Latest Post


আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমিত পরিসরে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।এ দিন থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হবে।


তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।


ডা. দীপু মনি বলেন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করবে শিক্ষার্থীরা। করোনা টিকার ২ ডোজ নিলেই শ্রেণিকক্ষে করা যাবে ক্লাস।


শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকের ক্লাস চলবে অনলাইনে। ১০ থেকে ১৪ দিন পর শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিকের পাঠদান শুরু হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে। নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না।


এর আগে করোনা বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ আছে। এই ছুটি আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।


উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু হয়।


লক্ষ্যটা বিশাল নয়। তবে আগের ম্যাচে ভুল স্রোতে হাঁটার শিক্ষা থেকে এদিন  শুরু থেকেই ঝড়ের পরিকল্পনা এঁটেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেই চিন্তা থেকেই সুনিল নারাইনকে পাঠানো হয় ওপেনিংয়ে। এই সিদ্ধান্তের ফল রান তাড়ায় চার-ছক্কার বৃষ্টিতে দেন নাইরাইন। তার রেকর্ডময় ফিফটিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অনায়াসে ফাইনালে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। 


মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার নারাইনের বিস্ফোরক হওয়ার দিনে  উইকেটে চট্টগ্রামকে ৭ হারিয়ে বিপিএলের ৮ম আসরের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা। আগে ব্যাট করে ১৪৮ রানে অলআউট হয়েছিল চট্টগ্রাম। ওই রান ৪৩ বল আগেই পেরিয়ে যায় দুই বারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। 

দলের জয়ে মাত্র ১৬ বলে ৫৭ করে নায়ক নারাইন। যার মধ্যে আছে ৬ ছক্কা আর ৫ চার। অর্থাৎ ১১ বলই তিনি পাঠান বাউন্ডারিতে। দৌড়ে নিয়েছেন কেবল ১ রান। ১৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির দ্রুততম ফিফটিতে যুবরাজ সিংয়ের ১২ বলে ফিফটির পরেই স্থান হয়েছে তার। বিপিএলে নিশ্চিতভাবেই হয়েছে রেকর্ড। আহমেদ শেহজাদের ১৬ বলে ফিফটি ছাপিয়ে গেছেন এই ক্যারিবিয়ান।

রান তাড়ায় শরিফুল ইসলামের প্রথম বলেই ফিরে গিয়েছিলেন লিটন দাস। তার বাড়তি বাউন্সের বল গ্লাভসে লাগিয়ে ক্যাচ উঠান লিটন। কিপার আকবর আলি অনেকখানি ছুটে লুফেন দারুণ ক্যাচ।


এরপরের সময়টা নারাইনের। ইমরুল কায়েসকে একপাশে রেখে পাওয়ার প্লের মধ্যে করতে থাকেন বিস্ফোরক ব্যাটিং। পাওয়ার প্লের মধ্যেই কুমিল্লা এনে ফেলে ৮৪ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইমরুলের সঙ্গে ৩৩ বলে নারাইন আনেন ৭৯ রান। যাতে ৫৭ রানই তার। ১৭ বলে তখন কেবল ১৬ ইমরুলের।

রেকর্ড ফিফটি করেই মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে ক্যাচ উঠিয়ে ফেরেন নারাইন। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের সমস্ত উত্তাপই হাওয়া। ইমরুল ফিরে গেলেও বাকি পথে কাজ সারতে কোন সমস্যা হয়নি ফাফ দু প্লেসির। দলকে জিতিয়ে ২৩ বলে ৩০ করে অপরাজিত থাকেন ফাফ। মাত্র ১৩ বলে ৩০ করে কাজ দ্রুত সারেন মঈন আলি। 

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টে তাদের সেরা ব্যাটার উইল জ্যাকস একাদশে ফিরে দিয়েছিলেন ঝড়ের আভাস। কিন্তু তার ডানা এদিন খুব একটা মেলতে দেননি শহিদুল ইসলাম। ৯ বলে ১৬ করে থামেন জ্যাকস। আগের ম্যাচের হিরো চ্যাডউইক ওয়ালটনও এদিন ব্যর্থ। মাত্র ২ রান করেই তিনি শিকার তানভীর ইসলামের।

জাকির হাসান সময় নিয়ে থিতু হয়েছিল, বাজে শটে ১৯ বলে ২০ করে থামেন তিনিও। সবচেয়ে হতাশ করেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। শামীম প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে স্টাম্পিং হয়ে বিদায় নেন। আফিফ ১০ বলে ১০ করে দেন সহজ ক্যাচ।

মেহেদী হাসান মিরাজ আর আকবর আলি মিলে লড়াইয়ে ফেরান চট্টগ্রামকে। ৬ষ্ঠ উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৪০ বলে ৬১ রান। আকবর ২০ বলেই করেন ৩৩। মিরাজ ছিলেন কিছুটা মন্থর। দ্রুত রান আনার চেষ্টায় আকবরের বিদায়ের পর পথ হারায় চট্টগ্রাম। ভুল সময় বেনি হাওয়াল রান আউট হলে শেষে আসেনি পর্যাপ্ত রান। মিরাজ ফেরেন ৩৮ বলে ৪৪ করে। ৯ নম্বরে নেমে ৯ বলে ২ ছক্কায় মৃত্যুঞ্জয় ১৫ করলে দেড়শোর কিনারে যেতে পেরেছিল চট্টগ্রাম। তবে এই পুঁজি কুমিল্লার কাছে হয়েছে মামুলি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভার ১৪৮  (জ্যাকস ১৬, জাকির ২০, ওয়ালটন ২, আফিফ ১০, শামীম ০, মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, হাওয়েল ৩, মৃত্যুঞ্জয় ১৫, শরিফুল ০*, নাসুম ০ ; হায়দার ১/২১, মোস্তাফিজ ১/১৩, নারাইন ০/২৪, শহিদুল ৩/৩৩, তানভীর ১/৩৩, মঈন ৩/২০)


কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১২.৫ ওভারে ১৪৯/৩ (লিটন ০, নারাইন ৫৭, ইমরুল ২২, ফাফ ৩০*, মঈন ৩০* ; শরিফুল ১/৩১, মিরাজ ০/২৩, আফিফ ০/১৬, নাসুম ০/৩০, মৃত্যুঞ্জয় ১/৩২, হাওয়েল ১/১১)


ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭ উইকেটে জয়ী। 


ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সুনিল নারাইন। 


যশোরের কেশবপুৱে ২৯৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শহীদ মিনার। বাকি ২৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে জোর তাগিদ দিয়েও কাজ হয়নি।

এ কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো থেকে বঞ্চিত হবে। তবে কোথাও কোথাও অস্থায়ী বেদি তৈরি করে শ্রদ্ধা জানানো হয়ে থাকে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় ২৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৮, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭২, মাদ্রাসা ৫২ ও কলেজ রয়েছে ১২টি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৮ ও কলেজে সাতটি শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলার

কোনো মাদ্রাসায় এখনো শহীদ মিনার তৈরি করা হয়নি। যে ৫৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তার মধ্যে অনেকগুলোই নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে।

সরকারিভাবে দিবসটি পালনের নির্দেশনা থাকায় স্থায়ী শহীদ মিনারের অভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাহলে ভালো হয়।' শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা থেকে বঞ্চিত হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, 'করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে ফের জোর তাগিদ দেওয়া হবে।'

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরিতে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে।

শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, “মাতৃভাষা দিবসটি পালন করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে বরাদ্দ দিয়ে যদি শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায়

১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে একযোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে এই দিবসটি।



কেশবপুরের প্রেমিক রহিমার ভালোবাসার টানে কেশবপুরে আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার হোগল’র বসবাস। রহিমা বলেন, ' প্রজন্মে কাছে ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই আমরা।' হোগল বলেন, 'আমি বহু দেশ ঘুরেছি। 

সত্যি বলতে, বাংলার প্রকৃতিকেে ভালোবেসে ফেলেছি। স্থানীয়দের উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা আমার। ভালোবাসা দিবসে আম গোলাপ বিনিময় করব, কেক কাটবো কপোতাক্ষের তীর ঘেঁষে দুজন হাঁটবো এভাবেই চোখে চোখ রেখে আমৃত ‘ভালোবেসে, সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো- তোমার মনের মন্দিরে’-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের এই গান যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে কেশবপুরের নিভৃত পল­ী মেহেরপুরে বাঙালি নারী রহিমা ও মার্কিন প্রকৌশলী ক্রিস্টফার মার্ক হোগলের জীবনে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তাঁরা একে-অপরকে গোলাপ ফুল বিনিময় করাসহ কেক কাটেন।

রহিমা খাতুন কেশবপুরের মেহেরপুর গ্রামের মেয়ে। তাঁর প্রেমে পড়ে আমেরিকার পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্টফার মার্ক হোগল এখন কেশবপুরের অজপাড়াগাঁ মেহেরপুর গ্রামে এসে বসবাস করছেন। রহিমাকে বিয়ে করে আর ফিরে যাননি তিনি আমেরিকায়। ক্রিস্টফার মার্ক হোগল এখন আয়ুব হোসেন নামে পরিচিত। তাঁরা একে-অপরকে ভালোবাসার বন্ধনে বাকি জীবন মধুকবির স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদ তীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে ওঠা মেহেরপুর গ্রামেই থাকার জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি গড়ে তুলেছেন। ক্রিস্টফার মার্ক হোগলের সুন্দর ব্যবহারে এলাকার মানুষও মুগ্ধ। রহিমা ও হোগলের মধ্যে অটুট ভালোবাসা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। 



সরেজমিন মেহেরপুর গ্রামে রহিমা ও ক্রিস্টফার মার্ক হোগলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বিদেশী শেতাঙ্গ হোগলের শরীরে ট্যাটু আঁকা। একটু এগিয়ে এসে ক্রিস্টফার মার্ক হোগল ওরফে আয়ুব হোসেন আমাদের আধো উচ্চারণে সালাম দিলেন। ওই সময় রহিমা বাড়িতে ছিলেন না। কিছু সময় পর রহিমার পুত্রবধূ এসে হাজির। তাকে রহিমা কোথায় গেছে জানতে চাইলে বলেন ধান ছাটাই করতে। কথা চলাকালেই রহিমা ভ্যান ভর্তি চাল নিয়ে হাজির। হোগল এগিয়ে গিয়ে ভ্যানটি ঠেলে এগিয়ে নিয়ে আসে এবং ভ্যানের উপর থেকে চালের বস্তা নিজেই কাঁধে করে নিয়ে ঘরে উঠালেন। এই কায়িক শ্রমে মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারকে ক্লান্ত মনে হলো না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানায়, তার বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে, পেশায় তিনি পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। রহিমা খাতুনের সঙ্গে ভারতের আসানসোলে তাঁদের প্রথম পরিচয় হয়। পরিচয়েই তাঁরা একে-অপরকে ভালোবেসে ফেলেন। ভালোবাসার একপর্যায়ে ছয় মাস পর তারা ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ক্রিস্টফার মার্ক হোগল নিজেকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন পুরোপুরি।



রহিমা জানান, শৈশবেই তাঁর বাবা আবুল খাঁ ও মা নেছারুন নেছা অভাবের তাড়নায় ভারতে পাড়ি দেন। তাঁদের সঙ্গী হন তিনিও। পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে তাঁর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। বাবা ছিলেন শ্রমিক। অভাবের কারণে ১৩ ১৪ বছর বয়সেই কিশোরী রহিমাকে তাঁর বাবা বিয়ে দেন। সেখানে রহিমার তিন সন্তানের জন্ম হয়। দরিদ্র রহিমাকে একসময় ছেড়ে যান তাঁর স্বামী। বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে রহিমাও চলে যান মুম্বাইতে। কাজের সন্ধানে আশ্রয় নেন বস্তির খুপরিতে। তখন তিনি জীবিকার সন্ধানে মুম্বাই শহরে গেলে ক্রিস্টফার মার্ক হোগলের সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাকে নিয়ে হোগল চীনে যান। সেখানে ৫ বছর থাকার পরে হোগলকে নিয়ে নিজের জন্মভূমিতে প্রায় ৪ বছর ফিরে এসে বসবাস করছেন। রহিমা খাতুন স্বামী হোগলের সঙ্গে থাকতে থাকতে ইংরেজি, হিন্দি ও চায়না ভাষা রপ্ত করেছেন। রহিমা মেহেরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খাঁ ও নিছারুন বেগমের মেয়ে। 



হোগলের আমেরিকায় এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আমেরিকার স্ত্রী সঙ্গে তার অনেক আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। আমেরিকার ছেলে-মেয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। রহিমার বড় ছেলের স্ত্রী তামান্না খাতুন বলেন, শ্বশুর ক্রিস্টফার মার্ক হোগল (আয়ুব হোসেন) তাদেরকে খুবই ভালোবাসেন। তার ব্যবহার অত্যন্ত ভালো। এলাকার মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করে মন জয় করেছেন। তিনি কৃষি কাজসহ গরু-ছাগল পালন করছেন। বাড়িতে ৭টি গরু ও ৯টি ছাগল নিজ হাতে দেখাশোনা করেন। তিনি এবার ১৫ কাটা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। রহিমা খাতুন আরও বলেন, তাঁরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই এক-অপরকে ভালোবেসে থাকতে চান। 


বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন টেক জায়ান্ট গুগল। মনের সব প্রশ্নের উত্তর এক নিমিষেই দিয়ে দেয়। সেই গুগলেরই কি না ভুল ধরা পড়লো। আবার তার জন্য কোটি টাকার পুরস্কারও জিতে নেওয়া। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে আমান পাণ্ডের সঙ্গে।


ভারতীয় সাইবার-সিকিউরিটি রিসার্চার আমান। গুগলের বেশ বড়োসড়ো ভুল ধরিয়ে দিলেন তিনি। সেই ভুলটি ছিল সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডে। প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডের সেই ভুল (Vulnerabilities In Android) শনাক্ত করেন আমান। এরপর সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দেন তিনি।

এর মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমটিকে বিশ্ববাসীর জন্য আরও নিরাপদ করে তুললেন বলে জানিয়েছে স্বয়ং গুগল। এজন্য আমান মোটা অঙ্কের পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন গুগলের কাছ থেকে।


টেক জায়ান্ট গুগলের পক্ষ থেকে একটি ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, বাগসমিররের আমান পাণ্ডে গুগলের একাধিক ভুলত্রুটির রিপোর্ট জমা দিয়ে টপ মোস্ট রিসার্চার হয়েছেন। কেবল ২০২১ সালেই আমান গুগলের ২৩২টি ভুল শনাক্ত করেন।


তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১৯ সালে প্রথম গুগলের নানা ত্রুটি শনাক্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন আমান। এখন পর্যন্ত গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভালনারেবিলিটিজ রিওয়ার্ডস প্রোগ্রামে মোট ২৮০টি রিপোর্ট সাবমিট করেছেন আমান, যা প্রোগ্রামটিকে সফল হওয়ার জন্য অনেকখানিই এগিয়ে দিয়েছে।

এমন ভালনারেবিলিটিজ যে শুধু গুগলের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের জন্য হয় এমনটা নয়। একই সঙ্গে গুগল ক্রোম, সার্চ, প্লে এবং অন্যান্য প্রডাক্টের ক্ষেত্রেও এটি হয়। এমন সমস্যা বহুদিন ধরেই হয়ে আসছে।


এই ধরনের প্রোগ্রামকে প্রযুক্তির ভাষায় বলা হয় বাগস বাউন্টি। শুধু গুগল নয়। অ্যাপল বা মাইক্রোসফটের মতো সংস্থাও এই ধরনের প্রোগ্রাম কর। কারণ প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই নিরাপত্তাজনিত কিছু ভুলত্রুটি থাকেই।


যারা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভুল ধরতে পারেন, তাদের ৮.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার হিসেবে দিয়ে থাকে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল। মধ্যপ্রদেশের আমান পাণ্ডেও এই ৮.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছেন, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।


অ্যান্ড্রয়েডে ভুল ধরার জন্য সবথেকে বেশি টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয় গুগল। এমনকি পুরস্কারের পরিমাণ ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আরও ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়িয়েছে তারা। এখন পর্যন্ত গুগল ভিআরপি ইতিহাসে সবথেকে বেশি পুরস্কারমূল্য দিয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার মার্কিন ডলার। সেটি অ্যান্ড্রয়েডে এক্সপ্লয়েট চেন আবিষ্কারের জন্য দেওয়া হয়েছিল।

২০২১ সালে ১১৫ জন ক্রোম ভিআরপি রিসার্চারকে ৩৩৩ ইউনিক ক্রোম সিকিওরিটি বাগ রিপোর্ট করার জন্য মোট ২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আবার ক্রোমের ব্রাউজার সিকিওরিটি বাগ রিপোর্ট করার জন্য ৩.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ক্রোম অপারেটিং সিস্টেম বাগের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ২০২১ সালেই।


এনআইটি ভোপাল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আমান বাগসমিররের সিইও হিসেবে যোগ দেন। বাগসমিরর ইনদওরের একটি সংস্থা। ২০২১ সালেই তিনি এই বাগসমিরর নামক সংস্থাটির প্রতিষ্ঠা করেন।


সূত্র: লাইভমিন্ট



নতুন কারিকুলাম আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মাধ্যমিক স্তরে ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হলেও প্রাথমিকে তা মার্চ থেকে শুরু হবে।

আর নতুন কারিকুলামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন কাটাতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আগে ছুটি ছিল শুধু শুক্রবার, এখন শনিবারও ছুটি থাকবে।  


বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানায়, ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করার কথা। আর ২০২৩ সাল থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হচ্ছে।


সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলাম ট্রাইআউট ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। প্রাথমিকে মার্চ থেকে শুরু হবে। মাধ্যমিকে ৬২টি এবং প্রাথমিকেও একই সংখ্যায় করার কথা রয়েছে।

মহামারির ছুটির আগে ও পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটিগুলো এখনো আছে। সাপ্তাহিক ছুটিও দুই দিন। এ বিষয়ে দুষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে শনিবার ছুটি রাখেন না। এখন থেকে রাখবেন সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি, একজন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর সপ্তাহে দুটা দিন..., একটু যদি ব্রেক না হয়। এখন তো কম সময়ে ক্লাস করছিল তারপরও একটু ব্রেকটার দরকার আছে। সেটাকে যদি বাদ দিয়ে দিতে পারতাম, তাহলে কয়েকটা দিন বেশি পেতাম। মাসে চারটা দিন বেশি পেতাম সেটা ঠিক। আবার ধর্মীয় কিছু ছুটি আছে, নানা রকম বিষয় আছে।

তিনি বলেন, আমাদের যেগুলো জাতীয় দিবস, সেই দিনে খুলে রাখার কথা ভাবিনি। জাতীয় দিবসে অনেক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হয় না। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রিকভারি প্ল্যানের মধ্যে যদি দেখি যেকোনো জায়গায় দিন কমালে আরও বেশি সুবিধা হবে, সেটা ভেবে দেখব। কিন্তু ঢালাওভাবে ভাবতে পারছি না। কারণ যারা কাজটি করেন তাদেরও তো সঠিকভাবে ডেলিভারি দিতে হবে। অনলাইনের চাপটাও আছে। শিক্ষকেরা ক্লাসেও পড়িয়েছেন আবার অনলাইনেও ক্লাস নিয়েছেন।










দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) শরীফ উদ্দিন প্রায় সাড়ে ৩ বছর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সে সময় এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি ভোটার করার অভিযোগে ২০২১ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একজন পরিচালক, ৬ কর্মীসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছিলেন। এ মামলার পরপর ১৬ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়।


শরীফ তার মেয়াদকালে বিভিন্ন খাতে অনিয়মের খবর প্রকাশের জন্য আলোচিত হন। সে সময় তিনি ইসি কর্মকর্তা, কর্মচারী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইয়াবা চোরাকারবারি, রোহিঙ্গা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১ ডজনেরও বেশি মামলা করেন।

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী তিনি।

কর্ণফুলীর দুর্নীতির মামলায় তিনি কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) সারোয়ার হোসেন এবং অন্যান্যদের সঙ্গে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করেন।


দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি হাজী সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। সাইফুল ২০১৯ সালের ৩১ মে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সিএমসিএইচ) অনিয়মেরও তদন্ত করছেন তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন এখন আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য দুদকের সদর দপ্তরে আছে।

গত ৩০ জানুয়ারি প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর শরীফ উদ্দিন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।


জিডিতে শরীফ উদ্দিন অভিযোগ করেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও অপর এক ব্যক্তি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার বাড়িতে এসে তাকে হুমকি দেন।

জিডির পর পুলিশ হুমকির ঘটনার তদন্ত করছে।


খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দুদকের সরকারি বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানে দেখা গেছে শরীফ ও অভিযুক্ত আইয়ুব দুজনেই স্বাভাবিকভাবে কথা বলছেন।'

ওসি আরও বলেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করব।'


বুধবার দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সই করা এক অফিস আদেশে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়। এতে বলা হয়, 'দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ - এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।' এই আদেশ গতকাল বিকেল থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা।


দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে জানতে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে। তবে তারা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।


জানতে চাইলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কমিশনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে শরীফ উদ্দীনকে অপসারণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭-৮টি অভিযোগ আছে।'

'শরীফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে জব্দ করা ৯৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখার অভিযোগ আছে। এ নিয়ে হাইকোর্টও তাকে তিরস্কার করেছেন,' বলেন তিনি।


যোগাযোগ করা হলে শরীফ উদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে। আমি কীভাবে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করলাম?'


'আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর তদন্ত চলছে। আমি জবাবও দিয়েছি। আশা করি তদন্ত প্রতিবেদন আমার পক্ষেই থাকবে,' যোগ করেন তিনি।

সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'জব্দ করা ৯৪ লাখ টাকা আমার কাছে রাখার বিষয়টি আমার পরিচালক জানতেন। চট্টগ্রাম থেকে  যাওয়ার সময় আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সেটি বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।'


এদিকে মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের প্রতিবাদে সজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তার সহকর্মীরা।


সুত্রঃ ডেইলি স্টার


২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যাচ্ছে। প্রথমে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুল খুলবে আরও প্রায় দুই সপ্তাহ পরে। বুধবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।


এর আগে গত রাত ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।



পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রথম আলোকে বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকার চাইলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।



করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল স্বল্প পরিসরে। সব শ্রেণির ক্লাস সব দিন হচ্ছিল না। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে তা আবার বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে গত রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এখন একটু খারাপ সময় গেলেও আমরা আশা করি, এ মাসের শেষের দিকে অবস্থার একটু পরিবর্তন হবে এবং সেই সময় আমরা স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দিতে পারব।’


ফ্রান্সের গণমাধ্যম লে জার্নাল দু দিমানচি একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এই নিবন্ধটিতে জানানো হয়েছেন ফ্রান্সের তরুণ মুসলিমরা তুরস্কে বসবাসের জন্য আকৃষ্ট হচ্ছেন।

ফ্রান্সের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছেন নিবন্ধটিতে। 


‘ফ্রান্সের তরুণ মুসলিম যারা এরদোগানের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ এই শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়।  এতে বলা হয় দীর্ঘ সময় ধরেই ফ্রান্স থেকে তুরস্কে স্থায়ী হচ্ছেন মুসলিমরা। 

নিবন্ধটিতে আরও বলা হয়েছে, ফ্রান্স থেকে তুরস্কে মুসলিমদের আসার বিষয়টি গত পাঁচ বছরে আরও বেড়েছে।  আফ্রিকান বংশোদ্ভূত যারা আছেন তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন। আর একটু শিক্ষিত যারা তারা তুরস্কের প্রতি ঝুঁকছেন।  

নিবন্ধটিতে থিবো নামে ৩২ বছর বয়সী একজনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।  যিনি ফ্রান্সে একট সময় রুটির দোকানে কাজ করতেন। কিন্তু দেড় বছর আগে তিনি স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ফ্রান্স ছেড়ে অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার ফ্রান্স ছাড়ার কারণ হলো সেখানে মুসলিম বলে তাকে আলাদা চোখে দেখা হত।

তাছাড়া ফসিল মাহানি নামে এক ইউটিউবার ওই নিবন্ধটিতে জানিয়েছেন, ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কের অনেকটা মিল থাকার কারণে তিনি নিজের নতুন ঠিকানা হিসেবে তুরস্ককে বেছে নিয়েছেন। 


সূত্র: ডেইলি সাবাহ


ক্রিমিয়ার পেনিনসুলা থেকে সেনা বহর সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। 

পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সীমান্ত থেকে রাশিয়া সেনা সরিয়ে নেওয়ার  যে কথা বলছে সেটি সত্যি নয়। তারা আরও দাবি করেছে, রাশিয়া উল্টো সীমান্তে সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। 


আর পশ্চিমা দেশগুলোর এমন সংশয়ের মধ্যেই  নতুন করে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে জানান হলো ক্রিমিয়া থেকে মহড়া শেষে সেনারা সরে গেছে। 


বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়ার কৃষ্ণ সাগর থেকে মহড়া শেষে সেনারা তাদের স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে। 

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর পক্ষ থেকে সরাসরি বলা হয়েছে, সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রমাণ তারা পাননি। তাদের পক্ষ থেকে দাবি  করা হয়েছে, রাশিয়া সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে উল্টো সীমান্তে নিজেদের শক্তি আরো বৃদ্ধি করছে।


দুই পক্ষই আশঙ্কা করে বলেছে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করবে। যদিও রাশিয়া প্রত্যেকবারই হামলা করার বিষয়টি  অস্বীকার করেছে। 


সূত্র: আল জাজিরা




দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯০৭ জনে। এ সময়ে নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৫৩৯ জনের। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৭০ জনে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শনাক্তের হার ১০.২৪ শতাংশ বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।


বুধবার জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং শনাক্ত হয়েছিল তিন হাজার ৯২৯ জন। শনাক্তের হার ছিল ১২.২০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৮০০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৬৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৭৯১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৫৪৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০.২৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪.৬৭ শতাংশ।


এতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, চারজন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছে সাতজন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ৪, সিলেটে ১ ও রংপুরে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।


করোনা পিছু ছাড়েনি আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে। বাংলাদেশ সফরে এসে করোনা পজিটিভ হয়েছেন আফগানিস্তান দলের আট ক্রিকেটার। এ ছাড়া দলের সাপোর্ট স্টাফের তিন সদস্য ও এক ক্রিকেটারের স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত। ফলে তাদের রেখে দলের বাকি সদস্যরা গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন। বিসিবির এক সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।

১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশে এসেছেন আফগানিস্তান দলের ২২ সদস্য। পরদিন সিলেটে পৌঁছে এক দিনের কোয়ারেন্টিনের পর অনুশীলনে নামেন আফগান দলের ক্রিকেটাররা। দলের এক সূত্র জানিয়েছে, কোয়ারেন্টিনের পর করোনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার আগেই হোটেল ছেড়ে মাঠে গিয়েছিলেন সফরকারীরা।


বিয়ের কারণে ঐতিহাসিক পাকিস্তান সফরে যাওয়া হচ্ছে না ম্যাক্সওয়েলের। মিস করতে যাচ্ছেন আইপিএলের শুরুটাও। অস্ট্রেলিয়ান হার্ড হিটার যখন সব দিক দিয়ে আলোচনায় তখন সোশাল মিডিয়াও বাদ যাবে কেন? 


ম্যাক্সওয়েলের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়! পরে জানা গেলো, এমনটা হওয়ার কারণ আসলে আমন্ত্রণপত্রটির ভাষা। 

ম্যাক্সওয়েলের বাগদত্তা ভিনি রমন একজন ভারতীয়। তামিল বংশোদ্ভূত হলেও তার জন্ম আর বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। ফলে বিয়ের সবকিছু হচ্ছে ভারতীয় রীতি অনুসারে। ২০২০ সালে দুজনের বাগদানও হয়ে গেছে। কিন্তু করোনাকালে বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতার। তাই ম্যাক্সওয়েল-ভিনি জুটির আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে তামিল ভাষায়। সেখানে আরও বলা আছে, পুরো প্রক্রিয়াটি হবে তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারের কায়দায়।   

ম্যাক্সওয়েল-ভিনির প্রথম পরিচয় ২০১৩ সালে। এরপর অনেক দিন ধরেই একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। করোনায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও সারা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সিরিজ ও আইপিএলের একটা অংশ বাদ দিয়েই আনুষ্ঠানিকতা সারতে যাচ্ছেন। মেলবোর্নে বিয়েটা হবে ২৭ মার্চ।


অবশ্য ম্যাক্সওয়েল যখন তারিখ চূড়ান্ত করেছিলেন তখন কোনও সিরিজ মিস হওয়ার কথা ছিল না। পরে ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি, ‘আসলে আমি যখন তারিখগুলো চূড়ান্ত করি, তখন দুই সপ্তাহের একটা ফাঁকা সময় ছিল। তাই এটা ভেবে খুশি ছিলাম যে কোনও সিরিজ মিস করতে হবে না। কিন্তু গত বছর বোর্ডের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যখন কথা বলতে গেলাম, তখন তারা জানালো এই সময়ে পাকিস্তান সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে বুঝতে পারলাম, ওই আলোচনার পরেই পরিবর্তনটা এসেছে।’


চোট কাটিয়ে ফিরলেন করিম বেনজেমা, তবে রইলেন নিজের ছায়া হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদের পুরো আক্রমণভাগের চিত্রই তাই। প্রতিপক্ষের দুর্বলতায় আধিপত্য করল তারকাসমৃদ্ধ পিএসজি। তবে মিলছিল না গোল। পেনাল্টি পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না লিওনেল মেসি। অবশেষে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন কিলিয়ান এমবাপে।

ঘরের মাঠে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে পিএসজি।


চোট কাটিয়ে আড়াই মাস পর মাঠে নেমে দলকে জেতাতে ভূমিকা রাখলেন নেইমারও। এমবাপের দারুণ গোলটিতে দুর্দান্ত ব্যকহিলে পার্শ্বনায়ক তো তিনিই।

এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচের শুরুতেই সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান আনহেল দি মারিয়া। বাঁ দিক থেকে এমবাপের বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে আট গজ দূর থেকে যেভাবে উড়িয়ে মারেন আর্জেন্টাইন তারকা, তা খুবই দৃষ্টিকটু।

নিজেদের সীমানা থেকে বের হতেই পারছিল না রিয়াল। তাদের বক্সের আশেপাশে পিএসজি পজেশন ধরে রাখলেও পারছিল না সুযোগ তৈরি করতে। অষ্টাদশ মিনিটে ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন এমবাপে। তবে তার দুর্বল শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া।

প্রথমার্ধের বাকি সময়েও খেলা চলেছে একইভাবে। মাঝেমধ্যে রিয়াল সামনে এগোনোর চেষ্টা করেছে বটে, তবে সত্যিকার অর্থে এই অর্ধে দলটির আক্রমণভাগ বলতে যেন ছিল না কিছুই। বিরতির আগে গোলের উদ্দেশ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি তারা, একবারের জন্যও ভীতি ছড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষের বক্সে। অবশ্য পিএসজির এই সময়ের পারফরম্যান্সও খুব একটা প্রশংসনীয় নয়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও চাপ ধরে রাখা পিএসজি ৫০তম মিনিটে লক্ষ্যে দ্বিতীয় শট নিতে পারে। তবে কোর্তোয়ার বাধা এড়াতে পারেনি তারা; এমবাপের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। চার মিনিট পর গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নেয় রিয়াল। টনি ক্রসের দূরপাল্লার ওই প্রচেষ্টা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

৬১তম মিনিটে আসে মেসির ওই পেনাল্টি মিসের হতাশা। এমবাপেকে ডি-বক্সে দানি কারভাহাল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বার্সেলোনার জার্সিতে রিয়ালের বিপক্ষে ২৬ গোল করা আর্জেন্টাইন তারকা এবার পারেননি; তার দুর্বল শট আয়ত্ত্বে পেয়ে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।

বেলজিয়ান গোলরক্ষকের এমন নৈপুণ্যও তার সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে পারল না। যেন খোলস থেকে বের হওয়ার পথই পাচ্ছিলেন না বেনজেমা-ভিনিসিউসরা।

আক্রমণের ধার বাড়াতে ৭৩তম মিনিটে দি মারিয়াকে তুলে নেইমারকে নামান কোচ। মাঠে নামার কয়েক সেকেন্ড পরই মাঝ বরাবর বল নিয়ে দারুণ কারিকুরিতে আক্রমণে ওঠেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বাধ্য হয়ে তাকে ফাউল করেন দাভিদ আলাবা। কিন্তু ২০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেসি।

তিন মিনিট পর মেসির পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে কোনাকুনি শট নেন এমবাপে। বল কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।


৮০ মিনিটের পর ম্যাচের গতিপথ কিছুটা পাল্টায়। যেন পথ খুঁজে পায় রিয়াল। যদিও নিশ্চিত কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ম্যাচ জুড়ে হতশ্রী ফুটবল খেলা দলটি। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা!

চার মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে অবশেষে জয়সূচক গোল। নেইমারের ব্যাকহিলে বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আরেকজনের বাধা এড়িয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন এমবাপে। কোর্তোয়ার প্রসারিত পায়ের নিচ দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা। উল্লাসে ভাসে পিএসজি। পাক দি ফ্রাঁসের গ্যালারি হয়ে ওঠে উত্তাল।

পুরো ম্যাচেই বল দখলে আধিপত্য করে পিএসজি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের পারফরম্যান্স ছিল বেশি উজ্জ্বল। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে পাঁচ শট নিয়ে কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। সেখানে বিরতির পর আরও ১৬টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে সাতটি।

অন্যভাবে দেখলে এত এত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারাটা মোটেও সন্তোষজনক নয়। তবে ইউরোপ সেরার মঞ্চে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দারুণ এই জয়ের পর মেসি-এমবাপেদের এখন উদযাপনের সময়।

রিয়ালের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত রইল পিএসজি। ২০১৯-২০ আসরে গ্রুপ পর্বে প্রথম দেখায় ৩-০ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ২-২ ড্র করেছিল প্যারিসের দলটি।

রিয়ালের জন্য ম্যাচটিকে বলা যায় বড় সতর্কবার্তা। গত মাসে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পর থেকে দলটি যেন নিজেদের খুঁজে ফিরছে। এই সময়ে তারা ছিটকে পড়েছে কোপা দেল রে থেকে। লা লিগায় তিন রাউন্ডে জিতেছে মাত্র একটিতে।


সঙ্গে এবার বাজে পারফরম্যান্সে এই পরাজয়। সামনের ব্যস্ত সময়ে কক্ষপথে ফিরতে খুব বেশি সময় হাতে নেই। আগামী ৯ মার্চ তাদের মাঠেই হবে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগ।


২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার মোট ২৭টি বিভাগে ৩০টি পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে তিনটি বিভাগে যুগ্মভাবে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এবার যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ সিনেমা হয়েছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’। এরমধ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ থেকে চিত্রনায়ক সিয়াম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও ‘গোর’ থেকে চিত্রনায়িকা দীপান্বিতা মার্টিন হয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার পাচ্ছে সরকারি অনুদানের সিনেমা 'গোর'। আর একই সিনেমার জন্য ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ৪টি পুরস্কার পাচ্ছেন গাজী রাকায়েত।


আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আনোয়ারা ও অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।

এছাড়াও যারা এ সম্মানজনক পুরস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন-


শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক - গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা - এম ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী -অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা - মো. সাহিদ হাসান মিশা সওদাগর (বীর) 

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী - মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- মো. শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং)

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক - বেলাল খান (বিশ্বাস যদি যায়রে...)

শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক - প্রয়াত মো. সহিদুর রহামান (তুই কি আমার হবিরে...[বিশ্বসুন্দরী])

শ্রেষ্ঠ গায়ক - মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে...[বিশ্বসুন্দরী])

শ্রেষ্ঠ গায়িকা - দিলশাদ নাহার কণা (তুই কি আমার হবিরে...[বিশ্বসুন্দরী]) এবং সোমনূর মনির কোনাল (ভালোবাসার মানুষ তুমি... বীর)  

শ্রেষ্ঠ গীতিকার - কবির বকুল (তুই কি আমার হবিরে...[বিশ্বসুন্দরী]) 

শ্রেষ্ঠ সুরকার - মো. মাহমুদুল হক ইমরান (তুই কি আমার হবিরে...[বিশ্বসুন্দরী])

শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার -গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার-গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)

শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক - মো. শরিফুল ইসলাম (গোর)

শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর)

শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- পংকজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ (নিয়াজ) [গোর]

শ্রেষ্ঠ শ্রব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর) 

শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা- এনামতারা বেগম (গোর)

শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget