Latest Post

৬:৫৮ AM


টিভি নাটকে হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।  ২০১৭ সালে নির্মিত বড় ছেলে টেলিফিল্মে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও মেহজাবীন জুটি দাগ কেটেছে সবার হৃদয়ে।

সেই নাটকের পর থেকে গত কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন মেহজাবীন।  এই জনপ্রিয়তার মধ্যেই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  এরইমধ্যে গুঞ্জন ওঠে কোনো আদনান আল রাজীব নামে এক তরুণ নির্মাতার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন মেহজাবীন।

মেহজাবীনের প্রেমিক কে? এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলার মধ্যেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন প্রেমিক নিজেই।  মেহজাবীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি শেয়ার করলেন তিনি।

শনিবার দুপুরে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিটি শেয়ার করেছেন রাজীব। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রতীরের কোনো একটি রিসোর্টের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাজীবকে জড়িয়ে ধরে আছেন মেহজাবীন।  এটি একটি সেলফি, অর্থাৎ দুজনেই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে।  ছবির ক্যাপশনে রাজীব লিখেছেন, ‘ভালোই লাগে’।

মেহজাবীন ও রাজীবের প্রেমের গুঞ্জন অনেক দিনের।  কিন্তু কখনো সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেননি দুজনের কেউ। 

২০১৯ সালেও রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল তুমুলভাবে।  সে সময় ঢাকার একটি বিপণিবিতানে মেহ্জাবীন ও রাজীবের হাত ধরে হাঁটার একটি ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল হয়।

ঘটনাটি নিয়ে এক গণমাধ্যমে রাজীবকে নিজের বন্ধু বলে জানান মেহজাবীন।  সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বলেছিলেন, আমি যখন অন্য বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটি, তখনো সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটতে চেষ্টা করি। পেছনে যাতে না পড়ে যাই, তাই অনেক সময় হাত ধরে হাঁটি। রাজীবের হাত ধরে হাঁটার বিষয়টিকে তেমন মনে করলেই হয়। এটা কোনো ব্যাপার না। আমি একজন মানুষের হাত ধরেছি। একজন নির্মাতা কিংবা অন্য কোনো কিছু না। আশপাশে অনেক মানুষ, তাই হাত ধরেছি। অনেক দ্রুতগতিতে হেঁটে যেতে চেয়েছি।

এবার ইনস্টাগ্রামে ছবি আপলোড করে গুঞ্জনকে সত্য বলেই স্বীকার করে নিলেন তারা।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখা মেহজাবীন নাটকে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন।

অন্যদিকে আদনান আল রাজীব দেশের তরুণ নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম। বিজ্ঞাপন, নাটকে নির্মাণ করে থাকেন তিনি। মাস কয়েক আগে মুক্তি পেয়েছে তার ওয়েব ফিল্ম ‘ইউটিউমার’।


দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক সহায়তা ছাড়াই খসড়া বাজেট প্রয়ণয় করেছে আফগানিস্তানের তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়। তালেবানের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

তালেবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর থেকেই চরম অর্থনৈতিক সংকটের কবলে পড়েছে তালেবান। দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। এর মধ্যেই এই বাজেট প্রণয়নের খবর সামনে এলো। 

তালেবানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমদ ওয়ালি হাকমল খড়সা বাজেটের বিস্তারিত জানাননি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই বাজেট কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। তবে প্রকাশ করার আগে বাজেটটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে এএফপি জানিয়েছে। 

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ালি বলেন, আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব থেকে বাজেটে অর্থায়ন করার চেষ্টা করছি, আমাদের বিশ্বাস আমরা সামাল দিতে পারব।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে তালেবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানে বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোও আফগানিস্তানের বাইরে থাকা বিলিয়ন ডলারের আফগান সম্পদ আটকে রেখেছে। 

এদিকে, সরকারি চাকরিজীবীদের আটকে থাকা কয়েকমাসের বেতনের ব্যাপারে হাকমল বলেছেন, চলতি বছরের শেষের মধ্যেই সব বকেয়া বেতন শোধ করে দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। 

তবে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে স্কেল করা হচ্ছে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।


পাকিস্তানের আয়োজনে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে দেশটিতে গেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

শুক্রবার দুপুরে সচিব পাকিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

দীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাকিস্তান যাচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম যাবেন শনিবার।

শুক্রবার রাতে এ সফরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন শনিবার সেখানে সিনিয়র অফিসিয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আর রোববার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, এই সফরে ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠকের সূচি নেই। তবে অনির্ধারিত কোনো আলোচনা হলেও হতে পারে।  

মূলত আফগানিস্তান ইস্যুতে সেখানে প্রতিনিধি দল যাচ্ছে বলে সূত্রের ভাষ্য।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপেদেষ্টা গওহর রিজভী। এর আগে ২০১০ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস দেশটিতে সফর করেছিলেন।


আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির ১৭তম বিশেষ সম্মেলন আগামীকাল রোববার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে। আফগানিস্তানে মানবিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট এড়াতে ওআইসি সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলন আহবান করে।

বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রতিনিধিরাও। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৯০ জন আমন্ত্রিত প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন। আজ আরো পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গত মাসে সৌদি আরব ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলন আহ্বানের কথা জানায়। পরে পাকিস্তান সম্মেলনকে স্বাগত জানায় এবং ইসলামাবাদে সম্মেলনটি আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে।

সম্মেলন প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ হুসাইন কোরেশি বলেন, সম্মেলনের আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো মানবিক সঙ্কটের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করা হবে এই সঙ্কট আফগানিস্তানের একার পক্ষে মোকাবেলা করার সম্ভব না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থানগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করবো কারণ সঙ্কট এড়াতে আমাদের তাদের প্রয়োজন।

জাতিসঙ্ঘের তথ্য বলছে, দীর্ঘদিনের যুদ্ধ, কঠিন খরা এবং প্রচণ্ড দারিদ্র্যের কারণে আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি তীব্র খাদ্যসঙ্কটে রয়েছে। চলতি বছরের শীত মৌসুমে দেশটিতে চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির। এমন পরিস্থিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বান জাতিসঙ্ঘের।
শাহ মাহমুদ হুসাইন কোরেশি আরো বলেন, আফগানিস্তানে মানবিক সঙ্কট দেখা দিলে পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরো একটি শরণার্থীদের ঢল মোকাবেলা করতে হবে। তিনি ওআইসি সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা আশা করেন।

কোরেশি ঘোষণা করেন, আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামাবাদে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে একটি সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান এই অঞ্চলের ছয়টি দেশের সমন্বয়ে একটি প্ল্যাটফর্মও গঠন করেছে। এর প্রথম ভার্চুয়াল সম্মেলন ইসলামাবাদে, দ্বিতীয়টি ইরানে এবং তৃতীয়টি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে যোগ দিতে গতকাল সকালে সৌদি আরবে পৌঁছেন দেশটির আফগানিস্তান বিষয়ক প্রধান প্রিন্স আব্দুল্লাহ বিন খালেদ বিন সৌদ সৌদ আল কবীর এবং যুবরাজ জিলুই বিন তুর্কি। পরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বৈঠকে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ৯০ জন প্রতিনিধি ইতোমধ্যে ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন। শনিবার আরো প্রতিনিধি আসবেন।

বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদ পৌঁছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (আইডিবি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর মোহাম্মদ বিন সুলাইমান আল জাসের আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতার জন্য ওআইসি দেশগুলোকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আসন্ন সম্মেলনে ওআইসি মন্ত্রীদের অংশগ্রহণ আফগানিস্তানে শান্তির জন্য তাদের সঙ্কল্পের একটি অভিব্যক্তি।

ওআইসি মহাসচিব হিসেন ইব্রাহিম তহা সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামাবাদ পৌঁছেন। আফগানিস্তান একটি মানবিক সঙ্কটের মুখোমুখি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোকে এই সঙ্কটময় সময়ে তাদের আফগান ভাইদের সাহায্য করার উপায় বিবেচনা করার উপযুক্ত সময় এসেছে। ওআইসির এই অধিবেশন মুসলিম দেশগুলোকে আফগান জনগণকে সাহায্য করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেবে।

উল্লেখ্য গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি তালেবান। জাতিসঙ্ঘ সম্প্রতি তালেবানের পক্ষ থেকে ওই বিশ্ব সংস্থায় একজন প্রতিনিধি নিয়োগের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। অবশ্য পাকিস্তান ও চীন আফগানিস্তানের তালেবানকে সহযোগিতা করে আসছে।


শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে কাল রবিবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। অন্তবর্তীকালীন পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বড়দিন ও শীতকালীন ছুটি ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ছুটি শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন এ ধরনের নির্দেশনা আসায় বিপাকে পড়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা জানান, মন্ত্রণালয়ের পূর্ব নির্ধারিত ছুটির তালিকার পর নতুন কোনো নির্দেশনা না আসায় আমরা মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছি। শিক্ষার্থীদের অনেকেই দূর-দূরান্তে বেড়াতে গেছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় স্কুল খোলা রাখলেও এর তেমন কোনো সুফল পাওয়া যাবে না।

আজ শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-১ শাখা থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড় দিন) ও শীতকালীন অবকাশ বর্ষপঞ্জিতে উল্লেখিত ১৯-২৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের পরিবর্তে ২৪-২৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


জানা যায়, শনিবার সকালে প্রাথমিকের বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা প্রধান শিক্ষকদের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস চালিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। হঠাৎ করেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসায় ব্যাপারটি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এরপর বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর ফুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জুলফিকার আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ছুটির বিষয়টি আগে থেকেই জানিয়েছি। আজ স্কুল খোলার শেষদিন হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলে আসেনি। কেউ কেউ আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এ অবস্থায় কাল থেকে স্কুল খোলা রাখলে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে ডেকে আনতে হবে। তারপরও পাওয়া যাবে না। তাই ছুটি পুর্নবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।’


নড়াইল সদর হাসপাতালে ফের নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ঝটিকা পরিদর্শন। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় মাশরাফির পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন না হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী। রোগীদের খাবারের নানা অনিময় শুনে মাশরাফি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিভিন্ন ওয়ার্ডে গেলে রোগীরা অভিযোগ করেন, গত রাতে হাসপাতালের মাত্র তিনজনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মানতে নারাজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সী। মাশরাফি বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে হেরে যান তত্ত্বাবধায়ক।

হাসপাতালের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিকেলের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য মাশরাফি।

দীর্ঘদিন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। শনিবার সকাল ৮টায় আধুনিক সদর হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের দেখতে পাননি। হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তত্ত্বাবধায়ককে।

জানা যায়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা হাসপাল পরিদর্শন এসে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম, রোগীদের ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়ে হাজির না হওয়া, চিকিৎসক-কর্মচারীদের ছুটি না নিয়ে অফিসে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের না দেখে রোগীদের ওয়ার্ডে যান তিনি। এ সময় রোগীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।


তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সীর অনুমতি না নিয়ে বা কারো দরখাস্ততে তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নেই অথচ তিনি ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি নামঞ্জুর করলেও ছুটি ভোগ করছেন কিভাবে? মাশরাফির এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তত্ত্বাবধায়ক।

এ বিষয়ে এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, 'হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে গরিব মানুষ আসে দূর-দূরান্ত থেকে। তাদের খাবার দেওয়া হয় না, অফিস করেন না ঠিকমতো চিকিৎসকরা। আমার রোগীদের খাবার-ওষুধ পায় না, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।'

এর আগে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এমপি মাশরাফি সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম এবং চিকিৎসকদের অনুপস্থিত পান। সে সময় কয়েকজন চিকিৎসককে বদলি করে স্বাস্থ্য বিভাগ, এতে চিকিৎসক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক (৩৫) মারা গেছেন।

শুক্রবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এনিয়ে গুলির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দুজনে দাঁড়ালো।

নিহত এরশাদুল হক নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাদল সরকার (২৩) নামে এক যুবক। নিহত বাদল একই ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবুল কাশেমের স্থলে তার ছেলে এরশাদুল হক এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে চলছিল। সেই ওয়াজ মাহফিলে এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে যান। ওয়াজ মাহফিলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত সবার নিকট দোয়া কামনা করেন এরশাদুল। সেখান থেকে তারা ফেরার পথে মোটরসাইকেলে চালাচ্ছিলেন বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিলেন এরশাদ। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

গুলিবিদ্ধ এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকায় পৌঁছার আগেই রাস্তায় এরশাদুল মারা যান।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, নবীনগরে বাদলের পর এরশাদও ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আটক করতে চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ট্রাকচাপায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাবরিনা আক্তার মিতু (২২) উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শীলমুদ গ্রামের ভূঁইয়াবাড়ির মোর্তুজা ভূঁইয়ার মেয়ে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সোনাইমুড়ী থানার এসআই ইব্রাহীম খলিল বলেন, দুপুরে ঢাকায় যাওয়ার জন্য মোল্লাবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিতু। এ সময় কুমিল্লা থেকে নোয়াখালীগামী ইটবোঝাই ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোনাইমুড়ী থানা এবং হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


রাজধানীর গুলশানে মোটরসাইকেলে ধাক্কা খেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে  মো. শফিকুল ইসলাম (৩৭) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় গুলশান কোকাকোলার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে শফিকুলে। এসময় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের নিচে চাপা পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক এসআই অনিন্দ্য সরকার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। 

মৃত শফিকুল গুলশান নর্দা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আব্দুস সামাদের ছেলে। আগে ডিস লাইন সংযোগের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। বেশ কিছুদিন ব্যবসা ছেড়ে বর্তমানে বেকার ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।


রাজশাহীর বাগমারায় বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে করা মোনাজাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জান্নাত চেয়ে মোনাজাতকারী তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মো. আব্দুর রাজ্জাককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রাজশাহীর বাগমারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানান, পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক ওই দিন অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য একটি শব্দ উচ্চারণ করেছেন। এ জন্য শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে জরুরি সভা করে সর্বসিদ্ধান্তক্রমে তাকে পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে দলের সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।   

এর আগে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের জান্নাত চেয়ে মোনাজাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সেই মোনাজাতে সবাইকে আমিন বলতেও শোনা যায়।

উপজেলার তাহেরপুর শহীদ মিনার চত্বরে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ওই মোনাজাত করা হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। আর এ মোনাজাত পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মো. আবদুর রাজ্জাক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে মোনাজাতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাবুদ জাতির জনক এবং তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছেন, আল্লাহ তাদের সবাইকে জান্নাত দান করে দিও আল্লাহ। ’ 

এ সময় বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ উপস্থিত সবাইকে আমিন বলতে শোনা যায়।

তবে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের দাবি, মোনাজাত করতে গিয়ে ভুলবশত এটি হয়েছে। পরে তা সংশোধন করে নেওয়া হয়েছিল।


ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ‘রাই’-র আঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো চলছে উদ্ধার কাজ।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ফিলিপাইনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাই। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পর অঞ্চলটিতে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। বাড়িঘর ও সৈকতের রিসোর্টগুলো থেকে তিন লাখের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সুপার টাইফুন রাই ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ সিয়ারগাওয়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। দ্বীপটির কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফ্লাইট চলাচল ও বন্দরগুলো আপাতত বন্দ রাখা হয়েছে।

jagonews24

ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা এনডিআরআরএমসির মুখপাত্র মার্ক টিমবাল এএফপিকে জানিয়েছেন, দুর্যোগকবলিত এলাকায় এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন দেশটির সামরিক বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রায় ১৮ হাজার সংশ্লিষ্ট সদস্য উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।

এর আগে এনডিআরআরএমসি ঘূর্ণিঝড় রাইয়ের কারণে দেশটির আটটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। এই অঞ্চলগুলোতে বসবাস করেন তিন কোটির বেশি মানুষ।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেড ক্রসের স্থানীয় প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে গত এক দশকে ডিসেম্বর মাসে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে এটি একটি। এদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে সুপার টাইফুনের প্রভাবে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা


বুস্টার ডোজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএসে রবিবার সকালে বুস্টার টিকার কার্যক্রম শুরু করা হবে। 

শুরুর দিকে বয়স্ক এবং ফ্রন্টলাইনাররা এই ডোজের টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন। পর্যায়ক্রমে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়তে থাকবে। বুস্টার ডোজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি, ঢেউটিন ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধনী দিনে ১০০-২০০ মানুষকে টিকা দেওয়া হতে পারে। এরপর পর্যাক্রমের সারা দেশেই বুস্টার ডোজ চলমান থাকবে।

তিনি জানিয়েছেন, দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে।

৯:৩৬ AM


বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খান। বহু নায়িকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও কাউকেই জীবনসঙ্গী করেননি ভাইজান। ‘একলা চলো রে’ নীতিতেই চলছেন ৫৫ বছর বয়সী এই সুপারস্টার। তবে ভাইজানকে বিয়ে করতে অধীর অপেক্ষায় আছেন অনেক নারী। তাদেরই একজন অনিতা হাসনন্দানি।

হিন্দি টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনিতা। তিনি বিবাহিত, আছে সন্তান। তবে সালমানকে বিয়ে করতে তিনি যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। এমনকি নিজের স্বামীকেও ছেড়ে দিতে রাজি এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে সালমানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অনিতা। মজার বিষয় হলো সেই পোস্টে নিজের ছোট্ট শিশুপুত্র আরভকেও শামিল করেছেন এই অভিনেত্রী।

ভিডিওতে অনিতা সাফ জানান, যেকোনো মূল্যে তিনি বিয়ে করতে চান, এর জন্য বরকে ছাড়তেও রাজি তিনি। স্বামী রোহিত রেড্ডির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন অনিতা।

‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতে’ খ্যাত অভিনেত্রীর সেই ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। অনিতাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন ভক্তরা। সকলের মতেই এই ভিডিওটা ‘সুপার কিউট’।

এক কথায়, সালমান খানের অন্ধ ভক্ত অনিতা। গত মাসেই সালমান খানের সঙ্গে নিজের ‘ফ্যান গার্ল মোমেন্ট’ শেয়ার করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন- ‘দিল ধড়কনে দো’। এবার মজার ছলেই প্রিয় অভিনেতাকে দিলেন বিয়ের প্রস্তাব।

৯:৩০ AM


ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশ রাশমিকা মান্দানার নতুন ছবি ‘পুষ্প’ বর্জনের ডাক দিয়েছেন দেশটির কর্নাটক রাজ্যের সিনেমাভক্তরা। তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নেমেছেন। টুইটারে হ্যাশট্যাগ (#) দিয়ে ছবিটি বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন তারা, যা এখন টুইটারে ট্রেন্ড হিসেবে দেখা দিয়েছে।

‘#বয়কটপুষ্পইনকর্নাটক’ এখন টুইটার ট্রেন্ড। তবে সিনেমাভক্তদের আপত্তি ছবির গল্প কিংবা পাত্র-পাত্রীকে নিয়ে নয়। তাদের আপত্তি ছবির ভাষা নিয়ে।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ভাষার প্রচলন। ‘পুষ্প’ ছবিটি তেলেগু ভাষায় মুক্তি দেওয়া নিয়ে খেপেছেন কর্নাটকের দর্শক। কন্নড় ভাষায় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সুযোগ থাকতেও কেন ছবির মূল ভাষা তেলেগুতে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ প্রশ্ন তাদের। টুইটারে ভক্তরা একের পর এক মন্তব্য করছেন। ছবিটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

তামিলনাড়ুতে তামিল, কেরালায় মালয়ালম, কর্ণাটকে কন্নড়, তেলেঙ্গানায় তেলেগু ভাষায় কথা বলে মানুষ। ভাষার ব্যাপারে তাদের অনুভূতিও প্রবল। সে কারণে আলাদা আলাদা ভাষায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও গড়ে উঠেছে সেখানে। যদিও এক ইন্ডাস্ট্রির তারকারা অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে হরহামেশাই অভিনয় করেন। এক ইন্ডাস্ট্রির ছবি অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে মুক্তি পায় নিয়মিত।

সুকুমারের পরিচালনায় ‘পুষ্প’ ছবিতে রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে রোমান্সে মাতবেন আল্লু অর্জুন। ছবিটিতে একটি ঝাঁজালো গানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে সামান্থা রুথ প্রভুকে। আরও অভিনয় করেছেন মালয়ালম অভিনেতা ফাহাদ ফাসিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ভক্ত লিখেছেন- ‘যদি কর্ণাটকে ছবিটির মুক্তি দিতে চান, তবে অন্য সব ভার্সনের চেয়ে কন্নড় ভার্সনে মুক্তি দেওয়া হবে সবচেয়ে ভালো।’ আরেকজন লিখেছেন- ‘মানুষকে তেলেগু ভাষায় ছবিটি দেখানোর জন্য এটা একটা পরিকল্পিত এজেন্ডা।’

৯:১৯ AM

ঢাকাই সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম শাবনূর। নেচে গেয়ে অভিনয় করে কাবু করেছিলেন দর্শকদের মন। ছোট থেকে বড় সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে ঢালিউড কুইন শাবনূরের নাম। তবে দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে বড় পর্দার আড়ালে। স্থায়ী হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে।

বর্তমানে শাবনূর অভিনয় না করলেও তার জনপ্রিয়তা একবিন্দুও কমেনি। ভক্তরা আজও মুখিয়ে থাকেন এক নজর এই তারকাকে দেখার জন্য। আজ এই লাস্যময়ী ঢাকাই অভিনেত্রী কাজী শারমিন নাহার নূপুর ওরফে শাবনূরের আজ জন্মদিন।

তুমুল জনপ্রিয় এ নায়িকা ১৯৭৯ সালের আজকের এ দিনে (১৭ ডিসেম্বর) যশোরের নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন। বেশ কিছুদিন থেকেই সংবাদমাধ্যমের খবর ছিল যে, শাবনূর দেশে এসে তার জন্মদিন পালন করবেন। ভক্তদের চমক দেবেন এই অভিনেত্রী। তবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত দেশে আসা হলো না তার। তাই অস্ট্রেলিয়াতেই জন্মদিন উদ্‌যাপন করছেন তিনি পরিবারের সঙ্গে।

বেশ কয়েক মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে নিজের নানা কর্মকাণ্ডের ভিডিও নিয়মিত প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন শাবনূর। সেজন্য ‘শাবনূর’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলও খোলেন তিনি। প্রকাশ করেন বেশ কিছু ভিডিও। কিন্তু হুট করে এ অভিনেত্রী হ্যাকিংয়ের শিকার হন, এরপর সেই চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তাতে কি শাবনূরকে আটকে রাখা যায়! ফের ফিরছেন তিনি।

জন্মদিনে আবারও নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে হাজির হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাবনূর। একই দিন ভক্তদের উপহার দেবেন নতুন ভিডিও।

অস্ট্রেলিয়া থেকে শাবনূর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, 'দূরে আছি এটা ঠিক, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি এখন অনেকটাই নিয়মিত। তাই মনে হয় সবার কাছাকাছিই আছি। সবাইকে নিয়মিত দেখছি। আমি পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আলস্নাহ যেন আমাদের সবাইকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। আর আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজ আমার জন্মদিন, সে উপলক্ষে আবার ইউটিউব চ্যানেল খুলে নতুন ভিডিও আপনাদের উপহার দিতে যাচ্ছি। আশা করি চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমার পাশে থাকবেন।'

প্রয়াত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামের হাত ধরেই 'চাঁদনী রাতে' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে শাবনূরের অভিষেক হয়। এমবি ফিল্মস লিমিটেড প্রযোজিত আজিজ মোহাম্মদ নিবেদিত এই চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন সাব্বির। তবে জহিরুল হকের 'তুমি আমার' চলচ্চিত্রে সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করে সালমান শাবনূর জুটির শুভারম্ভ হয়। 

ক্যারিয়ারে সালমান শাহ ছাড়াও রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস, মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে একাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার এবং দশবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন এ অভিনেত্রী।

এক সাক্ষাৎকারে শাবনূর বলেছিলেন, পাইলট হতে চেয়েছিলেন তিনি। ভাগ্যই তাকে নায়িকা বানিয়েছে। শাবনূর মনে করেন, ভালো চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষুধা একজন অভিনেত্রীর সবসময় থাকে। অনেক চরিত্র আছে যেগুলো শাবনূরের করা হয়নি। সেগুলোতে অভিনয়ের ইচ্ছা এখনও জাগে জনপ্রিয় এ নায়িকার।

দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাস শাবনূরের। সেখানে ছেলে আইজান, মা, ভাই, বোনসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে দেশে এলে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন এ অভিনেত্রী। সবশেষ শাবনূরকে ২০১৫ সালে 'পাগল মানুষ' সিনেমায় দেখা গেছে। এরপর আর কোনো সিনেমায় পাওয়া যায়নি দর্শকপ্রিয় এ তারকাকে।


ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মাহমুদ আজ-জাহার বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের যে কোনো জায়গায় এখন তার সংগঠন হামলা চালাতে সক্ষম।

তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে এই সংগঠন যখন গঠিত হয়, তখন তার শক্তি সামর্থ্য ছিল একেবারে শুরুর পর্যায়ে; কিন্তু এখন এ সংগঠন অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। খবর প্রেস টিভির।

মাহমুদ আজ-জাহার বুধবার ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন চ্যানেলকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একেবারে শূন্যহাতে হামাস পথচলা শুরু করে এবং শত্রুদের সঙ্গে পাথর দিয়ে লড়াই করেছে; কিন্তু এখন তার যেসব ক্ষমতা অর্জিত হয়েছে, তাতে সব অধিকৃত ভূখণ্ড হুমকির মুখে পড়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে লড়াই সীমাহীন উল্লেখ করে হামাসের এ নেতা বলেন, হামাসের সাম্প্রতিক সামরিক মহড়া নিশ্চিত করে দিয়েছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে প্রতিরোধকামী এ সংগঠন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।

হামাস আরও প্রমাণ করে দিয়েছে যে, আল-আকসা মসজিদ রক্ষার ক্ষেত্রে তারা আপসহীন।

৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড গত বুধবার গাজা উপত্যকায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে।


ভারতের রাজধানী দিল্লির অপেক্ষাকৃত সচ্ছল শহরতলী গুরগাঁওয়ে গত তিন মাস ধরে প্রতি শুক্রবার জনসমক্ষে মুসলমানদের নামাজ পড়ায় বাধা দেয়ার জন্য হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীর একদল লোক নিয়মিত জড়ো হচ্ছে।

তারা শোরগোল করে দাবি করছে যে খালি জায়গাগুলোয় নামাজ আদায় বন্ধ করতে হবে। খালি জায়গা বলতে তারা মূলত বোঝাচ্ছেন কার পার্ক, কারখানা, বাজার এবং কারখানার কাছে সরকারি মালিকানাধীন প্লট এবং আবাসিক এলাকা - যেখানে শ্রমিক শ্রেণীর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা বছরের পর বছর ধরে নামাজ পড়ে আসছেন।

তারা স্লোগান দিয়ে বলছেন যে যানবাহন পার্ক করে এবং কড়া ভাষা ব্যবহার করে যেন মুসলমানদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। এ সময় তারা মুসলমানদের জিহাদি এবং পাকিস্তানি বলেও সম্বোধন করেন।

বর্তমানে সেখানে পুলিশের নিরাপত্তায় নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় কমিউনিটি গ্রুপ গুরগাঁও মুসলিম কাউন্সিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমেদ বলেছেন, ‘একটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গুরগাঁওয়ে এমনটা ঘটবে তা আমরা কখনোই ধারণা করিনি।’

দিল্লির প্রায় ১৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত গুরগাঁও শহরের একটি অংশ গত তিন দশকেরও কম সময়ের মধ্যে অজপাড়াগাঁ থেকে একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক শহরতলীতে পরিণত হয়েছে।

শহরের প্রতিটি এলাকা এখন চকচকে কাঁচ-এবং-ক্রোম অফিস টাওয়ার, বিলাসবহুল দোকান এবং সুউচ্চ অ্যাপার্টমেন্টে পূর্ণ।

একে সরকারি কর্মকর্তারা ‘মিলেনিয়াম সিটি’ অর্থাৎ সহস্রাব্দের শহর হিসেবে অভিহিত করেন - যেখানে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। এরমধ্যে হোয়াইট কলার থেকে শুরু করে ব্লু কলার অর্থাৎ পেশাজীবী থেকে শ্রমিক সব ধরনের মানুষ রয়েছেন।

এদের মধ্যে আনুমানিক পাঁচ লাখ মুসলমান নির্মাণ শ্রমিক, মেরামত শ্রমিক এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং ওই এলাকায় বসবাস করেন।

কিন্তু গুরগাঁওয়ে নামাজ পড়া নিয়ে নতুন করে কোন্দল দেখা দিতে শুরু করেছে।

“আমরা মুসলিম বা নামাজের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু প্রকাশ্যে প্রার্থনা করা হলো ‘ল্যান্ড জিহাদ’,” প্রতিবাদকারী হিন্দু গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা কুলভূষণ ভরদ্বাজ এ কথা বলেন।

মুসলিম নেতারা বলছেন, তাদের নিয়ে সর্বশেষ গুজব রটেছে, ‘মুসলমানরা যেখানে প্রার্থনা করছে সেই জমি নাকি তারা দখলের পরিকল্পনা করছে।’

অতীতে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মুসলমানদের লক্ষ্য করে ‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।

লাভ জিহাদ ছিল একটি ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যেখানে অভিযোগ আনা হয় যে মুসলমান পুরুষরা হিন্দু নারীদের বিয়ে করে তাদের ধর্মান্তরিত করে - তাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং গোহত্যার অভিযোগও আনা হয়।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা প্রায় দুই ডজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের একটি সম্মিলিত গোষ্ঠীর অংশ। এটি প্রধানত যুবক, বেকার পুরুষদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন - যাকে বলা হয় সম্মিলিত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি।

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) - যারা ২০১৪ সাল থেকে ভারতকে শাসন করছে - এসব হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোকে দীর্ঘদিন ধরে সুরক্ষা দিয়ে আসছে, বলছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্রিস্টোফ জাফ্রেলট।

তার মতে, ‘বিজেপির নৈতিক ও সামাজিক পুলিশিংয়ের উদ্দেশ্য হলো দেশটিতে প্রচলিত আইনের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুশাসন আরোপ করা।’

কিন্তু গুরগাঁওয়ে প্রথম দিকে খণ্ড খণ্ডভাবে এসব বিক্ষোভ হলেও পরে ধীরে ধীরে এটি একটি সংগঠিত আন্দোলনে রূপ নেয়। এখন স্থানীয় বাসিন্দারাও তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

‘মুসলমানরা যখন আমার বাড়ির কাছে প্রকাশ্যে নামাজ আদায় করে তখন আমাদের ভালো লাগে না। আমাদের ভয় লাগে। নামাজ শেষে তারা চারপাশে ঘুরে বেড়ায়,’ বলেছেন সুনীল ইয়াদাভ নামে স্থানীয় এক একজন বাসিন্দা। তিনি তার বাড়ির কাছে ৩৬ একর জমিতে নামাজ বন্ধ করার জন্য একটি প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী - যে রাজ্যে গুরগাঁও শহরটি অবস্থিত - প্রকাশ্যে মুসলমানদের প্রার্থনা করার নিন্দা জানান। মনোহর লাল খাত্তার বলেছিলেন, প্রকাশ্যে নামাজ পড়া ‘সহ্য করা হবে না’। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের ধর্মচর্চা এক ধরনের সংঘাত, ‘আমরা এই সংঘর্ষ চলতে দেব না।’

এভাবে বিক্ষোভটি এক প্রকার বৈধতা অর্জন করে।

২০১৮ সালে উন্মুক্ত স্থানে মুসলমানদের প্রার্থনা করার বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিবাদ শুরু হয়। আলোচনার পরে মুসলিম নাগরিক গোষ্ঠীগুলো তখন নামাজ পড়ার স্থানের সংখ্যা ১০৮টি থেকে কমিয়ে ৩৭-এ নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছিল। এই বছর বিক্ষোভ নতুন করে দানা বেঁধেছে।

তবে এর পেছনে কারণ এখনো অস্পষ্ট।

এবারে নতুন করে আলোচনার পরে নামাজ আদায়ের জায়গার সংখ্যা আরো কমিয়ে এখন ২০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।

গুরগাঁওয়ে মুসলমানেরা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে খোলা জায়গায় নামাজ পড়ছেন। এ নিয়ে বিতর্কের মূল বিষয় হল, মুসুল্লীদের জায়গা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত স্থান না থাকা।

পলিটিক্যাল ইসলামের একজন পণ্ডিত হিলাল আহমেদ বলেছেন, ‘তারা ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য এখন নাগরিক সমস্যার বিষয়টি সামনে আনছে।’

‘তারা মুসলমানদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বলছে। সমস্যা হলো, পর্যাপ্ত মসজিদ নেই।’

গুরগাঁওয়ে ১৩টির মতো মসজিদ রয়েছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র একটি শহরের নতুন অংশে অবস্থিত। অথচ এই নতুন অংশেই বেশিরভাগ অভিবাসী বসবাস করেন এবং কাজ করেন।

মুসলিম সম্পদের তত্ত্বাবধান করে এমন একটি বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেছেন, তাদের বেশিরভাগ জমি শহরের দূরবর্তী উপকণ্ঠে রয়েছে যেখানে মূলত পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠী বসবাস করে।

মুসুল্লীরা না আসায় ওইসব এলাকার ১৯টি মসজিদ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এবং গুরগাঁওয়ের প্রাণকেন্দ্রে জমি কেনার সামর্থ্য বোর্ডের ছিল না, তিনি জানান।

গুরগাঁও মুসলিম কাউন্সিলের মতে, গুরগাঁওয়ের নগর পরিকল্পনাবিদরা শহরের নতুন ও উন্নত অংশে ৪২টিরও বেশি মন্দির এবং ১৮টি গুরুদুয়ারার জন্য জায়গা বরাদ্দ করেছেন, কিন্তু মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র একটি প্লট।

পাঁচ বছর আগে দুটি মুসলিম ট্রাস্ট ধর্মীয় উদ্দেশ্যে বিক্রি করা সরকারি প্লট অধিগ্রহণের জন্য নিলামের ডাকে ব্যর্থ হয়েছিল।

আজ গুরগাঁওয়ে যা ঘটছে সেটা ২০১১ সালে প্যারিসের রাস্তায় নামাজ পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেয়, যা ডানপন্থীদের প্রতিবাদের মুখে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার কারণ ছিল, মুসলমানরা তখন মসজিদে নামাজের জন্য জায়গা পাননি। পরে নামাজের জন্য অব্যবহৃত ব্যারাক ভাড়া দেয়ার জন্য দুটি স্থানীয় মসজিদের চুক্তি হয়।

ছয় বছর পরে প্যারিসের একটি শহরতলিতে রাজনীতিবিদদের অনুরূপ প্রতিবাদ হয়েছিল - মুসুল্লীরা বলেছিলেন, টাউন হলে তারা প্রার্থনার জন্য যে কক্ষটি ব্যবহার করতেন, সেটি দখল হওয়ার পরে তাদের নামাজ পড়ার আর কোনো জায়গা নেই।

ধর্ম সবসময় ভারতের সর্বজনীন স্থানগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে এবং এখনো তাই হয় - বার্ষিক ধর্মীয় মিছিল এবং সমাবেশগুলো প্রায়শই যান চলাচলে বাধা দেয় এবং এমনকি রাস্তা বন্ধ করতে বাধ্য করে।

অবশ্য ভারতের বহুত্ববাদী ব্র্যান্ড ধর্মনিরপেক্ষতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হুমকির মুখে পড়েছে।

তবুও, গুরগাঁওয়ে, এখনো সব হারিয়ে যায়নি।

জুমার নামাজ পড়ার জন্য মুসলমানদের জন্য দোকান খুলে দিয়েছিলেন এক হিন্দু ব্যবসায়ী। গত মাসে শিখ গুরুদুয়ারাগুলো মুসলমানদের উপাসনার জন্য তাদের জায়গা অফার করেছিল, কিন্তু হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর প্রতিবাদের মুখে পরে তারা সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

ধর্ম নিয়ে ভারতে চালানো পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, বেশিরভাগ ভারতীয় বলেছেন, ‘সত্যিকার ভারতীয়’ হওয়ার জন্য সমস্ত ধর্মকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ।

এই মুহূর্তে গুরগাঁওয়ের মুসলমানরা অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগের মধ্যে আছেন। শুক্রবার কাজ থেকে ছুটি নেয়ার জন্য এবং নামাজ আদায়ের স্থান খুঁজে পেতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার জন্য অনেকে বেতন হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন।

‘আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি এবং প্রতিনিয়ত অপমানিত হই,’ বলেন হিলাল আহমেদ।

সূত্র : বিবিসি


পাকিস্তানের তেহরিক-ই তালেবানের (টিটিপি) এক নেতা অল্পের জন্য ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আফগানিস্তানে অবস্থান করা টিটিপির দুইটি সূত্রের বরাতে আল আরাবিয়া এই খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলায় টার্গেট করা হয়েছিল তেহরিক-ই তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ফকির মোহাম্মদকে। আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের চাওগাম গ্রামে মনুষ্যবিহীন ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। কিন্তু সেখানে মোল্লা  ফকির  ছিলেন না, উপস্থিত ছিলেন তেহরিক-ই তালেবানের অন্য দুইজন যোদ্ধা। হামলায়  তারা সামান্য আহত হয়েছেন।

তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটা জানা যায়নি। পূর্বে এই এলাকায় হামলার জন্য পাকিস্তান  এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবহার করেছে। 

২০১৮ সালের জুন মাসে এই কুনার প্রদেশে এক ড্রোন হামলায় টিটিপির প্রধান মোল্লা ফয়জুল্লাহ নিহত হয়েছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সেখানে পালিয়ে থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। 

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের চাওগাম আঙ্গিনা টিটিপি যোদ্ধাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

আল আরাবিয়ার খবর অনুসারে,  টিটিপি নেতা মোল্লা ফকিরকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। দীর্ঘ দিন তাকে বাগারাম কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে অন্যসব কারাবন্দীর মতো তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। 

গত ৯ নভেম্বর পাকিস্তান সরকার তেহরিক-ই তালেবানের সঙ্গে এক মাসের অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে। কিন্তু পাক সরকার টিটিপির সঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেনি দাবি করে অস্ত্রবিরতি চুক্তি থেকে গত ১০ ডিসেম্বর সরে আসে। এর একদিন পর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তাঙ্ক জেলায় পাকিস্তানে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget