Latest Post

আজ একটা বিশেষ দিন। না, আপনার বা আমার জন্য নয়। আজ কুসুমের বিয়েও নয়। তবে আজ একটা বিয়ের দিন। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে এই দিন অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বলিউড তারকা অনিল কাপুর আর সুনিতা কাপুর।
অনিল কাপুর টুইটারে তাঁদের চমৎকার একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার সমস্ত জীবনে সব থেকে ভালো যে বিষয়টি ঘটেছে, সেটি তুমি। আমাদের দুজনের এই দীর্ঘ যাত্রা অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। আমি এর কিছুই বদলাতে চাই না। বিয়ের আগে ১১ বছরের প্রেম আর বিয়ের পরে ৩৫ বছরের সংসার। আমি আরও ৪৬ বছর তোমার সঙ্গে কাটাতে চাই। শুভ বিবাহবার্ষিকী সুনীতা কাপুর। আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

সুনীতাও ইনস্টাগ্রামে পাল্টা পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সমস্ত ভালো আর কঠিন সময়ে ভালোবাসা আর বিশ্বাস আমাদের পথ দেখিয়েছে। হাসতে হাসতে বাঁচা আর বিশ্বাস করে ক্ষমা করা—এসবের মধ্য দিয়েই আমরা পুরো জীবন একসঙ্গে পার করব।’
অন্যদিকে বলিউড তারকা সোনম কাপুর তাঁর মা-বাবাকে ‘পারফেক্ট কাপল’ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘মা, এই সমগ্র বিশ্বে তুমি বাবার জন্য আর বাবা তোমার জন্য। বাবা যেভাবে তোমার চোখের তারায় আলো জ্বালাতে পারে, অন্য কেউ তা পারে না। তোমরা দুজনে একটা সত্যিকারের জাদু। তোমাদের দুজনকেই অনেক অনেক শুভ বিবাহবার্ষিকী। ভালোবাসি।’
অনিল কাপুর আর সুনীতা কাপুরের তিন সন্তান। সোনম কাপুর আহুজা, হিয়া কাপুর এবং হর্ষবর্ধন কাপুর।
(prothomalo)

মৌসুমের শেষটাও ভালো হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে বার্নাব্যুতেই ২-০ গোলে হেরেছে রিয়াল। এমন হারেও খুব একটা হতাশ নন জিনেদিন জিদান। হতাশার এক মৌসুম শেষ হয়েছে, আপাতত এতেই স্বস্তি খুঁজে নিচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ।
নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম বাজে এক মৌসুম কাটিয়েছে রিয়াল। তিনটি শিরোপাই হাতছাড়া নিশ্চিত হয়েছে মার্চেই। শিরোপাহীন মৌসুম এর আগেও কাটিয়েছি রিয়াল। তবে এ মৌসুমটা একটু হলেও ব্যতিক্রম। দল গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ ম্যাচে, রক্ষনেও বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে মৌসুম জুড়ে। ৩৮টি লিগ ম্যাচের ১২টিতেই হেরেছে তারা! বার্সেলোনা থেকে ১৯ পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছে রিয়াল।


আজ বেতিসের বিপক্ষে রিয়ালের খেলায় কোনো প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন হতাশামাখা দিনে জিদান তাই মৌসুম শেষ হওয়াতেই আনন্দ পাচ্ছেন, ‘এমন না যা আমরা জিততে চাইনি। সত্যি হলো আমরা জিততেই পারছি না। আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হলো মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এবং পরের বছরের জন্য চিন্তা করা শুরু করতে পারব। কারণ পরের বছর অবশ্যই এটা বদলাবে।’ 
এ মৌসুমটা বাজে বাজে কেটেছে সেটা সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছেন জিদান। পরের মৌসুমে এমন কিছু যেন দেখতে না হয় সেটার নিশ্চয়তাও দিলেন রিয়াল কোচ, ‘ব্যাপারটা একটু জটিল কিন্তু আমাদের স্বীকার করতেই হবে এ মৌসুমটা বাজে ছিল। শুরু থেকেই কঠিন ছিল, আমার সঙ্গে শেষটাও তাই ছিল। এটাই বাস্তবতা। আমাদের এখন পরের বছর নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং আমাদের সমর্থকদের আবারও খেলা নিয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্রাক মৌসুমে আমরা প্রস্তুতি নেব ভালো করে। আমরা বলছি না পরের বার আমরা সবকিছু জিতব কিন্তু প্রথম মিনিট থেকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এবং অন্যদের সঙ্গে লড়ব।’
পরের মৌসুমের প্রস্তুতি মানেই দল নতুন করে সাজিয়ে নেওয়া। রিয়াল এর মাঝেই সে পথে পা ফেলেছে। নতুন দুজন খেলোয়াড়কে দলে টেনেছে তারা। আর আজ কেইলর নাভাস ও গ্যারেথ বেলের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। ম্যাচ শেষেই দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন নাভাস। বেল মাঠে নামতে না পারলেও তাঁর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। জিদান অবশ্য এখনো এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি নন, ‘বেল থাকবে কি না সেটা দেখা যাবে। সত্যি বলছি আমি এখনো জানি না কী হবে। আমি ইদানীং অন্য খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রেখেছি, সেটা তো দেখাই গেছে। আজ যদি আমাকে আরও একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো, একই সিদ্ধান্ত নিতাম।’
বেলের ব্যাপারে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়েই থাকেন তবে টানা তিন ম্যাচে তাঁকে বসিয়ে রাখা কেন? জিদান নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে সিদ্ধান্তের, ‘আমি প্রতিদিন আলাদা করে ভাবতে হয় এবং নির্দিষ্ট একটি দিনের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যখন কোনো কিছু আমার ভালো লাগে না বা আমার সঙ্গে যায় না, তখন যেটা ভালো মনে হয় সে সিদ্ধান্তই নেই। যে খেলোয়াড় এখানে অনেক কিছু জিতেছে তার জন্য এটা হয়তো মেনে নেওয়া কঠিন কিন্তু দিনের সিদ্ধান্ত দিনের জন্যই নেওয়া হয়।’
(prothomalo)

টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু। নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে দাগ কেটেছেন তিনি। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য নাটক, টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে। গুটিকয়েক সিনেমায়ও দেখা মিলেছে তার।
তবে নাটকে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। গুণী এই অভিনেত্রী স্ত্রী, মা, বোন, দাদি, নানিসহ বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার একেবারে ভিন্ন এক চরিত্রে হাজির হলেন তিনি। সেই চরিত্রের লুক চমকে দিচ্ছে সবাইকে।

একটি নাটকের পোস্টারে তাকে দেখা গেছে সিএনজি চালকের বেশে। পুরুষ সেজে সিএনজি চালিয়ে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ‘সিএনজি ড্রাইভার’ শিরোনামের নাটকটি পরিচালনা করেছেন রবিউল সিকদার।
সমাজে চলতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন মেয়ে বা নারীকে। পরিবারে যখন প্রধান কর্তা বলে কেউ থাকে না তখন সেই নারীটিই বোঝে জীবন কত নিষ্ঠুর। বাধ্য হয়েই তাকে পুরুষের ভূমিকায় শক্ত হাতে হাল ধরতে হয়।
পরিবারের চাকা সচল রাখতে নিজের বেশ পরিবর্তন করে রাস্তায়ও নামেন অনেকে। তেমনই এক গল্প ‘সিএনজি ড্রাইভার’।
এ চরিত্রের জন্য একজন পুরুষ ঠিক যেমন হয় তেমনই করে নিজেকে পরিবর্তন করেছেন অভিনেত্রী অপু। পুরুষের মত চুল কেটে নীল রঙের ইউনিফর্ম পড়ে রাস্তায় নেমেছেন সিএনজি নিয়ে। সিএনজি চালিয়ে যা পান তা দিয়েই সংসার চালান এবং ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগান।
এই অভিনেত্রী জাগো নিউজকে জানান, এমন চরিত্রে নিজেকে তৈরি করতে তিনদিন ওয়ার্কশপ করেছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘একজন মহিলা হয়ে সিএনজি চালানো চাট্টিখানি কথা নয়! ওয়ার্কশপ করেছি, সিএনজি চালানো শিখেছি। চরিত্রটিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে নিজেকে প্রস্তুত করেই কাজটি করতে চেয়েছি।’
এমন চরিত্রে অপুর কাজ প্রসঙ্গে নাটকটির নির্মাতা রবিউল সিকদার বলেন, ‘অপু দিদি একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী। উনার অভিনয় দক্ষতা মুগ্ধ করার মতো। এই বয়সে এসেও নানামাত্রিক চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলছেন অনন্য মাত্রায়। এই নাটকের জন্য তার পুরা গেটআপই পাল্টে দিতে হয়েছে। নাটকটিতে অন্য এক অপুকে দেখতে পাবেন সবাই।’
সম্প্রতি উত্তরায় শুটিং শেষ হওয়া এ নাটকে অপু ছাড়াও অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, মিষ্টি জাহান, আজম খান, হিন্দোন রায়, আনসার আলী, রহিম সুমন, আলিফ, ফারুক ও সোহাগ প্রমুখ।
আগামীকাল শুক্রবার চ্যানেল আইতে বেলা ২টা ৫০ মিনিটে নাটকটি প্রচার করা হবে বলে জানান নির্মাতা।
(jagonews24)

বলিউডে সবাই সম্মানের চোখে দেখেন বচ্চন পরিবারকে। শাহেনশাহ অমিতাভ, তার সহধর্মিনী জয়া বচ্চন, ছেলে অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সকলেই বলিউডে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। পরিবার সবার সঙ্গে সবার বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক। পরিবারের প্রায় সবাই শোবিজে যুক্ত, তবু বিশেষ দিনগুলো তারা একসঙ্গে উদযাপন করেন।
ঐশ্বরিয়া রাই অনেক দিন থেকেই নতুন কোনো ছবির সঙ্গে যুক্ত হননি। অনেক সিনেমাতে অভিনয়ের ডাক পড়ছে। ব্যাটে বলে না মেলায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি বিশেষ এক কারণে শ্বশুর অমিতাভ বচ্ছনের ওপর অখুশি হয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই। রুমি জাফারি পরিচালিত ‘সেহরে’ সিনেমায় ইমরান হাশমির সঙ্গে শুটিং শুরু করেছেন অমিভাভ বচ্চন। এটা মেনে নিতে পারছেন না ঐশ্বরিয়া।

ইমরান হাশমির সঙ্গে কাজ করায় শ্বশুর অমিতাভ বচ্চনের ওপর বিরক্ত ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ঐশ্বরিয়া ও হাশমির মনোমালিন্যের কথা অনেকেই জানেন। ঐশ্বরিয়াকে ‘ফেইক ও প্লাস্টিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন হাশমি। আজও তিনি সেই মন্তব্যের কথা ভোলেননি বিশ্বসুন্দরী।
এই কিছুদিন আগেও একটি শোতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে বেদনাদায়ক মন্তব্য কোনটি। উত্তরে ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘ফেইক অ্যান্ড প্লাস্টিক।’
অন্যদিকে, এর আগে ইমরান হাশমির সঙ্গে একটি সিনেমার প্রস্তাব দেওয়া হলে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। তাই হাশমির সঙ্গে শ্বশুর কাজ করায় হতাশ হয়েছেন তিনি।
(jagonews24)

শুক্রবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে দু'দিনব্যাপী ই-কমার্স ডাক মেলা। রাজধানীর জেনারেল পোস্ট অফিস (জিপিও) চত্বরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। দু'দিনের এই ডাক মেলার মধ্য দিয়েই শেষ হবে বিভাগীয় পর্যায়ের জাতীয় ই-কমার্স ডাক মেলা।

মেলার সমন্বয়ক আসিফ আহনাফ জানান, মেলায় ৬টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৬টি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৮০টি স্টলে বিশেষ ছাড় ও উপহারে নিজেদের পণ্য ও সেবার পসরা নিয়ে হাজির হচ্ছে দারাজ, আজকের ডিল, চালডাল, প্রিয়শপ, রকমারি, দিনরাত্রি, ই-পোস্ট, স্পিকলার , রেজিস্ট্রো, অর্গানিক অনলাইন, লেইসফিতা, ডিজিটাল হাব সলিউশনস লি., স্পাইডার ডিজিটাল, আমার শপ, খাসফুড, সাজগোজ, ওয়ালেট মিক্স, ক্রিয়েটিভ আইটি, বইঘর, টিভিএস, সুন্দরবন, সিএক্সপ্রেস, এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড, ডিবিবিএল, পাঠাও, পেপারফ্লাই, কাবলিওয়ালা, সিন্দাবাদ, বাগডুম, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, কমইঞ্জিন, বাংলাওয়েট্রেড, বিদ্যুৎ লি., এপকম, সপারু, জেএমএস, ক্রাফট ভিশন এবং সিঙ্গারের মতো প্রতিষ্ঠান।
মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশিত পণ্যের ই-বিপণন ও সেবা প্রদর্শনীর পাশাপাশি সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। মেলার শেষ দিন শনিবার অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিনার।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরবেন মেলার আয়োজক ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
(jagonews24)

নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত জামদানি শিল্প এলাকাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এই এলাকাকে মানসম্মত পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে আলাদা জামদানি মেলা হবে। দেশের সব জায়গায় জামদানি ছড়িয়ে পড়বে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী ‘জামদানি পণ্যের প্রদর্শনী ও মেলা ২০১৯’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্প সচিবকে পর্যটন নগরীর জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, সচিব সাহেব জামদানি শিল্পনগরীকে যাতে আমরা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, ওই এলাকার প্রতিটি গ্রামে আমি গিয়েছি। তাদের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে আমি জানি। এখানে যারা কাজ করেন তারা সবাই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তারা জামদানি শাড়ি বিক্রি করে পেট চালাতে পারে না।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, জামদানি শাড়ি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। বিশ্বের দরবারে বেশ প্রসংশিত। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা শাড়ির প্রকৃত মূল্য পান না। তার কারণ, শাড়ি বুনা দেখে কিনতে দেশ বিদেশ থেকে লোকেরা আসেন। কিন্তু দীর্ঘ জ্যাম পেরিয়ে নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে ক্রেতারা যেতে চান না। যারা যায় তারাও আবার বসার জায়গা না পেয়ে হতাশ। ফলে দিনদিন এই শিল্প নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে শিল্প, বস্ত্র এবং সংস্কৃত মন্ত্রণালয় মিলে সহায়তা দিয়ে জামদানি নগরীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তার জন্য জায়গা প্রয়োজন হলে সেটারও ব্যবস্থা করা হবে। এখন পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তত ২০ শতাংশ জমি অনাবাধি পড়ে আছে। এই জমি ফাঁকা না রেখে আমরা তিন মন্ত্রণালয় মিলে জামদানি শিল্পকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, এই শিল্পকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের জন্য সহায়তা করা হবে। যাতে আরো গুণগতমান বৃদ্ধি হয়। বিদেশে শাড়ি রফতানি করে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করা যায়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জামদানি শিল্পে জড়িতরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না। একটি শড়ি বানাতে ১ সপ্তাহ থেকে একমাস পর্যন্ত সময় লাগে। তাদের ঋণ সহায়তা দিয়ে সহায়তা করা দরকার।
বিসিক চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শিল্প সচিব আব্দুল হালিম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন মন্ত্রীরা। ১০ দিনব্যাপী এ মেলায় এবার ২৫টি স্টল রয়েছে।
(jagonews24)

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসের চেতনায় পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ফারাক্কা দিবস ২০১৯ উদযাপন জাতীয় কমিটি। পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা ও সংস্কৃতিতে আগ্রাসী আধিপত্যবাদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ফারাক্কা লংমার্চের মধ্য দিয়ে পানির আগ্রাসন মোকাবেলায় জনগণের ঐক্য সুদৃঢ় করে তোলেন। গড়ে তোলেন বিশ্ব জনমত। আজ তাই ফারাক্কার চেতনায় আগ্রাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে পানি আগ্রাসন, সীমান্ত আগ্রাসন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তারা বলেন, ফারাক্কা, গজলডোবা, টিপাইমুখ বাঁধ ও আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে মরুকরণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে সোচ্চার হতে হবে। সোচ্চার না হলে পানির অধিকার আদায় হবে না। সীমান্তে নিরস্ত্র নিরীহ নাগরিকদের রক্ষা করতে হবে।
কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সভাপতি ডা. এম. এ সামাদ, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন পলাশ প্রমুখ।
(jagonews24)

জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ স্থবির হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়।
সংস্থাটি বলছে, শিশুদের শিক্ষাখাতের বরাদ্দ নির্দিষ্ট অঙ্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এটা বাড়ছে না। এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে বাজেটে শিশুদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়েনার সুপারিশ উপস্থাপন করে সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের গভর্নেন্স ও পাবলিক ফাইন্যান্স বিভাগের উপ পরিচালক আশিক ইকবাল বলেন, ‘বিগত কয়েক অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মূল বাজেটের ১১-১২ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ শিশুদের শিক্ষা বাজেট। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ এ বরাদ্দ কমে এখন তা সমগ্র বাজেটের মাত্র ১১.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ইউনেসকোর সুপারিশ হল ২০ শতাংশ। অথচ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মানবসম্পদকে উন্নয়নের মূল খুঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাই আরও বেশি বরাদ্দ থাকা চাই। ২০২৫ সালের মধ্যে ইউনেসকো প্রস্তাবনার পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ প্রতি বছর বাজেটের শতাংশে ১.৫ শতাংশ হারে বাড়ানো প্রয়োজন।’
বক্তারা বলেন, শিশু অধিকারের প্রেক্ষাপট এই এক বছরে তেমন বদলায়নি। তবে এ পরিস্থিতি উন্নয়নে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে গতবারের চাইতে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আসন্ন জাতীয় বাজেটে (২০১৯-২০) থাকা চাই সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও দিক নির্দেশনা।
এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা এবং বিশেষ ঝুঁকিতে থাকা (যৌনপল্লী কিংবা পথে বসবাসরত) শিশুদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা ও বরাদ্দ বৃদ্ধি। এছাড়া শিশুমৃত্যু রোধে সাফল্য ধরে রাখতে কমবয়সী শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতে জোর দেয়া। এক্ষেত্রে স্কুলে মিড-ডে মিল সরবরাহ খুবই কার্যকর। এজন্য বাজেটে আরও বরাদ্দ রাখতে হবে, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলগুলোতে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চাইল্ড রাইটস গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র ম্যানেজার খালেদা আকতার, সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার রাশেদা আক্তার, সোশ্যাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ম্যানেজার শেখ রহমত উল্লাহ রুমি প্রমুখ।
(jagonews24)

প্রতিটি ইউনিয়নে ‘সরকারি ক্রয় কেন্দ্র’ চালু করে কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ধান কেনার দাবিতে আগামী ২০-২৬ মে দেশব্যাপী ‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’ এর ডাক দিয়েছে সিপিবি।
এ উপলক্ষে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতির অন্যতম কারিগর হচ্ছে বাংলার কৃষক। তারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু তারা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। তারা মুনাফালোভী ‘রাইস মিল মালিক’ ও ‘ধান-চাল সিন্ডিকেট’ এর প্রতারণার ফলে উৎপাদন ব্যয়ের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

নেতারা বলেন, কৃষকদের এ দুরাবস্থা থেকে রক্ষা করতে দেশব্যাপী কৃষক সংগ্রাম গড়ে তোলা জরুরি। তারা আগামী ২০-২৬ মে দেশব্যাপী ‘কৃষক বাঁচাও সপ্তাহ’র ডাক দেন।
এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয় কেন্দ্র চালু, সরকার নির্ধারিত দামে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রের কর্মচারীদের বাধ্য করতে দেশব্যাপী ক্রয় কেন্দ্রসমূহের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, গণ দরখাস্তের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের প্রতি আহ্বান জানান সিপিবির শীর্ষ এ দুই নেতা। কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল দেশবাসীকে কৃষকদের ন্যায়ভিত্তিক এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি ও তাদের লড়াইয়ে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
(jagonews24)

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৮ সালে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) অনুমোদন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ব্যাংকের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই লভ্যাংশের অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এজিএমে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান মাফিজ আহমেদ ভূঁইয়া ও ইমরান খান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. জিএম খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকের পরিচালক- কাজী সিরাজুল ইসলাম, মো. নাদের খান, মো. শাহাদাত হোসেন, নাসিম আনোয়ার হোসেন, সালমা হক, ওয়াহিদ মুরাদ জামিল, মো. মুশতাক আহমেদ তানভীর (তিতাস), জাইম আহমেদ, এম ফরহাদ হোসেন এফসিএ, সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন ইমাম আনোয়ার হোসেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক শেয়ার হোল্ডার উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ এহসান হাবীব।

(jagonews24)

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ২০১৫ সালে পাশ্চাত্যের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে আমেরিকা বের হয়ে যাওয়ার পর তেহরান সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছে। ইরানি জনগণের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কানোর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে জাওয়াদ জারিফ বলেন, ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বের হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ইরান সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে

তিনি বলেন, ইরান এখনো পরমাণু সমঝোতার ধারা পুরোপুরি মেনে চলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ে চলমান জাতিসংঘের পর্যালোচনা রিপোর্ট সেটির প্রমাণ দিয়েছে বলে জানান তিনি। জারিফ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমেরিকা যেভাবে উত্তেজনার পারদ উস্কে দিচ্ছে সেটি; অগ্রহণযোগ্য এবং অনাকাঙ্খিত।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারে কানো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। উত্তেজনা কমানোর পাশাপাশি বিদ্যমান ইস্যুগুলোর সমাধানের জন্য কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেবেন না বলে জানান তিনি। জাপানের শীর্ষস্থানীয় এই কূটনীতিক বলেন, পরমাণু সমঝোতা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের দাবি ইরানও সেটি বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠকের পর জারিফ বলেন, তিনি জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর  কাছে আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানোর উপায়গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। একইসঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধংদেহী মনোভাব ত্যাগের কথা বলেছেন পার্সট্যুডে।
(jagonews24)

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ঘুষ না দেয়ায় রশি কেটে পিকআপে থাকা পৌনে তিন লাখ টাকার ডিম রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।
এতে প্রায় সব ডিম ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। বহস্পতিবার ভোরে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগ্রান সুতিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ডিমের মালিক বিপ্লব কুমার সাহার পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে একটি পিকআপ ৩৫ হাজার ১০০ ডিম নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে নাটোরে যাচ্ছিল। বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান সুতিরপাড় এলাকায় পিকআপটির চাকা পাংচার হয়ে গেলে পাশের ফিডার রোডে নেমে যায়।

খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পিকআপ উদ্ধারের জন্য রেকার ভাড়াসহ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। চালক এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা পিকআপে ডিমের খাঁচি বাঁধার রশি চাকু দিয়ে কেটে দেয়। এতে ডিমের খাঁচি রাস্তায় পড়ে সব ডিম ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়।
বহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় নারীরা রাস্তায় পড়ে থাকা ভাঙাচোরা ডিম কুড়িয়ে নিচ্ছেন। রাস্তাজুড়ে ভাঙা ডিমের হলুদ কুসুম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ট্রাকের চালক-হেলপার ভাঙা ডিম ও প্লাস্টিকের খাঁচিগুলা সংগ্রহ করছেন। কেটে ফেলা রশিগুলা রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় পুকুরের পাহারাদার শহীদুল ইসলাম ও আতাহার আলী জানান, চালক-হেলপার বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও পিকআপের রশিগুলা কেটে দিয়েছে পুলিশ। রশি না কাটলে ডিমগুলা নষ্ট হতো না। ডিমসহ পিকআপটি রেকার দিয়ে থানায় নিয়ে গেলে এমন কি ক্ষতি হতো পুলিশের।
পিকআপের চালক সিরাজগঞ্জ সদরের মজনু মিয়া বলেন, আমার গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে রাস্তায় নেমে গেলেও কোনো ডিম ভাঙেনি। দাবিকৃত ঘুষ না দেয়ার রাগে ডিম বাঁধার রশিগুলো কেটে দিয়েছে পুলিশ। এতে সব ডিম রাস্তায় পড়ে ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়।
ডিমের মালিক সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের মেসার্স প্রীতিমণি এটারপ্রাইজের মালিক বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমি চালকের মোবাইল দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। রশি না কাটার জন্য হাতে-পায়ে ধরে পুলিশকে অনুরাধ করেছি। তারা আমার কোনো কথাই শোনেনি। সবগুলো ডিম নষ্ট হয়ে গেলা। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি আলিম হাসান শিকদার বলেন, একটি মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার কারণে আমি ঢাকায় ছিলাম। সন্ধায় এখানে ফিরেছি। আমি শুনেছি একটি পিকআপ বিকল হয়ে ফিডার রোডে কাত হয়ে পড়ে ডিম নষ্ট হয়েছে। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছি না আমি।
(jagonews24)

রাজশাহীর বাগমারায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর পক্ষ নেয়ায় যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর দাদার করা মামলায় তাকে আদালদের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে বাগমারা থানা পুলিশ মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার মোস্তফা কামাল বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্ষন চেষ্টাকারী এক যুবককে সালিশে লঘুদণ্ড দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত যুবকের পক্ষ নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গত ৩ মে যোগীপাড়া ইউনিয়নের বারুইহাটি গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে তৌহিদ আলী (২৫) নামে এক যুবক। এ সময় স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরে ফেলেন। পরে সালিশে ওই যুবক নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। আর এ জন্য তাকে লঘুদণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।
ন্যায় বিচার না পেয়ে ৫ মে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরদিনই প্রধান আসামি তৌহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলার আসামি ছিলেন চেয়ারম্যানও। তাকেও গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(jagonews24)

হোক তা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, ইতিহাস ও পরিসংখ্যান পরিষ্কার জানাচ্ছে- বাংলাদেশ কখনো আইসিসির পূর্নাঙ্গ সদস্য দেশ তথা টেস্ট খেলিয়ে দলগুলোর সঙ্গে খেলে কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি।
এশিয়া কাপ, অস্ট্রেলেশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর বিশ্ব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট তো অনেক দূরে, আজ অবধি আইসিসির পূর্নাঙ্গ সদস্যদের সঙ্গে কোন তিন জাতি টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি টাইগাররা।

ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে ১৯৯৭ সালের এপ্রিলে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে কেনিয়াকে ফাইনালে হারিয়ে আইসিসির চ্যাম্পিয়ন হবার পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যতগুলো তিন জাতি টুনামেন্ট খেলেছে, তার মাত্র একটিতে বিজয়ী হয়েছে।

তবে আগেই বলে রাখা ভাল, সেটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোন ত্রিদেশীয় সিরিজ নয়। সে সিরিজের রেকর্ড ও পরিসংখ্যান ধর্তব্য হলেও যেহেতু প্রতিপক্ষ ছিল আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশ, তাই টুর্নামেন্টটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে আসর হিসেবে মর্যাদা পায়নি।
এবার যেমন বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর ঠিক ১২ দিন আগে আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি মাশরাফির দল, কাকতালীয়ভাবে ঠিক একযুগ আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপের ঠিক আগে আইসিসির দুই সহযোগি সদস্য কানাডা আর বারমুডার সঙ্গে তিন জাতি আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল।
সময়কাল ছিল ২০০৭ সালের ফেব্রয়ারী মাসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন জাতি আসরে আইসিসির দুই সহযোগি সদস্য বারমুডা আর কানাডার বিপক্ষে জিতেই বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল টাইগাররা। সে আসরে বারমুডাকে ৮ উইকেটে আর কানাডাকে ১৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। তবে সেটা আন্তর্জাতিক আসরের ট্রফি জয় বলে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ বাকি দুই দল বারমুডা আর কানাডা আইসিসির সহযোগি সদস্য।
এছাড়া সেই ১৯৯৭ সাল থেকে তিন জাতি টুর্নামেন্ট খেলে আসছে বাংলাদেশ। প্রথম তিন জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে, জিম্বাবুয়ের মাটিতে। স্বাগতিক কেনিয়া আর জিম্বাবুয়ে ছিল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ফাইনালে ওঠা বহু দূরে একটি ম্যাচও জিততে না পারা টাইগাররা দেশে ফেরত এসেছিল সব ম্যাচ হেরে।
এরপর ১৯৯৮ সালের জানুয়ারী মাসে ঘরের মাঠে স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তানের সাথে ইন্ডিপেন্ডেন্টস কাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই দুই প্রবল প্রতিপক্ষের সঙ্গে পেরে ওঠেনি টাইগারররা। ভারত আর পাকিস্তানই ফাইনাল খেলে। সে আসরেও বাংলাদেশের জয় অধরাই ছিল।
একই বছর মানে ১৯৯৮ সালের মে মাসে ভারতের মাটিতে স্বাগতিক ভারত আর কেনিয়ার সাথে একটি ট্রাইনেশন খেলতে যায় বাংলাদেশ। সেখানেই ১৭ মে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তারপরও ফাইনাল খেলা সম্ভব হয়নি। ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া।
সেটাই শেষ নয়। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে যাবার আগে ঘরের মাটিতে তিন জাতি আসরের আয়োজক হয়েও ফাইনালে দর্শকের আসনে ছিল বাংলাদেশ। সেটা ছিল ১৯৯৯ সালের মার্চে, বিশ্বকাপের আগে ঢাকায় মেরিল কাপে কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে তিন জাতি আসরে বাংলাদেশ সব ম্যাচে হার মানে।
ঐ আসরের ফিরতি পর্বে ২৫ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন মেহরাব হোসেন অপি (১১৬ বলে ১০১)। একই ম্যাচে অধর্শতক উপহার দিয়েছিলেন আরেক ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ (১১৭ বলে ৬৮) ও আকরাম খান খেলেন ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস।
এরপর ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে আবার তিন জাতি আসর টিভিএস কাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেখানেও ফাইনাল ওঠা বহু দূরে জয়ের নাগালই পায়নি বাংলাদেশ। তার দুইবছর পর ২০০৫ সালের জুনে ইংল্যান্ডের মাটিতে ন্যাটওয়েস্ট তিন জাতি টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় টাইগাররা।
ফাইনাল খেলতে না পারলেও সে আসরে ১৮ জুন কার্ডিফে মোহাম্মদ আশরাফুলের অনবদ্য শতরানে অজিদের ৫ উইকেটে হারিয়ে হৈ চৈ ফেলে দেয়ার কাজটি করে টাইগাররা। তিন বছর পর ২০০৮ সালের জুন মাসে আবার দেশের মাটিতে কিটপ্লাই কাপে ভারত ও পাকিস্তানের সাথে তিন জাতি আসরে আবার সব ম্যাচ হেরে বসা। ভারত ও পাকিস্তান ফাইনাল খেলে।
২০০৯ সালের জানুয়ারী ঢাকার শেরে বাংলায় আরও একটি তিন জাতি আসর খেলে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়ে। সেই আসরে প্রথম জিম্বাবুয়েকে পিছনে ফেলে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি টাইগারদের। শ্রীলঙ্কা জয়ী হয় ২ উইকেটে ।
২০১০ সালের জানুয়ারী দেশের মাটিতে আরও এক তিন জাতি আসরে ফাইনালে ওঠা বহু দূরে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ফাইনাল খেলেছিল ভারত আর শ্রীলঙ্কা। এর পর ২০১৭ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি টুর্নামেন্টেও শিরোপা অধরা। চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ অবশ্য ঐ আসরে একবার আইরিশদের (৮ উইকেটে) আর একবার নিউজিল্যান্ডকে (৫ উইকেটে) হারিয়েছিল।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে দেশের মাটিতে তিন জাতি আসরে জিম্বাবুয়েকে দুই বার আর শ্রীলঙ্কাকে একবার হারিয়ে দাপটে ফাইনালে পৌঁছেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি মাশরাফির দল। ট্রফি জিতে নেয় লঙ্কানরা, ফাইনালে টাইগারদের ৭৯ রানে হারিয়ে। মোদ্দা কথা ট্রফি জয়ের আকাল।
এবার আবার আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ। তাও যেনতেনভাবে নয় । একদম দৌর্দন্ড প্রতাপে খেলে। আয়ারল্যান্ডের সাথে রবিন লিগের প্রথম ম্যাচটি ধুয়ে মুছে গেছে বৃষ্টিতে। তারপর আইরিশদের একবার (৬ উইকেটে) আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইবার (৮ ও ৫ উইকেটে) হারিয়ে অপরাজিত অবস্থায় ফাইনালে মাশরাফির দল।
ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং ও ক্যাচিং- সব শাখায় টাইগাররা এ আসরে অন্য দুই প্রতিপক্ষর চেয়ে ভাল নৈপুণ্য উপহার দিয়েছে। টপ অর্ডারে তামিম, সৌম্য, সাকিব, লিটন আর মিডল অর্ডারে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ নিয়মিত রান করেছেন। যখন প্রয়োজন, সে প্রয়োজন মিটিয়েছেন তারা। একই অবস্থা বোলিংয়েও। অধিনায়ক মাশরাফি, সাইফউদ্দীন আর আবু জায়েদ রাহীরা দরকারের সময় ভাইটাল ব্রেকথ্রু উপহার দিচ্ছেন।
এছাড়া গতকাল (বুধবার) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একজোড়া ক্যাচ হাতছাড়া হলেও আগের দুই ম্যাচে সাব্বির, সাকিব ও সৌম্যরা বেশ কঠিন ক্যাচ সহজ করে ধরেছেন। সব মিলে টিম বাংলাদেশ আছে ফর্মের চূড়োয়। বাড়তি কিছু করার দরকার নেই।
এ আসরে আগের তিন ম্যাচে মাশরাফির দল যে ক্রিকেটটা খেলেছে, তা খেলতে পারলেই ব্যস, হয়ত অধরা সাফল্য ধরা দেবে। কারণ আগের তিন ম্যাচের চালচিত্র ও ফল পরিষ্কার বলে দিয়েছে গেইল, আন্দ্রে রাসেলসহ বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ছয় জন ক্রিকেটার ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলে চেয়ে বাংলাদেশ ঢের এগিয়ে।
কাজেই নিজেরা খুব বেশী খারাপ না খেললে আর একটি খারাপ দিন না আসলে প্রথম কোন তিন জাতি টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার পরিষ্কার হাতছানি টাইগারদের সামনে।
সব ইতিবাচক অবস্থার মাঝে হয়ত একটি নেতিবাচক দিক থাকতে পারে। ইনজুরি খুব জটিল বা গুরুতর না হলেও সাইড স্ট্রেইনে আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের আগামী কালকের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
যদিও কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে ভেতরের খবর হলো, এখন সাকিবের মত চ্যাম্পিয়ন পারফরমারের ইনজুরি নিয়ে কোনরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট। সম্ভবত সাকিবকে এক সপ্তাহের পূর্নাঙ্গ বিশ্রাম দেয়া হবে।
(jagonews24)

যাওয়ার আগে প্রিমিয়ার লিগের খেলা। ফেরার পরের ম্যাচটি আরো গুরুত্বপূর্ণ। তাই অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াকে লা লিগার ম্যাচের ধারাভাষ্য দিতে যাওয়ার অনুমতি গিতে গরিমসি ছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ইংলিশ কোচ জোনাথনের।
শেষ পর্যন্ত অনুমতি পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার রাতে যাচ্ছেন দুবাইয়ে। আর যাওয়ার সময়ে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত এক জয়ের সুখস্মৃতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে জামাল ভুঁইয়ারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে বিজেএমসিকে।

সাইফের এই দুর্দান্ত জয়ে বড় অবদান তাদের দুই নতুন বিদেশি। ব্রাজিলের আলেজান্দ্রো সেলিন ও উজবেকিস্তানের ওতাবেক গোল করেছেন। গোল করেছেন তাদের পুরোনো বিদেশি কলোম্বিয়ার আন্দ্রেস করডোবা। তিন বিদেশির তিন গোলে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব পেয়েছে প্রিমিয়ার লিগে নবম জয়।
চতুর্থ মিনিটে ওতাবেকের গোলে এগিয়ে যায় সাইফ। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আন্দ্রেস করডোবা। ৮২ মিনিটে ব্রাজিলের আলেজান্দ্রো সেলিন গোল করলে সহজ জয় নিশ্চিত হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের।১৪ ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের পয়েন্ট ২৯। আর বিজেএমসির এটি ১১ তম হার। মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে এ অফিস দলটি।
(jagonews24)

কুষ্টিয়ায় রবি মৌসুমে বোরো ধান কাটা ও কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কম পেয়ে হতাশ কৃষকরা। গত বছর মৌসুমের শুরুতে ধান বিক্রি হয়েছে ৭৪০ টাকা মণ দরে, সেই ধান এবার বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবার বোরোর ফলন ভালো হলেও বাজারে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। দাম না পেলে কষ্ট করে আবাদ করা ধান চাষ থেকে তারা বিমুখ হবেন। বাজার মন্দার বিষয়টি খতিয়ে দেখা অতীবও প্রয়োজন।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় যেকোনো ফসল আবাদের জন্য মাটির গুনগত মান খুবই ভালো। এজন্য কৃষকেরা বেশি পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ করে থাকেন। ফলনও ভালো পান। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৯০ ভাগ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ধান চাষ হয়েছিল। আবহাওয়া ভালো ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ করেছে কৃষক। জেলার কয়েকটি বাজারেও নতুন ধান উঠেছে। কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে হাটে হাটে ঘুরছেন।
জেলার মধ্যে ধানের সবচেয়ে বড় হাট সদর উপজেলার আইলচারা ধানের হাট। এখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর চালের মোকাম খাজানগর এলাকার চাল ব্যবসায়ীরা ধান কিনে থাকে। আইলচারা হাটে সপ্তাহের দুই দিন ধান কেনাবেচা হয়। এই হাটে গত বছরের আজকের দিনে (১৩ মে) বোরো ধান মণ প্রতি বিক্রি হয়েছিল ৭৪০ টাকা। সোমবার হাটে বোরো ধানের উঠেছিল মণপ্রতি ৬৮০ টাকা। মৌসুমের শুরুতে এমন দাম পেয়ে হতাশ কৃষক। আইলচারা হাটে ইঞ্জিনচালিত নসিমন ও ট্রলিতে করে কৃষকেরা হাটে ধান নিয়ে হাজির হন।
এ সময় কৃষকেরা বলেন, হাটে ধানের আমদানি বাড়লেও দাম বাড়ছে না। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। তখন আমদানি আরও বেড়ে যাবে, সঙ্গে দাম আরও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর কৃষকেরা দ্রুত টাকা পাওয়ার আশায় ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রির জন্য হাটে ছোটেন।
কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে ঘরে তুলতে (জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে মাড়াই শেষ পর্যন্ত) প্রায় ১৫ হাজার ৮৪৪ টাকা খরচ হয়েছে। ধান ও বিচালি বিক্রি করে ঘরে আসছে প্রায় ১৯ হাজার ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ চার মাস জমিতে খাটুনিতে বিঘা প্রতি প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এই লাভ দিয়ে কিছুই হয় না।
জেলা বাজার তদারকি কার্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার আইলচারা হাটে স্থানীয়ভাবে সরু ধান বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৭৮০ টাকা দরে, মাঝারি ধান বিক্রি হয়েছে ৬৮০ টাকা দরে ও মোটা ধান বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৫৮০ টাকা দরে। কুষ্টিয়ায় মাঝারি ধানের আবাদই বেশি হয়ে থাকে। গত বছরের আজকের দিনে একই হাটে সরু, মাঝারি ও মোটা ধান মণপ্রতি বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ৯৫০ টাকা, ৭৪০ টাকা ও ৬৮০ টাকা দরে। বাজারে দাম বৃদ্ধি না পেলে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন এই কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোমেন জানান, তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। পুরোটায় কেটে ঘরে তুলেছেন। হাটে দাম না পেয়ে হতাশ তিনি। এবার অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোরোর উৎপাদন খরচও পড়েছে বেশি। গত বছর মৌসুমের শুরুতে চড়া দামে ধান বিক্রি করে লাভবান হয়েছিলেন। এবার তা ভিন্ন। এক বিঘায় লাভ হয়েছে মাত্র তিন হাজার টাকা।
একই উপজেলার মিরপুর এলাকার চাষি আশরাফুল হক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রোদে পুড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করতে হয়। অথচ দাম পাওয়া যায় না। লাভবান হয় ব্যবসায়ীরা। কৃষকের দিকে কেউ খেয়াল রাখে না।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক কৃষকদের কৌশলী হতে বলছেন। তিনি বলেন, দাম যেহেতু কম সেহেতু ধান বিক্রি না করে বাড়িতে কয়েকদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন কৃষক। দাম বাড়লে সেসময় বিক্রি করার পরামর্শ দেন তিনি। তবে দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কৃষকের ধানের নায্য মূল্যে নিশ্চিত করতে হাটগুলোতে তদারকি বাড়ানো হবে।
(jagonews24)

আবারও ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ২০১৬ সালে ভালো গ্রাহকদের প্রণোদনা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাংক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কিন্তু ওই নির্দেশনা পরিপালন করেনি কোনো ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারে ভালো ঋণগ্রহিতা চিহ্নিতকরণের বিভিন্ন পদ্ধতি ও তাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, ভালো ঋণগ্রহিতাদের চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট হারে রিবেট দেয়ার মাধ্যমে তাদের প্রণোদনা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হলেও ভালো ঋণগ্রহিতারা ওই সুবিধা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। তাই ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি এখন থেকে নিশ্চিত করতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, কোনো গ্রাহক সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পূর্ববর্তী ৪টি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধ করলে তিনি ভালো গ্রাহক হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে তিনি ভালো গ্রাহক হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
অন্যদিকে মেয়াদি ঋণগ্রহিতার ক্ষেত্রে ঋণ হিসাব বিগত ১২ মাসের সব কিস্তি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হলে এবং সংশ্লিষ্ট বছরের সেপ্টেম্বর মাস ও পূর্ববর্তী ৪ ত্রৈমাসিকে অশ্রেণিকৃত-স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় থাকলে সংশ্লিস্ট গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কোনো ঋণগ্রহিতার একাধিক ঋণ থাকলে প্রতিটি ঋণের জন্য পৃথকভাবে উল্লেখিত শর্ত পরিপালন করলেই তিনি ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তবে সব ক্ষেত্রেই কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিগত ১২ মাসে কোনো গ্রাহক বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত ঋণ থাকলে ওই গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা প্রদানের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় অনুসরণ করতে হবে এ সংক্রান্ত নীতিমালাও সংযুক্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাস শেষে বিগত ১২ মাসে ভালো ঋণগ্রহিতার সংশ্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে আদায় করা সুদ বা মুনাফার ন্যূনতম ১০ শতাংশ রিবেট সুবিধা প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে প্রতিবছর গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে চিহ্নিত হলে একই রকম সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ভালো ঋণগ্রহিতার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ঋণ সুবিধাও প্রদান করা যাবে।
প্রতিটি ব্যাংকের পর্ষদে অনুমোদিত ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এ সংক্রান্ত সুবিধা প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি শাখায় তা সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
ভালো ঋণ গ্রহিতাদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃক কেইস টু কেইস ভিত্তিতে রিবেট হিসাবায়ন করতে হবে এবং ঋণগ্রহিতার প্রাপ্যতা অনুযায়ী প্রদান করতে হবে। এ সুবিধা পাওয়ার জন্য ঋণগ্রহিতার আবেদন করতে হবে না। ব্যাংক স্ব-উদ্যোগে এ সুবিধা দেবে।
ভালো ঋণগ্রহিতাদের ঋণতথ্য পরবর্তীতে স্ট্যান্ডার্ড থাকা সাপেক্ষে সিআইবিতে স্ট্যান্ডার্ড গুড ব্রোয়ারস (এসটিডি-জিবি) হিসেবে রিপোর্ট করতে হবে। তবে পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন ঋণগ্রহিতাদের জন্য এসব সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বলেও সার্কুলারে বলা হয়েছে।
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী ভালো ঋণগ্রহিতাদের বিশেষ সুবিধা যেমন রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট সুবিধা প্রদান করতে হবে।
সেরা ১০ জন ভালো ঋণগ্রহিতার ছবিসহ তাদের ব্যবসা সফলতার সংক্ষিপ্ত চিত্র ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করার পাশাপাশি স্বীকৃতি প্রদানসহ সম্মাননা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
(jagonews24)

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে দেশটির আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বিভিন্নস্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
কাশ্মীরের গত ৩০ বছরের সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বৃহস্পতিবারের এই প্রাণহানির ঘটনা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জেলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়ি বহরে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর থেকে কাশ্মীরে ব্যাপক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

হামলার জবাব দিতে যেকোনো ধরনের পদেক্ষেপ নেয়ার স্বাধীনতা দেশটির সামরিক বাহিনীকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকে প্রায় প্রত্যেকদিন কাশ্মীরের গ্রামে গ্রামে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে নিরাপত্তাবাহিনী। অনেক সময় সহিংসতার মুখোমুখিও হতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।

নিরাপত্তাবাহিনীকে মোদির এই বিশেষ ক্ষমতা দেয়ার পর পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে জঙ্গি আস্তানায় বিমান হামলা পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিলাপোরা গ্রামে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে পাকিস্তানি এক কমান্ডারসহ জয়েশ-ই-মোহাম্মদের তিন সদস্য ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়।
দিলাপোরা গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে; এমন তথ্য পাওয়ার পর সেখানে অভিযানে যায় সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামের রয়িস আহমদ দার নামের এক যুবককে একটি বাড়িতে তল্লাশির জন্য পাঠায়।

পরে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
তবে পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, জঙ্গিদের নির্বিচারে ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন আহমদ দার। তাকে তল্লাশি অভিযানে পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী।
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget