Latest Post

৭:৪৭ AM

 

অকালে চলে গেলেন মডেল আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান
অকালে চলে গেলেন মডেল আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান

তাঁরা দুজন সহশিল্পী। কাজও করতেন এক মঞ্চে। শেষযাত্রায়ও সহযাত্রী হলেন দুজন। অকালে চলে গেলেন মডেল আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি, হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে খবরটি নিশ্চিত করেছে।
আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান—দুজন ভারতের কেরালার বিনোদনজগতের পরিচিত মুখ। আনসি কবির এ বছরই মিস সাউথ ইন্ডিয়া হয়েছিলেন।


আনসি কবির
আনসি কবির

২০১৯ সালে মিস কেরালার শিরোপাও জিতে নিয়েছিলেন। ওই বছরই মিস কেরালা প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছিলেন অঞ্জনা শাহজাহান। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা মডেলিংয়ে যুক্ত।  


অঞ্জনা শাহজাহান
অঞ্জনা শাহজাহান

জানা গেছে, সোমবার একটি গাড়িতে একসঙ্গে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ হঠাৎই গাড়ির সামনে একটি সাইকেল এসে পড়ে। বাইসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়েই গাড়িটি সরাসরি একটি গাছে ধাক্কা মারে। স্থানীয় ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গাড়িটি গাছে ধাক্কা খেয়ে চুরমার হয়ে গেছে।


আনসি কবির
আনসি কবির

কোচিতে একটি ফটোশুটের কাজ সেরে ত্রিশূরে ফিরছিলেন আনসি ও অঞ্জনা। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িতে থাকা আরও দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত অবস্থায় এর্নাকুলামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


অঞ্জনা শাহজাহান
অঞ্জনা শাহজাহান

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দুই মডেলের পরিবার তাড়াতাড়ি কোচিতে যায়। আইটি ইঞ্জিনিয়ার আনসি কবির কেরালার তিরুবন্তপুরমে থাকতেন।


আনসি কবির
আনসি কবির

আগস্টে মিস সাউথ ইন্ডিয়া খেতাব জেতার পর মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনও করেছেন। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অঞ্জনা ত্রিশূরে থাকতেন। ২০১৯ সালে মিস কেরালা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময়ই আনসি ও অঞ্জনার মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

৭:৪১ AM

 

জীবনের এই ৩ সপ্তাহ আমি সবসময় মনে রাখবো : নুসরাত ফারিয়া 


ঢালিউডের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সিনেমার অভিনয় দিয়ে তিনি দুই বাংলায়ই দর্শকের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি উপস্থাপনা ও মডেলিং দিয়েও সাফল্য পেয়েছেন। গান গেয়েও বাজিমাত করেছেন দুই বাংলার চলচ্চিত্রের প্রিয়মুখ নুসরাত ফারিয়া।
আরও একটি নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। এ গানের নাম ‘হাবিবি’। আপকামিং এই গানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ফারিয়া। এমন কঠোর পরিশ্রমের কথা কখনোই ভুলতে পারবেন না এই অভিনেত্রী। এমনটাই জানােলেন তিনি রোববার (৩১ অক্টোবর) ফেসবুকের এক পোস্টে।
ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমি শুটিং এর ২০ দিন আগে থেকে নতুন গানটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। নিজেকে সুন্দর এবং ফিট দেখানোর চাপে ছিলাম। তার উপরে থার্ড ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শুটিং ছিলো ১৪ অক্টোবর, ১৫ তারিখ ছিল পেপার জমা দেয়ার দিন।
মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারতাম না। বেশিরভাগ সময় খিটখিটে মেজাজের হয়ে থাকতাম। ঘনিষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়েছে। একটি ভালো কন্টেন্ট তৈরির চাপে থাকতাম সারাক্ষণ। আর আপনারা সেটি দেখতে পাবেন মাত্র ৩ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
এবার আমি আসলেই রক্ত পানি করা পরিশ্রম করেছি। জীবনের এই ৩ সপ্তাহ আমি সবসময় মনে রাখবো।’
বছর তিনেক আগে ‘পটাকা’ নামে প্রথম গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। বেশ ভালোই আলোচনায় আসে তার গাওয়া এ গানটি। পরে ‘আমি থাকতে চাই’ শিরোনামে আরেকটি গান গেয়ে আলোচিত হন তিনি। আগামী ২ নভেম্বর কলকাতার শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মের (এসভিএফ) ইউটিউব চ্যানেলে এবার প্রকাশ পাবে নুসরাত ফারিয়ার ‘হাবিবি’।
এদিকে গত ২৯ অক্টোবর রাতে বনানীতে বড় বোন মারিয়ার একটি ফ্যাশন হাউজ ও ব্রাইডাল শো রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে লেহেঙ্গা ও ব্রাইডাল সাজে তিনি দর্শকদের সামনে আসেন নুসরাত ফারিয়া।
তখন সাংবদিকরা বিয়ে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। আপাতত বিয়ে করছি না। দ্যাটস ক্লিয়ার (এটা পরিস্কার)! বিয়ে করতে সবকিছু গুছিয়ে নিতে ৬-৭ মাস সময় লাগে। সেই সময়টা আমার কাছে নেই। প্যান্ডামিকের জন্য দুই বছরের মতো পিছিয়ে গিয়েছি। প্যান্ডামিক কাটিয়ে আবার সব কাজ শুরু হচ্ছে৷ তাই আপাতত বিয়ে করছি না।’
প্রায় দেড় বছর আগে বাগদান সারলেও বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি নুসরাত ফারিয়া। কবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন, জানতে চাইলে নুসরাত ফারিয়া তার বিয়ে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।

৭:৩৫ AM

 

মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাচ্ছেন ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহি। এতে তার সফর সঙ্গী হবেন গাজীপুরের তরুণ রাজনীতিক-ব্যবসায়ী ও তার স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রাকিব।

গত সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে বিয়ে করেছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষ তারকাদের একজন মাহিয়া মাহি। বিয়ের দুই মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ওমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই নায়িকা।

এরআগে বিভিন্ন সময়ে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন মাহি। অবশেষে চলতি মাসেই সেটি হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

মাহি বলেন, ‘ওমরাহের জন্য ১৫ দিনের ছুটি নেবো। আর এটি এ মাসেই। তবে তারিখটি এখনো ‍ঠিক হয়নি। আপাতত কোনো শিডিউল রাখছি না। এরআগে কখনো পবিত্র মক্কা শরিফে যাওয়া হয়নি। প্রথমবারের মতো যাচ্ছি, তাই অনুভূতিটা সত্যিই অন্যরকম।’

জানা যায়, বর্তমানে ইফতেখার চৌধুরীর পরিচালনায় ‘ড্রাইভার’ ছবির কাজ করছেন তিনি। চলতি লট শেষ করে কিছু দিনের বিরতিতে সৌদি আরব যাবেন। এরপর ওমরাহ পালন শেষে আবারও শুটিংয়ে ফিরবেন মাহি। 

‘ড্রাইভার’ ছবিতে গাড়িচালক হিসেবে আছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। মূলত তাকে নিয়েই এর গল্প। এতে যাত্রী হিসেবে দেখা যাবে মাহিকে। আরও অভিনয় করেছেন আব্দুন নূর সজল।

এছাড়াও মাহি ‘গ্যাংস্টার’ শিরোনামের একটি ওয়েব ফিল্মের ডাবিং করছেন। এর বাইরে চলতি নভেম্বরে আর কোনো কাজে তাকে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানালেন এ তারকা।

 দেশে কলকারখানায় ৬০% যন্ত্রপাতি হস্তচালিত

ঢাকা: দেশে নানা ধরনের উৎপাদনমুখী কলকারখানায় ৬০ শতাংশ যন্ত্রপাতি হস্তচালিত। এছাড়াও ৪০ শতাংশের বেশি কারখানায় প্রশাসনিক কার্যক্রম হাতে লেখা কাগজে কাগজে পরিচালিত হয়।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শিল্পকারখানার এমন চিত্র উঠে এসেছে।

‘বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের চাঙা ভবিষ্যতের জন্য’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ জুন) অনলাইনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
 
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের শিল্পকারখানায় এখনো তেমনভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হয় না। এমনকি উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এখনো শিল্প বিমুখ। শিল্পকারখানা পরিচালনাকারীদের অর্ধেকেরই স্নাতক ডিগ্রি নেই।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বেশির ভাগ শিল্পকারখানা সনাতন পদ্ধতিতে চলছে। ১০ শতাংশেরও কম কারখানায় কম্পিউটারের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি চলে। ফলে এসব কারখানায় উৎপাদনও কম। কারখানাগুলো প্রযুক্তি নির্ভর করলে উৎপাদন বাড়বে। শুধু সস্তা শ্রমের দিকে তাকিয়ে না থেকে শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

  ৩০ টাকায় রাতারাতি কোটিপতি রাজমিস্ত্রি 

মাত্র ৩০ টাকায় কোটিপতি হয়ে গেলেন এক রাজমিস্ত্রি। তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে লটারির পুরস্কার।

লটারি জয়ের পর তার পরিবার নিরাপত্তা চেয়েছে পুলিশের কাছে।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজএইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের নাম সুজয় পাহান। তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের বেলঘড়িয়া এলাকায়।

সুজয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩০ অক্টোবর) ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন সুজয়। এরপরই ওই লটারিতে এক কোটি টাকা মিলে যায়। এরপরই আতঙ্কে নিরাপত্তা চেয়ে রোববার সকালে বালুরঘাট থানায় পরিবার নিয়ে হাজির হন ওই যুবক।

সুজয় পাহান রাজমিস্ত্রির কাজ করে পড়াশোনা করেন। তিনি পতিরাম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়িতে শয্যাশায়ী বাবা। পরিবারের একমাত্র আয়ের ভরসা তিনি। এই লটারির টাকা পেয়ে সংসারের হাল ফেরাতে চাইছেন ওই যুবক।

সুজয় পাহান বলেন, ‘এত টাকা একসঙ্গে লটারিতে ওঠায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। সুষ্ঠুভাবে টাকা পাওয়া এবং রাখার জন্যই পুলিশের সাহায্য চাইছি। ’ 

বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে ওই যুবককে এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

টাকা দিয়ে কী করবেন, উত্তরে সুজয় বলেন, ‘বাবা-মা অনেক কষ্ট করেছে। এবার তাদের একটু আরাম দিতে চাই। ঘর-বাড়ি বানাতে চাই। ’ 

 মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বেতন কত?

জো বাইডেন

বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটির প্রধান কত বেতন পান, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেতন ছাড়াও অনেক ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন।  

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বার্ষিক বেতন পান ৪ লাখ ডলার বা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার টাকার বেশি। এর সঙ্গে তিনি আরও অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান। সেগুলো হয়তো গুণে শেষ করা যাবে না।  

মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য রয়েছে এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজ। এটি তিন তলাবিশিষ্ট। সব মিলিয়ে জায়গা রয়েছে চার হাজার বর্গফুট। সেখানে থাকা হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে করা যাবে অস্ত্রোপচারও।  

ওই উড়োজাহাজে রয়েছে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত কক্ষ এবং সুবিশাল এক রান্নাঘর। সেখানে একই সঙ্গে ১০০ জনের রান্না করা যায়।  

এসবের বাইরে ১৩২ কক্ষের হোয়াইট হাউস তো আছেই।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে
ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে জো বাইডেন মাত্র ২৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হয়েছিলেন। তিনি দেশটির ইতিহাসে কনিষ্ঠতম সিনেটরদের একজন। সিনেটে তার বার্ষিক বেতন শুরু হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ ডলারে।  

২০০৯ সালে সিনেট ছাড়ার সময় তার অর্থ ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বার্ষিক বেতন ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার ৭০০ ডলার।  

বাইডেনের প্রথম স্মৃতিকথা ‘প্রমিসেস টু কিপ’ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। এই বই থেকে তিনি রয়্যালিটি পান ৭১ হাজার ডলার। এছাড়া অডিও বুকের জন্য ওই সময় তিনি পান ৯ হাজার ৫০০ ডলার।  

রাস্তায় কেনা পাথর আসলে ২৩ কোটির হীরা!

আমরা অনেকেই সাজের জন্য রাস্তা থেকে সস্তায় জুয়েলারি কিনে থাকি। তেমনই ব্রিটেনের ৭০ বছরের এক নারী কিনেছিলেন কসটিউম জুয়েলারি পাথর।

অবশেষে জানা গেল সেটি সাধারণ কসটিউম জুয়েলারি পাথর নয়, বরং ৩৪ ক্যারেটের হীরা।

এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জানা গেছে, ওই হীরার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ লাখ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ কোটি ৪৮ লাখ ১ হাজার ১৮৪ টাকা। নর্থহামবারল্যান্ডে নিজের ঘর পরিষ্কার করার সময় এটি খুঁজে পান ওই নারী, যা অনেক আগে কিনে ঘরে ফেলে রেখেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে ওই নারী জানান, অনেক বছর আগে কার বুট সেল থেকে এটি কিনেছিলেন তিনি।

এদিকে নিলামকারী মার্ক লেন জানান, হীরাটির প্রকৃত দাম আসলে একটি ‘বড় ধাক্কা’ হয়ে এসেছে। ওই হীরাটি পাউন্ড কয়েনের চেয়ে কিছুটা বড়। আগামী মাসে সেটি নিলামে তোলা হবে।

তিনি আরও জানান, ওই নারী এক ব্যাগ জুয়েলারি নিয়ে আসেন। হীরাটি একটি বক্সের মধ্যে ছিল। সেটির সঙ্গে নিজের ওয়েডিং ব্যান্ড এবং কম দামি কিছু কসটিউম জুয়েলারি নিয়ে এসেছিলেন ওই নারী। পাথরটি পাউন্ড কয়েনের চেয়ে বড় ছিল। আমি ভেবেছিলাম এটি একটি কিউবিক জিরকোনিয়া। হীরাটি দুই-তিনদিন আমার টেবিলেই পড়েছিল। পরে আমি একটি ডায়মন্ড টেস্টার মেশিনে সেটি পরীক্ষা করি।

পরে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্পে আমাদের বিশেষজ্ঞ এটি সার্টিফাই করার পর লন্ডনে আমাদের পার্টনারদের কাছে পাঠাই। সেখান থেকে আমাদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, এটি আসলেই হীরা এবং এটি ৩৪ ক্যারেটের।

 কৌটার ভেতর পুরোনো মুদ্রা

কৌটার ভেতর পুরোনো মুদ্রা

যুক্তরাষ্ট্রে ঔপনিবেশিক শাসন শুরুর প্রথম দিকে দেশটির কিছু এলাকায় নতুন ধরনের মুদ্রার প্রচলন করেছিল ব্রিটেন। সেই মুদ্রার নাম ছিল নিউ ইংল্যান্ড শিলিং। ইংল্যান্ডের একটি বাড়িতে সেই আমলের বিরল একটি মুদ্রার সন্ধান পাওয়া গেছে। মিষ্টি রাখার টিনের কৌটার ভেতর পাওয়া যায় মুদ্রাটি।


বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে পাওয়া মুদ্রাটি ১৬৫২ সালে বাজারে ছাড়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বে কলোনিতে ব্রিটিশ গোড়াপত্তনের সময় বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে নিউ ইংল্যান্ড শিলিং মুদ্রা ব্যবহার করা হতো। সেই হিসেবে মুদ্রাটি ৩৬৯ বছরের পুরোনো। মুদ্রাটি আগামী মাসে লন্ডনে নিলামে তোলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, মুদ্রাটি দুই লাখ পাউন্ডে বিক্রি হতে পারে।


ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যান্ডে বাইওয়েল হলে ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে পাওয়া যায় মুদ্রাটি। চিত্রকর্মবিষয়ক উপদেষ্টা বিউমন্ট বিবিসিকে বলেন, মিষ্টি রাখার অনেক পুরোনো একটি টিনের কৌটায় নিউ ইংল্যান্ড শিলিংয়ের একটি মুদ্রাসহ অন্য কিছু মুদ্রার সন্ধান মেলে। তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে থাকা ওই কৌটাটি আমার চোখে আগে কখনো পড়েনি। কিন্তু যখন এটি খুঁজে পেলাম, তখন অনেক আগ্রহ নিয়ে সেটি আমি খুললাম। প্রথমে আমার কাছে মনে হয়েছিল, এটা পুরোনো দিনের একটি উদ্ভট সংগ্রহ। তবে যেহেতু মুদ্রার বিষয়ে আমার জানাবোঝা কম, তাই আমি এটাকে পরীক্ষা করে দেখি। এর পরই বুঝতে পারি, মুদ্রাটি অনেক পুরোনো।’


যুক্তরাজ্যের মুদ্রাবিশেষজ্ঞ জেমস মর্টন বলেন, ‘নিউ ইংল্যান্ড শিলিংয়ের একটি অসাধারণ নিদর্শন এটি। মুদ্রাটি নিজ চোখে দেখার পরও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।’


যুক্তরাজ্যের নাগরিক উইলিয়াম ওয়েন্টওয়ার্থের উত্তরসূরি ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট। উইলিয়াম ওয়েন্টওয়ার্থ ১৬৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল পরিদর্শন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ শাসনের সময় তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ওয়েন্টওয়ার্থ বিউমন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, অনেক বছর আগে আমার কোনো এক পূর্বপুরুষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিলিংটি ইংল্যান্ডে এনেছিলেন।’

 দেশের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপের মধ্যকার বিরোধের কারণে তিন বছর ধরে ঝুলে আছে নতুন একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। এটির নাম কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রস্তাবিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি নিয়ে সানোয়ারা গ্রুপের সঙ্গে কাজী ফার্মস গ্রুপের রশি-টানাটানি চলছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দুই ব্যবসায়ী গ্রুপকে সমঝোতায় আনার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। সে জন্য বেজা এখনো কাজী ফার্মসকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেয়নি।

বেজা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩০ একর জমিতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে তাদের কাছে কাজী ফার্মস গ্রুপ ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পেশ করে। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেজার এক বোর্ড সভায় কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর গত তিন বছরেও জমি নিয়ে জটিলতার কারণে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কাজী ফার্মস গ্রুপ।

জানতে চাইলে কাজী ফার্মস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী জাহেদুল হাসান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চন্দনাইশে আমরা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চাই। সে জন্য সানোয়ারা গ্রুপ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছি। সেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করা হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ আছে সেখানে বিনিয়োগে। তাঁদের আমরা জমি লিজ দেব।’

দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কাজী ফার্মস গ্রুপ ২০১৫ সালে সানোয়ারা গ্রুপের কাছ থেকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩০ একর জমি কেনে। কিন্তু এরপর কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রক্রিয়া শুরু করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের প্রেক্ষাপটে সানোয়ারা গ্রুপ ২০১৯ সালে বেজায় অভিযোগ করে, কাজী ফার্মস যে জমি অধিগ্রহণ করেছে, সেখানে পুরোপুরি সীমানা নির্ধারণ (ডিমারকেশন) করা হয়নি। অভিযোগের জেরে বেজা নিজস্ব কার্যালয়ে একাধিকবার শুনানি করলেও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমাধান হয়নি।

উভয় পক্ষকে শুনানিতে ডাকার পর বেজা সিদ্ধান্ত দেয়, সানোয়ারা গ্রুপ থেকে কাজী ফার্মস যে জমি নিয়েছে, তাতে কোনো জটিলতা দেখা যাচ্ছে না। সানোয়ারা গ্রুপের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিসংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই। তবে বেজা জানায়, অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনা করতে গিয়ে পাশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জমিতে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সেটি কিন্তু কাজী ফার্মস গ্রুপকে নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বেজার সিদ্ধান্তে খুশি না হয়ে একই বছরে, অর্থাৎ ২০১৯ সালে আদালতে মামলা করে সানোয়ারা গ্রুপ, যা এখনো চলছে। আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজী ফার্মসকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে বেজা জানিয়ে দিয়েছে। বেজার কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। তাই এখানে বেজার কিছুই করার নেই।


দুই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সানোয়ারা গ্রুপ চায় না সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হোক। কারণ, জমি কেনার সময় বিষয়টি তাদের জানায়নি কাজী ফার্মস গ্রুপ। তাই এ নিয়ে তাদের অসন্তোষ আছে। এ ছাড়া সেখানে সানোয়ারা গ্রুপের আরও জমি রয়েছে। অবশিষ্ট জমিও কিনে নিতে কাজী ফার্মসকে অনুরোধ করেছিল সানোয়ারা গ্রুপ। কিন্তু সেই জমির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিল কাজী ফার্মস। তাদের দাবি, অবশিষ্ট ওই জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা আছে। এই অস্বীকৃতির পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। বিষয়টি বেজা থেকে আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

এ নিয়ে সানোয়ারা গ্রুপের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জমি নিয়ে কাজী ফার্মসের সঙ্গে কিছু ঝামেলা হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, উভয় পক্ষের মধ্যে একটা সুরাহা হবে।’ তিনি বলেন, ‘যেখানে কাজী ফার্মস অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে, সেখানে মোট জমি আছে ৩০০ একরের মতো। এর মধ্যে ১৩০ একর অধিগ্রহণ করেছে কাজী ফার্মস। বাকি ১৭০ একরের মতো জমি কাজী ফার্মস নেবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা চাই, তারা বাকি জমিও কিনে নিক।’

এ সম্পর্কে সম্প্রতি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালে বেজার বোর্ড সভায় যখন কাজী ফার্মস গ্রুপের অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তখন তাদের বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। তারা সেসব শর্ত এখনো পূরণ করতে পারেনি। জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। দুই ব্যবসায়ী গ্রুপ যদি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে কিংবা সমঝোতা করে, তাহলে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হবে।

শেখ ইউসুফ হারুন আরও বলেন, কাজী ফার্মস যেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তার মাঝখানে আরও বেশ কিছু জমি আছে। সেই জমির কী হবে, তারও সুরাহা হওয়া উচিত।

এদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স পাওয়ার আগে বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিতে বলা হয়েছে কাজী ফার্মস গ্রুপকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা তা পায়নি।


পরিচয় মিলেছে বৌ-শাশুড়ির সঙ্গে লাশ হওয়া সেই যুবকেরদেয়াল লিখন। ছবি: বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বউ-শাশুড়ির মরদেহের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া সেই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।

নিহত যুবকের নাম শাহজালাল ইসলাম সোহাগ।

নিহত সুমির মা রেখা বেগম জানান, তাদের কোনো সন্তান ছিল না। সুমিকে পাশের এলাকার বাছেদ মিয়ার কাছ থেকে দত্তক নেন। নয় বছর আগে প্রবাসী জয়েনের সঙ্গে সুমির বিয়ে হয়। এই সংসারেই সুমি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর তিনি মোবাইল ফোনে শাহজালালের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন। তবে আট মাস পর সুমি আবার আগের সংসারে ফিরে আসেন। শাহজালালকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেন জয়েনকে। বিয়ের দুই মাস পর জয়েন আবার সৌদি আরবে চলে যান।

এদিকে যে ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ঘরের দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা—‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকতো। এই সবকিছুর জন্য সুমীর বাবা দায়ী। ’ অন্যদিকে এদিন নিহত শাহজালালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, সকালে ঘরে তালা দিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছেন।

দিগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বলেন, পরকীয়ার কারণে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জমিলা বেগমের দুই ছেলেই প্রবাসে থাকে। বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না। তিনি দুই ছেলের বৌকে নিয়ে থাকতেন। ইতোমধ্যে পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই ও সিআইডি’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আর দেয়ালে লেখার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

 

ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

248809838_2985311361736345_5661384838462971511_nশেষ সময়ে একটু ঝালিয়ে নেওয়া

পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

পিএসসি জানায়, পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের মোহাম্মদপুর রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যাড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম রওশন আরা মান্নানের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের জনগণের কল্যাণে এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তাছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিশেষ পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার দুর্নীতির বিষবৃক্ষ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ও স্বশাসিত সংস্থা। কমিশন নিরপেক্ষভাবে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে। বর্তমানে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দফতরে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করছে। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা কমে আসছে। দুদক প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির স্বরূপ এবং কারণ উদ্ঘাটন করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরে সুপারিশ প্রেরণ করে। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দফতরসমূহ তাদের প্রতিষ্ঠানে সংগঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে। দুদকের এরূপ কার্যক্রমের ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরে দুর্নীতির মাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছে। এ কর্মকৌশলের আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণশুনানি আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি; ‘স্কুল-কলেজের সততা সংঘ’ গঠন এবং ‘সততা স্টোর’ স্থাপন করা হয়েছে । এসব ইতিবাচক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলে দুর্নীতি প্রতিরোধে গ্রহণ করা যাবতীয় ব্যবস্থার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
(jagonews24)

এম. নজরুল ইসলাম : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। এই দিনে আবির্ভাব ঘটেছিল কথিত ওয়ান ইলেভেন-এর। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একতরফা সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনা নিয়ন্ত্রিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’।

‘ওয়ান ইলেভেন’ এর এই পটপরিবর্তন নানা অস্বস্তির জন্ম দেয় শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই দুই বছরে দল ভাঙা-দল গড়ার ‘খেলা’ও ওই সময়ে দেখে জনগণ। সে সময় দুর্নীতির মামলায় বহু রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে মুক্তি দিয়েই নির্বাচনের দিকে এগোতে হয় ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’কে। আজ ১১ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ শেষে ২০০৮ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
আমরা যদি একটু পেছন ফিরে দেখি তাহলে দেখতে পাই, ২০০৭ সালে একটি চেপে বসা অপশক্তি কী প্রতাপে দেশ শাসন করে গেছে! চেপে বসা শাসকদের চাপে পিষ্ট তখন গণতন্ত্র। রাজনীতি যেন গর্হিত অপরাধের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। রাজনীতিক পরিচয় দিতেও অনেকে কুণ্ঠিত ছিলেন তখন। পাঁচ বছরের জোট অপশাসনের পর চেপে বসা শাসককূল তখন রীতমতো ত্রাস। রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলার আভাস দিয়ে রাজনীতি থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করার কথা তখন এমন করে বলা হতো, যেন রাজনীতি এক গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত। অবশ্য জোট অপশাসন রাজনীতিকে অনেকটাই সে পর্যায়ে নিয়ে যায়। আর সেই সুযোগেই চেপে বসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মোড়কে ‘অন্তর্র্বতীকালীন সরকার’ নামের নতুন এক শাসনব্যবস্থা। ওয়ান-ইলেভেন নামের পট পরিবর্তনের পর সরকার পরিচালনায় আসা এই সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পর সাহসী রাজনীতির পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাসকে মুছে ফেলার কী কুৎসিত-নির্মম ও ভয়াবহ চক্রান্তই না করেছিল প্রতিক্রিয়াশীল চক্র! চেষ্টা করেছে সংকীর্ণ রাজনীতির হীনম্মন্যতার ছদ্মাবরণে তাঁর ভাবমূর্তি নস্যাৎ করতে। রাজনৈতিক নিষ্ঠুর প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও চক্রান্তের জাল বিছিয়েছে গোপনে!
আমরা যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখতে পাই জীবনের সিংহভাগ তাঁকে থাকতে হয়েছে কারা অভ্যন্তরে। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের এই মহান নেতাকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি পশ্চিম পাকিস্তানের চেপে বসা শাসকগোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধুর মতোই যেন ভাগ্যবরণ করতে হয়েছে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে। দেশের মানুষ যখন অধিকারবঞ্চিত, ১৯৮১ সালে তিনি চেপে বসা শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে দাঁড়িয়েছেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের পাশে। যেমন দাঁড়িয়েছিলেন জাতির পিতা। শেখ হাসিনার চলার পথটা সহজ ছিল না কোনোদিনই।
এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে জেল জুলুম নতুন কোন ঘটনা নয়। মহৎ রাজনীতিকরা কারাগারে বসেই তাঁদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা করেছেন, এমন অনেক নজির আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাও নির্জন কারাবাসকালে অলস সময় কাটাননি। কারাগারের নির্জনতাকে তিনি তাঁর সৃজনশীল রাজনৈতিক চিন্তায় সময় পার করেছেন। তাঁর চরিত্রের যে বিষয়টি সবারই নজর কাড়ে তা হচ্ছে তাঁর গভীর প্রত্যয়। দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ জননেত্রী গভীর সঙ্কটেও জনগণের কল্যাণ চিন্তা করেন। সেই চিন্তার প্রতিফলন এরই মধ্যে ঘটেছে। এক স্মৃতিচারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার যে পরিকল্পনা, তা সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাগারে নিঃসঙ্গ দিনগুলোতেই তৈরি করেছিলেন তিনি।
আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন লক্ষ করা যায়। রাজনীতির ইতিহাসে কিছু কিছু ঘটনা ঘুরে ঘুরে আসে। যদি বলা হয় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, খুব একটা বাড়িয়ে বলা হবে না। আমাদের দেশের রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুকে কোনোদিন মুছে ফেলা যাবে না। যদিও তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার অনেক চেষ্টাই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অভিষেক যেমন তাঁর জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না, তেমনি মসৃণ নয় তাঁর রাজনৈতিক চলার পথটিও। পায়ে পায়ে পাথর ঠেলে, শেখ হাসিনাকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনৈতিক কল্যাণের যে পথযাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর, তা থেকে তাঁকে বিচ্যূত করা যায়নি। ১৯৮১ থেকে এই দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাটি একেবারেই কুসুমাস্তীর্ণ বলা যাবে না। বরং কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বাবার মতই অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে এসেছেন। দীর্ঘদিন কাটাতে হয়েছে নিঃসঙ্গ পরবাস। স্বামী-সন্তান নিয়েও গভীর বেদনার দিন পার করতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্য সদস্যদের হারিয়েও স্বদেশে ফিরতে পারেননি তিনি। দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পরও ছায়ার মতো তাঁকে অনুসরণ করেছে ঘাতক। একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হন। বসেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে। জনস্বার্থে ১৯৮৮ সালে পদত্যাগ করলেন। তারপর যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে কয়েকবার চট্টগ্রামে, কোটালিপাড়ায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। বাংলার মানুষের ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে শত্রু। তারপরও ষড়যন্ত্র কম হয়নি তাঁকে নিয়ে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করাটাও ছিল গভীর এক ষড়যন্ত্র । ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে দেশে ফিরে আসার পর থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৯০ ও ২০০৭ সালেও গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
আজকের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে অনেক কালো অধ্যায় পার হয়ে আসতে হয়েছে। এখনও বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে চলতে হচ্ছে। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, শেখ হাসিনার পায়ে পায়ে পাথর। সেই পাথর সরিয়ে শেখ হাসিনা গত দশ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে এক সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গভীর এক ষড়যন্ত্রের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দেশ। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তারই রেশ। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। বঙ্গবন্ধুকন্যাই পারেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে উন্নয়নের নতুন পথে শনৈ শনৈ এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর এখন অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
‘মানুষের দায় মহামানবের দায়, কোথাও সীমা নেই। অন্তহীন সাধনার ক্ষেত্রে তার বাস। … দেশ কেবল ভৌমিক নয়, দেশ মানসিক। মানুষে মানুষে মিলিয়ে এই দেশ জ্ঞানে জ্ঞানে, কর্মে কর্মে।…আমরাও দেশের ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি। সেই ভবিষ্যৎকে ব্যক্তিগতরূপে আমরা ভোগ করব না। …ভবিষ্যতে যাঁদের আনন্দ, যাঁদের আশা, যাঁদের গৌরব, মানুষের সভ্যতা তাঁদেরই রচনা। তাঁদেরই স্মরণ করে মানুষ জেনেছে অমৃেেতর সন্তান, বুঝেছে যে, তার সৃষ্টি, তার চরিত্র, মৃত্যুকে পেরিয়ে।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কথাগুলো শেখ হাসিনার জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য। তিনি দেশের ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজের বর্তমান। ব্যক্তিগতভাবে বর্তমানকে ভোগ করেন না তিনি। আর সে কারণেই বাঙালির সঙ্গে তাঁর জন্মান্তরের নিবিড় যোগসূত্র। দেশের মানুষের আস্থা ও অস্তিত্বে তাঁর স্থায়ী আসন। মানুষের পাশে থাকেন সবসময়।
অমৃতের সন্তান শেখ হাসিনা চেপে বসা তত্ত্বাবধায়কদের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ২০০৮ সালের ১১ জুন। তাঁর মুক্তিতে সেদিন যেন মুক্তি পেয়েছিল গণতন্ত্র। ১১ জুন তাই গণতন্ত্রের মুক্তির দিন। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার দিন ১১ জুন। আবার এটাও তো সত্য যে, দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তৎপর। ঘাপটি মেরে আছে রাজনৈতিক অপশক্তিও। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। গণতন্ত্রের মুক্তির এই দিনে সেই মন্ত্রে নতুন করে উজ্জীবিত হতে হবে। দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে। জনকল্যাণে তিনি নিজেকে সমর্পন করেছেন। তাঁর ভাবনার জগৎ জুড়ে কেবলই দেশের জনগণ। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে ৯ জুন রবিবার সংবাদ সম্মেলনেও তাঁর দার্ঢ্য উচ্চারণ, ‘আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমি যা কাজ করি দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করি।’
লেখক : সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। সব মিলে গত মার্চ পর্যন্ত এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। ফলে ব্যাংকিং খাতে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলো। যুগান্তর


বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছেন। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৪ হাজার কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ রাইটঅফ বা অবলোপন করা হয়েছে। সব মিলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, ঋণখেলাপিদের ছাড় দেয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার পর অনেকেই ঋণ পরিশোধ কমিয়ে দেন। তারা ওই সুবিধা নিতে ঋণখেলাপি হন। এছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণগুলো এখন খেলাপি হয়ে গেছে। বিশেষ ছাড় দিয়ে যেসব বড় অঙ্কের ঋণ আগে পুনর্গঠন করা হয়েছিল সেগুলোর একটি অংশও এখন খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। মূলত বড় অঙ্কের ঋণগুলো খেলাপি হচ্ছে বলে সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর বাইরেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোটা অঙ্কের খেলাপি ঋণ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত মে মাসের শেষদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণখেলাপিদের ছাড় দিয়ে নীতিমালা জারি করলে পরে আদালত তা আবার স্থগিত করে দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতে যেসব দুর্নীতি হয়েছে তার একটিরও বিচার হয়নি। বরং খেলাপিদের রক্ষায় আরও নীতি সহায়তা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে খেলাপি ঋণ কমাতে যেসব নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে- সবই ভুল। এতে ভুল বার্তা (রং সিগন্যাল) দেয়া হয়েছে। যে কারণে কেউ টাকা দিচ্ছে না। ধীরে ধীরে এটি আরও খারাপ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। সুশাসনের ঘাটতি, পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগি এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় সমস্যা- এসব কারণে খেলাপি ঋণ না কমে বাড়ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো উদ্যোগ নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ঋণ পুনঃতফসিল, ঋণ পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন ও অন্যান্যভাবে প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি হবে। খেলাপি ঋণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন সময় দুর্নীতির মাধ্যমে দেয়া ঋণ এখন খেলাপি হচ্ছে। এছাড়া পুনর্গঠিত ঋণের একটি অংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। ফলে ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে সবার আগে সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন। তা না হলে এটি বন্ধ হবে না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সরকার যে প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ কমাতে চায়, তাতে কমবে না বরং আরও বাড়বে। চাপিয়ে দেয়া কোনো নীতিতে খেলাপি ঋণ কমবে না। ব্যাংকিং খাতের নিজস্ব নিয়মনীতি কঠোরভাবে পরিপালনের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, গত ৭-৮ বছর ধরে সরকারি ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতির মাধ্যমে খারাপ ঋণ দেয়া হয়েছে। এতদিন এসব ঋণকে বারবার রিনিডিউল করে গোপন রাখা হয়েছে। এখন আর পারছে না, তাই খেলাপি হিসেবে প্রকাশ করছে। শুধু সরকারি ব্যাংক নয়, বেসরকারি কিছু কিছু ব্যাংকেও একইভাবে ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। মূলত সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া এসব দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নীরব। কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং খাতকে উল্টাপাল্টা করা হয়েছে। খেলাপিদের রং সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের কঠোর হাতে দমন করতে না পারলে ব্যাংকিং খাত আরও বিপদে পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ বিতরণ ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশই খেলাপি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ শেষে সরকারি খাতের ৬টি ব্যাংকের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকাই খেলাপি। গড়ে ব্যাংকগুলোর ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ ঋণই খেলাপি হয়ে গেছে। মোট খেলাপি ঋণের প্রায় অর্ধেকই সরকারি খাতের ৬ ব্যাংকের।
বেসরকারি খাতের ৪০টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকাই খেলাপি, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ।
বিদেশি ৯টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ ঋণই খেলাপি।
(amadershomoy)

তানজিনা তানিন : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু দুয়ারে কড়া নেড়েছে। রূপসী তরু নীপবনে ফুল ফুটেছে। ছায়াবীথি তলে আষাঢ়ের সুর। বাংলার ষড়ঋতুর পরিচিতিতে বর্ষা শুরুর প্রতীকী ফুল কদম। এখন জ্যৈষ্ঠের প্রান্তসীমা। আষাঢ়ের প্রবেশ। কদমের সঙ্গে পিছু নিয়েছে বৃষ্টি। সেই আভাস দিয়েছে প্রকৃতি। মেঘ বাদলের আকাশ উঁকি দিয়েছে। এবার আষাঢ়ের উদ্বোধনী বৃষ্টি ঈদের দিন রাজধানী ঢাকা থেকেই শুরু। সে কি বৃষ্টি। মুষলধারে। এবারের বর্ষা বোধকরি রাজার ভাব নিয়েই আসছে। প্রস্তুতি শুরু করেছে কিছুটা আগেই, চৈত্রে কদম ফুটিয়ে, যা সাধারণত হয় না। গত ক’বছর বর্ষা তেমন তেজী ছিল না। টানা বৃষ্টি,ভারি বৃষ্টি ছিল। তবে গ্রাম, নদীতীর ও চরগ্রাম ভাসিয়ে দেয়নি। এবারের আষাঢ় যে কি বারতা নিয়ে আসে! জনকণ্ঠ

আবহাওয়া বিভাগের আভাস বর্ষার অনুকূলে। তারা বলছে, আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহেই (জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ) সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমিবায়ু বড় ঝাপটা দিতে পারে। বঙ্গোপসাগরে মৌসুমের একাধিক নিম্নচাপ বেশ জোরদার হওয়ার আশঙ্কা। দেশজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কা উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। সেই আভাস একটু করে কার্যকর করছে প্রকৃতি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝে মধ্যেই হচ্ছে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত। হঠাৎই বিদ্যুতের আগুনেরেখা আকাশকে ক্ষণিকের খ-িত করে তুলছে মেঘের গর্জনে।
পথচারী তাকিয়ে থাকে উর্ধপানে রূপসী তরুর দিকে। যেথায় শাখা-প্রশাখায় ফুটেছে কদম। পাতাগুলোও সজীব। বলাবলি করে, এই তো আষাঢ়। কদম তো ফুটবেই। উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়া উষ্ণ। ঝড়-বৃষ্টি আর বলে-কয়ে আসে না। হঠাৎ শুরু হয়। দিনাকয়েক আগে বগুড়ায় হঠাৎ মধ্যরাতের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলো। তারপর শুরু হলো বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাতের গগনবিদারী ভীতিকর শব্দ। এখন আকাশে কখনও তাপপ্রবাহ, কখনও কালো মেঘ। কখনও বৃষ্টি। নীপবনে ফুটছে বর্ষার ফুল কদম (কদমের আরকে নাম নীপ)। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন “এসো নীপ বনে ছায়াবীথি তলে, এসো করো স্নান নব ধারা জলে…”।
ঋতুবৈচিত্রে প্রকৃতির নিয়মে কদম ফোটে আষাঢ়ে। শীতে পাতা ঝরে। বসন্তে কচিপাতা (কিশলয়) গজায়। সেই কদম এখন ফুটেছে। বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানালেন, তার স্কুলের ভেতরের কদম গাছে মাঝে মধ্যেই কদম ফুটছে। বৃক্ষটি অনেক পুরনো। ছাল-বাকল পুরু ও ফাটল। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের এক অধ্যাপক জানান, প্রকৃতি, ভূগঠন, আবহাওয়াগত ও জলবায়ুর পরিবর্তন ও অন্য কোন কারণে বছরের যে কোন সময় কদম ফুটতে পারে।
কদমের বিজ্ঞান নাম এ্যানথোসিফালাস ইন্ডিকাস। ইংরেজী নাম লারান লিচহার্ডন্টপাইন। বাংলা নাম অনেক। যেমন নীপ, বৃত্তপুষ্প, মেঘামপ্রিয়, কর্ণপূরক, ভৃঙ্গবল্লভ, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, প্রকৃষ্য, ললনপ্রিয়, সিন্ধুপুষ্প। কদম বাংলাদেশের ফুল। তবে ভারত, চীন, মালয়ে কদম ফোটে। প্রাচীনকাল থেকেই উপমহাদেশে বর্ষার প্রতীকী ফুল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কদম সমান্তরাল বহু শাখাবিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ। পাতা বড়, ডিম্বাকৃতির। পরিণত পাতার চেয়ে কচিপাতা বড়। এর ফুল গোলাকৃতি ও এক পূর্ণ মঞ্জুরির। পুষ্পাধারে সরু বিকীর্ণ। হলুদ ও সাদার আধিক্য বেশি।
কদম ফুলের পুষ্পাধারে ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাসে হলুদের আধিক্য বেশি অংশ পেকে গেলে পাখিরা খায়। কদম বেশি প্রিয় বাদুরের। পাখি ও বাদুর ফল খেয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ছোট্ট বীজ মাটিতে ফেলে। সেখানই প্রকৃতির পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে নীপবৃক্ষ। কদমের মিষ্টি ঘ্রাণ পেলেই লেজ নাড়িয়ে নীপবনের শাখা- প্রশাখায় কাঠবেড়ালি লাফিয়ে বেড়ায়। ফুলের মঞ্জরির স্বাদ কাঠবেড়ালির প্রিয়। যেমনটি তারা পেয়ারায় পায়। পাখিকুল আর প্রাণিকুলের এমন ভোজন দেখে কদমের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা চলছে। বর্তমানে এই ফুল কৌতূহলী করে তুলেছে। প্রকৃতির সঙ্গে বৃক্ষ ও প্রাণিকুলের অসাধারণ যোগাযোগ এনে দিয়েছে এই কদম ফুল।
(amadershomoy)

খালিদ আহমেদ : সোমবার রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অ্যামন গিলমোর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাসস
আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ রোধের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার কারাদন্ড প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বিশেষ প্রতিনিধিকে বলেন, আইনের শাসনের কারণে এবং বিচারিক ও উচ্চ আদালত কর্তৃক সাজা দেওয়ার কারণেই তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে আছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, এতিমের টাকা চুরির অভিযোগে এবং আদালতের কাছে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণেই খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে আছেন। সেখানে তাকে ছাড়ার বা না ছাড়ার ব্যাপারে সরকারের কোন ভূমিকা নেই।
আনিসুল হক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তার নিকট এ মামলার হালনাগাত অগ্রগতি তুলে ধরে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। এছাড়া এ মামলা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত শেষ করার সরকারের ইচ্ছার কথাও তাকে জানানো হয়।
বৈঠকে বেপজা আইন, শিশু অধিকারআইন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও বিচার বহির্ভুত হত্যা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান আইনমন্ত্রী।
(amadershomoy)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget