Latest Post


যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেছেন, বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত এক সময় চরম অবহেলিত ছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবহেলার অধ্যায় অতিক্রম করে এ খাতে একটা আমূল পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তনে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করার ফলে প্রাণী সম্পদ খাত এগিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, চাকুরির আশায় বসে না থেকে গবাদি পশু, হাস-মুরগীর খামার করে অসংখ্য মানুষ স্বাবলম্বি হয়েছে। ঐ সকল খামারে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হয়েছে। ঐ সকল খামারে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। 

কেশবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি  হাসপাতালের বাস্তবায়নে কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শণী ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যাণ্ট উত্তম কুমার রায়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ড. আবুজার সিদ্দিকী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. হুসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর খাদিজা খাতুন, পৌর কাউন্সিলর কামাল খান, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মিনুরানী হালদার, নার্গিস পারভীন প্রমুখ। প্রাণী সম্পদ প্রদর্শণী শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি এমপি শাহীন চাকলাদার।


আরো পড়ুন:


সোনাগাজীর জয়নাল হত্যা মামলার ৯ বছর পর সব আসামি খালাস!


ফেনীর সোনাগাজীতে অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদীনকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলার সব আসামি খালাস দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে মামলার তদন্তে অবহেলা করায় পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ছয় আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিশ্লেষণে আদালত বলেছে, বাদী পক্ষ আসামিদের দোষী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।


আদালতের এই রায়ে জয়নাল আবেদীনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছেরাজুল হক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, তাহলে আমার ছেলের সন্ধান কে দেবে? নিখোঁজ ছেলের সন্ধান কি পাব না?


রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপরজন পলাতক। তারা হলেন- নাছির উদ্দিন লিটন, ইসমাইল হোসেন দুলাল, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, দুলাল হোসেন খোকন, নাজমুল হন নয়ন ও নুর করিম।


মামলার নথি থেকে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদীন ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বেডিবাঁধে চা দোকান থেকে নিখোঁজ হন। ১২ জানুয়ারি বড় ফেনী নদীর তীরে তার পরিহিতি জ্যাকেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জয়নালের বাবা ছেরাজুল হক ১৮ জানুয়ারি ৪ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদালত।


আদালতের এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ। তিনি বলেন, আসামিদের সঙ্গে জয়নালদের জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। সে বিরোধের জের ধরে একটি মামলা হয়। ওই মামলা তুলে নিতে ছাপ সৃষ্টি করতো আসামিরা। তারা এক সময় হত্যার হুমকি দেয়। তারই জের ধরে আসামিরা জয়নালকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।


আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হানিফ মজুমদার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি। জয়নাল আত্মগোপনও করতে পারে। হত্যা মামলা হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে অনুমাননির্ভর আসামি করা হয়েছে। তাই আসামিদের খালাস দিয়েছে আদালত।

মামলার রায়ের পর নিখোঁজ জয়নালের ভাই নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার বাবার বয়স ৯০ বছরের কাছাকাছি। হাঁটতে-চলতে পারেন না। আসামিরা খালাস পাওয়ায় তিনি হতাশ। বার বার আক্ষেপ করে বলছেন- নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পেলাম না।


মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ছেরাজুল হক বলেন, আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে আমার ছেলে কোথায়? ৯ বছর ধরে অপেক্ষা করছি ন্যায়বিচারের জন্য। আজ আসামিদের নির্দোষ বলে খালাস দেয়া হয়েছে। তাহলে কি আমার ছেলে বেঁচে আছে? বেঁচে থাকলে কে তাকে এনে দেবে? রাষ্ট্রের কাছে, সমাজের কাছে, বিচারকের কাছে আমার ছেলেকে ফেরত চাই।


নিখোঁজ জয়নাল আবেদীনের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে আমার ভাই নিশ্চয়ই বেঁচে আছে। কার কাছে আছে?


ফেনীর প্রবীণ আইনজীবী ফয়েজুল হক মিল্কী বলেন, পুলিশের তদন্তে দুর্বলতা ছিল। আদালতে দেয়া অভিযোগপত্রে তাদের ব্যর্থতা ছিল। যে অটোরিকশায় এসে জয়নালকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় সেই গাড়িটির খোঁজ করা দরকার ছিল। মামলার তদন্তে সেলুন কর্মীর নাম এলেও সাক্ষী হিসেবে তাকে রাখা হয়নি।


পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রিয়াংকা দত্ত’র স্থলাভিষিক্ত হলেন সৈয়দা শমসাদ বেগম। তিনি এর আগে বাঞ্চারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 


সৈয়দা শমসাদ বেগমের বাড়ী কুমিল্লা। সে ৩৩ তম বিসিএসে ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতে তিনি পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদানের কথা রয়েছে।


বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দত্ত পদোন্নতি পেয়ে ঢাকার রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদান করবেন। 


মানবিক ইউএনও হিসাবে পরিচিত প্রিয়াংকা দত্ত অত্যন্ত সুনামের সাথে পরশুরাম উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি করোনার মহাসংকটকালীন সময়ে পরশুরাম বাসীকে সুরক্ষিত রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে জনগনকে সচেতন করার পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারের উপহার ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেয়া, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গৃহহীনদের ঘর উপহার দেয়া সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ  অত্যন্ত সুনামের সাথে করেছেন।


প্রিয়াংকা দত্ত গত বছরের ৩ এপ্রিল তিনি পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেছিলেন।


আরো পড়ুন:



ফেনীর দাগনভূঁঞায় দুটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ  জাহেদ হোসেন জীবন(২৫), শাহাদাত (২৮) ও সোহাগ(২৮) নামের তিন যুবকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ২ মার্চ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


এর আগে মঙ্গলবার ১মার্চ বিকালে উপজেলার মাতুভূঞা ব্রীজ সংলগ্ন ফেনী- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোষ্ট পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ছাগলনাইয়া থেকে মটর সাইকেল দু'টি চুরি করে নোয়াখালীর যাচ্ছিলেন।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া এলাকার কামাল হোসেন শিপনের ছেলে জাহেদ হোসেন জীবন, লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার সাহাবউদ্দিনের ছেলে শাহাদাত ও কুশাখালী ইউনিয়নের কল্যানপুর এলাকার নেছার আহাম্মদের ছেলে সোহাগ।

 দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত তিন যুবক ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে মটর সাইকেল দু'টি চুরি করে নোয়াখালীর যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামীদের আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

  

 গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তাদের মধ্যে ১নং আসামী সোহাগের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ ৭টি মামলা, ২নং আসামী শাহাদাতের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা ও ৩নং আসামী জাহেদ হোসেন জীবনের বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে।


আরো পড়ুন:


ফেনীর ফুলগাজীতে স্বর্ন ছিনতাই করার অপরাধে ছোবেরা খাতুন (৩৬) ও রিপা আক্তার (২৪) নামের দুই মহিলা ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার ২ মার্চ উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়ন থেকে ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন সহ দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়। 


গ্রেফতারকৃত ছোবেরা খাতুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ধরমন্ডল গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী, রিপা আক্তার হবিগঞ্জ জেলার গনিপুর গ্রামের আবু লায়েন্স পাবেলের স্ত্রী।


থানা সূত্রে জানা যায়, কিসমত বাসুরা গ্রামের মৃত আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী সাফিয়া খাতুন মজুমদার (৬৩) উপজেলার পুরাতন মুন্সিরহাট বাজার থেকে টমটম(ইজিবাইক) যোগে বাড়ীতে যাওয়ার জন্য রওয়ানা করে। এসময় গাড়িতে তাঁর  পাশের সিটে এবং সামনের সিটে বসা দুই মহিলা যাত্রী শাফিয়া খাতুনের গলায় পরিহিত স্বর্ণের চেইনটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা।

খবর পেয়ে ফুলগাজী থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আমির হোসেন ও এ এস আই নুরুন্নবী অভিযান চালিয়ে দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার করে।


ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মঈনউদ্দীন দুই মহিলা ছিনতাইকারীকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় মামলা রুজু করেন যথাযথ নিয়মে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। 


আরো পড়ুন:










ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৬ নং ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের বিশ্রাম পুর গ্রামের হত দরিদ্র  বাইসাইকেলের মেকার জব্বার আলীর ঘরে একে একে চারটি সন্তানই প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন।

জানা যায় ঐ গ্রামের বাইসাইকেল মেকার একজন হতদরিদ্র। পরিবারের আলোর মুখ দেখতে তিনি চারটি সন্তান নেন বড় সন্তান লথিফা আক্তার (২৪),  মেঝো সন্তান আব্দুল সামাদ(১৮) এবং ছোট দুই জন জমজ জেসমিন (১৪)ও জসিম (১৪)। 


চার প্রতিবন্ধী সন্তানের জননী সুফিয়া বেগম(৪৫) বলেন, আমার চারটি সন্তান জন্মগত প্রতিবন্ধী আমি এক অভাগিনী বিয়ের পর প্রথম সন্তান জন্ম গ্রহণ করে মেয়ে  কিন্তু জন্মের পরে দেখা যায় শারীরিক প্রতিবন্ধী এভাবে চারটি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে প্রতিবন্ধী হিসেবে। 

তারপর আমরা শ্বামী ও স্ত্রী চিন্তা করছি কি হবে আমাদের সংসারে।


পাঁচ বছর আগে  আমার দেবর শাহাজাহান আলীর একটি ছেলে মোস্তফা মাসুদ কে পোশ্য হিসেবে নেই। এভাবেই চলছে আমাদের সংসার আমি চিন্তা করছি আমরা তো বৃদ্ধ হতে চলছি আমরা মারা গেলে পরবর্তীগে কি হবে আমার চারজন সন্তানের। 


সরকারি ভাতা ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 

চার প্রতিবন্ধী সন্তানের পিতা জব্বার আলীর কাছ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি  বলেন, আমি এক এক করে চারটি সন্তান নিলাম কিন্তু ভাগ্য আমার এতো খারাপ চারটি সন্তানই জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম গ্রহণ করে। 


সরকারি সুবিধা বিষয় তিনি বলেন, চারজনই প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে কিন্তু সেই অর্থ দিয়ে তাদের চিকিৎসাই হচ্ছে না । আমি চারটি সন্তান নিয়ে খুব অসহায় আছি। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমার চারটি সন্তানের জন্য বিশেষ কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য। 


৬ নং ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জব্বার আলীর চারটি সন্তানই প্রতিবন্ধী এটা আসলেই খুব দুঃখজনক। তবে চারটি

সন্তান প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে কিন্তু তাদের পরিবারে সেই টাকা দিয়ে সমবেতের জীবন যাপন করছে। তাই এলাকার বৃত্তবান ও সরকারি ভাবে আরও কিছু সুবিধা পেলে জব্বারের পরিবারটা হয়তো একটু সচ্ছল ভাবে চলতে পারবে। 


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ফিরোজ সরকার বলেন, আমরা তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করছি এবং যদি অসুস্থ হয় তাহলে চিকিৎসা বাবদ সরকারি ভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।

দেশের টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। নাটকের পাশাপাশি তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও নাম লিখিয়েছেন।

ইতোমধ্যে ওয়েবে ‘মরীচিকা’ ও ‘রেডরাম’-এর মতো আলোচিত কনটেন্টে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন।


এবার নিশো ভারতীয় ওয়েব সিরিজে যুক্ত হলেন। এর নাম ‘কাইজার’। কাইজারের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আফরান নিশো। যিনি একজন হোমিসাইড ডিটেকটিভ। এর জন্য নিজের শরীর ও চেহারায় পরিবর্তন এনেছেন এই অভিনেতা। চমকপ্রদ রূপেই পর্দায় আসতে চলেছেন গুণী এই তারকা। জানা গেছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে টানা ২০ দিন শুটিং হবে।

ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের জন্য নির্মিত হচ্ছে সিরিজটি। বুধবার (২ মার্চ) থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে এই সিরিজের শুটিং।

গত বছরই ২০টি অরজিনালস ওয়েব সিরিজের ঘোষণা দেয় হইচই। তখনই জানানো হয়, এগুলোর মধ্যে পাঁচটি নির্মাণ করবেন বাংলাদেশি নির্মাতা। ‘কাইজার’ নামের সিরিজটি বানাবেন তানিম নূর। যিনি এর আগে বহুল আলোচিত ‘কনট্র্যাক্ট’ ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন।

নতুন প্রজেক্টটি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না নিশো কিংবা নির্মাতা তানিম নূর কেউই। নিশোর সঙ্গে এতে কারা অভিনয় করছেন সেটাও রাখা হচ্ছে গোপন। নিশো কেবল বললেন, ‘একদমই নতুন এবং একেবারে ভিন্ন এক চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন’।

আফরান নিশোর প্রচুর ভক্ত ছড়িয়ে আছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। তারা নিশোর নাটক নিয়মিত দেখেন। এ সিরিজের মাধ্যমে সেখানে তার জনপ্রিয়তা অনেকখানি বাড়তে চলেছে।


আরো পড়ুন:










রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ এখন সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তাকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ফোনকল হয়েছে। সেখানে এ কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (৪ মার্চ) দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পরই তাদের মধ্যে এই কথোপকথন হয়।

ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র পরিস্থিতিটিকে গুরুতর উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উভয় নেতাই একমত হয়েছেন যে, রাশিয়াকে অবিলম্বে পাওয়ার স্টেশনে হামলা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে প্ল্যান্টে জরুরি পরিষেবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে হবে।’


জনসন আরও বলেছেন যে, পরিস্থিতির আরও অবনতি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাজ্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। তিনি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। যুক্তরাজ্য রাশিয়া এবং ঘনিষ্ঠ অংশীদারদের সাথে অবিলম্বে বিষয়টি উত্থাপন করবে


আরো পড়ুন:










অলিভিয়া বন্দরের জলসীমায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজে হামলা ও একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া। দেশটি নিহত বাংলাদেশির স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। রাশিয়া অভিযোগ করেছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরা পিছু হটার সময় লোকজনকে জিম্মি ও মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।


ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অলভিয়া বন্দরের (ইউক্রেন) অভ্যন্তরীণ নোঙ্গরঘরে অবস্থানরত বিএসসি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধির তৃতীয় প্রকৌশলী বাংলাদেশি হাদিসুর রহমান মিসাইল হামলার ফলে নিহত হয়েছেন।

ঘটনার প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দর থেকে বাংলাদেশি জাহাজের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করতে রাশিয়ান পক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।  

রাশিয়া দূতাবাস আরো জানায়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড বারবার বলেছে, পিছু হটার সময় ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা নির্বিচারে গুলি চালায় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে জিম্মিদের ধরে নিয়ে যায়। ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা তাদের ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করে। এটি তাদের সন্ত্রাসী কৌশল।


রাশিয়া দূতাবাস বলেছে, ইউক্রেনের বিশেষ সামরিক অভিযান থেকে উদ্ভূত মানবিক সমস্যা সমাধান, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ গ্রহণ করতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হটলাইন (+৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৩৪-৪৬, +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪২ -১১, +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪১-০৯) চালু করেছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে ই-মেইলেও (gumvs@mil.ru) যোগাযোগ করা যাবে।


আরো পড়ুন:










চলমান গণটিকায় গত ১৩ দিনে দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। একই সময়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি সাত লাখ মানুষকে। এ ছাড়া ১০ লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছে।

সেই হিসাবে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানানও হয়।


বুলেটিনে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এ সব তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চলমান বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এসব টিকা দেওয়া হয়। ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার বিষয়টি নজর দেওয়া হয়। ’

তিনি জানান, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় এসেছে ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ।


দেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।


সয়াবিন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা এবং আসন্ন রমজান ঘিরে অসাধু ব্যবসায়ীরা তেল মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তাদের অতিমুনাফার লোভে দাম বাড়ছে হু-হু করে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে রিফাইনারি কোম্পানিগুলো হঠাৎ করেই তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ডিলার ও পাইকারিতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে। বোতলজাত তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৫ লিটার তেলের বোতল বাজার থেকে প্রায় উধাও হয়ে গেছে।

সরবরাহ সংকটের কারণে বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম গড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। দুপুরের দিকে প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় পাওয়া যেত। সন্ধ্যায় তা বেড়ে ১৯০ থেকে ২০৫ টাকায় উঠেছে। এছাড়া অনেক দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে এগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছে বাড়তি দামে বিক্রির আশায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে কোম্পানিগুলো একদিকে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে দামও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাড়তি দামেও তারা সয়াবিন পাচ্ছেন না। ফলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।


এতে কয়েকদিন ধরে সয়াবিন তেলের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ও পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ঊর্ধ্বমুখী। অথচ এসব বাজারে তেলের সরবরাহে কোনো কমতি নেই। এদিকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তারা প্রতি টন ১ হাজার ৭৩০ ডলারে কিনছেন। এক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কেনার মূল্যের পার্থক্য হচ্ছে ২৪৮ ডলার।

বুধবার বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেছেন, তার মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য আছে, মধ্যস্বত্বভোগীরা ভোজ্যতেলের মজুত গড়েছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। সরকারি একাধিক সংস্থা তদারকিতে নেমেছে।

এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা বাজরে খোঁজখরব নিচ্ছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে বেশি দামে তেল বিক্রির কারণে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে আমদানি কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলারের জোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়ারিন তেলের দাম গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ১০০ ডলার। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বেড়েছে জাহাজ ভাড়া। বাড়তি দাম ও বেশি জাহাজ ভাড়ার কারণে অনেকেই এখন নতুন এলসি খোলা কমিয়ে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।
আমদানি ও এলসি কমেছে : ভোজ্যতেল আমদানির এলসি খোলা ৫৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং আমদানি ৩০ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে পরিশোধিত তেল আমদানির এলসি খোলা ১০৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং আমদানি ৫৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে অপরিশোধিত তেল আমদানির এলসি খোলা ও আমদানি দুটোই কমেছে। অপরিশোধিত তেল আমদানি করে দেশীয় কোম্পানিগুলো পরিশোধনের মাধ্যমে বাজারজাত করে। চাহিদার বড় অংশই দেশীয় কোম্পানিগুলো থেকে মেটানো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এ কারণে আমদানির হার আরও বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু অপরিশোধিত তেলের আমদানির এলসি খোলা কমেছে ১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং আমদানি কমেছে ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।


আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে রিফাইনারি কোম্পানিগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটারে খোলা সয়াবিনের দাম ৭ টাকা এবং বোতলজাত তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়ানো হয়। এর পর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে তারা ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রতি লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়ানের প্রস্তাব করে। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়।

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার সকালে ও রাতের ব্যবধানে তেলের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে গেছে। সকালে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৭৫ টাকা। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৭৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা। রাতে তা বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে। এছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটারের সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৮৩০-৮৪০ টাকা। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১৫৮ টাকা।


তবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি লিটার তেলে ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে সময় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দর নির্ধারণ করা হয় ১৪৩ টাকা, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৬৮ টাকা ও বোতলজাত পাঁচ লিটারের সয়াবিন ৭৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া খোলা পাম অয়েলের দর নির্ধারণ করা হয় ১৩৩ টাকা। সেক্ষেত্রে সরকারি দর অনুযায়ী বাজারে বুধবার দুপুরে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৩২ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন সরকারের নির্ধারিত দামের থেকে ১২ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা বেশি দরে। সন্ধ্যার এ ব্যবধান আরও বেড়েছে।

রাজধানীর নয়াবাজারের খুচরা মুদি বিক্রেতা মো. তুহিন বলেন, কোম্পানিগুলো তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এর কারণে দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। তবে মিল বা পরিবেশক পর্যায় থেকে রোজাকে ঘিরে দাম আরেক দফা বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। তারা বলছে বিশ্ববাজারে দাম বাড়তি যে কারণে আমদানি কম হচ্ছে। তাই সংকট রয়েছে। তাই মিল পর্যায় থেকে চাহিদামতো তেল দিচ্ছে না।


বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। মিল বা পরিবেশক থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে তেল আছে। কিন্তু মিল বা পরিবেশক কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিযানে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি গুদামজাতের মাধ্য কারসাজি করে তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সক্রিয় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। তাই তাদের সম্পর্কে ভোক্তা অধিদপ্তরে তথ্য দিয়ে বা হটলাইন ১৬১২১ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি জানান, রোজা উপলক্ষ্যে কারসাজি করলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।



খাতুনগঞ্জে কৃত্রিম সংকট : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে অস্থির করা হচ্ছে বাজার। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পাইকারি দামের সঙ্গে খুচরা পর্যায়ে দামের কোনো মিল নেই। খুচরা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ১৮০ টাকার কমে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা পর্যায়ে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দাবি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।




চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। যার বেশির ভাগই আমদানিনির্ভর। মোট চাহিদার ৭০ শতাংশই খোলা তেল। এর মধ্যে পাম তেল ৫০ শতাংশ। বাকিটা খোলা সয়াবিন। রান্না ছাড়াও বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিতে ভোজ্যতেল ব্যবহার হয়। পাম তেলের মতো খোলা সয়াবিন তেলের দামও এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২৭ শতাংশ। আর বোতলজাত তেলের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। কোম্পানিগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর বেশ কয়েকবার ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। খাতুনগঞ্জে বুধবার পামঅয়েল বিক্রি হয়েছে প্রতিমণ (৩৭.৩২ কেজি) ৫৮৯০ টাকা। প্রতিমণ সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৫শ’ টাকায়। পাইকারিতে প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১৫৮ টাকা। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা থেকে ১৭৮ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম পড়ছে কেজিতে ১৭৪ টাকার কিছু বেশি। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে দাম রাখা হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা ।


কোম্পানি এবং ডিলারের প্রতিনিধিরা উধাও : কুমিল্লা ব্যুরো জানায়, কুমিল্লায় সয়াবিন তেল সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের ডিলার এবং বাজারজাতকারী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, সচরাচর বাজারের অলিগলিতে ঘুরাফেরা করত ডিলার এবং কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এখন তারাও উধাও হয়ে গেছে। বুধবার নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, রানীরবাজার, বাদশা মিয়ার বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় ব্যবসায়ীরা কোম্পানি এবং ডিলারদের কাছ সয়াবিন তেল না পাওয়ার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের সংকটে সরিষার তেল ও রাইসবার্ন তেলের সংকটও দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন প্রতি লিটারে ৩০-৪০ টাকা এবং সরিষার তেলে প্রতি লিটারে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ছে। এতে সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভোলায় ৩২ ব্যারেল সোয়াবিন তেল জব্দ : ভোলায় গত মঙ্গলবার একটি কভার্ডভ্যান থেকে ৩২ ব্যারেল চোরাই সয়াবিন (অপরিশুদ্ধ) তেল জব্দ করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা। এ সময় মো. ফরহাদ হোসেন (২৩) নামে ওই কাভার্ড ভ্যানের চালকে আটক করা হয়। পরে জব্দকৃত সয়াবিন ও আটক চালককে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


ইউক্রেনে রকেট হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ বন্দরের চ্যানেলে আটকে থাকায় নাজুক অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। জাহাজটি বাণিজ্যিক, বন্দরের চ্যানেলে আটকা পড়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদেরকে সাহস যুগিয়েছি।

জাহাজটিতে আটকা পড়া নাবিক ও প্রকৌশলীরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। 

ওই জাহাজের এক প্রকৌশলী নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। কিছুদিন পরই সিরামিকের কাঁচামাল ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে জাহাজটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এতে বন্দরেই আটকে যায় জাহাজটি।

তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।ওই জাহাজে থাকা বাকি ২৮ জন ক্রু সদস্য অক্ষত আছেন।




খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা যখন আটকে পড়ে, তখনও নিরাপদে ছিল। গতকালের (বুধবার) হামলা মনে হচ্ছে এটা টার্গেট করে হামলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে আটকে পড়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ চলছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।’

জাহাজে আটকা পড়াদের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জাহাজে খাবার মজুদ আছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সবকিছু। রাশিয়া ও ইউক্রেন, আইওএম, রেডক্রসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় একটি রকেট হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। এতে জাহাজের এক ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তার নাম হাদিসুর রহমান। তিনি ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। 

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget