Latest Post


বাংলাদেশের স্পাই থ্রিলার জগতে জনপ্রিয়তম চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই।

ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

কাজী আনোয়ার হোসেন একাধারে ছিলেন অনুবাদক, প্রকাশক, চিত্রনাট্যকার। গানও গাইতেন তিনি। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তার পরিচয় ছিল সেবা প্রকাশনীর প্রকাশক এবং এই প্রকাশনার সিরিজ মাসুদ রানার লেখক।  আর পাঠকের কাছে তিনি ছিলেন ‘কাজীদা’।

গণিতজ্ঞ, দাবাড়ু অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের ছেলে কাজী আনোয়ার হোসেন দুই ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন ও কাজী মায়মুর হোসেন এবং মেয়ে শাহরীন সোনিয়াকে রেখে গেছেন। তার বোনদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সনজীদা খাতুন।

কাজী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন আগেই মারা যান। ফরিদার এক বোন খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তাদের আরেক বোন সঙ্গীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিন মারা গেছেন।

ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে কাজী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তার পুত্রবধূ মাসুমা মায়মুরা।


গত বছরের অক্টোবরে প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়লে কয়েক দফায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন।

মায়মুরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছরের অক্টোবর থেকে তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছেন। শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১০ দিন তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ রাখা হয়েছিল। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় একটা ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়ে সব শেষ হয়ে গেল।”

কাজী আনোয়ার হোসেনের চাচাত ভাই কাজী রওনাক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মরদেহ বুধবার বারডেরমে হিমঘরে থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে সেগুনবাগিচার বাসায় মরদেহ নেওয়া হবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাদ আসর বনানী কবরাস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

বাংলাদেশে রহস্য উপন্যাস জনপ্রিয় করার কারিগর কাজী আনোয়ার হোসেন নিজের জীবনও অনেকটা রহস্যময় করে রেখেছিলেন। প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেত না বললেই চলে, গণমাধ্যমও এড়িয়ে চলতেন। সাক্ষাৎকার দিতেনও কালেভদ্রে। তাই তাকে নিয়ে রয়েছে নানা গল্পও।


কাজী আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন ও সাজেদা খাতুনের ঘরে।

থেকে। এরপর বাংলায় এমএ ডিগ্রি নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

পড়াশোনা শেষ করে গানে মনোযোগী হয়েছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। তার তিন বোন সনজীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন ও মাহমুদা খাতুন তখন শিল্পী হিসেবে পরিচিত।

১৯৫৮ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। সিনেমায় প্লেব্যাকও করতেন। ১৯৬২ সালে বিয়েও করেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা ইয়াসমিনকে।

গান ছেড়ে গত শতকের ষাটের দশকে প্রকাশনা ব্যবসায় নামেন কাজী আনোয়ার হোসেন। সেগুনবাগিচায় নিজেদের বাড়িতে গড়ে তোলেন সেগুনবাগান প্রেস। সেটাই পরে নাম পাল্টে হয় সেবা প্রকাশনী।

সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমেই পেপারব্যাক বই বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পায়। গোয়েন্দা সিরিজ কুয়াশা দিয়ে সেগুনবাগান প্রকাশনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপরে আসে মাসুদ রানা।

“বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত, দুঃসাহসী স্পাই গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তরে...কোমলে কঠোরে মেশানো নিষ্ঠুর, সুন্দর এক অন্তর। একা। টানে সবাইকে, কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না।’- এমন এক চরিত্র তিনি তৈরি করেন, যা খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।


ইয়ান ফ্লেমিংয়ের জেমস বন্ডের আদলে গড়ে তোলা মাসুদ রানার সব বইই বিদেশি বিভিন্ন থ্রিলারের ছায়া অবলম্বনে লেখা।

ফলে সাহিত্য হিসেবে তা গ্রহণ করা নিয়ে অনেকের অনীহাও ছিল। এগুলো চটুল বা লঘু জ্ঞান করে সাহিত্যের আলোচনায় সরিয়েই রাখা হত।

এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কাজী আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, “আমার খাতিরে বা আমার মুখ চেয়ে পাঠকেরা এসব বই কিনে পড়ছেন, ব্যাপারটা তা তো নয়, নিশ্চয়ই এসব কাহিনির ভেতর অন্তর্নিহিত বিশেষ কিছু আকর্ষণ ও আবেদন রয়েছে, যেগুলো সমালোচকদের চোখ এড়িয়ে গেছে।

“তা না হলে যেসব সুসাহিত্যিক এত দিন মাসুদ রানার প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রকাশ করে নিজেদের অনেক উঁচুতে তুললেন, এতগুলো বছর চেষ্টা করেও তারা কি পাঠকদের এসব বাজে লেখা থেকে সরিয়ে নিজেদের লেখার প্রতি টানতে পেরেছেন? না।”

মাসুদ রানার জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে তা রুপালি জগতও তাকে নিয়ে ঋদ্ধ হতে চেয়েছে। ১৯৭৪ সালে মাসুদ রানার প্রথম চলচ্চিত্রায়ন ঘটে সিরিজের ‘বিস্মরণ’ বইটি নিয়ে। কল্পনার মাসুদ রানার ভূমিকায় এসেছিলেন সোহেল রানা, সেটাই এই চিত্রনায়কের প্রথম সিনেমা।


আর মাসুদ রানার জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতার বাচসাস পুরস্কার জেতেন কাজী আনোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্যাকেজ নাটকের শুরুতেও জড়িয়ে মাসুদ রানা। সিরিজের পিশাচ দ্বীপ নিয়ে আতিকুল হক চৌধুরী তৈরি করেন নাটক প্রাচীর পেরিয়ে, যাতে মাসুদ রানার ভূমিকায় ছিলেন নোবেল, তার সঙ্গী সোহানা হয়েছিলেন বিপাশা হায়াৎ।

মাসুদ রানাকে নিয়ে আরও দুটি চলচ্চিত্রও এখন নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে।

মাসুদ রানার পাশাপাশি অনেক বই অনুবাদও করেছেন কাজী আনোয়ার হোসেন। তার সম্পাদিক রহস্য পত্রিকাও বেশ জনপ্রিয় সাময়িকী।  পরে বের করেন কিশোর পত্রিকা।

মাসুদ রানা সিরিজের কয়েকশ বই বের হলেও এর অনেকগুলো নিজে লেখেননি কাজী আনোয়ার হোসেন। ‘ঘোস্ট রাইটার’ হিসেবে অন্যরা লিখতেন, তবে লেখকের নাম যেত কাজী আনোয়ার হোসেন।

এনিয়ে শেষ জীবনে বিতর্কও সঙ্গী হয়েছিল কাজী আনোয়ার হোসেনের। সেবা প্রকাশনীরই লেখক শেখ আব্দুল হাকিম মাসুদ রানার স্বত্ব দাবি করলে বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছিল।


শেষে হাই কোর্ট মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে মালিকানা স্বত্ব শেখ আবদুল হাকিমকে দিয়ে আদেশ দেয়।

অধিকাংশ বইয়ের মালিকানা হারালেও ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের স্রষ্টা হিসেবে চরিত্রটি কাজী আনোয়ার হোসেনের মালিকানায় থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় কপিরাইট অফিস।

নানা সমালোচনার মধ্যেও নিজের লেখালেখি নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেন বলে গেছেন, “লঘু বলেন বা বলেন অকিঞ্চিৎকর সাহিত্য; আমি আমার ভালোবাসার জগতে দিব্যি আরামে ও আনন্দে বিচরণ করছি আজীবন।”



ভারতের বেঙ্গালুরুর আকাশে প্রায় মুখোমুখি চলে এসেছিল দুইটি যাত্রীবাহী প্লেন। কয়েক সেকেন্ড দেরি হলেই ঘটতে পারতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের তৎপরতায় মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। এতে রক্ষা পায় প্রায় ৪০০ প্রাণ।

গত ৯ জানুয়ারির এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) বিরুদ্ধে। দেশটির কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে তদন্তে শুরু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। যদিও বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরের লগবুকে বিষয়টি নথিভুক্ত নেই।

এদিকে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে মাঝ আকাশে দুই প্লেনের মুখোমুখি চলে আসার ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। যদিও ডিজিসিএয়ের প্রধান অরুণ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিজিসিএ জানায়, মাঝ আকাশে মুখোমুখি চলে আসা দুইটি প্লেনই ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের। প্রথমটি, বেঙ্গালুরু-কলকাতা ৬-ই৪৫৫। দ্বিতীয়টি বেঙ্গালুরু-ভুবনেশ্বর ৬-ই২৪৬।


পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে প্লেন দুইটি বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এটিসির ভুল নির্দেশের কারণেই প্লেন দুইটি একই উচ্চতায় চলে এসেছিল।

তাছাড়া কয়েকদিন আগেই দুবাই বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় ভারতগামী দুইটি প্লেনের মধ্যে বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।


ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে উত্তএজনা এখন চরমে। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা যেকোনো সময় দেশটিতে হামলা করতে পারে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামলা চালালে ‘বিপর্যয়’ দেখবে মস্কো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য হিল।

বাইডেন বলেন, ‘রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে তাহলে আপনারা সবাই দেখবেন যুক্তরাষ্ট্র কি করে। তাই বিষয়টি পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে রাশিয়ার পদক্ষেপের ওপর।’

ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্তির প্রথম দিনে নিজের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমার ধারণা, পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালাতে চান। যুক্তরাষ্ট্রকে পরীক্ষার জন্যও তিনি এমন করতে পারেন।’


পরিস্থিতি বেশি খারাপের দিকে গেলে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে এমন তথ্য জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও এর সঙ্গীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। যা আন্তর্জাতিক অর্থনীতি থেকে দেশটিকে আলাদা করে দেবে।’

আরো পড়ুনঃ-যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ

বাইডেন বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়ার ওপর যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে তাতে দেশটির ডলার লেনদেনে বড় আকারের ক্ষতি হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেইসঙ্গে ইউরোপের অর্থনীতিতেও। কিন্তু রাশিয়ার জন্য যা হবে তা হচ্ছে ‘বিপর্যয়’।

এদিকে, মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেন সীমান্তে বাহিনীর গোছানোর কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। রুশ এই বাহিনী যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ইউক্রেনে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ গোয়েন্দা সমীক্ষা যা মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে এক লাখ ২৭ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছেন রাশিয়া।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাশিয়ান ফেডারেশন’স আর্মড ফোর্সেস–এর এক লাখ ছয় হাজার সেনাসহ বিমান ও নৌ–সেনা মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ২৭ হাজার সদস্যের ওই বাহিনী প্রস্তুত করা হয়েছে।  

ওই সমীক্ষায় এই পরিস্থিতিকে 'কঠিন' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, ইউক্রেন বিশ্বাস করে এই রণসজ্জার মধ্য দিয়ে রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভাঙন এবং ন্যাটোকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।


দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে নয় হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। এই সময়েল মধ্যে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ১১ শতাংশে। আর একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯ হাজার ৫০০ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। আর মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এই ২৪ ঘণ্টায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত  ১২ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ২ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৮ জন। চট্টগ্রামে ২, রাজশাহী ও সিলেটে ১ জন করে মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭৩ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন।

এর আগে, মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭৩ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন। করোনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এদিন মোট ৩৫ হাজার ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৯৮।

আরো পড়ুনঃ- করোনা সংক্রমণের রেড জোনে আরো ১০ জেলা

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। আর প্রথম মৃত্যু হয় একই বছরের ১৮ মার্চ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে অনড় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে গত ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তারা অনশন করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবেন তারা। আজ সকালের দিকে অনশনস্থলের পাশে এম্বুলেন্স এনে রাখা হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে নিতে এম্বুলেন্স আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।


এদিকে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তার বাসভবনে অবস্থান করছেন।

ভিসির বাসভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


ওদিকে গত রাতে অনশনস্থলে শতাধিক শিক্ষক এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসির পদত্যাগের সাথে একমত হলেই শিক্ষকদের কথা শুনবেন তারা।

শিক্ষকবৃন্দ কথা বলার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা কথা না শোনার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় হ্যান্ডমাইকে শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেন।

আরো পড়ুনঃ- ভিসির কুশপুত্তলিকা: হাতে পিস্তল, টাকার থলে


বুধবার রাত পৌনে ৯টায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলশি কুমার দাশের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদের ডিন, বিভাগের প্রধানসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক ভিসির বাস ভবনের সামনে এসে আন্দোলনকারীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন।

এ সময় শিক্ষকবৃন্দ বলেন, এই ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষক, ভিসি স্বৈরাচারি আচরণ করতে পারবে না। হামলার বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হবে।


এই ঘটনায় জড়িত থাকলে ভিসিকে চলে যেতে হবে। কেউ গুলি মারা, বোমা মারার সংশ্লিষ্টতা থাকলে চলে যেতে হবে।' এ সময় মামলায় শিক্ষার্থীদের কিছু হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তারা।

এছাড়া অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক সাথে খাবার আয়োজনের প্রস্তাব করেন। কিন্তু শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রস্তাবে শিক্ষার্থীরা সাড়া না দেয়ায় রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষকবৃন্দ আন্দোলনস্থল ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, গতকাল বিকাল ৩টা থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। আজ অনশনস্থলে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী



৪:৩৩ AM


দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জনু। সম্প্রতি তার ‘পুষ্পা’ সিনেমা রিলিজ হয়েছে। ছবিটি মুক্তির পর থেকেই ঝড় বয়ে যাচ্ছে বক্স অফিসে। ‘পুষ্পা’র হিন্দি মিউজিক অ্যালবামও বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছে।

এটি টপ চার্টে রয়েছে। তেলেগু ও হিন্দি সংস্করণ, অ্যালবামের সব গানই বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের কাছে ব্যপক সাড়া ফেলেছে।

ভূষণ কুমারের টি-সিরিজ বছরের পর বছর ধরে ব্লকবাস্টার সব গান উপহার দেয়। সম্প্রতি ‘পুষ্পা’র হিন্দি সংস্করণ উপস্থাপন করেছে ‘দ্য রাইজ’ অ্যালবাম নামে। যা প্যান-ইন্ডিয়া রকস্টার দেবী শ্রী প্রসাদ দ্বারা রচিত হয়েছিল। হিন্দি গানগুলো YT মিউজিক চার্টের শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। অ্যালবামের ‘ওও বোলেগা ইয়া ওও ওও বোলেগা’ এবং ‘সামি সামি’ গান দুটি ৪ নম্বরে অবস্থান করছে।

ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে সাফল্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভূষণ কুমার বলেছেন, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ অ্যালবামের সাফল্য একটি প্রমাণ যে সংগীত ভাষার বাধা অতিক্রম করে। এ ছবির তেলুগু অ্যালবামটি যেমন সুপারহিট তেমনি হিন্দি অ্যালবামটিও সাড়া ফেলেছে।’

‘পুষ্পা’ ছবির সংগীত পরিচালক ও সুরকার দেবী শ্রী প্রসাদ বলেন, ‘অ্যালবামটি ট্রেন্ডিংয়ে আছে দেখে দুর্দান্ত অনুভূতি হচ্ছে। আমি শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

৪:২৬ AM


আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’ ছবিতে সামান্থা প্রভুর আইটেম গান নিয়েও কম মাতামাতি হচ্ছে না। পর্দায় খোলামেলা অবতারে সহজে তাক লাগিয়েছেন সামান্থা।

চলতি মাসের ৭ জানুয়ারি ইউটিউবে মুক্তি পাওয়া আলোচিত ও সমালোচিত এ গানটি মাত্র দুই সপ্তাহে দেখেছে দুই কোটি ২৩ লাখ ৪৪ হাজার দর্শক। আপত্তিকর দৃশ্যসংবলিত এ গানে অংশ নিয়ে পারিবারিকভাবেও ভাঙনের মুখে পড়েছেন তামিল সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই গানের জন্য সামান্থা প্রচুর পারিশ্রমিক নিয়েছেন। তিনি প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না। ছবির নায়ক আল্লু অর্জুন শেষমেশ তাকে রাজি করান।




আল্লু অর্জুন অভিনীত সাড়া জাগানো সিনেমা ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ’। এর ‘সামি সামি’, ‘শ্রীভালি’, ‘ও আন্তাভা, ও ও আন্তাভা’ গানগুলো দর্শক-শ্রোতাদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। পাশাপাশি বিতর্কেও জড়িয়েছে। বিশেষ করে অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুকে নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। সামান্থার প্রথম আইটেম গান সিনেমাটিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সিনেমাটির ‘ও আন্তাভা, ও ও আন্তাভা’ আইটেম গানে প্রথমবারের মতো নেচেছেন সামান্থা রুথ প্রভু। শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল গানটি। ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের এই আইটেম গানে নেচে বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন সামান্থা।

নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর যে এ নায়িকা তার পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন, সে খবর দর্শকরা আগেই জেনেছেন। এবার তার প্রমাণও পাওয়া গেল।

সুকুমার পরিচালিত সিনেমাটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তামিল, তেলেগু, মালয়ালাম, হিন্দি ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পায়। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাহাদ ফাসিল ও রশ্মিকা মন্দানা। অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর জেলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের চোরাকারবারি নিয়ে সিনেমার গল্প। বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে হইচই ফেলে দিয়েছে সিনেমাটি।

সামান্থার এই আইটেম গানটি নিয়ে আপত্তি করে অন্ধ্রপ্রদেশের পুরুষদের একটি সংগঠন। তাদের অভিযোগ, এই গানে পুরুষদের বিকৃত মানসিকতার এবং যৌনপিপাসু হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি গানটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। মুক্তির আগেই গানটি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছিলেন তারা।

৩:৪৮ AM


ভারতের কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাকশনধর্মী ‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’ সিনেমার সম্ভাব্য মুক্তির তারিখ ১৪ এপ্রিল।

‘কেজিএফ : চ্যাপ্টার টু’ সিনেমায় ইয়াশ ওরফে রকি ভাই মুখোমুখি হবেন খলনায়ক সঞ্জয় দত্ত ওরফে আধীরার সঙ্গে। প্রশান্ত নীলের পরিচালনায় সঞ্জয় দত্ত ছাড়াও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে রাভিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ ও শ্রীনিধি শেঠি।

বলিউডভিত্তিক গণমাধ্যম কইমই ডট কম এক পোর্টালের বরাতে জানিয়েছে, সিনেমাটির জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়েছেন রকি ভাই চরিত্রে অভিনয় করা ইয়াশ। ২৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯ কোটি টাকা।


গণমাধ্যমটির দাবি, সিনেমাটির জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়েছেন পরিচালক প্রশান্ত নীল; সিক্যুয়াল পরিচালনার জন্য ১৫ কোটি রুপি নিয়েছেন তিনি। আর খলচরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জয় দত্ত নিয়েছেন নয় কোটি রুপি। এছাড়া রকি ভাইয়ের নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা শ্রীনিধি শেঠি নিয়েছেন তিন কোটি রুপি।

১০০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন বিজয় কিরগান্দুর। হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও মালয়ালাম ভাষায় কেজিএফের দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তি পাবে।

২০১৮ সালে মুক্তি পায়  ‘কেজিএফ’ সিনেমা, যা বিশ্বজুড়ে তুমুল সাড়া ফেলেছিল।

৩:৩৯ AM


টালিউডের বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তবে অভিনয়ের থেকে তার বাস্তব জীবন নিয়েই বেশ কৌতুহল ভক্তদের মাঝে। বিগত কয়েকমাস ধরে ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা নিয়েও ছিলেন পত্রিকার শিরোনামে। এবার ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কের উত্থান-পতন নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এই নায়িকা। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভারতের সংবাদমাধ্যম জিনিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে নুসরাতের ছবি ‘স্বস্তিক সংকেত’। সেই ছবির দুই চরিত্র প্রিয়ম ও রুদ্রানী। বাংলা ছবিতে রুদ্রানীর মতো চরিত্রে পেয়ে উচ্ছ্বসিত নায়িকা। প্রিয়ম ও রুদ্রানীর রসায়নও মনে ধরেছে নুসরাতের। তাহলে বাস্তব জীবনে তার আর যশের রসায়নও একই রকম ব্যালেন্সিং?

এমন প্রশ্নের জবাবে নুসরাত সাফ জানান, ‘আমার এটা আলাদা করে বলতে অদ্ভুত লাগে। আমি জানি না মানুষের এটাকে ঘিরে এত প্রশ্ন কেন? সবাই সব জানে আবার কেউ কিছু জানে না। আমরা একটা ব্যক্তিগত জীবন চাই। ছাদের মাথায় চিৎকার করে সব বলি না বলেই বোধ হয় এত প্রশ্ন। আমার একটাই উত্তর, আমরা ভালো আছি।’


ইচ্ছাকৃতভাবেই কী কাউকে কিছু না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? এর জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কিছু আদর্শ থাকে। আমরা আমাদের সম্পর্ক ব্যক্তিগত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাবলিক ফিগার হয়ে আমরা সবসময় মানুষের নজরবন্দি, সেখানে কী আমি আমার নিজস্বত্ত্বা হারিয়ে ফেলছি! এটা ভাবার প্রয়োজন। আমার নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিতর্ক করিনি। মানুষ আমাকে বিতর্কে জড়িয়েছে। অনেক ছোটবেলা থেকেই আমাকে বিতর্কিত ট্যাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারবার এটা নিয়ে ব্যবসাও হয়েছে। প্রতিটা মিডিয়া হাউজ আমার বিতর্ক নিয়ে ব্যবসা করেছে। আমি মানছি যেকোনো জিনিস বিক্রি করতে হলে তাতে মশলা প্রয়োজন। আমায় যদি কেউ বলে আমি বিক্রয়যোগ্য সেটা আমার কাছে গর্বের। কিন্তু কোথাও গিয়ে যখন সেটা ভীষণ ব্যক্তিগত হয়ে যায় তখন থামতে হয়। এই জার্নালিজমটা সবাই ফলো করেন না।’

তাকে ঘিরে এত বিতর্কে এখন দুঃখ পান না বলে উল্লেখ করে নুসরাত বলেন, ‘আমি তো রক্ত মাংসের মানুষ, সুপার ওম্যান নয়। আমি ১০০টা ভুল করেছি, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি, আবার নতুন ভুল করেছি। এত তারকাদের থেকে এক্সপেকটেশন কেন? মানুষ কী ভাবছে নুসরাত আবার কী ভুল করবে সেখান থেকে আবার বিতর্ক তৈরি হবে? আমি খুব সাধারণ জিনিস করি যা সবাই করে। আর এর জন্য আমি কাউকে জবাব দেব না। যাদের জবাব দেওয়া দরকার, আমার বাবা-মা, পরিবারকে জবাব দেব। আর কাউকে নয়।’

‘যদি ফ্যানদের সঙ্গে কিছু ভুল করি তাহলে তাদের জবাব দেব। তাদের ঠকাব না। আমি কখনো মিথ্যে কথা বলিনি, আমি কিছু লুকোইনি। আমার ভালো লাগছে না কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে, সেটা কোথায় ভুল?’, যোগ করেন নুসরাত।

৩:৩২ AM


আসন্ন ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নতুন গানচিত্র নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন সংগীতশিল্পী ফাহিম ইসলাম। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় ‘ভালোবাসা দিও’ শিরোনামের গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আদিব কবির।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলে গানচিত্রটির দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। রাশেদ মজুমদারের নির্দেশনায় ভিডিওতে ফাহিমের সঙ্গে মডেল হয়েছেন ফারিন খান। এবারই প্রথম ফাহিমের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন তিনি।

গানটি প্রসঙ্গে ফাহিম বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভালোবাসার গান। আর তাই ভিডিওটিও সাজানো হয়েছে সেভাবে। দু’জন প্রেমিক-প্রেমিকার রোমান্টিক সব মুহূর্তের দৃশ্য দেখানো হয়েছে এতে। আমার সঙ্গে ফারিনের রসায়নটাও দারুণ জমেছে। ’

তিনি আরও জানান, আসছে ভালোবাসা দিবসে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডেডলাইন মিউজিক থেকে ‘ভালোবাসা নিও’ প্রকাশ করা হবে।  

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ‘ব্যস্ত’ অ্যালবাম দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ ঘটে ফাহিমের। এরপর ২০১০ সালে ‘কেনো বলো না’ এবং ২০১৩ সালে ‘বলছি তোমায়’ শিরোনামে আরও ২টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া গত ৮ বছরে প্রায় ১৫টি সিঙ্গেল গান প্রকাশ করেও শ্রোতাদের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন এই গায়ক। তার বাবা আধুনিক গানের নন্দিত শিল্পী মোখলেছুল ইসলাম নীলু। যিনি গান করছেন চার দশক ধরে। বাবার অনুপ্রেরণাতেই গান করে যাচ্ছেন এই তরুণ।


রাষ্ট্রায়ত্ত প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণকারী চারটি প্রতিষ্ঠান আবাসিকে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবে দুই চুলার মাসিক বিল দুই হাজার ১০০ টাকা এবং এক চুলার দুই হাজার টাকা করার কথা বলা হয়। বর্তমানে দুই চুলার মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা ও এক চুলার বিল ৯২৫ টাকা।

এ ছাড়া শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা এবং ক্যাপটিভে (শিল্প-কারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস) ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে ৩০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) ভর্তুকি সামাল দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। একাধিক গ্যাস বিতরণ কম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার গড়ে ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৯ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণকারী ছয়টি কম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে তিতাস, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কম্পানিসহ চারটি কম্পানি আলাদাভাবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এই সপ্তাহে বাকি দুটি কম্পানিও তাদের প্রস্তাব জমা দেবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভর্তুকির চাপ সামলাতে গত বছরের ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল। এরপর ৩ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠাতে পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়। আমদানি করা এলএনজি ও দেশীয় গ্যাসের দাম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিভিন্ন তহবিলের চার্জ ধরে একটা খসড়া হিসাব পেট্রোবাংলা থেকে বিতরণ কম্পানিগুলোতে পাঠানো হয়। এরপর বিতরণ কম্পানিগুলো নিজেদের আয়-ব্যয় হিসাব উল্লেখ করে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে পাঠায়। একই সঙ্গে কম্পানিগুলো নিজেদের পরিচালন ব্যয় (মার্জিন) বৃদ্ধিরও প্রস্তাব দিয়েছে।


জানতে চাইলে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত চারটি গ্যাস বিতরণ কম্পানি দরবৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তথ্যের ঘাটতি থাকায় আরো তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। কমিশনে প্রস্তাব পাঠানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। সেসব মেনেই কম্পানিগুলোকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। সব বিতরণ কম্পানির প্রস্তাব আসার পর বিশ্লেষণ করে নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি।’ দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪৩০ কোটি ঘনফুট। এখন দেশি গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২৩৩ কোটি ঘনফুট। বঙ্গোপসাগরে থাকা দুটি ভাসমান এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ টার্মিনালের মাধ্যমে পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে বিদ্যুতে ব্যবহৃত হয় ৬৮.৩৭ শতাংশ, সারে ৯.৩৯ শতাংশ, ক্যাপটিভে ৫.৯২ শতাংশ, শিল্পে ৭.০৬ শতাংশ, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ০.২৩ শতাংশ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ০.২৮ শতাংশ, সিএনজিতে ৩.০৭ শতাংশ. বাসাবাড়িতে ৫.০১ শতাংশ এবং চা বাগানে ০.৬৭ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১ জুলাই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি। বাসাবাড়িতে দুই চুলার খরচ ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা আর এক চুলার খরচ ৭৫০ টাকা থেকে ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরো ১০ জেলাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ জেলা। আর গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ১৬ জেলা।

গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনে দেশজুড়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪০৫ জন, যা আগের সাত দিনের (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) চেয়ে ২৩ হাজার ৯৩১ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসাবে শনাক্ত বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৪৮।

করোনা সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে ১০টি জেলাকে তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার অন্তত ১০ শতাংশ।

লাল তালিকাভুক্ত জেলাগুলো হলো গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি ও পঞ্চগড়। আগের দুটি ঢাকা ও রাঙ্গামাটি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ। রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এছাড়া গাজীপুর করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯, রাজশাহী ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যশোর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, কুষ্টিয়া ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বগুড়া ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, দিনাজপুর ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৪৮, লালমনরিহাটে ১০ দশমিক ৭১, খাগড়াছড়ি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও পঞ্চগড় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।


হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা ৩২ জেলার শনাক্তের হার অন্তত ৫ শতাংশ।

জেলাগুলো হলো সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাঁও।


এছাড়া এখনো করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত আছে ১৬ জেলা। এই জেলাগুলোতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।

ঝুঁকিমুক্ত জেলাগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, নেত্রকোণা, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও মেহেরপুর।


রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে  যে কোনো সময় যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করার পরই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সৈন্য মোতায়নে করে রাশিয়া। 

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। তার মতে ইউক্রেন আক্রমণ করার যে প্রস্তুতি রাশিয়া নিচ্ছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। আরেকটি যুদ্ধ এই অঞ্চলকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দেবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

এ ব্যপারে এরদোগান বলেন, আমি মনে করি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ ইউক্রেন সাধারণ কোনো দেশ নয়। ইউক্রেন শক্তিশালী দেশ।

এরদোগান আরো বলেন, যে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে, রাশিয়ার নিজের পরিস্থিতি ও পুরো বিশ্বের পরিস্থিতি যাচাই করা উচিত। 

বিশ্বের বুক থেকে যুদ্ধ ওঠে যায় এমনটি চান এরদোগান। কারণ যুদ্ধ জিনিসটা কোনো কাজে দেয় না। 

তাছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্ব নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন এরদোগান।


সূত্র: ডেইলি সাবাহ 


ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে পশ্চিমা বিশ্বে। এর মাঝে বৈঠকও করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। এবার হোয়াইট হাউস জানাল, রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে আক্রমণ করতে প্রস্তুত। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠককে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এমন তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটা পর্যায়ে আছি যেখানে রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করতে পারে।

ইউক্রেন পরিস্থিতি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের এমন চরিত্রায়ন প্রকাশ্যে আসলো যখন আগামী শুক্রবার জেনেভায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে রাশিরার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৈঠকের কথা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, ব্লিনকেনের লক্ষ্য রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে পিছিয়ে আনতে কূটনৈতিক পথ বের করা।

সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদি মস্কো বারবার হামলার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।


দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে শিগগির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে আগামী ৩০ দিনের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট আবেদন করেছেন। রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে।

তিনি বলেন, করোনা শুরু হলে তখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা কম আক্রান্ত হয়েছে। এখন আবার করোনা বাড়ছে। তবে এখন সব খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল, মাদরাসা, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে। 


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয়। এতে অনেকেই হয়তো করোনাভাইরাস নিয়ে বাসায় ফিরবে। যার ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ দিনের জন্য বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।

ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। এর আগে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ তিনি এ সংক্রান্ত একটি রিট দায়ের করেছিলেন বলেও জানান।

ওই রিটে সব বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে এবং সব বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল। এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা, সব বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে এবং সব বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছিল।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ওই রিটে বিবাদী করা হয়। 

সেই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৯ মার্চ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশফেরতদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখতে ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করতে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও পররাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বাস্তবায়ন প্রতিবেদন এখনও পাননি । তাই সেই রিটটি আজ আদালতে উপস্থাপন করেছেন। আদালত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন।

এছাড়া ওই রিটের সম্পূরক হিসেবে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ দিনের জন্য চেয়ে আবেদন করেছেন বলেও জানান ইউনুছ আলী আকন্দ।

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ভার্চুয়ালি চলছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে।


উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)। এই আন্দোলনের মধ্যেই ফরিদ উদ্দিন আহমেদের একটি কুশপুত্তলিকা তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। বাঁশ, পাটের বস্তা ও সোলা দিয়ে বানানো কুশপুত্তলিকাটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রাখা হয়েছে।

কুশপুত্তলিকার মাথার অংশে রয়েছে উপাচার্যের ছবি। তার মাথায় দৈত্যের মতো দুটি শিং রয়েছে। কুশপুত্তলিকার ডান হাতে প্রতীকী পিস্তল এবং অন্য হাতে টাকার ব্যাগ রয়েছে। এর মাঝের অংশে তিনশ’ কোটি টাকা লেখা রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা কুশপুত্তলিকাটি তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি আরেকটি বড় প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে লেখা রয়েছে- ‘হীরক ভিসির শেষে’। তাতে হীরক রাজার যেমন পতন হয়েছিল, তেমন ইঙ্গিত দিয়ে ছবি আঁকা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসার সামনে অবস্থান করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আবার তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন।


গত সোমবার থেকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য পদত্যাগ না করলে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে মঙ্গলবার রাতে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোহাইমিনুল বাশার।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মূল কারণঃ

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও মেসভাড়ায় কোনো ছাড় না দেওয়াসহ একাধিক ‘অন্যায্য’ সিদ্ধান্তে অনেক দিন ধরে তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। হলের ছাত্রীদের বিক্ষোভ শুরুর পর সেই ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও জোরালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

এ আন্দোলনের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ’ ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।


সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাতে গিয়ে ওই লাশ চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বলে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

লাশ শনাক্তের পর ভগ্নিপতির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেন শিমুর ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে নোবেলের গাড়িতে এক বান্ডিল সুতা পায় পুলিশ। পরে মিলিয়ে দেখা যায়, শিমুর লাশ বস্তায় ভরে যে সুতায় সেলাই করা হয়েছিল, সেই সুতা আর এই সুতা একই।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বলেন, লাশটি দুটি বস্তায় ভরা ছিল। একটি চটের বস্তা পায়ের দিক থেকে আরেকটি মাথার দিক থেকে ঢুকিয়ে মাঝ বরাবর প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছিল। যে সুতা দিয়ে বস্তা সেলাই করা হয় সেই সুতার এক বান্ডেল পাওয়া যায় শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে। সেই সুতার সূত্র ধরেই পুলিশ মূলত নোবেলকে সন্দেহ করে।



পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুকে হত্যার দায় শিকার করেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল। 

নোবেলের জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে গ্রিন রোডের বাসায় শ্বাসরোধে হত্যার পর দিন বাল্যবন্ধু ফরহাদকে নিয়ে কেরানীগঞ্জে গিয়ে মরদেহ ফেলে দিয়ে আসেন নোবেল। ফিরে এসে কলাবাগান থানায় স্ত্রী নিখোঁজের ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার শাহাবুদ্দিন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর সারারাত মরদেহের সঙ্গেই থাকেন নোবেল। পর দিন সকালে বন্ধু ফরহাদকে বাসায় ডাকেন। সকালে তারা ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে নাস্তা আনতে বাইরে পাঠিয়ে একটি বস্তায় করে মরদেহটি গাড়িতে রাখেন। এর পর মরদেহ ফেলার জায়গা খুঁজতে তারা সাভার, আশুলিয়া ও মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকে যান। কিন্তু সেখানে সুবিধা করতে না পেরে বিকালে আবার মরদেহ নিয়ে বাসায় ফেরেন। তারা রাত অবধি অপেক্ষা করে আবার লাশ নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়েন এবং কেরানীগঞ্জের আলিয়াপুর মরদেহ ফেলে আসেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা যোগ করেন, রোববার রাতে মরদেহ ফেলার পর নোবেল কলাবাগান থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়, তার স্ত্রী রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget