কাতার বিশ্বকাপে বিয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি, এক গ্লাস পানির দাম ২৮৩ টাকা
কাতার বিশ্বকাপে বিয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি, এক গ্লাস পানির দাম ২৮৩ টাকা
বিশ্বকাপের ইতিহাসে কাতারের আসরেই বিয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি। আধা লিটারের এক গ্লাস বিয়ারের দাম ৫০ কাতারি রিয়াল বা ১৪ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪৫০ টাকা। রাশিয়া বিশ্বকাপে একই পরিমাণ বিয়ারের দাম ছিল প্রায় অর্ধেক।
গত আসরে আধা লিটারের এক গ্লাস বিয়ারের দাম ছিল ৬ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬১৯ টাকা। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ আরও জানিয়েছে, অতিরিক্ত বিয়ার খেয়ে কেউ যেন বেসামাল হতে না পারেন, সে জন্য নিয়মও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিপ্রতি সর্বোচ্চ চার গ্লাস বিয়ার সরবরাহ করা হবে।
কাতার বিশ্বকাপে অ্যালকোহলিক বিয়ারের তুলনায় নন-অ্যালকোহলিক বিয়ারের দাম কম। আধা লিটারের এক গ্লাস নন-অ্যালকোহলিক বিয়ারের দাম ৩০ কাতারি রিয়াল বা ৮.২৪ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫০ টাকা। একই ওজনের এক গ্লাস পানির দাম ১০ কাতারি রিয়াল বা ২.৭৫ ডলার। অর্থাৎ কাতার বিশ্বকাপে এক গ্লাস পানি খেতে প্রায় ২৮৩ টাকা খরচ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত কাল রাতে এই দাম নিশ্চিত করেছে ‘গ্লোবো’।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপে বড় স্পনসরগুলোর একটি বিয়ার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাডওয়েজার। বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রির এক্সক্লুসিভ স্বত্বও যুক্তরাষ্ট্রের এই বিয়ার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের। দোহায় ৪০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন পার্কে বিয়ার বিক্রি করবে বাডওয়েজার। এ ছাড়া স্টেডিয়ামের আশপাশে টিকিট নিয়ে ঢুকতে হয়, এমন এলাকার মধ্যেও বিয়ার বিক্রি করা হবে।
কাতারে অফিশিয়ালি ৬৫.৫ শতাংশ নাগরিক ইসলাম ধর্মের। সেখানে পাবলিক প্লেসে অ্যালকোহল পান নিষিদ্ধ। গ্লোবো জানিয়েছে, অন্য সব বিশ্বকাপের মতো এবার স্টেডিয়ামের ভেতরে বিয়ার পান করা যাবে না। গ্যালারিতে বিয়ার পান করা নিষিদ্ধ। তবে কেবিনে করা যাবে। সাধারণ দর্শকেরা স্টেডিয়ামে নিরাপত্তারক্ষীদের আওতাধীন এলাকার মধ্যেই বিয়ার কিনতে পারবেন।