Latest Post



অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই ‘বিশিষ্ট নাগরিকের’ মধ্যে একজন নারীকে রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জাতীয় সংসদ।

পাস হওয়া বিলে সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে, যা খসড়ায় ১০ কার্যদিবস ছিল।

আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলের ওপর এসব প্রস্তাব দেন।

প্রথমে বিলের নাম ছিল, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’। সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হয়েছে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’।

ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেনন সার্চ কমিটিতে দুই জন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার প্রস্তাব করেন। আইনমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণে সা্য় দিলে, সংসদ তা ভোটে গ্রহণ করে।

অর্থাৎ, ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশের জন্য যে সার্চ কমিটি থাকবে, সেখানে একজন নারী থাকবেন।

বিলে বলা ছিল রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক।

সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই জন বিশিষ্ট নাগরিক।

এখন রাষ্ট্রপতির মনোনীত ওই দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত হল।

বিলে সার্চ কমিটির কাজ ১০ কার্যদিবস করার বিধান রাখা হয়েছিল। সেটি এখন ১৫ কার্যদিবস করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এ সংক্রান্ত সংশোধনী সংসদ গ্রহণ করে।

জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো পাসের সময় জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা সার্চ কমিটিতে সংসদের প্রতিনিধিত্ব দাবি করেন। বিলটির নানা দিকের সমালোচনা করেন তারা।

এছাড়া বিলের ওপর বিভিন্ন শব্দ ও ছোটখাট কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সংসদ সদস্যদের ৬৪টি সংশোধনী প্রস্তাবের মধ্যে ২২টি আইনমন্ত্রী গ্রহণ করেন, যা সংসদের ভোটে পাস হয়।

সংশোধনীগুলো গ্রহণের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, এতগুলো সংশোধনী আগে কখনও গ্রহণ করা হয়নি।

বিলটি পাসের সময় জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেন, খসড়া আইনটি ‘তড়িঘড়ি করে’ আনা হয়েছে।

এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “গত ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করে। যারা সংলাপে যায়নি এবং গিয়েছেন তারা সবাই আইনের কথা বলেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আইনের বিষয়ে তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। আমরা তড়িঘড়ি করিনি। এ আইনের কথা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালেই এই আইনের কথা উঠেছিল।”

এই বিল নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরের সমালোচনার জবাব দেন আইনমন্ত্রী। সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) তৈরি করা এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া থেকে পড়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ওই দুটির সঙ্গে সরকারের আনা বিলের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই।

এখন রাষ্ট্রপতি এই বিলে সই করলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। প্রথমবারের মত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ।

দেশের পরবর্তী নির্বাচন কমিশন এই আইনের অধীনেই গঠন করা হবে, যদিও বিলটি নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের নানামুখী সমালোচনা রয়েছে।

সংসদীয় কমিটির সুপারিশসহ বিল পাস

গত রোববার বিলটি সংসদে উত্থাপন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বুধবার দুটি পরিবর্তনের সুপারিশসহ প্রতিবেদন সংসদে তোলেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।

সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা ছিল, সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। তা সংসদে গৃহীত হয়েছে।

এর ফলে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে এমন ব্যক্তিদের সার্চ কমিটি সুপারিশ করবে, যাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬ (ঘ) ধারায় বলা ছিল, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না।

এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে দিয়ে শুধু কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। অর্থাৎ, নৈতিকস্খলন ফৌজদারি অপরাধে যে কোনো মেয়াদের সাজা হলেই সিইসি বা কমিশনার হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগত্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ সংশোধনী প্রস্তাবও সংসদ গ্রহণ করেছে।

কী হবে সার্চ কমিটির কাজ

সার্চ কমিটির (অনুসন্ধান কমিটি) কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে।

আইনে বেধে দেওয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।

এ অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য দুই জন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। কমিটির গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জাম দিতে হবে।

সার্চ কমিটি সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যদের অনুসন্ধানের জন্য রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে।

কারা থাকবেন সার্চ কমিটিতে

রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক।

সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই জন বিশিষ্ট নাগরিক। এই দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন হবেন নারী। 

তিন জন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম হবে। আর কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে
  • তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • ন্যূনতম ৫০ বছর বয়স হতে হবে।
  • কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সিইসি ও কমিশনারদের অযোগ্যতা

  • সিইসি ও কমিশনার পদের জন্য ছয়টি অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে।
  • আদালত অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করলে।
  • দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে।
  • কোনো বিদেশি রাষ্ট্র্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে।
  • নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে।
  • ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট-১৯৭৩ বা বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২ এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে।
  • আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।

পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব ওঠানোর সময় জাতীয় পার্টি, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের সংসদ সদস্যরা কথা বলেন। সেসব কথার জবাব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সংশোধনী প্রস্তাব দিয়ে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তারা একটি অস্বাভাবিক সরকার আনতে চায়। তাদের সাংসদরা এখানে সংশোধনী প্রস্তাব দিলেও বিএনপি নেতারা ইতোমধ্যে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতা নিশ্চিত করা তাদের উদ্দেশ্য।”

তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অনেক ফাঁক ফোকড় ছিল, এর মধ্য দিয়ে ইয়াজউদ্দীনকে ক্ষমতায় এনে বিএনপি নির্বাচন করতে চেয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছুতোয় বিএনপি একটি অস্বাভাবিক সরকার গঠন করতে চায়।”

পরে বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, “আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছিল। তখন রজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার ঘাটতি ছিল। এখন সে ঘাটতি আরও অনেক বেড়েছে। জাতীয় থেকে স্থানীয় সব নির্বাচন মাগুরার নির্বাচনের চেয়ে অনেক খারাপ হয়। সুতরাং ৯৬ সালের চেয়ে এখন তত্ত্বাবধাক সরকার আরও বেশি দরকার।”

অংশীজনের সাথে কথা না বলে তাড়াহুড়া করে নির্বাচন কমিশন গঠনের এই আইন ‘আইওয়াশ ছাড়া’ কিছুই নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

“এই আইনটি কেবল বিএনপি নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা কঠোর সমালোচনা করেছেন। এটাকে ইসি গঠনের আইন না বলে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আইন বলা যেতে পারে।”

রুমিন বলেন, সার্চ কমিটিতে সরকারি দল, সংসদের প্রধান বিরোধী দল ও তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন করে প্রতিনিধি থাকলে স্বচ্ছতা থাকত। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে কেবল ‘সরকারের ইচ্ছায়’ ইসি গঠন হবে।

“ওই কমিশন স্বাধীন হবে না, হবে সরকারের নির্বাচন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।”

বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘শতভাগ আমলা নির্ভর’ মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “বাংলাদেশে কী বিচারপতি ও আমলা ছাড়া বিশ্বাস করার মত কেউ নেই? রাজনীতিবিদ বা সংসদ সদস্যদের কী বিশ্বাস করা যায় না? আওয়ামী লীগ এত বড় রাজনৈতিক দল, বলেন আপনাদের ক্যান্টনমেন্টে জন্ম হয়নি, তাহলে আপনারাও কেন বিচারপতি ও আমলার ওপর নির্ভর করবেন?”

চুন্নু তার বক্তব্যে স্পিকারের মাধ্যমে মনোনীত ‍দুইজন সংসদ সদস্যকে সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে রাখার প্রস্তাব করেন। 

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়েই কাজ করতে হবে। আইনে না থাকলেও যেটা হবে তা হল, অনুসন্ধান কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। সে প্যানেল যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি পাঁচজন নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দেবেন। তবে এটা যে অসাংবিধানিক- তা নয়।”

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এর আগে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আইনটি করার জন্য সময় প্রয়োজন। এই আইনটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।

নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি ‘সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দেন মেনন। এছাড়া অনুসন্ধান কমিটি যে নামগুলো দেবে সেগুলো জাতীয় সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, “এটা হলে তা অনেক ইনক্লুসিভ হবে। এ ছাড়া অনুসন্ধান কমিটি যে নামগুলো প্রস্তাব করবে সেগুলো প্রকাশ করা এবং এরপর জনমত বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন এই ব্যবস্থা করা যায়।”

বিএনপির হারুনুর রশীদ একটি ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ করার দাবি জানান।

“সংবিধানে বলা আছে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব ইসিকে সহায়তা করা। কিন্তু না করলে কী হবে তা বলা নেই। এসব নিয়ে একটি পুরো আইন হওয়া উচিত।”

যে আইনটি পাস হল, তাকে ‘সরকারের কূটকৌশল’ আখ্যা দিয়ে হারুন বলেন, “২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন হয়েছে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে আগামীতে দিনের বেলা নতুন কৌশলে নির্বাচন করবে কি না, তা নিয়ে মানুষের প্রশ্ন আছে। এখন যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তাতে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”

তার ভাষায়, এ আইনের সাথে ২০১৭ সালের সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপনের ‘খুব একটা অমিল নেই’। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের সার্চ কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হলে তাদেরও ‘বিতর্কিত’ করা হবে।

“নির্বাচন কমিশনের নামে নাটক-প্রহসন বাদ দিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার দ্বার উন্মোচন করুন। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব- আপনি উদ্যোগ নিন। সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসে নির্বাচনকালীন সময়ে কীভাবে নির্বাচনটি করবেন সেটা ঠিক করুন। সরকারে থাকতে একরকম বক্তব্য আর বিরোধী দলে গেলে অন্যরকম বক্তব্য ঠিন নয়।”

বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, “আমরা রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে গিয়ে যে আইন করার প্রস্তাব দিয়েছি, এ আইনে তার প্রতিফলন ঘটেনি।”

তবে এ আইন প্রণয়নকে ‘ভালো উদ্যোগ’ হিসেবে বর্ণনা করে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “দেরিতে হলেও আইনটি হচ্ছে। অনেকে আইনটিকে তড়িঘড়ির কথা বলেছেন। কিন্তু এর আগে তো বলা হয়েছিল ১৫ দিনে এই আইন করা সম্ভব। তাহলে তড়িঘড়ির প্রশ্ন আসছে কেন?”

সার্চ কমিটির সদস্য সংসদ থেকে এলে ‘এত বিতর্ক হত না’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংসদে পাস হওয়া ইসি গঠন আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি।

“আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটির ওই পথে হাঁটে না। ইনডেমনিটি কথা শুনলেই আওয়ামী লীগের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। বিএনপি ইনডেমনিটি দিয়ে আমাদের রক্ত ক্ষরণ করিয়েছে। এই আইনে লিগ্যাল কাভারেজ দেওয়া হয়েছে। এই আইনের মধ্যে কেউ অন্যায় করে থাকলে তাকে প্রকেটশন দেয়া হয়নি।”

জাতির পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার ও খুনিদের পুনর্বাসিত করার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলে আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।

তড়িঘড়ি আইন পাসের অভিযোগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি বলেছি এটা তড়িঘড়ি করে করার আইন নয়, এটা সত্য। বর্তমান কমিশনের মেয়াদের মধ্যে আইন করা সম্ভব নয় এটাও বলেছি। কারণ আমি বলেছিলাম করোনার সময় যে সীমিত সময়ের জন্য সংসদ বসে, এর মধ্যে এই আইন পাস করা কঠিন হবে।

“সুজনের একটি প্রতিনিধি দল আমার কাছে গিয়ে আইনের একটি খসড়া দিয়ে পাসের প্রস্তাব করেন। আমি আইনটি পাস করার জন্য সময় লাগবে বলে তাদের জানাই। তারা অর্ডিনেন্স করে এটা করার প্রস্তাবও দেন। আমি বললাম সংসদকে পাস কাটিয়ে এই আইন করব না। সংসদে নেওয়া ছাড়া এ আইন আমরা করব না।”

মন্ত্রী বলেন, “এই আইন করার প্রক্রিয়া শুরুর পর যারা বাইরে কথা বলেন তাদের আন্দোলন সৃষ্টির চেষ্টার যে টুলস বা মসল্লা, সেটা আর থাকেনি। সেজন্যই এখন তারা উঠে পড়ে লেগেছেন, তড়িঘড়ির কথা বলছে।”

সার্চ কমিটি নিয়ে সমালোচনার জবাবে আনিসুল হক বলেন, ইসি গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে ২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হয়েছিলে। তখন থেকেই এই সার্চ কমিটির ধারণা এসেছে।

“এটা কল্পনা থেকে আসেনি, আকাশ থেকেও পড়েনি। এটা তো নতুন আবিষ্কার নয়। সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত দুই কমিশন হয়েছে। যার কারণে এটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ফলে জনমত যাচাই তো দশ বছর ধরে হয়ে গেছে।”

সার্চ কমিটিতে দুইজন বিশিষ্ট নাগরিকের নিয়োগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “আমরা তো আইনে কোথাও বলিনি যে, সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে তাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিশিষ্ট নাগরিকের ক্রাইটেরিয়া তো বলে দেওয়া হয়নি। আমরা কেবল রাষ্ট্রপতিকে এই সুযোগটি দিয়েছি।”

আইনের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে, সাংবিধানিক সংস্থা ইসিতে কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। আর তা একটি আইনের অধীনে হবে। এতদিন সেই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই ইসি গঠনের সময় শুরু হয় বিতর্ক।

তা এড়াতে ২০১২ সালে নতুন কমিশন নিয়োগের সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি নামে একটি মধ্যস্থ ফোরাম তৈরি করেন, যেটি নিয়েও পড়ে বিতর্ক হয়।

এ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন।

ওই সার্চ কমিটি সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হতে যোগ্যদের নামের একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকা থেকে একজন সিইসিসহ অনধিক পাঁচজন কমিশনার নিয়োগ দেন।

এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করেছিলেন। এবারও একই পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ শুরু করেন।

কিন্তু সংলাপে অংশ নেওয়া ২৫টি দলের প্রায় সবগুলো ইসি গঠনে স্থায়ী সমাধান হিসেবে আইন প্রণয়নের উপর জোর দেয়। আলোচনায় রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে সম্মত হন বলে দলগুলোর নেতারা জানান। বিএনপিসহ সাতটি দল সংলাপে অংশ নেয়নি।

গত ১৭ জানুয়ারি বিকালে বঙ্গভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির এবারের সংলাপ। তার আগে দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয় অনেকটা আকস্মিকভাবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গেল ডিসেম্বরে ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরুর আগে বলেছিলেন, ‘সময়ের স্বল্পতার কারণে’ এবার আইন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সংলাপে অংশ নেওয়া সব দলই আইন করার পক্ষে জোরালোভাবে দাবি জানালে পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত রোববার সংসদে বিল তোলেন আইনমন্ত্রী, যা বৃহস্পতিবার পাস হল।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

আইনটি সংসদে পাস হওয়াায় এখন গেজেট প্রকাশ, সার্চ কমিটি গঠন, তাদের সুপারিশ জমাসহ বাকি সব কাজের জন্য হাতে থাকছে ১৭ দিন সময়।


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি রোগী। এ নিয়ে টানা তিন দিন ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮০৭ জন। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ১৫ হাজার ৫২৭ জন ও মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ১৬ হাজার ৩৩ জন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।

সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ২৮ হাজার ২৮৮ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৯ হাজার ৫৭৯টি, পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪২৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৬৭৭টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৯০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।


স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, ১০ জন নারী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৮০ জন আর নারী ১০ হাজার ২০৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী চার জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ আর ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী দুজন, ১১ থেকে ২০, ২১ থেকে ৩০, ৩১ থেকে ৪০ এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী একজন করে। 

অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগের। এ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আট জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জন, রাজশাহী বিভাগের দুজন আর বরিশাল ও রংপুর বিভাগের মারা গেছেন একজন করে।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। বাকি সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।

৮:৫৬ AM


দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। সদা হাস্যজ্জল ও নিজস্ব বাচন ভঙ্গিতে অনন্য এই অভিনেত্রির রয়েছে প্রচুর ফ্যান ফলোয়ার। 

সম্প্রতি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় এই অভিনেত্রীর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ইতোমধ্যে ‘মিশন মজনু’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখছেন রাশমিকা।

এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, ধর্মা প্রোডাকশনের কর্ণধার করণ জোহরের সিনেমায় অভিনয় করবেন এই অভিনেত্রী। গত ২৪ জানুয়ারি করণের অফিসে দেখা যায় তাকে। 

এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, রাশমিকাই হচ্ছেন আগামীর ‘ধর্মা গার্ল’। যদিও এ বিষয়ে ধর্মা প্রোডাকশন কিংবা রাশমিকার পক্ষ থেকে এখনো কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে ক্যারিয়ার শুরু করেন রাশমিকা মান্দানা। ২০১২ সালে ‘ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেস অব ইন্ডিয়া’ খেতাব জেতেন তিনি। 

২০১৬ সালে কন্নড় ভাষার ‘কিরিক পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। প্রথম সিনেমাতেই সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড জেতেন এই অভিনেত্রী।

এরপর ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় অভিষেক হয় রাশমিকার। অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ‘গীতা গোবিন্দম’, ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘সারিলেরু নীকেবারু’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। ‘সুলতান’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক ঘটে তার।

‘মিশন মজনু’ছাড়াও হিন্দি ভাষার ‘গুডবাই’ সিনেমায় অভিনয় করছেন রাশমিকা।

৮:৪১ AM


সারোগেসির মাধ্যমে কন্যাসন্তানের মা-বাবা হয়েছেন প্রিয়াংকা চোপড়া এবং নিক জোনাস। ইনস্টাগ্রামে প্রিয়াংকা নিজেই জানিয়েছেন সন্তানের খবর। 

তাদের বিয়ে ভাঙার জল্পনায় আপাতত ইতি হলো। প্রিয়াংকার সঙ্গে অনেকের সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যাকে নিয়ে আলোচনা শোনা যায় তার নাম বলিউড কিং শাহরুখ খান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— বলিউডে তার ক্যারিয়ারের শুরুতেই নাকি শাহরুখের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন প্রিয়াংকা।



শোনা যায়, শাহরুখের সঙ্গে কাজ করার আগে থেকেই নাকি তার প্রতি টান ছিল প্রিয়াংকার। যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী।

প্রিয়াংকার সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে মুখ খোলেননি শাহরুখও। বরাবরই প্রিয়াংকাকে সহকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। একমাত্র প্রিয়াংকার কাছে তিনি শুধুই ‘কো-স্টার’ ছিলেন!

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে— ২০০৬ সালে প্রিয়াংকার সঙ্গে প্রথম বড়পর্দায় জুটি বাঁধেন শাহরুখ। সেটি ছিল ফারহান আখতারের ‘ডন’ সিনেমা। যদিও বলিউডের নানা পার্টিতেই তাদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল।

তবে ফারহানের ‘ডন’-এর পর তার সিক্যুয়েলের সেটেই নাকি শাহরুখ এবং প্রিয়াংকা কাছাকাছি এসেছিলেন। সেটি ছিল ২০১১ সাল। ‘ডন-২’ ফিল্মের খাতিরে দুজনকে বিভিন্ন ফটোশুটে একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তবে শুটিংয়ের বাইরেও নাকি তাদের একসঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। সেসব ছবিও ধরা পড়েছে বলিউডের ক্যামেরায়।

‘ডন টু’-এর পর প্রিয়াংকার প্রতি শাহরুখের আচরণ নাকি পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক-প্রযোজকের প্রিয়াংকাকে তাদের ফিল্মে নেওয়ার জন্য নাকি অনুরোধও করেছিলেন শাহরুখ।

একসময় আইপিএলে তার মালিক শাহরুখের পাশেও ঘন ঘন দেখা গিয়েছিল প্রিয়াংকাকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ থাকলেই দলকে উৎসাহ দিতে শাহরুখের কাছাকাছি তাকে দেখা যেত। এমনকি শাহরুখের বাড়ি ‘মন্নত’-এ  প্রিয়াংকা প্রায় যেতেন বলে দেখা যেত। ফলে দুজনে যতই অস্বীকার করুন না কেন, তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়াতে সময় লাগেনি।

বলিউডে গুঞ্জন আছে, শাহরুখের কথায় নাকি নিজের জন্মদিনের পার্টিতে প্রিয়াংকাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন করণ জোহর। অথচ সেই সময় করণের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে নাকি প্রিয়াংকা আদৌ ছিলেন না। সে পার্টিতে প্রিয়াংকাকে স্বাগত জানাতে তার গালে চুম্বন একে দিয়েছিলেন শাহরুখ। সে ছবিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। 

এসব দেখে নাকি রেগে গিয়েছিলেন শাহরুখপত্নী গৌরী। পার্টিতে কেন প্রিয়াংকার সঙ্গে বেশি সময় কাটান শাহরুখ? তা নিয়ে প্রকাশ্যেই নাকি স্বামী-স্ত্রী কথা কাটাকাটি শুরু করে দিয়েছিলেন।

আরও জানা যায়, প্রিয়াংকার সঙ্গে শাহরুখের সম্পর্কের কথা সামনাসামনি না বলেও এ নিয়ে তাদের মধ্যে কম জলঘোলা হয়নি। 


অনেকে বলেন, গৌরীর কথাতেই নাকি করণ জোহরসহ বলিউডের একাংশ প্রিয়াংকাকে বয়কটও করেন।

ডন-২তে প্রিয়াংকার সঙ্গে জুটি বাঁধেননি শাহরুখ। এর পেছনেও নাকি গৌরীর হাত রয়েছে। এমনকি প্রিয়াংকার সঙ্গে ফের বড়পর্দায় দেখা গেলে বিবাহবিচ্ছেদের হুমকিও নাকি দিয়েছিলেন গৌরী। বলিউডের বাদশা নাকি নিজের ভাবমূর্তির খাতিরেই গৌরীর দাবি মেনে নিয়েছিলেন।

একসময় তো শাহরুখের সঙ্গে প্রিয়াংকার ‘সালুট’ নামে একটি বায়োপিক করার কথাও উঠেছিল। তবে সে ফিল্মে শাহরুখকে দেখেই নাকি পিছিয়ে যান প্রিয়াংকা।


বলিউড ছেড়ে হলিউডেও কম সাফল্য পাননি প্রিয়াংকা। ২০১৫ সালে কোয়েন্টিকো সিরিজের হাত ধরে তার যাত্রা শুরু। তার পর থেকে দুই-একটি বাদে হলিউডেই কাজ করছেন তিনি।

হলিউডে সাফল্যের ফাঁকেও শাহরুখের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে। শাহরুখের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্কের কথা একসময় একটি চ্যাট শোয়ে কার্যত স্বীকার করে নেন প্রিয়াংকা। সেই সময় একটি জ্যাকেট দেখিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তার সাবেক প্রেমিক তাকে সেটি উপহার দিয়েছেন। কী আশ্চর্য! ওই একই রকম জ্যাকেট তো তার আগে শাহরুখকেও পরতে দেখা গেছে।

বলিউডে আরও একটি গুঞ্জন রয়েছে। অনেকে বলেন, কানাডার টরন্টোয় গোপনে বিয়েও করে ফেলেছিলেন শাহরুখ ও প্রিয়াংকা। প্রিয়াংকার অসুস্থ বাবা নাকি চেয়েছিলেন নিজের মেয়ের বিয়ে দেখে যেতে। তবে সত্যি-মিথ্যে যাই হোক না কেন— ‘ডন-২’-এর পর প্রকাশ্যে দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন দুই তারকা।

৭:৪৯ AM


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। যিনি একাধারে মডেল, অভিনেতা এবং গায়ক। 

বিনোদন জগতে প্রায় সব জায়গায় তার পদচারণা রয়েছে। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনারও জন্ম দেন হিরো আলম।

এবার মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার তিনটি সিনেমা। এ নিয়ে তার ভক্তবৃন্দের মাঝে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। হিরো আলম অভিনীত এই সিনেমা গুলো হলো ‘নষ্ট হওয়ার কষ্ট’, ‘টোকাই’ ও ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই সিনেমা গুলো মুক্তি পাবে। হাতে আরো ৫টি সিনেমা আছে এ বছরে এগুলো শেষ করবো। খুব তাড়াতাড়ি আবারো শুর্টিংয়ে ফিরতে পারব বলে আশা করি।

৭:৪১ AM


মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করবেন বলে জানালেন বিশিষ্ট অভিনেতা আলমগীর। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন পরিষদের পরিচিতি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা জানান তিনি।

আলমগীর বলেন, মিশা-জায়েদ প্যানেলের সাংগঠনিক সম্পাদককে দেখলাম ফাইল তুলে দেখাচ্ছে আর বলছে, ‘দেখুন, এখানে নায়ক আলমগীর ভাইয়ের স্বাক্ষর আছে। ওই ফাইলটা আমি একটু দেখতে চাই। তারা হয়তো ফটোকপির মতো কিছু একটা করেছে, আমি এখনও জানি না তারা কী করেছে। আর আমি এটার জন্য ওদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করব।’

আলমগীর আরও বলেন, ‘ওরা সবসময় প্রশাসনের ভয় দেখাচ্ছে আমাদের। অনেক সময় মিথ্যা কথা বলছে, বাজে কথাও বলছে, এবার বোধ হয় একটু ভুল করেছে। এ বিষয়ে আমি নায়ক উজ্জ্বল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, আমি এর অ্যাকশন নেব। দরকার হলে একা নেব।’

আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল ও মিশা-জায়েদ প্যানেল।

অভিযোগ উঠেছে, মিশা-জায়েদ কমিটি ১৮৪ জনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তবে মিশা-জায়েদ দাবি করেন, তাদের একক সিদ্ধান্তে এটি হয়নি। সমিতির ২১ জন কেবিনেট মেম্বার ও উপদেষ্টা কমিটির সম্মতিতেই বাদ দেওয়া হয়েছে ১৮৪ জনকে।

ওই উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, সোহেল রানা, ফারুক ও ইলিয়াস কাঞ্চন। আর কেবিনেট সদস্য ছিলেন রিয়াজ ও নিপুণ। জায়েদের দাবি, ভোটার তালিকা থেকে তিনি একা কাউকে বাদ দেননি। সবার সিদ্ধান্তেই এটি করা হয়েছে। বাদ দেওয়ার ওই পেপারটিতে সবার স্বাক্ষরও রয়েছে।

সেই পেপারটি গত ২৩ জানুয়ারি মিশা-জায়েদ প্যানেল পরিচিত সভায় সবার সামনে তুলে ধরেন জায়েদ খান।


সুত্রঃ আরটিভি

৭:৩৩ AM


সম্প্রতি আল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবিতে ‘ও অন্তাভা’ আইটেম নাচে রীতিমতো পর্দায় আগুন ছড়িয়েছেন সামান্থা। এক গানেই যেন বাজিমাত। 

গোটা দুনিয়ার নজরে এখন দক্ষিণী সুন্দরী সামান্থা প্রভু। শোনা যায়, এই গানের জন্য নাকি ৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে ছিলেন তিনি। সামান্থার এই আইটেম নাচ নজর কেড়েছে বলিউড প্রযোজক করণ জোহরেরও। শোনা যাচ্ছে, করণ নাকি তার নতুন ছবিতে একটি আইটেমের জন্য বেছে নিয়েছেন সামান্থাকে।

বলিউড সুত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, করণ জোহর নাকি তার ‘লাইগার’ ছবির এক আইটেম নাচের জন্যই সই করাতে চলেছেন সামান্থাকে। এই নিয়ে নাকি অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক কথার্বাতাও সেরে ফেলেছেন করণ। তবে শুধু সামান্থাই নয়, এই গানে দেখা যেতে পারে দক্ষিণী সুপারস্টার বিজয় দেভরাকোন্ডাকেও। এই ছবি থেকেই বলিউডে পা রাখছেন দক্ষিণী এই নায়ক।

তবে করণের এই প্রস্তাব নিয়ে সামান্থার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত বছর মনোজ বাজপেয়ির সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান টু’ ওয়েব সিরিজে দেখা গিয়েছিল সামান্থা। প্রশংসিত হয়েছিল সামান্থার অভিনয়। শোনা যাচ্ছে, বলিউডের বেশ কয়েকজন পরিচালকের কাছ থেকেও ছবির অফার পেয়েছেন সামান্থা।


দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে এক ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। 

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ডেলটা ধরনের পাশাপাশি অধিকতর সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হচ্ছে।’

রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে অমিক্রনের ধরন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘ওমিক্রনের অন্য উপসর্গ কী আছে, তা বের করতে কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এর জন্য একটি ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে।’


নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইনটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

 সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার ওই প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। বহুল আলোচিত এই বিলটি পরবর্তী কার্যদিবসে পাস হবে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।

দুইদিন বিরতির পর আজ বুধবার বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’-এর রিপোর্ট উত্থাপন ছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সংশ্লিষ্ট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন।

গত রবিবার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ওই বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিলের দু’টি ধারায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। 

এই পরিবর্তনের ফলে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাজাপ্রাপ্ত হলেই তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) পদে নিয়োগে অযোগ্য হবেন। আর সিইসি-ইসির যোগ্যতায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধাসরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা’য় কর্মরতদের যুক্ত করা হয়েছে।


সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

বুধবার সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, তখন শিক্ষকদের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল যে, খবরদার! তোমরা এটা করতে পারবা না। একজন শিক্ষকও সেটা করেননি। একজন শিক্ষকের এরকম মেরুদণ্ডহীন হওয়ার কোনো কারণ নাই।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সমস্ত তরুণ প্রজন্ম তোমাদের পেছনে। সমস্ত মানুষজন তোমাদের পেছনে। তোমরা সুস্থ হও। উদাহরণ তৈরি করো। যে উদাহরণ বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুসরণ করবে।’

শিক্ষার্থীরা ভিসিকে ‘দানব’ বলেছেন। সেই ‘দানবের’ কাছে আপনারা শিক্ষার্থীদের রেখে যাচ্ছেন। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘শুনেন, ছাত্রদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। কে, কাকে, কার কাছে রেখে যাচ্ছি, সেটা সময়েই বলে দেবে।’

ভিসি’র অপসারণ সংক্রান্ত দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন দাবিদাওয়া মেনে নেবেন বলেছেন, তখন দাবির মধ্যে এই দাবিটাও তো পড়ে। 

কিন্তু সরকারেরও তো নিজস্ব টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য তাদের হয়তো একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সেলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, ওদের অনশন থেকে বের করতে পারি কিনা।’

আন্দোলনে বহিরাগতদের কোনো ইন্ধন ছিল বা আছে কিনা, এরকম এক প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমি দেখেছি যে, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কোনো উচ্চভিলাষ নাই। পুলিশ ওদের গায়ে এরকম নির্মমভাবে হাত তুলেছে, কাজেই ওদের মনের ভেতর একটা ক্ষোভ হয়েছে। সেজন্যই তারা এই আন্দোলনটা করছে। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র বাড়াবাড়ি নাই, অহেতুক কোনো দাবি নাই। ওদের দাবি শতভাগ যৌক্তিক দাবি।’

ভিসি’কে উদ্দেশ্য করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি তিন বছর আগে যখন নাকি অবসরে চলে যাই, তখন একটা চিঠি লিখে উনাকে দিয়ে যাই। সেই চিঠিতে আমি বলে দিয়েছিলাম অনেকগুলো। আমি সেখানে লিখেছিলাম স্পষ্ট করে, আপনি যদি এগুলো না করেন, ছাত্রদের এখন যে ক্ষোভ আছে, তা বিক্ষোভে রূপ নেবে। একদম অক্ষরে অক্ষরে আমার কথাটা ফলেছে।’

শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোর ৪টায় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।

গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে ভিসি’কে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ভিসি’কে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

পুলিশ তিন শ’ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এর অংশ হিসেবে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) অনশন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।


সূত্র : ইউএনবি


রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে ‘ব্যক্তি ভ্লাদিমির পুতিনের’ বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুশিয়ারি দেন। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।

বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা বিশ্বের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় বয়ে আনবে। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে তা হবে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্ববৃহৎ স্থল আগ্রাসন। 

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তুত রাখতে ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন।

মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তিনি বলেন, আমাদের কাছে নিষেধাজ্ঞার একটি কঠিন প্যাকেজ রয়েছে। আমরা দেখতে চাই আমাদের ইউরোপীয় বন্ধুরা সেই প্যাকেজটি মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। 


তিনি বলেন, যদি রাশিয়ার দ্বারা ইউক্রেনে কোনো হামলা বা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে, তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই নিষেধাজ্ঞার কঠিন প্যাকেজ রাশিয়ার ওপর আরোপ করা হবে। 

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও মস্কো এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে এসেছে। তবে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে চান।

রাশিয়া বলছে, পূর্বদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর বিস্তার দেশটির জন্য হুমকি। ইউক্রেনকে যাতে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত করা না হয়, সে জন্য পাশ্চাত্যের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও চেয়েছে মস্কো। কিন্তু ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া না পেয়ে ইউক্রেন সীমান্তে লাখখানেক সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

৪:৫৫ AM


অতিসংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ তীব্রতায় দেশে গত একদিনে আরও ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এ সময়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের বেশি। গতকাল মঙ্গলবার করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৩৩ জন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ( ২৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা) করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫২৭ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে সরকারি হিসেবে মোট শনাক্ত হলেন ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জন।

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭ জনের। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ২৭৩ জন করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৫২ জন। তাদের নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ছয় জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৯ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৯ হাজার ২৭৫টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৩টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২২ লাখ ৬১ হাজার ২৫২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ তিন হাজার ২১৫টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন আর নারী চারজন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৭৫ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ১৯৮ জন।

অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্য ৬১ থেকে ৭০ বছরের আছেন পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ আর ৯১ থেকে ১০০ বছরের আছেন তিনজন করে, ৪১ থেকে ৫০ আর ৭১ থেকে ৮০ বছরের আছেন দুইজন করে আর ১১ থেকে ২০ ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে আছেন একজন করে।

মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১০ জনই ঢাকা বিভাগের। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের আর রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন একজন করে।

অধিদফতর জানাচ্ছে, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে আর বাকি পাঁচজনের মৃত্যু বেসরকারি হাসপাতালে।


ক্যামেরুনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানাউদা মালাচি বলেছেন, 'ওই ঘটনায় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের সব রকম সাহায্য করা হবে। চিকিত্‍সা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।

আফ্রিকান নেশন্স কাপে (Africa Cup Of Nations) ক্যামেরুনের (Cameroon) ম্যাচে ধুন্দুমার কাণ্ড। জাতীয় টিমের ম্যাচ দেখার জন্য ওলেম্বে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় হঠাত্‍ই তাণ্ডব শুরু হয়। 

তাতে পড়ে মারা পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন আটজন। ৫০ জনেরও বেশি মারাত্মক ভাবে আহত। ফুটবল মাঠে ঝামেলার ঘটনা কম নেই। কিন্তু মাঠে ঢুকতে গিয়ে এ ভাবে প্রাণ হারানোর ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। 

এর আগে ২০১৫ সালে ইজিপ্টে (Egypt) একটা ম্যাচের সময় মাঠে ঢুকতে গিয়ে ১৯জন দর্শক মারা গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে জোহানেসবার্গে একটা ফুটবল ম্যাচে মাঠে ঢুকতে গিয়ে মারা গিয়েছিল ৪৩জন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম। 

জানা যাচ্ছে, করোনার কারণে মাঠে ৬০ শতাংশের বেশি দর্শক ঢোকার ক্ষেত্রে আয়োজক দেশ ক্যামেরুনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। যা তোয়াক্কা না করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তখনই ঘটেছে এই ঘটনা।

যে আটজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন মধ্য তিরিশের মহিলা, দু’জন মধ্য তিরিশের পুরুষ, এক শিশুও রয়েছে। আরও একজন মারা গিয়েছেন। তবে বডি নিয়ে তাঁর পরিবার চলে যাওয়ায় বিস্তারিত জানা যায়নি। 

ওই ঘটনা পর অবশ্য ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থা দেরি করেনি। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্টেডিয়ামের বাইরের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ম্যাচ কিন্তু হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে কোমোরোসকে ২-১ হারিয়েছে ক্যামেরুন।

৬০ হাজার দর্শক ধরে ওলেম্বে স্টেডিয়ামে। কিন্তু করোনার কারণে ৬০ শতাংশের বেশি দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা একেবারেই মানতে পারেননি দর্শকরা। নেশন্স কাপে ক্যামেরুনের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল তারা। 

তাড়াহুড়ো করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে। পুলিশ ভূমিকা কী ছিল ওই সময়, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল বা সিএএফ।

ক্যামেরুনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানাউদা মালাচি বলেছেন, ‘ওই ঘটনায় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের সব রকম সাহায্য করা হবে। চিকিত্‍সা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।.


ওমানে চলছে কিংবদন্তি ক্রিকেট তারকাদের নিয়ে লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগ। যেখানে খেলছে তিনটি দল-এশিয়ান লায়ন্স, ইন্ডিয়ান মহারাজাস এবং ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস।

টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে এসে এশিয়ান লায়ন্সে সুযোগ মিলেছে টাইগার স্পিন কিংবদন্তি মোহাম্মদ রফিকের। আর খেলতে নেমেই নিজের প্রথম ম্যাচে শোয়েব আখতার, মুত্তিয়াহ মুরালিধরনদের ভিড়ে আলো ছড়ালেন তিনি।

মবার রাতে ওমানের মাসকাটে ইন্ডিয়ান মাহারাজাসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল এশিয়ান লায়ন্স। সে ম্যাচ দিয়েই এই টুর্নামেন্টে অভিষেক হয়েছে রফিকের। আর এমন ম্যাচে দুই উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

ব্যাটিংয়ে সুযোগ পাননি। উপুল থারাঙ্গা, আসগর আফগানদের পারফরম্যান্সে ৪ উইকেটে ১৯৩ রান তোলে এশিয়ান লায়ন্স। থারাঙ্গা ৪৫ বলে ৭২, আফগান মাত্র ২৮ বলে খেলেন ৬৯ রানের ইনিংস। এছাড়া মোহাম্মদ ইউসুফের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২৬।

জবাবে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানেই থেমে যায় ইন্ডিয়ান মহারাজাস। ম্যাচটি তারা হারে ৩৬ রানে। দলের পক্ষে ওয়াসিম জাফর ২৫ বলে ৩৫ এবং মানপ্রিত গনি ২১ বলে করেন ৩৫ রান।

এশিয়ান লায়ন্সের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন নুয়ান কুলাসেকেরা। ১৪ রানে ২টি উইকেট নেন তিনি। আসগর আফগান নেন ২৩ রানে দুটি।

রফিক ৪ ওভারে ৩২ রান খরচায় তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট। এছাড়া শোয়েব আখতার ২ ওভারে ১১ রানে একটি এবং মুত্তিয়াহ মুরালিধরন ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেট পাননি।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে রফিকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। পরের ওভারেই পান সাফল্য। সেট হয়ে যাওয়া ভারতীয় ওপেনার ওয়াসিম জাফরকে শোয়েব আখতারের ক্যাচ বানান রফিক।

বাংলাদেশি এই স্পিনারের দ্বিতীয় উইকেটটাও বেশ মূল্যবান। বড় রান তাড়া করতে নামা ভারতকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন স্টুয়ার্ট বিনি। ১৪ বলে ২৫ রান করা বিনিকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান রফিক।


জন্মের পর থেকেই ভামিকাকে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের পাপারাজ্জিদের থেকে দূরে রেখেছেন তারকা দম্পতি বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। ফলে জন্মের এক বছর পরও শিশু ভামিকা দেখতে কেমন তা কেউ বলতে পারতো না। অবশেষে প্রকাশ্যে আসলো বিরাট-আনুশকার কন্যা সন্তানের ছবি ও ভিডিওচিত্র।

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে অর্ধশত রান করেছেন বিরাট কোহলি। তখন গ্যালারিতে মায়ের কোলে বসে বাবার অর্ধশত রান উপভোগ করেছেন ভামিকা। এ দৃশ্য এখন নেটমাধ্যমের আলোচনার বিষয়। নেটিজেনরাও ভামিকার প্রথম দর্শনে মুগ্ধ। তবে এই তারকা দম্পতির দাবি, তাদের কন্যার ছবি যে ক্যামেরায় ধারণ হয়েছে তা তারা খেয়াল করেনি। এমনটা জানলে ভামিকাকে গ্যালারিতেই নিয়ে আসতেন না।

তাইতো বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা দু'জনই তাদের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন, কেউ যেন ভামিকার আর কোনো ছবি কিংবা ভিডিওচিত্র না তোলে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হ্যালো বন্ধুরা! আমরা বুঝতে পারছি যে আমাদের মেয়ের ছবি গতকাল স্টেডিয়ামে ধারণ করা হয়েছে এবং তারপর তা ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে। আমরা সবাইকে জানাতে চাই যে, আমরা জানতাম না যে ক্যামেরা আমাদের ওপর তাক করা ছিল। এই ইস্যুতে আমাদের অবস্থান এবং অনুরোধ একই থাকবে।’

‘আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ হবো যদি ভামিকার ছবি ক্লিক বা কোথাও পাবলিশ না করা হয়। কারণটা আমরা আগেও বলেছি। ধন্যবাদ,’ যোগ করেন বিরাট-আনুশকা।


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম জয়ের দেখা পেলো সিলেট সানরাইজার্স। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মোসাদ্দেকের দল। সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন এনামুল হক বিজয়।

এর আগে  নিজেদের ৪র্থ ম্যাচে টসে হেরে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঢাকা। এই রান করতেও ঢাকাকে হারাতে হয় ৯ উইকেট। 

এদিন ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদ ৭ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সোহাগ গাজীর বলে স্টাম্পিং হয়ে। তামিম ইকবালকে ৩ রানে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন। 

দুই ওপেনারের বিদায়র পর নাঈম শেখ যেন টেস্ট খেলতে নামেন। তার ৩০ বলে ১৫ রানের ইনিংস অনেকটা ব্যাক ফুটে ফেলে দেয় ঢাকাকে। সঙ্গে জহুরুল ইসলামের ৪ রানে ফেরায় বড় বিপাকে পড়ে। 

মাহমুদউল্লাহ দেখে শুনে ব্যাট চালালেও ২৬ রানে খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস। দলের অন্যতম খেলোয়াড় আন্দ্রে রাসেলকে রানের খাতা খুলতে দেননি নাজমুল ইসলাম। এমন অবস্থায় শুভাগত হোমের ২১ রানের পর রুবেল হোসেনের ৬ বলে ১২ রানে কোনওমতে ১০০ ছুঁতে পারে ঢাকা।

সিলেটের পক্ষে ৪ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম, ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ২টি উইকেট নেন সোহাগ গাজী এবং ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন।

জয়ের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে  দলীয় ২১ রানে লেন্ডল সিমন্সকে হারিয়ে ফেলে সিলেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সিমন্সকে সাজ ঘরে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিদায় নেওয়ার আগে ২১ বলের মোকাবেলায় ১৬ রান করেন সিমন্স। 

এর পর ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ মিঠুন।  দলীয় ৫৯ রানের মাথায়  ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। ক্রিজে আসেন কলিন ইনগ্রাম। তাকে নিয়ে প্রায় জয়ের শেষ প্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজয়। 

তবে জয়ের জন্য দলের যখন ২ রান প্রয়োজন, তখন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। তার উইকেটিও  শিকার করেন মাশরাফি।  

তার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ বলে করেন ৪৫ রান। শেষপর্যন্ত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট। একটি করে চার-ছক্কা হাঁকানো ইনগ্রাম ১৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন রবি বোপারা।



প্রথমবার ৮ম বিপিএলে খেলতে নেমেই বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলা এই তারকা পেসার আজ নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নিয়েছেন। 

ম্যাশের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রুবেল হোসেনের তালুবন্দি হয়েছেন ২১ বলে ১৬ রান করা সিলেট সানরাইজার্স ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। এর মাধ্যমে দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে সিলেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.৪ ওভারে মাত্র ১০০ রানে অল-আউট হয়ে যায় তারকাখচিত ঢাকা। বল হাতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু আর পেস তারকা তাসকিন আহমেদ। 

বরাবরের ঘূর্ণি সহায়ক মিরপুর শেরেবাংলার উইকেটে সিলেটের নাজমুল ইসলাম অপু ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

টি-টোয়েন্টির মতো ফরম্যাটে তিনি একটি মেডেনও নিয়েছেন! অন্যদিকে পেস তারকা তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ২.৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট। সোহাগ গাজীও কম যাননি। ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ দিয়েছেন ১৭ রান। শিকার ২ উইকেট। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত পরাজয়ের পথে আছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget