Latest Post


যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থানরত মার্কিন নীতি বিশ্লেষক প্রশান্ত পরমেশ্বরণ বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা এবং এটা প্রত্যাহারের ব্যাপারটি মার্কিন স্বার্থ ও ভূরাজনৈতিক জটিল সমীকরণের অংশ হিসেবে দেখছেন

বাংলাদেশের র‍্যাব ও নিরাপত্তা বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সময় সাপেক্ষ ও জটিল হবে ধারণা করছেন মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সামনে রেখে দেয়া এ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী তৎপরতা চালাতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থানরত মার্কিন নীতি বিশ্লেষক প্রশান্ত পরমেশ্বরণ বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা এবং এটা প্রত্যাহারের ব্যাপারটি মার্কিন স্বার্থ ও ভূরাজনৈতিক জটিল সমীকরণের অংশ হিসেবে দেখছেন।

তিনি বলেন, ‘বিধি-নিষেধ আরোপ সহজ হলেও এটা প্রত্যাহার বেশ কঠিন - বিশেষ করে ট্রেজারি যখন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করে দেয়।’

পরমেশ্বর বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অর্থ - এটা মোকাবেলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ লাগবে। এছাড়া আমার সন্দেহ, যেহেতু আরো কিছু দেশের সাথে একসাথে এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তাই এটা অন্যান্য দেশের সাথে একত্রে পর্যালোচনা করতে হবে। আমি মনে করি, এটা হলো বড় চ্যালেঞ্জ।’

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে লবিস্ট নিয়োগ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুঁজি করে বাংলাদেশে সরকারবিরোধীরা জনমত গড়ে তুলতে চাইছে। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তৎপর হয়েছে সরকার।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহ্যারের পদক্ষেপ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রয়োজনে সেখানে লবিস্ট নিয়োগেরও পরামর্শ দেয়ার খবর বেরিয়েছে।

সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘নিশ্চয়ই মার্কিন সরকারকে কনভিন্স করা হয়েছে। কাজেই যে তথ্যের ভিত্তিতে দিয়েছে ওই তথ্য যতটুকু আছে সেটা কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা বা সঠিক কি সঠিক না এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে একটা বক্তব্য যাবে।’

‘এছাড়া আমেরিকাতে লবিস্ট নিয়োগের একটা কালচার আছে, ওই লবিস্ট নিয়োগ করে মার্কিন সরকারকে বুঝাতে হবে। আর ব্যক্তিদের ওপরে যে নিষেধাজ্ঞা তা প্রত্যাহার চেয়ে মার্কিন সরকারের কাছে আপিল করতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের রাজনীতির অনেক সমর্থক ও শুভাকাঙ্খী রয়েছে। উভয় দলের পক্ষে মার্কিন প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে লবিস্ট নিয়োগের কথাও শোনা যায়। সরকার বিরোধীরা বক্তব্য দিচ্ছেন এরকম আরো নিষেধাজ্ঞা আসবে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আরোপ কিংবা প্রত্যাহার করতে লবিং কতটা কাজ করছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থানরত বিশ্লেষক ড. সাঈদ ইফতেখার আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ থেকে তিনি বলেন, যে আদর্শিক ও কৌশলগত অবস্থান থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেখানে লবিস্ট নিয়োগ করে বাইডেন প্রশাসনকে প্রভাবিত করা কোনো পক্ষের জন্যই সহজ কাজ হবে না।


তার ভাষায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আমার যে দীর্ঘ অবজারভেশন সেখানে মনে হয়েছে লবিস্টদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্র নীতির সিদ্ধান্ত নেয়নি। বরং লবিস্টদের দ্বারা যে জিনিসটা হয়েছে যে আপনার যে কনসার্নটা এখানকার রাজনীতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থাটা সম্পর্কে একটা ব্রিফ তাদের কাছে যাচ্ছে। এর বাইরে খুব বড় দাগে কোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন হয় বা হবে বলে আমার কাছে কখনোই মনে হয়নি।’

বাংলাদেশের সামনের পথ কেমন হবে

এদিকে বাংলাদেশে যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারে করণীয় কী হবে - তা নিয়েও রয়েছে আগ্রহ।

এ অঞ্চলের ভূরাজনীতি ও বাইডেন প্রশাসনে নীতিগত অবস্থানের দিকটি তুলে ধরে প্রশান্ত পরমেশ্বরণ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা ও সম্পর্ক উন্নয়নই হবে একটা বড় উপায়।

‘বহুমুখী পন্থা কাজ করবে। প্রথমত যেহেতু সুনির্দিষ্ট আচরণকে তুলে ধরা হয়েছে, তার সংশোধন বা সামধান করতে হবে। একইভাবে বৃহত্তর কৌশলগত তাৎপর্যটি খতিয়ে দেখতে হবে যে কেন এটা করা হলো।’

তার মতে, ‘এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকার কী - সেখানে বাংলাদেশকে ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে চীনের ব্যাপারে। আঞ্চলিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি খাতে সহযোগিতার মত বহু বিষয় বাইডেন প্রশাসন আলোচনার টেবিলে আছে যা নিয়ে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা রাখার ব্যাপার আছে।’

অন্যদিকে ড. সাঈদ ইফতেখার আহমেদ বলছেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে এখন দক্ষ কূটনীতিই ভরসা।

তিনি বলেন, ‘স্ট্রিকট কোনো রুল নেই যে ঠিক এটা এটা করলে প্রত্যাহার হবে বা এটা হলে প্রত্যাহার হবে না। বিষয়টা অনেকটা সেরকম নয়। সুতরাং, নির্ভর করছে যে বাংলাদেশ কতটা কূটনীতিক তৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চালাতে পারছে এবং বাংলাদেশ তার অবস্থান থেকে কতটা নেগোশিয়েট করতে পেরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ওই কূটনৈতিক তৎপরতার ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার ভবিষ্যৎ।

ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘আগামী দিনে নিষেধাজ্ঞা কি বলবৎ থাকে না সেটা পরিধি বৃদ্ধি পাবে না কমবে -তা পুরোটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক দক্ষতার ওপর।’


মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর কথিত বন্দুকযুদ্ধে কেউ মারা যায়নি

বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে বিশেষ বাহিনী র‍্যাব ও তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দেখা যাচ্ছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর এক মাসে দেশে কেউ বন্দুকযুদ্ধে মরেনি।

মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ বাস্তবতায় র‍্যাবের কার্যক্রমে একটা সংস্কারের সুযোগ আছে বলেও মনে করেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘সংস্কার করতে হলে বেপরোয়াভাবে যেন কিছু না হয়। সবকিছু কন্ট্রোলের মধ্যে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনি গুলি করবেন এনকাউন্টার, আপনি বিপদে পড়েছেন, দুস্কৃতিকারীরা আপনাকে হামলা করছে সেক্ষেত্রে ব্রাশ ফায়ার করে মানুষ মারতে থাকলে তো হবে না। আপনাকে বাঁচানোর জন্য যতটুকু করার দরকার অতটুকুই করতে হবে। এ সংস্কারটা আনতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে।

অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধানে সরকারের চেষ্টা থাকলেও তা কিভাবে সম্ভবপর হবে - সেদিকে এখন দৃষ্টি সবার।

সূত্র : বিবিসি

৯:১৫ AM


লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। শরীরে আগের মতো শক্তি পান না। বার্ধ্যক্যজনীত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তিনি। বয়স প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই। তবে বসে থাকেন না। এখনও অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেমায় কম কাজ পেলেও টুকটাক নাটকে অভিনয় করছেন।

পর্দায় তিনি বাবা, জজ সাহেব, কুলি, চাকর, শিক্ষক থেকে এমন কোনো ‘চরিত্র’ নেই যা করেননি! ৪২ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ছয় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন জামিলুর রহমান শাখা। তবে অভিনয় জীবনে তার একটি আফসোস তাড়া করে বেড়ায়। কখনও ‘সেন্ট্রাল ক্যারেক্টার’-এ অভিনয়ের সুযোগ পাননি প্রবীণ অভিনেতা জামিলুর রহমান শাখা।

এফডিসির প্রযোজক সমিতি, পরিবেশক সমিতির সামনেই দেখা হয় আঞ্জুমান, মাঝির ছেলে ব্যারিস্টার, হৃদয়ের কথা, খায়রুন সুন্দরী, সত্যের মৃত্যু নেই, প্রেম পিয়াসী, আমার প্রাণের স্বামীর মতো আলোচিত সব সিনেমায় ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া জৈষ্ঠ্য অভিনেতা জামিলুর রহমান শাখার সঙ্গে। চলচ্চিত্রের মানুষদের কাছে তিনি ‘শাখা ভাই’ হিসেবে পরিচিত।

চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে গল্পের শুরুতেই এই অভিনেতা জানান, তিনি দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার একটি গ্রামে থাকেন। সেখান থেকে একটি চেক পেতে ঢাকায় এসেছিলেন। সেই সঙ্গে ভোটের আমেজ চলছে এফডিসিতে, সেটা জেনেই ঘুরে দেখতে এসেছিলেন বুধবার (১২ জানুয়ারি)। বলছিলেন, জ্যাম ঠেলে এফডিসি আসতে বেগ পোহাতে হয়ে তাকে।

ঢাকায় থাকেন না কেন জিজ্ঞেস করতেই জামিলুর রহমান শাখা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমাদের যখন ক্যারিয়ার শুরু তখনকার অনেক পরিচালক আর বেঁচে নেই। অনেক শিল্পীরাও মারা গেছেন। যারা আছেন তারা সেভাবে কাজ করেন না। তবে অধিকাংশই ভালো আছেন। আমি গত ১৭ বছর যাবত গ্রামে থাকি। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার সামর্থ্য নেই। এতো বাসা ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে থাকা সম্ভব না। আমার দুই ছেলে মেয়ে। মেয়ে ঢাকায় পড়ে। ছেলে বাইরে চাকরী করে। সপ্তাহে একদিন বাড়িতে আসে।

এই বয়সে ঢাকায় বাস করা আমার জন্য জরুরী না। এখন এতোটা সিনেমায় কাজ হয় না। টুকটাক নাটকে কাজ করি। যেদিন শুটিং থাকে আসি। জীবনে সাড়ে ছয়শো’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেও সেন্ট্রাল চরিত্র পাইনি। এটাকে আমি মনে করি আমার অক্ষমতা। তবে আমি নায়ক হওয়ার কম চেষ্টা করিনি। কিন্তু বলা হতো, শাবানার পাশে স্টার কাস্ট লাগবে। এভাবেই আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হতো। এটা আমি আমার নিজের ব্যর্থতাই বলবো। আমি যদি যোগ্য হতাম তাহলে একবার হলেও সুযোগ পেতাম।

তবে এই জীবনে আমার আর তেমন কিছু চাওয়ার নেই। আমাকে দিয়ে সব ধরনের চরিত্র করানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং নায়ক বাদে কোনো চরিত্র বাদ আছে কিনা জানা নেই। তবে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ‘রাজধানী’ সিনেমার কথা। অনেকটা ভিলেন টাইপের চরিত্র করেছিলাম। এছাড়া একবার জসিম ভাইয়ের কথায় ফাইটিংয়ের শুটিংয়ে সত্যি সত্যি তার বুকে ঘুষি মেরেছিলাম। এই জিনিসটা বেশি বেশি মনে পড়ে।

২০১৯ সাল নাগাদ চরমভাবে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন জামিলুর রহমান শাখা। তখন শিল্পী সমিতি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় বলে জানান এই অভিনেতা। এরপর থেকে সেই টাকার উপর নির্ভরশীল তার পরিবার।

জামিলুর রহমান শাখা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়ীপত্র অনুদান পাই। সেখান থেকে প্রতিমাসে আট হাজার টাকা করে পাই। আমার মেয়ে প্রতিমাসে দেয় তিন হাজার টাকা। এই এগারো হাজার টাকায় সংসার চালাতে হয়। এভাবেই সংসার চলে। অভিনয় তো তেমন করা হয় না। গাড়িতে চড়ে দূর যাত্রায় শুটিংয়ে যেতে সবচেয়ে কষ্ট হয়। তাই দূরে শুটিং হলে করি না।

৮:৫০ AM


ঢাকায় শুধুমাত্র ব্লকবাস্টার সিনেমায় ‘ছিটমহল’ মুক্তি পাচ্ছে। ঢাকার বাইরে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে চট্টগ্রামের সুগন্ধা, খুলনার শঙ্খ, নারায়াণগঞ্জের সিনেস্কোপ এবং রাজবাড়ির বৈশাখী হলে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা হাবিব নিজে। সিনেমাটির গল্পে তুলে ধরা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের করুণ অন্তঃক্ষরণের ৬৮ বছরের বঞ্চনা, যাপিত জীবনে আসা হঠাৎ আলোর ঝলকানি বিনিময়ের কাহিনী।

‘ছিটমহল’ সম্পর্কিত নানা অজানা বিষয় নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে।  সিনেমাটিতে অভিনয় করেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, মৌসুমি হামিদ, আরমান পারভেজ মুরাদ, শিমুল খান, ডন, সজলসহ অনেকেই। পরিচালক এইচ আর হাবিব সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ছিটমহল’ সিনেমায় আমরা একটা সাবলীল জীবনের গল্প বলতে চেয়েছি। এখানে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আশা করছি, দর্শকরা নিরাশ হবেন না।

সিনেমার গল্পে উঠে এসেছে, চারিদিকে অন্য দেশ মাঝখানে বসবাস অধিকারহীন  একদল মানুষের। ঐতিহাসিক এক বঞ্চনা নিয়ে জীবন-যাপন তাদের। হঠাৎই ছিটমহল বিনিময়ের ঢামাঢোল। মানুষগুলো পরে সিন্ধান্তহীনতায়। পরিবারের কেউ ছুটে যেতে চায় দেশ পরিচয়ের আকাংখা নিয়ে। কেউ চায় ভূমির ওপর নিজেকে শক্ত করে দাড় করাতে।  ফলে শুরু হয় বিভাজন অন্তঃক্ষরণ। এমন অন্তঃক্ষরণের গল্প নিয়েই ছিটমহল ছবিটি নির্মিত হয়েছে।

ছবি মুক্তি প্রসঙ্গে নির্মাতা এইচ আর হাবিব বলেন, বিশ্বের ন্যয় দেশেও বৈষ্যিক মহামারি করোনা এবং লকডাউনের কারণেই ছবিটির মুক্তি দিতে সময় লেগেছে। আমরা একটা সাবলীল জীবনের গল্প বলতে চেয়েছি। সবাই আন্তরিকভাবে কাজটি করেছেন । দর্শকরা ছবিটি গল্পের ছবি হিসেবেই নেবেন বলে মনে করি। আমি দর্শকদের জীবনের গল্প দেখার অনুরোধ করব। আশাকরি তারা নিরাশ হবেন না।

৮:৪৩ AM


বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গে যাদের অল্প-বিস্তর যোগাযোগ রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই নিঃসন্দেহে তাকে চেনেন। কারণ তিনি নিজের সাবলীল অভিনয়ে এতোটাই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন, সেটার রেশ এখনো রয়ে গেছে ঢালিউডের রূপালি ভুবনে। তার হাস্যরস ভরা কৌতুক অভিনয় এখনো অনেকের জন্য আদর্শ হয়ে আছে।

বলছি অভিনেতা দিলদারের কথা। ঢাকাই সিনেমায় কমেডি চরিত্রের তুমুল জনপ্রিয় তারকা তিনি। আজ ১৩ জানুয়ারি তার জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন চাঁদপুরে।

পড়াশোনায় বেশিদূর যেতে পারেননি দিলদার। এসএসসি পাশ করার পর পাঠ্য জীবনের ইতি টানেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার এক বছর পর চলচ্চিত্রে নাম লেখান দিলদার। ১৯৭২ সালে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা মুক্তি পায়। যেটির নাম ছিল ‘কেন এমন হয়’।

প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন দিলদার। এরপর একে একে নিজেকে কৌতুক চরিত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। উপহার দেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ ও ‘আব্দুল্লাহ’-এর মতো দর্শকপ্রিয় সফল সিনেমা।

দীর্ঘ সিনে ক্যারিয়ারে দিলদারের প্রাপ্তি দর্শকদের ভালোবাসা। এছাড়া তিনি ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

জাতীয় পুরস্কার লাভের বছরেই চলে যান দিলদার। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন জনপ্রিয়তার আকাশ ছোঁয়া এই কমেডি তারকা। তবে চলে গেলেও এখনো তিনি সবার মনে অসামান্য এক ভালোবাসার জায়গা দখল করে আছেন। সিনেমাপ্রেমী দর্শকেরা এখনো তাকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করেন।

৮:৩৫ AM


আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে লড়বেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। তিনি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের প্রার্থী। আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) প্যানেলের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি একান্ত আলাপে বলেন, ‘আমি একজন অভিনেতা। এফডিসির প্রত্যেকটা শিল্পীর সাথে আমার সম্পর্ক ভালো। তারা চান আমি নির্বাচনে অংশ নেই। সেজন্যই এবার প্রার্থী হয়েছি।’

নির্বাচনে ‘প্রেমের তাজমহল’খ্যাত নায়ক রিয়াজ কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন। তার বিপরীতে রয়েছেন হ্যাবি ওয়েট প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নায়ক রুবেল।

কেন রিয়াজকে শিল্পীরা ভোট দেবেন জানতে চাইলে রিয়াজ বলেন, ‘আমি আজ পর্যন্ত কখনও অশ্লীল ছবি করিনি, রুচিহীন কোনো কাজ করিনি। কোনো শিল্পীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। সব সময় মাটির মানুষ হয়ে শিল্পীদের পাশে থেকেছি। এসব দিক বিবেচনা করে নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে শিল্পীরা আমাকে ভোট দেবেন।’

রিয়াজ আরও বলেন, ‘পর্দার অভিনয় কেউ বাস্তবে চায় না। পাঁচ টাকা দান করে পঞ্চাশ টাকার পাবলিসিটি যারা করে তাদের ভোটাররা চায় না। বিশেষ এই পাবলিসিটি প্ল্যান আমাদের প্যানেলের কারও মধ্যে নেই। আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে সাহায্য সহযোগিতা কখনো নিজেদের ফেসবুকে দিয়ে পাবলিসিটি করবো না। সাধারণ মানুষের সামনে শিল্পীদের দুস্থ বানাতে চাই না। প্রত্যেক শিল্পীর আত্মমর্যাদা আছে। সেটাকে আমরা সম্মান জানাই।’

এদিকে চলচ্চিত্র পাড়ায় দানবীর হিসেবেই পরিচিত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। শুধু শিল্পী নয়, যে কারো বিপদে এগিয়ে আসেন ডিপজল। রুবেলও বিভিন্ন সময় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের পাশে থেকেছেন।


সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ কবরস্থানের একটি কবরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।

বৃহষ্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির ফেসবুক পেইজে কবরে আগুন জ্বলার ভিডিওটি দেখা গেছে। ঘটনাটি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সুমন কবীর, আশরাফ হোসেন, মতিনসহ বেশ কয়েকজন জানান, গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কে বা কারা কবরস্থানে থাকা পলিথিন জড়ো করে ওই কবরটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই ঘটনার ভিডিও করে ভাইরাল করার জন্য ফেসবুক পেইজে ছাড়ে। সেই ভিডিও দেখে আজ সকাল থেকে কবরস্থানে লোকজন ভিড় করে।

কবরস্থানের খাদেম আফজাল হোসেন ও মাসুদ রানা জানান, কবরস্থানের কিছু পলিথিন একত্রিত করে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। আমরা মাগরিবের নামাজ শেষে একটি কবরে আগুন জ্বলছে দেখতে পাই। পরে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।

তারা আরও জানান, ওই ব‌্যক্তিদের উদ্দেশ্য ছিল ভিডিওটি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তা ভাইরাল করা। বিষয়টি নিয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান খাদেমরা।

ওই এলাকার কাউন্সিলর মো. জুলফিকার হাসান খান জানান, কিছু কুচক্রী ইসলাম বিরোধী কুসংস্কার রটানোর জন্য এসব করেছে। কবর স্থানের পরিত্যক্ত আগাছা, পলিথিন আর শুকনা পাতা জড়ো করে কবরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না, আপনার কাছেই শুনলাম। তবে জানার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’


তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় আসিফের বিচার শুরু হলো।
 

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৩ জুন দিন ঠিক করে দেন। 

অভিযোগ গঠনের সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসিফকে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। আদালতের প্রশ্নে আসিফ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। পরে আসিফ আকবরের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের আবেদনের ওপর শুনানি করেন এ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম। এর বিরোধিতা করে আসিফের পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন ব্যরিস্টার মঈন ফিরোজ।

পরে ব্যরিস্টার মঈন ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, আসিফের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ জুন সন্ধ্যায় গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ৫ জুন রাতে আসিফকে তার মগবাজারের অফিস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় আসিফ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১ জুন রাত ৯টার দিকে একটি বেসরকারি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মামলার বাদী (শফিক তুহিন) জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।

পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। 

এরপর মামলার বাদী ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। বাদীর ওই পাস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন ১০টার দিকে আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাখ লাখ মানুষ তার লাইভে আসেন। 

লাইভে বাদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে বাদীকে শায়েস্তা করবেন বলেও হুমকি দেন। একই সঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে (বাদী) যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের ওই বক্তব্যের পর তার ভক্তরাও ফেসবুকে শফিক তুহিনকে হুমকি দেন।


সারাদেশে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের বদলে মডার্নার টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শুধুমাত্র স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ ফাইজার পেয়েছিলেন, তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হবে।

বুধবার সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, সিটি কলেজের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এবং সব পৌরসভার মেডিকেল অফিসারদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হকের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়, “কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে দেশের সকল পর্যায়ে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হল।

“এক্ষেত্রে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধুমাত্র স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ পূর্ণ বছর বয়সী) উভয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”

গত ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে তারা বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে। 

দেশে এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল কমিটি-নাইট্যাগ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৬ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৬২ জন পেয়েছেন ফাইজারের টিকা।

এছাড়া ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩০ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ২২ হাজার ৭৩৪ জন মডার্নার টিকা পেয়েছেন বুস্টার ডোজ হিসেবে।


র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত 'ভাঙ্গা তরী ছেড়া পাল' গানের বাউল মডেল মো. হেলাল হোসেন ওরফে সেলিম ফকির বগুড়ার চাঞ্চল্যকর বিদুৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তসহ মোট ৩টি হত্যা মামলার আসামি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সেলিম ফকির ২০০১ সালের বগুড়ার চাঞ্চল্যকর বিদুৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি। তিনি ১৯৯৭ সালে বগুড়ার বিষ্ণু হত্যা মামলা এবং ২০০৬ সালে রবিউল হত্যা মামলার আসামি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

খন্দকার আল মঈন জানান, আনুমানিক ৬ মাস পূর্বে এক ব্যক্তি ইউটিউবে প্রচারিত একটি গানের বাউল মডেল সম্পর্কে র‌্যাবের কাছে তথ্য প্রদান করেন যে, উক্ত মডেল সম্ভবত বগুড়ার বিদ্যুৎ হত্যা মামলার আসামি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। গতকাল রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রায় ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ফেরারি জীবন যাপন করে গত প্রায় ৪ বছর ধরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশনের পাশে এক নারীর সঙ্গে সংসার করেছেন তিনি। বিভিন্ন রেলস্টেশনে তিনি বাউল গান গেয়ে মানুষের কাছে সাহায্য নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

গ্রেপ্তারকৃত সেলিম ফকির ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করে এলাকায় মুদি দোকানদারী শুরু করেন। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। আনুমানিক ৫ বছর পূর্বে সেলিম ফকির নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে কিশোর পলাশ ওরফে গামছা পলাশের একটি গানের শুটিং চলাকালে রেললাইনের পাশে বাউল গান গাচ্ছিলেন। শুটিং এর এক ব্যক্তি তাকে গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলে 'ভাঙ্গা তরী ছেড়া পাল' শিরোনামের গানের বাউল মডেল হিসেবে তিনি অভিনয় করেন।


সুত্রঃ দ্যা ডেইলি ইস্টার


গত মাসেই পানভেলের ফার্ম হাউজে নিজের ৫৬ বছরের জন্মদিন ধুমধাম করে উদযাপন করলেন বলিউডের সুপারস্টার সলমন খান। সিনেমা হোক কিংবা কন্ট্রোভার্সি বা সমাজমূলক কোনো কাজ বরাবরই সংবাদের শিরোনামে থাকেন সলমন খান। তবে এসবের থেকে এখনো লাভ লাইফ নিয়ে বেশি চর্চায় থাকেন। ৫৬ বছরে পা দিয়েও প্রিয় অভিনেতার জীবনে প্রেমের অভাব হয়নি। অভিনেতার জীবনে প্রেম এসেছে একাধিকবার। তবে সেই প্রেম সফলতা পায়নি।


ক্যাটরিনা কইফ, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, ইউলিয়া ভন্তুর এই তিন বিদেশিনীদের প্রতি বলিউডের ভাইজানের দুর্বলতার কথা কারোর অজানা নয়। এ বার সেই তালিকায় নতুন বছরে নতুন নাম জুড়েছে। এখন বলি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে নতুন গুঞ্জন আরো এক বিদেশিনীর প্রেমে মজেছেন বলিউডের টাইগার। শোনা যাচ্ছে, হলিউড অভিনেত্রী সামান্থা লকউড নাকি তাঁর জীবনে নতুন প্রেম হয়ে এসেছেন। ইতিমধ্যে সামান্থাও বলিউড তারকাদের সঙ্গে ধীরে ধীরে নিজের আসর জমাচ্ছেন।

আমেরিকান মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে সামান্থার বেশ সুমান্থা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের বিখ্যাত কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়ার দপ্তরে দেখা গিয়েছিলো সামান্থাকে। এমনকি বলিউডের অন্যতম পরিচালক ফারহান আখতারের এক্সেল এন্টারটেনমেন্টের দফতরেও দেখা গিয়েছিল এই সুন্দরীকে । তবে হঠাৎ ভাইজানের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানোর কারণ কী? এই নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। সম্প্রতি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সলমনের সঙ্গে দেখা মিলেছিল সামান্থার। আর সেখানেই একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হয়েছিলেন দুই দেশের দুই স্টার। আর সেই ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি।

আর এরপর থেকে বলিপাড়াত্র ভাইজানের নতুন প্রেমের খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। শুধু একটা বিয়ে বাড়ি নয় এমনকি সলমনের ৫৬তম জন্মদিনের উদ‌যাপনে তাঁর পানভেলের বাড়িতেও উপস্থিত হয়েছিলে ছিলেন হলিউড অভিনেত্রী। আর তাই নতুন করে উস্কে দিয়েছে এই প্রেমের গুঞ্জন। 

আর দুই স্টারের হঠাৎ করে এই অসম বন্ধুত্বকেই প্রেমের সূচনা বলে ধরে নিয়েছেন অনেকে। তবে এই বিষয়টি সামান্থার চোখে পড়ে। তাই তিনি ভাইজানের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “তাঁর মনে হয় মানুষ অনেক কথাই বলতে পারে। অকারণেও অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন। তাঁর সাথে সলমনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। ও খুবই ভাল মানুষ। তিনি সত্যি জানেন না সবাই কেন এ ধরনের কথা বলছে। 

তাঁর সাথে হৃতিকের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। তবে কেউ ওকে জড়িয়ে কোনও কথা বলছেন না। তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় পুরো বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে।” দুজনে সত্যি সত্যি প্রেম করছে কিনা তা অবশ্য ভবিষ্যৎে জানা যাবে।


লিওনেল মেসিকে ছাড়াই অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে খেলবে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠলেও এখনো ফিটনেস ফিরে পেতে কাজ করে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। খবর ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমের।

 

লিঁওর বিপক্ষে পিএসজির ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে রোববার (৯ জানুয়ারি) রাত দেড়টায়। এ ম্যাচে দেখা যাবে না মেসিকে।

 

ক্লাবের এক স্টাফ আক্রান্ত হওয়ার পর করোনাভাইরাসে পজিটিভ হন মেসি। শুধু মেসিই নন, তিনিসহ আরও ৩ খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছিল পিএসজি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ফরাসি লিগ কাপ কুপ ডে ফ্রান্সের আগে সকল খেলোয়াড়কে যখন করোনা টেস্ট করা হয় তখন করোনা পজিটিভ আসে পিএসজির চার খেলোয়াড়ের। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে ভানিসের বিপক্ষে লিগ কাপ ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি।

 

মেসি করোনা আক্রান্ত হলে পিএসজির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘করোনা টেস্টে আমাদের চারজন ফুটবলার পজিটিভ ধরা পড়েছে। তারা হলেন- হুয়ান বেরনাত, সার্জিও রিকো, নাথান বিতুমাজাল এবং লিওনেল মেসি।

আমরা তাদের দল থেকে আলাদা করে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। তারা আমাদের স্বাস্থ্য প্রোটোকলে রয়েছে।’

৫ জানুয়ারি মেসির করোনাভাইরাসের ফল নেগেটিভ আসে। মহামারি এই রোগ থেকে মুক্তির পর মেসি ফিরেন পিএসজির আঙিনায়। এখন তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেস রিকভারি। যদিও কবে নাগাদ তিনি ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবেন তা জানা যায়নি।


ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় ভোর চারটে। সানি লিওনির বাড়িতে আচমকাই হাজির হলেন গায়ক মিকা সিং। কেন? সে কথা ফাঁস করেছেন গায়ক নিজেই। একই সঙ্গে তাঁর আর্জি, ‘আমায় ভুল ভাববেন না…’।

ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু বছর আগে। তবে সানির মুম্বইয়ের বাড়িতে নয়, কপিল শর্মার শো’য়ে এসে মিকা জানিয়েছেন সানির লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতেই ভোর চারটের সময় হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “অত দেরিতে পৌঁছেছিলাম কারণ আমার দেরি হয়ে গিয়েছিল। কেউ কিন্তু খারাপ কিছু ভেবো না। অন্য ভাবে নিয়ো না”। অত সকালে গায়ককে আসতে দেখে কী করেছিলেন সানি? মিকা জানিয়েছেন, সানি তো বিরক্ত হনইনি। বরং সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তাঁকে।

কপিলের অতিথি হয়ে এসেছিলেন সানি ও মিকা। সেখানেই সঞ্চালকের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন তাঁরা কপিল সানির কাছে অনুযোগ করেন, বেশ কিছু ধরেই নাকি সানির সঙ্গে তাঁর দেখা হচ্ছে না। পাল্টা সানি বলেন, “হ্যাঁ, তুমি তো আমায় ফোন করোনা না। হাই বলো না। কপিলও ছাড়ার পাত্র নন। কমেডি কিংয়ের জবাব, “তোমার ফোন নম্বরের অপেক্ষা করতে করতেই আমার বিয়ে হয়ে গেল”।

দিন কয়েক আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সানি। ঘটনার সূত্রপাত একটি গান নিয়ে। গানটির নাম মধুবন মে রাধিকা নাচে রে। ১৯৬০ সালে মহম্মদ রফির কন্ঠে গাওয়া এই গানের একটি রিমেক ভার্সন বের হয় সম্প্রতি। রিমেক ভার্সনের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সানি লিওনিকে। রিমেক গানটি গেয়েছেন কনিকা কাপুর ও অরিন্দম চক্রবর্তী। নির্মাতা ও গায়ক শারিব ও তোশী। নাচটিতে সানির পোশাক থেকে শুরু করে, গায়কী নিয়েই আপত্তি জানায় নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। আপত্তি উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের মথুরার পুরোহিতদের তরফেও। তাঁদের অভিযোগ রাধাকে নিয়ে এমন গান আদপে হিন্দুধর্মের ভাবাবেগে আঘাত। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, “বিধর্মীরা হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানছে। আমি সানি লিওনি, শারিব ও তোশীজিকে পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, যদি তিনি দিনের মধ্যে গানটি না মুছে তাঁরা ক্ষমা না চান তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে চাপের মুখ খোলে গানটির প্রযোজনা সংস্থা সারেগামাও। একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানান, গানের লিরিক্সের বদল করে করে নতুন গান নিয়ে আসবেন তাঁরা। আরও দাবি করেন, আগামী তিন দিনের মধ্যেই যাবতীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে সানির মধুবন মুছে ফেলবেন তাঁরা।



‘নরকের দরোজা’ নামে পরিচিত মরুভূমিতে থাকা বিশাল একটি অগ্নিকুণ্ডকে নিভিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তান। বিশ্বের অসংখ্য পর্যটক আকর্ষণকারী প্রাকৃতিক এ আগুনের গর্তটি আর হাতছানি দেবে না পর্যটকদের।

 

রহস্যময় এ অগ্নিকুণ্ডটি বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত কারণে এবং একইসাথে গ্যাস রফতানি বাড়ানোর জন্যই এটি বন্ধ করে দিতে চান প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলী বার্দিমুহামেদা।

 

আগুনের এ গর্তটি মূলত একটি জমে থাকা গ্যাসের গর্ত। কয়েক দশক ধরে এটি জ্বলছে। ভয়ানক এ প্রজ্জ্বলিত আগুনের গর্ত দেখতে অনেকেই ছুটে যান নানা দেশ থেকে।কারাকুম মরুভূমিতে ‘দারভাজা’ নামের এই গর্তটিকে ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য।

 

অনেকে বিশ্বাস করেন যে, ১৯৭১ সালে সোভিয়েত সামরিক মহড়ার সময় কোনো ভুল পদক্ষেপের কারণে এ আগুনের গর্ত তৈরি হয়। কিন্তু কানাডার অভিযাত্রী জর্জ কাউরুনিস ২০১৩ সালে গর্তের গভীরতা পরীক্ষা করে বলেছিলেন যে, এটি কিভাবে শুরু হয়েছিল তা আসলে কেউ জানে না।

স্থানীয় ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে, বিশাল গর্তটি ১৯৬০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল কিন্তু শুধুমাত্র ১৯৮০-এর দশকে এটির ভেতরে আগুন জ্বলে ওঠে। অগ্নিকুণ্ডটি তুর্কমেনিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র।

দেশটির প্রেসিডেন্ট এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘আমরা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হারাচ্ছি যার মাধ্যমে আমরা উল্লেখযোগ্য মুনাফা পেতে পারি এবং আমাদের জনগণের কল্যাণে সেসব ব্যবহার করতে পারি।’

কর্মকর্তাদের ‘আগুন নেভাতে একটি সমাধান খুঁজে বের করার’ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর আগেও আগুন নেভানোর জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করা হয়েছে। দশকের পরে দশক ধরে জ্বলছে এই অগ্নিকুণ্ডটি।

২০১০ সালেও প্রেসিডেন্ট বার্দিমুহামেদা বিশেষজ্ঞদের আগুন নেভানোর জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর ‘শাইনিং অব কারাকুম’ নামকরণ করেন তিনি।


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছে না সরকার।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে না। যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো চলছিল, ঠিক সেভাবেই চলবে।’

সোমবার করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ টিকা নিয়েছে এবং চলতি মাসের মধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকার আওতায় সবাই চলে আসবে। সেই পরিস্থিতিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না।’

শিক্ষামন্ত্রী তথ্য দেন, দেশে মোট শিক্ষার্থীর ৪৪ লাখকে করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করব। টিকা নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে না। তারা বাসায় অনলাইনে ও টিভিতে ক্লাস করবে আর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। যাদের টিকা নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে, তারাই ক্লাসে আসবে। 

 

করোনাকালে এর আগে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সময় আমাদের সংক্রমণের হার ৭ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। নতুন করে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এখন আবার সেটি ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে তখনকার তুলনায় এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো। কারণ তখন কোনো শিক্ষার্থী টিকা নেয়নি। আমরা এখন যতটুকু মনিটরিং করতে পারছি, তাতে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কাজ চলছে। সেটিকে আরও বেশি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। এর আগে শুধু স্কুলগুলোতে মনিটরিং করা হতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাকি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শিক্ষামন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবুবকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।


মা হতে চলেছেন ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য তিনি নিজেই জানিয়েছেন। অনাগত সন্তানের বাবা হিসেবে অভিনেতা শরীফুল রাজের নাম জানা গেছে।

পরীমনি জানান, পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ছবি ‘গুণীন’ সিনেমার সেটে তারা প্রেমে পড়েন। তিনদিন আগে পরিচালককে মিষ্টি খাইয়ে বিয়ের খবর জানান পরীমনি। গিয়াস উদ্দিন সেলিমও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ দুপুরে রাজের ফেসবুক আইডি থেকে পরীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ নিজেই। জানা গেছে, দেড় বছর কাজ করবেন না পরী।


২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমনির। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরীমনির প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়।


২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। কিন্তু করোনার মাঝে পরীমনিকে ৩ টাকার কাবিনে বিয়ে করেন নির্মাতা কামরুজ্জামান রনি। তবে সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি।


ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্রে করে গত বছর প্রথম আলোচনায় নাম আসে পরীমনির। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৪ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। এ মামলায় নাসির ও অমিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


এর দুই মাস যেতে না যেতেই মাদক মামলায় খোদ পরীমনিকেই আটক করে র‌্যাব। বর্তমানে জামিনে আছেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা।


৭:৪৩ AM


দুই বাংলার জনপ্রিয় মুখ নুসরাত ফারিয়ার আকর্ষণীয় ফিগার ও সৌন্দর্য সচেতনতায় জুড়ি নেই। নিয়মিত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন। প্রায়ই জিমে নিজের শরীরচর্চার বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপস ভক্তদের জন্য প্রকাশ করেন তিনি।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি পিলাটিস সেন্টারে গিয়ে বিশেষ ধরনের ব্যায়ামের সরঞ্জামাদি দিয়ে ব্যায়াম করতে গিয়েই গিয়ে হাতের কবজিতে আঘাত পেয়ে মচকে গেল তার হাত।

ফারিয়া বলেন, সব সময় তো জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট করাই হয়। দুই-তিন দিন আগে পিলাটিস করতে গিয়ে হাত মচকে ফেলেছি। হাতে প্লাস্টার না করলে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। এক সপ্তাহ পর ব্যান্ডেজ খোলা হবে।

সম্প্রতি ‘মহানগর’খ্যাত নির্মাতা পারভেজ আমিনের প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘পর্দার আড়ালে’-তে যুক্ত হন নুসরাত ফারিয়া। এটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৮ জানুয়ারি। কিন্তু শুটিংয়ে আপাতত অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার।ফারিয়া বললেন, আমার মনে হচ্ছে কয়েকটা দিন পেছাতে হতে পারে শুটিং। কারণ হাত না ভাঙলে চোটটি খুব একটা হালকা নয়, ব্যান্ডেজ খোলার পরই আসলে বলা যাবে।

চলচ্চিত্রটিতে নুসরাত ফারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ইয়াশ রোহান। চলচ্চিত্রটিতে নুসরাত ফারিয়ার চরিত্র একজন সুপারস্টার অভিনেত্রীর।চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া।


করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রেখে সংক্রমণ কীভাবে এড়াতে পারি। যারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে বা হয়ে যাচ্ছে, তারা গুজব ছড়াচ্ছেন। সব সময়ই এমন গুজব ছড়ানো হয়। আপনারা গুজবে কান দেবেন না।

আজ রবিবার (৯ জানুয়ারি) সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় করোনা পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আজ বিকেলে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আমাদের মিটিং রয়েছে। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে। সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে এসে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যায়, সে চেষ্টাই করছি আমরা। তবে, এটাও ঠিক, যদি মনে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে সংক্রমণ বাড়বে, তখন আমরা বন্ধ করে দেবো হয়তো।

শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাক এই আশা ব্যক্ত করে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতেই হয়, তখন আমরা ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দেবো। কিন্তু যতক্ষণ সে প্রয়োজন অনুভব না হবে, আমরা বন্ধ করব না। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাক।


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget