চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রহস্যজনক সিদ্ধান্ত | Mysterious decision of Chittagong Challengers
আগের দিন সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যখন, তখনই মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য 'বিনা মেঘে বজ্রপাত' হয়ে আসে ঘটনাটি।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দল হোটেল ছাড়ার আগে হুট করে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি আর দলটির অধিনায়ক নন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অলরাউন্ডার বিপিএলই আর খেলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার দুপুরে যোগাযোগ করা হলে মিরাজ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিপিএল খেলব না ভাই।
নিজের সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) জানিয়েছেন তিনি, 'আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই দল ছেড়ে যাচ্ছি। দলকে ই-মেইল করেছি। ই-মেইল করেছি বিসিবির প্রধান নির্বাহীকেও। ' তাতে অবশ্য ভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেটি যে আসল কারণ নয়, সেটিও তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, 'ই-মেইলে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেছি যদিও।
কিন্তু চট্টগ্রামের ম্যানেজমেন্ট জাতীয় দলের ক্রিকেটারের মানহানি করেছে। এ রকমটা তারা আগেরবারও করেছে। এমন তো নয় যে আমি বাজে খেলেছি বা দল খারাপ করেছে। আমিও পারফর্ম করেছি, দলও এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে ছিল। বলা নেই কওয়া নেই - এভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। আমি খেলবই না। '
তাঁকে রহস্যজনকভাবে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষোভে রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার ফ্লাইটে তিনি চট্টগ্রাম ছাড়বেন বলেও জানিয়েছেন মিরাজ নিজেই। চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম আগের দিন অধিনায়ক বদলের ব্যাখ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, দল ছেড়ে যাওয়া হেড কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু নিক্সনের বিদায়ী সভায় এ রকম কিছুই ইংলিশ কোচকে বলতে শোনেননি বলেও জানান মিরাজ, 'ওই সভায় আমিও ছিলাম। অনেক কথা হয়েছে, কিন্তু কোচকে এ রকম কিছুই বলতে শুনিনি। বরং আমার নেতৃত্ব এবং পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিতই ছিলেন। '
এদিকে মিরাজের চলে যাওয়া বিষয়ে দল অবগত কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সিওও ইয়াসির বলেন, 'মিরাজ চলে যাচ্ছে এটি আমরা মিডিয়াতেই দেখেছি। আমাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। একটু পরেই আমরা ওর সঙ্গে বসব। '