Latest Post

 তুরস্কে রুশ-ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে শান্তি আলোচনা আজ

Russia-Ukraine Foreign Minister-level peace talks in Turkey today



রুশ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তুরস্কে শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন বৃহস্পতবার। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর এটিই হবে উভয় পক্ষের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। এতে অংশগ্রহণ করবেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।


দু’দেশের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে তুরস্কে পৌঁছেছেন। তুরস্কের আনাতোলিয়া শহরে উভয়পক্ষের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িফ এরদোগান রুশ-ইউক্রেন আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন। তিনি আশা করছেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে রক্তক্ষয়ী এ সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে। এছাড়া এটি অস্ত্রবিরতিতেও সহায়ক হবে।


আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার


এর আগে উভয়পক্ষের মধ্যে বেলারুশে একাধিক বৈঠক হয়েছে। তবে সেসব বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অংশ নিলেও রাশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের কেউ অংশ নেয়নি।


আনাতোলিয়ার এ বৈঠকে থাকছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুশওলুও। ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সাথে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েরই রয়েছে ভালো সম্পর্ক।

রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। দু’সপ্তাহের অব্যাহত রুশ হামলায় ইউক্রেনের লাখ লাখ লোক প্রতিবেশী দেশসমূহে আশ্রয় নিয়েছে।


দু’দেশের অব্যাহত যুদ্ধের মধ্যেই তুরস্কে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


শান্তির পথে অগ্রগতি

ইউক্রেন ও রাশিয়া রণাঙ্গনে মুখোমুখি লড়াই চালিয়ে গেলেও যুদ্ধ বন্ধ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যকার শান্তি আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। পরস্পরের দাবিগুলো চুলচেরা পর্যালোচনা করছেন তারা। মস্কো ও কিয়েভের পক্ষ থেকে পরিস্কার করে বলা না হলেও উভয় পক্ষ শান্তি স্থাপনে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এ অবস্থায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা আজ তুরস্কে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছেন। আশা করা হচ্ছে, এ বৈঠকে তাদের দূরত্ব আরও কমতে পারে।

এরই মধ্যে গতকাল দোনেৎস্ক অঞ্চলে মারিউপোল মা ও শিশু হাসপাতালে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৭ শিশু আহত হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই হাসপাতালে রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মস্কোর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গতকাল ওয়াশিংটন সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে। পরে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে হামলা একেবারে ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড। আমরা পুতিনকে ইউক্রেনে ব্যর্থ করা এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না।

হামলায় শিশু ওয়ার্ড ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এখনও হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু শিশু রয়েছে। নৃশংসতা ! বিশ্ব আর কতদিন সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে সহযোগী হয়ে থাকবে? পরে তিনি ফের ইউক্রেনকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার দাবি করেন।

যুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক সমাধানের জন্যও চেষ্টা চলছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট গত কয়েক দিনের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি স্থাপন বিষয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা করেছেন। তার ভিত্তিতে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গতকাল জানিয়েছেন, আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।

আরো পড়ুন: নাবিক ইউক্রেন থেকে উদ্ধার ২৮ বাংলাদেশি নাবিক দেশে ফিরছেন আজ

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ৃব্দত করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, 'দুই পক্ষের মধ্যেই অবস্থান নরম হতে দেখা গেছে।' খবরে বলা হয়েছে, রুশ পক্ষ বলছে, তারা শুধুই দোনবাস অঞ্চলকে অসামরিকীকরণ করতে চায়।

যদিও এর আগে রুশ অভিযানের শুরুতে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের অসামরিকীকরণ ও নাৎসিমুক্ত করাই রাশিয়ার সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেছিলেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ক্রিমিয়াকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের স্বাধীনতাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে।

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলছেন, জেলেনস্কির পক্ষে পুতিনের এ প্রস্তাব মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। তবে এতে কিয়েভে ক্ষমতার পরিবর্তনের কথা নেই এবং ইউক্রেনকেও তার সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, জেলেনস্কি সরাসরি পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছেন। কিয়েভ বলছে, কূটনৈতিক সমাধানে প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেন।


ইসরায়েলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট কিছু সূত্রকে উদ্ৃব্দত করে বলছে, রুশ প্রস্তাবটি চূড়ান্ত এবং জেলেনস্কি এটি না মানলে পুতিন সামরিক অভিযান তীব্রতর করবেন।

গতকাল ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বলা হয়েছে, আলোচনা চলছে। শিগগিরই দু'পক্ষের প্রতিনিধিরা ফের মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন।

রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিধ্বংসী যুদ্ধের মধ্যে সুর নরম করেছেন জেলেনস্কিও। গত সোমবার এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার জন্য তিনি আর চেষ্টা করবেন না। অথচ তার দেশে রাশিয়ার হামলার প্রধান যুক্তিই এটি। একই সঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়েও ছাড় দিতে রাজি আছেন তিনি। অর্থাৎ এ দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাশিয়ার যে দাবি, সেটি তিনি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।


গতকাল ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সরকার পরিবর্তন করতে চায় না। এটি এই শান্তি আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বলে আশা করা হচ্ছে। এ আলোচনার মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আঙ্কারা। তারাও সমঝোতার ব্যাপারে আশাবাদী। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আশা করছেন, আনতালিয়ার আজকের বৈঠকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির একটি পথ খুলে যাবে।

গতকাল রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) প্রধান ও সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি শল। এ সময় তিনি পুতিনকে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন। পরে এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, এইউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে চাপ দেওয়ার জন্য আজ (বুধবার) সকালে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি (পুতিন) মনোযোগ সহকারে বক্তব্য শুনেছেন এবং যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে যেতে সমঝোতামূলক আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।


আরো পড়ুন: যা থাকছে নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’য় (ভিডিও)


পরে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত এবং উভয় পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয় এইউ। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে উন্মুক্ত আলোচনার দাবি জানায় সংস্থাটি।


শরণার্থী বেড়ে সাড়ে ২১ লাখ :ইউক্রেনে রুশ হামলায় অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাপক হারে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার চার শহরে ১২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির পর গতকাল ছয় শহরে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় মস্কো-কিয়েভ।


মঙ্গলবার সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার কারণে বহু মানুষ সংঘাতকবলিত এলাকা ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। গতকাল জাতিসংঘ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে এক লাখ ৪৩ হাজার ৯৫৯ জন শরণার্থী হয়ে ইউক্রেন ছেড়েছেন। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে সাড়ে ২১ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছে। দেশছাড়া ইউক্রেনীয়দের অর্ধেকের বেশি প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, রুশ হামলায় উদ্বাস্তু হয়ে বর্তমানে ১২ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ পোল্যান্ডে অবস্থান করছে।


ছয় শহরে যুদ্ধবিরতি :বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিয়েভ, সুমি, ইজিয়াম, ইনারোদার, মারিউপোল ও ভলনোভাখা- এই ছয় শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এই যুদ্ধবিরতি। রাশিয়ার আক্রমণ ও ইউক্রেনের প্রতিরোধের মধ্যে অবরুদ্ধ এসব শহর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তারা। সূত্র বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স, স্পুটনিক নিউজ ও ইন্টারফ্যাক্স।


আরো পড়ুন:

 দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলা

Two thousand crore rupees smuggling case


ফরিদপুরের আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর ছোট ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আরো পড়ুন: ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সোমবার (৭মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় এ সংক্রান্ত  এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে জেলা পুলিশ। সেখানে বিস্তারিত জানোনো হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।


উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে সিআইডি পুলিশ।


ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্নিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।


আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন

Book fair inaugurated in Faridpur


‘আট আনায় জীবনের আলো কেনা’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ফরিদপুরে শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থ মেলা। 

 ৭ই মার্চ সোমবার মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট'র দূরদর্শী সৃজনীশক্তি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। জেলা শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শহর শাখার মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 


বেলা সাড়ে ১১ টায় মেলাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামাল পাশা, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি শামীম হক, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের গ্রন্থমেলা ও গ্রন্থের তাৎপর্য তুলে ধরেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান।

 মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা অর্ধশত। সকলের জন্য মেলাটি উন্মুক্ত থাকবে। মেলাটি আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে।


অনুষ্ঠানে জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট'র স্বপ্নদ্রষ্টা জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশপাশি খেলাধুলাসহ এক্সট্রা কারিকুলামে দক্ষ হতে হবে। মেধাবীদেরকে ভবিষ্যত নেতা হিসেবে তৈরী  করতে হবে। এজন্য গঠনমূলক গ্রন্থের কোন বিকল্প নেই। এলক্ষ্য বাস্তবায়নে গ্রন্থমেলা ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। তিনি গ্রন্থ মেলার মালিকানা সম্পর্কে বলেন, এ মেলাটির মালিক এ জেলার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। প্রতিমাসে তাদের সঞ্চয় করা আট আনা (পঞ্চাশ পয়সা) ই এমেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জ্ঞান পিপাসু মানুষের আকাঙ্খার বাস্তব রূপায়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর এই গ্রন্থ মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে মেলা থেকে জানানো হয়।


 


জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট কি?

সংস্কৃতির পরিপূর্ণ বিকাশের উজ্জ্বল ক্ষেত্র গ্রন্থমেলা সভ্যতার অগ্রযাত্রায় অন্যতম শক্তিশালী সোপান। শিক্ষার প্রতি ফরিদপুরবাসীর অনুরাগ সুবিদিত। মাতৃভাষার জন্য পরম আত্মত্যাগ ও মমত্ববোধ বাঙালী জাতিকে দিয়েছে অমিত সাহস,অশুভকে পরাভূত করার দুর্জয় প্রত্যয়। এই চেতনাকে ধারণ করে ফরিদপুরকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করার মানসে ২০২০ সালে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের প্রাক প্রস্ততিমূলক সভায় ফরিদপুর জেলায় প্রথম বারের মত সকলের সংশ্লিষ্ঠতার মাধ্যমে গ্রন্থ মেলা আয়োজনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলে সভায় উপস্থিত ফরিদপুর জেলায় সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পেশাজীবী সংগঠন, শিক্ষকমন্ডলী, সাংবাদিক সহ সকলে এ প্রস্তাবে স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং গ্রন্থমেলার সফল বাস্তবায়নে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। 

ফলশ্রুতিতে ২০২০ সালে ১৪-২১ ফেব্রুয়ারি “আট আনায় জীবনের আলো কেনা” থিমের উপর ভিত্তি করে আড়ম্বরপূর্ন পরিবেশে ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ঠতায় বৃহৎ কলেবরে “প্রথম গ্রন্থ মেলা” উদযাপিত হয়। এই মেলা জনমনে এক নব উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। দাবি ওঠে মেলার অমরত্বের জন্য। জ্ঞান পিপাসু মানুষের আকাঙ্খার বাস্তব রূপায়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এই গ্রন্থ মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 প্রতিবছর নিয়মিত গ্রন্থমেলা আয়োজন করার জন্য ফরিদপুর জেলাধীন প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট হতে স্বেচ্ছায় “আট আনা (পঞ্চাশ পয়সা)” করে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর উদ্দেশ্য মেলার মালিকানাসত্ত্ব শিক্ষাথীদের হাতে তুলে দিয়ে এই মেলাকে শিক্ষার্থীদের প্রাণের মেলায় পরিনত করা এবং শিক্ষার্থী ও গ্রন্থমেলার মধ্যে নিবিড় বন্ধন তৈরী করা যাতে করে জ্ঞান পিপাসু শিক্ষার্থীরা বই পড়ার মধ্য দিয়ে তাদের অন্তরের দিব্য নয়ন বিকশিত করতে পারে। 


এই প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানিক রূপায়ন এবং শিক্ষার্থীদের নিকট হতে সংগৃহীত অর্থের সদ্ব্যব্যবহারের লক্ষে শিক্ষার্থী ও জ্ঞান পিপাসু সন্মানিত নাগরিকদের নিকট হতে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে একটি ট্রাস্ট গঠেনর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

এই ট্রাস্টের নামকরণ করা হয় ফরিদপুর জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট হতে “আট আনা (পঞ্চাশ পয়সা)” যা বছরে ০৬ টাকা হয় তার মধ্যে ০৫ টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট এর ব্যাংক একাউন্টে এবং অবশিষ্ট ০১ টাকা ব্যবস্থাপনা খরচ বাবদ স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঞ্চিত থাকবে। এর বিনিময়ে গ্রন্থমেলার স্বত্ত্ব শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। শিক্ষার্থী ব্যতীত আগ্রহী যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই জ্ঞানের আলো ট্রাস্টে তাদের অনুদান প্রদান করতে পারবেন।


 উল্লেখ্য , এই ট্রাস্টের অনুরুপ একটি ট্রাস্ট সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় বিদ্যমান রয়েছে। বর্তমান জেলা প্রশাসক অতুল সরকার যখন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তখন (২০০৯-২০১৩) উল্লাপাড়ার জ্ঞানের আলো ট্রাস্ট ও “আট আনায় জীনের আলো কেনা’’ প্রতিপাদ্যর মধ্যে দিয়ে গ্রস্থমেলা ও  ট্রাস্টের কার্যক্রমের সূচনা ঘটে যা অদ্যবদি অব্যাহত রয়েছে। জ্ঞানের আলো  ট্রাস্ট  এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ফরিদপুর জেলায় প্রতিবছর গ্রন্থমেলার আয়োজন করা এবং শিক্ষার্থীদের অনুদানের আট আনা নির্বাহের পর গ্রন্থমেলার খরচ ফরিদপুর জেলার সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য হতে প্রতিবছর শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে “ফরিদপুর গ্রন্থ মেলা পদক” এবং বিভিন্ন স্তরের ১০০ জন মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীকে এক বছর মেয়াদি “শিক্ষা বৃত্তি” প্রদান করা। ট্রাস্টের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি সাপেক্ষে বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা ও অর্থের পরিমান বৃদ্ধি করা যাবে। 

 আগামী নির্বাচনেও বিএনপির পরাজয় হবে: হাছান মাহমুদ


BNP will lose next election too: Hasan Mahmud


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, এমপি বলেছেন, গত ১৩ বছরের সরকারের 

উন্নয়নের কারণে রাজনৈতিক পরাজয়ের শঙ্কায় বিএনপি ও তারা বিভ্রান্তি 

ছড়িয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।


আজ দেশের সব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন 

সাধিত হয়েছে। গত ১৩ বছরের বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আগের তুলনায় দেশর মানুষ অনেক ভাল আছে। আর এ জাতীয় উন্নয়ন যাদের পছন্দ হয়না বিএনপি ও তাদের দোসররা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এবং দেশের মানুষের মধ্যে তারা নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বুধবার দুপুরে (০৯ মার্চ) জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম বিডি হলে জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 


তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আ’লীগ গণমানুষের সংগঠন এবং বাঙালির সমস্ত অর্জন এসেছে আ’লীগের মাধ্যমে। বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সংগ্রামের নেতৃত্বে দিয়েছেন  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গন্ধুর স্বপ্ন পুরনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।


বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯৯তম। শস্য উৎপাদনের দিক দিয়ে ২য়, আলু উৎপাদনে সপ্তম, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে সেরা। আজ আমি ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি তৃনমূলের নেতাদের সাথে কথা বলার জন্য, সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য।যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করার জন্য। 

আরো পড়ুন: পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে

প্রথমত বিএনপি নির্বাচন অংশগ্রহণে ভয় পায়। তাদের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির জন্য তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শাস্তিপ্রাপ্ত ও 

দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। সে কারনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবে না। তাদের 

নির্বাচনে কোন আগ্রহ নাই। এজন্য তারা তাদের দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চায় 

না। আগামী নির্বাচনে তাদের যে পরাজয় হবে এটি মোটামুটিভাবে তারা নিশ্চিত 

হয়েছে। 


দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ও বিএনপির নেতারা আমাকে উদ্দেশ্যে করে বিভিন্ন  কথা বলছেন। আমি গ্রামের এমপি। গত ২০ বছরে আমি সব সময় আমার নির্বাচনী এলাকায় মাঝেমধ্যেই যাই। কিন্তু মির্জা ফখরুলেরা সব সময় নয়াপল্টনে বসে থাকেন। সেখানেই খান, সেখানেই ঘুমান। সে কারনে তারা দেশের অবস্থা জানেন না। আমরা যে সারাদেশ বিচরন করি। সারাদেশ আমরা ঘুরে বেড়াই। মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা 

কার্যালয়ে বসে থাকতে থাকতে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। আর তারা যে 

তথ্যগুলো উপস্থাপন করছেন সেগুলো জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য।


করোনা ও ইউক্রেন রুশ যুদ্ধের জন্য ২/১ টি পন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও  বিএনপি পন্থী ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট তো রয়েছে এতে। এটা শুধু আমাদের দেশে না সারা বিশ্বে পন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবিষয়ে ইতিমধ্যে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। 


সাধারণ মানুষ যাতে ক্রয়সীমার মধ্যেই যেকোন পণ্য সামগ্রী পেতে পারে এজন্য

টিসিবির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি স্বল্প আয়ের মানুষকে এ টিসিবির 

পন্য দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পরিস্থিতির 

সুযোগ নিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে। সে সকল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে সরকার 

ব্যবস্থা গ্রহন করবে।


পরে প্রধান অতিথি আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাও-১ আসনের সংসদ 

সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমরা আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ধিত 

সভা করছি। সভার অর্থ হলো আবার সংগঠনকে গতিশীল করা। দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা  একত্রে মিলিত হয়েছি।


যারা এবারের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছেন আপনাদের জানা উচিত কিভাবে 

চেয়ারম্যান হয়েছেন। যারা হতে পারেননি বিভিন্ন কারনে বা দলীয় কোন্দলের কারনে 

হেরেছেন। আমরা একমাত্র হরিপুর ছাড়া জেলার প্রত্যেকটা উপজেলা, থানায় ভাল ফলাফল করেছি। এজন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নিজেদের কোন্দলের কারনে কিছু  হেরে গেছেন।

 সদর উপজেলার হারার কথা না। ২২টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা। আমরা 

প্রত্যেকটা জিততে পারতাম। কিন্তু ৫/৬ টা হেরেছি নিজেদের কোন্দলের কারনে। এ কারনে অনেক নেতা কর্মী বহিস্কার হয়েছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করা হয়েছে। এখন থেকে আপনাদের বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা গুলি চিহ্নিত করতে পারলে সেগুলো সমাধান করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমরা আবার নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসবো। আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমেই তারা আসুক। 

আরো পড়ুন: ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ: সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও 

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার 

মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক 

সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য ও সাবেক এমপি এ্যাড. হোসনে আরা 

লুৎফা ডালিয়া, সদস্য ও সাবেক এমপি এ্যাড. সফুরা বেগম রুমি প্রমুখ।


অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।

অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসম গোলাম ফারুক রুবেল, এ্যাড. মোস্তাক আলু টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী ভুট্টো, ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, প্রত্যেক উপজেলার আ’লীগের সভাপতি, সম্পাদক,সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আ’লীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত 

ছিলেন। 


আরো পড়ুন:

 সীমানা প্রাচীর ঘেরা বিদ্যালয়ের মাঠে গম চাষ ! 


Wheat cultivation in school field surrounded by border wall!


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গম চাষ করেছেন সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। চাষাবাদের কারণে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। 


তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, খেলাধুলা করার জন্য বিদ্যালয়ের পাশে পর্যাপ্ত মাঠ রয়েছে। জমির মালিকানা সম্পর্কিত জটিলতা থাকার কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হবে।

আরো পড়ুন: ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, 

বিদ্যালয়টির দুটি ভবনের পুরোনো ভবন ঘেঁষা বেশ বড় বড় গমের চারায় পূর্ণ

গমখেত। সীমানা প্রাচীরের ভেতরের মাঠটি দেখলে মনে হবে কোনো আবাদি জমি। 

শহীদ মিনারের উত্তর পাশে অল্প জায়গা রাখা হয়েছে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের জন্য। এই জায়গা দিয়ে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করছে। বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৯২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে।


অভিভাবকদের অভিযোগ, মাঠে গমখেত থাকার কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বাচ্চাদের খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটছে।


ছবি তোলার সময় হরিণমারী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াহেদুজ্জামান এগিয়ে এসে বলেন, ‘যখন মাধ্যমিকে পড়েছি তখন থেকে দেখছি বিদ্যালয়ের মাঠে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এখন কলেজে পড়ছি। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর হলো কিন্তু চাষাবাদ বন্ধ হলো না।’



এক শিক্ষার্থীর বাবা হাসিনুর রহমান জানান, শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি বিদ্যালয়ে যদি বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে তাহলে শিশুরা উৎসাহীত হয়। কিন্তু এখানে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলার মাঠটুকুও নেই। এ কারণে আমার সন্তানসহ এলাকার অনেক শিশুই এখন স্কুলে যেতে চায় না।



জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে শিক্ষানুরাগী খোস মোহাম্মদ ও তার তিন ভাই মিলে হরিনমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২.৩ একর জমি দান করে। তবে সম্প্রতি দাতাদের উত্তরসূরিরা গমের চাষাবাদ করা স্কুল মাঠের অংশটুকু নিজেদের বলে দাবি করেন। তাই জমি দখলে রাখার জন্যেই সেখানে চাষ শুরু করেছেন তারা।


গমচাষি সিরাজুল ইসলাম কথা বলতে রাজি না হলেও তাঁর ছোট ছেলে মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই জমিতে তার বাবা চাষাবাদ করছেন। এক বছর হলো সীমানা প্রাচীর দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন জমি নয়। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমির কাগজপত্র দেখাতে পারলে তাঁরা দখল ছেড়ে দেবেন।’

আরো পড়ুন: পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে

ওয়ারিশ হিসেবে চাষাবাদকৃত গমখেতের 

৯ শতক জমির মালিক দাবি করে ফয়সাল কবির সৌরভ নামে একজন বলেন, ‘১৯৫৭ সালে আমাদের পূর্ব পুরুষদের দান করা জমি ছাড়াও ১১ শতক জমি বিদ্যালয় এখনো অলিখিতভাবে ভোগদখল করছে। আমাদের দখলে থাকা নয় শতক জমি সিরাজুল ইসলাম বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছেন। প্রধান শিক্ষকের সমঝোতার আশ্বাসের কারণে প্রাচীর নির্মাণকাজে বাধা দেয়নি। আশা করছি সরকারি লোকজন ও প্রধান শিক্ষক দ্রুত জমির ঝামেলাটি নিষ্পত্তি করবেন।’


বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য পশ্চিম পাশে অনেক বড় মাঠ রয়েছে। গমখেতের জমির মালিকানা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। চাষাবাদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলার পরও ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। অংশীদারদের নিয়ে বসে শিগগিরই সমস্যার সমাধান করা হবে।’


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আজমল আজাদ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতর চাষাবাদ করতে দেওয়া যাবে না। কেউ বিষয়টি জানায়নি। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিষয়টি নজরে আসেনি। দুই দিন আগে জেনেই ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরো পড়ুন:

 পেঁয়াজের বাজারে দাম বাড়ানোর হররিকক

Hirik to increase the price of onion in the market



ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র মিলেছে।


শিবদীঘি কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় বাজার করতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। কাঁচা বাজারের জন্য পরিবারের মাসিক ব্যয় মেটানো কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।

আরো পড়ুন: ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

নেকমরদ বাজারের সবজি বিক্রেতা আল আমিন জানান, প্রায় সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্প পুঁজির দোকানে চাহিদা মতো পণ্য ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


পৌরশহরের খালেক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক খালেক জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে হোটেল ব্যবসায় ধস নেমেছে। চাল, গ্যাস, মাংসের পাশাপাশি পেঁয়াজসহ মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ ব্যবসায় আয় হচ্ছে না। তিনি জানান, তাঁর এ ব্যবসায় প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কেজি পেঁয়াজ প্রয়োজন। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন প্রতিদিন শুধু পেঁয়াজে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ অবস্থায় খাবারের মূল্য বাড়ানো ছাড়া ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।


শিবদীঘি বাজারের আড়তদার কবিরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাতের ফলে পেঁয়াজের খেত ক্ষতিগ্রস্ত ও ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। তবে রবিবার পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কেজিতে ৪-৫ টাকা কমেছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে এ পরিস্থিতি কেটে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

আরো পড়ুন: Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া

পাইকারি আড়তদার আমিনুল ইসলাম বলছেন, ‘ঠাকুরগাঁও মোকামে দাম বেড়েছে। আমরা যেমন দামে কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। আর বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের খেতে ক্ষতি হয়েছে। ফলে সরবরাহ কমে গেছে, এ জন্য দাম বাড়ছে।’


খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


কৃত্রিম সংকট নিরসন ও রমজানকে সামনে রেখে বাজার তদারকি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শেখ শাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বাজার তদারকি বাড়িয়েছি।’


আরো পড়ুন:

তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানঃ-ফরিদপুর

Mobile court raids to control oil market: Faridpur


 ফরিদপুরের নগরকান্দায় বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসন উপজেলার সদর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।

রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে অভিযানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য, ভোজ্যতেল অতিরিক্ত দামে বিক্রি ও বিভিন্ন দোকানে পণ্যের মুল্য তালিকা না থাকায়। ৯ মুদি দোকানদারকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেতী প্রু ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন যৌথভাবে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।


এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাজার বণিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু, সাধারন সম্পাদক আক্রামুজ্জামান টিটু, উপজেলা ক্যাবের সভাপতি লিয়াকত হোসেন সহ নগরকান্দা থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেতী প্রু বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তেল মজুদ ও বেশি দামে বিক্রি করছে এই সংবাদে রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরো পড়ুন:

২৪ ঘণ্টায় টিকা নিলেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ৩৩৬ জন

6 lakh 80 thousand 336 people were vaccinated in 24 hours


 দেশে এক কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে আজ (শনিবার)। টিকা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না। 

তবে এই কর্মসূচি বৃদ্ধি করা হবে কিনা তা সন্ধ্যায় জানা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।


শনিবার সকালে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান। 

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, শেষ মুহূর্তে বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে। প্রথম ডোজের জন্য এক কোটি টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি দেওয়া হবে আজ। বিরতিহীনভাবে আজ চলবে এই টিকা কার্যক্রম।


তিনি বলেন, প্রচুর মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে। তবে আমাদের আশঙ্কা, আজ অনেকেই টিকা দিতে পারবে না।

আরো পড়ুন: পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে


সে ক্ষেত্রে সময় বাড়ানো হবে কিনা গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলো টিকা দেওয়া। আমরা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যক্রম দেখি, তারপর যদি প্রয়োজন হয় আমরা সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করব।


জানা গেছে, দেশের ২৮ হাজার বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে আজ। এসব বুথে টিকা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত আছেন স্থাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকেরাসহ মোট এক লাখ ৪২ হাজার জন। 


দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের বাইরেও পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ দল রয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে ৩০ থেকে ৫০টি করে বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। 

আরো পড়ুন: Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় ২০২১ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের মতো।


তাদের মধ্যে সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এবং ২৬ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।


এর মধ্যে গতবছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছিল একদিনে।  


আরো পড়ুন:

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget