Latest Post

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শনিবার (৪ মে) রা‌তে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানককে ফোন করে এ নির্দেশনা দেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।


আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবা‌দিক‌দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফোনে প্রধানমন্ত্রী নেতাদের কাছ থেকে সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং উপকূলীয় এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গত এলাকায় কেউ যেন অনাহারে না থাকে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে নেতাকর্মীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ত্রাণ নিয়ে দুর্গত এলাকায় যেতে হবে।

নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা মনিটরিং করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও সহযোগিতা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী যখন ফোন করেন তখন কার্যালয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
(jagonews24)

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে দেশের সব জেলায় মেডিকেল টিম গঠন করছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ)।
রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় এই টিম গঠনের জন্য নিজ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিএমএ'র মহাসচিব ডাক্তার মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী।

আজ শুক্রবার তার স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের দেশব্যাপী সব শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতৃবৃন্দের জানানো যাচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগের সময় জনসাধারণের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে নিজ নিজ জেলায় মেডিকেল টিম গঠন করুন। সিভিল সার্জন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করার বিশেষ অনুরোধ করা হচ্ছে।
তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন জেলার নেতারা মেডিকেল টিম গঠন করে স্থানীয় সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
(jagonews24)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল শক্তি সঞ্চয়কারী ঘূর্ণিঝড় ফণীর আতঙ্ক এখন চারদিকে। শুক্রবার সকালের দিকে ভারতের ওড়িশা প্রদেশে আঘাত হানে এই ঝড়। ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর নারকীয় তাণ্ডবে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে যখন ফণীর আগ্রাসী ছোবলের আতঙ্ক তুঙ্গে, ঠিক তার আগে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছে হিমাচল প্রদেশ।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, আতঙ্কে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছিলেন ওড়িশার লাখ লাখ মানুষ। তখনও ফণী ওড়িশায় আছড়ে পড়েনি। বঙ্গোপসাগর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ফণী। আর ঠিক তখনই নিশ্চিন্ত নিদ্রা থেকে চমকে উঠে পড়েন ভারতের অন্য প্রান্তের মানুষজন।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলা-সহ আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৪টা ৩২ মিনিট। ওই সময় কম্পনে অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএস বলছে, হিমাচলে শুক্রবার ভোরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ২। শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্ডি অঞ্চল। তবে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ে অতি-প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ফণী। ওড়িশায় ফণীর নারকীয় তাণ্ডবে বাড়ি-ঘর ধসে পড়ার পাশাপাশি রাস্তায় উপড়ে পড়েছে শত শত গাছ। ওড়িশার অন্তত চারটি জেলা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে দুপুরের পর থেকে তীব্র বাতাস ও বৃষ্টি বইছে। এর মাঝে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহাম্মদ নগর গ্রামে কয়েকটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সকালের দিকে ওড়িশার স্থলভাগে ফণী আছড়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর রায়দিঘিতে শুরু হয় ঝড়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফনি ভারতের ওড়িশা উপকূল পুরীর নিকট দিয়ে অতিক্রমরত। এটি বর্তমানে ওড়িশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে।
(jagonews24)

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত থেকে নিরাপদে থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শুক্রবার সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
জীবন ও নিরাপত্তার প্রশ্নে সবাইকে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান বিবৃতিতে।

বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিকটস্থ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা ও সচেতনতায় কাজ করার আহ্বান জানান এরশাদ।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দুর্যোগকালে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান।
বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি এবং পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
(jagonews24)

গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস। ফলে সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে।
শেয়ার মূল্যের উত্থানের পাশাপাশি কোম্পানিটির মোটা অঙ্কের শেয়ার লেনদেন হেয়ছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা।
জেনেক্স ইনফোসিসর পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জিবিবি পাওয়ার। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে কাট্টালি টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা- অ্যাডভেন্ট ফার্মার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ, ইমাম বাটনের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, ন্যাশনাল পলিমারের ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালের ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, লিগাসি ফুটওয়্যারের ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কের ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম বেড়েছে।
(jagonews24)

গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে।
এদিকে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না থাকায় সপ্তাহজুড়ে শেয়ার লেনদেন হযেছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

অপরদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪০ পয়সায়, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৩১ টাকা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি ৩৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের পরেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল বাটা সু। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে মালেক স্পিনিং। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা- এবি ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, সাভার রিফ্যাক্টরিজের ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, এসিআই লিমিটেডের ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বার্জার পেইন্টের ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পের ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম কমেছে।
(jagonews24)

গত বছর সন্তানের মা হওয়া নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডের্ন দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের সাথে বাগদান সম্পন্ন করেছেন। আরডার্ন তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে আরডার্নের বাম হাতের আঙুলে ডায়মন্ডের আংটি শোভা পেতে দেখা যায়। এরপর থেকে এই যুগলের এনগেজমেন্টের খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে আরডার্নের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইস্টার সানডের দিনে বাগদান সম্পন্ন করেছেন এই যুগল।

গত বছর প্রথম সন্তানের মা হন জেসিন্ডা। তার এই কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয় নিভ টে আরোহা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিবিসির ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার আরডার্নকে প্রশ্ন করেছিলেন, গেফোর্ডকে তিনি কখনো বিয়ের প্রস্তাব দেবেন কি-না?
জবাবে তিনি বলেছিলেন, না, আমি কখনো তেমনটি করবো না। আমি তাকে এমন যন্ত্রণা আর পীড়নের মধ্যে রাখতে চাই; যেন সে নিজেই বিষয়টি উপস্থাপনের তাড়না বোধ করেন।
গত ১৫ মার্চে জুমআর নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর নিজের নেতৃত্বের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন আরডার্ন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, গেফোর্ড তাদের সন্তানকে দেখভালের জন্য বাড়িতেই অবস্থান করবেন।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব, খুব সৌভাগ্যের অধিকারী। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন গেফোর্ডের দায়িত্ববোধের কথা। তিনি বলেন, আমার পাশে এমন একজন সঙ্গী রয়েছেন, যিনি যৌথ-দায়িত্বের বিশাল অংশের ভার গ্রহণ করেছেন। কারণ তিনি কেবল একজন শিশু রক্ষণাবেক্ষণকারী নন, তিনি একজন পিতাও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ২০১২ সালে একটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরডার্ন এবং গেফোর্ডের প্রথম দেখা হয়েছিল। আরডার্ন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সন্তানের জন্ম দেয়া দ্বিতীয় কোনো বিশ্ব নেতা।
প্রথম জন ছিলেন পাকিস্তানের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।
(jagonews24)

বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল বাতিল এবং দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার পর সবার কৌতুহল-ট্রফি পাচ্ছে কারা?
ফাইনাল বাতিল ঘোষণার ব্রিফিংয়ে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছিলেন, লটারির মাধ্যমে ট্রফিটি প্রদান করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ত্যাগের পর বাফুফে ও টুর্নামেন্টের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টসের সিইও এম ফাহাদ করীম বসে দুই দলকেই দুটি ট্রফি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কিন্তু কিভাবে? ট্রফি তো তৈরি করা হয়েছে একটি এবং তাও আনা হয়েছে লন্ডন থেকে। আর শনিবার সকাল ১০ টায় লাওস দলের ফ্লাইট। তাহলে কি এই ট্রফিটাই তাদের হাতে দিয়ে দেয়া হচ্ছে?
‘না। এখন যে ট্রফিটা আছে সেটা থাকছে মৌসুমীদেরই। লাওসের জন্য আরেকটি ট্রফি বানিয়ে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে লন্ডনে একই রকমের আরেকটি ট্রফি তৈরি করতে বলা হয়েছে’-শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
লাওস দল তো শনিবার সকালেই চলে যাচ্ছে। ট্রফি তৈরিতেও কয়েকদিন সময় লাগবে। তাহলে কি লন্ডন থেকে ট্রফি ঢাকায় এনে কোনো এক সময় লাওসকে দেয়া হবে? বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ট্রফি লন্ডন থেকেই লাওস পাঠানো হবে। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে ঠিকানা দিলে তারা সেভাবেই লাওসে ট্রফি পাঠিয়ে দেবে।’
যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দুই দলের মধ্যে প্রাইজমানিও সমান ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ছিল ২৫ হাজার মার্কিন ডলার এবং রানার্সআপ দলের ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। এখন ৪০ হাজার মার্কিন ডলার দুই দলের মধ্যে সমান ভাগ করে দেয়া হচ্ছে।
(jagonews24)

নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের ওয়াপদা গেটে যাত্রীবাহী কোচের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকসহ তিনজন ও ডোমার উপজেলার পাঙ্গামটকপুরে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে নীলফামারীগামী একটি যাত্রীবাহী কোচ নীলফামারী সড়কের সৈয়দপুর ওয়াপদা গেটের সামনে ওভারটেক করার সময় পেছন দিক থেকে চলন্ত ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইজিবাইকচালক মিন্টু হোসেন (৩৫)।

ইজিবাইকে থাকা দুই যাত্রীকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে আফতাব হোসেন (৪০)ও আব্দুর রহিমকে (৩৫) চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিনজনই নীলফামারীর ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়ক দুইঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
অপরদিকে, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মিজানুর রহমান মিজান (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মিজান পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার মৃত হাসেম হাওলাদারের ছেলে ও ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী কবীর ইসলামে ছোট ভাই। তিনি গত ৩০ এপ্রিল মোটরসাইকেলে ডোমার উপজেলা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় ডোমার পাঙ্গামটকপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার তিনদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। সৈয়দপুর থানা পুলিশের ওসি শাহজাহান পাশা জানান, ঘাতক কোচ ও চালককে চিন্হিত করার চেষ্টা চলছে।
(jagonews24)

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচয় মিলেছে। দেশটির সাগরা এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশি নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও চারজন। বুধবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-
১. বাহাদুর, পিতা- হাবেজ উদ্দিন। মাতা- মালেকা। ঝাগরমান কালিহাতি, টাঙ্গাইল। পাসপোর্ট নম্বর- BW 0337299
২. মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা- মো. আনোয়ার হোসেন। মাতা- মোছা. হিরা খাতুন। মাধবপুর বাহাদুরপুর, ভেড়ামাড়া, কুষ্টিয়া। পাসপোর্ট নম্বর- BW0798074 
৩. মো. ইউনুস আলি, পিতা- মো. আব্দুল খালেক, মাতা- মোছা. আমেনা খাতুন। রঘুনাথপুর আলিপুর, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ। পাসপোর্ট নম্বর BY 0525493
৪. মো. জামাল উদ্দিন মাঝি, পিতা- মান্নান মাঝি, মাতা- নুরজাহান। তারাকান্দি মনোহরদি, নরসিংদী। পাসপোর্ট নম্বর: BN 0571736
৫. মো. গিয়াসউদ্দিন মৃধা, পিতা- মো. তফিজউদ্দিন মৃধা। মাতা- মোছা. হামিদা। তেগরা মান্দা, নওগাঁ। পাসপোর্ট নম্বর: BL 0177817
৬. মো. জুয়েল, পিতা- মো. গিয়াসউদ্দিন মাতা- আমেনা খাতুন। বাহাদিয়া পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ। পাসপোর্ট নম্বর: BE 0245406
৭. মো. ইমদাদুল, পিতা- রশিদ, মাতা- মোছা. কাজলি বেগম। তাতারদি শেখেরগাঁ মনোহরদি, নরসিংদী। পাসপোর্ট নম্বর: BX 0400348
৮. মো. মানিক, পিতা- মো. রমজান আলী, মাতা- মোছা. মানিকজান। তুরুকবাড়িয়া মান্দা, নওগাঁ। পাসপোর্ট নম্বর: BX 0505953
৯. মো. আল আমিন, পিতা- আব্দুল মান্নান শেখ মাতা- পদেনা বেগম। দমনমারা খিদিরপুর মনোহরদি, নরসিংদী। পাসপোর্ট নম্বর: BP 0049523
১০. মো. মনির, হোসেন পিতা- মো. শামসুল হক মাতা- মমতাজ বেগম। কস্তুরিপাড়া কালিহাতি, টাঙ্গাইল। পাসপোর্ট নম্বর: BX 0564818
দেশটির রাজধানী রিয়াদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর সাগরায় যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সাগরা প্রবেশপথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি দুর্ঘটনাকবলিত হয়। চালকসহ মোট ১৭ জন ছিলেন বলে জানা গেছে। 
দুর্ঘটনায় আহত নাজমুল নামের এক বাংলাদেশি জানান, আমরা দু’জন সুস্থ আছি। তিনজনের অবস্থা একটু খারাপ। ১০ মারা গেছে।
মাইক্রোবাসে ১৭ জন ছিলেন। ঘটনার আগের দিন (৩০ এপ্রিল) রাতে দাম্মাম থেকে মদিনার দিকে যাচ্ছিলেন তারা। 
পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় হঠাৎ গাড়ির চাকা বার্স্ট হয়। গাড়িটা ডিগবাজি খেয়ে পড়ে যায়। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। 
(jagonews24)

শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফণীর পেটেই গেলো প্রথম বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬ টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও লাওসের মেয়েদের মধ্যে টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগে কয়েক দফা বৃষ্টি এবং বড় আকারে ফণীর আঘাত হানার শঙ্কা মিলিয়ে ফাইনাল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফের।

নির্ধারিত সময়ের পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে তাৎক্ষণিক ব্রিফিং করে এ সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী। ফাইনাল বাতিল করে বাংলাদেশ ও লাওসকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলেও ট্রফি পাবে কারা? মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘আমরা লটারি করে ট্রফি প্রদান করবো।’
বিকেল চারটার দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া ম্যাচ বাতিল হওয়ার মতো ছিল না। মাঠেও ছিল ভালো। তারপরও কেন ম্যাচ শুরু না করেই বাতিল করা হলো?
এমন প্রশ্নের জবাবে টুর্নামেন্টের স্বত্বাধিকারী কে-স্পোর্টসের সিইও এম ফাহাদ করীম বলেন, ‘যখন ফাইনাল শুরু হওয়ার কথা ঠিক তখনই ফণীর আঘাত। দেশের ১৯ টি জেলার মানুষ এখন বিপদমুক্তির জন্য প্রার্থনা করছে। আমি বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই আমাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাই ফাইনাল বাতিল করা হয়েছে।’
(jagonews24)

প্রতিবেশী ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের উপকূলে বৃহস্পতিবার রাত হতে আঘাত হানতে শুরু করা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ কক্সবাজারে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে এ সময় বাতাসে উল্লেখযোগ্য গতিবেগ ছিল না। কিন্তু উপকূলে মাঝারি বেগে বাতাস প্রবাহিত হবার পাশাপাশি জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অমানিশার কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ছে বলে দাবি করে জেলেরা জানান, কক্সবাজারের উপকূলে জোয়ারের পানি বাড়লেও শুক্রবার সকাল হতেই বিগত দিনগুলোর মতোই ঝলমলে আকাশে বৈশাখের দাবদাহ চলছিল। তবে মাঝে মাঝে সাদা উড়ন্ত মেঘ সূর্যকে অল্পক্ষণ ঢেকে রেখে লুকোচুরি খেলেছে সারাদিন।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় জানান, সন্ধ্যা হতে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে দ্বীপ এলাকায়। আছরের নামাজের শেষে উপজেলার দুর্গম এলাকার দুর্যোগপ্রবণ এলাকার হাজারাও মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদেরও প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম জানান, বৃষ্টিপাত শুরু হলেও শুধুমাত্র রাজাখালী ও টেইটং থেকেই লোকজনকে দিনের আলোতে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেসব এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নিকটবর্তী সেসব এলাকার স্বেচ্ছাসেবক ও লোকজন নিজেরাই তৈরি হয়ে আছে। প্রয়োজন পড়লেই তারা নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরবে।
আরেক দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন ধলঘাটার অধিকাংশ লোকজন আগেই চকরিয়া কিংবা কক্সবাজারে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। বাকি যারা রয়েছেন তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার পরিকল্পনায় প্রস্তুত রয়েছেন। ঝড়ো হাওয়ায় বৃষ্টি শুরু হলেও সংকেত স্বাভাবিক থাকায় তেমন আতঙ্ক নেই।এরপরও ফণীর আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

 শুক্রবার সন্ধ্যা হতে বাংলাদেশের উপকূলে ফণীর আঘাত হানতে পারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমন শঙ্কায় পূর্বের ঘোষণায় শুক্রবার বিকেলে শুরু হওয়া দুদিন ব্যাপি ডিসির বলি খেলা ও বৈশাখী মেলা এবং ৪ এপ্রিল উখিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য চাকরি মেলাও স্থগিত করেছে প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার। মজুদ রাখা হয়েছে ৪শ মে.টন জিআর চাল, সাড়ে ৪ হাজার প্যাকেটজাত শুকনো খাবার। প্রস্তুত রয়েছে ৮৯টি মেডিকেল টিম ও বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আফসার জানিয়েছেন, উপকূলীয় লোকজনসহ কক্সবাজারে অবস্থানকারী পর্যটকদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সৈকত তীরসহ শহরের জনবহুল স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে সতর্ক সংকেত বুঝানো হয়েছে। উপকূলে চলমান রয়েছে মাইকিং। সবদিকে সতর্ক নজর রাখতে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে আলাদাভাবে সভা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলায় ৪৩০টি ইউনিটের আওতায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপির) ৬ হাজার ৪৫০ জন সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুত রয়েছে ১ হাজার ৭শ জন স্বেচ্ছাসেবী। কক্সবাজার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আওতায় প্রস্তুত রয়েছে ১ হাজার ২শ জন। এরমধ্যে ৭শ জনকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায়, অন্যান্যদের জেলার বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনী ওষুধ সামগ্রীসহ প্রস্তুত রয়েছে ৮৯টি মেডিকেল টিম। একই সঙ্গে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ৬টি ইউনিটের ৩৬ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১৩৮ জন লোক ও বিদ্যুৎ বিভাগের ৬টি টিম কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।
আবার, দুর্যোগকালীন সময়ে জেলা সদরসহ উপজেলা ও উপকূলের প্রায় ৫৩৮টি সাইক্লোন শেল্টারে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জেলা শহরে স্কুলসমূহও শেল্টার হিসেবে ব্যবহারে প্রস্তুতরাখা হয়েছে। জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান এইচএসসি পরীক্ষাসহ আন্তঃসব ধরণের পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উপকূলে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দুর্যোগ কবলিত মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে ১০০টি যানবাহন রিকুইজিশন করেছে জেলা প্রশাসন।
দুর্যোগ সংক্রান্ত সকল যোগাযোগের জন্য জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে। ০৩৪১-৬৪৭৫০ ও ০১৮৮১৬৯৪৮১১ নম্বরে দুর্যোগ-সংক্রান্ত যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ড. রইস উদ্দিন মুকুল।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের উপকূল অতিক্রম করা শুরু করেছে। এর ব্যপ্তি প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা থাকতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যানাগাদ এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। এটি শনিবার সকাল পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে। দমকা হাওয়াসহ ঝড়-বৃষ্টিতে উপড়ে পড়তে পারে গাছ-পালা, খুঁটিসহ কাঁচাঘর। ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে উপকূলে।
(jagonews24)

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৬ মে (সোমবার)। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আগামী ৬ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকায় আমরা ওইদিন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফলাফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেব। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
অন্যান্য বছর সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সফরে লন্ডনে অবস্থান করায় এবার সেই ব্যবস্থার ব্যত্যয় হলো।
গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি মাধ্যমিক) নাজমুল হক খান জানিয়েছিলেন, আগামী ৪ থেকে ৬ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় নির্ধারণ করে দিলে ৪, ৫ অথবা ৬ মে ফল প্রকাশ করা হবে।
এর আগে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য ৪ থেকে ৬ মে সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এই ফল প্রকাশের দিন ঠিক করা হলো।
দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়। এ পরীক্ষায় সারাদেশে মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ১০২ জন, দাখিল ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং এসএসসি ভকেশনালে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন পরীক্ষার্থী।
গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। আগামী ৯ মে পরীক্ষা শেষের ৬০তম দিন পূর্ণ হবে। ফলে এবার তার তিন দিন আগেই ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
(jagonews24)

নির্মাণ শুরুর পর থেকেই আলোচনার চেয়ে সমালোচনা ছিল ‘নোলক’ ছবিটি। অবশেষে প্রকাশ পেলো ছবিটির টিজার। 


শাকিব খান ও ববি অভিনীত এ ছবি পরিচালক জটিলতায় পড়েছিল। ছবির প্রথম পরিচালক রাশেদ রাহাকে বাদ দিয়ে নিজেই পরিচালক বনে যান প্রযোজক সাকিব সনেট। এ নিয়ে যেতে হয় আদালতেও। আদালতে অবশ্য রায় এসেছে সাকিব সনেটের পক্ষেই। তারপর ছবিটি সেন্সরে জমা পড়ে, পায় আনকাট সেন্সরও।   

আগামী ঈদুল ফিতরে ‘নোলক’ মুক্তির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ছবিটির পরিচালক ও প্রযোজক সাকিব সনেট। 

(breakingnews)

ফেসবুক ছাড়া যেন জনজীবন স্থবির। সেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে মাঝেমাঝেই তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। আর এতে করে অনেক গ্রাহকই ফেসবুকের প্রতি অসন্তুষ্ট। আর ফেসবুকের প্রতি এই অসন্তোষ কমাতে এর ডিজানেই আসছে আমূল পরিবর্তন। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ নতুন এই ডিজাইন সামনে এনেছেন। সেখানে কোম্পানির আইকনিক নীল রঙের বার বাদ গিয়েছে।  





নতুন ডিজাইন যোগ হয়েছে কোম্পানির মেসেজিং অ্যাপ ম্যাসেঞ্জারেও। নতুন এ ডিজাইন ফেসবুকের অনলাইন মার্কেটপ্লেস, ভিডিও অন ডিমান্ড ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে। সব ওয়েবসাইটেই এবার থেকে ছবিসহ স্টোরিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও চেনা মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসছে একটি নতুন ফিচার। 

জাকারবার্গ বলেন, ‘প্রাইভেট মেসেজ, ছোট সময় থাকা, স্টোরি আর ছোট গ্রুপ অনলাইন যোগাযোগে ভবিষ্যতে দিশা দেখাবে। ব্যক্তিগত চ্যাটে এনক্রিপশান যোগ করে সুরক্ষা করলে গ্রাহক ফেসবুক এ চ্যাট করতে আরও সুরক্ষিত বোধ করবেন।’

এসময় জাকারবার্গ ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা জানি সুরক্ষা প্রসঙ্গে আমরা নিজেদের নাম খারাপ করেছি।’

(breakingnews)

আগামী বাজেটে কর আদায়ে কোথাও একটি টাকাও বাড়াব না, বরং পারলে আরও কমানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী বাজেট উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪০তম সভায় তিনি একথা বলেন।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এবার বাজেট শুধু একবছরের বাজেট না। এবারের বাজেটেই ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার ভিত উপস্থাপন করা হবে। এবারের বাজেটে কোন এসআরও হবে না।’



তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর দেশে কোন খাতে কর বাড়বে না। প্রয়োজন হলে কর কমানো হবে। কিন্তু করের অর্জন বাড়বে। কারণ, সবাইকে কর দিতে হবে। যিনি অর্থনৈতিকভাবে যত বেশি শক্তিশালী তিনি তত বেশি কর দেবেন। যার সামর্থ্য কম তিনি কম কর দেবেন। আসছে বাজেটে আয়কর আইন সহজ করা হবে। দ্বৈত কর পরিহার করা হবে। সঠিক হারে ভ্যাট আদায় করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের বাজেট থেকেই ঘোষণা আসবে হয়রানি মুক্ত হবে আয়কর এলাকা। এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যেকোন অভিযোগ জানাতে ২৪ ঘণ্টা খোলা একটি ফোন নাম্বার থাকবে। কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এলে কোন কোর্ট-কাচারি লাগবে না, ৭ দিনের মধ্যেই অ্যাকশন নেয়া হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেট থেকেই ঘোষণা আসবে হয়রানি মুক্ত হবে আয়কর এলাকা। আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি আপনি যত খুশি ভ্যাট/কর নেন। কিন্তু একজন লোকও যাতে ব্যথা না পান। কেউ যাতে আমার কাছে কোন অভিযোগ নিয়ে না আসে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেটে আমাকে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। বাজেটে অনেক সংস্কার করতে হবে। এর মধ্যে কাস্টমস, ভ্যাট ও ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি সংস্কার হবে। আর এ কারণে ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা হচ্ছে। ঋণ খেলাপিদের আমি ক্ষমাও করতে পারবো না। আবার তাদের সকলকে জেলেও পাঠাতে পারবো না। তাহলে আমি অর্থনীতি চালাবো কি করে?’

বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসছে বাজেট সংগত কারণেই বড় হবে। একই সঙ্গে সহজ বাজেট প্রণয়ন করা হবে। এবারের বাজেট সবাই বুঝতে পারবেন। সহজভাবে সুন্দর কথা দিয়ে বাজেট প্রস্তুত করে সংসদে উপস্থাপন করবো। আর এটাই হবে এবারের বাজেটের অন্যান্য বাজেটের তুলনায় সবচেয়ে বড় পার্থক্য। এবারের বাজেট থেকেই ঘোষণা আসবে দুর্নীতি আমরা আর কেউ করবো না। জোর করে কর আদায় করবো না। কারো থেকে প্রয়োজনের বেশি এক টাকাও নেওয়া হবে না। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশপ্রেম থেকে কর দেবেন।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি আপনাদের একজন। আমার কাছে যা আছে আমি আপনাদেরকে তার সবটুকু দেব। আপনাদের থেকে বেশি এক টাকাও নেব না। সরকারের জন্য যা লাগবে শুধু তাই নেব। তবে মেহেরবানি করে কেউ অসাধু উপায় গ্রহণ করবেন না। আপনারা আমাকে কথা দেন আমদানি-রপ্তানি না করে প্রণোদনা নেবেন না, রপ্তানি ইনসেনটিভ নেবেন না, মিথ্যা ঘোষণা দেবেন না, বন্ডের অপব্যবহার করবেন না। আপনারা আমাকে কথা দেন।’

সভা সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

(breakingnews)

কুমিল্লায় গ্রাহকদের লেনদেন আরও সহজ করতে পদ্মা ব্যাংকের শাখা শহরের প্রফেসর পাড়া থেকে চক বাজার বাস স্ট্যান্ডের শামছুন্নাহার টাওয়ারে স্থানান্তর করা হয়েছে।



এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার স্থানান্তরিত শাখাটির উদ্বোধন করা হয়।

শাখাটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুল হক সাক্কু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদ্মা ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হাসান তাহের ইমাম।

(breakingnews)

ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব মোকাবেলার জন্য ভারত প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ভারতের ওপর যে প্রভাব পড়বে তা মোকাবেলায় ভারত অনেকটাই প্রস্তুত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভেশ কুমার এ কথা বলেন।


ইরানি তেলের ক্ষতিপূরণের জন্য অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর থেকে অতিরিক্ত সরবরাহ পাব। চীনের পরেই ইরানের শীর্ষ তেল ক্রেতা ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছয় মাস শিথিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নয়াদিল্লি মে মাসে ইরানের তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। পরে ওপেক সদস্য ভারতসহ ইরানের আটটি শীর্ষ গ্রাহককে সীমিত পরিমাণে আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে।

এর আগে শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইরানের তেল আমদানি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

এতে সুষমা স্বরাজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই ভারত ইরানের অপরিশোধিত তেল আরও কিছু সময়ের জন্য আমদানি করতে চায়। যেহেতু ভারতে নির্বাচন চলছে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে পম্পেও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের তেল আমদানি করার বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।

(breakingnews)

ঘূ‌র্ণিঝড় ‘ফ‌ণী’ মোকা‌বিলায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দফতর, বিভাগ ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি (নৈমিত্তিক, সাপ্তাহিক ও গেজেটেড) বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২ মে) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে।  পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নি‌র্দেশনা বহাল থাক‌বে।


উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলা হলো- খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফেনী, ঝালকাঠি, যশোর, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ।

সরকা‌রি আদেশে বলা হয়েছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্তের এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। সংশ্লিষ্ট সকল দফতর ও সংস্থার প্রধানকে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ওই আদেশে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘ফণী’ বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, ‘ফণী’ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

(breakingnews)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget