Latest Post

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা মিশু সাব্বির। কমেডি ও রোমান্টিক ধাঁচের নাটক-টেলিছবিতে দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি প্রাণ মাঠার একটি বিজ্ঞাপন পিয়া বিপাশার বিপরীতে দেখা গেছে মিশুকে।
বিজ্ঞাপনটির জন্য প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। সেই সুবাদে রয়েছেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। 
ক্যারিয়ারের এই সুসময়ে তিনি বসে গেলেন বিয়ের পিঁড়িতে। পাত্রী নিশাত প্রিয়ম।


আসছে ঈদ উপলক্ষে বিটিভির জন্য নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বিয়ে বিষয়ক জটিলতা’। সেখানেই প্রিয়মকে বিয়ে করবেন মিশু। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শাখার প্রধান সাদিকুল ইসলাম নিয়োগী পন্নীর প্রযোজনায় নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন কচি খন্দকারসহ অনেকেই।
ইশতিয়াক আহমেদের গল্প ও নির্দেশনায় ‘বিয়ে বিষয়ক জটিলতা’ নাটকটি নিয়ে সাদিকুল ইসলাম নিয়োগী পন্নী বলেন, সামাজিক কুসংস্কারের প্রভাব এবং বাস্তবতা এই গল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যার গল্পে দেখা যাবে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এক ছেলেকে জ্যোতিষী পরামর্শ দিবে চব্বিশ বছরের সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করতে।
ছেলে তেমন মেয়ের সন্ধান পায় না। এদিকে পরিবারের চাপে ওই ছেলে শর্ত সাপেক্ষে বিয়ে করে। বাসর রাতেই সে তার বউকে জানায় চব্বিশ বছরের সুন্দরী মেয়ে পেলে আবার বিয়ে করবে। এভাবে নানা জটিলতায় সংসার চলতে থাকে। একসময় সে সুন্দরী মেয়ের সন্ধান পায়।
কিন্তু ততদিনে সে তার বউয়ের প্রেমে পড়ে যায়। যে কারণে আর নতুন করে বিয়ে করা হয় না। কুসংস্কারের বিষয়টি সে বুঝতে পেরে জ্যোতিষীকে শাসিয়ে আসে।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নাটকটি ঈদের দিন রাত ৯টা ৫ মিনিটে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রচারতি হবে।
(jagonews24)

ঈদ বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন। ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আয়োজন করে টিভি দেখতে বসা এই দেশের বিনোদনের একটা চিরচেনা সংস্কৃতি। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সাজায় ভিন্ন স্বাদের নানা ঈদ অনুষ্ঠানের পসরা। কিন্তু ঈদ আয়োজনে নানা বর্ণিল অনুষ্ঠান সাজিয়েও বিভিন্ন কারণে দর্শক ও জনপ্রিয়তা ঠিক তেমনভাবে পাচ্ছে না টেলিভিশন চ্যানেলগুলো।

বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনা, বাজেট সংক্রান্ত জটিলতা, অনুষ্ঠান ও নাটক-টেলিছবির মানহীনতায় বিরক্ত দর্শক। তারা তাই ঝুঁকছেন ইউটিউবে। সেখানেই খুঁজে নিচ্ছেন আলোচিত বিনোদন। দেখছেন প্রিয় তারকার প্রিয় নাটক ও অনুষ্ঠান।
গেল কয়েক বছরে দেখা গেছে টিভির চেয়ে ইউটিউবেই বেশি জমে উঠছে ঈদ। সেখানেই নাটক-টেলিছবির দর্শক সাড়া বেশি। বিভিন্ন এজেন্সিগুলো ইউটিউবে মনযোগী হচ্ছে। অনেক নির্মাতা ও প্রযোজক ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলছেন ইউটিউব চ্যানেল।
জি-সিরিজ, সিএমভি, ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের মতো গান থেকে মিউজিক ভিডিও প্রযোজনায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলোও ঈদ উপলক্ষে তাদের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণে মজেছে।
ইউটিউব চ্যানেলের এই রাজত্ব দেখে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও ইউটিউবকে প্রাধান্য দিচ্ছে। প্রায় প্রতিটি চ্যানেলেরই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। টিভিতে প্রচারের পর সেগুলোতে আপলোড হচ্ছে নাটক-টেলিছবি বা অনুষ্ঠান।
গেল বছরগুলোর সাফল্যের উৎসাহে আসছে ঈদ উপলক্ষেও ইউটিউবকে ঘিরে ঈদের বিনোদন আয়োজন করা হয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন এজেন্সি, সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, নির্মাতা-প্রযোজকরা তাদের চ্যানেলের জন্য শ-খানেক নাটক নির্মাণ করেছেন। বলা চলে টেলিভিশনের তুলনায় এবার ইউটিউবের দখলে থাকবে নাটক।
অনেকে ওয়েব সিরিজও নির্মাণ করছেন সিনেমার আদলে। সেখানে যেমন রয়েছে বাজেটের চমক তেমনি আছে তারকাদের উপস্থিতিও।
অনুসন্ধান করে দেখা গেল নানা কারণেই নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের কাছে টিভির চেয়ে বর্তমানে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ ইউটিউবের নির্মাণের জন্য পরিমাণ মতো বাজেট মিলছে সহজেই। টিভি চ্যানেলের মালিকরা নাটক নির্মাণের চাহিদা অনুযায়ী বাজেট দিতে চান না। সেক্ষেত্রে ইউটিউবের জন্য নির্মাতাদের মোটা অংকের বাজেটে দিচ্ছেন প্রযোজকরা।
অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীও নাটক-টেলিছবির প্রযোজনায় যুক্ত হচ্ছেন গোপনে। তারা প্রিয় নির্মাতাদেরকে দিয়ে ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে তা বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে নির্মাতারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পান। পাশাপাশি নাটক বিক্রি করার জন্য এর ওর অফিসে ধর্নাও দিতে হয় না তাদের। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজের প্রমো দেখেই ইউটিউব চ্যানেলের মালিকরা সেগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত আসছে ঈদে ইউটিউবে প্রচার হওয়ার তালিকায় আছে অপূর্ব, তানজিন তিশা, সজল, মম, আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, আ খ ম হাসান, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, তিশাসহ দেশের জনপ্রিয় তারকাদের অনেক নাটক-টেলিছবি ও ওয়েব সিরিজ।
তবে এবারের ঈদে ইউটিউব নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এই প্রথমবার জনপ্রিয় এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কোনো নতুন চলচ্চিত্র। আসছে ঈদ উপলক্ষে ইউটিউবে মুক্তি পাবে চিত্রনায়িকা পপির ‘দি ডিরেক্টর’। যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন মারজুক রাসেলকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান কামু।
দিনে দিনে টিভির দর্শক এখন ইউটিউবনির্ভর! টিভির মানুষগুলোও ইউটিউবনির্ভর হয়ে উঠেছেন। এভাবে চলতে থাকলে দেশে টিভি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থান নিয়ে হতাশার সুরই বেজে উঠবে। তবে জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী রাকায়েত মনে করেন, ‘ইউটিউব টিভির চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হতেই পারে। কিন্তু টিভির যে একটা পারিবারিক আমেজ, বন্ধনের আবহ সেটা ইউটিউব দিতে পারবে না। টিভি চ্যানেলগুলো একটু সচেতন হলে, ভালো কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারলে দৃশ্যপট বদলাবে।’
(jagonews24)

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু নতুন মুখ ঠাঁই পাচ্ছেন। দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভূমিধস জয়ের পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, তার একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই তালিকায় কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি।


দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলছে, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় যারা জায়গা পাবেন; ইতোমধ্যে দলের সভাপতি অমিত শাহ তাদের টেলিফোন করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি দলীয় বেশকিছু নেতাকে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দফায় দফায় একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তবে নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পেতে পারেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় শপথ অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি ভবন। অনুষ্ঠানে প্রায় আট হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন। শপথে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান সরকারের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে কংগ্রেস দলীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তার মা সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকবেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
(jagonews24)

এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাত দফার ম্যারাথন নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাইসিনা হিলসে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন তিনি।

বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মোদির শপথের পর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহসহ অন্য মন্ত্রীরা শপথ নেন।
কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাইসিনা হিলসে চলছে বিপুল আয়োজন। ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত এই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান হতো রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগের বার মোদির শপথের সময়ই রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারও সেখানেই হচ্ছে শপথের অনুষ্ঠান।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শিল্পপতি, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মিলিয়ে এবার অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র তারকা, ব্যবসায়ী ও অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
(jagonews24)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় এ সদস্যপদ দেয়া হয়। সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে এ পদ দেয়া হয়। কিন্তু এতে অসম্মতি দিয়েছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।


ডাকসুর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে।’
সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডাকসুর বার্ষিক বাজেট সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। পরবর্তীতে নির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বস্ত করেন ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন-সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সভায় উপস্থাপন করা হয়। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
(jagonews24)

২৩ মে, বিবিসি : ব্রিটেনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার জিতেছেন এক আরব লেখিকা। চলতি বছরের ম্যানবুকার পুরস্কার জয়ী এই ওমানি লেখিকার নাম জোখা আলহারথি। তিনিই প্রথম কোনো আরব লেখিকা, যিনি এ পুরস্কার পেলেন।
‘সেলেস্টিয়াল বডিস’ নামের উপন্যাসের জন্য তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। ওমানে সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে চেষ্টা করছেন -এমন তিন বোন এবং তাদের পরিবারকে নিয়ে উপন্যাসের কাহিনী। বিচারকরা লেখিকার ঐশ্বর্যময় কল্পনাশক্তি, লেখার চিত্তাকর্ষক শৈলি এবং কাব্যিক অন্তর্দৃষ্টির প্রশংসা করেছেন।



জোখা আলহারথি সাংবাদিকদের জানান, তিনি রোমাঞ্চিত বোধ করছেন এই ভেবে যে, সমৃদ্ধ আরব সংস্কৃতির জন্য একটি জানালা খুলে গেল। এই লেখার অনুপ্রেরণা এসেছে তার নিজের দেশ ওমান থেকে। কিন্তু তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক পাঠকরাও এই গল্পের যেটি মূল বিষয় -স্বাধীনতা এবং ভালোবাসার মতো মূল্যবোধের সঙ্গে নিজেদের জীবনের মিল দেখতে পাবেন। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে স্যান্ডস্টোন প্রেস। নতুন এই প্রকাশনা সংস্থা মাত্র চারজন কর্মী নিয়ে বছরে ২০ হতে ২৫টি বই প্রকাশ করে। ম্যানবুকার পুরস্কার তাদের প্রকাশনা সংস্থার জন্যও এক বিরাট সাফল্য।
‘সেলেস্টিয়াল বডিজ’ উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে আল-আওয়াফি গ্রামকে ঘিরে। একটি সনাতনী সমাজ থেকে ঔপনিবেশ উত্তর যুগে যে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে ওমান যাচ্ছিল, তিন বোনের মাধ্যমে সেই পরিবর্তন দেখাতে চেয়েছেন লেখিকা। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ওমানিরা কীভাবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।
আলহারথি বলেন, ‘এতে দাসপ্রথার বিষয়টি নিয়েও কথা রয়েছে। আমার মনে হয় এই আলোচনার সবচেয়ে উত্তম জায়গা হচ্ছে সাহিত্য।’ ওমানের কোনো উপন্যাস এটিই প্রথম যা ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছে। ৫০ হাজার পাউন্ডের পুরস্কারের অর্থ জোখা আলহারথি এবং তার উপন্যাসের মার্কিন অনুবাদক মারিলিন বুথের মধ্যে ভাগাভাগি হবে।
লেখিকা জোখা আলহারথি যুক্তরাজ্যের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে তার আরও কিছু বই বের হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে দুটি ছোটগল্প সংকলন, একটি শিশুতোষ বই এবং তিনটি উপন্যাস রয়েছে।

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে বড় জয় পাওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিনন্দন জানান ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা পিটিআই এই তথ্য জানায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘বিশাল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপিকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতের যৌথ অংশিদারিত্ব ইস্যুতে যেসব বিষয় এখনো জমা আছে, ফের ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে মোদি হবেন তার কর্ণধার।’


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তার টুইট বার্তায়। 
উল্লেখ্য, সাত দফায় অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ১৯ মে। লোকসভার ৫৪৫টি আসনের মধ্যে এবার ৫৪২টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার দেশটির সাত দফার নির্বাচনের ফলাফলে মোদির দল বিজেপি একাই তিন শতাধিক আসনে বিজয়ী হয়েছে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন মাত্র ২৭২টি আসন। 

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: মহানগরীর কোতোয়ালি থানার কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন জানান, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।


তিনি বলেন, কাজীর দেউড়ির সার্কিট হাউজ ও শিশুপার্কের আশপাশ থেকে ৫৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ, ৩২ জন শিশু ও ১৪ জন নারী রয়েছেন।
তাদের কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি মহসীন।
প্রসঙ্গত, কাজীর দেউড়ি, আউটার স্টেডিয়াম ও আশপাশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিচরণ বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসে যাকাতের উদ্দেশ্যে তারা চট্টগ্রামে ভিড় করছেন।-ইউএনবি

(dailysangram)

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ বলেছেন, জ্ঞানচর্চা নেতৃত্বকে আদর্শিক ও দৃঢ় করে গড়ে তুলে। অযোগ্য নেতৃত্ব জাতিকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে সক্ষম নয়। আদর্শিক ও সাহসী নেতৃত্ব গঠনে সাহিত্য চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে যেমনি মূল্যবোধ এবং  নৈতিকতার প্রসার ঘটে, তেমনি কাক্সিক্ষত নেতৃত্ব গঠনেও অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন রচিত ‘সমকালীন চ্যালেঞ্জ নেতা ও নেতৃত্ব’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, আবদুল জব্বার, ইয়াছিন আরাফাতসহ সাবেক ও বর্তমান সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ। 


উন্মোচন অনুষ্ঠানে মকবুল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের যুব-সমাজের একটি বিশাল অংশ আজও বিপদগামী। দেশের তরুণ সমাজের অবক্ষয়ের কারণে নিজেদেরকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারের পথে, আসক্ত হচ্ছে মাদকে। ছিনতাই, অপহরণ, গুম, খুন, হানাহানি, নষ্ট রাজনীতি আর সন্ত্রাসে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে যাচ্ছে। উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে গলা টিপে হত্যা করে মূল্যবোধ আর  নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে সব বয়সী মানুষ আজ চলেছে ধ্বংসের পথে। যে ছেলেটির হওয়ার কথা শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী বা প্রশাসক সে আজ হয়ে যাচ্ছে চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সন্ত্রাসী। একইসাথে এদের মধ্যে থেকেই তৈরী হচ্ছে অনাকাক্সিক্ষত নেতৃত্ব। ফলে যারা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তারা আজ অন্যায় করে ব্যাহত করছে দেশের অগ্রযাত্রাকে। জাতির সার্বিক দূর্ভাগ্যের মূল কারণ অনাকাক্সিক্ষত নেতৃত্ব। এ শুন্যতা পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আর কাক্সিক্ষত নেতৃত্ব গঠনে জ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নেই। আদর্শিক ও সাহসী নেতৃত্ব গঠনে সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
তিনি বলেন, সফলতা অর্জন তরুণ প্রজন্মের আকাক্সিক্ষত বিষয়। আর কাক্সিক্ষত তরুণ প্রজন্ম গঠনে চাই প্রত্যাশিত নেতৃত্ব যারা যোগ্যতার সাথে সমকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। এ বইটিতে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জাতির প্রত্যাশিত নেতৃত্ব গঠনে এ বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বইটি তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার খোরাক হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। আমরা আশা করি, তরুণ প্রজন্ম বইটি অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বইটির সাফল্য কামনা করছি। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।
(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:খবরের শিরোনামে আবার মোদির গুজরাট। না এবার রাজনৈতিক কোনো কারনে নয়। শিক্ষার বেহাল দশার কারনে। গুজরাটকে মোদির মডেল রাজ‍্য বানানোর স্বপ্ন মাটিতে পড়ে লুটোপুটি খাচ্ছে। গুজরাটে মাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে যা ঘটেছে দেশের কোনো রাজ‍্যের কখনো এমন ঘটেনি। বলা যেতে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে গুজরাটের এটা শতাব্দীর সেরা ব‍্যর্থতা।মঙ্গলবার গুজরাটের মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক বোর্ডের তরফে প্রকাশ করা হয় দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল। যাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের ৬৩টি এমন স্কুল আছে, যাতে একজন পরীক্ষার্থীও পার করতে পারেনি মাধ্যমিকের গণ্ডি।


 শুধু তাই নয় গত বারের তুলনায় এবার কমছে পরীক্ষায় পাশের হার। চলতি বছরের মার্চ মাসে হয় গুজরাটের দশম শ্রেণির পরীক্ষা। যাতে মোট পাশের হার ৬৬.৯৭ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৬৭.৫ শতাংশ।বোর্ডের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মোট ৮ লক্ষ ২২ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ছিল। যার মধ্যে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৩ জন মাত্র পাশ করেছে। মাত্র ৩৬৬টি বিদ্যালয় এমন আছে যাদের সকল পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। যদিও ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এবার অনেকটাই এগিয়ে গুজরাটে। ৭২.৬৪ শতাংশ মেয়ে পরীক্ষার্থী পাশ করেছে মোদী রাজ্যে মাধ্যমিকে।পাশাপাশি হিন্দি ও গুজরাটি মাধ্যমের স্কুল গুলির তুলনায় ইংরিজি মাধ্যমের স্কুল গুলিত পাশের নিরীখে ভালো ফল করেছে গুজরাটে। মোট ৮৮.১১ শতাংশ ইংরিজি মাধ্যম স্কুলের পরীক্ষার্থীরা পাশ করেছে গুজরাট বোর্ডের পরীক্ষায়। যেখানে হিন্দি মাধ্যেমে ৭২.৬৬ শতাংশ ও গুজরাটি মাধ্যমে সবচেয়ে কম ৬৪.৫৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। জেলার নিরীখে যেমন শীর্ষ রয়েছে দক্ষিণ গুজরাটের সুরাট, তেমনই তালিকার শেষে রয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা ছোটা উদয়পুর।

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: ঘুরে দাঁড়ানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ। নজিরবিহীন বাম বিপর্যয় বাংলায়।একমাত্র যাদবপুর বাদে বাকি সব কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্ত সিপিএম সহ বাম প্রার্থীদের। জেতা দূর অস্ত! একটি আসনেও বামেরা ২ নম্বরে উঠে আসতে পারেনি। একমাত্র মালদা দক্ষিণ আসন ছেড়ে রেখে বাকি ৪১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত যা ট্রেন্ড ছিল, তাতে সব কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পথে বামেদের।


নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগ ভোট পেলে জামানত রক্ষা হয়। যা শতাংশের হিসেবে ১৬ শতাংশের সামান্য বেশি। যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন পেয়েছেন ২০.৯৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ তাঁর জামানত রক্ষা পেল। বাকি কেন্দ্রে জামানত রক্ষা করতে পারেনি বামেরা। মহম্মদ সেলিম এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রায়গঞ্জ থেকে। গতকাল বিকেল ৫ টা পর্যন্ত তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৩.৭৭ শতাংশ। ১০১৪ সালে বামেরা জিতেছিল মুর্শিদাবাদ আসনটি। এবার সেখানে প্রার্থী হয়েছিলেন বদুদ্দোজা খান। তিনি পেয়েছেন ১২.৭৫ শতাংশ ভোট। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে নন্দিনী মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ১১.৩৮ শতাংশ ভোট। দমদম কেন্দ্রের সিপিএমের নেপালদেব ভট্টাচার্য পেয়েছেন ১৩.৭৭ শতাংশ ভোট। বারাকপুর কেন্দ্রের গার্গী চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ১১.৭৬ শতাংশ। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ফুয়াদ হালিম। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬.৪৩ শতাংশ। একদা বাম দূর্গ বলে পরিচিত জলপাইগুড়িতে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ৪.৭৬ শতাংশ ভোট। বোলপুরে রামচন্দ্র ডোম পেয়েছেন ১০ শতাংশ ভোট।
স্বাভাবিকভাবে এই বেনজির ফলে বামেদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ঘনিয়ে আসতে পারে। এত তাদের ঘুরে দাঁড়ানো যে আরও অসম্ভব হয়ে উঠল, তা বলাই যায়।

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে সরকার ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে। চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে সে দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
এসময় তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি ও নিঃশর্ত মুক্তি চান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে যেসব জাতীয় নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ শিকার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই তিনি রাজনীতি ও ক্ষমতায় এসেছেন।


শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার জমিরউদ্দীন সরকার,আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার ডায়বেটিস কন্ট্রোলে নেই, এমনকি ইনসুলিন নেয়ার পরও তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তিনি বলেন, চিকিৎসা না হলে পরিস্থিতি যা হওয়ার কথা ছিলো তাই হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী এতদিন বাম হাত নাড়াতে পারতো না, এখন ডান হাতও নাড়াতে পারছে না। সাহায্য ছাড়া তিনি বেড থেকে উঠতে পারছে না। তার মাশেল পেশীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে সে মামলায় তিনি জামিন পেতে পারেন। কিন্তু সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

(dailysangram)

 কাজ করছেন কৃষক কুমার দুধবংশী। ছবি: বাংলানিউজ
মৌলভীবাজার: এক সময় খাইছড়া চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন তিনি। কৃষিতে এসে স্বপ্ন আর সম্ভবনার সুফলটুকু নিজ চোখে দেখে কৃষিকেই বেছেনিয়েছেন তিনি। ছেড়েছেন চা বাগানের শ্রমিকের কাজ। তারপর পেছনে ফিরে আর তাকাতে হয়নি তাকে।  
খাইছড়া এলাকার একজন সফল কৃষক তিনি। তার এই সফল কাজে দারুণভাবে উৎসাহিত হয়ে তার তত্ত্বাবধানেই প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন পুরুষ ও নারী শ্রমিক কৃষিতে যোগদান করেছিলেন। এখনও তার এই কৃষিকাজের সফলতা দেখে অনেকে নিজ আগ্রহে কৃষিতে এগিয়ে আসতে চাইছেন।



শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষি কার্যালয়ের সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবেও রয়েছে কুমার দুধবংশীর নাম।
রোববার (১৯ মে) সকালে খাইছড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, কুমার দুধবংশী নিজের ঝিঙ্গাক্ষেতে কাজ করেছেন। শেড পদ্ধিতে শুধু ঝিঙ্গা নয়, অনেক সবজি রয়েছে তার এই ক্ষেতজুড়ে। তারতাজা লম্বা লম্বা ঝিঙ্গাগুলো গাছের ডালে ঝুলে আপন স্বার্থকতার জানান দিচ্ছে। 
এক প্রশ্নের জবাবে কুমার দুধবংশী বাংলানিউজকে বলেন, আট থেকে দশ আগে কৃষিবিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছু সবজি লাগিয়েছিলাম। খুব ভালো হয়েছিলো সেই ফসলগুলো। নিজ হাতে লাগানো সেই ফলসগুলো দেখে দারুণভাবে উৎসাহ লাভ করি। এখন তো পুরোপুরিভাবে কৃষি কাজ করছি। আমার এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ জন কৃষক আছেন, তাদের দলপ্রধান আমি।
 
জায়গার পরিমাণ এবং শ্রমিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মোট জমির পরিমাণ এক কিয়ার (৩০ শতাংশ)। আমার সবজি বাগানে দুইজন শ্রমিক আছেন, তাদের দৈনিক মজুর ২০০ টাকা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তারা কাজ করেন। এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে ঝিঙ্গা, করলা, ঢেড়স, শশা প্রভৃতি। শীতকালে ফলাই আলু, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি লাউ প্রভৃতি।
 সবজিক্ষেতে সার প্রয়োগ প্রসঙ্গে কুমার দুধবংশী বাংলানিউজকে বলেন, আমার প্রতিটি সবজিই বিষমুক্ত। আগে গোবর সার, এমওপি, ইউরিয়া এবং টিএসপি সারগুলো ব্যবহার করতাম। এখন আমাকে কৃষি কার্যালয় থেকে কেঁচো হতে উৎপন্ন জৈব সার দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব এবং মাটি ও কৃষির জন্য দারুণ উপকারী। এই জৈব সার দিলে অন্যকোনো সারের আর প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়াও ‘সেক্স ফেরোমেন’ (কৃত্রিম ফাঁদ) দিয়ে ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড়গুলোকে দমন করা হচ্ছে।
 
উৎপাদিত সফলের বিক্রয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঝিঙ্গাগুলো চৈত্র মাসে লাগানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭/১৮ হাজার টাকা ঝিঙ্গা বিক্রি করেছি। পুরো জৈষ্ঠ্য মাস ধরে এই ঝিঙ্গাগুলো বিক্রয় হলে মোট বিক্রি ২৪ থেকে ২৫ হাজারে গিয়ে দাঁড়াবে। এই সবজি ক্ষেতের ঝিঙ্গাচাষে মাত্র ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা বাংলানিউজকে বলেন, কুমার দুধবংশী আমাদের উপজেলার একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। অনেক পরিশ্রম করতে পারেন তিনি। তার দেখাদেখি এলাকায় অনেক লোক কৃষিতে এসেছেন এবং আমাদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সফলভাবে কৃষিজাত নানান পণ্য চাষাবাদ করছেন।
 
এক সময় কুমার দুধবংশী চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন। আমাদের পরামর্শ মতো কৃষিজাত নানান ফসল উৎপাদন এবং বাজারজাত করে পাল্টে ফেলেছেন নিজের ভাগ্য। এখন পুরোপুরিভাবে কৃষিতে নিয়জিত আছেন তিনি বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
(banglanews24)

ছাত্রলীগ
ঢাবি:
 কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ ও হামলার ঘটনায় বিচার চেয়ে আন্দোলনরত ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন
রোববার (১৯ মে) দিনগত রাতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)  রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।


বিগত কমিটির পরিকল্পনা ও কর্মসূচি সম্পাদক রাকিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের মূল্যায়ন ও মধুর ক্যান্টিনে হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার করার আশ্বাস পেয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।’
এর আগে আন্দোলনরতদের একটি অংশসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন দলের নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউছার এবং ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।


সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এসব রোহিঙ্গা। ছবি: বাংলানিউজ
কক্সবাজার:
 দালালচক্রের বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৩-২০১৪ সালে কয়েক হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সাগরে ডুবে মারা যায়। সেই যাত্রায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার যুবক। 
কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও অভিযানের কারণে সে সময় মানবপাচার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারী চক্র। এবার তাদের টার্গেট প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। 
উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে কৌশলে পালিয়ে দালালের হাত ধরে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠা করছেন। এভাবে সর্বশেষ গত শনিবার (১৮ মে) রাতে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন ৮৭ জন রোহিঙ্গা। আর সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রার সময় গত ৬ মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে উদ্ধার হয়েছেন পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু।
জানা গেছে, গত বছরের ৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ফের মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া যায়। ওইদিন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের উপকূল থেকে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠার সময় ১৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে বিজিবি। দালাল চক্র মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে দু’দিন ধরে সাগরে এদিক-ওদিক ঘোরানোর পর ‘থাইল্যান্ডের তীরে পৌঁছেছি’ বলে টেকনাফের সৈকতে তাদের নামিয়ে দেয়। পরে বিজিবি তাদের উদ্ধার করে। 

পরদিন ৭ নভেম্বর একইভাবে আরো ৩৩ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার  করে কোস্টগার্ড। এসময় ছয় দালালকেও আটক করা হয়। তারা আবার স্থানীয়।

আইন-শৃখলা বাহিনীর দেওয়া তথ্য মতে, সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্ঠার সময় গত ৬ নভেম্বর থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ২০ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৮১ জন রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুরিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায় কক্সবাজারে মানবপাচারের ঘটনা বেশি। এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সম্প্রতি আবারও মানবপাচারের ঘটনা বেড়ে গেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকায় ধরাও পড়ছে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মানবপাচারের ঘটনায় ৪৩৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও প্রতি মাসেই মানবপাচারের মামলা হচ্ছে। বিভিন্ন ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ মানবপাচারকারীদের একটি তালিকাও তৈরি করেছে। বর্তমানে নতুন করে আরো একটি তালিকার কাজ চলমান রয়েছে। পুরনো এবং নতুন তালিকা ধরে অভিযান আবার জোরদার করা হবে। 
জানা গেছে, প্রথমদিকে টেকনাফ-মিয়ানমার আন্তঃসীমান্তে মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় থাকলেও পরে কক্সবাজার জেলা পেরিয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকার শহরতলী হয়ে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত নেটওয়ার্ক বিস্তার করে। এই নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দেয় মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে এসে বসতি গড়া রোহিঙ্গারা। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ মানবপাচারে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি এই নেটওয়ার্কটি বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে। এই নেটওয়ার্কের সদস্যরা অপহরণের পর বিদেশে পাচার করে মুক্তিপণ আদায়, থাইল্যান্ডে দাস শ্রমিক হিসেবে বিক্রি, এমনকি খুনও করে থাকে। এই চক্রের খপ্পরে পড়ে শত শত যুবক নিখোঁজ হয়ে গেছে। বিভিন্ন গ্রামে চলছে এখনও কান্নার রোল। 
জীবন বদলে দেওয়ার স্বপ্নে দালালের মাধ্যমে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে থাইল্যান্ডে দাসখানায় মারা যায় কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার শুক্কুর আহমদ ড্রাইভারের ২৩ বছর বয়সী ছেলে পুতিয়া। তারই মতো মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে একই ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকার শাহ আলমের মেয়ে জামাই আবুল হাশেমসহ খুটাখালী গ্রামের মাত্র একটি ওয়ার্ডের (৬ নং ওয়ার্ড) ১৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। খোঁজ মেলেনি হাশেম ড্রাইভারের ছেলে হামিদুল হকের, ইসলাম নুরের ছেলে রবিউল হাসানের, সুলতানের ছেলে জিয়াউর রহমানের, মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মনুর আলমের, বদরার ছেলে আনোয়ারের, লোকমান হাকিমের ছেলে মিজানের, অহিদুল আলম ধেছুর ছেলে ইউনুছের, সোলেমানের ছেলে কালুর, ইউসুফ আলী ছেলে আনোয়ারের, সুলতানের ছেলে নুর মোস্তফার, অলি আহমদের ছেলে কাদুরার, বাদশা মিয়ার ছেলে ফারুকের এবং আয়ূব আলীর ছেলে জসিমউদ্দিনের। এদেরই মতো কক্সবাজারের রামুর রাজারকুল, দারিয়ার দিঘী, খুনিয়াপালংসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মালয়েশিয়াগামী যুবকের কোনো খোঁজ নেই দীর্ঘদিনেও। এসব ঘটনায় আসলে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যানও সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে নেই।
ওই সময় মালয়েশিয়াগামী অনেক মানুষ অনাহার-অর্ধাহারে মারা যায়। অনেকেই সমুদ্রে দালালচক্রের গুলিতে মারা যায়। 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত রোহিঙ্গা দালালেরাই সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের এ রুটটি আবিষ্কার করে। অসচ্ছল ও বেকার যুবকদের জীবন বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে নগদ ১০ থেকে ২০ হাজার ও  দেড়-দুই লাখ টাকা বাকিতে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার শর্তে সহজেই ফাঁদে ফেলছে; বিশেষ করে যুবকদের। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিভিন্ন সমুদ্র উপকূল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে ছোট নৌকাযোগে উপকূল থেকে সমুদ্রে বড় জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। সেই জাহাজ ১০ দিন পর থাইল্যান্ড পৌঁছে দেয়। থাইল্যান্ডে অবস্থানের সময় ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করা হয়। মুক্তিপণ পেলে মালয়েশিয়ার জঙ্গলে বিভিন্ন খামারে শ্রমিক হিসাবে পাঠানো হয়। কারো মুক্তিপণ পাওয়া না গেলে তাদেরকে থাইল্যান্ডে দাস শ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অথবা দিনের পর দির সেখানে নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি নির্যাতনে মারাও গেছেন অনেকেই। কিন্তু স্থানীয়রা আগের সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে না পারলেও এখন রোহিঙ্গারা সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে মানবপাচারকারীদের। মিয়ানমারে জোর করে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, সেখানে গেলে মগেরা কেটে ফেলবে, বিশেষ করে নারীরা মালয়েশিয়া গেলে ভালো বরের সঙ্গে বিয়ে হবে, যুবকদের ভালো চাকরি হবে এমন বিভিন্ন ভয় ও প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে মানবপাচারকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের এক মাঝি (নেতা) বাংলানিউজকে জানান, যাদের আত্মীয়-স্বজন মালয়েশিয়ায় বসবাস করছে, এ ধরনের রোহিঙ্গারাই মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। তারা হুন্ডির মাধ্যমে দালালদের কাছে টাকা পাঠায়। আবার যাদের আত্মীয়-স্বজন সেখানে নেই তারাও উন্নত জীবনের আশায়, অবিবাহিত নারীরা বিয়ের প্রলোভনে মালয়েশিয়া চলে যেতে চায়। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করে টাকা জমিয়ে দালালদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক চেকপোস্ট থাকলেও দালালের হাত ধরে রাতের আঁধারে পাহাড়ি পথে রোহিঙ্গারা বাইরে পাচারের শিকার হচ্ছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে আসা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকগুলো চেকপোস্ট থাকলেও ক্যাম্পগুলো পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পাহাড়ি পথ মাড়িয়ে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ক্যাম্প এলাকাটি কাঁটাতারের বেড়া বা সীমানা প্রাচীর দেওয়ার প্রস্তাবের কথা ভাবছে পুলিশ।
ক্যাম্প এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল আরো জোরদারের বিষয়টি নিয়েও ভাবছে পুলিশ।
( banglanews24)

এক নম্বর আমেরিকান প্রযুক্তির WHIRLPOOL ইনভার্টার এসি (এয়ার কন্ডিশনার) এখন বাংলাদেশে।
ঋতুর পরম্পরায় যখন বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্ম এসেছে, তখন সূর্যও তার তীব্রতা ছড়ানো শুরু করেছে অনেক বেশি। তাই সারা দিনের ক্লান্তির পর বাসায় এসে একটু শীতল বাতাস পেলে ক্লান্তিটা যেন নিমেষেই দূর হয়ে যায়। কিন্তু এসি তো আর হুট করে কিনে ফেলা যায় না। আবার একটি এসি কিনে ফেললে তা সহজে চেঞ্জও করা যায় না।

তাই এসি  কেনার আগে সব সময় এমন এসি কেনা উচিত, যা হবে দীর্ঘস্থায়ী। কুলিং হবে দ্রুত ও আরামদায়ক। যেখানে থাকবে আধুনিক সব প্রযুক্তির সমাহার। তেমনই একটি এসি আপনি ট্রান্সকম ডিজিটালে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। যা হলো এক নম্বর আমেরিকান প্রযুক্তির Whirlpool ইনভার্টার এসি। 
গরমের সময় এসির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেলেও মাঝেমধ্যে এসি নিয়ে আমরা কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হই। যেমন এসি অন করলে ঠান্ডা বেশি লাগে। আবার অফ করলে গরম লাগে। আবার অনেকের, বিশেষত শিশুদের এসির থেকে অ্যালার্জিজনিত ঠান্ডা লেগে যায়।
কিন্তু এখন আর এসির ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে চিন্তা নেই। কারণ, Whirlphool-এর এই এসিটিতে আছে অত্যাধুনিক আমেরিকান প্রযুক্তির সিক্সথ সেন্স টেকনোলজি, যা আপনাকে দেবে সহনীয় তাপমাত্রা। এর ফুল এইচডি ফিল্টার নিশ্চিত করে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ বাতাস, যা আপনার পরিবারকে দেবে অ্যালার্জি বা সর্দির হাত থেকে সুরক্ষা।
এতে আরও ১০০ শতাংশ কপার কনডেনসার থাকায় এসি  হবে দীর্ঘস্থায়ী। ঠান্ডা করবে আরও বেশি। এই এসি যে শুধু ঠান্ডাই করতে পারে, তা নয়, শীতের সময়ও এই এসি কাজে লাগবে। কারণ, Whirlpool এসি  ঘরকে ঠান্ডাও করতে পারে, আবার গরমও করতে পারে।
তাই বাসায় নতুন এসি কিনতে হলে আজই চলে আসুন ট্রান্সকম ডিজিটালে। অথবা ভিজিট করুন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: https://transcomdigital.com/ । কিনে ফেলুন এক নম্বর আমেরিকান অরিজিনাল এসি। এ ছাড়া এখন আপনার বাসায় পুরোনো এসি থাকলে আপনি হ্যাসল ফ্রি এসি এক্সচেঞ্জ অফারের মাধ্যমে পুরোনো এসিটি এক্সচেঞ্জ করে নিয়ে নিতে পারেন অরিজিনাল Whirlpool এসি ট্রান্সকম ডিজিটাল থেকে।
(prothomalo)

এ ম্যাচ থেকে কারও কিছু পাওয়ার ছিল না। বার্সেলোনা লিগ জিতে গিয়েছে বেশ আগেই। আর দ্বাদশ স্থানে থাকা এইবার এ ম্যাচ জিতলেও লিগে একাদশ স্থানে আসতে পারত না। হারলেও নিচে নামার ভয় ছিল না। শুধু কোপা দেল রে ফাইনালের আগে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে ম্যাচটিকে নিয়েছিল বার্সেলোনা। জোড়া গোল করে লিওনেল মেসি জানিয়ে দিয়েছেন ফাইনালের জন্য প্রস্তুত বার্সা অধিনায়ক।
বার্সেলোনার জন্য চিন্তার বিষয় হলো মেসি প্রস্তুত হলেও দলের প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি। নিজেদের মাঠে এইবার প্রায় পূর্ণ শক্তির বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছে। এক মিনিটের মধ্যে মেসির জোড়া গোল আগে ও পরে শোধ করে দিয়েছে এইবার।
গুরুত্বহীন এই ম্যাচে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ আরনেস্তো ভালভার্দে। আক্রমণে লুইস সুয়ারেজও পেয়েছেন প্রয়োজনীয় ছুটি। ফিলিপে কুতিনহোর পরিবর্তে ম্যালকমের সুযোগ পাওয়াকে কুতিনহোর বিশ্রাম বলা যাবে কি না এ নিয়ে দ্বিধান্বিত হবেন বার্সেলোনা সমর্থকেরাও। তবে ভালভার্দের অন্য সব ম্যাচের মতো আজও সব দায়িত্ব মেসিকেই বুঝে নিতে হয়েছে। ৩১ মিনিটে গোলরক্ষকের শরীরের নিচ দিয়ে গোল করেছেন। পরের মিনিটেই করেছেন উল্টোটা। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে এবার চিপ করেছেন মেসি। এ চিপেই মৌসুমে গোলের ফিফটি করলেন মেসি।
তবে ম্যাচে মেসিই একমাত্র বার্সেলোনা খেলোয়াড় নন যিনি গোল করেছেন। ২০ মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা মিলেছে। এইবারের হয়ে চমৎকার গোলটি করেছেন মার্ক কুকুরেয়া। বার্সেলোনার একাডেমির এই লেফট ব্যাক ধারে খেলতে এসে এইবারের হয়ে অসাধারণ এক মৌসুম কাটালেন। তারই পরিপূর্ণতা দিল মৌসুম শেষে নিজের মূল দলের বিপক্ষে করা এই গোল। ৪৫ মিনিটে বার্সেলোনা গোলরক্ষক চিলেসেনের ভুলে এইবারকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন পাবলো দি ব্লাসিস।
দ্বিতীয়ার্ধেও মেসি ও তাঁর দলবল গোলের জন্য হন্যে হয়ে ছুটেছে। কিন্তু এইবার বার্সেলোনাকে জয় নিয়ে লিগ মৌসুম শেষ করতে দেয়নি। আগামী শনিবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালের আগে তাই এটুকু অতৃপ্তি রয়েই গেল বার্সেলোনার।
(prothomalo)

দিনে কমবেশি চার শ শিশু সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। এসব শিশুর অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে, বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। শিশুদের জন্য নিরাপদে অনলাইন ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দরকার বহুমুখী উদ্যোগ।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ রোববার ‘অনলাইনে যৌন নির্যাতন’ সম্পর্কিত বিষয়াদি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা এসব তথ্য দেন। সভার আয়োজক বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

সভায় বক্তারা বলেন, সব বয়সী শিশুরাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। কিন্তু এদের অনেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রেখে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে জানে না। এমনকি অনেকের অনলাইনে ‘যৌন নির্যাতন’ বা ‘যৌন শোষণ’ সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা নেই। আবার যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও পরিবারকে জানাতে ভয় পায়। আইনের আশ্রয়ও নেয় না তারা।
২০১৬ সাল থেকে আসকের উদ্যোগে দেশের ২৮টি স্কুলে অনলাইনে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে পড়ানো হয়। এতে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত অনলাইন ব্যবহারে ইতিবাচক ফলাফল আসছে বলে জানাচ্ছেন সংস্থার প্রতিনিধি ও শিক্ষকেরা। কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আরজু আক্তার বলেন, বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকেরাও জানতে পারবেন। তবে অভিভাবকের সচেতনতা, শিশুদের বিনোদন ও সৃজনশীল কাজের প্ল্যাটফর্ম বাড়ানো দরকার বলেও মনে করেন কয়েক বক্তা।

সারা দেশের মতো বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলেও কাল সোমবার থেকে মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে। বন্ধ থাকবে ৬৫ দিন। এর আগে এত দীর্ঘ সময় ধরে সাগরে কখনোই মাছ ধরা বন্ধ থাকেনি। এতে উৎকণ্ঠায় জেলার ছয় হাজার মাছ ধরার নৌযানের এক লাখের বেশি জেলে। তবে সরকারি তরফে বলা হচ্ছে, সাগরে এখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাছ বড়ই হতে পারে না। এসব মাছের এখন প্রজনন মৌসুম। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এসব মাছের আকার ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তাই এই কর্মসূচি।

এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাল ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলার সব জেলে ও নৌকার মালিকদের জানিয়ে দিয়েছি। সভা-সমাবেশ, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করেও জেলেদের সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’


আজ রোববার দুপুরে শহরের নুনিয়াছটার বাঁকখালী নদীতে গিয়ে দেখা গেছে, শতাধিক ট্রলার ঘাটে নোঙর করে আছে। কয়েকটি ট্রলার থেকে ডিঙি নৌকায় মাছ খালাস করা হচ্ছে। তারপর ট্রলারের মাছগুলো পাশের ফিশারিঘাটে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে আছে ইলিশ, রূপচান্দা, গুইজ্যা, চাপা, মাইট্যা, পোপা, কামিলা ইত্যাদি। এ সময় সেখানে মাছ ধরা বন্ধের ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রচারণা চোখে পড়েছে।
জেলেদের ভাষ্য, এখন পবিত্র রমজান চলছে, কিছুদিন পর আসবে খুশির ঈদ। দীর্ঘ দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে জেলেদের চরম অর্থকষ্টে পড়তে হবে। 
একটি ট্রলারের জেলে আবদুল মালেক (৪৫) বললেন, ১৩ দিন সাগরে মাছ ধরে গতকাল সকালে ঘাটে ফিরেছেন। ফিশারিঘাটে মাছ বিক্রি করে তিনি বাড়িতে ফিরে যাবেন। কিন্তু ৬৫ দিন সংসার চালানোর মতো অর্থ তাঁর নেই। ট্রলার মালিকেরাও এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা দিচ্ছেন না। 
ফিশারিঘাটে কথা হয় মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামনে ইলিশ ধরার মৌসুম। এ সময় ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করে সরকার লাখো জেলেকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। এখন জেলেদের ত্রাণ সহযোগিতা দেওয়া না হলে জেলেপল্লিতে হাহাকার চলবে।
কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, আজ বিকেল পর্যন্ত জেলার টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়ার তিন হাজারের বেশি ট্রলার গভীর সাগর থেকে কূলে ফিরে এসেছে। অন্য ট্রলারগুলোও কাল সোমবার বিকেলের মধ্যে ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৬৫দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে কক্সবাজারের অন্তত ১০ হাজার মৎস্য ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বেন। হাটবাজারেও মাছের সংকট দেখা দেবে। 
শহরের নুনিয়াছটার জেলে গফুর উদ্দিন (৫০) বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তিনি আট সদস্যের পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়বেন। এখন তিনি শহরের টমটম (ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক) চালিয়ে আয় রোজগারের চিন্তাভাবনা করছেন।

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার বিভিন্ন স্থানে লাখো জেলে শ্রমিক থাকলেও তাঁদের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩৯৩ জন। এসব পরিবারে ত্রাণসহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, মাছ ধরা বন্ধের সময়ে কোনো জেলে সাগরে মাছ ধরতে নামলে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী তাঁদের প্রতিরোধ করবে। এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, সাগরে এখন বড় প্রজাতির মাছ লক্ষ্যা, তাইল্যা, গুইজ্যা, বোম মাইট্যা তেমন ধরা পড়ে না। এখন এসব মাছের প্রজনন মৌসুম।

মাছ ধরা বন্ধ থাকলে শুঁটকি উৎপাদনও ধস নামবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকার শুঁটকি কক্সবাজারে উৎপাদন হয়।

(prothomalo)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget