Latest Post


গত বছরের নভেম্বরে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু বিচ্ছেদের নেপথ্যে কী ছিল? কারো পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। শোবিজে গল্প ছড়িয়েছে নানা রকম। সেসব গল্পে মসলা ছিল, কিন্তু প্রমাণ ছিল না। দোষ ফারিয়ার ওপর দিতে ছাড়েননি নেটিজেনদের একাংশ। কিন্তু আদতে কি তাই? সে সময় কেউই মুখ খোলেননি। 

২০১৫ সালে ফেসবুকে ফারিয়া-অপুর পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা আংটিবদল করেন। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ধুমধাম করে বিয়ে হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর। সেই হিসাবে তাঁদের সম্পর্কের বয়স পাঁচ বছর। হঠাৎ করেই অপুর স্মৃতি ভোলা যাবে না উল্লেখ করে ফারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে মানুষটার সঙ্গে গত পাঁচ বছর আমার জীবন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল, সেই মানুষটার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে, যা চাইলেই হঠাৎ করে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বিচ্ছেদের পরে তাঁকে কিভাবে ছোট করি।’

কিন্তু বুধবার রাতের এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানা গেল নেপথ্যের আঁচ। শবনম ফারিয়া স্বামীর কাছে নির্যাতিত হয়ে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন। শুধু নির্যাতনই নয়, নির্যাতন করে হাত ভেঙে দিয়েছিলেন তার স্বামী। সমাজের নিয়ম ও কী বলবে সমাজ, স্বজন- এসব ভেবে সহজে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চাইছিলেন না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছেন দেবীখ্যাত অভিনেত্রী।

কিন্তু ফারিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপু। তিনি বললেন, পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়টি সত্য নয়। স্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া এটা আসলে ঘটনা ভিন্নদিকে প্রবাহিত করার পরিকল্পনা। আমি জানি না, কেন এত দিন পর এখন অতিরঞ্জিত গল্প ছড়ানো হচ্ছে।

শবনম ফারিয়ার অভিযোগ সম্পর্কে অপু বলেন, 'প্রেম, বিয়ে কিংবা একটা সম্পর্ক- এর মাঝে হাজারটা চড়াই-উতরাই থাকে। আবেগ, রাগ, হাসি-কান্না , সুখ-দুঃখ মিলিয়েই একেকটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  আমার বিয়ের সম্পর্কটি টেকেনি, এটা নিয়ে আমার বিপরীতের মানুষ অনেক বয়ান, স্ট্যাটাস, মতবাদ দিলেও এত দিন পর্যন্ত আমি কিছুই বলিনি, হয়তো আর বলবও না। ভেবেছি বোবার শত্রু নাই! কিন্তু যা দেখছি অনেক দিন ধরেই, চুপ থেকে সম্মান দিয়ে যাওয়ার পরও আজকাল অনেকে সুযোগ নিয়ে নেয়।'
 
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দায় সম্পর্কে অপু বলেন, চাওয়া-পাওয়ার হিসাব অনেক সময়ই মেলে না, তাই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ারও একান্ত অনেক কারণ থাকে। কিছু কারণ একান্তই নিজস্ব, কিছু কারণ সামাজিক, আর্থিক বা বাইরের। মেজাজ গরম, ভালোমন্দ, উগ্রতা একটা সম্পর্কে দুজনের মধ্যেই থাকে। কষ্টের মুহূর্তও দুই দিকেই থাকে। খারাপ সময়ে কেউ একলা আসমানে তাকিয়ে থাকে না, দুজনই তাকায়। ব্যথা এক দিকে হয় না, আলাদা হলে দুদিকেই ব্যথা থাকে। তবু সব সময়ই চেয়েছি যে বিপরীতের মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সবার কাছে স্বাভাবিকভাবেই উপস্থাপন করতে। অভিযোগের অনেক কথা থাকলেও আমার ক্ষেত্রে এককথায় বললে-   বনিবনা হয়নি- অথবা সময়ের টানে নিজেদের নিজেরা হারিয়ে ফেলেছিলাম- এগুলো বলেই সবাইকে উত্তর দিয়ে আসছিলাম এত দিন।' 

অভিযোগ আছে স্বীকার করে তিনি বলেন, 'অভিযোগ দুই দিকেই থাকে, কেউই সন্ন্যাসী লেভেলে থাকি না আমরা। দিনের পর দিন কারো আসমান সমান অভিযোগ থাকলে, আরেক দিকে পাহাড় সমান থাকারই কথা। অভিযোগকে পুঁজি করে নিজেকে সাধু সাজিয়ে ভিকটিম হিসেবে প্রকাশ করা অনেকের অভ্যাস হতে পারে- তবে এই পথে এখনো যেতে পারিনি।' 

অপু বলেন, শ্রদ্ধাশীলতা - খুব বড় একটা পয়েন্ট আজকাল। একেকজনের পার্সপেক্টিভ থেকে যার যার কষ্ট বা দুঃখের আলাদা আলাদা ভার্সন থাকে।   আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। কেন ঘর ভাঙল? কেন আলাদা হলেন- এই প্রশ্নগুলো একান্তই নিজস্ব। উত্তর জেনে আপনাদের চটকদার নিউজ ছাড়া কিংবা কমেন্টে লাভ/এংরি রিঅ্যাকশনের বাইরে কেউই আসবে না।  এই পার্সপেক্টিভ আলাদা হয়ে গিয়েছে দেখেই হয়তো আমরা একভাবে আর চিন্তা করতে পারছিলাম না। তাই হয়তো আলাদা হওয়া। তবু ভাঙা আঙুলের গল্পটা রয়েই যায়, তাইতো? বরং ঘটনাটা শুরু কিভাবে, হলো কিভাবে, ভাঙল কিভাবে- এটা হয়তো জানার দরকার বিপরীত পাশ থেকেই। না হয় একদিক দোষী মনেই হয়!  রাগের মাথায় উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার গল্প বলতে গেলে হয়তো প্রতিটি কাপলেরই লিঙ্গ-নির্বিশেষে আজ 'মি-টু' স্ট্যাটাস দিতে হবে!

শবনম ফারিয়া অশান্তিতে আছে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বলছিলাম শ্রদ্ধার কথা। পাশে থেকেও শ্রদ্ধা রাখা যায়, দূরে থেকেও। নিজেকে ভিকটিমের মতো উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিমূলক মতবাদ- আসলেই দুঃখজনক।  যখন একটা মানুষকে জনসাধারণ অনুসরণ করে- তার দিক থেকে একটাই কথা মাথায় রাখা উচিত, With great power comes great responsibility. কেউ যদি সহজেই হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে, তারও উচিত সাবলীল এবং সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক কথায় নিজের ইমেজ বিকাশ করা। ইনফ্লুয়েন্সার আসলে যে কী- এটা হয়তো অনেকেই বুঝতে চান না ! যা-ই হোক, গুজবের মতো এক শ্রেণির মানুষ উহাই অনুসরণ করে যাবেন আর ইনবক্সে গালি দিয়ে যাবেন। কিন্তু যাচ্ছেতাই কমেন্ট/স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেও রসিকতার পাত্র হয়ে লাভ নেই, আর অন্যকেও হাসির মাঝে ফেলে লাভ নেই। তবুও নিজেকে প্রায়ই এটা বলে সান্ত্বনা দিই যে- হয়তো বিপরীতের মানুষটি শান্তিতে আছে দেখেই এমন মনোভাব পোষণ করছে। নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে নিজেই অশান্তিতে থাকলে তখন অনেকেই চেষ্টা করেন বাকি মানুষটাকেও ছোট প্রমাণ করতে। প্রায় সময়ই আমরা অশান্তিতে থাকলে নিজেদের বেসামাল করে কথা বলেই ফেলি। অন্য কেউ ভালো থাকলে আবার টেনে নামানোর চেষ্টাও হয়তো করেন কেউ।

তিনি শান্তিতে আছেন উল্লেখ করে অপু বলেন, 'আল্লাহর অশেষ রহমত! আলহামদুলিল্লাহ অনেক শান্তিতে আছি, আল্লাহ এখন পরিবার নিয়ে সুস্থ এবং ভালো রেখেছেন, এখন শান্তির ঘুমও হয় রাতে! আল্লাহ সবাইকে বিভিন্ন রকম বিপদ, কষ্ট, প্যারা, কেইস, অশান্তি এবং অসংলগ্ন কথা থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন, আমীন।'


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রবাসফেরত এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে রাত কাটাতে গিয়ে মহরম আলী (৩২) নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে জনতা। এসময় স্থানীয় জনতা আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দিয়ে দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নারীসহ আওয়ামী লীগ নেতা নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মহরম আলী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভায়াট গ্রামের রাঙ্গা, নজরুল ইসলাম ও আলামিন হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহরম আলীর প্রবাসফেরত ওই নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে গেলে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেন। এ সময় গ্রামের লোকজন গিয়ে ওই নারীর ঘরে তাকে আটক করে রাখেন। পরে ভোর রাত ৩টার দিকে তাদের উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ৪ লক্ষ টাকা দেন মোহরানায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। 

উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সরকার জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি মহারম আলী প্রবাসফেরত ওই নারীর কাছে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। রাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে আটক করে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়রা আরো জানান, এর আগেও মহরম আলীর একাধিক নারীর সঙ্গে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া তার আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহরম আলী বলেন, ঘটনার দিন অসহায় ওই নারীর বাড়িতে এসে তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছিলাম। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে আমাকে আটক করা হয়েছে।


দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে শপথ পড়িয়েছেন, সেই ডায়াসের পোডিয়ামে মুজিববর্ষ বানান-ই ভুল ছিল! সেখানে মুজিববর্ষের জায়গায় লেখা হয়েছে মুজিবর্ষ! একটি ঐতিহাসিক জাতীয় অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের এটি নজরে পড়েনি। দায়িত্বরতদের খামখেয়ালিপনায় সারা বিশ্ব দেখল বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতার বিকৃত নাম!

জাতির পিতার নামের এমন বিকৃতির ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনা চলছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— এমন জাতীয় অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির দায়িত্বশীলতা নিয়ে।  

সেই বানান ভুলের ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। শুক্রবার কমিটির মিডিয়া কনসালট্যান্ট আসিফ কবীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে— পোডিয়ামের বানান ভ্রান্তিটির প্রাথমিক খোঁজখবরে যা জানতে পেরেছি, তা হলো— আমরা একটি চিপ-এ পিসি থেকে ট্রান্সফার করে এলইটি মিনি মনিটরে লেখাটি উৎকীর্ণ করেছি। ডিভাইস ট্রান্সফারের কোনো পর্যায়ে একটি ‘ব’ অক্ষর অমিট হয়ে গেছে। আমরা পিসিতে চেক করে দেখেছি এটি ঠিকই আছে। অ্যাডভান্স টেকনোলজির বিষয়টি হয়তো স্যুট করেনি। পোডিয়ামে সংযুক্ত এলইডিতে লেখাটি পরিস্ফুটন করা হয়েছিল। পোডিয়ামের মনিটরেই আমরা ত্রুটিপূর্ণ বানান দেখতে পাই। এমন প্রাযুক্তিক গোলমাল দৃষ্টিতে আসার পরপরই নামাজের বিরতিতে ত্রুটি সারাই করা হয় এলইডি মাধ্যমটি পরিবর্তন করে।
১৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এর পরই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই জাতিকে শপথ করাতে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

বিকাল পৌনে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথবাক্য পাঠ করান। দেশের সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শপথের ছবি প্রকাশ হওয়ার পরই বানান ভুলের বিষয়টি সবার চোখে পড়ে। প্রশ্ন তোলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকেই।

জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের মাইলফলকে এসে উঠে দাঁড়াল বাংলাদেশ;  নেতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শপথ নিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীতে জাতিকে শপথ করালেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শহীদের রক্ত এ জাতি ‘বৃথা যেতে দেবে না’। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষের এই আয়োজনে এই শপথ অনুষ্ঠান যখন চলছিল, শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন তার বোন, বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানা।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেন।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে আটটি বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেয় এ শপথ অনুষ্ঠানে।


বর্ণিল আয়োজনে উপস্থিত সবাইকে সঙ্গী করে শপথবাক্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।


“আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব।

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।"

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছরে এসেছে তার আজীন সংগ্রামে গড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণ।

বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দু’দিনের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

এ আয়োজনে দেশবাসীর সঙ্গী হয়েছেন রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের সহযোগী প্রতিবেশী ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দও।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দক্ষিণ প্লাজার অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে মঞ্চে স্বাগত জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

শপথমঞ্চে এসে শেখ হাসিনা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে; ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের প্রতি জানান শ্রদ্ধা; মুক্তিযোদ্ধদের জানান সশ্রদ্ধ সালাম।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত বাবা শেখ মুজিবুর রহমান, মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা কামাল, আরেক ভাই মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও তার স্ত্রী পারভীন জামাল, ছোট ভাই ১০ বছরের শেখ রাসেল, চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, মিলিটারি সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দিন এবং পুলিশ কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি স্মরণ করেন যুবনেতা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, কৃষকনেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবত, তার দশ বছরের ছেলে আরিফ, ১৩ বছরের মেয়ে বেবি, চার বছরের নাতি সুকান্ত, ভ্রাতুস্পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সেরনিয়াবত, ভাগ্নে রেন্টুসহ সেদিন নিহত ১৮ জনের কথা।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘাতকের হাতে নিহত চার জাতীয় নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতিও তিনি শ্রদ্ধা জানান। 

শেখ হাসিনা বলেন, “গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছে, তাদেরকেও আমি স্মরণ করি। যারা নির্যাতিত-নিপীড়িত তাদের শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা অর্জন করি। দীর্ঘ ২৪ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”

শপথের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় স্বাধীনতার পথে বাঙালির দীর্ঘ পথ পরিক্রমার ইতিহার তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বাঙালি জাতি পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করবে এটা পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান মেনে নিতে পারেনি। তাই বাঙালিদের ওপর শুরু করে নিপীড়ন-নির্যাতন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলাদেশের মানুষকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে বলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতি জেলা, মহকুমা, থানা, গ্রামে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

তার ভাষণে তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” 

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্থানে আক্রমণ করে গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে রাতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

“তিনি বলেন: ‘ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা। আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও। সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ কর। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ শত্রুটিকে বাংলার মাটি হতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও’।”

বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণা পিলখানার ইপিআর হেডকোয়ার্টার থেকে সারা দেশে পাঠানো হয়। ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করেন। এরপর একে একে অন্যান্য নেতারা এই ঘোষণা পাঠ করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকাতেও প্রচারিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, “বাঙালিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ মোতাবেক যাঁর যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের পাশে দাঁড়ায় প্রতিবেশী ভারত, রাশিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশ ও সেসব দেশের জনগণ। মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে আমরা পরাজিত করি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের বিজয়।”

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসুন আমরা বাংলাদেশের বিজয়ের এই সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং মুজিববর্ষে শপথ গ্রহণ করব, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা এবং বিশ্বসভায় উন্নত সমৃদ্ধ বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলার জন্য আমরা শপথ নেব।”

সবাইকে নিয়ে শপথ পাঠ করে  সকল মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। শপথ শেষ করেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক সংগঠন ’সুরের ধারা ও হাল আমলের শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের আরেকটি নাম মুজিবর’ গানের মধ্য দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়।



যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে র‌্যাবের ভূমিকাকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, র‌্যাবের ভূমিকায় বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে। র‌্যাব ও এর সাবেক ও বর্তমান সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় এক সপ্তাহ পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত ও গ্রেপ্তার বেড়েছে, কমেছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’

প্রতিবেদনটি দেখতে : https://www.state.gov/reports/country-reports-on-terrorism-2020/bangladesh/

প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, ‘‘২০২০ সালজুড়ে র‌্যাব এবং ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসিইউ)’ কমিউনিটি পুলিশি কার্যক্রম ও সন্দেহভাজন বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উগ্রবাদ মোকাবিলা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করে।’'

ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে তিনটি সুনির্দিষ্ট সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বাংলাদেশে। ওই হামলাগুলোতে কারও মৃত্যু হয়নি। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইএসের মতো আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অর্থবহ যোগাযোগ থাকার তথ্য নাকচ করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সহায়তার দায়ে ২০১৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে তাদের আপিল আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
সীমান্ত ও প্রবেশ মুখগুলোতে নিয়ন্ত্রণ জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত বিস্ফোরক শনাক্তকারী কে৯ দল ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত। কিন্তু বিমানবন্দরে তাদের কোনো স্থায়ী উপস্থিতি নেই।

প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সহযোগিতার কথা উল্লেখ আছে। তবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিষয়ক কোনো সতর্ক ব্যবস্থা নেই বলে এতে উল্লেখ করা হয়।


তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। 

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তাকে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঢাকা ত্যাগের আগে শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকার রমনায় কালীমন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করেন।

বিজয়ের শতবর্ষ, মুজিববর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বুধবার ঢাকা সফরে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।  রাষ্ট্রীয় এ সফরে ভারতের ফার্স্টলেডি এবং রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, একজন সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজে অংশ নেন ও বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বক্তব্য দেন।


বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে মিরপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শহীদ মুশতাক একাদশ জড়ো করেছে ১৫০ রান।

শহীদ জুয়েল একাদশের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন মাহমুদুল হাসান রানা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সজল চৌধুরী, মেহরাব হোসেন অপি ও মুশফিক বাবু। জিততে হলে শহীদ জুয়েল একাদশকে তাড়া করতে হবে ১৫১ রান।

একনজরে বিজয় দিবস ক্রিকেটের দুই দলের স্কোয়াড

শহীদ জুয়েল একাদশ : মেহরাব হোসেন অপি, রকিবুল হাসান, সজল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, হান্নান সরকার, মাহমুদুল হাসান রানা, হাবিবুল বাশার সুমন, নাসির আহমেদ নাসু, এনামুল হক মনি, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, মুশফিকুর রহমান, মোর্শেদ আলী খান, মনজুরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল গণি।

শহীদ মুশতাক একাদশ : জাবেদ ওমর বেলিম, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিক, এহসানুল হক সেজান, আতহার আলী খান, হাসিবুল হোসেন শান্ত, তারেক আজিজ খান, তালহা জুবায়ের, মোহাম্মদ আলী, সানোয়ার হোসেন, আজহার হোসেন শান্ত ও ফাহিম মুনতাসির সুমিত।

বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম জয় এনে দেওয়ার দুই নায়ক মোহাম্মদ রফিক ও আতহার আলী।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট
 

অর্ধশতক উপহার দিয়েছেন আতহার।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট

নান্নুর ব্যর্থতার দিনে আতহারের ফিফটি, পাইলটের ব্যাটে ঝড়

শট খেলছেন শাহরিয়ার হোসেন।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনকেও অনেক দিন পর ব্যাট হাতে নামতে দেখা গেল।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বিজয়ী শহীদ মোশতাক দল।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বাংলাদেশের প্রথম অর্ধশতকের মালিক আজহার হোসেন ও রফিক।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বাংলাদেশের পতাকা হাতে হাসিবুল হোসেন ও খালেদ মাসুদ।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও ছিলেন মাঠে।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বহুদিন পর বল হাতে এনামুল হক।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


হয়তো আরও তিন-চার বছর খেলতে পারতেন। কিন্তু হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতার কারণে একটু আগেভাগেই ফুটবল থেকে সরে যেতে হলো সের্হিও আগুয়েরোকে। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার ৩৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আজ ক্যাম্প ন্যু-তে কান্নাভেজা চোখে ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিলেন

তাঁর বিদায় ঘোষণার পর থেকেই ফেসবুক-টুইটারে তাঁর পুরোনো অনেক গোলের ভিডিও ভাসছে। একসময়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে আগুয়েরোর কোচ ও বর্তমানে ইতালি জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মানচিনি যেমন টুইট করলেন আগুয়েরোর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তটির ভিডিও দিয়ে।


২০১২ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে, সিটির শেষ ম্যাচের যোগ করা সময়ে—৯৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডে যে গোল করে সিটিকে লিগ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন আগুয়েরো। সেটির ভিডিওতে আগুয়েরোকে ‘রাজা’ উপাধি দিয়ে মানচিনি লিখেছেন, ‘কিং কুন (আগুয়েরোর ডাকনাম), তোমার মাঠের বাইরের জীবনের মুহূর্তগুলোও এমনই হোক।’

মানচিনি ‘রাজা’ উপাধি দিয়েছেন। আগুয়েরোর ক্যারিয়ারের স্মৃতিচারণ করে অনেকে তাঁকে গত এক দশকের সেরা স্ট্রাইকারদের একজনও বলছেন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সেরাও বলছেন অনেকে। কিন্তু আসলে আগুয়েরো কোথায় থাকবেন গত দশকের সেরা স্ট্রাইকারদের তালিকায়?

বিদায় জানানোর বেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন আগুয়েরো

লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে হিসাবের বাইরে রাখতে হচ্ছে। সেটি শুধু তাঁরা দুজন ‘অতিমানব’ বলেই নয়। গোলসংখ্যায় অন্য সবাইকে ছাপিয়ে গেলেও দুজনের কেউই প্রথাগত স্ট্রাইকার নন। গত এক দশকের সেরা স্ট্রাইকারদের তালিকা করলে আগুয়েরোর পাশাপাশি আসবে রবার্ট লেভানডফস্কি, লুইস সুয়ারেজ, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, করিম বেনজেমা, গঞ্জালো হিগুয়েইন, হ্যারি কেইন, পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং, এদিনসন কাভানি, মোহাম্মদ সালাহ ও কিলিয়ান এমবাপ্পেদের নাম।

পাঠক, সে তালিকায় সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে আপনার ভোট কি আগুয়েরোর বাক্সেই পড়বে? নাকি অন্য কারও?



অবস্থা দেখে এখন যা মনে হচ্ছে তা হলো, অধিনায়কত্ব হারানোর বিষয়ে বিরাট কোহলির বিবৃতি নিয়ে অখুশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ডের এক কর্মকর্তা। তার দাবি, কোহলি মিথ্যাচার করছেন। খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

এর আগে সম্প্রতি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, কোহলিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটি মানেননি এবং নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ওয়ানডের অধিনায়ক থেকেও তাকে সরানো হয়েছে। কারণ, সাদা বলের ফরম্যাটে দুই অধিনায়ক রাখা কঠিন বলে মত বিসিসিআইয়ের।

তবে গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কোহলি। সেখানে আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার বলেন, ‘টেস্ট দল ঘোষণার ঠিক দেড় ঘণ্টা আগে বিসিসিআই থেকে আমাকে কল দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচক আমার সঙ্গে টেস্ট দল নিয়ে আলোচনা করেন। ফোনকল শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি আমাকে জানান, পাঁচজন নির্বাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আমাকে আর ওয়ানডের নেতৃত্বে রাখা হবে না। এ বিষয়ে পূর্বে কোনো আলোচনা হয়নি।’

virat-rohit

এ সময় টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি। বিরাট কোহলি বলেন, ‘যখন আমি বিসিসিআইকে জানাই যে, টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই, তখন তারা সুন্দরভাবেই এটি গ্রহণ করেছে। আমি তাদের বলেছি, এটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।

আমি সেই সময় জানিয়েছিলাম, ওয়ানডে ও টেস্টে নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে চাই। আমার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ছিলাম। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলাম যে, কর্মকর্তা এবং নির্বাচকরা যদি মনে করেন আমার অন্য ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়, তবে তাও ভালো।’

ইন্ডিয়া টুডেকে বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জানাইনি বলে বিরাট কোহলি যে দাবি করেছে তা সে বলতে পারে না। সেপ্টেম্বরেই তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন তাকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়। কিন্তু সে নিজ থেকেই ছেড়ে দিলো। এখন সাদা বলে দুজন অধিনায়ক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল আমাদের জন্য।’

৫:৫৪ AM


নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১ সাল একুশ শতকের তৃতীয় দশকের প্রথম বছর। এই বছর অনেক তারকা অনেক দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। তাদের মধ্যে আলোচিত অনেক তারকা রয়েছেন।

তেমননি কয়েকজন নামকরা তারকার নিচে দেওয়া হলো-


কিম কার্দাশিয়ানের ‘আনলাকি সেভেন’

যুক্তরাষ্ট্রের তারকা অভিনেত্রী, মডেল কিম কার্দাশিয়ানের জন্য বছরটাকে কি খুব ‘শুভ’ বলা যাবে? উত্তরটা সময়ই দেবে হয়ত ভবিষ্যতে। তবে অনুমান করা যায়, র‌্যাপার কানিয়ে ওয়েস্টনের সঙ্গে সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের শেষটা যেহেতু এই বছরেই দেখেছেন, বছরটাকে নিরবচ্ছিন্ন সুখস্মৃতিময় বলতে কিমের নিশ্চয়ই কিছুটা বাঁধবে।


‘স্পেস আর প্রাইভেসির জন্য’ বিচ্ছেদ

বিল গেটস আর মেলিন্ডা গেটস বিয়েবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে এই দুটো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই উল্লেখ করেন এক টুইট বার্তায়। তারা জানান, দীর্ঘ আলোচনার পর দুজনে ঠিক করেছেন, এবার যৌথ জীবনের ইতি টানবেন। বিল আর মেলিন্ডা বলেন, দুজনেই বুঝতে পারছেন, এই সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে এখন দুজনেরই উচিত পরস্পরকে একটু ‘স্পেস’ বা নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা ছেড়ে দেওয়া। গত মে মাসে বিচ্ছেদের খবর জানান তারা।


শাশুড়ি পেটানো বরের সঙ্গে বিচ্ছেদ

জেয়ন মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার পার্টনার জিজি হাদিদের মা ইয়োলান্দা হাদিদকে পিটিয়েছেন। গায়ক জেয়ন অবশ্য অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এক খবরে পিপল ম্যাগাজিন জানায়, জিজি-জেয়নের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

বিফল বাগদান

বাস্কেটবল খেলোয়াড় অ্যালেক্স রডরিগেজের সঙ্গে জেনিফার লোপেজের বাগদান হয়েছিল চার বছর আগে। গত এপ্রিলে জানা যায়, সম্পর্কটা বাগদান আর বছর চারেক একসঙ্গে থাকাতেই শেষ, অর্থাৎ ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে তাদের।

লা লা ছাড়লেন কারমেলোকে

যুক্তরাষ্ট্রের টিভি ব্যক্তিত্ব লালা অ্যান্থনি এনবিএ সুপারস্টার কারমেলো অ্যান্থনির ঘর করেছেন ১১ বছর। একটা সন্তানও আছে তাদের। গত জুনের এক খবরে জানা যায়, লালা নাকি কারমেলোর কাছ থেকে বিচ্ছেদ দাবি করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

‘আধা-বিচ্ছেদ’

তিন বছর আগে ডেট করা শুরু। এরই মাঝে এক সন্তানও হয়েছে এলন মাস্ক আর গ্রিমেস জুটির। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে এলন জানান, ক্যানাডিয়ান গায়িকা গ্রিমেসের সঙ্গে তার ‘সেমি সেপারেশন’ হয়ে গেছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে

৫:৪৯ AM


বলিউডের এ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। গাড়ি কিনতে বেশ পছন্দ করেন এ অভিনেত্রী।

এবার অডি-এ৮ মডেলের একটি গাড়ি কিনলেন এই অভিনেত্রী।  

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) নতুন এ গাড়িটি কিনেছেন কিয়ারা। কালো রঙের গাড়িটির জন্য তাকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় এক কোটি ৫৬ লাখ রুপি।  

এছাড়াও কিয়ার সংগ্রহে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত মডেলের গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএমডব্লিউ এক্স ৫, মার্জিডিজ বেঞ্জ ই-ক্লাস, বিএমডব্লিউ ৫৩০ডি। এই তালিকায় এবার যুক্ত হলো অডি’র নতুন মডেলের গাড়িটি।  

চলতি বছরের আগস্টে অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পায় কিয়ারা অভিনীত সিনেমা ‘শেরশাহ’। সিনেমাটির পাশাপাশি এতে কিয়ারার অভিনয়ও বেশ প্রশংশিত হয়।

২০১৪ সালের ‘ফুগলি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় কিয়ারার। এরপর ২০১৬ সালে ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ও ২০১৯ সালে ‘কবির সিং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন নতুন প্রজন্মের এই অভিনেত্রী।

বর্তমানে ‘যুগ যুগ জিও’ নামের সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন কিয়ারা। রাজ মেহতার পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন বরুণ ধাওয়ান। এছাড়াও কার্তিক আরিয়ানের বিপরীতে ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ও বরুণের বিপরীতে ‘মিস্টার লেলে’ সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।  

৫:৪০ AM

রূপালি পর্দার নায়িকা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নুডলস খাচ্ছেন। অথচ দোকানি তাঁকে চিনতেও পারছেন না। ধীরে ধীরে দোকানের আশপাশে ভিড় জমতে শুরু করল। কেউ কেউ নায়িকাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সেলফি নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করে দিলেন। কিন্তু দোকানির কোনও প্রতিক্রিয়াও নেই। মন দিয়ে পিঁয়াজ-মরিচ সহযোগে নুডলস বানিয়ে চলেছেন। এমন প্লট তো সিনেমাতেই দেখা যায়!গতকাল বুধসন্ধ্যায় দেখা গেল কলকাতার বিধাননগরের ফুটপাতে।

রূপকথার সাক্ষী থাকলেন নুডলস বিক্রেতা কমলাকান্ত দাস। তাঁর ফুটপাতের ছোট্ট দোকানে এসে দু’রকমের নুডলস খেয়ে গেলেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। এক প্লেট নুডলস দোকানে দাঁড়িয়ে খেলেন। আর এক প্লেট নিয়ে গেলেন। কিন্তু দোকানির কোনও বিকার নেই। নিজের কাজেই ব্যস্ত। ওমলেট ভাজছেন, চা করছেন। আর মাঝেমধ্যে গজর গজর করে বলছেন, “বুঝিনা বাবা। সুন্দরী দেখলেই সবাই কেমন হামলে পরে।”

চোখের বালি-র আশালতাকে চিনতে পারেননি কমলাকান্ত ওরফে নান্টু। যখন জানতে পারলেন, তখন আকাশ থেকে পড়লেন। বললেন, “সুচিত্রা সেনের নাতনি আমার দোকানে এতক্ষণ থাকলেন? এত কথা বললেন। মাস্ক খুলে খেলেন। তাও আমি চিনতে পারলাম না!”  আফশোস কমলাকান্তর গলায়। আশপাশের দোকানদাররা অবশ্য মুখ টিপে হাসছেন। 


আর বলে চলেছেন, “তোর দোকানের সেল তো কাল থেকে চারগুণ বেড়ে যাবে রে নান্টু।” চোখে মুখে হাজার ওয়াটের আলো জ্বলে উঠল নান্টুর। জানালেন, একবার দেবকে চা খাওয়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। এবার রাইমাকে নুডলস খাওয়ালাম। সত্যি আমি ভাগ্যবান। এখন বুঝতে পারছি, কেন সবাই ছবি তোলার জন্য হামলে পড়ছিল।

দশ মিনিটের নুডলস পর্ব অবশ্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন রাইমা। এদিন বিধাননগরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের উদ্বোধনে এসেছিলেন। বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার আগেই চোখে পড়ে কমলাকান্তর দোকান। তার পরেরটুকু রূপকথা। পরে নৌকাডুবির হেমনলিনী বললেন, “কী করে চিনতে পারবে? আমি তো সাধারণ মানুষের মতোই ব্যবহার করেছি। নুডলসে আরও একটু পেঁয়াজ, মরিচ দাও বলে বায়না ধরেছি।”

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget