Latest Post

 


৬ দফা দাবিতে পিএসসির সামনে ৪০তম নন ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান

৬ দফা দাবিতে আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সামনে অবস্থান করেছে ৪০তম বিসিএস নন ক্যাডার সুপারিশ প্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থীরা।

রবিবার সকালে পিএসসি ভবনের সবগুলো গেট বন্ধ করে অবস্থান নেয় শত শত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

বক্তারা বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডারদের পদ বরাদ্দের পর মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নন ক্যাডারে চাকরির জন্য সুপারিশ করা হতো। কিন্তু সরকারি কর্ম কমিশনের নতুন নিয়মের ফলে শত শত চাকরিপ্রত্যাশীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তারা নতুন নিয়মকে ‘বেকার বিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক’ বলে পিএসসির কড়া সমালোচনা করেন।
পিএসসির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। তবে চলমান ৪০তম, ৪১তম, ৪৩তম ও ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে কোনো বিসিএসের সময় শূন্য পদের চাহিদা এসেছে, তা পর্যালোচনা করে মেধার ভিত্তিতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।

গত ২৩ আগস্ট পিএসসি থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের আগে যত শূন্য পদই আসুক, তা একটি বিসিএসে নিয়োগ দিয়ে শেষ করা যাবে না।

আরো পড়ুন:


 


শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। 

পিচ রিপোর্ট বলছে এই উইকেটে আগের মতোই আছে। এই মাঠে ভার ১৭৯ এবং সাউথ আফ্রিকা ২০০ রান পেয়েছিল। সেই হিসেবে আজকে ভালো রান উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ হার নিয়ে এ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর ২ ম্যাচে এক জয় আর আরেকটিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সবার শীর্ষে আছে নিউজিল্যান্ড। সেই হিসেবে সেমি ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে শ্রীলঙ্কার জয় পাওয়াটা বেশি জরুরি।

আরো পড়ুন:


 


ইলন মাস্ক সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি টুইটার কিনে নিলেন

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির জন্য এয়ারবিএনবি থেকে ভাড়া নেয়া এক বাড়িতে তাড়াহুড়ো করে আয়োজন করা হয়েছে একটি বৈঠক।

এটি টুইটারের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইলন মাস্ক সম্প্রতি টুইটারের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডারে পরিণত হয়েছেন। এখন কানাঘুষো চলছে, তিনি কোম্পানির বোর্ডেও যোগ দিতে চান।

টুইটারের চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর সভাস্থলে এসে যা দেখলেন, সেটা তিনি প্রত্যাশা করেননি।

তিনি নাকি ইলন মাস্ককে পরে টেক্সট করে জানিয়েছিলেন, "এর চেয়ে আজব কোন জায়গায় আমি সম্প্রতি এরকম কোন বৈঠক করিনি।"

তিনি আরও বলেছিলেন, "এরা হয়তো এয়ারপোর্টের কাছাকাছি জায়গায় কোন এয়ারবিএনবি খুঁজছিল। সেখানে ট্রাক্টর থেকে গাধা, সবই ছিল।"

তবে বৈঠকটি বেশ ভালোভাবেই হয়েছিল।

এর কদিন পরেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল যে মিস্টার মাস্ক টুইটারের বোর্ডে যোগ দিচ্ছেন।

এরপর ইলন মাস্ক ১৪ এপ্রিল একটা ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দিলেন- তিনি টুইটার একাই কিনে নিতে চান।

এজন্য তিনি ৪৪ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ চার হাজার ৪শ কোটি ডলার দাম অফার করে বললেন, এই দামে হলে তিনি কিনবেন, নইলে নয়।

টুইটারের বোর্ড সাথে সাথেই এই দাম প্রত্যাখ্যান করলো। তারা এমন কিছু ব্যবস্থাও নিল, যাতে করে ইলন মাস্ক টুইটার কিনতে না পারেন।

কিন্তু তারপরেই অবশ্য টুইটারের বোর্ড তাদের মত বদলালো। তারা বললো, ইলন মাস্কের প্রস্তাবে তারা রাজী। ২৫ এপ্রিল টুইটার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিল।

ইলন মাস্ক টুইটার নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, এটি আসলে পথ হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেছিলেন, টুইটার খুব বেশীমাত্রায় মত প্রকাশের অধিকার সীমিত করছে এবং, বিশ্বের 'টাউন হল' হিসেবে এটিকে মত প্রকাশের অধিকারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

কানাডার ভ্যাংকুভারের একটি বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি বললেন, তিনি এই কোম্পানির অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন।

তবে ইলন মাস্ক টুইটার কেনার ঘোষণা দেয়ার পরের সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে শেয়ার বাজারে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম পড়ে যাচ্ছিল। কোম্পানি হিসেবে টুইটারের দামও তখন কমতে থাকে। তখন অনেক বিশ্লেষকই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, মি. মাস্ক টুইটারের জন্য বেশি দাম দিয়ে ফেলেছেন কিনা।

তবে মিস্টার মাস্ক প্রকাশ্যে ভিন্ন কিছু প্রশ্ন তুলছিলেন- তার একটা হচ্ছে, টুইটারে আসল ব্যবহারকারী একাউন্টের সংখ্যা কত?

ফোর্বস এবং ব্লুমবার্গ বিশ্বের সেরা ধনীদের যে তালিকা করেছে, ইলন মাস্ক আছেন তার শীর্ষে। তার সম্পদের পরিমাণ নাকি ২৫০ বিলিয়ন, অর্থাৎ দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলার। ইলন মাস্ক অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করে যাচ্ছিলেন যে, টুইটারে বট বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্টি করা ভুয়া একাউন্টের সংখ্যা অনেক বেশি।

টুইটার কেনার জন্য তার দেয়া প্রস্তাব যখন গৃহীত হলো, তখন তিনি বার বার জানতে চাইছিলেন, টুইটারের সত্যিকারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা আসলে কতো।

টুইটারের নির্বাহীরা তখন জানিয়েছিলেন, প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫ শতাংশেরও কম আসলে 'বট' বা স্বয়ংক্রিয় কৃত্রিম ব্যবহারকারী। কিন্তু এই পরিসংখ্যান শুনে ক্ষেপে গিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।

বট একাউন্টের এই সংখ্যাটা কিভাবে তারা হিসেব করে বের করেছেন, তা নিয়ে টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিস্টার আগরওয়াল একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছিলেন। মিস্টার মাস্ক সেই পোস্টের জবাব দেন 'পুপ', অর্থাৎ মলের ইমোজি পোস্ট করে।

টুইটারের সঙ্গে ইলন মাস্কের চুক্তি তখন ধসে পড়ার উপক্রম। এরপর ৮ জুলাই তিনি ঘোষণা দিলেন, তিনি এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে চান।

ইলন মাস্ক আরও কম দামে টুইটার কিনতে দরকষাকষি করতে চাইছিলেন নাকি আসলেই এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছিলেন, সেটা বলা মুশকিল।

তবে টুইটার এসব কথা মানতে চাইছিল না। তারা যুক্তি দিচ্ছিল যে, টুইটার কেনার জন্য যে চুক্তি ইলন মাস্ক করেছেন, সেই চুক্তি মানতে তিনি আইনগত-ভাবে বাধ্য এবং এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

দুই পক্ষই এরপর নামী-দামী আইনজীবীদের নিয়োগ করেন, এবং ১৭ অক্টোবরে ডেলাওয়ারে এক আদালতে মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়, যেখানে মি, মাস্ককে চুক্তি মেনে কোম্পানিটি কিনতে বাধ্য করা হবে।

আদালতে দাখিল করা কাগজপত্রে টুইটার বলেছিল, এই প্লাটফর্মের প্রকৃত ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য তারা ইলন মাস্ককে দিয়েছে।

কিন্তু মি. মাস্ক বলেছিলেন, বট একাউন্টের সংখ্যা সম্পর্কে টুইটার প্রকাশ্যে যে দাবি করে, প্রকৃত সংখ্যা হয়তো তার কয়েকগুণ। তিনি এমনকি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ পর্যন্ত এনেছিলেন।

প্রকাশ্যে কোম্পানির এরকম ক্রমাগত সমালোচনা টুইটারের বেশ ক্ষতি করছিল। টুইটারের বেশিরভাগ রাজস্ব আসে বিজ্ঞাপন থেকে। বিজ্ঞাপনদাতারা ভাবছিলেন, তাদের বিজ্ঞাপন আসলে ঠিক কতসংখ্যাক মানুষের কাছে পোঁছাচ্ছে।

টুইটার সদর দফতরেও এসব চাপ কাজ-কর্মে বেশ ব্যাঘাত সৃষ্টি করছিল। টুইটারের কিছু কর্মী বেশ চাইছিলেন ইলন মাস্ক যেন তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হয়ে আসেন। কিন্তু অনেকে গোপনে এবং প্রকাশ্যে বলছিলেন, ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নিলে সেটা হবে একটা বিপর্যয়, কোম্পানির সার্বিক লক্ষ্য থেকে শুরু করে 'কনটেন্ট মডারেশন', সবকিছুর জন্য।

আরো পড়ুন:


 


নোয়াখালী থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উজেলা থেকে ১ টি ওয়ান শুটারগানসহ এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে RAB -১১।  

গ্রেফতারকৃত মো. হারুনুর রশিদ (৪৪)। সে উপজেলার  ছয়ানী ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের মৃত আলী হায়দার চৌধুরীর ছেলে

শুক্রবার রাতে উপজেলার আমানউল্ল্যাহপুরের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  

র‌্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা মারামারিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরো পড়ুন:


 


জেলা নেতাদের বক্তব্যে রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু

রংপুর শহরের কালেক্টরে ঈদগাহ মাঠে আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।  প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এখনো মঞ্চে আসেননি।

  কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশে বানানো হয়েছে মঞ্চ। বিএনপির নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজ রোড হয়ে পূর্বপারের গেট গিয়ে সমাবেশস্থলে ঢুকছেন। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে পূর্বপাড়ার সামনে চলমান বাণিজ্যমেলা আজ  স্থগিত করা হয়েছে।



৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামিউল ইসলাম বলেন, নেতা কর্মীদের ভ্যানে, অটোরিকশায় আসতে কষ্ট হয়েছে।

দিনাজপুর সদর থেকে মোটরসাইকেলে করে গতকাল রাতে নেতা কর্মীরা  এসেছিল। সঙ্গে দুটি পিকআপ ভ্যানেও বিএনপি কর্মী ও সমর্থকেরা ছিল। দিনাজপুর জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, সেখানে ১৩ উপজেলায় বিএনপির ২২টি সাংগঠনিক কমিটি আছে। 

বিএনপি কর্মী মনোয়ার বলেন, তাঁরা দিনাজপুর থেকে মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপ ভ্যানে গতকাল রাতে রংপুর এসেছেন। চিরিরবন্দরে ভ্যান দুটিতে পুলিশ বাধা দেয়। পরে অবশ্য তাঁরা আসতে পেরেছেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও দিনাজপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম থেকে নেতা কর্মীরা ট্রেনে সমাবেশস্থলে এসেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদের নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল সকালে সমাবেশ স্থলে প্রবেশ করে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কুড়িগ্রামের বেশির ভাগ নেতা কর্মী গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার রংপুরে এসেছেন। গতকাল নেতা কর্মীরা রবার্টসন স্কুল মাঠে রাত কাটিয়েছেন। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের চিলমারী, রাজারহাট,যাত্রাপুর, উলিপুরের নেতা কর্মীরা নদীপথে তিস্তা পর্যন্ত এসে পরে মিছিল নিয়ে রংপুর শহরে এসেছেন।

সমাবেশস্থলের সামনেই সকাল ৯টার দিকে শুয়ে ছিলেন বেশ কিছু নেতা কর্মী। তাঁদের একজন গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম। রবিউল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ২৫০-৩০০ নেতা কর্মী আজ ভোরে তিনটি ট্রাক ও একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন। রংপুরে প্রবেশপথে পুলিশ তাঁদের বাধা দিলেও পরে ছেড়ে দিয়েছেন।

রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন,  মাঠে নেতা কর্মীদের উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।  কালেক্টরেট মাঠ এবং এর আশপাশের এলাকা ছাপিয়ে আজ রংপুর সমাবেশের শহরে পরিণত হবে।
prothomalo.com








 


ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদসহ এক  যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৮৫ বোতল ভারতীয় মদসহ রতন আলী (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১৪ জামালপুর। ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপজেলা সদর ইউনিয়নের আহাম্মদ নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রতন আলী পার্শবতী  নালিতাবাড়ী উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।  জানা গেছে, বৃহস্পতিবার  জামালপুর ভোররাতে র‍্যাব ১৪ কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারী এম.এম. সবুজ রানা এর নেতৃত্বে, এবং সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ এর উপস্থিতিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল  ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদ নগর মামুন তালুকদারের মৎস প্রজেক্টের  সামনে পাকাঁ রাস্তার উপর 

অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার 
করা হয়।এসময় তার কাছ থেকে
 ৮৫বোতল  বিদেশী মদ,

নগদ-৫শ টাকা এবং ১টি মোবাইল সেট সীমসহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিদেশী মদের
আনুমানিক মূল্য ৪৩ হাজার ৫শত টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায়,সে দীর্ঘদিন যাবৎ শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী এম,এম সবুজ রানা।

আরো পড়ুন:


 


মিয়ানমার রাশিয়ার দেওয়া অস্ত্রে মানুষ মারছে

রাশিয়া ইউক্রেনে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করছে, সেই ধরনের অস্ত্র দিয়েই মানুষ হত্যা চলছে মিয়ানমারে, জাতিসংঘের মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ের বিশেষজ্ঞ এসব কথা বলেন। তিনি জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে একজোট হয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। খবর আল–জাজিরার।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ের বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার (বিশেষজ্ঞ) টম এন্ড্রুস আজ বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এন্ড্রুস মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানান সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতি।

টম এন্ড্রুস বলেন, ‘ইউক্রেনে মানুষ হত্যায় যেসব অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে, একই ধরনের কিছু অস্ত্র মিয়ানমারের মানুষ হত্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অস্ত্র একই উৎস থেকে আসছে, এসব আসছে রাশিয়া থেকে।’

জাতিসংঘের র‌্যাপোটিয়ার এন্ড্রুস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়া। একজোট হয়ে তাদের কাজ হবে নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা কিন্তু এসব করা হচ্ছে না। এটা করা হচ্ছে না, কারণ, এটা কীভাবে করতে হবে, তা আমরা জানি না। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হবে, আপনার যদি উদাহরণের দরকার হয়, তবে ইউক্রেনের দিকে তাকান।’

মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রাশিয়া একটি। ২০২১ সালে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পর যেসব দেশ মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়েছে, তার মধ্যে রাশিয়া একটি।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের পর দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিক্ষোভ দমনে ২ হাজার ৩০০ মানুষকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহে দেশটির কাচিন রাজ্যে একটি সমাবেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।

মিয়ানমারের ভেতরে চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এন্ড্রুস বলেন, দেশটির ভয়ানক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ব মিয়ানমারের মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। এখানে নেতৃত্বের সংকট আছে, এই জাতিসংঘে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।

এন্ড্রুসের এই বক্তব্যের বিষয়ে জাতিসংঘে রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত জেনাদি কুজমিন বলেন, বাস্তব পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ, বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শিশু মারা যাচ্ছে। কিন্তু তারা কার অস্ত্রে মানুষ মারা যাচ্ছে, এটা বলা যাবে না। তাকে মিয়ানমারের বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার করা হয়েছে, ইউক্রেনের নয়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে। তাঁকেসহ তাঁর দলের অনেক নেতা–কর্মীকে বন্দী করা হয়। দেশজুড়ে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়। কিন্তু সামরিক সরকার কঠোর হাতে এসব বিক্ষোভ দমন করে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়।

আরো পড়ুন:


 


রেকর্ড পরাজয় থেকে সাকিব যা শিখলেন

হারটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম ইনিংসেই। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়া করে জেতা সহজ হওয়ার কথা নয়, হয়ওনি। বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১০১ রানেই। ১০৪ রানের বিশাল হার, যেটা রানের হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়।

এমন ধাক্কার পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেদের বোলিংয়ের দিকেই আঙুল তুলবেন স্বাভাবিক। তা তুলেছেনও।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সঞ্চালক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘প্রথম ওভারের পর আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। উইকেটটা ভালো ছিল। রাইলি রুশো দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। কুইন্টনও ভালো খেলেছে। ওদের দুজনের জুটিটাই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।’

প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু এরপর আর বাংলাদেশের বোলাররা পাত্তা পায়নি। পরে আর উইকেট নিতে না পারাটাকেই সর্বনাশের মূল বলে মনে করছেন সাকিব, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করিনি। 

বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে, প্রথম ছয় ওভারে। যেহেতু উইকেট ভালো ছিল, আগের দিন এই মাঠে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যা করেছে, আজ দক্ষিণ আফ্রিকাও তা–ই করেছে। আমাদের উইকেট নিতে হতো। এখানে উইকেট না নিতে পারলে আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকব। ওদের হাতে উইকেট ছিল। আর ওরা দুজন যেভাবে খেলেছে, তাতেই ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে গেছে।’

এ তো গেল বোলিংয়ের কথা। আজকের ম্যাচের পর বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সাকিবের কথায়ও এসেছে ব্যাটিং–দুর্বলতার বিষয়টি। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে গতি ও বাউন্সের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। আমাদের বাউন্স ও পেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের শুধু ব্যাটিং করে যেতে হবে।’

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget