Latest Post


শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। আজ শুক্রবার মাত্র ৫২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার।

তার এমন অকাল মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল ক্রিকেটপ্রেমীরা। মাত্র দুই দিন আগেই তিনি ইংল্যান্ডের কোচ হতে চেয়েছিলেন। আর আজ তিনি পরপারে। এমন বিনা মেঘে বজ্রপাতে ক্রিকেটেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ক্রিকেট তারকা ও বোর্ডগুলো শোক প্রকাশ করতে শুরু করেছে।

সোশ্যাল সাইটে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান লিখেছেন, 'ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও সকল ভক্তদের প্রতি থাকলো আমার আন্তরিক সমবেদনা। যতদিন ক্রিকেট থাকবে আমাদের হৃদয়ে, এই কিংবদন্তি লেগস্পিনারও থাকবেন আমাদের হৃদয়ে। '

ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল লিখেছেন, 'একজন কিংবদন্তির চলে যাওয়া... শেন ওয়ার্ন, এই খেলাটির অন্যতম সেরা বোলার ...। '


কাটার মাস্টার খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন, 'শেন ওয়ার্নের দুঃখজনক খবর শুনে বিধ্বস্ত। আমি সম্পূর্ণ হতবাক এবং এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। ' আরেক পেস তারকা তাসকিন আহমেদ ওয়ার্নের একটা ছবি পোস্ট করে শুধু লিখেছেন, 'শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি। '


ওয়ার্নের ছবি পোস্ট করে মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, 'আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে গেছি এই খবর শুনে যে, শেন ওয়ার্ন আর নেই! কিংবদন্তি, খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে...। 'সৌম্য সরকার লিখেছেন, 'শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি'। রুবেল হোসেন লিখেছেন, 'লেগ স্পিনের রাজা। অন্যতম সেরা লেগ স্পিন বোলার। শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি। ' 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে রডনি মার্শ আর শেন ওয়ার্নের একসঙ্গে ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, 'ক্রিকেটের দুই সত্যিকারের কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন এবং রডনি মার্শের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গভীর শোক প্রকাশ করছে । '


এমন অসংখ্য শোকবার্তায় ভরে উঠেছে সোশ্যাল সাইট। ওয়ার্নের এভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেন না। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম, ভারতের ব্যাটার বিরাট কোহলিসহ আরও অনেকে শোক  প্রকাশ করেছেন। 


আরো পড়ুন:


ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে নিরাপদে রাখার পর এখন তাদের রোমানিয়ায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে হামলার ঘটনায় নিহত জাহাজটির থার্ড প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমানের লাশও নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।


জানা গেছে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাহাজ থেকে ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরের কাছেই একটি বাঙ্কারে নিয়ে রাখা হয়। তার আগে জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।


মাসুদ বিন মোমেন জানান, বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ওপর কারা হামলা করেছে- সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে জানানোর আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া।


গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। কিছুদিন পরই সিরামিকের কাঁচামাল ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে জাহাজটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এতে বন্দরেই আটকে যায় জাহাজটি।

তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।ওই জাহাজে ২৯ জন নাবিক ছিলেন। ২ মার্চ রাতে জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। পরে আটকেপড়া এই জাহাজের ২৮ জন নাবিককে উদ্ধার করে সেফ জোনে নিয়ে যাওয়া হয়।


গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময়) জাহাজটি থেকে নাবিকদের ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের কাছে নিরাপদ একটি স্থানে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ইউক্রেনের পাশের দেশ পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে সবাইকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন তাদের মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।


আরো পড়ুন:



ইউক্রেন ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণের পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি অংশে আগুন ধরে যায়।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালানোর পর উৎকণ্ঠায় ছিলেন সাধারণ জনগণ। সঙ্গে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদমির জেলনস্কি।


ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জেলনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, যদি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হতো তাহলে আজ ইউক্রেন ধ্বংসই হয়ে যেত।

তিনি আরও জানান, চেরনবিলে রাসায়নিক বিকিরণের কারণে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল, যদি জাপোরিঝিয়ায় এমন কিছু হতো তাহলে ক্ষতির পরিমাণ ৬ গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারত। 


এ ব্যাপারে জেলনস্কি বলেন, ইউক্রেনবাসী- আমরা এমন একটি রাত থেকে বেঁচে গেছি; যার কারণে ইতিহাস বদলে যেত। ইউক্রেনের ইতিহাস, ইউরোপের ইতিহাস বদলে যেত। 

জেলনস্কি আরও জানিয়েছেন, রাসায়নিক বিকিরণ কোনো দেশ চেনে না। ইউক্রেনকে চেনে না। রাশিয়াকে চেনে না। যদি খারাপ কিছু হতো তাহলে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হতো।


তাই জেলনস্কি অনুরোধ করেছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বন্ধ করতে যেন রাশিয়ার জনগণ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা এর প্রতিবাদ করেন। 


সূত্র: বিবিসি


যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেছেন, বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত এক সময় চরম অবহেলিত ছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবহেলার অধ্যায় অতিক্রম করে এ খাতে একটা আমূল পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তনে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করার ফলে প্রাণী সম্পদ খাত এগিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, চাকুরির আশায় বসে না থেকে গবাদি পশু, হাস-মুরগীর খামার করে অসংখ্য মানুষ স্বাবলম্বি হয়েছে। ঐ সকল খামারে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হয়েছে। ঐ সকল খামারে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। 

কেশবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি  হাসপাতালের বাস্তবায়নে কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শণী ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যাণ্ট উত্তম কুমার রায়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ড. আবুজার সিদ্দিকী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. হুসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর খাদিজা খাতুন, পৌর কাউন্সিলর কামাল খান, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মিনুরানী হালদার, নার্গিস পারভীন প্রমুখ। প্রাণী সম্পদ প্রদর্শণী শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি এমপি শাহীন চাকলাদার।


আরো পড়ুন:


সোনাগাজীর জয়নাল হত্যা মামলার ৯ বছর পর সব আসামি খালাস!


ফেনীর সোনাগাজীতে অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদীনকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলার সব আসামি খালাস দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে মামলার তদন্তে অবহেলা করায় পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ছয় আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিশ্লেষণে আদালত বলেছে, বাদী পক্ষ আসামিদের দোষী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।


আদালতের এই রায়ে জয়নাল আবেদীনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছেরাজুল হক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, তাহলে আমার ছেলের সন্ধান কে দেবে? নিখোঁজ ছেলের সন্ধান কি পাব না?


রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপরজন পলাতক। তারা হলেন- নাছির উদ্দিন লিটন, ইসমাইল হোসেন দুলাল, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, দুলাল হোসেন খোকন, নাজমুল হন নয়ন ও নুর করিম।


মামলার নথি থেকে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদীন ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বেডিবাঁধে চা দোকান থেকে নিখোঁজ হন। ১২ জানুয়ারি বড় ফেনী নদীর তীরে তার পরিহিতি জ্যাকেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জয়নালের বাবা ছেরাজুল হক ১৮ জানুয়ারি ৪ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদালত।


আদালতের এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ। তিনি বলেন, আসামিদের সঙ্গে জয়নালদের জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। সে বিরোধের জের ধরে একটি মামলা হয়। ওই মামলা তুলে নিতে ছাপ সৃষ্টি করতো আসামিরা। তারা এক সময় হত্যার হুমকি দেয়। তারই জের ধরে আসামিরা জয়নালকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।


আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি। জয়নাল আত্মগোপনও করতে পারে। হত্যা মামলা হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে অনুমাননির্ভর আসামি করা হয়েছে। তাই আসামিদের খালাস দিয়েছে আদালত।

মামলার রায়ের পর নিখোঁজ জয়নালের ভাই নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার বাবার বয়স ৯০ বছরের কাছাকাছি। হাঁটতে-চলতে পারেন না। আসামিরা খালাস পাওয়ায় তিনি হতাশ। বার বার আক্ষেপ করে বলছেন- নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পেলাম না।


মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ছেরাজুল হক বলেন, আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে আমার ছেলে কোথায়? ৯ বছর ধরে অপেক্ষা করছি ন্যায়বিচারের জন্য। আজ আসামিদের নির্দোষ বলে খালাস দেয়া হয়েছে। তাহলে কি আমার ছেলে বেঁচে আছে? বেঁচে থাকলে কে তাকে এনে দেবে? রাষ্ট্রের কাছে, সমাজের কাছে, বিচারকের কাছে আমার ছেলেকে ফেরত চাই।


নিখোঁজ জয়নাল আবেদীনের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে আমার ভাই নিশ্চয়ই বেঁচে আছে। কার কাছে আছে?


ফেনীর প্রবীণ আইনজীবী ফয়েজুল হক মিল্কী বলেন, পুলিশের তদন্তে দুর্বলতা ছিল। আদালতে দেয়া অভিযোগপত্রে তাদের ব্যর্থতা ছিল। যে অটোরিকশায় এসে জয়নালকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় সেই গাড়িটির খোঁজ করা দরকার ছিল। মামলার তদন্তে সেলুন কর্মীর নাম এলেও সাক্ষী হিসেবে তাকে রাখা হয়নি।


পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রিয়াংকা দত্ত’র স্থলাভিষিক্ত হলেন সৈয়দা শমসাদ বেগম। তিনি এর আগে বাঞ্চারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 


সৈয়দা শমসাদ বেগমের বাড়ী কুমিল্লা। সে ৩৩ তম বিসিএসে ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতে তিনি পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদানের কথা রয়েছে।


বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দত্ত পদোন্নতি পেয়ে ঢাকার রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করবেন। 


মানবিক ইউএনও হিসাবে পরিচিত প্রিয়াংকা দত্ত অত্যন্ত সুনামের সাথে পরশুরাম উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি করোনার মহাসংকটকালীন সময়ে পরশুরাম বাসীকে সুরক্ষিত রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে জনগনকে সচেতন করার পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারের উপহার ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেয়া, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গৃহহীনদের ঘর উপহার দেয়া সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ  অত্যন্ত সুনামের সাথে করেছেন।


প্রিয়াংকা দত্ত গত বছরের ৩ এপ্রিল তিনি পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেছিলেন।


আরো পড়ুন:



ফেনীর দাগনভূঁঞায় দুটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ  জাহেদ হোসেন জীবন(২৫), শাহাদাত (২৮) ও সোহাগ(২৮) নামের তিন যুবকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ২ মার্চ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


এর আগে মঙ্গলবার ১মার্চ বিকালে উপজেলার মাতুভূঞা ব্রীজ সংলগ্ন ফেনী- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোষ্ট পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ছাগলনাইয়া থেকে মটর সাইকেল দু'টি চুরি করে নোয়াখালীর যাচ্ছিলেন।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া এলাকার কামাল হোসেন শিপনের ছেলে জাহেদ হোসেন জীবন, লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার সাহাবউদ্দিনের ছেলে শাহাদাত ও কুশাখালী ইউনিয়নের কল্যানপুর এলাকার নেছার আহাম্মদের ছেলে সোহাগ।

 দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত তিন যুবক ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে মটর সাইকেল দু'টি চুরি করে নোয়াখালীর যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামীদের আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

  

 গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তাদের মধ্যে ১নং আসামী সোহাগের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ ৭টি মামলা, ২নং আসামী শাহাদাতের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা ও ৩নং আসামী জাহেদ হোসেন জীবনের বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে।


আরো পড়ুন:


ফেনীর ফুলগাজীতে স্বর্ন ছিনতাই করার অপরাধে ছোবেরা খাতুন (৩৬) ও রিপা আক্তার (২৪) নামের দুই মহিলা ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার ২ মার্চ উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়ন থেকে ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন সহ দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়। 


গ্রেফতারকৃত ছোবেরা খাতুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ধরমন্ডল গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী, রিপা আক্তার হবিগঞ্জ জেলার গনিপুর গ্রামের আবু লায়েন্স পাবেলের স্ত্রী।


থানা সূত্রে জানা যায়, কিসমত বাসুরা গ্রামের মৃত আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী সাফিয়া খাতুন মজুমদার (৬৩) উপজেলার পুরাতন মুন্সিরহাট বাজার থেকে টমটম(ইজিবাইক) যোগে বাড়ীতে যাওয়ার জন্য রওয়ানা করে। এসময় গাড়িতে তাঁর  পাশের সিটে এবং সামনের সিটে বসা দুই মহিলা যাত্রী শাফিয়া খাতুনের গলায় পরিহিত স্বর্ণের চেইনটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা।

খবর পেয়ে ফুলগাজী থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আমির হোসেন ও এ এস আই নুরুন্নবী অভিযান চালিয়ে দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার করে।


ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মঈনউদ্দীন দুই মহিলা ছিনতাইকারীকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় মামলা রুজু করেন যথাযথ নিয়মে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। 


আরো পড়ুন:










ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৬ নং ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের বিশ্রাম পুর গ্রামের হত দরিদ্র  বাইসাইকেলের মেকার জব্বার আলীর ঘরে একে একে চারটি সন্তানই প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন।

জানা যায় ঐ গ্রামের বাইসাইকেল মেকার একজন হতদরিদ্র। পরিবারের আলোর মুখ দেখতে তিনি চারটি সন্তান নেন বড় সন্তান লথিফা আক্তার (২৪),  মেঝো সন্তান আব্দুল সামাদ(১৮) এবং ছোট দুই জন জমজ জেসমিন (১৪)ও জসিম (১৪)। 


চার প্রতিবন্ধী সন্তানের জননী সুফিয়া বেগম(৪৫) বলেন, আমার চারটি সন্তান জন্মগত প্রতিবন্ধী আমি এক অভাগিনী বিয়ের পর প্রথম সন্তান জন্ম গ্রহণ করে মেয়ে  কিন্তু জন্মের পরে দেখা যায় শারীরিক প্রতিবন্ধী এভাবে চারটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে প্রতিবন্ধী হিসেবে। 

তারপর আমরা শ্বামী ও স্ত্রী চিন্তা করছি কি হবে আমাদের সংসারে।


পাঁচ বছর আগে  আমার দেবর শাহাজাহান আলীর একটি ছেলে মোস্তফা মাসুদ কে পোশ্য হিসেবে নেই। এভাবেই চলছে আমাদের সংসার আমি চিন্তা করছি আমরা তো বৃদ্ধ হতে চলছি আমরা মারা গেলে পরবর্তীগে কি হবে আমার চারজন সন্তানের। 


সরকারি ভাতা ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 

চার প্রতিবন্ধী সন্তানের পিতা জব্বার আলীর কাছ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি  বলেন, আমি এক এক করে চারটি সন্তান নিলাম কিন্তু ভাগ্য আমার এতো খারাপ চারটি সন্তানই জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম গ্রহণ করে। 


সরকারি সুবিধা বিষয় তিনি বলেন, চারজনই প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে কিন্তু সেই অর্থ দিয়ে তাদের চিকিৎসাই হচ্ছে না । আমি চারটি সন্তান নিয়ে খুব অসহায় আছি। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমার চারটি সন্তানের জন্য বিশেষ কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য। 


৬ নং ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জব্বার আলীর চারটি সন্তানই প্রতিবন্ধী এটা আসলেই খুব দুঃখজনক। তবে চারটি

সন্তান প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে কিন্তু তাদের পরিবারে সেই টাকা দিয়ে সমবেতের জীবন যাপন করছে। তাই এলাকার বৃত্তবান ও সরকারি ভাবে আরও কিছু সুবিধা পেলে জব্বারের পরিবারটা হয়তো একটু সচ্ছল ভাবে চলতে পারবে। 


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ফিরোজ সরকার বলেন, আমরা তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করছি এবং যদি অসুস্থ হয় তাহলে চিকিৎসা বাবদ সরকারি ভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।

দেশের টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। নাটকের পাশাপাশি তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও নাম লিখিয়েছেন।

ইতোমধ্যে ওয়েবে ‘মরীচিকা’ ও ‘রেডরাম’-এর মতো আলোচিত কনটেন্টে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন।


এবার নিশো ভারতীয় ওয়েব সিরিজে যুক্ত হলেন। এর নাম ‘কাইজার’। কাইজারের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আফরান নিশো। যিনি একজন হোমিসাইড ডিটেকটিভ। এর জন্য নিজের শরীর ও চেহারায় পরিবর্তন এনেছেন এই অভিনেতা। চমকপ্রদ রূপেই পর্দায় আসতে চলেছেন গুণী এই তারকা। জানা গেছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে টানা ২০ দিন শুটিং হবে।

ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের জন্য নির্মিত হচ্ছে সিরিজটি। বুধবার (২ মার্চ) থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে এই সিরিজের শুটিং।

গত বছরই ২০টি অরজিনালস ওয়েব সিরিজের ঘোষণা দেয় হইচই। তখনই জানানো হয়, এগুলোর মধ্যে পাঁচটি নির্মাণ করবেন বাংলাদেশি নির্মাতা। ‘কাইজার’ নামের সিরিজটি বানাবেন তানিম নূর। যিনি এর আগে বহুল আলোচিত ‘কনট্র্যাক্ট’ ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন।

নতুন প্রজেক্টটি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না নিশো কিংবা নির্মাতা তানিম নূর কেউই। নিশোর সঙ্গে এতে কারা অভিনয় করছেন সেটাও রাখা হচ্ছে গোপন। নিশো কেবল বললেন, ‘একদমই নতুন এবং একেবারে ভিন্ন এক চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন’।

আফরান নিশোর প্রচুর ভক্ত ছড়িয়ে আছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। তারা নিশোর নাটক নিয়মিত দেখেন। এ সিরিজের মাধ্যমে সেখানে তার জনপ্রিয়তা অনেকখানি বাড়তে চলেছে।


আরো পড়ুন:










রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ এখন সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তাকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ফোনকল হয়েছে। সেখানে এ কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (৪ মার্চ) দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পরই তাদের মধ্যে এই কথোপকথন হয়।

ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র পরিস্থিতিটিকে গুরুতর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উভয় নেতাই একমত হয়েছেন যে, রাশিয়াকে অবিলম্বে পাওয়ার স্টেশনে হামলা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে প্ল্যান্টে জরুরি পরিষেবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে হবে।’


জনসন আরও বলেছেন যে, পরিস্থিতির আরও অবনতি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাজ্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। তিনি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। যুক্তরাজ্য রাশিয়া এবং ঘনিষ্ঠ অংশীদারদের সাথে অবিলম্বে বিষয়টি উত্থাপন করবে


আরো পড়ুন:









Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget