রচুর পরিমাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেছেন জেলেনস্কি। এর মধ্য দিয়ে তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। রুশ ও ইউক্রেনীয় দুই ভাষাতেই কথা বলতে সদা প্রস্তুত এ কমেডিয়ান। ইউক্রেনে যখন ভাষার অধিকার একটি প্রচণ্ডরকমের স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন নিজের এ অবস্থানের কারণে ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে সমর্থন পেয়েছেন জেলেনস্কি।

 (banglatribune)

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই জানত দেশটির সরকার। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কও করেছিল। কিন্তু তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। গতকালের ভয়াবহ ওই সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ২৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গতকাল ইস্টার সানডের দিনে দেশটিতে গীর্জা এবং কয়েকটি হোটেলে এই হামলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই সরকারের কাছে তথ্য ছিল স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলা ঠেকাতে আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। হামলার তথ্য থাকার পরও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পুলিশ বলছে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত নয় যে কারা এই হামলা চালিয়েছে।
বিক্রমসিংহ বলেন, হামলাকারীদের সাথে বাইরের দেশগুলোর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। সেটি তদন্ত করতে বিশ্বনেতারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে রাজধানী কলম্বো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কিছুটা দোষচাপানোর বিষয় হিসেবে দেখছেন। তিনি মনে করেন, শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত অক্টোবরে বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করছিলেন। এরপর এই ঘটনায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখে দেয়। পরবর্তীতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আবারও পদ ফিরে পান বিক্রমসিংহ। ফলে ভয়াবহ এই হামলার পর সরকারের দিকে এই দোষচাপানোর এই বিষয়টিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আল জাজিরার ওই প্রতিবেদক।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার এই বিষয়টি প্রমাণ করে যে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আগ থেকে আত্মঘাতী এই বোমা হামলার বিষয়ে জানতেন না।
এদিকে এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা পুলিশকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নিদের্শ দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে হামলার বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারা এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী সেটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
গতকাল ছিল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। রাজধানী কলম্বো এবং শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় তিন হোটেলে বোমা হামলা হয়। পরে আরও দুই স্থানে হামলা হয়। ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫০০ জন।
২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।
(দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই জানত দেশটির সরকার। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কও করেছিল। কিন্তু তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। গতকালের ভয়াবহ ওই সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ২৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গতকাল ইস্টার সানডের দিনে দেশটিতে গীর্জা এবং কয়েকটি হোটেলে এই হামলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই সরকারের কাছে তথ্য ছিল স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলা ঠেকাতে আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। হামলার তথ্য থাকার পরও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পুলিশ বলছে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত নয় যে কারা এই হামলা চালিয়েছে।
বিক্রমসিংহ বলেন, হামলাকারীদের সাথে বাইরের দেশগুলোর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। সেটি তদন্ত করতে বিশ্বনেতারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে রাজধানী কলম্বো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কিছুটা দোষচাপানোর বিষয় হিসেবে দেখছেন। তিনি মনে করেন, শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত অক্টোবরে বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করছিলেন। এরপর এই ঘটনায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখে দেয়। পরবর্তীতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আবারও পদ ফিরে পান বিক্রমসিংহ। ফলে ভয়াবহ এই হামলার পর সরকারের দিকে এই দোষচাপানোর এই বিষয়টিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আল জাজিরার ওই প্রতিবেদক।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার এই বিষয়টি প্রমাণ করে যে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আগ থেকে আত্মঘাতী এই বোমা হামলার বিষয়ে জানতেন না।
এদিকে এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা পুলিশকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নিদের্শ দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে হামলার বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারা এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী সেটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
গতকাল ছিল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। রাজধানী কলম্বো এবং শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় তিন হোটেলে বোমা হামলা হয়। পরে আরও দুই স্থানে হামলা হয়। ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫০০ জন।
২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।
(দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই জানত দেশটির সরকার। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কও করেছিল। কিন্তু তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। গতকালের ভয়াবহ ওই সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ২৯০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গতকাল ইস্টার সানডের দিনে দেশটিতে গীর্জা এবং কয়েকটি হোটেলে এই হামলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আগেই সরকারের কাছে তথ্য ছিল স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলা ঠেকাতে আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। হামলার তথ্য থাকার পরও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি সে বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পুলিশ বলছে ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত নয় যে কারা এই হামলা চালিয়েছে।
বিক্রমসিংহ বলেন, হামলাকারীদের সাথে বাইরের দেশগুলোর কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। সেটি তদন্ত করতে বিশ্বনেতারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে রাজধানী কলম্বো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কিছুটা দোষচাপানোর বিষয় হিসেবে দেখছেন। তিনি মনে করেন, শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসেবে আছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা গত অক্টোবরে বিক্রমসিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করছিলেন। এরপর এই ঘটনায় দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখে দেয়। পরবর্তীতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আবারও পদ ফিরে পান বিক্রমসিংহ। ফলে ভয়াবহ এই হামলার পর সরকারের দিকে এই দোষচাপানোর এই বিষয়টিতে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আল জাজিরার ওই প্রতিবেদক।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার এই বিষয়টি প্রমাণ করে যে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আগ থেকে আত্মঘাতী এই বোমা হামলার বিষয়ে জানতেন না।
এদিকে এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা পুলিশকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের নিদের্শ দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে হামলার বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারা এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী সেটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
গতকাল ছিল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল। রাজধানী কলম্বো এবং শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় তিন হোটেলে বোমা হামলা হয়। পরে আরও দুই স্থানে হামলা হয়। ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া এই হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫০০ জন।
২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।

(bonikbarta)

কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোকা অঞ্চলের রোসা শহরে ভূমিধসে কমপক্ষে ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রোসা শহরে কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণের পর বেশ কিছু বাড়িঘর বিধস্ত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।


রোববার (২১ এপ্রিল) ওই শহর পরিদর্শন করেছেন প্রেসিডেন্ট ইভান দুকে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিধসে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা ও যারা বাড়ি-ঘর হারিয়েছে তাদের নিরাপদ অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে তৎপর উদ্ধারকর্মীরা। তারা মাটি সরিয়ে চাপা পড়া মরদেহ উদ্ধারের কাজ করে চলেছেন।

অন্যদিকে ভারী বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
(banglanews24)

আগামী এক বছরের মধ্যে সারা দেশে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সেবা পৌঁছে যাবে। বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আজ রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চলমান চতুর্থ বিপিও সামিটের এক সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে অংশ নেয়া এক তরুণের প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের এখনও বেশিদিন হয়নি। আমাকে আর কিছুদিন সময় দাও। আগামী একবছরের মধ্যে দেশের সব জায়গায় টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। কারণ আমার নিজের সন্তানকেই তো আগে শক্তিশালী করতে হবে।
আজ সকালেই এই সামিটের উদ্বোধন হয়।
এসময় অনুকরণ না করে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
এতে ঘরে বসেই প্রান্তিক জনপদের মানুষ আয় করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুদিন ধরে চলা এই সম্মেলন আগামীকাল শেষ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত ‘বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং’, যাতে ধীরে ধীরে অবস্থান করে নিচ্ছে বাংলাদেশ। আইসিটি খাত থেকে গেলো বছরে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যার মধ্যে বিপিও থেকে এসেছে, ৩০ কোটি ডলারের বেশি। এতে ৫০ হাজারের মতো কর্মসংস্থান হয়েছে।
এসময় বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরি করে আগামীর লক্ষ্য অর্জনের কথা বলেন আইসিটি সংশ্লিষ্টরা।
(RTV)

 অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন বিখ্যাত তামিল অভিনেত্রী রাধিকা শরতকুমার। তিনিও শ্রীলঙ্কার সিনামন গ্রান্ড হোটেলে ছিলেন। বোমা হামলার কিছুক্ষণ আগেই তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কলম্বোর সিনামন গ্রান্ড হোটেল ত্যাগ করার পর পরই সেখানে বোমা হামলা হয়েছে। এই ভয়াবহতা বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা নিন্দনীয়। নিরপরাধ যেসব মানুষ প্রাণ হরিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।’
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের দিনে গির্জা, অভিজাত হোটেল ও রাজধানীর কলম্বোর বাইরে দুটিসহ মোট আটটি বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯০ জনে।
প্রায় এক দশক আগের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের পর দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ভয়াবহ এ হামলায় আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন।
দেশটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, গত এক দশক আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি বৃহত্তম সহিংস ঘটনা।
ধর্মীয় উগ্রবাদীরা এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান উইজিওয়ার্দেনা গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হলেও কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।এদিকে ভয়াবহ হামলার পর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ সহিংসতার কারণে দেশ ও দেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার ‘রবিবারের হামলার জন্য’ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ক্ষমতা’ ব্যবহার করবে।
দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, হামলার সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষে গির্জায় প্রার্থনা চলছিল। হামলায় দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলেও সন্দেহ তাদের।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে কলম্বোর কোচ্চিকাদে এলাকার সেইন্ট নেগম্বোর সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের গির্জা এবং বাট্টিকালোয়ার জিয়ন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে বোমা হামলা চালানো হয়।
এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। হোটেলগুলো হচ্ছে শাং রিলা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবেরি হোটেল।
গির্জা ও অভিজাত হোটেলে হামলার পরে দেহিওলা গেস্টহাউজে সপ্তম এবং রাজধানী কলম্বোর অদূরে দেমাতাগোডায় অষ্টম বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জনগণকে ভীত না হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রিয় সংবাদ/রুহুল
(priyo)

আশুলিয়া (ঢাকা): শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, সাভারে বিসিক পরিচালিত বিশাল সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পনগরী আমরা শিগগিরই ব্যবসায়ীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবো। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি এখানে স্থানান্তরের পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে সমস্যা ছিল, সেটা দূর করেছি। আরও যে আধুনিকায়ন করা দরকার, তাও করব।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে আশুলিয়ার আমান স্পিনিং মিলসের একটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শর্ত হচ্ছে যেকোনো শিল্প কারখানার পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা। যারা এটাকে অমান্য করছেন তাদের বোঝাতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যারা বন্ধ রেখে সরকার ও এলাকাবাসীকে ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছেন তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট নজরদারি কমিটিকেও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. এনাম, আমান স্পিনিং মিলসের চেয়ারম্যান এম আমানুল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান তাহসিন আমান, ব্যবস্থাপনা পরিচাল তাহরিন আমানসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
(banglanews24)

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫০০ জন। সোমবার সকালে পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রবিবার রাতে ২০৭ জন নিহতের খবর দিয়েছিল পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন জানিয়েছেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবার পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান। তবে গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন জানান, হামলায় নিহতদের মধ্যে ৩০ জন বিদেশিও রয়েছেন। দেশ এবং দেশের জনগণকে নিরাপদ রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করছে বলেও জানান রুয়ান বিজয়বর্ধন। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস দুর্ভাগ্যজনক এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সব অপরাধীকে যত দ্রুত সম্ভব হেফাজতে নেওয়া হবে। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

কলম্বোর কোচিচিকাদের সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে কুতুয়াপিটায়ের সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চে। আর তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নেগোম্বো শহরের বাত্তিকালোয়া চার্চে। এছাড়া কলম্বোর তিনটি পাঁচতারকা হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠান চলার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঠিক কী কারণে কারা এ হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু নেগোম্বোতেই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনের কাছে অবস্থিত সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলের এক কর্মচারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, হোটেলের এক রেস্তরাঁয় বিস্ফোরণ ঘটানো হলে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছেন।
কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে রাজধানী কলম্বোর উত্তরে নেগোম্বো শহরের আরেকটি চার্চে। নিজেদের ফেসবুক পেজে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন ওই চার্চ কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে কুতুয়াপিটায়ের সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চের অভ্যন্তরে ছিন্নভিন্ন ছাদের ছবি দেখা গেছে। মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকার ছবিও দেখা গেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ শ্রীলঙ্কার মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দেশটির দুই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী তামিল ও সিংহলিজ উভয়ের মধ্যেই এই ধর্মাবলম্বীদের দেখতে পাওয়া যায়। এক দশক আগে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর দেশটিতে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের মার্চে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সিংহলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মসজিদ ও সম্পত্তিতে হামলা শুরু করলে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
এদিকে উত্তেজনা ও গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দুইদিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বার্তা পাঠানোর অ্যাপস দেশটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে করে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো রোধ করা যায়। 
(dailyinqilab)

ভারতের অর্থনীতি, বিশেষ করে কৃষি এখনও বেশিরভাগটাই বর্ষার উপরে নির্ভরশীল। যে কারণে অর্থবর্ষের শুরুর দিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের দিকে তাকিয়ে থাকে বিভিন্ন মহল। সেই পূর্বাভাসই বলছে, এ বার বর্ষা হবে প্রায় স্বাভাবিক। বৃষ্টিপাত হতে পারে বড় মেয়াদের গড়ের (এলপিএ) ৯৬%। যার তারতম্য হতে পারে ৫%। অর্থাৎ খুব খারাপ হলেও বর্ষা হতে পারে স্বাভাবিকের তুলনায় ৯১%। যা শুধু কৃষি ক্ষেত্রই নয়, উৎসাহীত করছে বাজারকেও।

কৃষিতে ফলন কম হলে তার প্রভাব পড়ে মূল্যবৃদ্ধির উপরে। মূল্যবৃদ্ধি বাড়লে সুদ বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়, যা শিল্পের কাছে মোটেও কাম্য নয়। এই কারণেই দেশে এ বার স্বাভাবিক বর্ষা হতে চলেছে— এই খবরে গত সপ্তাহে শেয়ার সূচক বেড়ে নতুন নজির গড়েছে। বাজারের পক্ষে আরও একটি ভাল খবর হল, গত অর্থবর্ষে এ দেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৩৩,১০০ কোটি ডলারের পণ্য ও পরিষেবা। আগের বছরের চেয়ে ১১% বেশি। আশা, চলতি বছরে দেশের রফতানি বাড়তে পারে ২০%। 
অনেকে মনে করছেন, লোকসভা ভোটের পরে দেশে স্থায়ী সরকার তৈরি হলে বাজার আরও উপরে উঠতে পারে। কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে নেতিবাচক খবর থাকলেও, সব দিক থেকে ভারতই এখন বিনিয়োগের ভাল জায়গা বলে মত বিদেশি লগ্নিকারীদের। এই বিশ্বাসেই ভারতের বাজারে টানা টাকা ঢালছে তারা। এর পরে বর্ষা ঠিকমতো হলে আগামী দিনে সেনসেক্স ৪০,০০০ ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও তেমন ভাবে বাড়ছে না মিড ও স্মল ক্যাপ সংস্থার শেয়ারদর। ভবিষ্যতে সেখানেও উন্নতি চান লগ্নিকারীরা।
যদিও এরই মধ্যে কিছুটা হলেও চোখ রাঙাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি। খুচরোর পরে মার্চে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে  ৩.১৮%। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ২.৯৩%। আশা, বর্ষা ভাল হলে তা খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
আর্থিক ফল প্রকাশের পালা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। গত সপ্তাহে ফল জানিয়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে তাদের সার্বিক আয় দাঁড়িয়েছে ১,৫৪,১১০ কোটি টাকা। নিট মুনাফা হয়েছে ১০,৩৬২ কোটি। রিলায়্যান্স জিয়োর নিট মুনাফা ৬৫% বেড়েছে।
ওই সময়ে আরবিএল ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ৩৯% বেড়ে পৌঁছেছে ২৪৭ কোটিতে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ২৩% বেড়ে হয়েছে ৫,৮৮৫ কোটি। শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার পিছু ১৫ টাকা ডিভিডেন্ড দেবে তারা। আরও কিছু ফল প্রকাশিত হবে এই সপ্তাহে। ভোটের সঙ্গে নজর থাকবে সে দিকেও।
(ananazardab)

শ্রীলংকায় বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ৮ বছর বয়সী নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স। মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স আহত হয়ে কলম্বোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোববার রাতে পরিবারের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 


রোববার ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো গির্জা ও হোটেল মিলিয়ে ৮টি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

কলম্বোর একটি পাঁচতারা হোটেলে দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এমপির মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া।
(dailyinqilab)

বাজেট প্রণয়ন ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা ক্রমেই কমছে। বাজেট তৈরিতে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ মোট বাজেটের ৫ শতাংশ ধরলেও সরকার এখন নিজস্ব সম্পদ দিয়েই বাৎসরিক বাজেট তৈরি করছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে। গত কয়েক বছর ধরেই সরকার বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ মূল বাজেটের মাত্র পাঁচ শতাংশ হারে ধরেই বাজেট তৈরি করছে। যদিও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে কম হোক বেশি হোক বৈদেশিক সহায়তা অপরিহার্য। এর মধ্যে অনুদান ও ঋণ দুই ধরনের সহায়তাই রয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও অর্থ বিভাগ সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।


সূত্র জানিয়েছে, দেশের উন্নয়ন কর্ম-পরিকল্পনায় আর্থিক ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, যা সংগ্রহের দায়িত্ব প্ল্যান করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি। একইসঙ্গে ইআরডি ঋণ প্রোফাইল ও বাজেট তৈরি, ঋণ পরিশোধ, ঋণের হিসাব সংরক্ষণ এবং সার্বিক বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বাজেটে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ক্রমেই কমিয়ে আনা হচ্ছে। এখন মাত্র পাঁচ শতাংশ ধরা হয়। নানা কারণে অনেক সময় সহায়তার এ অর্থ ছাড়ে জটিলতা হয়। এরপরও কোনও সমস্যা নেই। বাংলাদেশ এখন নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করছে। বংলাদেশ এখন সেই সমক্ষমতা অর্জন করেছে। তিনি জানান, আগামী বাজেটেও বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ৫ শতাংশ ধরেই বাজেট প্রণয়ন করা হতে পারে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছর মিলিয়ে মোট ১২ বছরে সরকার বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ৭৯ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের, বিপরীতে এই সময়ে ছাড় হয়েছে মাত্র ৩৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে হয়তো সহায়তা বাবদ পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্থ ছাড়ের এ পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ানো যেতো। তবে এতে বাজেট বাস্তবায়নে তেমন কোনও সমস্যাই তৈরি হয়নি।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক সহায়তা বাবদ পাওয়া মোট প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ৭৯ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদানের পরিমাণ ৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা শতকরা হিসেবে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ৭১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা শতকরা হিসেবে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আলোচ্য ১২ বছরে সহায়তা বাবদ দাতা দেশগুলো ছাড় করেছে মাত্র ৩৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শতকরা হিসেবে এ হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, শতকরা হিসেবে এ হার ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইআরডি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছর বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, যার পরিমাণ ২ হাজার ৯৩৫ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে জাপান। এই সময়ে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে জাপান থেকে বছরে বৈদেশিক সহায়তা প্রতিশ্রুতির গড় পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮১৩ দশমিক ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ১০ বছরে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির গড় পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ২৭৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ২০১৬-১৭ অর্থবছর, যার পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৯৬১ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইআরডি জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছর বৈদেশিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মোট ৯৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে অনুদান চুক্তি ৫০টি এবং ঋণ চুক্তি ৪৮টি এবং মোট ১৪ হাজার ৬১২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
সূত্র জানিয়েছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মোট বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ ৩৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শতকরা হিসেবে যা ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা শতকরা হিসেবে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ। গত ১০ বছরে বৈদেশিক সহায়তা ঝাড়ের গড় পরিমাণ ছিল ৩০৪৪ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ এই অর্থবছরই মোট ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ছাড় করা সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি এবং ওই অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নির্ভর করে সহায়তাকারী দেশ বা সংস্থার মর্জির ওপর। তারা টাকা ছাড়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত দেয়। ওই শর্ত পূরণ করা না করার ওপরই নির্ভর করে সহায়তার অর্থ ছাড় কি পরিমাণ হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শর্ত হচ্ছে ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়টি। এ তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে অর্থ ছাড় ত্বরান্বিত হয় বলে আমি মনে করি।’   
এ প্রসঙ্গে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়ের পরিমাণ খুবই সন্তোষজনক ছিল। আমার সময়কালের শেষ দুই বছর সর্বোচ্চ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ছাড়ের পরিমাণও ভালো ছিল। তবে এখন আর বৈদেশিক সহায়তার ওপর বাজেট তৈরি নির্ভর করতে হয় না। নিজস্ব সম্পদ দিয়েই বাজেট তৈরি সম্ভব।
(banglatribune)

আমরা অনুকরণ করবো না, আমরা উদ্ভাবন করবো– বিপিও ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য এই হোক আমাদের মূলমন্ত্র। রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হওয়া দুইদিনের বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন। এ সময় আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আর বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। আমরা আরও দ্রুত দেশের উন্নয়ন করতে চাই।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত দশ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রযুক্তি খাতকে গুছিয়ে এনেছে। এখন দ্রুতবেগে অগ্রগতির পালা। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছি। উন্নত দেশ হতে হলে প্রযুক্তি খাত থেকে আয় বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিপিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।


মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপিও খাতের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার বাজার গত ১০ বছরে ইতোমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এখনই সময়। এই খাতকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হলে এটি আমাদের দেশের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। ২০০৮ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কেবল গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যে ইন্টারনেট যেন নিরাপদ হয় সেজন্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেটে আমরা ইতোমধ্যে ফোরজি সেবা চালু করেছি; অচিরেই একে ফাইভজি’তে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এ হিসাবে তরুণদের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। বিপিও খাতে এখন বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। বর্তমানে বিপিও খাতে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে। আমরা যদি এই তরুণদের প্রশিক্ষিত করে এই খাতে কাজে লাগাতে পারি তাহলে খুব দ্রুতই বিপিও’র বিশ্ববাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
উদ্বোধন পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদসহ অতিথিরা সামিট প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ ২০১৯’। ২২ এপ্রিল সোমবার দুইদিনের জমজমাট এ আয়োজন শেষ হবে।
শেষ দিনের সেমিনার:
আগামীকাল সামিটের দ্বিতীয় দিন ২২ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর’ শিরোনামে দিনের প্রথম আয়োজন। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিপিও: ইমাজিং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেন্ডস’ শিরোনামে সেমিনার। বেলকনি হলে সকাল ১১টার ‘হেলথ্ কেয়ার আউটসোর্সিং’ শিরোনামে সেমিনার। দুপুর ২টায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। সুরমা হলে অনুষ্ঠেয় ‘রুরাল বিপিও: দ্যা নিউ হরিজন অফ এম্পোলিমেন্ট ফর ইয়ং ভিলেজার্স অফ বাংলাদেশ’ সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ২টার সময় মেঘনা হলে শুরু হওয়া ‘অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অফ উইমেন ওয়ার্কিং ইন বিপিও’ শিরোনামের সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯-এর সর্বশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বেলকনি হলে। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘আউটসোর্সিং টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’সেমিনার। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বলরুমে শুরু হবে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান।
সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে’র আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) ইত্যাদি।
সজীব ওয়াজেদ আরও বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ দশভাগেরও কম। আমি চাই এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে। দশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেননি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সফলতার সঙ্গে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আইসিটি খাতে উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এবং এই উন্নয়ন অল্প খরচেই করে দেখাচ্ছি বলে জানান সজীব ওয়াজেদ।
(banglatribune)

এরকম কিছু কল্পনা করতেও ভাল লাগবে যেখানে আপনার সেল ফোনের ব্যাটারিটকে রি-চার্জ করার প্রয়োজনটা আর থাকবে না। অবিশ্বাস্য হলেও ব্যাপারটা সত্যি।



এ যাবতকাল গবেষকরা ইলেকট্রনের ঘূর্ণায়মান শক্তিকে মাত্র দু শতাংশ জোরালো করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, সান আন্টোনিও অর্থাৎ ইউটিএসএ,টির বিজ্ঞানীদের এই দল, ইলেকট্রনগুলিকে, গ্র্যাফিনের জ্যাকেটের মধ্যে ধরে, তার মধ্যে মৃদু শব্দতরঙ্গ চালিয়ে তার শক্তিকে বহুগুণ বর্ধিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই কাজে তারা স্পাটারিং মেশিন ব্যাবহার করছেন।
যদি এটি সফল হয়, প্রায়োগিক দিক থেকে যেটা শুধু সেলফোনের ব্যাটারির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিশেষত কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। ইলেকট্রনের উপরে বা নিচের ঘূর্ণনকে ব্যবহার করে, এই নতুন প্রযুক্তি, যার সাথে, বিজ্ঞানীরা কম্টিউটারের শূন্য (০) আর এক(১) বিটের অদ্ভুত সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছেন।
(dailyinqilab)

আইপিএলের প্লে-অফে খেলার আশা ক্রমশও ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর)। হয়তো সেই কারণে দলের ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেছেন কর্ণধার শাহরুখ খান।


গেল শুক্রবার ইডেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারের পর শনিবার টুইট করেছেন তিনি। তাতে লিখেছেন, কেকেআরের উচিত রাসেলকে কিছু ফিরিয়ে দেয়া। মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার আগে অন্তত কয়েকটি ম্যাচ জিতে।
শাহরুখের এ টুইটের কারণ আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত ফর্ম ও বাকিদের ব্যর্থতা। এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। প্রতিটিতেই অগ্রণী ভূমিকা ছিল ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের। সবশেষ ম্যাচেও ২৫ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নাইটদের জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় শেষ হাসি হাসা হয়নি।
পয়েন্ট টেবিলে এখন ষষ্ঠ স্থানে কেকেআর। কোয়ালিফায়ারে যেতে হলে পরের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিততে হবে তাদের। শেষ পর্যন্ত দলটি কতদূর যায়-তাই দেখার।
(jugantor)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget