Latest Post


বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নজির আছে। অন্যান্য দেশও এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেমন এবার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাব ও এর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেন এমন নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র?

সাধারণত কোন দেশ আরেকটি দেশকে বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এমন দেশ এরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে।

আবার নিষেধাজ্ঞা অনেক সময় এক দেশ আরেক দেশের ওপর প্রতিশোধ হিসেবে আরোপ করে।

যেমনটা রাশিয়া ২০১৪ সালে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে করেছিল।

ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মরটিজ পিয়েপার বিবিসিকে বলেছেন, "আপনি একটি দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন কারণ আপনি ঐ দেশটির আচরণে পরিবর্তন দেখতে চান"।

বিষয়টা হলো, "ঐ দেশের নাগরিক তার নিজ দেশের সরকারের ওপর রাগান্বিত হবে। এবং দাবী জানাবে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে সরকার যাতে শোধরায়"।

মার্কিন অর্থ দফতরের ওয়েবসাইটে নিষেধাজ্ঞার খবর জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি


কারা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বাধ্য?

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বা অর্থ দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সকল মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি রয়েছে, এমন সকল ব্যক্তি, যেখানেই থাকুন না কেন, অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য।

অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সেইসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা দেশের সঙ্গে মার্কিন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন রকম লেনদেন বা সম্পর্ক রক্ষা করতে পারে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেটি করতে পারে না। যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির যে নির্বাহী আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সকল অর্থ-সম্পদ, মার্কিন কোন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পদ জব্দ থাকবে। এগুলো হস্তান্তর, প্রদান বা লেনদেন করা যাবে না।

সেই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত, তাদের বিদেশি শাখাকেও এই নির্দেশনা মানতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ভর্তুকি বা অনুদান দিয়ে থাকে, অথবা যুক্তরাষ্ট্র পরিচালনা করে, তাদের জন্যও এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।

যদি কেউ সেটা লঙ্ঘন করে, তাহলে বিভিন্ন অংকের জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা বন্ধু দেশগুলো মানতে বাধ্য নয়। কিন্তু কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি বা অস্ট্রেলিয়ার মতো যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অনুসরণ করে থাকে।

র‍্যাব

র‍্যাব কর্মকর্তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞার কী প্রভাব হবে?

বাংলাদেশের পুলিশের প্রধান বেনজীর আহমেদ, র‍্যাব এবং এর ছয়জন বর্তমান ও সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা অর্থনৈতিক।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বা অর্থ দপ্তরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠান লেনদেন করতে পারবে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাদের কোন অর্থ-সম্পদ থেকে থাকে, তাও ফ্রোজেন বা সাময়িক জব্দ হয়ে থাকবে।

কিন্তু তাদের বাংলাদেশে থাকা ব্যাংকিং বা আর্থিক লেনদেনে কি কোন প্রভাব পড়বে?

এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনে পরিচালিত হয়, সুতরাং সেখান থেকে কোন নির্দেশনা বা সার্কুলার না এলে বা আদালতের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইমিডিয়েটলি তাদের আর্থিক লেনদেনে কোন প্রভাব পড়বে না।''

তিনি জানান, 'ফাটকা আইন' (ফরেন একাউন্ট ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স অ্যাক্ট) নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন রয়েছে। এর ফলে কোন মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান এদেশে কর দেয় কিনা, সেটা জানাতে হয়। এর বাইরে বাংলাদেশে বসবাসরত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে বাধ্যবাধকতা নেই।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, এবং ছয়জন বর্তমান ও সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা

''যখন এরকম নিষেধাজ্ঞার ব্যাপার আসে,তখন হয়তো দেশের ব্যাংকগুলো তাকে কোনরকম বাধা বা বিধিনিষেধ দিতে পারে না, তবে তাদের লেনদেনের ব্যাপারে একটু বেশি নজরদারি করে থাকে। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা আমরা বলতে পারি না, তবে যদি ব্যাংকগুলো বিদ্যমান আইন মেনে চলে, তাহলে তাদের আর কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।'' বলছেন মি. আমিন।

যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা কয়েকটি আলোচিত নিষেধাজ্ঞা

বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্র দেশ হিসাবে ইরান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, কিউবা, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা বিভিন্ন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে দেশ ভেদে এসব নিষেধাজ্ঞার প্রকৃতি আলাদা।

ইরান, উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ভেনেজুয়েলা এবং সিরিয়ার ওপর ব্যাপক আকারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে এসব দেশের সরকার বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোন মার্কিন প্রতিষ্ঠান কোনরকম লেনদেন বা বাণিজ্য করে না।

এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোন দেশ ইরান থেকে তেল কিনতেও পারে না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান বা ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী এবং মাদক বিরোধী নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিভিন্ন দেশের একাধিক ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা সহযোগী দেশগুলোয় থাকা সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারে না।


বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

তারা বলছেন, এমন ব্যাক্তিকে ঢুকতে না দিয়ে সঠিক কাজ করেছে কানাডা কর্তৃপক্ষ। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় অনেকে তার শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।


গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনার তুঙ্গে ডা. মুরাদ হাসান। এর মধ্যে তার কানাডায় ঢুকতে না পারার ঘটনায় নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার কানাডার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে টরেন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে পৌঁছান মুরাদ হাসান। এরপর কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি সিবিএস কর্মকর্তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় মুরাদ হাসান কানাডায় ডায়াবেটিকসসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসেছেন বলে জানান।


তার উত্তর সিবিএস কর্মকর্তাদের কাছে অবান্তর ঠেকলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে শুক্রবার রাতে দেশের উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এমনকি তিনি যাতে ভবিষ্যতে কানাডায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তার আঙ্গুল ও হাতের ছাপ, ছবি এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাখে ইমিগ্রেসন কর্তৃপক্ষ।


এমন খবরের পরপরই দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছেন মুরাদ। অনেকে কানাডা কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।


এর আগে মুরাদ হাসানের কানাডায় আসা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। কানাডায় তার প্রবেশ প্রতিহত করতে দেশটির বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, ইমিগ্রেসন অফিস এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কাছে লিখিত আবেদন দাখিলের পাশাপাশি বাংলাদেশে তার অপকর্মের সংবাদ ভিডিও ও অডিও সরবরাহ করেন তারা।


এদিকে এ ঘটনার পর ভবিষ্যতে সরকারি আমলা ও এমপিদের কানাডা আগমনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে মনে করছেন অনেকে।


উল্লেখ্য, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

মুরাদ হাসান ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশ্য তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন।


ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের উপকূলে ৭.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পর পরই বাড়িঘর ও ভবনগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি ও এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। পূর্ব নুসা টেঙ্গারা অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকায় এটির প্রভাব বেশি অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ফ্লোরেস সাগরের ১০ কিলোমিটার (৬.৫ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর পরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও স্থানীয়রা কম্পন অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের লোকজন দোকানপাট ও বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছে।


তাকদির নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘সবাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। লোকজন তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। কেউ কেউ পাহাড়ে ছুটে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। তবে এখন বেশিরভাগ মানুষ তাদের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে ফিরে এসেছে। সুনামিরও কোনো চিহ্ন নেই।’


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলার রায় আজ। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীনের রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশীদ লাভলু জানান, মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে ৯ জন কারাগারে। বাকি চার জন পলাতক। ইতোমধ্যে আদালত বাদীসহ ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। মামলার সব কার্যক্রম শেষ হওয়ায় আজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রায়ের দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, বেগমগঞ্জের একলাশপুরে ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪-১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত। ৩২ দিন পর এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই সময় ৯ জনের নামে দুটি মামলা করেন ভুক্তেভোগী। একটি নির্যাতনের এবং অন্যটি পর্নোগ্রাফি আইনে। পরে ধর্ষণের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়। ধর্ষণের মামলায় একই আদালত গত ৪ অক্টোবর দুই আসামি দেলোয়ার ও তার সহযোগী আবুল কালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

৭:০১ AM


দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের দাপুটে নায়িকা শাবনূর। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) শাবনূরের জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে ভক্তদের একটি বিশেষ উপহার দিতে যাচ্ছেন তিনি।
বেশ কয়েক মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে নিজের নানা কর্মকাণ্ডের ভিডিও নিয়মিত প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন শাবনূর। সেজন্য ‘শাবনূর’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলও খোলেন তিনি। প্রকাশ করেন বেশকিছু ভিডিও।
কিন্তু হুট করে এই অভিনেত্রী হ্যাকিংয়ের শিকার হন, এরপর সেই চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাতে কি শাবনূরকে আটকে রাখা যায়! ফের ফিরছেন তিনি।

জন্মদিনে আবারো নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে হাজির হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাবনূর। একই দিন ভক্তদের উপহার দেবেন নতুন ভিডিও।

এ নিয়ে শাবনূর ফেসবুকে লেখেন, ‘প্রিয় বন্ধুরা, আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, ১৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, সে উপলক্ষে পুনরায় ইউটিউব চ্যানেল খুলে নতুন ভিডিও আপনাদেরকে উপহার দিতে যাচ্ছি। আশাকরি সবাই আমার পাশে থাকবেন। ’

দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন শাবনূর। সেখানে ছেলে আইজান, মা, ভাই, বোনসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি। মাঝেমধ্যে দেশে এলে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন এ অভিনেত্রী।

সবশেষ শাবনূরকে ২০১৫ সালে ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় দেখা গেছে। এরপর আর কোনো সিনেমায় দেখা মেলেনি দর্শকপ্রিয় এ তারকার।

৬:৫২ AM


রাজস্থানের সাতশো বছরের পুরনো ঐতিহ্যশালী সিক্স সেন্সেস ফোর্ট বারওয়ারায় ঘনিষ্ট আত্মীয়, দুই পরিবারের সদস্য এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কিছু তারকার উপস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভিকি কৌশল এবং ক্যাটরিনা কাইফ

বলিউডের ভাইজান সলমন খানের (Salman Khan) সঙ্গে ক্যাটরিনা কাইফের (Katrina Kaif) সম্পর্কের কথা অজানা নয় অনুরাগীদের। সলমন খানের হাত ধরেই বলিউডে বিগ বাজেট ছবিতে পদার্পন হয়েছিল 'সূর্যবংশী' অভিনেত্রীর। শুধু সলমন খানের সঙ্গেই নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও ক্যাটরিনা কাইফের ভালো সম্পর্ক বারবার প্রকাশ পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইজানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও নানা সময়ে অভিনেত্রীকে আনন্দের মুহূর্ত কাটাতে দেখা গিয়েছে। তাই ভিকি-ক্যাটরিনার (Vicky Katrina Wddding) বিয়েতে সলমন খান উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে অনুরাগীদেরও জানার আগ্রহ ছিল। কিন্তু 'দবং' তারকার বোন অর্পিতা খান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, দুই তারকার বিয়েতে তাঁরা কেউই নিমন্ত্রিত নন। তবে, বিয়েতে না গেলেও নব দম্পতির জন্য বিশেষ উপহার পাঠিয়েছেন ভাইজান। 

রাজস্থানের সাতশো বছরের পুরনো ঐতিহ্যশালী সিক্স সেন্সেস ফোর্ট বারওয়ারায় ঘনিষ্ট আত্মীয়, দুই পরিবারের সদস্য এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কিছু তারকার উপস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভিকি কৌশল (Vicky Kaushal) এবং ক্যাটরিনা কাইফ। রাজকীয় কায়দায় আয়োজিত হয়েছিল দুই তারকার বিয়ের অনুষ্ঠান। সঙ্গীত, মেহেন্দি থেকে গায়ে হলুদ এবং বিয়ে সমস্ত কিছুই ছিল রাজকীয় ঢংয়ে। সম্পর্ক থেকে বিয়ে, কোনও কিছু নিয়েই প্রকাশ্যে আগে মুখ খুলতে দেখা যায়নি দুই তারকাকে। কিন্তু বিয়ে মিটতেই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেয়ার করে নিলেন বিশেষ মুহূর্তের ছবি। যা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। ক্যাটরিনা কাইফের প্রাক্তন প্রেমিক সলমন খানও নবদম্পতিকে ভরিয়ে দিলেন বিশেষ উপহারে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বলিউড সুপারস্টার সলমন খান নাকি ভিকি-ক্যাটরিনাকে বিয়ের উপহার হিসেবে দিয়েছেন একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি। যার দাম ৩ কোটি টাকা। যদিও এই খবর ভিকি কোশল, ক্যাটরিনা কাইফ কিংবা সলমন খান কারও পক্ষ থেকেই অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, বিয়ের আগেই সলমন খানের সঙ্গে আগামী ছবি 'টাইগার থ্রি'র শ্যুটিং করতে বিদেশে উড়ে গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে সেই ছবি। এছাড়াও ক্যাটরিনা কাইফের হাতে রয়েছে 'ফোন ভূত', 'জি লে জারা'র মতো ছবি।


যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে টর্নেডোর দাপটে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রচুর। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এই টর্নেডোকে ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর ঝড় বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়া বলেছেন, বেঁচে থাকা লোকদের খুঁজে পাওয়ার আশা কমে গেছে। জানা গিয়েছে, কেন্টাকি সহ আরও একাধিক স্থানে শুক্রবার রাতে এই ঝড় আঘাত হানে প্রভাব বিস্তার করেছিল এই টর্নেডো। এই জায়গাগুলো হলো আরাকানসাস, ইলিনয়েস, টেনিসি ও মিসৌরি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্টাকি।

কেন্টাকির গভর্নর জানিয়েছেন, এই ধরনের ভয়বহ টর্নেডো অতীতে কখনও তারা দেখেননি। তিনি জানিয়েছেন, টর্নেডোর ফলে একটি মোমবাতি তৈরির কারখানার ছাদ ভেঙে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। প্রায় ১১০ জন মানুষ ওই কারখানার মধ্যে ছিল।

উত্তর আরকানসাসে একটি নার্সিং হোমের ছাদ ভেঙে পড়ে বহু মানুষ আহত হয়েছে। এমনকী, কয়েকজনের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইলিনয়ে ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের কারখানায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জন শ্রমিকের। এই ঘটনায় শোকজ্ঞপন করেছেন অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস।

সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বই ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা নিয়ে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিসের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ। কপিরাইট অফিসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ইফতাবুল কামাল অয়ন।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, এ রায়ের ফলে কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলো উচ্চ আদালত। তার মানে মালিকানার স্বত্ব আব্দুল হাকিমেরই থাকলো।   

খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, আমরা বলেছি, শেখ আব্দুল হাকিম এ রিটের গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হওয়ার কথা। কিন্তু শেখ আব্দুল হাকিমকে এ রিটে পক্ষই করেননি কাজী আনোয়ার হোসেন। এ মামলায় একজন অ্যামিকাস কিউরি রাখা হয়েছিল। তিনিও বলেছিলেন, রিটে শেখ আব্দুল হাকিমকে পক্ষ করা উচিত ছিল। কিন্তু তাকে এ রিটে পক্ষ করা হয়নি। পরে আদালত রিট ও রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শেখ আব্দুল হাকিম ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করেন।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই শেষে গত বছরের ১৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়।

এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

ওইদিন হামিদুল মিসবাহ বলেন, ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বই ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বই নিয়ে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিস ২০২০ সালের ১৪ জুন রায় দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন কাজী আনোয়ার হোসেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৪ জুনের রায় এক মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। রুলে এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় কপিরাইট অফিসের ওই সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়েছেন। রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন, সংস্কৃতি সচিব, কপিরাইট অফিস, রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস ও কপিরাইট বোর্ড।

২০২০ সালের ১৪ জুন এ বিষয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেছিলেন, ‘শেখ আবদুল হাকিমের দাবি করা ২৬০টি মাসুদ রানার বইয়ের মধ্যে একটি ও কুয়াশার ৫০টি বইয়ের মধ্যে ছয়টিতে লেখক হিসেবে তার নামে কপিরাইট করা আছে। বাকিগুলোর কপিরাইট করা নেই। তবে সেগুলো তার লেখা এটি তিনি প্রমাণ করেছেন। তবে কপিরাইট অন্তর্ভুক্তির কারণে তাকে প্রতিটি বইয়ের জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রতিটি বইয়ের লেখক হিসেবে তার নাম যাওয়ার পাশাপাশি, কপিরাইটও তার হয়ে যাবে। ’

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রায়ে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু সমাধান ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে কপিরাইট বোর্ড বা বিজ্ঞ আদালত থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত আবেদনকারীর দাবি করা ও তালিকাভুক্ত বইগুলোর প্রকাশ বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হলো। এছাড়া প্রতিপক্ষকে আবেদনকারীর কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা প্রকাশিত বইগুলোর সংস্করণ ও বিক্রিত কপির সংখ্যা এবং বিক্রয় মূল্যের হিসাব বিবরণী এ আদেশ জারির তারিখের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হলো


সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চার জেলায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সকালে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাগুলো করেন চার আইনজীবী।


ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী। মামলায় উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ নামের এক যুবককেও আসামি করা হয়েছে। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হতে পারে।


এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ফেসবুক লাইভে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন।


এতে বলা হয়েছে, ডা. মুরাদ হাসানের প্রদেয় এবং মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ কর্তৃক ধারণকৃত সাক্ষাৎকারটি পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করে জিয়া পরিবার তথা জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক এবং আইনত শাস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অত্র মামলাটি দায়ের করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, আসামিরা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার অপরাধ করেছেন বলে এই মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলায় কথিত ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলালকেও ( নাহিদ রেইন্স) আসামি করা হয়। আজ চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট বদরুল আনোয়ার মামলার আবেদন করেন।


জানা যায়, বাদীপক্ষের মামলার আবেদনের পর শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক অতিরিক্ত জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসান মামলাটি আদেশ এর জন্য রেখেছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, উপমহাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ( বীর উত্তম) ও সাবেক তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি এবং তাঁদের জোষ্ঠ পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমান এর একমাত্র কন্যা ব্যারিষ্টার জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য মূলকভাবে বিগত ১ ডিসেম্বর ২০২১ ইং আসামিদ্বয় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক ও ব্যক্তিগত ভাবে অপমান অপদস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীলভাবে এবং নারীবিদ্বেষী ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন । যা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক।
শিষ্টাচার বহির্ভূত এই ভিডিওটি দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ঘৃণা বিদ্বেষ অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। দেশের আপামর সর্বস্তরের জনসাধারণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দেশে ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

এই বিষয়ে এডভোকেট বদরুল আনোয়ার মানবজমিনকে বলেন, জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশ্লীল মন্তব্য ও তাকে প্ররোচিত করার ঘটনায় ইউটিবার মহিউদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মহামান্য আদালত শুনানি শেষে রায়ের জন্য রেখেছেন।

ওদিকে স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে জানান, ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সিলেটে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দুপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট তানভীর আক্তার খান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছাড়া ‘নাহিদ রেইন্স পিকচার্স’ এর নাহিদ রেইনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদী পক্ষের মামলা দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং ১৫ই ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মুরাদ হাসানের কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল ভাষায় নারীবিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে বিচার চেয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.এ টি এম ফয়েজ, সাধারণ সম্পাদক এড ফজলুল হক সেলিম, সিনিয়র আইনজীবী আশিক উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আতিকুর রহমান সাবু, এমরান আহমদ চৌধুরী, সাইদ আহমদ, এজাজ উদ্দিন, খালেদ জোবায়ের, আল আসলাম মুমিন, ইকবাল আহমদ, সাজেদুল ইসলাম সজিব, জাফর ইকবাল তারেক, আলী হায়দার ফারুক,জালাল আহমদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অ্যামিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু কানাডায় প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে আবারও ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মুরাদ।


রাজশাহীতে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল ওরফে নাহিদ হেলালের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে বিএনপি নেতার মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরের দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেন। এর আগে তিনি মামলার আবেদনটি গ্রহণ করেছিলেন।

তারেক রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সর্ম্পকে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, কুৎসিত ও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করায় সাবেক তথ্য ও প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও নাহিদের নামে মামলার আবেদনটি করা হয়েছিল।

জানা যায়, জাইমা রহমান নিজে থানায় অভিযোগ দেননি, এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে যেহেতু মামলা হচ্ছে সে কারণে এখানে মামলা হওয়ার যুক্তিকতা নেই। পাশাপাশি ডা. মুরাদের ভিডিও চিত্র ও কথোপকথনে থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমনটা মনে করেননি বিচারক। এই তিনটি পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ না করে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।


আদেশ থাকা সত্ত্বেও জাপানি দুই শিশুকে (জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা) মায়ের জিম্মায় না দেওয়ায় বাবা ইমরান শরীফ গুরুতর আদালত অবমাননা করেছেন বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। দুই শিশুকে আজই মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জাপানি মায়ের আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


এদিন জাপানি ওই দুই শিশুকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আপিল বিভাগে হাজির করতে নির্দেশ দেন আদালত। শিশুদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

নির্দেশ মতো, বেলা ১১টার দিকে তাদের বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন।

এর আগে জাপানি ওই দুই শিশুকে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) জাপানি মায়ের জিম্মায় রাখতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে গত ৫ ডিসেম্বর আপিল করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। এর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রোববার (১২ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন।

২০০৮ সালে জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে সেরে টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তারা তিনজনই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের শিক্ষার্থী ছিল।

২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান-এরিকোর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২১ জানুয়ারি ইমরান আমেরিকান স্কুল ইন জাপান কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু এতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ইমরানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর একদিন জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা স্কুল বাসে বাড়ি ফেরার পথে বাসস্টপ থেকে ইমরান তাদের অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।

গত ২৫ জানুয়ারি শরীফ ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছ থেকে মেয়েদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মেয়েদের নিজ জিম্মায় পেতে আদেশ চেয়ে গত ২৮ জানুয়ারি টোকিওর পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়েদের সঙ্গে এরিকোর সাক্ষাতের অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন।

কিন্তু ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়েকে সাক্ষাতের সুযোগ দেন। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে’ ইমরান তার মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে তিনি দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

গত ৩১ মে টোকিওর পারিবারিক আদালত জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে তাদের মা এরিকোর জিম্মায় হস্তান্তরের আদেশ দেন। তবে দুই মেয়ে বাংলাদেশে থাকায় বিষয়টি নিয়ে তিনি বাংলাদেশের একজন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেন। এরপর গত ১৮ জুলাই তিনি শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন।

বাংলাদেশে এসে এরিকো করোনা পরীক্ষা করালে তার রিপোর্ট নেগেটিভ থাকার পরেও ইমরান ওই রিপোর্ট অবিশ্বাস করে সন্তানদের সঙ্গে তাকে সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানান। গত ২৭ জুলাই এরিকোর মোবাইল সংযোগ বন্ধ করে চোখ বাঁধা অবস্থায় মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে হাইকোর্টে রিট করেন জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো।

৪:৪০ AM



ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে করা অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন দুটি যথাক্রমে ১৫৪ ও ১৫৫ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

আদালতে মিথিলার আবেদনের পক্ষে শুনানি করবেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। আর ফারিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট জে আই খান পান্না ও  জেসমিন সুলতানা।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছে। তার টাকা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন। পরে ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।

প্রসঙ্গত, অভিনেতা ও গায়ক তাহসান বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

৩:৫৬ AM

ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলায় অভিনয়শিল্পী মিথিলা আজ রোববার আগাম জামিন আবেদন করেছেন। কাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হবে। আর এদিন বিকেল পর্যন্ত শবনম ফারিয়ার আইনজীবী জেসমিন সুলতানা জানান, তিনিও ফারিয়ার আগাম জামিন আবেদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই মামলার আরেক অভিযুক্ত দেশের জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনয়শিল্পী তাহসান খান তাহলে কী ভাবছেন?

স্টেজ শোর জন্য আমন্ত্রিত তাহসান খান এই মুহূর্তে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথম আলোকে তিনি জানালেন, সেখানে তাঁর কয়েকটি কনসার্টে গান পরিবেশনের কথা রয়েছে। আজ রোববার তাহসান জানালেন, তাঁর আইনজীবী মামলার কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কবে কীভাবে জামিনের জন্য আবেদন করবেন।


তাহসান খান
তাহসান খান
ছবি 

দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিনোদন অঙ্গনে গান আর অভিনয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাহসান। এই দীর্ঘ সময়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হননি তিনি। তাই এ ঘটনা তাঁর জন্য বিব্রতকর। তাহসান বলেন, ‘এমন ঘটনা আমার জন্য অনেক বিব্রতকর। ভক্তদের ভালোবাসাই জাস্ট আমার ক্ষমতা। এ ছাড়া আমার আর কোনো ক্ষমতা নেই। ভক্তরা যেন আমাকে ভুল না বোঝেন। আমি একদিন হয়তো পুরো ঘটনা কোনো বইয়ে লিখব। যতটুকু পারি ততটুকু গল্পটা বলব আরকি।’
দেশে ফিরবেন কবে? এমন ঘটনার পর দেশে ফেরা নিয়ে কোনো অস্বস্তি হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তাহসান বলেন, ‘দেশে ফিরতে অস্বস্তি বোধ করব কেন। আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। মামলা হয়েছে, আমি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব, দ্যাটস ইট। তবে এই ধরনের ঘটনা অপমানজনকও।’


তাহসান খান
তাহসান খান

গায়ক ও অভিনয়শিল্পী তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন ইভ্যালিতে। আর মিথিলা ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’। এ ছাড়া চলতি বছরের জুন মাসে প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিয়েছিলেন শবনম ফারিয়া। কিন্তু আড়াই মাস চাকরি করে কোনো বেতন পাননি তিনি।
ইভ্যালিতে যুক্ত হওয়া ও ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তাহসান খান বলেন, ‘ইভ্যালি আমার কাছে প্রথম যখন এসেছিল, তখন আমি কিন্তু যুক্ত হইনি। এই বছর যখন তারা এল, তাদের স্পষ্ট কথা ছিল, আমি কেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ বোধ করছি। তারা বলছিল, ইভ্যালি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই–কমার্স কোম্পানি, ৪০ লাখ তাদের গ্রাহক। তারা আইটি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সিনেমার স্পনসর, জাতীয় দলের স্পনসর, তাহলে আমি কেন করব না। ওই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে, আমি তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। তাদের কথা ও কার্যক্রম দেখে আমার তখন মনেই হয়নি, তারা ইলিগ্যাল কোনো কোম্পানি।


তাহসান খান
তাহসান খান

একটা ইলিগ্যাল কোম্পানির সঙ্গে তো বাংলাদেশের এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান যুক্ত হতো না। তারা বাংলাদেশে সব বড় ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করছে। সেটা মোটরসাইকেল হোক বা গাড়ি। একটা ইলিগ্যাল কোম্পানি তো কখনোই এত বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে পারে না। এত এত অ্যাওয়ার্ডও পেতে পারে না, আমি সেই চিন্তা থেকে যুক্ত হয়েছি। এরপর দেখলাম, কাস্টমার কমপ্লেইন এত বেশি, আমার পরিচিতজনদের কমপ্লেইনও তারা সলভ করতে পারছে না, তখনই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি বের হয়ে এসেছি।’



বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব একথা জানান।

র‌্যাবের সাত কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ, এটা নিয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যান্ডেল করছেন। তাই এটা নিয়ে আর আলোচনা হয়নি।

মন্ত্রিত্ব হারানো একজন সংসদ সদস্য বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে পারেননি—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তো ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কথাও বলেছেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বর্তমান মহাপরিচালক মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বেনজীর আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া র‌্যাবের অন্য কর্মকর্তারা হলেন—অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‌্যাব-৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।


বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে দিন-রাত। যার অন্যতম মাধ্যম অলিম্পিক। সেই রাস্তা ধরতেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২০২৮ সালের অলম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় ক্রিকেটকে। এ নিয়ে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ভোটও হওয়ার কথা রয়েছে বেইজিংয়ে।

আইসিসি আশা করছে, ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে যুক্ত করা হবে ক্রিকেট ইভেন্ট। ইতোমধ্যে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (ওআইসি) সঙ্গে কাজও শুরু করে দিয়েছে আইসিসি।

আগামী ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রও। আইসিসির উদ্দেশ্য ঘুরেফিরে অলিম্পিক। এই আসর দিয়ে যদি অলিম্পিক আয়োজক সংস্থাকে দেখানো যায় যুক্তরাষ্ট্রেও ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কম নয় তাহলে অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েও যেতে পারে ক্রিকেট।

আইসিসি আশাবাদী অতিরিক্ত খেলা হিসেবে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্তিকরণ। কারণ ওআইসি মূল খেলা হিসেবে ২৮টি খেলা চিহ্নিত করেছে ইতোমধ্যে। বেশ কিছু ইভেন্ট রয়েছে, এরমধ্যে যা সচরাচর হয় না। তাই অতিরিক্ত খেলা হিসেবে হলেও যাতে ক্রিকেটকে ঢোকানো যায় অলিম্পিকে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে দেশটির জনপ্রিয় খেলা বেসবল, সফটবলকে অলিম্পিকে যোগ করার। আর আইসিসি এ সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে এগোতে চাইছে।

৬:৫২ AM


গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকে শ্রীদেবী ও অনিল কাপুর জুটি উপহার দিয়েছে একাধিক হিট ছবি। সেই তালিকায় আছে ‘লমহে’, ‘লাডলা’, ‘জুদাই’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘জানবাজ’–এর মতো ছবি। পর্দায় তাঁদের রসায়ন এক ভিন্ন স্বাদ এনে দিত। অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী, জিতেন্দ্রসহ একাধিক সুপারস্টারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু প্রয়াত এই নায়িকার সবচেয়ে পছন্দের সহশিল্পী ছিলেন তাঁর দেবর অনিল কাপুর। শ্রীদেবী নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন মেয়ে জাহ্নবী কাপুরকে।

অনিল কাপুর
অনিল কাপুর

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাহ্নবী জানান, ‘অনিল চাচু (কাপুর) আমার মায়ের সবচেয়ে প্রিয় সহশিল্পী ছিলেন। মা আমাকে সব সময় বলতেন, অনিল চাচুর কাজ ভালোভাবে দেখতে আর তাঁর কাছ থেকে শিখতে। সত্যি বলতে অনিল চাচু ছাড়া তিনি অন্য কোনো অভিনেতার কথা আমাকে কখনো বলেননি। মা বলতেন, কাজের প্রতি তাঁর (অনিল কাপুর) যে একাগ্রতা, সেটা থেকে আমার শেখা উচিত। মা আরও একটা কথা বলতেন। সেটা হচ্ছে, চাচু অত্যন্ত পরিশ্রমী। আমি যেন তাঁর এসব গুণ দেখে অনুপ্রাণিত হই। মা বলতেন, চাচুর টাইমিং অসম্ভব ভালো। বিশেষ করে “নো এন্ট্রি” ছবিতে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তাঁরা (শ্রীদেবী-অনিল) যখনই পর্দায় এসেছেন, তখনই একটা বিশেষ এনার্জি বয়ে এনেছেন।’

জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুর

সেই অনুষ্ঠানে উঠে আসে অনিল কাপুরের দুটো কালজয়ী ছবি ‘নায়ক’, আর ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র কথা। এ প্রসঙ্গে জাহ্নবী বলেন, ‘“নায়ক” আর “মিস্টার ইন্ডিয়া” ছবির অ্যাকশন দৃশ্যগুলো আমি কিছুতেই দেখতাম না। আমার জন্য অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দেখা খুবই কঠিন ছিল। দৃশ্যগুলো দেখলেই কাঁদতে থাকতাম। মা আমাকে বলেছিলেন, আসলে আমার আঙ্কেল (অনিল কাপুর) আছেন বলে আমি দেখতে কষ্ট পাচ্ছি। তিনি দারুণ কথা বলেছিলেন। কিন্তু এর একটা অন্য কারণও আছে। আসলে চাচুর অভিনয় এত বাস্তবসম্মত যে, তাঁকে দেখলে যে কেউ কষ্ট পাবে। আবার তিনি আপনাকে অনাবিল আনন্দও দিতে পারেন।’

৬:৩৫ AM


Vicky Kaushal-Katrina Kaif Wedding: ডিসেম্বরের ৯ তারিখ সাত পাকে বাঁধা পড়েন ভিকি-ক্যাট। রাজস্থানের সাওয়াই-মাধোপুরের সিক্স সেন্সেস ফোর্ট বারওয়ারায় জমজমাট বিয়ের আসর। তবে পুলিশি নিরাপত্তাও ছিল সম্পূর্ণ।

সম্পর্ক হোক বা বিয়ে। কোনও ব্যাপারেই কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি অভিনেতা ভিকি কৌশল ও অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ (Vicky Kaushal and Katrina Kaif wedding)। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিয়ের গুজবও উড়িয়েছিলেন দুই জনই। তবে যা রটে তার কিছু তো বটেই। বেশ কয়েকবার তাঁদের বিয়ের কথা সত্যিই গুজব হলেও শেষমেশ ধরেই ফেলেন অনুরাগীরা। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ সাত পাকে বাঁধা পড়েন ভিকি-ক্যাট। রাজস্থানের সাওয়াই-মাধোপুরের সিক্স সেন্সেস ফোর্ট বারওয়ারায় বসে জমজমাট বিয়ের আসর। তবে পুলিশি নিরাপত্তাও ছিল সম্পূর্ণ। 

বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর প্রথমবার একসঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ। মালাবদল, সাত পাক ঘোরা, বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি নিমেষে ভাইরাল হয়। এরপর গতকাল 'গায়ে হলুদ' অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করেন। তাও ভাইরাল হয়ে যায়। অবশেষে আজ 'মেহেন্দি' অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট। ক্যাটরিনার পোস্টে ২৫ মিনিটে লাইকের সংখ্যা পেরিয়েছে ৯ লক্ষের গণ্ডি। অন্যদিকে ভিকির পোস্টে একই সময়ে লাইকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ ছুঁইছুঁই। 



আগের দুই পোস্টের ধারা বজায় রেখেই এবারেও একই ক্যাপশন লিখেছেন কপোত-কপোতী। পঞ্জাবী গানের লাইন লিখে পোস্ট করেন ছবি। দুই জনের পোস্টেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগী থেকে একাধিক টিনসেল তারকা। 



সোনালী রঙের শেরওয়ানিতে ভিকি ও সোনালীর ওপর লাল-হলুদ-সবুজ জরি সুতোর কাজ করা লেহেঙ্গায় ক্যাটরিনাকে অপূর্ব লাগছে। কিছু ছবিতে তাঁদের নাচ-গান-হুল্লোড়ের মুহূর্ত স্পষ্ট ধরা পড়েছে। দাদার সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গেল সানি কৌশলকেও।


দুই বছরের বেশি সময় পরীক্ষার পর সবার জন্য উন্মুক্ত হলো মেটার ভিআর দুনিয়া ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’। এই অ্যাপটির ডিজিটাল জগতকে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে ‘সোশাল ভার্চুয়াল রিয়ালিটি স্পেস’ হিসেবে। শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা আমন্ত্রণ ছাড়াই বিনামূল্যে কোয়েস্ট অ্যাপ অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

অ্যাপটিতে মূল গেইমের পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা নিজের ইচ্ছেমতো মিনি-গেইম নির্মাণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। কাজের ধরনের হিসাবে রোব্লক্স এবং কন্টেন্ট নির্মাতার উপর নির্ভরশীল অন্যান্য অ্যাপের সঙ্গে মিল রয়েছে হরাইজন ওয়ার্ল্ডসের।

তবে নির্মাতাদের সরাসরি আর্থিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ আপাতত নেই অ্যাপটিতে। তার বদলে, এক কোটি ডলারের বিশেষ ‘নির্মাতা তহবিল’ গঠন করেছে মেটা। অ্যাপের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা জিতলে ওই তহবিল থেকে পুরষ্কারের অর্থ পাবেন নির্মাতারা।

মেটা’র অকুলাস কোয়েস্ট ২ হেডসেটের ক্রেতারা ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’ ব্যবহার করতে পারবেন বিনা খরচে। একসঙ্গে ২০ জনের সঙ্গে হ্যাং আউট করা যাবে হরাইজন ওয়ার্ল্ডসে। এই অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের। ১৮ বা তার বেশি বয়সী যে কেউ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি জগতটিতে নিজের ভাসমান অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন। তবে অ্যাপটিতে কেবল মাত্র দেহের উপরের অংশই অ্যাভাটার হিসেবে দেখা যাবে।

গেমাররা যেন বাড়তি কোনো ডাউনলোড ছাড়াই সহজে ওই টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য নির্মাণ টুলগুলো সরাসরি ভার্চুয়ালি রিয়ালিটি গেমের মধ্যেই দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।

হরাইজন ওয়ার্ল্ডসে উড়ে বেড়াতে পারবেন গেইমার। গাছ বা অন্যান্য ‘আইটেম’ নির্মাণকাজে ব্যবহার করে নিজের আলাদা ‘কাস্টম এনভায়রনমেন্ট’ বানাতে পারবেন তারা। আর নিজের তৈরি গেইমের নিয়ম নির্ধারণের জন্য আগে থেকে লিখে রাখা কোড ব্যবহার করতে পারবেন গেমাররা।

আর এই কর্মকাণ্ডের সবই করা যাবে ওই ভার্চুয়াল রিয়ালিটি দুনিয়ার মধ্যেই, প্রয়োজন পড়বে না কোনো আলাদা কম্পিউটার স্ক্রিনের।প্রায় একই প্রক্রিয়ায় কাজ করছে অন্যান্য ভিআর নির্মাতাদের অনেকে। গেইমারদের জন্য নিজস্ব ‘রুম’ নির্মাণের সুযোগ দেয় ভিআর সেবা ‘রেক রুম’। নিজস্ব রুমে অন্যদের সঙ্গে গেইম খেলা বা আলাপাচারিতার সুযোগ পান ব্যবহারকারী।

ফেসবুক নাম পাল্টে ‘মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড’ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির যে পণ্য বা সেবাগুলো বাজারজাত করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’কে। নাম পরিবর্তনের সময়েই একাধিক ডিজিটাল দুনিয়াকে সংযুক্ত করে ‘মেটাভার্স’ নির্মাণ লক্ষ্যের কথা বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাপটি বেটা পর্যায়ে থাকা অবস্থাতেই “কয়েক হাজার” ভার্চুয়াল জগত ব্যবহারকারীরা তৈরি করে ফেলেছেন বলে দাবি করছে মেটা। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি প্রাইভেট বিটা হিসাবে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল।

সূত্র: দ্য ভার্জ

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget