Latest Post


সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এসব রোহিঙ্গা। ছবি: বাংলানিউজ
কক্সবাজার:
 দালালচক্রের বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৩-২০১৪ সালে কয়েক হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সাগরে ডুবে মারা যায়। সেই যাত্রায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার যুবক। 
কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও অভিযানের কারণে সে সময় মানবপাচার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারী চক্র। এবার তাদের টার্গেট প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। 
উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে কৌশলে পালিয়ে দালালের হাত ধরে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠা করছেন। এভাবে সর্বশেষ গত শনিবার (১৮ মে) রাতে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন ৮৭ জন রোহিঙ্গা। আর সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রার সময় গত ৬ মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে উদ্ধার হয়েছেন পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু।
জানা গেছে, গত বছরের ৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ফের মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া যায়। ওইদিন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের উপকূল থেকে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠার সময় ১৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে বিজিবি। দালাল চক্র মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে দু’দিন ধরে সাগরে এদিক-ওদিক ঘোরানোর পর ‘থাইল্যান্ডের তীরে পৌঁছেছি’ বলে টেকনাফের সৈকতে তাদের নামিয়ে দেয়। পরে বিজিবি তাদের উদ্ধার করে। 

পরদিন ৭ নভেম্বর একইভাবে আরো ৩৩ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার  করে কোস্টগার্ড। এসময় ছয় দালালকেও আটক করা হয়। তারা আবার স্থানীয়।

আইন-শৃখলা বাহিনীর দেওয়া তথ্য মতে, সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠার সময় গত ৬ নভেম্বর থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ২০ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৮১ জন রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুরিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায় কক্সবাজারে মানবপাচারের ঘটনা বেশি। এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সম্প্রতি আবারও মানবপাচারের ঘটনা বেড়ে গেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকায় ধরাও পড়ছে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মানবপাচারের ঘটনায় ৪৩৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও প্রতি মাসেই মানবপাচারের মামলা হচ্ছে। বিভিন্ন ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ মানবপাচারকারীদের একটি তালিকাও তৈরি করেছে। বর্তমানে নতুন করে আরো একটি তালিকার কাজ চলমান রয়েছে। পুরনো এবং নতুন তালিকা ধরে অভিযান আবার জোরদার করা হবে। 
জানা গেছে, প্রথমদিকে টেকনাফ-মিয়ানমার আন্তঃসীমান্তে মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় থাকলেও পরে কক্সবাজার জেলা পেরিয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকার শহরতলী হয়ে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত নেটওয়ার্ক বিস্তার করে। এই নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দেয় মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে এসে বসতি গড়া রোহিঙ্গারা। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ মানবপাচারে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি এই নেটওয়ার্কটি বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে। এই নেটওয়ার্কের সদস্যরা অপহরণের পর বিদেশে পাচার করে মুক্তিপণ আদায়, থাইল্যান্ডে দাস শ্রমিক হিসেবে বিক্রি, এমনকি খুনও করে থাকে। এই চক্রের খপ্পরে পড়ে শত শত যুবক নিখোঁজ হয়ে গেছে। বিভিন্ন গ্রামে চলছে এখনও কান্নার রোল। 
জীবন বদলে দেওয়ার স্বপ্নে দালালের মাধ্যমে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে থাইল্যান্ডে দাসখানায় মারা যায় কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার শুক্কুর আহমদ ড্রাইভারের ২৩ বছর বয়সী ছেলে পুতিয়া। তারই মতো মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে একই ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকার শাহ আলমের মেয়ে জামাই আবুল হাশেমসহ খুটাখালী গ্রামের মাত্র একটি ওয়ার্ডের (৬ নং ওয়ার্ড) ১৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। খোঁজ মেলেনি হাশেম ড্রাইভারের ছেলে হামিদুল হকের, ইসলাম নুরের ছেলে রবিউল হাসানের, সুলতানের ছেলে জিয়াউর রহমানের, মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মনুর আলমের, বদরার ছেলে আনোয়ারের, লোকমান হাকিমের ছেলে মিজানের, অহিদুল আলম ধেছুর ছেলে ইউনুছের, সোলেমানের ছেলে কালুর, ইউসুফ আলী ছেলে আনোয়ারের, সুলতানের ছেলে নুর মোস্তফার, অলি আহমদের ছেলে কাদুরার, বাদশা মিয়ার ছেলে ফারুকের এবং আয়ূব আলীর ছেলে জসিমউদ্দিনের। এদেরই মতো কক্সবাজারের রামুর রাজারকুল, দারিয়ার দিঘী, খুনিয়াপালংসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মালয়েশিয়াগামী যুবকের কোনো খোঁজ নেই দীর্ঘদিনেও। এসব ঘটনায় আসলে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যানও সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে নেই।
ওই সময় মালয়েশিয়াগামী অনেক মানুষ অনাহার-অর্ধাহারে মারা যায়। অনেকেই সমুদ্রে দালালচক্রের গুলিতে মারা যায়। 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত রোহিঙ্গা দালালেরাই সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের এ রুটটি আবিষ্কার করে। অসচ্ছল ও বেকার যুবকদের জীবন বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে নগদ ১০ থেকে ২০ হাজার ও  দেড়-দুই লাখ টাকা বাকিতে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার শর্তে সহজেই ফাঁদে ফেলছে; বিশেষ করে যুবকদের। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিভিন্ন সমুদ্র উপকূল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে ছোট নৌকাযোগে উপকূল থেকে সমুদ্রে বড় জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। সেই জাহাজ ১০ দিন পর থাইল্যান্ড পৌঁছে দেয়। থাইল্যান্ডে অবস্থানের সময় ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মুক্তিপণ পেলে মালয়েশিয়ার জঙ্গলে বিভিন্ন খামারে শ্রমিক হিসাবে পাঠানো হয়। কারো মুক্তিপণ পাওয়া না গেলে তাদেরকে থাইল্যান্ডে দাস শ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অথবা দিনের পর দির সেখানে নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি নির্যাতনে মারাও গেছেন অনেকেই। কিন্তু স্থানীয়রা আগের সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে না পারলেও এখন রোহিঙ্গারা সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে মানবপাচারকারীদের। মিয়ানমারে জোর করে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, সেখানে গেলে মগেরা কেটে ফেলবে, বিশেষ করে নারীরা মালয়েশিয়া গেলে ভালো বরের সঙ্গে বিয়ে হবে, যুবকদের ভালো চাকরি হবে এমন বিভিন্ন ভয় ও প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে মানবপাচারকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের এক মাঝি (নেতা) বাংলানিউজকে জানান, যাদের আত্মীয়-স্বজন মালয়েশিয়ায় বসবাস করছে, এ ধরনের রোহিঙ্গারাই মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। তারা হুন্ডির মাধ্যমে দালালদের কাছে টাকা পাঠায়। আবার যাদের আত্মীয়-স্বজন সেখানে নেই তারাও উন্নত জীবনের আশায়, অবিবাহিত নারীরা বিয়ের প্রলোভনে মালয়েশিয়া চলে যেতে চায়। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করে টাকা জমিয়ে দালালদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক চেকপোস্ট থাকলেও দালালের হাত ধরে রাতের আঁধারে পাহাড়ি পথে রোহিঙ্গারা বাইরে পাচারের শিকার হচ্ছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে আসা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকগুলো চেকপোস্ট থাকলেও ক্যাম্পগুলো পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পাহাড়ি পথ মাড়িয়ে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ক্যাম্প এলাকাটি কাঁটাতারের বেড়া বা সীমানা প্রাচীর দেওয়ার প্রস্তাবের কথা ভাবছে পুলিশ।
ক্যাম্প এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল আরো জোরদারের বিষয়টি নিয়েও ভাবছে পুলিশ।
( banglanews24)

এক নম্বর আমেরিকান প্রযুক্তির WHIRLPOOL ইনভার্টার এসি (এয়ার কন্ডিশনার) এখন বাংলাদেশে।
ঋতুর পরম্পরায় যখন বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্ম এসেছে, তখন সূর্যও তার তীব্রতা ছড়ানো শুরু করেছে অনেক বেশি। তাই সারা দিনের ক্লান্তির পর বাসায় এসে একটু শীতল বাতাস পেলে ক্লান্তিটা যেন নিমেষেই দূর হয়ে যায়। কিন্তু এসি তো আর হুট করে কিনে ফেলা যায় না। আবার একটি এসি কিনে ফেললে তা সহজে চেঞ্জও করা যায় না।

তাই এসি  কেনার আগে সব সময় এমন এসি কেনা উচিত, যা হবে দীর্ঘস্থায়ী। কুলিং হবে দ্রুত ও আরামদায়ক। যেখানে থাকবে আধুনিক সব প্রযুক্তির সমাহার। তেমনই একটি এসি আপনি ট্রান্সকম ডিজিটালে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। যা হলো এক নম্বর আমেরিকান প্রযুক্তির Whirlpool ইনভার্টার এসি। 
গরমের সময় এসির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেলেও মাঝেমধ্যে এসি নিয়ে আমরা কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হই। যেমন এসি অন করলে ঠান্ডা বেশি লাগে। আবার অফ করলে গরম লাগে। আবার অনেকের, বিশেষত শিশুদের এসির থেকে অ্যালার্জিজনিত ঠান্ডা লেগে যায়।
কিন্তু এখন আর এসির ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে চিন্তা নেই। কারণ, Whirlphool-এর এই এসিটিতে আছে অত্যাধুনিক আমেরিকান প্রযুক্তির সিক্সথ সেন্স টেকনোলজি, যা আপনাকে দেবে সহনীয় তাপমাত্রা। এর ফুল এইচডি ফিল্টার নিশ্চিত করে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ বাতাস, যা আপনার পরিবারকে দেবে অ্যালার্জি বা সর্দির হাত থেকে সুরক্ষা।
এতে আরও ১০০ শতাংশ কপার কনডেনসার থাকায় এসি  হবে দীর্ঘস্থায়ী। ঠান্ডা করবে আরও বেশি। এই এসি যে শুধু ঠান্ডাই করতে পারে, তা নয়, শীতের সময়ও এই এসি কাজে লাগবে। কারণ, Whirlpool এসি  ঘরকে ঠান্ডাও করতে পারে, আবার গরমও করতে পারে।
তাই বাসায় নতুন এসি কিনতে হলে আজই চলে আসুন ট্রান্সকম ডিজিটালে। অথবা ভিজিট করুন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: https://transcomdigital.com/ । কিনে ফেলুন এক নম্বর আমেরিকান অরিজিনাল এসি। এ ছাড়া এখন আপনার বাসায় পুরোনো এসি থাকলে আপনি হ্যাসল ফ্রি এসি এক্সচেঞ্জ অফারের মাধ্যমে পুরোনো এসিটি এক্সচেঞ্জ করে নিয়ে নিতে পারেন অরিজিনাল Whirlpool এসি ট্রান্সকম ডিজিটাল থেকে।
(prothomalo)

এ ম্যাচ থেকে কারও কিছু পাওয়ার ছিল না। বার্সেলোনা লিগ জিতে গিয়েছে বেশ আগেই। আর দ্বাদশ স্থানে থাকা এইবার এ ম্যাচ জিতলেও লিগে একাদশ স্থানে আসতে পারত না। হারলেও নিচে নামার ভয় ছিল না। শুধু কোপা দেল রে ফাইনালের আগে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে ম্যাচটিকে নিয়েছিল বার্সেলোনা। জোড়া গোল করে লিওনেল মেসি জানিয়ে দিয়েছেন ফাইনালের জন্য প্রস্তুত বার্সা অধিনায়ক।
বার্সেলোনার জন্য চিন্তার বিষয় হলো মেসি প্রস্তুত হলেও দলের প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি। নিজেদের মাঠে এইবার প্রায় পূর্ণ শক্তির বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছে। এক মিনিটের মধ্যে মেসির জোড়া গোল আগে ও পরে শোধ করে দিয়েছে এইবার।
গুরুত্বহীন এই ম্যাচে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ আরনেস্তো ভালভার্দে। আক্রমণে লুইস সুয়ারেজও পেয়েছেন প্রয়োজনীয় ছুটি। ফিলিপে কুতিনহোর পরিবর্তে ম্যালকমের সুযোগ পাওয়াকে কুতিনহোর বিশ্রাম বলা যাবে কি না এ নিয়ে দ্বিধান্বিত হবেন বার্সেলোনা সমর্থকেরাও। তবে ভালভার্দের অন্য সব ম্যাচের মতো আজও সব দায়িত্ব মেসিকেই বুঝে নিতে হয়েছে। ৩১ মিনিটে গোলরক্ষকের শরীরের নিচ দিয়ে গোল করেছেন। পরের মিনিটেই করেছেন উল্টোটা। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে এবার চিপ করেছেন মেসি। এ চিপেই মৌসুমে গোলের ফিফটি করলেন মেসি।
তবে ম্যাচে মেসিই একমাত্র বার্সেলোনা খেলোয়াড় নন যিনি গোল করেছেন। ২০ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা মিলেছে। এইবারের হয়ে চমৎকার গোলটি করেছেন মার্ক কুকুরেয়া। বার্সেলোনার একাডেমির এই লেফট ব্যাক ধারে খেলতে এসে এইবারের হয়ে অসাধারণ এক মৌসুম কাটালেন। তারই পরিপূর্ণতা দিল মৌসুম শেষে নিজের মূল দলের বিপক্ষে করা এই গোল। ৪৫ মিনিটে বার্সেলোনা গোলরক্ষক চিলেসেনের ভুলে এইবারকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন পাবলো দি ব্লাসিস।
দ্বিতীয়ার্ধেও মেসি ও তাঁর দলবল গোলের জন্য হন্যে হয়ে ছুটেছে। কিন্তু এইবার বার্সেলোনাকে জয় নিয়ে লিগ মৌসুম শেষ করতে দেয়নি। আগামী শনিবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালের আগে তাই এটুকু অতৃপ্তি রয়েই গেল বার্সেলোনার।
(prothomalo)

দিনে কমবেশি চার শ শিশু সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। এসব শিশুর অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে, বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। শিশুদের জন্য নিরাপদে অনলাইন ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দরকার বহুমুখী উদ্যোগ।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ রোববার ‘অনলাইনে যৌন নির্যাতন’ সম্পর্কিত বিষয়াদি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা এসব তথ্য দেন। সভার আয়োজক বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

সভায় বক্তারা বলেন, সব বয়সী শিশুরাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। কিন্তু এদের অনেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রেখে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে জানে না। এমনকি অনেকের অনলাইনে ‘যৌন নির্যাতন’ বা ‘যৌন শোষণ’ সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা নেই। আবার যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও পরিবারকে জানাতে ভয় পায়। আইনের আশ্রয়ও নেয় না তারা।
২০১৬ সাল থেকে আসকের উদ্যোগে দেশের ২৮টি স্কুলে অনলাইনে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে পড়ানো হয়। এতে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত অনলাইন ব্যবহারে ইতিবাচক ফলাফল আসছে বলে জানাচ্ছেন সংস্থার প্রতিনিধি ও শিক্ষকেরা। কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আরজু আক্তার বলেন, বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকেরাও জানতে পারবেন। তবে অভিভাবকের সচেতনতা, শিশুদের বিনোদন ও সৃজনশীল কাজের প্ল্যাটফর্ম বাড়ানো দরকার বলেও মনে করেন কয়েক বক্তা।

সারা দেশের মতো বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলেও কাল সোমবার থেকে মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে। বন্ধ থাকবে ৬৫ দিন। এর আগে এত দীর্ঘ সময় ধরে সাগরে কখনোই মাছ ধরা বন্ধ থাকেনি। এতে উৎকণ্ঠায় জেলার ছয় হাজার মাছ ধরার নৌযানের এক লাখের বেশি জেলে। তবে সরকারি তরফে বলা হচ্ছে, সাগরে এখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাছ বড়ই হতে পারে না। এসব মাছের এখন প্রজনন মৌসুম। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এসব মাছের আকার ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তাই এই কর্মসূচি।

এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাল ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলার সব জেলে ও নৌকার মালিকদের জানিয়ে দিয়েছি। সভা-সমাবেশ, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করেও জেলেদের সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’


আজ রোববার দুপুরে শহরের নুনিয়াছটার বাঁকখালী নদীতে গিয়ে দেখা গেছে, শতাধিক ট্রলার ঘাটে নোঙর করে আছে। কয়েকটি ট্রলার থেকে ডিঙি নৌকায় মাছ খালাস করা হচ্ছে। তারপর ট্রলারের মাছগুলো পাশের ফিশারিঘাটে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে আছে ইলিশ, রূপচান্দা, গুইজ্যা, চাপা, মাইট্যা, পোপা, কামিলা ইত্যাদি। এ সময় সেখানে মাছ ধরা বন্ধের ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রচারণা চোখে পড়েছে।
জেলেদের ভাষ্য, এখন পবিত্র রমজান চলছে, কিছুদিন পর আসবে খুশির ঈদ। দীর্ঘ দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে জেলেদের চরম অর্থকষ্টে পড়তে হবে। 
একটি ট্রলারের জেলে আবদুল মালেক (৪৫) বললেন, ১৩ দিন সাগরে মাছ ধরে গতকাল সকালে ঘাটে ফিরেছেন। ফিশারিঘাটে মাছ বিক্রি করে তিনি বাড়িতে ফিরে যাবেন। কিন্তু ৬৫ দিন সংসার চালানোর মতো অর্থ তাঁর নেই। ট্রলার মালিকেরাও এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা দিচ্ছেন না। 
ফিশারিঘাটে কথা হয় মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামনে ইলিশ ধরার মৌসুম। এ সময় ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করে সরকার লাখো জেলেকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। এখন জেলেদের ত্রাণ সহযোগিতা দেওয়া না হলে জেলেপল্লিতে হাহাকার চলবে।
কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, আজ বিকেল পর্যন্ত জেলার টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়ার তিন হাজারের বেশি ট্রলার গভীর সাগর থেকে কূলে ফিরে এসেছে। অন্য ট্রলারগুলোও কাল সোমবার বিকেলের মধ্যে ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৬৫দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে কক্সবাজারের অন্তত ১০ হাজার মৎস্য ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বেন। হাটবাজারেও মাছের সংকট দেখা দেবে। 
শহরের নুনিয়াছটার জেলে গফুর উদ্দিন (৫০) বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তিনি আট সদস্যের পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়বেন। এখন তিনি শহরের টমটম (ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক) চালিয়ে আয় রোজগারের চিন্তাভাবনা করছেন।

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার বিভিন্ন স্থানে লাখো জেলে শ্রমিক থাকলেও তাঁদের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩৯৩ জন। এসব পরিবারে ত্রাণসহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, মাছ ধরা বন্ধের সময়ে কোনো জেলে সাগরে মাছ ধরতে নামলে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী তাঁদের প্রতিরোধ করবে। এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, সাগরে এখন বড় প্রজাতির মাছ লক্ষ্যা, তাইল্যা, গুইজ্যা, বোম মাইট্যা তেমন ধরা পড়ে না। এখন এসব মাছের প্রজনন মৌসুম।

মাছ ধরা বন্ধ থাকলে শুঁটকি উৎপাদনও ধস নামবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকার শুঁটকি কক্সবাজারে উৎপাদন হয়।

(prothomalo)

দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩০ শতাংশের বেশি আসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে। বাকি অংশ আসে দেশের বাকি এলাকা থেকে। এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা বড় ধরনের বৈষম্য। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে গঠিত সংস্থা বিল্ড ও বিডা আয়োজিত কর অবকাশ সুবিধা নিয়ে এক আলোচনা সভায় কাজী আমিনুল ইসলাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে কর অবকাশ সুবিধার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। শিল্পঘন এলাকার বাইরে শিল্পায়নে কর অবকাশ সুবিধা কী ভূমিকা রাখছে, তাও উঠে আসে আলোচনায়।


বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা একটা সমতাভিত্তিক সমাজ চাই। এ জন্য সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে। প্রতি বছর ২৩ লাখ নতুন মুখ কর্মবাজারে প্রবেশ করছে, বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, কর ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যাতে দেশের সব জায়গায় উৎপাদন খরচ সমান হয়। অবশ্য বাস্তবে পুরোপুরি সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে
দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩০ শতাংশের বেশি আসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে। বাকি অংশ আসে দেশের বাকি এলাকা থেকে। এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা বড় ধরনের বৈষম্য। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে গঠিত সংস্থা বিল্ড ও বিডা আয়োজিত কর অবকাশ সুবিধা নিয়ে এক আলোচনা সভায় কাজী আমিনুল ইসলাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে কর অবকাশ সুবিধার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। শিল্পঘন এলাকার বাইরে শিল্পায়নে কর অবকাশ সুবিধা কী ভূমিকা রাখছে, তাও উঠে আসে আলোচনায়।
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা একটা সমতাভিত্তিক সমাজ চাই। এ জন্য সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে। প্রতি বছর ২৩ লাখ নতুন মুখ কর্মবাজারে প্রবেশ করছে, বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, কর ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যাতে দেশের সব জায়গায় উৎপাদন খরচ সমান হয়। অবশ্য বাস্তবে পুরোপুরি সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, নীতি সহায়তার ফলে আজকে পোশাক খাত গড়ে উঠেছে। কিন্তু নীতিগত ব্যর্থতার কারণেই পোশাক খাতের মতো আর কোনো খাত এত এগোতে পারেনি।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এক গবেষণা পত্র তুলে ধরেন বিল্ডের প্রধান নির্বাহী ফেরদৌস আরা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (করনীতি) কানন কুমার রায়, এফবিসিসিআইয়ের কর বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কনভেনর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, এনবিআরের সাবেক সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিম, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ।
(prothomalo)

জ্যেষ্ঠ এক সৌদি কর্মকর্তা আজ রোববার বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি মানবাধিকারকর্মী আইয়াদ আল-বাগদাদিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর আগে বাগদাদি দাবি করেন, নরওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হুমকির ব্যাপারে তাঁকে সতর্ক করেছে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, ‘আইয়াদ আল-বাগদাদি নামের কাউকে আমি চিনি না। তিনি হয়তো কোনো দেশে স্থায়ীভাবে ঘাঁটি গাড়তে এমন অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি, এমন কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে কোনো তথ্য আমাদের হাতে নেই।’
২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় খ্যাতি লাভ করা বাগদাদি তাঁর লেখায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনা করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি অসলোতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর দাবি, ২৫ এপ্রিল নরওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী তাঁকে একটি সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নেয়। তারাই বাগদাদিকে হুমকির ব্যাপারে সতর্ক করে।
দুই বছর ধরে বাগদাদি তাঁর কাজের মাধ্যমে সৌদি আরবে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গত অক্টোবরে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার পর বিশ্বব্যাপী এ বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে।
(prothomalo)

আজ একটা বিশেষ দিন। না, আপনার বা আমার জন্য নয়। আজ কুসুমের বিয়েও নয়। তবে আজ একটা বিয়ের দিন। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে এই দিন অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বলিউড তারকা অনিল কাপুর আর সুনিতা কাপুর।
অনিল কাপুর টুইটারে তাঁদের চমৎকার একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার সমস্ত জীবনে সব থেকে ভালো যে বিষয়টি ঘটেছে, সেটি তুমি। আমাদের দুজনের এই দীর্ঘ যাত্রা অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। আমি এর কিছুই বদলাতে চাই না। বিয়ের আগে ১১ বছরের প্রেম আর বিয়ের পরে ৩৫ বছরের সংসার। আমি আরও ৪৬ বছর তোমার সঙ্গে কাটাতে চাই। শুভ বিবাহবার্ষিকী সুনীতা কাপুর। আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

সুনীতাও ইনস্টাগ্রামে পাল্টা পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সমস্ত ভালো আর কঠিন সময়ে ভালোবাসা আর বিশ্বাস আমাদের পথ দেখিয়েছে। হাসতে হাসতে বাঁচা আর বিশ্বাস করে ক্ষমা করা—এসবের মধ্য দিয়েই আমরা পুরো জীবন একসঙ্গে পার করব।’
অন্যদিকে বলিউড তারকা সোনম কাপুর তাঁর মা-বাবাকে ‘পারফেক্ট কাপল’ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘মা, এই সমগ্র বিশ্বে তুমি বাবার জন্য আর বাবা তোমার জন্য। বাবা যেভাবে তোমার চোখের তারায় আলো জ্বালাতে পারে, অন্য কেউ তা পারে না। তোমরা দুজনে একটা সত্যিকারের জাদু। তোমাদের দুজনকেই অনেক অনেক শুভ বিবাহবার্ষিকী। ভালোবাসি।’
অনিল কাপুর আর সুনীতা কাপুরের তিন সন্তান। সোনম কাপুর আহুজা, হিয়া কাপুর এবং হর্ষবর্ধন কাপুর।
(prothomalo)

মৌসুমের শেষটাও ভালো হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে বার্নাব্যুতেই ২-০ গোলে হেরেছে রিয়াল। এমন হারেও খুব একটা হতাশ নন জিনেদিন জিদান। হতাশার এক মৌসুম শেষ হয়েছে, আপাতত এতেই স্বস্তি খুঁজে নিচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ।
নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম বাজে এক মৌসুম কাটিয়েছে রিয়াল। তিনটি শিরোপাই হাতছাড়া নিশ্চিত হয়েছে মার্চেই। শিরোপাহীন মৌসুম এর আগেও কাটিয়েছি রিয়াল। তবে এ মৌসুমটা একটু হলেও ব্যতিক্রম। দল গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ ম্যাচে, রক্ষনেও বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে মৌসুম জুড়ে। ৩৮টি লিগ ম্যাচের ১২টিতেই হেরেছে তারা! বার্সেলোনা থেকে ১৯ পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছে রিয়াল।


আজ বেতিসের বিপক্ষে রিয়ালের খেলায় কোনো প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন হতাশামাখা দিনে জিদান তাই মৌসুম শেষ হওয়াতেই আনন্দ পাচ্ছেন, ‘এমন না যা আমরা জিততে চাইনি। সত্যি হলো আমরা জিততেই পারছি না। আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হলো মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এবং পরের বছরের জন্য চিন্তা করা শুরু করতে পারব। কারণ পরের বছর অবশ্যই এটা বদলাবে।’ 
এ মৌসুমটা বাজে বাজে কেটেছে সেটা সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছেন জিদান। পরের মৌসুমে এমন কিছু যেন দেখতে না হয় সেটার নিশ্চয়তাও দিলেন রিয়াল কোচ, ‘ব্যাপারটা একটু জটিল কিন্তু আমাদের স্বীকার করতেই হবে এ মৌসুমটা বাজে ছিল। শুরু থেকেই কঠিন ছিল, আমার সঙ্গে শেষটাও তাই ছিল। এটাই বাস্তবতা। আমাদের এখন পরের বছর নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং আমাদের সমর্থকদের আবারও খেলা নিয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্রাক মৌসুমে আমরা প্রস্তুতি নেব ভালো করে। আমরা বলছি না পরের বার আমরা সবকিছু জিতব কিন্তু প্রথম মিনিট থেকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এবং অন্যদের সঙ্গে লড়ব।’
পরের মৌসুমের প্রস্তুতি মানেই দল নতুন করে সাজিয়ে নেওয়া। রিয়াল এর মাঝেই সে পথে পা ফেলেছে। নতুন দুজন খেলোয়াড়কে দলে টেনেছে তারা। আর আজ কেইলর নাভাস ও গ্যারেথ বেলের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। ম্যাচ শেষেই দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন নাভাস। বেল মাঠে নামতে না পারলেও তাঁর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। জিদান অবশ্য এখনো এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি নন, ‘বেল থাকবে কি না সেটা দেখা যাবে। সত্যি বলছি আমি এখনো জানি না কী হবে। আমি ইদানীং অন্য খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রেখেছি, সেটা তো দেখাই গেছে। আজ যদি আমাকে আরও একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো, একই সিদ্ধান্ত নিতাম।’
বেলের ব্যাপারে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়েই থাকেন তবে টানা তিন ম্যাচে তাঁকে বসিয়ে রাখা কেন? জিদান নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে সিদ্ধান্তের, ‘আমি প্রতিদিন আলাদা করে ভাবতে হয় এবং নির্দিষ্ট একটি দিনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যখন কোনো কিছু আমার ভালো লাগে না বা আমার সঙ্গে যায় না, তখন যেটা ভালো মনে হয় সে সিদ্ধান্তই নেই। যে খেলোয়াড় এখানে অনেক কিছু জিতেছে তার জন্য এটা হয়তো মেনে নেওয়া কঠিন কিন্তু দিনের সিদ্ধান্ত দিনের জন্যই নেওয়া হয়।’
(prothomalo)

টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু। নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে দাগ কেটেছেন তিনি। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য নাটক, টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে। গুটিকয়েক সিনেমায়ও দেখা মিলেছে তার।
তবে নাটকে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। গুণী এই অভিনেত্রী স্ত্রী, মা, বোন, দাদি, নানিসহ বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার একেবারে ভিন্ন এক চরিত্রে হাজির হলেন তিনি। সেই চরিত্রের লুক চমকে দিচ্ছে সবাইকে।

একটি নাটকের পোস্টারে তাকে দেখা গেছে সিএনজি চালকের বেশে। পুরুষ সেজে সিএনজি চালিয়ে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ‘সিএনজি ড্রাইভার’ শিরোনামের নাটকটি পরিচালনা করেছেন রবিউল সিকদার।
সমাজে চলতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন মেয়ে বা নারীকে। পরিবারে যখন প্রধান কর্তা বলে কেউ থাকে না তখন সেই নারীটিই বোঝে জীবন কত নিষ্ঠুর। বাধ্য হয়েই তাকে পুরুষের ভূমিকায় শক্ত হাতে হাল ধরতে হয়।
পরিবারের চাকা সচল রাখতে নিজের বেশ পরিবর্তন করে রাস্তায়ও নামেন অনেকে। তেমনই এক গল্প ‘সিএনজি ড্রাইভার’।
এ চরিত্রের জন্য একজন পুরুষ ঠিক যেমন হয় তেমনই করে নিজেকে পরিবর্তন করেছেন অভিনেত্রী অপু। পুরুষের মত চুল কেটে নীল রঙের ইউনিফর্ম পড়ে রাস্তায় নেমেছেন সিএনজি নিয়ে। সিএনজি চালিয়ে যা পান তা দিয়েই সংসার চালান এবং ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগান।
এই অভিনেত্রী জাগো নিউজকে জানান, এমন চরিত্রে নিজেকে তৈরি করতে তিনদিন ওয়ার্কশপ করেছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘একজন মহিলা হয়ে সিএনজি চালানো চাট্টিখানি কথা নয়! ওয়ার্কশপ করেছি, সিএনজি চালানো শিখেছি। চরিত্রটিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে নিজেকে প্রস্তুত করেই কাজটি করতে চেয়েছি।’
এমন চরিত্রে অপুর কাজ প্রসঙ্গে নাটকটির নির্মাতা রবিউল সিকদার বলেন, ‘অপু দিদি একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী। উনার অভিনয় দক্ষতা মুগ্ধ করার মতো। এই বয়সে এসেও নানামাত্রিক চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলছেন অনন্য মাত্রায়। এই নাটকের জন্য তার পুরা গেটআপই পাল্টে দিতে হয়েছে। নাটকটিতে অন্য এক অপুকে দেখতে পাবেন সবাই।’
সম্প্রতি উত্তরায় শুটিং শেষ হওয়া এ নাটকে অপু ছাড়াও অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, মিষ্টি জাহান, আজম খান, হিন্দোন রায়, আনসার আলী, রহিম সুমন, আলিফ, ফারুক ও সোহাগ প্রমুখ।
আগামীকাল শুক্রবার চ্যানেল আইতে বেলা ২টা ৫০ মিনিটে নাটকটি প্রচার করা হবে বলে জানান নির্মাতা।
(jagonews24)

বলিউডে সবাই সম্মানের চোখে দেখেন বচ্চন পরিবারকে। শাহেনশাহ অমিতাভ, তার সহধর্মিনী জয়া বচ্চন, ছেলে অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সকলেই বলিউডে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। পরিবার সবার সঙ্গে সবার বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক। পরিবারের প্রায় সবাই শোবিজে যুক্ত, তবু বিশেষ দিনগুলো তারা একসঙ্গে উদযাপন করেন।
ঐশ্বরিয়া রাই অনেক দিন থেকেই নতুন কোনো ছবির সঙ্গে যুক্ত হননি। অনেক সিনেমাতে অভিনয়ের ডাক পড়ছে। ব্যাটে বলে না মেলায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি বিশেষ এক কারণে শ্বশুর অমিতাভ বচ্ছনের ওপর অখুশি হয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই। রুমি জাফারি পরিচালিত ‘সেহরে’ সিনেমায় ইমরান হাশমির সঙ্গে শুটিং শুরু করেছেন অমিভাভ বচ্চন। এটা মেনে নিতে পারছেন না ঐশ্বরিয়া।

ইমরান হাশমির সঙ্গে কাজ করায় শ্বশুর অমিতাভ বচ্চনের ওপর বিরক্ত ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ঐশ্বরিয়া ও হাশমির মনোমালিন্যের কথা অনেকেই জানেন। ঐশ্বরিয়াকে ‘ফেইক ও প্লাস্টিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন হাশমি। আজও তিনি সেই মন্তব্যের কথা ভোলেননি বিশ্বসুন্দরী।
এই কিছুদিন আগেও একটি শোতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে বেদনাদায়ক মন্তব্য কোনটি। উত্তরে ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘ফেইক অ্যান্ড প্লাস্টিক।’
অন্যদিকে, এর আগে ইমরান হাশমির সঙ্গে একটি সিনেমার প্রস্তাব দেওয়া হলে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। তাই হাশমির সঙ্গে শ্বশুর কাজ করায় হতাশ হয়েছেন তিনি।
(jagonews24)

শুক্রবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে দু'দিনব্যাপী ই-কমার্স ডাক মেলা। রাজধানীর জেনারেল পোস্ট অফিস (জিপিও) চত্বরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। দু'দিনের এই ডাক মেলার মধ্য দিয়েই শেষ হবে বিভাগীয় পর্যায়ের জাতীয় ই-কমার্স ডাক মেলা।

মেলার সমন্বয়ক আসিফ আহনাফ জানান, মেলায় ৬টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৬টি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৮০টি স্টলে বিশেষ ছাড় ও উপহারে নিজেদের পণ্য ও সেবার পসরা নিয়ে হাজির হচ্ছে দারাজ, আজকের ডিল, চালডাল, প্রিয়শপ, রকমারি, দিনরাত্রি, ই-পোস্ট, স্পিকলার , রেজিস্ট্রো, অর্গানিক অনলাইন, লেইসফিতা, ডিজিটাল হাব সলিউশনস লি., স্পাইডার ডিজিটাল, আমার শপ, খাসফুড, সাজগোজ, ওয়ালেট মিক্স, ক্রিয়েটিভ আইটি, বইঘর, টিভিএস, সুন্দরবন, সিএক্সপ্রেস, এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড, ডিবিবিএল, পাঠাও, পেপারফ্লাই, কাবলিওয়ালা, সিন্দাবাদ, বাগডুম, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, কমইঞ্জিন, বাংলাওয়েট্রেড, বিদ্যুৎ লি., এপকম, সপারু, জেএমএস, ক্রাফট ভিশন এবং সিঙ্গারের মতো প্রতিষ্ঠান।
মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশিত পণ্যের ই-বিপণন ও সেবা প্রদর্শনীর পাশাপাশি সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। মেলার শেষ দিন শনিবার অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিনার।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরবেন মেলার আয়োজক ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
(jagonews24)

নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত জামদানি শিল্প এলাকাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এই এলাকাকে মানসম্মত পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে আলাদা জামদানি মেলা হবে। দেশের সব জায়গায় জামদানি ছড়িয়ে পড়বে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী ‘জামদানি পণ্যের প্রদর্শনী ও মেলা ২০১৯’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্প সচিবকে পর্যটন নগরীর জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, সচিব সাহেব জামদানি শিল্পনগরীকে যাতে আমরা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, ওই এলাকার প্রতিটি গ্রামে আমি গিয়েছি। তাদের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে আমি জানি। এখানে যারা কাজ করেন তারা সবাই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তারা জামদানি শাড়ি বিক্রি করে পেট চালাতে পারে না।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, জামদানি শাড়ি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। বিশ্বের দরবারে বেশ প্রসংশিত। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা শাড়ির প্রকৃত মূল্য পান না। তার কারণ, শাড়ি বুনা দেখে কিনতে দেশ বিদেশ থেকে লোকেরা আসেন। কিন্তু দীর্ঘ জ্যাম পেরিয়ে নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে ক্রেতারা যেতে চান না। যারা যায় তারাও আবার বসার জায়গা না পেয়ে হতাশ। ফলে দিনদিন এই শিল্প নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে শিল্প, বস্ত্র এবং সংস্কৃত মন্ত্রণালয় মিলে সহায়তা দিয়ে জামদানি নগরীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তার জন্য জায়গা প্রয়োজন হলে সেটারও ব্যবস্থা করা হবে। এখন পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তত ২০ শতাংশ জমি অনাবাধি পড়ে আছে। এই জমি ফাঁকা না রেখে আমরা তিন মন্ত্রণালয় মিলে জামদানি শিল্পকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, এই শিল্পকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের জন্য সহায়তা করা হবে। যাতে আরো গুণগতমান বৃদ্ধি হয়। বিদেশে শাড়ি রফতানি করে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করা যায়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জামদানি শিল্পে জড়িতরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না। একটি শড়ি বানাতে ১ সপ্তাহ থেকে একমাস পর্যন্ত সময় লাগে। তাদের ঋণ সহায়তা দিয়ে সহায়তা করা দরকার।
বিসিক চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শিল্প সচিব আব্দুল হালিম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন মন্ত্রীরা। ১০ দিনব্যাপী এ মেলায় এবার ২৫টি স্টল রয়েছে।
(jagonews24)

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসের চেতনায় পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ফারাক্কা দিবস ২০১৯ উদযাপন জাতীয় কমিটি। পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা ও সংস্কৃতিতে আগ্রাসী আধিপত্যবাদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ফারাক্কা লংমার্চের মধ্য দিয়ে পানির আগ্রাসন মোকাবেলায় জনগণের ঐক্য সুদৃঢ় করে তোলেন। গড়ে তোলেন বিশ্ব জনমত। আজ তাই ফারাক্কার চেতনায় আগ্রাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে পানি আগ্রাসন, সীমান্ত আগ্রাসন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তারা বলেন, ফারাক্কা, গজলডোবা, টিপাইমুখ বাঁধ ও আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে মরুকরণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে সোচ্চার হতে হবে। সোচ্চার না হলে পানির অধিকার আদায় হবে না। সীমান্তে নিরস্ত্র নিরীহ নাগরিকদের রক্ষা করতে হবে।
কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সভাপতি ডা. এম. এ সামাদ, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন পলাশ প্রমুখ।
(jagonews24)

জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ স্থবির হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়।
সংস্থাটি বলছে, শিশুদের শিক্ষাখাতের বরাদ্দ নির্দিষ্ট অঙ্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এটা বাড়ছে না। এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে বাজেটে শিশুদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়েনার সুপারিশ উপস্থাপন করে সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের গভর্নেন্স ও পাবলিক ফাইন্যান্স বিভাগের উপ পরিচালক আশিক ইকবাল বলেন, ‘বিগত কয়েক অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মূল বাজেটের ১১-১২ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ শিশুদের শিক্ষা বাজেট। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ এ বরাদ্দ কমে এখন তা সমগ্র বাজেটের মাত্র ১১.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ইউনেসকোর সুপারিশ হল ২০ শতাংশ। অথচ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মানবসম্পদকে উন্নয়নের মূল খুঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাই আরও বেশি বরাদ্দ থাকা চাই। ২০২৫ সালের মধ্যে ইউনেসকো প্রস্তাবনার পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ প্রতি বছর বাজেটের শতাংশে ১.৫ শতাংশ হারে বাড়ানো প্রয়োজন।’
বক্তারা বলেন, শিশু অধিকারের প্রেক্ষাপট এই এক বছরে তেমন বদলায়নি। তবে এ পরিস্থিতি উন্নয়নে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে গতবারের চাইতে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আসন্ন জাতীয় বাজেটে (২০১৯-২০) থাকা চাই সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও দিক নির্দেশনা।
এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা এবং বিশেষ ঝুঁকিতে থাকা (যৌনপল্লী কিংবা পথে বসবাসরত) শিশুদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা ও বরাদ্দ বৃদ্ধি। এছাড়া শিশুমৃত্যু রোধে সাফল্য ধরে রাখতে কমবয়সী শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতে জোর দেয়া। এক্ষেত্রে স্কুলে মিড-ডে মিল সরবরাহ খুবই কার্যকর। এজন্য বাজেটে আরও বরাদ্দ রাখতে হবে, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলগুলোতে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র ম্যানেজার খালেদা আকতার, সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার রাশেদা আক্তার, সোশ্যাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ম্যানেজার শেখ রহমত উল্লাহ রুমি প্রমুখ।
(jagonews24)

প্রতিটি ইউনিয়নে ‘সরকারি ক্রয় কেন্দ্র’ চালু করে কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ধান কেনার দাবিতে আগামী ২০-২৬ মে দেশব্যাপী ‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’ এর ডাক দিয়েছে সিপিবি।
এ উপলক্ষে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতির অন্যতম কারিগর হচ্ছে বাংলার কৃষক। তারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু তারা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। তারা মুনাফালোভী ‘রাইস মিল মালিক’ ও ‘ধান-চাল সিন্ডিকেট’ এর প্রতারণার ফলে উৎপাদন ব্যয়ের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

নেতারা বলেন, কৃষকদের এ দুরাবস্থা থেকে রক্ষা করতে দেশব্যাপী কৃষক সংগ্রাম গড়ে তোলা জরুরি। তারা আগামী ২০-২৬ মে দেশব্যাপী ‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’র ডাক দেন।
এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয় কেন্দ্র চালু, সরকার নির্ধারিত দামে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রের কর্মচারীদের বাধ্য করতে দেশব্যাপী ক্রয় কেন্দ্রসমূহের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, গণ দরখাস্তের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের প্রতি আহ্বান জানান সিপিবির শীর্ষ এ দুই নেতা। কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল দেশবাসীকে কৃষকদের ন্যায়ভিত্তিক এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি ও তাদের লড়াইয়ে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
(jagonews24)

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৮ সালে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) অনুমোদন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ব্যাংকের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই লভ্যাংশের অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এজিএমে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান মাফিজ আহমেদ ভূঁইয়া ও ইমরান খান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. জিএম খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকের পরিচালক- কাজী সিরাজুল ইসলাম, মো. নাদের খান, মো. শাহাদাত হোসেন, নাসিম আনোয়ার হোসেন, সালমা হক, ওয়াহিদ মুরাদ জামিল, মো. মুশতাক আহমেদ তানভীর (তিতাস), জাইম আহমেদ, এম ফরহাদ হোসেন এফসিএ, সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন ইমাম আনোয়ার হোসেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক শেয়ার হোল্ডার উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ এহসান হাবীব।

(jagonews24)

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ২০১৫ সালে পাশ্চাত্যের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে আমেরিকা বের হয়ে যাওয়ার পর তেহরান সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছে। ইরানি জনগণের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কানোর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে জাওয়াদ জারিফ বলেন, ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বের হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ইরান সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে

তিনি বলেন, ইরান এখনো পরমাণু সমঝোতার ধারা পুরোপুরি মেনে চলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ে চলমান জাতিসংঘের পর্যালোচনা রিপোর্ট সেটির প্রমাণ দিয়েছে বলে জানান তিনি। জারিফ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমেরিকা যেভাবে উত্তেজনার পারদ উস্কে দিচ্ছে সেটি; অগ্রহণযোগ্য এবং অনাকাঙ্খিত।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারে কানো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। উত্তেজনা কমানোর পাশাপাশি বিদ্যমান ইস্যুগুলোর সমাধানের জন্য কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেবেন না বলে জানান তিনি। জাপানের শীর্ষস্থানীয় এই কূটনীতিক বলেন, পরমাণু সমঝোতা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের দাবি ইরানও সেটি বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠকের পর জারিফ বলেন, তিনি জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর  কাছে আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর উপায়গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। একইসঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধংদেহী মনোভাব ত্যাগের কথা বলেছেন পার্সট্যুডে।
(jagonews24)

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ঘুষ না দেয়ায় রশি কেটে পিকআপে থাকা পৌনে তিন লাখ টাকার ডিম রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।
এতে প্রায় সব ডিম ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। বহস্পতিবার ভোরে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগ্রান সুতিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ডিমের মালিক বিপ্লব কুমার সাহার পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে একটি পিকআপ ৩৫ হাজার ১০০ ডিম নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে নাটোরে যাচ্ছিল। বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান সুতিরপাড় এলাকায় পিকআপটির চাকা পাংচার হয়ে গেলে পাশের ফিডার রোডে নেমে যায়।

খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পিকআপ উদ্ধারের জন্য রেকার ভাড়াসহ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। চালক এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা পিকআপে ডিমের খাঁচি বাঁধার রশি চাকু দিয়ে কেটে দেয়। এতে ডিমের খাঁচি রাস্তায় পড়ে সব ডিম ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়।
বহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় নারীরা রাস্তায় পড়ে থাকা ভাঙাচোরা ডিম কুড়িয়ে নিচ্ছেন। রাস্তাজুড়ে ভাঙা ডিমের হলুদ কুসুম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ট্রাকের চালক-হেলপার ভাঙা ডিম ও প্লাস্টিকের খাঁচিগুলা সংগ্রহ করছেন। কেটে ফেলা রশিগুলা রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় পুকুরের পাহারাদার শহীদুল ইসলাম ও আতাহার আলী জানান, চালক-হেলপার বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও পিকআপের রশিগুলা কেটে দিয়েছে পুলিশ। রশি না কাটলে ডিমগুলা নষ্ট হতো না। ডিমসহ পিকআপটি রেকার দিয়ে থানায় নিয়ে গেলে এমন কি ক্ষতি হতো পুলিশের।
পিকআপের চালক সিরাজগঞ্জ সদরের মজনু মিয়া বলেন, আমার গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে রাস্তায় নেমে গেলেও কোনো ডিম ভাঙেনি। দাবিকৃত ঘুষ না দেয়ার রাগে ডিম বাঁধার রশিগুলো কেটে দিয়েছে পুলিশ। এতে সব ডিম রাস্তায় পড়ে ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়।
ডিমের মালিক সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের মেসার্স প্রীতিমণি এটারপ্রাইজের মালিক বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমি চালকের মোবাইল দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। রশি না কাটার জন্য হাতে-পায়ে ধরে পুলিশকে অনুরাধ করেছি। তারা আমার কোনো কথাই শোনেনি। সবগুলো ডিম নষ্ট হয়ে গেলা। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি আলিম হাসান শিকদার বলেন, একটি মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার কারণে আমি ঢাকায় ছিলাম। সন্ধায় এখানে ফিরেছি। আমি শুনেছি একটি পিকআপ বিকল হয়ে ফিডার রোডে কাত হয়ে পড়ে ডিম নষ্ট হয়েছে। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছি না আমি।
(jagonews24)

রাজশাহীর বাগমারায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর পক্ষ নেয়ায় যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর দাদার করা মামলায় তাকে আদালদের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে বাগমারা থানা পুলিশ মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার মোস্তফা কামাল বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্ষন চেষ্টাকারী এক যুবককে সালিশে লঘুদণ্ড দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত যুবকের পক্ষ নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গত ৩ মে যোগীপাড়া ইউনিয়নের বারুইহাটি গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে তৌহিদ আলী (২৫) নামে এক যুবক। এ সময় স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরে ফেলেন। পরে সালিশে ওই যুবক নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। আর এ জন্য তাকে লঘুদণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।
ন্যায় বিচার না পেয়ে ৫ মে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরদিনই প্রধান আসামি তৌহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলার আসামি ছিলেন চেয়ারম্যানও। তাকেও গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget