Latest Post

 


লালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুলছাত্র গুরুতর আহত

লালপুরে সাইকেল চালিয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি আসার পথে ট্রাকের ধাক্কায় রাফি (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালপুর পল্লী বিদ্যুতের সামনে এঘটনা ঘটে। আহত রাফি উপজেলার উত্তর লালপুর গ্রামের আঃ সামাদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, প্রাইভেট পড়ে বাড়ি আসার পথে রাফি পল্লী বিদ্যুতের সামনে পৌঁছালে ট্রাক নাম্বার নাটোর -ট ১১-০০২২ ট্রাকটি সজোরে তার সাইকেলে ধাক্কা মারে এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাময়িক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘাতক চালক এবং ট্রাকটি লালপুর থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।

আরো পড়ুন :

আরো পড়ুন:


 


ইউক্রেন বাহিনীকে নিয়ে রুশ কমান্ডারের বিরল স্বীকারোক্তি

ইউক্রেনে নিযুক্ত রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নতুন কমান্ডার বিরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের এলাকা পুনর্দখলে নিতে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের প্রতিরোধের চাপে রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে মস্কো এই এলাকা অধিগ্রহণ করার দাবি করেছে। খবর রয়টার্সের

রাশিয়া আরেকটি উদ্বেগের বিষয় জানিয়েছে। খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে ক্রেমলিনভিত্তিক কৌশলগত প্রধান গত মঙ্গলবার এক ঘোষণায় বলেন, নিপ্রো নদীতীরবর্তী চারটি শহর থেকে নাগরিকদের পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার বিমানবাহিনীর জেনারেল সের্গেই সারোভিকিন সরকারি রাশিয়া টোয়েন্টি ফোর সংবাদ চ্যানেলকে বলেছেন, ‘যে এলাকায় বিশেষ সেনা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাকর।’ সারোভিকিন এখন ইউক্রেনে অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।

খেরসন এলাকায় সারোভিকিন আরও বলেছেন, ‘এই এলাকার পরিস্থিতি কঠিন। শত্রুরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে খেরসনের বিভিন্ন অবকাঠামো ও আবাসিক ভবনে হামলা চালাচ্ছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে খেরসন থেকে ২০–৩০ কিলোমিটার পিছু হটানো হয়েছে রাশিয়ার বাহিনীকে। দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে রুশ বাহিনীকে আটকে রাখার আশঙ্কা রয়েছে। জাপোরিঝঝিয়ার রুশ কাউন্সিলের সদস্য ভ্লাদিমির রগোভ বলেছেন, রুশ–নিয়ন্ত্রিত এনেরগোদার শহরে ইউক্রেনের বাহিনী সারা রাত গোলা হামলা চালিয়েছে। ওই শহরে জাপোরিঝঝিয়া কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন কর্মী বসবাস করেন।

ইউক্রেনে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম অ্যাপে ভ্লাদিমির রগোভ বলেন, এনারহোদার শহরের প্রান্তে বেশ কয়েকটি গোলা হামলা হয়েছে। সেখানে একটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে রয়টার্স হামলার তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

ইউক্রেন ও রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেছে। ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।

ইউরোপের সর্বোচ্চ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝঝিয়ায় নিরাপত্তা সুরক্ষা জোন নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে ফেরার আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি।
ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। শহরটি এখনো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে শিগগিরই এখানে ইউক্রেনের পাল্টা জবাব আসছে বলছে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেনের অভিযোগ ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। তবে ইরান এ ধরনের ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া হামলা চালিয়ে দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করেছে।

আরো পড়ুন:


 


 ঘূর্ণিঝড়ে সুনামগঞ্জে লণ্ডভণ্ড ৪০ ঘর-বাড়ি

প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের আসামমুড়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আহমদ শফি। সোমবার দিবা গতরাতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ঘুম ভাঙে তার।

কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই শফির ঘরের চাল উড়ে যায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে। শুধু ঘরের চালই নয়, আধা ঘণ্টার মতো স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়ে পুরো ঘর তছনছ হয়ে যায় তার। এই অবস্থায় পরিবারের ১১ সদস্যের নিরাপত্তার শঙ্কায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন তিনি। 

আহমদ শফির মতো এমন অবস্থা উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের আসামমুড়া, দরগাহপুর গ্রামের অন্তত ৪০টি ঘর-বাড়ির।
মধ্যরাতের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এখন দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবার। বাসগৃহ হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা। 

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের ঘরবাড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে হয়ে গেছে। স্বল্প আয়ে দিনানিপাত করা এসব পরিবারে ঘূর্ণিঝড়ের হানা 'মরার উপর খাড়ার ঘা' হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন বাস্তবতায় সরকারী সহযোগিতার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নে। এতে ইউনিয়নের দরগাহপুর ও আসামমুড়া গ্রামের অন্তত ৪০টি কাঁচা ঘর, টিনসেডের ঘর, সেমিপাকা ঘর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়, বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেন। 

খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ভূইয়া, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন এবং সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জানান, পাথারিয়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে বসতঘর একদম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে সকল সহায়তা প্রদান করা হবে। 

আরো পড়ুন:


 


ঝিনাইগাতীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস পালিত

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে  সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৯তম জন্ম বার্ষিকী  ও শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়।   

এ উপলক্ষে সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে  শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসটির সুচনা করা হয়  পরে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। 

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)  ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা  আশরাফুল কবীরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আতিকুর রহমানের  উপস্থাপনায় আলোচনা সভায়  অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা . কর্মকর্তা ডা: রাজিব সাহা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফ্লোরা ইয়াসমিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান প্রমুখ।  

এ অনুষ্ঠানে  বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতক নেতৃবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিগণ  অংশ গ্রহন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রাসেল পদক অনুষ্ঠান সরাসরি   সম্প্রচার করেন। সব শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:


 


স্বার্থের সম্পর্কে হালকা টানাপোড়েন

জো বাইডেন তখনো প্রেসিডেন্ট হননি। নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত তিনি। তাঁর প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরবের প্রতি তাঁর বিশেষ ‘দুর্বলতা’ সবার জানা। নির্বাচনে ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করার কৌশলের অংশ হিসেবে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার পর্বে বাইডেন সৌদির মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশটির শাসকদের বিরুদ্ধে সরব হন। বাইডেন ঘোষণা দেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে সৌদির সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করবেন।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাইডেন তাঁর সরকারের যেসব নীতির কথা জোর গলায় ঘোষণা দেন, তা ছিল স্পষ্টত সৌদির জন্য প্রতিকূল। এমনকি তিনি সৌদির ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও খাসোগি হত্যা নিয়ে গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। খাসোগি হত্যার মিশনে সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি অনুমোদন ছিল বলে প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে। খাসোগি হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ সৌদির যুবরাজের সঙ্গে কথা বলতে পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানান বাইডেন।

বাইডেনের এমন কঠোর মনোভাবে সবাই ভাবতে বসেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি নীতিতে এবার বুঝি বদল আসছে। রিয়াদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সুর হয়তো কেটে যাচ্ছে।

সেই বাইডেনকেই গত জুলাই মাসে দেখা গেল এক ভিন্ন রূপে। ঘরে-বাইরে তীব্র সমালোচনা উপেক্ষা করে তিনি যান সৌদিতে। সেখানে গিয়ে দেন এক ‘চমক’। তিনি দেশটির কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ‘ফিস্ট বাম্প’ করেন।

আসলে তখন বাইডেন সৌদি গিয়েছিলেন স্বার্থ হাসিলের জন্য। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে তেলের জন্য সৌদিকে খুব দরকার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তাঁর সৌদি সফরে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুসহ তেলের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পায়। এমনকি তখন সমালোচকেরা বলাবলি করছিলেন, সৌদির তেলের কাছে বিক্রি হয়ে গেল বাইডেন প্রশাসন।

সৌদির নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাস সম্প্রতি অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দিনে ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জোটে রাশিয়াও আছে। ওপেক প্লাসের এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি নিশ্চিত ধাক্কা। কারণ, সরবরাহ কমলে তেলের দাম বাড়বে। ইতিমধ্যে তেলের দাম চড়তেও শুরু করেছে।

আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে বাইডেন ও তাঁর ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য এ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ুক, মূল্যস্ফীতি আরও নাজুক পরিস্থিতিতে যাক, তা কোনোমতেই চান না বাইডেন।

তা ছাড়া ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তটি রাশিয়ার পক্ষে গেছে। ইউক্রেনে হামলার জেরে তেলের দিক থেকে রাশিয়াকে দমানোর যে চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা করে আসছে, ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তে তা হোঁচট খেতে পারে। এ বিষয়ও বাইডেনকে ক্ষুব্ধ করেছে।

আরো পড়ুন:


 


শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে হুমায়ুন কবির রুমান বিপুল ভোটে বিজয়ী।

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান আবারো চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ডি আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল। 

জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান।মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। অপর প্রার্থী মোঃ জাকারিয়া বিষু চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ ভোট। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার নির্বাচনের বেসরকারী  ফলাফল ঘোষনা করেন। 

এ সময় বিজয়ী প্রার্থী ও তাঁর হাজারো সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে হুমায়ুন কবির রুমান পর পর দ্বিতীয়বার শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন। বিগত নির্বাচনেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আ'লীগের মনোনীত প্রার্থী এড. চন্দন কুমার পালকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হুমায়ুন কবির রুমান সাবেক পৌর মেয়র এবং জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবেও ইতিপূর্বে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

সোমবার জেলার ৫টি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে সকাল নয়টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বেলা বারোটার মধ্যেই প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে ইভিএমে ভোট হ‌ওয়ায় বেলা ২ টার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এদিন কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫টি উপজেলার ৫২টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার মোট ৫টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ৭৪৩ জন। 

আরো পড়ুন:


 


সনদ থাকলেও নেই পেশাগত স্বীকৃতি, কক্সবাজার ভুয়া দন্ত ডাক্তার

পেকুয়া উপজেলায় পেকুয়া বাজারের পূর্ব পাশে নুর হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় নুর ডেন্টাল কেয়ার নামে একটি দাঁতে চেম্বার রয়েছে। এ চেম্বারের মালিক শফিকুল ইসলাম।এ চেম্বারে কোন পাশ করা বিডিএস ডাক্তার নেন।শফিকুল ইসলাম একজন টেকনোলজিস। 

সেই তার প্রচারণায় নামের আগে ডেন্টিস্ট এবং নামের পরে বিএসসি ডেন্টাল (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়),এমপিএইচ(প্রিভেন্টভ ডেন্টিষ্ট্রী) ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজি (ঢাকা), এফটি (ঢাকা মেডিকেল কলেজ) সহ হরক রকম ডিগ্রী উল্লেখ করেন।যার ফলে মানুষ পাশ করা ডাক্তার মনে করে। এসব ডিগ্রি গুলো দাঁতের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত কোন ডিগ্রী নয়।

তার কাছে বিএমডিসি কোন নিবন্ধন নাই।শফিকুল ইসলাম দাঁতের সকল ধরণের অস্ত্র প্রচার করে।যার ফলে মানুষ প্রতারণার ও অপচিকিৎসা শিকার হচ্ছে। একজন টেকনিশিয়ানের কাজ হল একজন বিডিএস ডাক্তারকে সহযোগিতা করা।

টেকনিশিয়ান চিকিৎসা দেওয়ার কোন নিয়ম নাই।সে তার ডিগ্রী গুলোতে চালাকি করে ভুয়া তথ্য প্রদান করেছেন।তার প্যাডে ব্যবহারিত ডিক্রি গুলোতে বিএসসি ডেন্টাল নামে কোন ডিগ্রি নাই।আছে বিএসসি মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টাল নামে ডিগ্রি। এখানে সে টেকনোলজি শব্দটি গোপন করেছে।

এমপিএইচ ডিগ্রী এখন অর্জন করে নাই বলে তথ্য পাওয়া গেছে।আর এফটি কোন ডিগ্রী নাই।শফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করে তখন থেকে চেম্বার দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসতেছে।শফিকুল বিএসসি মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টাল পাশ করেছে ২০২২ সালে।কিন্তু তার প্যাডে ব্যবহার করতেছে ২০১০ সাল থেকে।

তার বিভিন্ন প্রচারণায় ডাক্তার পদবী ও ব্যবহার করে।শফিকুল ইসলাম ডাক্তার না হলেও ডাক্তারের এপ্রোন পরিধান করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে দেখা গেছে।সেই নিজেকে পাশ করা বড় ডাক্তার বলে দাবী করে।কয়েকদিন আগে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান অভিযানেও ধরা ছোঁয়ার বাহির রয়ে গেছে শফিকুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget