জালিয়াত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর ছবি নিয়ে উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিতর্ক এবং কুৎসা থামাতে তাই এবার বিবৃতি দিলেন স্বয়ং অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে আজ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন জ্যাকলিন। তিনি লেখেন, ‘এই দেশ এবং তার মানুষ বরাবর আমায় ভালবাসা এবং সমর্থন দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে মিডিয়ার মানুষও যাদের থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। বর্তমানে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, আমি নিশ্চিত বন্ধু এবং ভক্তরা আমার পাশে থাকবেন।’
চার দশকের ক্যারিয়ারে টেলি সামাদ অভিনয় করেছেন ছয় শতাধিক সিনেমায়। টেলিসামাদ সঙ্গীতেও সমান পারদর্শী ছিলেন। পঞ্চাশটিরও বেশি চলচ্চিত্রে গান করেছেন তিনি। এছাড়াও টেলিভিশন ও মঞ্চে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘হাসির রাজা’খ্যাত এই কৌতুক অভিনেতা।
জনপ্রিয় অভিনেতা-নির্মাতা মীর সাব্বিরের জন্মদিন শনিবার (৮ জানুয়ারি)। ১৯৯৯ সালে 'পুত্র' নামে একটি নাটক দিয়ে তার টেলিভিশন অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়। এরপর অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের বাইরে নিয়মিত নাটক পরিচালনাও করেন মীর সাব্বির। এই অভিনেতা প্রথমবারের মতো ‘রাত জাগা ফুল’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় সিনেমাটি।
জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘অর্থহীন’র প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সাইদুস খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন)-এর জন্মদিন শনিবার। তিনি মূলত গায়ক এবং বেস গিটার বাজিয়ে থাকেন। তবে কখনো কখনো গিটার কিংবা কী-বোর্ড হাতেও দেখা যায় তাকে।
অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের জন্মদিন শনিবার (৮ জানুয়ারি)। টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করলেও জয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৬ সালে ‘জীবনের গল্প’ দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। পরবর্তীতে তিনি ‘এই যে দুনিয়া’, ‘গ্রাম গঞ্জের পিরীত’, ‘পাষাণের প্রেম’ ও ‘মোস্ট ওয়েলকাম ২’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে ‘প্রার্থনা’ নামের সিনেমা নির্মাণ করে পরিচালক হিসেবেও অভিষেক হয়। এছাড়াও সেলিব্রিটি টক-শো ‘সেন্স অফ হিউমার’ উপস্থাপনা করে বেশ আলোচিত হন জয়।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের জন্মদিন ৮ জানুয়ারি। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘শত্রু’। এই সিনেমায় জিতের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাকে হয়নি তাকে। বর্তমানে ভারতীয় বাংলা সিনেমার শীর্ষ নায়িকা নুসরাত। এ অভিনেত্রীর ঈশান নামের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। এছাড়াও রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত নুসরাত। বর্তমান তিনি তৃণমূল কংগ্রেসর বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী সংসদ সদস্য।
ভারতীয় কন্নড় চলচ্চিত্র অভিনেতা নবীন কুমার গৌড়া (যশ)-এর জন্মদিন শনিবার। ২০০৮ সালে ‘যশ মোগগিনা মনসু’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এই তারকার। এরপর ‘রাজধানী’, ‘মিঃ অ্যান্ড মিসেস রামচারী’, ‘কিরটাকা’, ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর মতো বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
শনিবার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর এমন একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় কারাগারে কয়েদির ভূমিকায় এই অভিনেত্রী। যেন বন্দী কারাগার থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন চোখ এবং শরীরী ভাষায়।
এভাবে মলিন মুখে কেন বসে আছেন মেহ্জাবীন? জানা গেছে, ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির প্রযোজনায় নতুন কনটেন্টের অভিনয় ছিল এটি।
চরকি সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথম তাদের কোনো কনটেন্টে কাজ করছেন মেহ্জাবীন চৌধুরী। তার এই লুক কোন কনটেন্টের জন্য, তা এখনই প্রকাশ করছে না চরকি। তার এই ওয়েব চমকে সঙ্গে থাকছেন আফরান নিশো।
বছরের শুরুতেই চরকি ঘোষণা দেয়, এ বছর দর্শকদের জন্য নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে চরকি। অরিজিনাল সিনেমা, সিরিজ ও শর্টফিল্ম রিলিজ দিয়ে সারা বছর দর্শক মাতিয়ে রাখার প্রতিশ্রুতি থেকেই একের পর এক কনটেন্টের রিলিজ দেবে চরকি।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটি বড় শিক্ষা হচ্ছে- রাশিয়ানরা যদি একবার আপনার বাড়িতে ঢোকে, তাহলে তাদের বিদায় করা অনেক সময় খুব মুশকিল হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি, সম্প্রতি সেখানে যে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে তা বিক্ষোভকারীদের অধিকারের প্রতি সম্মান রেখে, সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মতো সক্ষমতা কাজাখ কর্তৃপক্ষ ও দেশটির সরকারের আছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক কী কারণে কাজাখস্থানের কর্তৃপক্ষ নিজ দেশের সমস্যা সমাধানে বাইরের দেশের সহায়তা চাইলো, তা এখনও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরিষ্কার নয়। যা কারণে আমরা চেষ্টা করছি এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার।’
গত ১ জানুয়ারি এলপিজি গ্যাসের দাম এক লাফে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ায় কাজাখস্তানের সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই দিনই মানজিস্তাউ শহরে বিক্ষোভ শুরু করেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
এরপরের দিন রবিবার (২ জানুয়ারি) থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় কাজাখস্তানের প্রধান শহর আলমাতিতে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রমশ সহিংস রাজনৈতিক সংঘাতে রূপ নেয়।
সরকার ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের যুদ্ধ শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি)। কাজাখ পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, দেশটির প্রধান শহর আলমাতিতে বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারি বিভিন্ন দফতর ও পুলিশ স্টেশন দখল করার চেষ্টা চালায়। এ সময় বাধ্য হয়ে গুলি ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পাল্টা বন্দুক হামলা শুরু করে বিক্ষোভকারীরা।
জনতার রোষ শান্ত করতে ৫ জানুয়ারি দেশটির প্রধানমন্ত্রী আসকার মমিন তার মন্ত্রিপরিষদসহ পদত্যাগ করেছেন। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে দেশজুড়ে, ঘোষণা করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ; কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
প্রেসিডেন্ট কাসেম জোমার্ট তোকায়েভ অনুরোধ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রুশ সেনাদের প্রথম দলটি কাজখস্তানে পৌঁছায়। এই দলে রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার সেনা সদস্য।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম ও জ্বালানিসম্পদ সমৃদ্ধ এই দেশটিতে গত ৫ দিনের বিক্ষোভে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬ জন হলেন বিক্ষোভকারী, যাদেরকের কাজাখ সরকার অভিহিত করেছে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’হিসেবে এবং বাকি ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা।
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা জানিয়েছেন।
করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমাদের মন্ত্রণালয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আছে। আগামীকাল (রোববার) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠক আছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল, মার্চে গিয়ে সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু এখন জানুয়ারির গোড়ায় বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই যে পরিকল্পনা, তাতে কিছুটা সমন্বয়ের দরকার হবে। কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না বরং আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন করোনার টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে। সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
‘হয়ত একটু অসুবিধা হতে পারে, তাদের জন্য, যারা ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী। সেসব বিষয় নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় বিশেষ এই নাটকের নাম ‘বয়স কোনও ব্যাপার না’। এতে অপূর্বর বিপরীতে অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল। যেখানে দু’জনকে দেখা যাবে সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে।
সিএমভি প্রযোজিত এই নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা সৌখিন জানান, দেখা যাবে ৪০-এর বেশি এক ভদ্রলোক বিয়ে করেন। স্ত্রীর বয়স টেনেটুনে ২০ বছর হবে। যে ছেলেটা আজীবন বই পড়ে কাটিয়েছে, তাকে এখন বিয়ে করে ২০ বছরের ছোট বউয়ের মনের কথা পড়তে পড়তেই দিন পার! স্বাভাবিক নিয়মেই তৈরি হয় অসম বয়সের কিছু জটিলতা। সেখান থেকে তারা নিজেদের অতিক্রম করার চেষ্টাও চালিয়ে যায়। তবে শেষে কী ঘটে, সেটি জানতে হলে দেখতে হবে নাটকটি।
এখানে স্বামীর চরিত্রে অপূর্ব আর স্ত্রীর চরিত্র করেছেন কেয়া পায়েল।
নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন বলেন, ‘আমি নির্মাণ করি মূলত দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার জন্য। এবারও সেটাই থাকছে। তবে আনন্দের বিপরীতে বয়স নিয়ে একটা দারুণ বার্তাও থাকছে এতে। থাকছে দাম্পত্য জীবনের নানা টিপস! আশা করছি দর্শকরা দেখে মজা পাবেন এবং সংসার সুখী করার জন্য কিছু টোটকাও পাবেন।’
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘বয়স কোনও ব্যাপার না’ সিএমভি’র ইউটিউবে মুক্তি পাচ্ছে শিগগিরই।
কিছুদিন আগে বধূবেশে প্রকাশ্যে এসেছিলেন শ্রাবন্তী। আর সেটা করেছিলেন তার নতুন সিনেমার প্রয়োজনে। কিন্তু এবার সিঁদুর পরে ক্যামেরাবন্দি হলেন কেন? শুধু তাই নয়, ফের বিয়ে করেছেন কিনা তা নিয়েও চলছে সমালোচনা। যদিও নেটিজেনদের এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রাবন্তী কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এসব ছবিতে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করেছেন শ্রাবন্তী। তাতে লেখা—‘নতুন সিনেমা, নতুন টিম।’ এ থেকে ধারণ করা হচ্ছে, নতুন কোনো সিনেমার জন্য এমন রূপে সেজেছেন এই অভিনেত্রী।
অনেক দিন ধরে স্বামী রোশান সিংয়ের সঙ্গে থাকছেন না শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। তার সঙ্গে পুনরায় সংসার করার জন্য মামলা দায়ের করেছেন রোশান। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে বিয়েবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয়, খোরপোশ বাবাদ অর্থও দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী।
২০০৩ সালে পরিচালক রাজীবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী। এই দম্পতির সন্তান অভিমন্যু। রাজীবের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর প্রেমিক কৃষাণ ভিরাজকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শ্রাবন্তী ও কৃষাণের বিয়ে হয়। কিন্তু বছর পেরুতেই বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান শ্রাবন্তী। ২০১৯ সালে রোশানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
সম্প্রতি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেছে নুসরাতের হাউস পার্টিতে। আর এই হাউস পার্টির ছবিতেই প্রথমবার সামনে এসেছে নুসরাতের বেবি বাম্পের ছবি।
আনুশকা শর্মা দিয়েছেন লাভ রিয়্যাক্ট। তাঁর লাভ রিয়্যাক্টেও এক হাজারে বেশি লাইক।
আলিয়াকে সামনে দেখা যাবে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি’ ছবিতে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই অপেক্ষার অবসান হতে পারে। বানসালির এই ছবিতে আলিয়া ভাটকে দেখা যাবে গাঙ্গুবাইয়ের চরিত্রে।
‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি’ এক বায়োগ্রাফিক্যাল ক্রাইম ড্রামা। তাই এই ছবিতে আলিয়াকে সম্পূর্ণ এক ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে।
ছবিটি মুক্তির আগেই রণবীর কাপুরসহ হবু শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দেখাতে অস্থির হয়ে উঠেছেন আলিয়া।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১৪৬ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়াচ্ছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এর আগে সর্বশেষ শনাক্তের হার পাঁচের উপরে ছিল ২০ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময় গতবছর জুলাই-অগাস্ট সময়ে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর তা নামতে নামতে জুলাই মাসে ২ শতাংশের নিচে চলে আসে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রনের ত্রাস। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৫ জানুয়ারি তা ৪ শতাংশ ছাড়ায়। দুই দিনের মাথায় তার ছাড়িয়ে গেল পাঁচ শতাংশের ঘর।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৩ জনে। গত এক দিনে আরও একজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হওয়ায় সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৯৮ জনের মৃত্যু হল এ ভাইরাসে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৪০ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল। সে হিসেবে গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১৭০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গত একদিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৯০২ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৭৮ শতাংশের বেশি। দেশের ২৬টি জেলায় একদিনে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২৮।
আরো পড়ুনঃ- গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, দোকান খোলার সময় কমানোর প্রস্তাব
যে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে, ময়মনসিংহের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। দেশের বাকি সাত বিভাগে আর কারও মৃত্যু হয়নি গত এক দিনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২০ হাজার ২০৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০টি নমুনা।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। গত বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ৩০ কোটি ৪ লাখের বেশি রোগী।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে।
বিবিসি ও আল-জাজির প্রতিবেদনে বল হয়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১৮ জন পুলিশ ও ২৬ জন বিক্ষোভকারী। আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০০ জন। এ ঘটনায় ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে নিহত বিক্ষোভকারীদের ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ-সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কী ঘটছে কাজাখস্তান?
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে কাজাখস্তানের বৃহত্তম শহর আলমাতির কেন্দ্রীয় স্কোয়ারের কাছে গুলির শব্দ শোনা যায়, যেখানে আগের দিনের বেশিরভাগ সময় সৈন্য ও বিক্ষোভকারীরা লড়াই করেছিলেন।
তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে অন্তত এক সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভ এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। চলমান সহিংস অবস্থার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজাখস্তানে আকস্মিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তবে সরকারের পদত্যাগের পরও বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা অব্যাহত রেখেছে।
দাঙ্গা থামানোর জন্য কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দাঙ্গাকারীরা শহরে মেয়রের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং অন্য দপ্তরে হামলা চালায়।
এই বিক্ষোভের পেছনে বিদেশিদের মদদ থাকতে পারে বলে স্থানীয় ও আঞ্চলিকভাবে অনেকেই মনে করছেন। তারা বলছেন, বিভিন্ন ইঙ্গিত থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, এই বিক্ষোভ নিছক জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নয়, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
এই বিক্ষোভ থামাকে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের অনুরোধে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ‘শান্তি রক্ষা বাহিনী’ পাঠিয়েছে রাশিয়া।
কাজাখস্তানের এই বিক্ষোভটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো।
কী ঘটেছে?
বিক্ষোভ শুরু হয় যখন তেল-সমৃদ্ধ সাবেক এই সোভিয়েত রাষ্ট্রের সরকার তরলায়িত জ্বালানি গ্যাস বা এলপিজির মূল্যের ওপর বেঁধে দেয়া সীমা বাতিল করে। এর ফলে এলপিজির দাম বেড়ে যায়। কাজাখস্তানের অনেকেই তাদের গাড়িতে এলপিজি ব্যবহার করেন।
রোববার এই বিক্ষোভ শুরু হয় একটি জায়গায়। কিন্তু মঙ্গলবারের মধ্যে এটি সারা দেশের শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক জায়গায় জনসমাবেশ হয়, এবং সেখানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কাজাখস্তানের প্রধান শহর ও সাবেক রাজধানী আলমাটিতে হাজারখানের লোক জড়ো হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশসহ শত শত লোক আহত হয়।
এরপর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে কাজাখস্তানের বহু জায়গায় জরুরি আইন জারি করা হয়। অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে খবর পাওয়া যায়।
কিন্তু জনগণ তাতে শান্ত হয়নি। তারা আলমাটির মেয়রের অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই বিক্ষোভ কেন অস্বাভাবিক?
কাজাখস্তানে প্রচুর তেল এবং গ্যাস রয়েছে। পুরো মধ্য এশিয়ায় দেশটিকে খুব প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়।
এর কারণ, ওই অঞ্চলের মোট জিডিপির শতকরা ৬০ ভাগ যোগ দেয় কাজাখস্তান। কিন্তু এই দেশটির সরকারকে খুবই কর্তৃত্ববাদী বলে মনে করা হয়।
কাজাখস্তান বিশ্বের নবম বৃহৎ দেশ। কিন্তু সেই বিবেচনায় দেশের জনসংখ্যা খুবই কম- এক কোটি ৮৮ লাখ।
আরো পড়ুনঃ- কাজাখস্তানে জরুরি অবস্থা, রাশিয়ার সাহায্য প্রার্থনা
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দেশটি ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। দেশটি যখন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ তখন ১৯৮৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নুর-সুলতান নজরবায়েভ। তখন থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজাখস্তানের শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন।
এরপর এক নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হন, যে নির্বাচনে কেউ তাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি।
বহু বছর শাসনের পর নজরবায়েভ ২০১৯ সালে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিরল এক গণবিক্ষোভ হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এই পদত্যাগের মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।
একই বছর হঠাৎ করে ডাকা এক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন নজরবায়েভের পছন্দের প্রার্থী কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ। ওই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বহু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক প্রবল সমালোচনা করেন।
ক্ষমতায় না থাকলেও নজরবায়েভ এখনো খুবই প্রভাবশালী, এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন যে বিক্ষোভ চলছে তা মূলত নজরবায়েভের বিরুদ্ধে।
কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেছেন তিন বছর হলো। এই তিন বছরে কাজাখস্তানের বিশেষ কোনো উন্নয়ন হয়নি। সে দেশে জীবনমান এখনো কম। কাজাখদের ব্যক্তি স্বাধীনতাও খুবই সীমিত।
লন্ডনের রয়্যাল ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের বিশ্লেষক কেট মলিনসন বিবিসিকে বলছেন, 'কাজাখস্তানের জনগণের সাথে নজরবায়েভের একধরনের সখ্যতা ছিল।'
এলপিজির মূল্য বাড়ানোর ঘটনা জনগণের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
বিক্ষোভকারিরা চায় কী?
সরকার বরখাস্ত হলেও এবং জ্বালানির দাম আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হলেও রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
প্রেসিডেন্ট নজরবায়েভের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তারা বুঝতে পেরেছেন যে সরকারে পরিবর্তন ঘটলেও অনেক সময় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে না।
এই বিক্ষোভের একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ঝানাওজেন। এটি কাজাখস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে মংগিস্টু প্রদেশের একটি শহর।
দু'হাজার এগারো সালে এই শহরটিতে বড় ধরনের একটি বিক্ষোভ হয়েছিল। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে তেল শিল্প কর্মীদের এই বিক্ষোভটি কঠোর হাতে দমন কর হয়, এবং এতে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারায়। আহত হয় শতাধিক মানুষ।
এখন ঝানাওজেন আবার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এবং সেখানকার বিক্ষোভকারিরা পাঁচ-দফা দাবিনামা পেশ করেছেন :
* সরকারের মধ্যে প্রকৃত পরিবর্তন।
* সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রাদেশিক গভর্নরদের নির্বাচন। (বর্তমানে প্রেসিডেন্ট এদের নিয়োগ করেন।)
* ১৯৯৩ সালের সংবিধান ফিরিয়ে আনা। ঐ সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় কাটছাঁট করা হয়েছিল।
* রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কারো ওপর নির্যাতন চলবে না।
* সরকারের সাথে সম্পর্ক নেই এমন ব্যক্তিদের সরকারে স্থান দেয়া।
কিন্তু এখনকার আন্দোলন বিক্ষোভে কে নেতৃত্ব দিচ্ছে তা এখনো পরিষ্কার না। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাজাখস্তানে আসলে নির্বাচন-ভিত্তিক গণতন্ত্র নেই, কারণ বহু দশক ধরে সে দেশে ভিন্নমত তৈরি হলে সেটি অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা হতো।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক গ্রিগরি গোলোসোফ বলছেন, কাজাখস্তানের মানুষ বিশ্বাস করেন যে একমাত্র সড়কে বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে তারা সরকারকে তাদের কথা শুনতে বাধ্য করতে পারবেন।
'যে দেশে কর্তৃত্ববাদী সরকার সেখানে যেকোনো অ-জনপ্রিয় অর্থনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করা।'
তাহলে কী ঘটতে চলেছে? আর সেটাই বা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কাজাখস্তানের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছাড়ছে না। কিন্তু পুলিশ এখনো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সরকারও কোনো মারাত্মক পদক্ষেপ না নিয়ে সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা করছে।
'মনে হচ্ছে তোকায়েভ উদার মনোভাব বজায় রেখে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তবে এই কৌশল কতখানি কাজ করবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে,' বলছেন গ্রিগরি গোলোসোফ।
আরো পড়ুনঃ-উভয় সংকটে পুতিন
এনিয়ে বিবিসির সাথে আরেকজন বিশ্লেষক কথা বলেছেন। তিনি হলেন মস্কো কার্নেগী সেন্টারের অ্যালেকজান্ডার বৌনফ। তবে তার মত ভিন্ন।
তিনি বলছেন, কাজাখস্তান পশ্চিমা দেশের কোন মিত্র নয়। এর ফলে পশ্চিমা দেশের নেতারা একে "নিপীড়ন-বাদী এক সরকারের বিরুদ্ধে এক গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান" হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
'এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কাজাখ সরকারের কোনো পদক্ষেপ না নেয়া খুব কঠিন। আর এই আন্দোলনকে সমর্থন না করারও কোনো উপায় পশ্চিমা নেতাদের নেই। তবে দীর্ঘমেয়াদে এসব প্রতিবাদের ফলে কাজাখ সরকার রাশিয়ার প্রতি আরো বেশি করে ঝুঁকে পড়বে।'
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলো ডায়ানা কুদাইবার্জেনোভা বলছেন, কাজাখ সরকার যে শান্তিপূর্ণভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলার চেষ্টা করবে, এমন ইংগিতই পাওয়া যাচ্ছে।
একটি প্রধান গ্যাস, তেল এবং খনিজ রফতানিকারী দেশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের আস্থার ব্যাপারটাও কাজাখস্তানকে মনে রাখতে হবে। এটা করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ধরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
একই সাথে সে দেশের জনগণ সাবেক প্রেসিডেন্ট নজরবায়েভের ছায়া থেকে বের হতে না পেরে দৃশ্যত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এবং এই অবস্থা পাল্টানোর জন্য তারা লড়াই করতে প্রস্তুত।
কাজাখস্তানের এসব গোলযোগের প্রভাব ওই অঞ্চলেও পড়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই গণবিক্ষোভ কাজাখস্তানের 'অভ্যন্তরীণ ব্যাপার' এবং 'আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে' বলে তারা আশা করে।
তবে রুশ সরকারি সংবাদমাধ্যমে ইতোমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে যে 'পশ্চিমা শক্তি'র মদতেই কাজাখস্তানে এসব বিক্ষোভ চলছে।
সূত্র : বিবিসি
রাশিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের এই অবস্থা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। রাশিয়া কাজাখস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং সমস্ত রুশ-মানববাহী মহাকাশ মিশনের লঞ্চ বেস হিসেবে দেশটির বাইকনুর কসমোড্রোমের ওপর নির্ভর করে।
এছাড়া মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে উল্লেখজনক সংখ্যক রাশিয়ানের বসবাস। কাজাখস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ জাতিগতভাবে রাশিয়ান।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কাজাখস্তান ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। দেশটি যখন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ তখন ১৯৮৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নুর-সুলতান নজরবায়েভ। তখন থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজাখস্তানের শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন।
এরপর এক নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হন, যে নির্বাচনে কেউ তাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি।
আরো পড়ুনঃ-কাজাখস্তানে জরুরি অবস্থা, রাশিয়ার সাহায্য প্রার্থনা
বহু বছর শাসনের পর নজরবায়েভ ২০১৯ সালে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। সে সময় তার বিরুদ্ধে বিরল এক গণবিক্ষোভ হয়েছিল। ধারণা করা হয় এই পদত্যাগের মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।
তবে ক্ষমতায় না থাকলেও নজরবায়েভ লোকচক্ষুর অন্তরালে খুবই প্রভাবশালী। এমন একটি রূপান্তর মডেল সেই সময়ে পুতিনের কাছে আবেদন করতে পারে, কিন্তু আজ এটি কম আশাব্যঞ্জক দেখাচ্ছে।
ইউক্রেনের নিয়ে রাশিয়া এমনি জটিল খেলায় আচ্ছন্ন। এরমধ্যে কাজাখস্তানের এমন পরিস্থিতি সম্ভবত রাশিয়ার জন্য একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি।
ইউরেশিয়ার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জাছারি উইটলিনের আশা করছেন, দেশটিতে বিক্ষোভ দমাতে মস্কো কাজাখ অভিজাতদের সঙ্গে তার শক্তিশালী ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করবে।
ব্যবসায়ের জন্য কাজাখ ছিল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ। তবে গত কয়েকদিন ধরে চলা অস্থিতিশীল ঘটনা কাজাখস্তানের খ্যাতিকে ক্ষুন্ন করেছে। কাজাখের এমন পরিস্থিতি তাই মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে পুতিনের।
এদিকে কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ বলেছেন '২০ হাজার দস্যু' দেশটির প্রধান শহর আলমাটিতে হামলা চালিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর এই শহরটিতেই প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
কাসিম-জোমার্ট এই হামলার জন্য, বিদেশী প্রশিক্ষিত 'সন্ত্রাসীদের' দায়ী করেছেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে কোন প্রমাণ দেননি।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ২৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৮ জন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে দেশটির চলমান বিক্ষোভ দমনে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বাহিনী সেখানে পৌঁছেছে। কাজাখ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এই বাহিনী বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন।
স্যোশাল মিডিয়াতে সরব জয়া। নিয়মিত ছবি পোস্ট করে চমকে দেন নেটিজেনদের। সম্প্রতি তেমনই একটি ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। সেখানে কফির পেয়ালা হাতে জয়াকে সংক্ষিপ্ত পোশাকে ভিন্ন লুকে দেখা গেছে।
জয়া অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। তিনি ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে বিলকিস বানুর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। এরপর এই নায়িকার ‘চোরাবালি’ও প্রশংসিত হয়। টানা দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। জয়া অভিনীত এবং প্রযোজিত সর্বশেষ সিনেমা ‘দেবী’।
প্রাক্তন এই জুটির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাদে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘৯ মাস আগেই দুজনে ডিভোর্সের কাগজ হাতে পেয়েছে। এখন তারা নিজেদের পথ বেছে নিয়েছে, দুজনেই খুব ব্যক্তিগত মানুষ এবং কোনওভাবেই ডিভোর্স নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে চায় না’।
তবে ডিভোর্সের খবর নিশ্চিত না করলেও উড়িয়েও দেননি দুজনে।
আলি বলেন, ‘এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না, তবে বলব সানজিদা খুশি থাকুক এটাই চাই’। অন্যদিকে তার প্রাক্তন স্ত্রী সঞ্জিদা জানান, ‘আমি চাই আমার সন্তান আমাকে নিয়ে গর্বিত হোক…ব্যাস এইটুকুই’।
দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করবার পর ২০১২ সালে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন আমির-সানজিদা। কিন্তু ২০২০ সালেই প্রকাশ্যে চলে আসে তাদের দাম্পত্য কলহের খবর। আমির-সানজিদার বিয়ে ভাঙার খবরে যখন তোলপাড় মিডিয়া তখন জানা যায় সারোগেসির মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা। যদিও আইরার আগমনও দু-জনের সম্পর্কে ধরা ফাটল মেটাতে পারেনি।