Latest Post

 কৌটার ভেতর পুরোনো মুদ্রা

কৌটার ভেতর পুরোনো মুদ্রা

যুক্তরাষ্ট্রে ঔপনিবেশিক শাসন শুরুর প্রথম দিকে দেশটির কিছু এলাকায় নতুন ধরনের মুদ্রার প্রচলন করেছিল ব্রিটেন। সেই মুদ্রার নাম ছিল নিউ ইংল্যান্ড শিলিং। ইংল্যান্ডের একটি বাড়িতে সেই আমলের বিরল একটি মুদ্রার সন্ধান পাওয়া গেছে। মিষ্টি রাখার টিনের কৌটার ভেতর পাওয়া যায় মুদ্রাটি।


বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে পাওয়া মুদ্রাটি ১৬৫২ সালে বাজারে ছাড়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বে কলোনিতে ব্রিটিশ গোড়াপত্তনের সময় বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে নিউ ইংল্যান্ড শিলিং মুদ্রা ব্যবহার করা হতো। সেই হিসেবে মুদ্রাটি ৩৬৯ বছরের পুরোনো। মুদ্রাটি আগামী মাসে লন্ডনে নিলামে তোলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, মুদ্রাটি দুই লাখ পাউন্ডে বিক্রি হতে পারে।


ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যান্ডে বাইওয়েল হলে ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে পাওয়া যায় মুদ্রাটি। চিত্রকর্মবিষয়ক উপদেষ্টা বিউমন্ট বিবিসিকে বলেন, মিষ্টি রাখার অনেক পুরোনো একটি টিনের কৌটায় নিউ ইংল্যান্ড শিলিংয়ের একটি মুদ্রাসহ অন্য কিছু মুদ্রার সন্ধান মেলে। তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে থাকা ওই কৌটাটি আমার চোখে আগে কখনো পড়েনি। কিন্তু যখন এটি খুঁজে পেলাম, তখন অনেক আগ্রহ নিয়ে সেটি আমি খুললাম। প্রথমে আমার কাছে মনে হয়েছিল, এটা পুরোনো দিনের একটি উদ্ভট সংগ্রহ। তবে যেহেতু মুদ্রার বিষয়ে আমার জানাবোঝা কম, তাই আমি এটাকে পরীক্ষা করে দেখি। এর পরই বুঝতে পারি, মুদ্রাটি অনেক পুরোনো।’


যুক্তরাজ্যের মুদ্রাবিশেষজ্ঞ জেমস মর্টন বলেন, ‘নিউ ইংল্যান্ড শিলিংয়ের একটি অসাধারণ নিদর্শন এটি। মুদ্রাটি নিজ চোখে দেখার পরও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।’


যুক্তরাজ্যের নাগরিক উইলিয়াম ওয়েন্টওয়ার্থের উত্তরসূরি ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট। উইলিয়াম ওয়েন্টওয়ার্থ ১৬৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল পরিদর্শন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ শাসনের সময় তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, অনেক বছর আগে আমার কোনো এক পূর্বপুরুষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিলিংটি ইংল্যান্ডে এনেছিলেন।’

 দেশের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপের মধ্যকার বিরোধের কারণে তিন বছর ধরে ঝুলে আছে নতুন একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। এটির নাম কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রস্তাবিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি নিয়ে সানোয়ারা গ্রুপের সঙ্গে কাজী ফার্মস গ্রুপের রশি-টানাটানি চলছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দুই ব্যবসায়ী গ্রুপকে সমঝোতায় আনার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। সে জন্য বেজা এখনো কাজী ফার্মসকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেয়নি।

বেজা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩০ একর জমিতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে তাদের কাছে কাজী ফার্মস গ্রুপ ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পেশ করে। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেজার এক বোর্ড সভায় কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর গত তিন বছরেও জমি নিয়ে জটিলতার কারণে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কাজী ফার্মস গ্রুপ।

জানতে চাইলে কাজী ফার্মস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী জাহেদুল হাসান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চন্দনাইশে আমরা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চাই। সে জন্য সানোয়ারা গ্রুপ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছি। সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করা হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ আছে সেখানে বিনিয়োগে। তাঁদের আমরা জমি লিজ দেব।’

দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কাজী ফার্মস গ্রুপ ২০১৫ সালে সানোয়ারা গ্রুপের কাছ থেকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩০ একর জমি কেনে। কিন্তু এরপর কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রক্রিয়া শুরু করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের প্রেক্ষাপটে সানোয়ারা গ্রুপ ২০১৯ সালে বেজায় অভিযোগ করে, কাজী ফার্মস যে জমি অধিগ্রহণ করেছে, সেখানে পুরোপুরি সীমানা নির্ধারণ (ডিমারকেশন) করা হয়নি। অভিযোগের জেরে বেজা নিজস্ব কার্যালয়ে একাধিকবার শুনানি করলেও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমাধান হয়নি।

উভয় পক্ষকে শুনানিতে ডাকার পর বেজা সিদ্ধান্ত দেয়, সানোয়ারা গ্রুপ থেকে কাজী ফার্মস যে জমি নিয়েছে, তাতে কোনো জটিলতা দেখা যাচ্ছে না। সানোয়ারা গ্রুপের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিসংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই। তবে বেজা জানায়, অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনা করতে গিয়ে পাশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জমিতে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সেটি কিন্তু কাজী ফার্মস গ্রুপকে নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বেজার সিদ্ধান্তে খুশি না হয়ে একই বছরে, অর্থাৎ ২০১৯ সালে আদালতে মামলা করে সানোয়ারা গ্রুপ, যা এখনো চলছে। আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজী ফার্মসকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে বেজা জানিয়ে দিয়েছে। বেজার কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। তাই এখানে বেজার কিছুই করার নেই।


দুই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সানোয়ারা গ্রুপ চায় না সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হোক। কারণ, জমি কেনার সময় বিষয়টি তাদের জানায়নি কাজী ফার্মস গ্রুপ। তাই এ নিয়ে তাদের অসন্তোষ আছে। এ ছাড়া সেখানে সানোয়ারা গ্রুপের আরও জমি রয়েছে। অবশিষ্ট জমিও কিনে নিতে কাজী ফার্মসকে অনুরোধ করেছিল সানোয়ারা গ্রুপ। কিন্তু সেই জমির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিল কাজী ফার্মস। তাদের দাবি, অবশিষ্ট ওই জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা আছে। এই অস্বীকৃতির পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। বিষয়টি বেজা থেকে আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

এ নিয়ে সানোয়ারা গ্রুপের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জমি নিয়ে কাজী ফার্মসের সঙ্গে কিছু ঝামেলা হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, উভয় পক্ষের মধ্যে একটা সুরাহা হবে।’ তিনি বলেন, ‘যেখানে কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে, সেখানে মোট জমি আছে ৩০০ একরের মতো। এর মধ্যে ১৩০ একর অধিগ্রহণ করেছে কাজী ফার্মস। বাকি ১৭০ একরের মতো জমি কাজী ফার্মস নেবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা চাই, তারা বাকি জমিও কিনে নিক।’

এ সম্পর্কে সম্প্রতি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালে বেজার বোর্ড সভায় যখন কাজী ফার্মস গ্রুপের অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তখন তাদের বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। তারা সেসব শর্ত এখনো পূরণ করতে পারেনি। জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। দুই ব্যবসায়ী গ্রুপ যদি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে কিংবা সমঝোতা করে, তাহলে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হবে।

শেখ ইউসুফ হারুন আরও বলেন, কাজী ফার্মস যেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তার মাঝখানে আরও বেশ কিছু জমি আছে। সেই জমির কী হবে, তারও সুরাহা হওয়া উচিত।

এদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স পাওয়ার আগে বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিতে বলা হয়েছে কাজী ফার্মস গ্রুপকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা তা পায়নি।


পরিচয় মিলেছে বৌ-শাশুড়ির সঙ্গে লাশ হওয়া সেই যুবকেরদেয়াল লিখন। ছবি: বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বউ-শাশুড়ির মরদেহের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া সেই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।

নিহত যুবকের নাম শাহজালাল ইসলাম সোহাগ।

নিহত সুমির মা রেখা বেগম জানান, তাদের কোনো সন্তান ছিল না। সুমিকে পাশের এলাকার বাছেদ মিয়ার কাছ থেকে দত্তক নেন। নয় বছর আগে প্রবাসী জয়েনের সঙ্গে সুমির বিয়ে হয়। এই সংসারেই সুমি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর তিনি মোবাইল ফোনে শাহজালালের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন। তবে আট মাস পর সুমি আবার আগের সংসারে ফিরে আসেন। শাহজালালকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেন জয়েনকে। বিয়ের দুই মাস পর জয়েন আবার সৌদি আরবে চলে যান।

এদিকে যে ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ঘরের দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা—‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকতো। এই সবকিছুর জন্য সুমীর বাবা দায়ী। ’ অন্যদিকে এদিন নিহত শাহজালালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, সকালে ঘরে তালা দিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছেন।

দিগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বলেন, পরকীয়ার কারণে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জমিলা বেগমের দুই ছেলেই প্রবাসে থাকে। বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না। তিনি দুই ছেলের বৌকে নিয়ে থাকতেন। ইতোমধ্যে পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই ও সিআইডি’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আর দেয়ালে লেখার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

 

ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

248809838_2985311361736345_5661384838462971511_nশেষ সময়ে একটু ঝালিয়ে নেওয়া

পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

পিএসসি জানায়, পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের মোহাম্মদপুর রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যাড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম রওশন আরা মান্নানের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের জনগণের কল্যাণে এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তাছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত সংস্থা। কমিশন নিরপেক্ষভাবে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে। বর্তমানে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দফতরে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করছে। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা কমে আসছে। দুদক প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির স্বরূপ এবং কারণ উদ্ঘাটন করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরে সুপারিশ প্রেরণ করে। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দফতরসমূহ তাদের প্রতিষ্ঠানে সংগঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে। দুদকের এরূপ কার্যক্রমের ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরে দুর্নীতির মাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছে। এ কর্মকৌশলের আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি; ‘স্কুল-কলেজের সততা সংঘ’ গঠন এবং ‘সততা স্টোর’ স্থাপন করা হয়েছে । এসব ইতিবাচক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলে দুর্নীতি প্রতিরোধে গ্রহণ করা যাবতীয় ব্যবস্থার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
(jagonews24)

এম. নজরুল ইসলাম : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। এই দিনে আবির্ভাব ঘটেছিল কথিত ওয়ান ইলেভেন-এর। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনা নিয়ন্ত্রিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’।

‘ওয়ান ইলেভেন’ এর এই পটপরিবর্তন নানা অস্বস্তির জন্ম দেয় শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই দুই বছরে দল ভাঙা-দল গড়ার ‘খেলা’ও ওই সময়ে দেখে জনগণ। সে সময় দুর্নীতির মামলায় বহু রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে মুক্তি দিয়েই নির্বাচনের দিকে এগোতে হয় ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’কে। আজ ১১ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ শেষে ২০০৮ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
আমরা যদি একটু পেছন ফিরে দেখি তাহলে দেখতে পাই, ২০০৭ সালে একটি চেপে বসা অপশক্তি কী প্রতাপে দেশ শাসন করে গেছে! চেপে বসা শাসকদের চাপে পিষ্ট তখন গণতন্ত্র। রাজনীতি যেন গর্হিত অপরাধের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। রাজনীতিক পরিচয় দিতেও অনেকে কুণ্ঠিত ছিলেন তখন। পাঁচ বছরের জোট অপশাসনের পর চেপে বসা শাসককূল তখন রীতমতো ত্রাস। রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলার আভাস দিয়ে রাজনীতি থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করার কথা তখন এমন করে বলা হতো, যেন রাজনীতি এক গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত। অবশ্য জোট অপশাসন রাজনীতিকে অনেকটাই সে পর্যায়ে নিয়ে যায়। আর সেই সুযোগেই চেপে বসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মোড়কে ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’ নামের নতুন এক শাসনব্যবস্থা। ওয়ান-ইলেভেন নামের পট পরিবর্তনের পর সরকার পরিচালনায় আসা এই সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পর সাহসী রাজনীতির পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাসকে মুছে ফেলার কী কুৎসিত-নির্মম ও ভয়াবহ চক্রান্তই না করেছিল প্রতিক্রিয়াশীল চক্র! চেষ্টা করেছে সংকীর্ণ রাজনীতির হীনম্মন্যতার ছদ্মাবরণে তাঁর ভাবমূর্তি নস্যাৎ করতে। রাজনৈতিক নিষ্ঠুর প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও চক্রান্তের জাল বিছিয়েছে গোপনে!
আমরা যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখতে পাই জীবনের সিংহভাগ তাঁকে থাকতে হয়েছে কারা অভ্যন্তরে। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের এই মহান নেতাকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি পশ্চিম পাকিস্তানের চেপে বসা শাসকগোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধুর মতোই যেন ভাগ্যবরণ করতে হয়েছে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে। দেশের মানুষ যখন অধিকারবঞ্চিত, ১৯৮১ সালে তিনি চেপে বসা শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে দাঁড়িয়েছেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের পাশে। যেমন দাঁড়িয়েছিলেন জাতির পিতা। শেখ হাসিনার চলার পথটা সহজ ছিল না কোনোদিনই।
এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে জেল জুলুম নতুন কোন ঘটনা নয়। মহৎ রাজনীতিকরা কারাগারে বসেই তাঁদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা করেছেন, এমন অনেক নজির আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাও নির্জন কারাবাসকালে অলস সময় কাটাননি। কারাগারের নির্জনতাকে তিনি তাঁর সৃজনশীল রাজনৈতিক চিন্তায় সময় পার করেছেন। তাঁর চরিত্রের যে বিষয়টি সবারই নজর কাড়ে তা হচ্ছে তাঁর গভীর প্রত্যয়। দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ জননেত্রী গভীর সঙ্কটেও জনগণের কল্যাণ চিন্তা করেন। সেই চিন্তার প্রতিফলন এরই মধ্যে ঘটেছে। এক স্মৃতিচারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার যে পরিকল্পনা, তা সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাগারে নিঃসঙ্গ দিনগুলোতেই তৈরি করেছিলেন তিনি।
আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন লক্ষ করা যায়। রাজনীতির ইতিহাসে কিছু কিছু ঘটনা ঘুরে ঘুরে আসে। যদি বলা হয় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, খুব একটা বাড়িয়ে বলা হবে না। আমাদের দেশের রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুকে কোনোদিন মুছে ফেলা যাবে না। যদিও তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার অনেক চেষ্টাই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অভিষেক যেমন তাঁর জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না, তেমনি মসৃণ নয় তাঁর রাজনৈতিক চলার পথটিও। পায়ে পায়ে পাথর ঠেলে, শেখ হাসিনাকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক কল্যাণের যে পথযাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর, তা থেকে তাঁকে বিচ্যূত করা যায়নি। ১৯৮১ থেকে এই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাটি একেবারেই কুসুমাস্তীর্ণ বলা যাবে না। বরং কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বাবার মতই অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন। দীর্ঘদিন কাটাতে হয়েছে নিঃসঙ্গ পরবাস। স্বামী-সন্তান নিয়েও গভীর বেদনার দিন পার করতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্য সদস্যদের হারিয়েও স্বদেশে ফিরতে পারেননি তিনি। দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পরও ছায়ার মতো তাঁকে অনুসরণ করেছে ঘাতক। একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন। বসেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে। জনস্বার্থে ১৯৮৮ সালে পদত্যাগ করলেন। তারপর যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে কয়েকবার চট্টগ্রামে, কোটালিপাড়ায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। বাংলার মানুষের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে শত্রু। তারপরও ষড়যন্ত্র কম হয়নি তাঁকে নিয়ে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করাটাও ছিল গভীর এক ষড়যন্ত্র । ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে দেশে ফিরে আসার পর থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৯০ ও ২০০৭ সালেও গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
আজকের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে অনেক কালো অধ্যায় পার হয়ে আসতে হয়েছে। এখনও বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে চলতে হচ্ছে। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, শেখ হাসিনার পায়ে পায়ে পাথর। সেই পাথর সরিয়ে শেখ হাসিনা গত দশ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে এক সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গভীর এক ষড়যন্ত্রের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দেশ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তারই রেশ। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। বঙ্গবন্ধুকন্যাই পারেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে উন্নয়নের নতুন পথে শনৈ শনৈ এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর এখন অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
‘মানুষের দায় মহামানবের দায়, কোথাও সীমা নেই। অন্তহীন সাধনার ক্ষেত্রে তার বাস। … দেশ কেবল ভৌমিক নয়, দেশ মানসিক। মানুষে মানুষে মিলিয়ে এই দেশ জ্ঞানে জ্ঞানে, কর্মে কর্মে।…আমরাও দেশের ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি। সেই ভবিষ্যৎকে ব্যক্তিগতরূপে আমরা ভোগ করব না। …ভবিষ্যতে যাঁদের আনন্দ, যাঁদের আশা, যাঁদের গৌরব, মানুষের সভ্যতা তাঁদেরই রচনা। তাঁদেরই স্মরণ করে মানুষ জেনেছে অমৃেেতর সন্তান, বুঝেছে যে, তার সৃষ্টি, তার চরিত্র, মৃত্যুকে পেরিয়ে।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কথাগুলো শেখ হাসিনার জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য। তিনি দেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজের বর্তমান। ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানকে ভোগ করেন না তিনি। আর সে কারণেই বাঙালির সঙ্গে তাঁর জন্মান্তরের নিবিড় যোগসূত্র। দেশের মানুষের আস্থা ও অস্তিত্বে তাঁর স্থায়ী আসন। মানুষের পাশে থাকেন সবসময়।
অমৃতের সন্তান শেখ হাসিনা চেপে বসা তত্ত্বাবধায়কদের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ২০০৮ সালের ১১ জুন। তাঁর মুক্তিতে সেদিন যেন মুক্তি পেয়েছিল গণতন্ত্র। ১১ জুন তাই গণতন্ত্রের মুক্তির দিন। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার দিন ১১ জুন। আবার এটাও তো সত্য যে, দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তৎপর। ঘাপটি মেরে আছে রাজনৈতিক অপশক্তিও। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। গণতন্ত্রের মুক্তির এই দিনে সেই মন্ত্রে নতুন করে উজ্জীবিত হতে হবে। দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে। জনকল্যাণে তিনি নিজেকে সমর্পন করেছেন। তাঁর ভাবনার জগৎ জুড়ে কেবলই দেশের জনগণ। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে ৯ জুন রবিবার সংবাদ সম্মেলনেও তাঁর দার্ঢ্য উচ্চারণ, ‘আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমি যা কাজ করি দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করি।’
লেখক : সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। সব মিলে গত মার্চ পর্যন্ত এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। ফলে ব্যাংকিং খাতে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলো। যুগান্তর


বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছেন। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৪ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ রাইটঅফ বা অবলোপন করা হয়েছে। সব মিলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, ঋণখেলাপিদের ছাড় দেয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার পর অনেকেই ঋণ পরিশোধ কমিয়ে দেন। তারা ওই সুবিধা নিতে ঋণখেলাপি হন। এছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণগুলো এখন খেলাপি হয়ে গেছে। বিশেষ ছাড় দিয়ে যেসব বড় অঙ্কের ঋণ আগে পুনর্গঠন করা হয়েছিল সেগুলোর একটি অংশও এখন খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। মূলত বড় অঙ্কের ঋণগুলো খেলাপি হচ্ছে বলে সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর বাইরেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোটা অঙ্কের খেলাপি ঋণ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত মে মাসের শেষদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণখেলাপিদের ছাড় দিয়ে নীতিমালা জারি করলে পরে আদালত তা আবার স্থগিত করে দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতে যেসব দুর্নীতি হয়েছে তার একটিরও বিচার হয়নি। বরং খেলাপিদের রক্ষায় আরও নীতি সহায়তা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে খেলাপি ঋণ কমাতে যেসব নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে- সবই ভুল। এতে ভুল বার্তা (রং সিগন্যাল) দেয়া হয়েছে। যে কারণে কেউ টাকা দিচ্ছে না। ধীরে ধীরে এটি আরও খারাপ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। সুশাসনের ঘাটতি, পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগি এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় সমস্যা- এসব কারণে খেলাপি ঋণ না কমে বাড়ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো উদ্যোগ নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ঋণ পুনঃতফসিল, ঋণ পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন ও অন্যান্যভাবে প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি হবে। খেলাপি ঋণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন সময় দুর্নীতির মাধ্যমে দেয়া ঋণ এখন খেলাপি হচ্ছে। এছাড়া পুনর্গঠিত ঋণের একটি অংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। ফলে ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে সবার আগে সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। তা না হলে এটি বন্ধ হবে না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সরকার যে প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ কমাতে চায়, তাতে কমবে না বরং আরও বাড়বে। চাপিয়ে দেয়া কোনো নীতিতে খেলাপি ঋণ কমবে না। ব্যাংকিং খাতের নিজস্ব নিয়মনীতি কঠোরভাবে পরিপালনের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, গত ৭-৮ বছর ধরে সরকারি ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতির মাধ্যমে খারাপ ঋণ দেয়া হয়েছে। এতদিন এসব ঋণকে বারবার রিনিডিউল করে গোপন রাখা হয়েছে। এখন আর পারছে না, তাই খেলাপি হিসেবে প্রকাশ করছে। শুধু সরকারি ব্যাংক নয়, বেসরকারি কিছু কিছু ব্যাংকেও একইভাবে ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। মূলত সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া এসব দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নীরব। কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং খাতকে উল্টাপাল্টা করা হয়েছে। খেলাপিদের রং সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের কঠোর হাতে দমন করতে না পারলে ব্যাংকিং খাত আরও বিপদে পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ বিতরণ ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশই খেলাপি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ শেষে সরকারি খাতের ৬টি ব্যাংকের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকাই খেলাপি। গড়ে ব্যাংকগুলোর ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ ঋণই খেলাপি হয়ে গেছে। মোট খেলাপি ঋণের প্রায় অর্ধেকই সরকারি খাতের ৬ ব্যাংকের।
বেসরকারি খাতের ৪০টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকাই খেলাপি, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ।
বিদেশি ৯টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ ঋণই খেলাপি।
(amadershomoy)

তানজিনা তানিন : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু দুয়ারে কড়া নেড়েছে। রূপসী তরু নীপবনে ফুল ফুটেছে। ছায়াবীথি তলে আষাঢ়ের সুর। বাংলার ষড়ঋতুর পরিচিতিতে বর্ষা শুরুর প্রতীকী ফুল কদম। এখন জ্যৈষ্ঠের প্রান্তসীমা। আষাঢ়ের প্রবেশ। কদমের সঙ্গে পিছু নিয়েছে বৃষ্টি। সেই আভাস দিয়েছে প্রকৃতি। মেঘ বাদলের আকাশ উঁকি দিয়েছে। এবার আষাঢ়ের উদ্বোধনী বৃষ্টি ঈদের দিন রাজধানী ঢাকা থেকেই শুরু। সে কি বৃষ্টি। মুষলধারে। এবারের বর্ষা বোধকরি রাজার ভাব নিয়েই আসছে। প্রস্তুতি শুরু করেছে কিছুটা আগেই, চৈত্রে কদম ফুটিয়ে, যা সাধারণত হয় না। গত ক’বছর বর্ষা তেমন তেজী ছিল না। টানা বৃষ্টি,ভারি বৃষ্টি ছিল। তবে গ্রাম, নদীতীর ও চরগ্রাম ভাসিয়ে দেয়নি। এবারের আষাঢ় যে কি বারতা নিয়ে আসে! জনকণ্ঠ

আবহাওয়া বিভাগের আভাস বর্ষার অনুকূলে। তারা বলছে, আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহেই (জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ) সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু বড় ঝাপটা দিতে পারে। বঙ্গোপসাগরে মৌসুমের একাধিক নিম্নচাপ বেশ জোরদার হওয়ার আশঙ্কা। দেশজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কা উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। সেই আভাস একটু করে কার্যকর করছে প্রকৃতি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝে মধ্যেই হচ্ছে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত। হঠাৎই বিদ্যুতের আগুনেরেখা আকাশকে ক্ষণিকের খ-িত করে তুলছে মেঘের গর্জনে।
পথচারী তাকিয়ে থাকে উর্ধপানে রূপসী তরুর দিকে। যেথায় শাখা-প্রশাখায় ফুটেছে কদম। পাতাগুলোও সজীব। বলাবলি করে, এই তো আষাঢ়। কদম তো ফুটবেই। উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়া উষ্ণ। ঝড়-বৃষ্টি আর বলে-কয়ে আসে না। হঠাৎ শুরু হয়। দিনাকয়েক আগে বগুড়ায় হঠাৎ মধ্যরাতের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলো। তারপর শুরু হলো বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাতের গগনবিদারী ভীতিকর শব্দ। এখন আকাশে কখনও তাপপ্রবাহ, কখনও কালো মেঘ। কখনও বৃষ্টি। নীপবনে ফুটছে বর্ষার ফুল কদম (কদমের আরকে নাম নীপ)। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন “এসো নীপ বনে ছায়াবীথি তলে, এসো করো স্নান নব ধারা জলে…”।
ঋতুবৈচিত্রে প্রকৃতির নিয়মে কদম ফোটে আষাঢ়ে। শীতে পাতা ঝরে। বসন্তে কচিপাতা (কিশলয়) গজায়। সেই কদম এখন ফুটেছে। বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানালেন, তার স্কুলের ভেতরের কদম গাছে মাঝে মধ্যেই কদম ফুটছে। বৃক্ষটি অনেক পুরনো। ছাল-বাকল পুরু ও ফাটল। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের এক অধ্যাপক জানান, প্রকৃতি, ভূগঠন, আবহাওয়াগত ও জলবায়ুর পরিবর্তন ও অন্য কোন কারণে বছরের যে কোন সময় কদম ফুটতে পারে।
কদমের বিজ্ঞান নাম এ্যানথোসিফালাস ইন্ডিকাস। ইংরেজী নাম লারান লিচহার্ডন্টপাইন। বাংলা নাম অনেক। যেমন নীপ, বৃত্তপুষ্প, মেঘামপ্রিয়, কর্ণপূরক, ভৃঙ্গবল্লভ, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, প্রকৃষ্য, ললনপ্রিয়, সিন্ধুপুষ্প। কদম বাংলাদেশের ফুল। তবে ভারত, চীন, মালয়ে কদম ফোটে। প্রাচীনকাল থেকেই উপমহাদেশে বর্ষার প্রতীকী ফুল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কদম সমান্তরাল বহু শাখাবিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ। পাতা বড়, ডিম্বাকৃতির। পরিণত পাতার চেয়ে কচিপাতা বড়। এর ফুল গোলাকৃতি ও এক পূর্ণ মঞ্জুরির। পুষ্পাধারে সরু বিকীর্ণ। হলুদ ও সাদার আধিক্য বেশি।
কদম ফুলের পুষ্পাধারে ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাসে হলুদের আধিক্য বেশি অংশ পেকে গেলে পাখিরা খায়। কদম বেশি প্রিয় বাদুরের। পাখি ও বাদুর ফল খেয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ছোট্ট বীজ মাটিতে ফেলে। সেখানই প্রকৃতির পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে নীপবৃক্ষ। কদমের মিষ্টি ঘ্রাণ পেলেই লেজ নাড়িয়ে নীপবনের শাখা- প্রশাখায় কাঠবেড়ালি লাফিয়ে বেড়ায়। ফুলের মঞ্জরির স্বাদ কাঠবেড়ালির প্রিয়। যেমনটি তারা পেয়ারায় পায়। পাখিকুল আর প্রাণিকুলের এমন ভোজন দেখে কদমের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা চলছে। বর্তমানে এই ফুল কৌতূহলী করে তুলেছে। প্রকৃতির সঙ্গে বৃক্ষ ও প্রাণিকুলের অসাধারণ যোগাযোগ এনে দিয়েছে এই কদম ফুল।
(amadershomoy)

খালিদ আহমেদ : সোমবার রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অ্যামন গিলমোর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাসস
আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ রোধের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার কারাদন্ড প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বিশেষ প্রতিনিধিকে বলেন, আইনের শাসনের কারণে এবং বিচারিক ও উচ্চ আদালত কর্তৃক সাজা দেওয়ার কারণেই তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে আছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, এতিমের টাকা চুরির অভিযোগে এবং আদালতের কাছে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণেই খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে আছেন। সেখানে তাকে ছাড়ার বা না ছাড়ার ব্যাপারে সরকারের কোন ভূমিকা নেই।
আনিসুল হক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তার নিকট এ মামলার হালনাগাত অগ্রগতি তুলে ধরে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। এছাড়া এ মামলা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত শেষ করার সরকারের ইচ্ছার কথাও তাকে জানানো হয়।
বৈঠকে বেপজা আইন, শিশু অধিকারআইন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও বিচার বহির্ভুত হত্যা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান আইনমন্ত্রী।
(amadershomoy)

রাশিদ রিয়াজ : ব্রিটেনের রানির সঙ্গে থাকছেন না তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার একাকি থাকার কথা ডেইলি স্টার অনলাইনকে জানিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিশেষজ্ঞরা। বার্থডে বয় হিসেবে পরিচিত এবং ‘দি ডিউক অব এডিনবার্গ’ খেতাবে ভূষিত রানির স্বামী সদ্যই ৯৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। আগামী দুই বছর পর রাজকীয় দায়িত্ব থেকেও তিনি অবসর নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু রানির সঙ্গে তার কয়েক সপ্তাহ ধরে না দেখাদেখির বিষয়টি এই প্রথম ব্রিটিশ মিডিয়ায় এসেছে। এবং এ বয়সে একাকী থাকার বিষয়টি নিয়ে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে।

নরফকে একটি ‘উড ফার্ম কটেজ’এ ‘দি ডিউক অব এডিনবার্গ’ অবসর জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে তিনি বই পড়ে, ছবি এঁকে ও চিঠি লিখে এবং অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্যে দিয়ে দিন পার করে দেবেন। তার সঙ্গে বাবুর্চি, হাঁটার সঙ্গী, ঘরবাড়ি দেখাশোনার জন্যে লোকবল, নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ ও সাজভৃত্য থাকবে। মাঝে মধ্যে তিনি রানির অন্যান্য বাড়িতে বেড়াতে যাবেন। বিশেষ করে উইন্ডসর ক্যাসেলে যেখানে তিনি ঘোড়ার গাড়িতে চড়তে ভালবাসেন। এর আগে রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল রানি ও প্রিন্স ফিলিপ তাদের বিবাহিত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হিসেবেই পৃথক থাকতে যাচ্ছেন।
এদিকে ডেইলি মেইল বলছে রানি অনুভব করছেন যে ডিউকের অবসর নেয়ার সঠিক সময় এসে গেছে এবং তিনি তাকে যথেষ্ট জানেন ও বোঝেন। এ কারণে তিনি যদি এখনো রাজকীয় জীবনে ব্যস্ত থাকেন তাহলে তাকে অনেক ধরনের কাজে জড়িত থাকতে হবে। তবে পৃথক থাকলেও রানির সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই টেলিফোনে কথা বলছেন ডিউক
(amadershomoy)

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বকাপের ১৫তম ম্যাচে সাউদাম্পটনের হ্যাম্পাশায়ারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দু’দলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ম্যাচটির পরিসমাপ্তি ঘটায়।


টস জিতে ব্যাট করতে নামেন কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলা। নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে কুইন্টন ডি কককে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন কেমার রোচ। তবে ডিআরএসের সাহায্য নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান ডি কক। প্রথম অবস্থায় রিভিউ নিয়ে ডি কক বেঁচে গেলেও পরের ওভারে শেল্ডন কটরেলের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিস গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাশিম আমলা। নামের পাশে মাত্র ৬ রান যোগ করতে পেরেছিলেন আমলা। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে কটরেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এইডেন মার্করাম। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করেছিলেন তিনি।
৭.৩ ওভারে ২৯ রান করার পর বৃষ্টি নামলে মাঠে আর বল গড়ায়নি। অপরাজিত ছিলেন ডি কক (১৭) আর দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস (০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ইমরান তাহির, আন্দেইল ফেলুকাওয়ো, কাগিসো রাবাডা, ক্রিস মরিস, ভ্যান ডার সেন ও বুরান হেন্ড্রিকস।
উইন্ডিজ একাদশ: জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ক্রিস গেইল (সহ-অধিনায়ক), ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, নিকোলাস পুরান, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, ওশান থমাস ও শেল্ডন কটরেল।
(amadershomoy)

স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্যই মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তবে এরিমধ্যে পুরাদস্তুর নায়িকা বনে গেছেন পূজা চেরি রয়। বেশ কয়েকটি হিট ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছেন দারুণ জনপ্রিয়তা।ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন পূজা চেরি।
তাও টাইগারদের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারকে জড়িয়ে। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পূজা চেরি সৌম্যর প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন।জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারের প্রেমে পড়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথম পূজা বলেন, আমি সবার প্রেমে পড়ি।

তারপরে বলেন, ‘আমি মাঝখানে একজন ক্রিকেটারের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তিনি হচ্ছেন সৌম্য সরকার। তাকে দেখেই ভালো লেগেছিল।এর পরপরই নিজের প্রেমে পড়ার ধরণ পরিস্কার করেন পূজা।তিনি বলেন, তবে ওই রকম প্রেমে পড়া না যে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা। নরমালি তাকে দেখে ভালো লেগেছিল।
বলতে গেলে হ্যাঁ, একটু ক্রাশ খেয়েছিলাম।সৌম্য সরকার যদি ফোন করে প্রপোজ করে তাহলে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পূজা চেরি বলেন, (হাসি) প্রপোজ সে অবশ্যই করবে না। সে তার খেলায় কনসেন্ট্রেট করবে। তো প্রপোজের কথা এখানে আসছে না। আর যদি সে আমাকে ফোন করে তাহলে আমি অবশ্যই কথা বলবো।
তবে সৌম্য সরকার যদি রিলেশনে যেতে চাইলে পূজা চেরি কি করবেন সেটা ভেবে দেখেননি বলেও জানান তিনি।সৌম্য সরকারের প্রেমে পড়লেও জাতীয় দলে মাশরাফি বিন মুর্তজাই পূজার সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটার বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে টাইগারদের জন্য শুভকামনা জানান এ ঢালিউড তারকা।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট  : শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপযাত্রা করে বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ে হেরে যায় টাইগাররা। আর সবশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয় তারা। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের লক্ষ্যের পথে বড় ধাক্কা খায় মাশরাফি-সাকিবরা। যে কারণে জয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আন্ডারডগ শ্রীলংকা। এ ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছু ভাবছে না টাইগাররা। জয় পেতে ক্ষুধার্ত তারা। কারণ, সেমিফাইনালে খেলার রেসে টিকে থাকতে হলে ম্যাচটি জিততেই হবে তাদের। বিস্ট্রলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে দুই দলের লড়াই।


এবার সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ। শুরুটা সেরকমই ছিল। লন্ডনের বিখ্যাত ভেন্যু কেনিংটন ওভালে শক্তিশলী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করে টাইগাররা। পরের ম্যাচে একই ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় তারা। দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরে যায় মাশরাফি-সাকিবরা। ২ উইকেটের হারে টুর্নামেন্টে প্রথম ধাক্কা খায় তারা।
এরপর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফের পয়মন্ত ভেন্যুতে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ইংলিশদের মুখোমুখি হওয়ার আগে সেখানে দুটি ম্যাচ খেলে শতভাগ জয় পায় টাইগাররা। এছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুবার খেলে দুটিতেই জয়ের রেকর্ড ছিল তাদের। তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীই ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা।
ফলে তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ হারে বাংলাদেশের সংগ্রহে রয়েছে ২ পয়েন্ট। এতে সেমিফাইনালে খেলার পথ ঝাপসা হতে শুরু করে। সেমিতে খেলতে হলে পরের ৬ ম্যাচের অন্তত ৪টিতেই জিততে হবে টাইগারদের। তাই শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না তারা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে বাংলাদেশ অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে আমাদের জিততেই হবে। এ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা করছে-কিভাবে আরো ভালো করা যায়।
ব্রিস্টলে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি রয়েছে। এ ভেন্যুতে একটি ম্যাচ খেলে সেটিই জিতেছে টাইগাররা। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাশরাফির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের ৫ রানে হারায় তারা। ওই জয়ে সিরিজের সমতা আনে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ হারে সফরকারীরা। তবুও ওই জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। ৪৫ দেখায় মাত্র ৭টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। অবশ্য সবশেষ মুখোমুখিতে জয় আছে তাদের। গেল বছর এশিয়া কাপে শ্রীলংকাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। ১৩৭ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী। তাই এ ভেন্যুতে এক জয়ের স্মৃতি ও লংকানদের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় বড় জয় এ ম্যাচে সাফল্য পেতে এগিয়েই রাখবে তাদের।
বাংলাদেশের মতো এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৩টি ম্যাচ খেলেছে শ্রীলংকা। তবে টাইগারদের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি সংগ্রহে রয়েছে তাদের। কারণ, লংকানরা ১টি করে ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে ও পরিত্যক্ত হয়েছে। তাই ৩ পয়েন্ট সংগ্রহে রয়েছে তাদের।
নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হার দিয়ে এবারের আসরে যাত্রা শুরু করে শ্রীলংকা। এরপর বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানকে ৩৪ রানে হারায় লংকানরা। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহঅধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলংকা দল : দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, আবিস্কা ফার্নান্দো, সুরঙ্গা লাকমল, লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, কুশল মেন্ডিস, জীবন মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, লাহিরু থিরিমান্নে, ইসরু উদানা ও জেফরি বান্দারসে।
(amadershomoy)

বরিশাল প্রতিনিধি : নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত করতে দেশের আটটি বিভাগ ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করবে বরিশালের নাট্য সংগঠন শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটার।


মুক্তিযুদ্ধের এক বিরঙ্গনার গল্প গাঁথা নিয়ে নির্মিত শব্দাবলীর ৬৬তম প্রযোজনার নতুন নাটক “বৈশাখিনী” মঞ্চস্থ করার হবে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ জুন বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বৈশাখিনী নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে শুরু হবে এই নাটকের দেশ ভ্রমনের কর্যক্রম। এর পর একই বিভাগের পটুয়াখালী ও বড়গুনা জেলায় নাটকটি মঞ্চস্থ করা হবে। বরিশাল বিভাগ শেষে বৈশাখিনী মঞ্চস্থ হবে সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে। নাটকটির মূল গল্প লিখেছেন ভারতের প্রখ্যাত নাট্যকার চন্দন সেন। নবনাট্য রূপ দিয়েছেন ড. মাহফুজা হিলালী, নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যজন ব্যক্তিত্ব সৈয়দ দুলাল। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি
(amadershomoy)

ঢাকাই ছবির নতুন ক্রেজ পূজা চেরি। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) ৩.৩৩ পেয়ে পাস করেছেন এই চিত্রনায়িকা। ঢাকার মগবাজার গার্লস হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
নতুন খবর হচ্ছে পূজা কলেজে ভর্তি হতে যাচ্ছেন। পছন্দের তালিকা থেকে পূজা সিদ্ধেশ্বরী কলেজে চান্স পেয়েছেন।

দেশ রূপান্তরকে পূজার মা বলেন, ‘চয়েজ লিস্টে অনেকগুলো কলেজই পূজা সিলেক্ট করেছিল। কিন্তু ও চান্স পেয়েছে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে। শিগগিরই ও কলেজে ভর্তি হবে।’
এদিকে পূজা বর্তমানে এম এ রহিম পরিচালিত ‘শান’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আজ ছবিটির দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন পূজা। নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্কে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ছবিটির শুটিং।
পূজার মা বলেন, ‘আমরা আজ ১২টার দিকে শুটিং স্পটে এসে পৌঁছেছি। পূজা এখন শট-এ আছে।’
শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখা পূজা চেরি ‘নূর জাহান ছবিতে অভিনয় করে চিত্রনায়িকা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।
(amadershomoy)

আবু সুফিয়ান রতন : আড়াই মাস ধরে এ অভিনেতা গ্যাংরিনে (পচন রোগ) ভুগছেন। রোববার পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী লতিফা বাবর। ডা. খালেকুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল তার পায়ের তিনটি আঙুল কেটে ফেলা হয়। অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার কিছুদিনের মধ্যে রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে থাকে। ঈদের আগে দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা তার পা কেটে ফেলার পরামর্শ দেন বলে জানান তার স্ত্রী।
চিকিৎসকের বরাতে তিনি বলেন, আপাতত তার ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকাটা জরুরি। অন্যথায় বিপদ ঘটতে পারে।
চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে অর্থাভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন। তিনি জানান, রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিল্পী সমিতি। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগের চিকিৎসা চালিয়ে নিতে হবে।কিন্তু অর্থাভাবে সেটা সম্ভব হয়ে উঠছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহায়তা পেলে হয়তো আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারব।
আমজাদ হোসেনের ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে বড়পর্দায় আবির্ভূত হলেও জহিরুল হকের ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে খলনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় তার। তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ৬৮ বছর বয়সী এ অভিনয়শিল্পী। অভিনয়ের পাশাপাশি ‘দয়াবান’, ‘দাগী’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন তিনি।
(amadershomoy)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget