Latest Post


আগের দিন সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যখন, তখনই মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য 'বিনা মেঘে বজ্রপাত' হয়ে আসে ঘটনাটি।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দল হোটেল ছাড়ার আগে হুট করে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি আর দলটির অধিনায়ক নন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অলরাউন্ডার বিপিএলই আর খেলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার দুপুরে যোগাযোগ করা হলে মিরাজ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিপিএল খেলব না ভাই।

নিজের সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) জানিয়েছেন তিনি, 'আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই দল ছেড়ে যাচ্ছি। দলকে ই-মেইল করেছি। ই-মেইল করেছি বিসিবির প্রধান নির্বাহীকেও। ' তাতে অবশ্য ভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেটি যে আসল কারণ নয়, সেটিও তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, 'ই-মেইলে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেছি যদিও। 

কিন্তু চট্টগ্রামের ম্যানেজমেন্ট জাতীয় দলের ক্রিকেটারের মানহানি করেছে। এ রকমটা তারা আগেরবারও করেছে। এমন তো নয় যে আমি বাজে খেলেছি বা দল খারাপ করেছে। আমিও পারফর্ম করেছি, দলও এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে ছিল। বলা নেই কওয়া নেই - এভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। আমি খেলবই না। '

তাঁকে রহস্যজনকভাবে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষোভে রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার ফ্লাইটে তিনি চট্টগ্রাম ছাড়বেন বলেও জানিয়েছেন মিরাজ নিজেই। চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম আগের দিন অধিনায়ক বদলের ব্যাখ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, দল ছেড়ে যাওয়া হেড কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

কিন্তু নিক্সনের বিদায়ী সভায় এ রকম কিছুই ইংলিশ কোচকে বলতে শোনেননি বলেও জানান মিরাজ, 'ওই সভায় আমিও ছিলাম। অনেক কথা হয়েছে, কিন্তু কোচকে এ রকম কিছুই বলতে শুনিনি। বরং আমার নেতৃত্ব এবং পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিতই ছিলেন। '

এদিকে মিরাজের চলে যাওয়া বিষয়ে দল অবগত কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সিওও ইয়াসির বলেন, 'মিরাজ চলে যাচ্ছে এটি আমরা মিডিয়াতেই দেখেছি। আমাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। একটু পরেই আমরা ওর সঙ্গে বসব। '


ইংল্যান্ডের পর ভারতের বোলিংয়ের সামনেও মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। যুব বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে কোনোমতে একশ পার করল তারা। 

বোলাররা যা নিয়ে কিছুটা লড়াইও করলেন, তবে তা যথেষ্ট হলো না। তাদের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান থামিয়ে এগিয়ে গেল টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত ভারত।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শেষ কোয়ার্টার-ফাইনালে শনিবার ভারতের জয় ৫ উইকেটে। কদিন আগে যুব এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালেও বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ভারত।

গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট এবারও ছিল ফেভারিটদের কাতারে। তবে দল দুটির লড়াইয়ে ছড়াল না উত্তেজনা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ এবার করল স্রেফ ১১১ রান। ১১৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে গেল ভারত।

অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা মেহরব হাসান। আর কেবল দুই ব্যাটসম্যান যেতে পারেন দুই অঙ্কে।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে দেওয়ার কারিগর রবি কুমার। কেবল ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই পেসারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দুটি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার ভিকি ওসওয়াল।

রান তাড়ায় শূন্য রানে উইকেট হারানো ভারতকে ৭০ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগিয়ে নেন অংকৃশ রঘুভানশি ও করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে দলে ফেরা শেখ রশিদ।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রবির তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪ রানেই টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় দলটি।

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে মাহফিজুল ইসলামকে বোল্ড করে দেন রবি। সুইং করে ভেতরে ঢোকা ফুল লেংথ বল মিডউইকেট দিয়ে খেলতে যান এই ওপেনার। ব্যাটের কানা নিয়ে বল ছোবল দেয় স্টাম্পে।

নিজের তৃতীয় ওভারে রবি ধরেন ইফতেখার হোসেনের শিকার। অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট শট খেলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন ইফতেখার। পরের ওভারে রবি ফেরান প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া ফুল লেংথ বল ড্রাইভ করে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন নাবিল।

ওসওয়াল এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন আরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফাহিমকে। তার বাঁহাতি স্পিনে আরিফুল হন কট বিহাইন্ড। ফাহিম ফেরেন দৃষ্টিকটু শট খেলে; মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় বলেই তিনি রিভার্স সুইপ করে হন বোল্ড। 

টিকতে পারেননি অধিনায়ক রকিবুল হাসানও। কুশাল তাম্বের বলে হন এলবিডব্লিউ। দীর্ঘক্ষণ উইকেটে কাটিয়ে আইচ মোল্লা কাটা পড়েন রান আউটে।

৫৬ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওই সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল আইচ (৪৮ বলে ১৭)।

অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া বাংলাদেশ একশ পার হয় মেহরব ও আশিকুর জামানের ব্যাটে। অষ্টম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন দুজন।

তাদের প্রতিরোধ ভাঙে ৪৮ বলে ৬ চারে ৩০ রান করা মেহরবের বিদায়ের। রঘুভানশির অফ স্টাম্পের বাইরের বল উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টায় স্টাম্পড হন তিনি। ওই ওভারেই বাউন্ডারি থেকে সিদ্ধার্থ যাদবের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে যান আশিকুর।

রান তাড়ায় নামা ভারত শিবিরে দ্বিতীয় ওভারেই ছোবল দেন তানজিম হাসান। হারনুর সিংকে কট বিহাইন্ড করে শূন্য রানে ফেরান এই পেসার।

রঘুভানশি ও রশিদের ব্যাটে ওই ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় ভারত। সাবধানী ব্যাটিংয়ে তারা এগিয়ে নেন দলকে।

২০তম ওভারের শেষ বলে রঘুভানশিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিপন। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে এই পেসার কট বিহান্ড করেন রশিদকে। সম্ভাবনা জাগান হ্যাটট্রিকের। শেষ পর্যন্ত যদিও তা হয়নি।

পরের দুই ওভারে আরও দুটি শিকার ধরেন রিপন। ফিরিয়ে দেন সিদ্ধার্থ যাদব ও রাজ বাওয়াকে। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের কাছে পৌঁছে যায় ভারত। ২৬ বলে ৪ চারে ২০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা নিয়মিত অধিনায়ক যশ ধুল। ছক্কায় দলকে জিতিয়ে ১১ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন তাম্বে।

৩১ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার রিপন।

প্রথম সেমি-ফাইনালে আগামী মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। পরদিন দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে ভারত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৭.১ ওভারে ১১১ (মাহফিজুল ২, ইফতেখার ১, নাবিল ৭, আইচ ১৭, আরিফুল ৯, ফাহিম ০, রকিবুল ৭, মেহরব ৩০, আশিকুর ১৬, তানজিম ২, রিপন ২*; রাজবর্ধন ৭.১-০-১৯-১, রবি ৭-১-১৪-৩, বাওয়া ৬-১-১৬-০, ওসওয়াল ৯-১-২৫-২, তাম্বে ৬-০-২৭-১, রঘুভানশি ২-১-৪-১)

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯: ৩০.৫ ওভারে ১১৭/৫ (রঘুভানশি ৪৪, হারনুর ০, রশিদ ২৬, ইয়াশ ২০*, সিদ্ধার্থ ৬, বাওয়া ০, তাম্বে ১১*; আশিকুর ৬-১-২২-০, তানজিম ৭-১-৩৪-১, রিপন ৯-১-৩১-৪, রকিবুল ৮.৫-২-৩০-০)

ফল: ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: রবি কুমার

২:৪৫ AM


সিনেমায় ভিলেনদের কাঁদিয়ে নাকানিচুবানি খাওয়ানো সালমান খানের মন গলে গেল বাস্তবে। পাঞ্জাবি অভিনেত্রী শেহনাজ গিলকে দেখে কাঁদলেন সালমান।

সম্প্রতি রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ১৫’-এর চূড়ান্ত পর্বে অতিথি হয়ে এসেছিলেন শেহনাজ। মঞ্চে সঞ্চালক সালমানকে তিনি বলেন, ‘আপনাকে দেখে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।’ 


এর পরই কাঁদতে শুরু করেন এ অভিনেত্রী। শেহনাজের কান্না দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি সালমানও। চোখ ছলছল করে ওঠে তার।  চোখের জল গড়িয়ে পড়ে বলি ভাইজানের।  শোকের আবহ বইতে থাকে গোটা পরিবেশে। 

অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার কথা স্মরণ করেই এমন শোকের মাতম বয়ে যায় ‘বিগ বস ১৫’-এর মঞ্চে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন সিদ্ধার্থ শুক্লা।

সিদ্ধার্থ ছিলেন শেহনাজের প্রেমিক। ‘বিগ বস’-এর মাধ্যমেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে শেহনাজের পরিচয় হয়। শোয়ের ১৩তম সিজনে দুজনের বন্ধুত্ব প্রেমের দিকে গড়ায়।

প্রেমিকের হঠাৎ মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েন শেহনাজ। বেশ কিছু দিন পর্দার বাইরে ছিলেন তিনি।  ধীরে ধীরে ফিরেছেন সাধারণ জীবনে। এবার বিগ বস’—এর মঞ্চে ফিরে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন তিনি। এই মঞ্চেই সিদ্ধার্থকে পেয়েছিলেন, আবার এই মঞ্চেই হারালেন।  

কান্নায় ভেঙে পড়তে থাকা শেহনাজকে সান্ত্বনা দিতে তাকে আলিঙ্গন করেন সালমান খান। নিজেকে আটকানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কেঁদে ফেলেন সালমানও।  রুমাল দিয়ে চোখের জল মোছার চেষ্টা করেন।



প্রসঙ্গত গত বছরের অক্টোবরে সিদ্ধার্থকে নিয়ে ‘তু ইয়েহি হ্যায় (তুমি এখানেই আছ)’ শিরোনামে গান লিখেছিলেন শেহনাজ। আরও একবার সিদ্ধার্থের জন্য অনুষ্ঠানে এ গান গাইবেন তিনি। শেহনাজকে ফের ‘বিগ বস’-এর মঞ্চে দেখে আপ্লুত তার অনুরাগীরা।


ওমিক্রনের প্রভাবে টানা চারদিন ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হবার পর পঞ্চম দিনে রোগী সংখ্যা কমে এসেছে। কমেছে নমুনা পরীক্ষাও। শনাক্ত রোগী সংখ্যা কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়েও বেশি মৃত্যু হয়েছে।  ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হারও ৩১ শতাংশের ওপরে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (২৮ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা ) করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭৮ জন। শুক্রবার ১৫ হাজার ৪৪০ জন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৮০৭ জন, ২৬ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৫২৭ জন আর ২৫ জানুয়ারি ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

নতুন শনাক্ত হওয়া ১০ হাজার ২৩০ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ২০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩২৯ জন মারা গেলেন।

আর গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ১০৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন বলে জানাচ্ছে অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৩ হাজার ২৩০টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৭৩টি। যেখানে শুক্রবার ৪৬ হাজার ২৯২টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৬ হাজার ২৬৮টি  নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩১৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৩৬১টি। দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী সাত জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ১০২ জন,  নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ২২৭ জন।

গত ২৪  ঘণ্টায় মতদের মধ্যে  ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ছয় জন।  ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী পাঁচ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী চার জন আর ৫১ থেকে ৬০ ও ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী তিন জন করে। ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ মানুষের মৃত্যু হয়েছে; ১২ জনের। এরপর চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের দুজন করে আর রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন একজন করে। মৃতদের মধ্যে ১৮ জনেরই মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আর বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।


চলতি মাসে সপ্তম দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই পরীক্ষা ২০১৭ সালের পর দেশটির বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে এই পরীক্ষা করা হয় বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার সম্মিলিত বাহিনীর প্রধানদের কমিটি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ।

জাপানের মন্ত্রিসভার চিফ সেক্রেটারি হিরোকাজু মাতসুনো এক টেলিভিশন ভাষণে জানান, নিক্ষিপ্ত রকেটটি দুই হাজার কিলোমিটার উঁচু দিয়ে ৩০ মিনিটে উড়ে আট শ’ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকেও একই ধরণের উচ্চতা ও দূরত্বের হিসাব জানানো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি দীর্ঘপাল্লার ইন্টারমেডিয়েট রেঞ্জের ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইআরবিএম) বলে ধারণা করা হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক কার্নেজ এনডওম্যান্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের কর্মরত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত পান্ডা এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘২০১৭ সালের নভেম্বরের পর এটিই বৃহত্তম মিসাইল পরীক্ষা।’

জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘ উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখলেও পূর্ব এশিয়ার দেশটি প্রায়ই এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে আসছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির সামরিক বাহিনীর সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য এবং এর অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়নের জন্য অঙ্গীকার করেছেন।

পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া নতুন এই পরীক্ষা এমন সময় করলো যখন প্রতিবেশী চীনের বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা ও বর্তমান নেতার বাবা কিম জং ইলের ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পিয়ংইয়ং।

জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জেরে দেশটিতে নতুন আরো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিলো। কিন্তু গত বছর জো বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তা স্থবির হয়ে পড়ে।

সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি


জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল–২০২২–এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে আজ রোববার।

গত ২৭ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন এবং এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

গেজেট অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগ দিতে রাষ্ট্রপতি এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে ৬ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন। সদস্যরা হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক, প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত ২ জন বিশিষ্ট নাগরিক, যাদের মধ্যে একজন হবেন নারী।

এই কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তারা তাদের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে।

আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের জন্য যোগ্যতা হচ্ছে:

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে
  • কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্যূন ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের জন্য অযোগ্যতা হচ্ছে:

  • কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হলে
  • দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে
  • অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব পেলে
  • নৈতিক স্বলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে 
  • International Crimes (Tribunals Act, 1973 (Act No. XIX of 1973) বা Bangladesh Collaborators (Special) Tribunals Order, 1972 (President's Order No. 8 of 1972) এর অধীন যেকোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে
  • আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কাজে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।

এ আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। সেই কমিটি পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করবে। কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।


ইউক্রেন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর বিকল্প হিসেবে পূর্ব ইউরোপে মোতায়েন করা সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী সপ্তাহে পূর্ব ইউরোপের অঞ্চলটি পরিদর্শন করবেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। নর্ডিক্স এবং বাল্টিক্সে ন্যাটো প্রতিরক্ষা চুক্তির সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সেনা প্রস্তাব বিবেচনা করছেন তিনি। যেমন- সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ করা এবং এস্তোনিয়ায় প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানো।

বরিস বলেন, এটি ক্রেমলিনের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে যে, আমরা তাদের অস্থিতিশীল কার্যকলাপ সহ্য করব না এবং সবসময় ন্যাটো মিত্রদের পাশে থাকব। আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আগামী সপ্তাহে ইউরোপজুড়ে মোতায়েনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে এই প্রস্তাবের বিস্তারিত চূড়ান্ত করবেন। মন্ত্রীরা সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সামরিক বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।


এছাড়াও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা খুব শিগগির তাদের রুশ সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মস্কোতে যাবেন। তাদের সম্পর্কের উন্নতি এবং উত্তেজনা কমানো এই সফরের লক্ষ্য।

৩:৫৬ AM


অন্তর্বাস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি।

এই অভিনেত্রীর পরবর্তী ওয়েব সিরিজ ‘শো টপার’। ফ্যাশন জগত নিয়ে এটি নির্মিত। ওয়েব সিরিজটির প্রচারে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গিয়েছিলেন শ্বেতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেখানেই সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে শ্বেতা বলেছেন, ‘ভগবান আমার ব্রা এর মাপ নিচ্ছে।’



শ্বেতার এই মন্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এমনকি ভোপালের শ্যামালা হিলস থানায় এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রা।

তবে বিতর্কিত মন্তব্যটি অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে জানিয়েছেন শ্বেতা। এজন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এই অভিনেত্রী জানান, ‘ভগবান’ বলতে তিনি সৃষ্টিকর্তার কথা বোঝাননি। তার দাবি, ওয়েব সিরিজে তার সহ-অভিনেতা সৌরভ রাজ যেহেতু আগে শ্রী কৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তাই ভগবান বলতে তিনি সৌরভকেই বুঝিয়েছেন। সিরিজে সৌরভ এক অন্তর্বাস প্রস্তুতকারি দর্জির ভূমিকায় রয়েছেন।

ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্বেতা লিখেছেন, ‘আমি নিজে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। তাই সৃষ্টিকর্তাকে অপমান করে কোনো মন্তব্য আমি করব না। যদি কাউকে আঘাত করে থাকি আমি ক্ষমা চাইছি। আমি এরকম কথা বলতে চাইনি।’

শ্বেতা তিওয়ারি টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন। টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করে অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে সিনেমায় নাম লেখান। হিন্দি, কন্নড়, পাঞ্জাবি, মারাঠিসহ বিভিন্ন ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

৩:৪৭ AM


মুম্বাই, ২৯ জানুয়ারি – সদ্যই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। সংসারেও লাগিয়েছেন মন। কিন্তু শোবিজ অঙ্গনেও আলোচনার বাইরে নেই ক্যাট। এবার সেটি ক্যারিয়ারের প্রথম ছবির এক চুম্বন দৃশ্য ঘিরে। যে দৃশের অবতারণা হয়েছিল বলিউডের খল অভিনেতা গুলশান গ্রোভারের সঙ্গে। পর্দায় গুলশানকেই নাকি প্রথম চুম্বন করেছিলেন ক্যাটরিনা। তবে নায়িকা নিজ মুখে কোনো দিন সেই দৃশ্যের কথা স্বীকারই করেননি।


ক্যাটরিনা এখন বলিউডের প্রথম শ্রেণির অভিনেত্রী। তবে তার শুরুটা হয়েছিল ‘বুম’ নামের দ্বিতীয় সারির এক ছবি দিয়ে। সেই ছবিতে একজন মডেলের চরিত্রে ধরা দেন ক্যাট। ওই ছবিতেই তার সহ-অভিনেতা ছিলেন গুলশান গ্রোভার, অমিতাভ বচ্চন, জ্যাকি শ্রফ, পদ্ম লক্ষ্মী ও জিনাত আমন।


ছবিটিতে নবাগতা ক্যাটরিনার সঙ্গে একটি শারীরিক ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য ছিল গুলশানের। যেখানে ক্যাটরিনা এবং গুলশান পরস্পরকে গভীর চুম্বনও করবেন। দৃশ্যটি সেই সময়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বলিউডে। ইউটিউবেও ওই ভিডিও দেখা হয়েছে চার কোটি বার।



তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছিল, ওই চুম্বন দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের আগে ক্যাট আর গুলশান একান্তে দৃশ্যটির মহড়া দিয়েছিলেন। একটি লকার রুমে নাকি টানা দু’ঘণ্টা চলেছিল ক্যাট-গুলশনের সে মহড়া। পরে অবশ্য ওই দৃশ্যটি বাদ দেওয়া হয় ‘বুম’ ছবি থেকে। শোনা গিয়েছিল, ক্যাটরিনার প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা সালমান খানই নাকি দৃশ্যটি কর্তন করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন।



সেই দৃশ্য সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে গুলশান বলেছিলেন, বিনোদনে আমি অনেক বছর কাটিয়ে ফেলেছি। আর আমি জানি, এখানে কোনো বিষয়কে যত চেপে রাখতে চাইবে, ততই তা নিয়ে আলোচনা হবে। এক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।


পর্দার এ ভিলেন আরও বলেন, অনেক সময় নায়িকারা নিজেদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের ছবি লুকিয়ে রাখার চেষ্টাও করেন। কারণ পরে তারা অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন হন। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেখতে আরও ভাল লাগে। কিন্তু সেই চেষ্টায় সফল হননি কোনো নায়িকা।


তবে বুম ছবির ওই চুম্বন দৃশ্য নিয়ে তখন পত্রপত্রিকাগুলো ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করেছিল বলেও মনে করেন গুলশান।


ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মস্কোর প্রধান দাবিকে গ্রাহ্য করেনি অভিযোগ করে আগের অবস্থানে অনড় রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্রথমবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে পুতিন বলেছেন, ওয়াশিংটন ও ন্যাটোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তিনি।


পুতিন-ম্যাক্রোঁর ফোনালাপ প্রসঙ্গে ক্রেমলিন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জবাবে রাশিয়ার প্রধান উদ্বেগকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, আলোচনায় এটি তুলে ধরা হয়েছে।


মস্কোর দাবি, ওয়ারশ চুক্তির আগে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিত যেমন ছিল সে অবস্থায় ফিরে যেতে হবে ও রুশ সীমান্তে আক্রমণাত্মক অস্ত্র মোতায়েন না করা যাবে না। সাবেক সোভিয়েত দেশ ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগদানের পথ চিরতরে বন্ধ করারও দাবি জানিয়ে আসছে রাশিয়া।


ক্রেমলিনের বক্তব্য, তাদের মূল প্রশ্নটিই উপেক্ষা করা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কীভাবে নিরাপত্তা রক্ষার নীতি অনুসরণ করতে চায়… অন্য দেশের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলে কেউ নিজের নিরাপত্তা বাড়াতে পারবে না।


ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিতে চান না পুতিন। মস্কো যুদ্ধ চায় না।


কিন্তু, পুতিন-ম্যাক্রোঁ ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর উপস্থিতি শক্তিশালী করতে আরও সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর সংখ্যা খুব বেশি হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিম ইউরোপে এরই মধ্যে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।


বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। খবর হুররিয়াতের।

এর আগেগত ২০ জানুয়ারি এরদোগান বলেছিলেন, আমি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেস্কিকে আঙ্কারায় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
 
ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বেশ মাথা ঘামাচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের এই বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঝাপ করার কারণ হলো তাদের কিছু স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত।

২০১৯ সাল থেকে ইউক্রেনে ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক। তাদের তৈরি বায়রাকতার টিভি২ ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন।

যদি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধে তাহলে তুরস্কের ড্রোন রপ্তানি হুমকির মুখে পড়বে। ইউক্রেনের কাছে আরও ড্রোন বিক্রির চুক্তি করেছে তুরস্ক।

এই ড্রোন ইউক্রেনের মাটিতেই তৈরি করার জন্য একটি কারখানা বানানোর কাজ করে যাচ্ছে দেশটি।

আরেকটি বিষয় হলো, রাশিয়ার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিরিয়ায় কয়েকটি সামরিক অভিযানে যুক্ত আছে তুরস্ক। যেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন।

তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল তুরস্ক। কারণ প্রতিবছর রাশিয়া থেকে অনেক পর্যটক আসে দেশটিতে। এরমাধ্যমে বৈদশিক মুদ্রা আয় করে তারা।

আরেকটি বড় বিষয় সেটি হলো, তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য। আর ন্যাটোতে তাদের রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য। ফলে ন্যাটো যদি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায় তখন তুরস্কের থাকতে হবে সবার আগে।

এ কারণে তুরস্ক যেকোনোভাবে নিরপেক্ষ থাকতে চায়।  সবার আগে এরদোগানের প্রচেষ্টা হচ্ছে দুই প্রতিবেশীকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। এ কারণেই উত্তেজনার পারদ নিচে নামানো জন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন এরদোগান।  


মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো পুরোপুরি, কখনো বা আংশিক বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।

শুক্রবার ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, কোনো অজুহাত নয়। স্কুল খোলা রাখুন। স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ধরনটি সারা বিশ্বে যখন ছড়িয়ে পড়ছে, এটি যাতে শিশুদের পড়াশোনাকে ব্যাহত করতে না পারে, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।

পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের শেখার পথে ফিরিয়ে আনতে ইউনিসেফ কিছু সুপারিশও করেছে। এগুলো হলো :

- শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের অবিলম্বে টিকা দিতে হবে। প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯-এর টিকাদানের পরপরই এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের সম্পূর্ণরূপে সমর্থন ও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

- স্কুল খোলা রাখুন। স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা জানি, কোভিড-১৯ ঝুঁকি প্রশমনের ব্যবস্থাগুলোই স্কুলগুলোকে খোলা রাখতে সাহায্য করে। আমরা আরো জানি, ডিজিটাল সংযুক্তির পেছনে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলেই কোনো শিশু পেছনে পড়ে থাকবে না। 

প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি কমিউনিটির প্রান্তিক শিশুদের ওপর বিশেষ লক্ষ্য রেখে কিছু বিষয়ে বিস্তৃত সহায়তা প্রদান করা। যেমন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসহায়তা, সুরক্ষা ও অন্যান্য পরিষেবা প্রদান।

অগ্রাধিকারপ্রাপ্য জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করার পর এবং টিকার যথেষ্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে ইউনিসেফ শিশুদের টিকাদানকে সমর্থন করে। সশরীরে স্কুলে যাওয়ার জন্য টিকাদানকে পূর্বশর্ত করবেন না। কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সশরীরে স্কুলে যাওয়ার শর্ত আরোপ করলে তা শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ না পাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইউনিসেফ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকাদান ছাড়াই স্কুলগুলো খোলা রাখার এবং কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কৌশল যাতে পড়াশোনা ও সামাজিক জীবনের অন্যান্য দিকে শিশুদের অংশগ্রহণকে সহজতর করে, তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে।

সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সব সময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে শিক্ষাব্যবস্থায় যে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, তা আমরা স্বীকার করি। তবে এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি খুবই বেশি। শিশুদের স্কুলে রাখার জন্য সম্মিলিতভাবে আমাদের পক্ষে সম্ভব সবকিছু করতে হবে।

এর আগে ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারীতে দেড় বছরের বেশি সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। ইউনিসেফের এক জরিপ করে বলছে, মহামারীকালে বিশ্বজুড়ে স্কুল সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে ৬৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মহামারির কারণে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে খোলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ফলে সরকার নতুন করে ২৩ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এর নেতিবাচক প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। স্কুল বন্ধ থাকায় তা পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছে, তাদের নিয়মিত পুষ্টি প্রাপ্তির উৎস কমিয়ে দিয়েছে এবং তাদের নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। 

ক্রমেই উঠে আসা তথ্য এসব প্রমাণ দিচ্ছে, কোভিড-১৯ শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চহারে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা সৃষ্টি করেছে; যেখানে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়ে, কিশোর-কিশোরী এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ অধিক হারে এ সমস্যাগুলোর সম্মুখীন। স্কুল বন্ধ থাকার সময় বিশ্বব্যাপী ৩৭ কোটির বেশি শিশু স্কুলের খাবার থেকে বঞ্চিত হয়, যা কিছু শিশুর জন্য খাবার ও দৈনিক পুষ্টি প্রাপ্তির একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস।


করোনা মহামারিকালে দেশে রোগী শনাক্তের হারে নতুন রেকর্ড হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ভয়ংকর ডেল্টার তাণ্ডব সময়ের শনাক্তের হারের রেকর্ডকে পেছনে ফেলে অতি সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কবলে পড়ে দেশে শনাক্তের হারের এ রেকর্ড হলো।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর আগে গত বছরে ডেল্টার সময়ে ২৪ জুলাই শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৪০ জন। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো নতুন শনাক্ত ১৫ হাজারের বেশি।

গতকাল (২৭ জানুয়ারি) ১৫ হাজার ৮০৭ জন, তার আগের দিন বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ১৫ হাজার ৫২৭ জন ও মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।

নতুন শনাক্ত হওয়া ১৫ হাজার ৪৪০ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৩০৮ জনের মৃত্যু হলো বলেও জানাচ্ছে অধিদফতর।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৩২৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলেও জানাচ্ছে অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৬ হাজার ২৯২টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ হাজার ২৬৮টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৫টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৪ লাখ ১১ হাজার ৮১২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৩টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে পুরুষ আট জন আর নারী ১২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৮৮ জন অর নারী ১০ হাজার ২২০ জন।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের। এ বয়সের মারা গেছেন সাত জন। এরপর ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ জন, ১১ থেকে ২০ আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন দুই জন করে আর শূন্য থেকে ১০ বছর, ২১ থেকে ৩০ বছর, ৬১ থেকে ৭০ বছর আর ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন করে।

২০ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ৯ জন। এরপর ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন পাঁচ জন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে মারা গেছেন দুই জন করে আর বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন একজন করে। তাদের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। বাকি তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন; সাধারণ সম্পাদক পদে টানা তৃতীয় বারের মতো জয়ী হলেন জায়েদ খান।


শুক্রবার দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন।

গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থাকা মিশা সওদাগরকে হারিয়ে নতুন সভাপতি হলেন ইলিয়াস কাঞ্চন; ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট; মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট।


সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরেছেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের নিপুণ আক্তার; জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট; নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।


সহ-সভাপতি পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২১৯) ও মাসুম পারভেজ রুবেল (১৯১) জয়ী হয়েছেন। এ পদে ১৫৬ ভোট পেয়ে হেরেছেন রিয়াজ এবং ১১২ ভোট পেয়ে হেরেছেন ডি এ তায়েব।


সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন সাইমন সাদিক (২১২)। ১২৭ ভোট পেয়ে হেরেছেন সুব্রত।


সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহানুর ১৮৪ ভোট পেয়ে জিতেছেন, ১৫৫ ভোট পেয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলেকজান্ডার বো। 


আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী ২০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, ১৩৪ ভোট পেয়ে হেরেছেন নিরব।


সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন ২০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, ১৩৬ ভোট পেয়ে হেরেছেন জাকির হোসেন।


দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে ২৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আরমান, ১০৭ ভোট পেয়ে হেরেছেন জ্যাকি আলমগীর। কোষাধ্যক্ষ পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ খান, ১৪৬ ভোট পেয়ে হেরেছেন ফরহাদ।


এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে অঞ্জনা সুলতানা (২২৫), রোজিনা (১৮৫), অরুণা বিশ্বাস (১৯২), সুচরিতা (২০১), আলীরাজ (২০৩), মৌসুমী (২২৫), চুন্নু (২২০) আর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস (২৪০), কেয়া (২১২), জেসমিন (২০৮) ও অমিত হাসান (২১৭)।


কার্যকরী সদস্য পদে হেরেছেন- আফজাল শরীফ (১৬৩), আসিফ ইকবাল (১৬৮), গাঙ্গুয়া (৯৯), ডন (১১০), নাদির খান (১৭৯), নানা শাহ (১৬২), পরী মণি (৭৯), বাপ্পারাজ (১১৭), রবিউল ইসলাম হরবোলা (৪৭), শাকিল খান (৭৯), সাংকো পাঞ্জা (৮২), সিমান্ত (১৭৩) ও হাসান জাহাঙ্গীর (১১১)।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা। ৪২৮ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৩৬৫ ভোটার। ভোট গণনায় বাতিল হয়েছে ২৬টি ভোট।


ছবি তুলতে গিয়ে ঘটে গেলে ভয়াবহ বিপদ। ছবি তুলতে গিয়ে পা পিছলে ৭০০ ফুট নিচে চলে যায় এক পর্বতারোহী। পরবর্তীতে তার লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের লস্ট ডাচম্যান পার্কে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।


শেরিফের মুখপাত্র লরেন রেইমার ই-মেইলের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, ২১ বয়সী রিচার্ড জ্যাকবসনের লাশ ফ্ল্যাট আয়রন ট্রেইলেরর প্রায় ৭০০ ফুট নিচে পাওয়া গেছে। জ্যাকবসনের সফরসঙ্গী তার বন্ধু রাত ১২টা ৪৫ এর দিকে ৯১১ জরুরি নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে অ্যারিজোনার জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারে নামলে তার মরদেহ উদ্ধার করে। শেরিফ জানিয়েছে, পার্কটি ফোনিক্স থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে।

ফ্যামিলি মেডিসিন অ্যান্ড প্রাইমারি কেয়ার জার্নালের ২০১৮ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আড়াই শতাধিক মানুষ।


ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে নিয়ে মার্কিন মিডিয়া, ন্যাটো ও জো বাইডেন সরকারের মাতামাতিতে মেজাজটা ঠিক রাখতে পারলেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

সংবাদ সম্মেলন ডেকে পশ্চিমাদের উদ্দেশে সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমাদের সীমান্তে রুশ সেনার উপস্থিতি নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। ইউক্রেনে যেকোনও সময় হামলা হতে পারে, এ ধরনের কথা বলায় আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।’

কিয়েভে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি আরও বললেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা বলেই যাচ্ছেন, আগামীকালই যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। এমন কথা শুধু প্যানিক ছড়ায়। এটা আমাদের কত বড় ক্ষতির কারণ তা কি তারা জানেন?’

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের রাষ্ট্রদূত ও তাদের পরিবারকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সমালোচনা করেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, ‘দেশের ভেতরের এমন অস্থিতিশীলতাই এখন ইউক্রেনের জন্য বড় হুমকি।’

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন জো বাইডেন বললেন, তিনি বিশ্বাস করেন রাশিয়া আগামী মাসেই ইউক্রেনে হামলা চালাবে। আবার এর মাঝে জার্মানির পররাষ্ট্র গোয়েন্দা দফতর জানালো, তাদের তথ্য বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়ার সব প্রস্তুতি থাকলেও তারা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ন্যাটো মহসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জানালেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পূর্ব ইউরোপে তাদের জোট আরও সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া এরইমধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া হাজারো সেনা মোতায়েন করেছে এবং বেলারুশে ক্ষেপণাস্ত্রও বসিয়েছে।

এদিকে মস্কো এখনও ইউক্রেনের বিষয়ে ‘সিরিয়াস’ কোনও সিদ্ধান্তে না এলেও ন্যাটোর প্রতি তারা তাদের দাবির ব্যাপারে সোচ্চার। রাশিয়ার নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ন্যাটোকে নাক না গলাতেও বলে চলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁকে তিনি বলেছেন, কিছু করার আগে তিনি (পুতিন) আগে দেখে নেবেন যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিক্রিয়া দেখায়। আবার পুতিনকে প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেও বলে এসেছেন মাখোঁ।

এদিকে, ইউক্রেন তাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিয়ে যতই আত্মবিশ্বাসের গড়া চড়াক না কেন, তাদের ওপর রাশিয়ার হামলার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় রুশ আগ্রাসনে মারা গিয়েছিল প্রায় ১৪ হাজার জন। সেখানকার একটি বড় এলাকা দখলে রাখা বিদ্রোহীদের সমর্থনও দিয়ে আসছে পুতিন সরকার।

এর আগে কিয়েভে আক্রমণের পরিকল্পনা নেই বলে রাশিয়া জানালেও তাদের কাছে এমন দাবির প্রমাণ চেয়েছিলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।

একইদিন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ক্রেমলিন কিয়েভের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না। রাশিয়া যুদ্ধ চায় না।

 

সূত্র: বিবিসি

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget