Latest Post

আগামী এক বছরের মধ্যে সারা দেশে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সেবা পৌঁছে যাবে। বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আজ রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চলমান চতুর্থ বিপিও সামিটের এক সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে অংশ নেয়া এক তরুণের প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের এখনও বেশিদিন হয়নি। আমাকে আর কিছুদিন সময় দাও। আগামী একবছরের মধ্যে দেশের সব জায়গায় টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। কারণ আমার নিজের সন্তানকেই তো আগে শক্তিশালী করতে হবে।
আজ সকালেই এই সামিটের উদ্বোধন হয়।
এসময় অনুকরণ না করে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
এতে ঘরে বসেই প্রান্তিক জনপদের মানুষ আয় করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুদিন ধরে চলা এই সম্মেলন আগামীকাল শেষ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত ‘বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং’, যাতে ধীরে ধীরে অবস্থান করে নিচ্ছে বাংলাদেশ। আইসিটি খাত থেকে গেলো বছরে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যার মধ্যে বিপিও থেকে এসেছে, ৩০ কোটি ডলারের বেশি। এতে ৫০ হাজারের মতো কর্মসংস্থান হয়েছে।
এসময় বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরি করে আগামীর লক্ষ্য অর্জনের কথা বলেন আইসিটি সংশ্লিষ্টরা।
(RTV)

 অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন বিখ্যাত তামিল অভিনেত্রী রাধিকা শরতকুমার। তিনিও শ্রীলঙ্কার সিনামন গ্রান্ড হোটেলে ছিলেন। বোমা হামলার কিছুক্ষণ আগেই তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কলম্বোর সিনামন গ্রান্ড হোটেল ত্যাগ করার পর পরই সেখানে বোমা হামলা হয়েছে। এই ভয়াবহতা বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা নিন্দনীয়। নিরপরাধ যেসব মানুষ প্রাণ হরিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।’
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের দিনে গির্জা, অভিজাত হোটেল ও রাজধানীর কলম্বোর বাইরে দুটিসহ মোট আটটি বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯০ জনে।
প্রায় এক দশক আগের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের পর দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ভয়াবহ এ হামলায় আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন।
দেশটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, গত এক দশক আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি বৃহত্তম সহিংস ঘটনা।
ধর্মীয় উগ্রবাদীরা এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান উইজিওয়ার্দেনা গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হলেও কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।এদিকে ভয়াবহ হামলার পর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ সহিংসতার কারণে দেশ ও দেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার ‘রবিবারের হামলার জন্য’ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব ক্ষমতা’ ব্যবহার করবে।
দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, হামলার সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষে গির্জায় প্রার্থনা চলছিল। হামলায় দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলেও সন্দেহ তাদের।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে কলম্বোর কোচ্চিকাদে এলাকার সেইন্ট নেগম্বোর সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের গির্জা এবং বাট্টিকালোয়ার জিয়ন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে বোমা হামলা চালানো হয়।
এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। হোটেলগুলো হচ্ছে শাং রিলা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবেরি হোটেল।
গির্জা ও অভিজাত হোটেলে হামলার পরে দেহিওলা গেস্টহাউজে সপ্তম এবং রাজধানী কলম্বোর অদূরে দেমাতাগোডায় অষ্টম বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জনগণকে ভীত না হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রিয় সংবাদ/রুহুল
(priyo)

আশুলিয়া (ঢাকা): শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, সাভারে বিসিক পরিচালিত বিশাল সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পনগরী আমরা শিগগিরই ব্যবসায়ীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবো। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি এখানে স্থানান্তরের পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে সমস্যা ছিল, সেটা দূর করেছি। আরও যে আধুনিকায়ন করা দরকার, তাও করব।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে আশুলিয়ার আমান স্পিনিং মিলসের একটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শর্ত হচ্ছে যেকোনো শিল্প কারখানার পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা। যারা এটাকে অমান্য করছেন তাদের বোঝাতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যারা বন্ধ রেখে সরকার ও এলাকাবাসীকে ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছেন তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট নজরদারি কমিটিকেও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. এনাম, আমান স্পিনিং মিলসের চেয়ারম্যান এম আমানুল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান তাহসিন আমান, ব্যবস্থাপনা পরিচাল তাহরিন আমানসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
(banglanews24)

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫০০ জন। সোমবার সকালে পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রবিবার রাতে ২০৭ জন নিহতের খবর দিয়েছিল পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন জানিয়েছেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবার পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান। তবে গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধন জানান, হামলায় নিহতদের মধ্যে ৩০ জন বিদেশিও রয়েছেন। দেশ এবং দেশের জনগণকে নিরাপদ রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করছে বলেও জানান রুয়ান বিজয়বর্ধন। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস দুর্ভাগ্যজনক এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সব অপরাধীকে যত দ্রুত সম্ভব হেফাজতে নেওয়া হবে। তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

কলম্বোর কোচিচিকাদের সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে কুতুয়াপিটায়ের সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চে। আর তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নেগোম্বো শহরের বাত্তিকালোয়া চার্চে। এছাড়া কলম্বোর তিনটি পাঁচতারকা হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠান চলার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঠিক কী কারণে কারা এ হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু নেগোম্বোতেই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনের কাছে অবস্থিত সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলের এক কর্মচারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, হোটেলের এক রেস্তরাঁয় বিস্ফোরণ ঘটানো হলে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছেন।
কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে রাজধানী কলম্বোর উত্তরে নেগোম্বো শহরের আরেকটি চার্চে। নিজেদের ফেসবুক পেজে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন ওই চার্চ কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে কুতুয়াপিটায়ের সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চের অভ্যন্তরে ছিন্নভিন্ন ছাদের ছবি দেখা গেছে। মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকার ছবিও দেখা গেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ শ্রীলঙ্কার মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দেশটির দুই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী তামিল ও সিংহলিজ উভয়ের মধ্যেই এই ধর্মাবলম্বীদের দেখতে পাওয়া যায়। এক দশক আগে গৃহযুদ্ধ অবসানের পর দেশটিতে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের মার্চে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সিংহলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মসজিদ ও সম্পত্তিতে হামলা শুরু করলে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
এদিকে উত্তেজনা ও গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দুইদিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বার্তা পাঠানোর অ্যাপস দেশটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে করে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো রোধ করা যায়। 
(dailyinqilab)

ভারতের অর্থনীতি, বিশেষ করে কৃষি এখনও বেশিরভাগটাই বর্ষার উপরে নির্ভরশীল। যে কারণে অর্থবর্ষের শুরুর দিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের দিকে তাকিয়ে থাকে বিভিন্ন মহল। সেই পূর্বাভাসই বলছে, এ বার বর্ষা হবে প্রায় স্বাভাবিক। বৃষ্টিপাত হতে পারে বড় মেয়াদের গড়ের (এলপিএ) ৯৬%। যার তারতম্য হতে পারে ৫%। অর্থাৎ খুব খারাপ হলেও বর্ষা হতে পারে স্বাভাবিকের তুলনায় ৯১%। যা শুধু কৃষি ক্ষেত্রই নয়, উৎসাহীত করছে বাজারকেও।

কৃষিতে ফলন কম হলে তার প্রভাব পড়ে মূল্যবৃদ্ধির উপরে। মূল্যবৃদ্ধি বাড়লে সুদ বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়, যা শিল্পের কাছে মোটেও কাম্য নয়। এই কারণেই দেশে এ বার স্বাভাবিক বর্ষা হতে চলেছে— এই খবরে গত সপ্তাহে শেয়ার সূচক বেড়ে নতুন নজির গড়েছে। বাজারের পক্ষে আরও একটি ভাল খবর হল, গত অর্থবর্ষে এ দেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৩৩,১০০ কোটি ডলারের পণ্য ও পরিষেবা। আগের বছরের চেয়ে ১১% বেশি। আশা, চলতি বছরে দেশের রফতানি বাড়তে পারে ২০%। 
অনেকে মনে করছেন, লোকসভা ভোটের পরে দেশে স্থায়ী সরকার তৈরি হলে বাজার আরও উপরে উঠতে পারে। কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে নেতিবাচক খবর থাকলেও, সব দিক থেকে ভারতই এখন বিনিয়োগের ভাল জায়গা বলে মত বিদেশি লগ্নিকারীদের। এই বিশ্বাসেই ভারতের বাজারে টানা টাকা ঢালছে তারা। এর পরে বর্ষা ঠিকমতো হলে আগামী দিনে সেনসেক্স ৪০,০০০ ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও তেমন ভাবে বাড়ছে না মিড ও স্মল ক্যাপ সংস্থার শেয়ারদর। ভবিষ্যতে সেখানেও উন্নতি চান লগ্নিকারীরা।
যদিও এরই মধ্যে কিছুটা হলেও চোখ রাঙাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি। খুচরোর পরে মার্চে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে  ৩.১৮%। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ২.৯৩%। আশা, বর্ষা ভাল হলে তা খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
আর্থিক ফল প্রকাশের পালা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। গত সপ্তাহে ফল জানিয়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে তাদের সার্বিক আয় দাঁড়িয়েছে ১,৫৪,১১০ কোটি টাকা। নিট মুনাফা হয়েছে ১০,৩৬২ কোটি। রিলায়্যান্স জিয়োর নিট মুনাফা ৬৫% বেড়েছে।
ওই সময়ে আরবিএল ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ৩৯% বেড়ে পৌঁছেছে ২৪৭ কোটিতে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ২৩% বেড়ে হয়েছে ৫,৮৮৫ কোটি। শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার পিছু ১৫ টাকা ডিভিডেন্ড দেবে তারা। আরও কিছু ফল প্রকাশিত হবে এই সপ্তাহে। ভোটের সঙ্গে নজর থাকবে সে দিকেও।
(ananazardab)

শ্রীলংকায় বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ৮ বছর বয়সী নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স। মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স আহত হয়ে কলম্বোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোববার রাতে পরিবারের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 


রোববার ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো গির্জা ও হোটেল মিলিয়ে ৮টি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

কলম্বোর একটি পাঁচতারা হোটেলে দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এমপির মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া।
(dailyinqilab)

বাজেট প্রণয়ন ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা ক্রমেই কমছে। বাজেট তৈরিতে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ মোট বাজেটের ৫ শতাংশ ধরলেও সরকার এখন নিজস্ব সম্পদ দিয়েই বাৎসরিক বাজেট তৈরি করছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে। গত কয়েক বছর ধরেই সরকার বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ মূল বাজেটের মাত্র পাঁচ শতাংশ হারে ধরেই বাজেট তৈরি করছে। যদিও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে কম হোক বেশি হোক বৈদেশিক সহায়তা অপরিহার্য। এর মধ্যে অনুদান ও ঋণ দুই ধরনের সহায়তাই রয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও অর্থ বিভাগ সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।


সূত্র জানিয়েছে, দেশের উন্নয়ন কর্ম-পরিকল্পনায় আর্থিক ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, যা সংগ্রহের দায়িত্ব প্ল্যান করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বা ইআরডি। একইসঙ্গে ইআরডি ঋণ প্রোফাইল ও বাজেট তৈরি, ঋণ পরিশোধ, ঋণের হিসাব সংরক্ষণ এবং সার্বিক বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বাজেটে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ক্রমেই কমিয়ে আনা হচ্ছে। এখন মাত্র পাঁচ শতাংশ ধরা হয়। নানা কারণে অনেক সময় সহায়তার এ অর্থ ছাড়ে জটিলতা হয়। এরপরও কোনও সমস্যা নেই। বাংলাদেশ এখন নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করছে। বংলাদেশ এখন সেই সমক্ষমতা অর্জন করেছে। তিনি জানান, আগামী বাজেটেও বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ৫ শতাংশ ধরেই বাজেট প্রণয়ন করা হতে পারে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছর মিলিয়ে মোট ১২ বছরে সরকার বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ৭৯ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের, বিপরীতে এই সময়ে ছাড় হয়েছে মাত্র ৩৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে হয়তো সহায়তা বাবদ পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্থ ছাড়ের এ পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ানো যেতো। তবে এতে বাজেট বাস্তবায়নে তেমন কোনও সমস্যাই তৈরি হয়নি।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক সহায়তা বাবদ পাওয়া মোট প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ৭৯ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদানের পরিমাণ ৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা শতকরা হিসেবে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ৭১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা শতকরা হিসেবে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আলোচ্য ১২ বছরে সহায়তা বাবদ দাতা দেশগুলো ছাড় করেছে মাত্র ৩৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শতকরা হিসেবে এ হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, শতকরা হিসেবে এ হার ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
ইআরডি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছর বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, যার পরিমাণ ২ হাজার ৯৩৫ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে জাপান। এই সময়ে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে জাপান থেকে বছরে বৈদেশিক সহায়তা প্রতিশ্রুতির গড় পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮১৩ দশমিক ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ১০ বছরে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির গড় পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ২৭৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ২০১৬-১৭ অর্থবছর, যার পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৯৬১ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইআরডি জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছর বৈদেশিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মোট ৯৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে অনুদান চুক্তি ৫০টি এবং ঋণ চুক্তি ৪৮টি এবং মোট ১৪ হাজার ৬১২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
সূত্র জানিয়েছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মোট বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ ৩৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শতকরা হিসেবে যা ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা শতকরা হিসেবে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ। গত ১০ বছরে বৈদেশিক সহায়তা ঝাড়ের গড় পরিমাণ ছিল ৩০৪৪ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ এই অর্থবছরই মোট ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ছাড় করা সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি এবং ওই অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নির্ভর করে সহায়তাকারী দেশ বা সংস্থার মর্জির ওপর। তারা টাকা ছাড়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত দেয়। ওই শর্ত পূরণ করা না করার ওপরই নির্ভর করে সহায়তার অর্থ ছাড় কি পরিমাণ হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শর্ত হচ্ছে ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়টি। এ তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে অর্থ ছাড় ত্বরান্বিত হয় বলে আমি মনে করি।’   
এ প্রসঙ্গে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়ের পরিমাণ খুবই সন্তোষজনক ছিল। আমার সময়কালের শেষ দুই বছর সর্বোচ্চ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ছাড়ের পরিমাণও ভালো ছিল। তবে এখন আর বৈদেশিক সহায়তার ওপর বাজেট তৈরি নির্ভর করতে হয় না। নিজস্ব সম্পদ দিয়েই বাজেট তৈরি সম্ভব।
(banglatribune)

আমরা অনুকরণ করবো না, আমরা উদ্ভাবন করবো– বিপিও ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য এই হোক আমাদের মূলমন্ত্র। রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হওয়া দুইদিনের বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন। এ সময় আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আর বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। আমরা আরও দ্রুত দেশের উন্নয়ন করতে চাই।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত দশ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রযুক্তি খাতকে গুছিয়ে এনেছে। এখন দ্রুতবেগে অগ্রগতির পালা। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছি। উন্নত দেশ হতে হলে প্রযুক্তি খাত থেকে আয় বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিপিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।


মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপিও খাতের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার বাজার গত ১০ বছরে ইতোমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এখনই সময়। এই খাতকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হলে এটি আমাদের দেশের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। ২০০৮ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কেবল গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যে ইন্টারনেট যেন নিরাপদ হয় সেজন্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেটে আমরা ইতোমধ্যে ফোরজি সেবা চালু করেছি; অচিরেই একে ফাইভজি’তে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এ হিসাবে তরুণদের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। বিপিও খাতে এখন বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। বর্তমানে বিপিও খাতে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে। আমরা যদি এই তরুণদের প্রশিক্ষিত করে এই খাতে কাজে লাগাতে পারি তাহলে খুব দ্রুতই বিপিও’র বিশ্ববাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
উদ্বোধন পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদসহ অতিথিরা সামিট প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ ২০১৯’। ২২ এপ্রিল সোমবার দুইদিনের জমজমাট এ আয়োজন শেষ হবে।
শেষ দিনের সেমিনার:
আগামীকাল সামিটের দ্বিতীয় দিন ২২ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনর’ শিরোনামে দিনের প্রথম আয়োজন। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিপিও: ইমাজিং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেন্ডস’ শিরোনামে সেমিনার। বেলকনি হলে সকাল ১১টার ‘হেলথ্ কেয়ার আউটসোর্সিং’ শিরোনামে সেমিনার। দুপুর ২টায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। সুরমা হলে অনুষ্ঠেয় ‘রুরাল বিপিও: দ্যা নিউ হরিজন অফ এম্পোলিমেন্ট ফর ইয়ং ভিলেজার্স অফ বাংলাদেশ’ সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ২টার সময় মেঘনা হলে শুরু হওয়া ‘অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অফ উইমেন ওয়ার্কিং ইন বিপিও’ শিরোনামের সেমিনারটি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯-এর সর্বশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বেলকনি হলে। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘আউটসোর্সিং টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’সেমিনার। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বলরুমে শুরু হবে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান।
সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে’র আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) ইত্যাদি।
সজীব ওয়াজেদ আরও বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে আইসিটি সেক্টরে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ দশভাগেরও কম। আমি চাই এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে। দশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেননি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সফলতার সঙ্গে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আইসিটি খাতে উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এবং এই উন্নয়ন অল্প খরচেই করে দেখাচ্ছি বলে জানান সজীব ওয়াজেদ।
(banglatribune)

এরকম কিছু কল্পনা করতেও ভাল লাগবে যেখানে আপনার সেল ফোনের ব্যাটারিটকে রি-চার্জ করার প্রয়োজনটা আর থাকবে না। অবিশ্বাস্য হলেও ব্যাপারটা সত্যি।



এ যাবতকাল গবেষকরা ইলেকট্রনের ঘূর্ণায়মান শক্তিকে মাত্র দু শতাংশ জোরালো করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, সান আন্টোনিও অর্থাৎ ইউটিএসএ,টির বিজ্ঞানীদের এই দল, ইলেকট্রনগুলিকে, গ্র্যাফিনের জ্যাকেটের মধ্যে ধরে, তার মধ্যে মৃদু শব্দতরঙ্গ চালিয়ে তার শক্তিকে বহুগুণ বর্ধিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই কাজে তারা স্পাটারিং মেশিন ব্যাবহার করছেন।
যদি এটি সফল হয়, প্রায়োগিক দিক থেকে যেটা শুধু সেলফোনের ব্যাটারির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিশেষত কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। ইলেকট্রনের উপরে বা নিচের ঘূর্ণনকে ব্যবহার করে, এই নতুন প্রযুক্তি, যার সাথে, বিজ্ঞানীরা কম্টিউটারের শূন্য (০) আর এক(১) বিটের অদ্ভুত সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছেন।
(dailyinqilab)

আইপিএলের প্লে-অফে খেলার আশা ক্রমশও ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর)। হয়তো সেই কারণে দলের ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেছেন কর্ণধার শাহরুখ খান।


গেল শুক্রবার ইডেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারের পর শনিবার টুইট করেছেন তিনি। তাতে লিখেছেন, কেকেআরের উচিত রাসেলকে কিছু ফিরিয়ে দেয়া। মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার আগে অন্তত কয়েকটি ম্যাচ জিতে।
শাহরুখের এ টুইটের কারণ আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত ফর্ম ও বাকিদের ব্যর্থতা। এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ জিতেছে কলকাতা। প্রতিটিতেই অগ্রণী ভূমিকা ছিল ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের। সবশেষ ম্যাচেও ২৫ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নাইটদের জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় শেষ হাসি হাসা হয়নি।
পয়েন্ট টেবিলে এখন ষষ্ঠ স্থানে কেকেআর। কোয়ালিফায়ারে যেতে হলে পরের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিততে হবে তাদের। শেষ পর্যন্ত দলটি কতদূর যায়-তাই দেখার।
(jugantor)

পরিবেশ সহায়ক পণ্য বানাতে কয়েক বছর ধরেই কাজ করে আসছে অ্যাপল। পণ্য রিসাইক্লিংয়েও জোর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সে লক্ষ্যে এবার নতুন আরেকটি আইফোন রিসাইক্লিং রোবট উন্মোচন করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ডেইজি নামের নতুন রোবটটি আইফোন রিসাইকল করতে কর্মীদের সহায়তা করবে। ঘণ্টায় ২০০ আইফোন খুলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশগুলো আলাদা করতে পারে রোবটটি। খবর বিডিনিউজের।
প্রতিষ্ঠানের আগের আইফোন রিসাইক্লিং রোবট লিয়ামের উন্নত সংস্করণ হলো ডেইজি। ২০১৬ সালে লিয়াম রোবটের ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল।



 নয়টি মডেলের আইফোন আলাদা করতে পারে ডেইজি। আইফোন খোলার পাশাপাশি যন্ত্রাংশ আলাদা করতে এবং এর থেকে আইসি খুলতে পারে এটি। ডেইজির সঙ্গে ‘গিভব্যাক’ নামে একটি সাময়িক প্রকল্পও চালু করেছে অ্যাপল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টোরে বা অ্যাপলের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিভাইস রিসাইকলের জন্য দিতে পারবেন গ্রাহক। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া প্রতি ডিভাইসের জন্য কনজারভেশনাল ইন্টারন্যাশনাল-কে অনুদানও দেবে অ্যাপল। সমপ্রতি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, তাদের সব স্থাপনা এখন শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে চলছে। বিশুদ্ধ শক্তি ক্রয় এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করেছে অ্যাপল। এক বিবৃতিতে অ্যাপল প্রধান টিম কুক বলেন, ‘আমাদের পণ্যে থাকা উপাদান দিয়েই যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু মাধ্যমে সীমাবদ্ধতাগুলো কাটানোর চেষ্টা করছি, আমরা এগুলো এমনভাবেই পুনর্ব্যবহার করছি, সরবরাহকারীদের সঙ্গে আমাদের কাজ হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তির নতুন সৃজনশীল ও এগিয়ে নেওয়ার মতো উৎস তৈরি করা কারণ আমরা জানি এর উপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যত।’
(dainikazadi)

বিশ্বকাপের হাওয়া বইছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের সর্বত্র। বিশ্বকাপের আবহটা সরগরম হতে পারছে না শেষ প্রান্তে চলে আসা ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের কারণে। আজ ও ২৩ এপ্রিল সুপার লিগের ম্যাচের মাধ্যমে শেষ হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এ প্রতিযোগিতা। অবশ্য লিগ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় দলের সিংহভাগ ক্রিকেটার ঢুকে যাবেন বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে।


আগামীকাল শুরু হবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপের ক্যাম্প। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগামীকাল সকাল ৯টায় রিপোর্ট করতে হবে ক্রিকেটারদের। মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে প্রথম দিনে থাকছে শুধু ফিটনেসের কাজ। তবে পরে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করতে পারেন ক্রিকেটাররা। আবার প্রিমিয়ার লিগে যাদের ম্যাচ থাকবে ২৩ এপ্রিল, তারা সেদিন ম্যাচও খেলবেন নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে।
ক্যাম্পের মূল কাজই হবে ইনডোরে। আর ইনডোর প্রস্তুত করার কাজ করছেন কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। গতকাল ইনডোরে চারটি উইকেট তৈরির কাজ করতে দেখা গেছে গ্রাউন্ডসম্যানদের। গামিনি ডি সিলভা যার তত্ত্বাবধান করেছেন। ইংলিশ কন্ডিশনের কথা বিবেচনা করে উইকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। উইকেটে বাড়তি ঘাস ব্যবহার করতে দেখা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত গ্রাউন্ডসম্যানরা ঘাস ছিটানো, রোল করার কাজ করেছেন। থাকবে বাউন্স, উইকেটও হবে জীবন্ত। যেখানে টাইগাররা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যাটিং, বোলিং করবেন।

ক্যাম্পের সময়ে ইনডোরের উইকেট ছাড়াও বোলিং মেশিনে ব্যাটিং করবেন মুশফিক-তামিমরা। এ সময়ে জাতীয় দলের বাইরে কোনো ক্রিকেটার সুযোগ পাবেন না ইনডোরে অনুশীলনের। ইনডোরের তত্ত্বাবধায়ক মোর্শেদ চৌধুরী গতকাল জানিয়েছেন, ড্রেসিংরুমে, বোলিং মেশিনসহ সবকিছু প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। জাতীয় দলের ক্যাম্পের কারণে আগামীকালের শবে বরাতের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ইনডোরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের ক্যাম্প উপলক্ষে ঢাকায় ফিরেছেন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের সদস্যরা। ঢাকায় ফিরেই কাজে নেমে পড়েছেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তামিম-মাহমুদউল্লাহদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন। হেড কোচ স্টিভ রোডসও ঢাকায় এসে ক্যাম্পের সব প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্পিন কোচ সুনীল যোশি, ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকও ক্যাম্প শুরুর আগেই ঢাকায় পৌঁছাবেন।
ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে না খেলা তামিম, মুশফিকরা নিয়মিত ব্যাটিং অনুশীলন করছেন বিসিবি একাডেমি মাঠে। রুবেল, মুস্তাফিজরা ফিটনেসের কাজ করছেন। সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরি কাটিয়ে বোলিং শুরু করেছেন রুবেল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা হয়ে গেছে। সাত ক্রিকেটার প্রথমবার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন। টপঅর্ডারে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণে বাদ পড়েছেন ইমরুল কায়েস। ফিটনেসের ঘাটতির কারণে তাসকিন আহমেদেরও ঠাঁই হয়নি বিশ্বকাপ দলে। তারা দুজন আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজের দলেও সুযোগ পাননি
(ittefaq)

তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তি সুবিধা নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইবার অপটিকস পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
দুই দিনব্যাপী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট-১৯ আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এই সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দশ বছরে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ আসার আগে এত উন্নয়ন কেউ চিন্তাও করে নাই। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর হওয়া।’
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘এতদিন দেশের সব উন্নয়ন ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বাকি গোটা দেশই ছিল অবহেলিত। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেই লক্ষ্য থেকে ২০টি ডিজিটাল হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হলো এবং সেগুলো দেশজুড়ে গড়ে তোলা হলো।'
এসময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু হাইটেক পার্ক নয়, সরকার সারা দেশে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে এই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সংযোগ বিস্তৃত করা হয়। এখন স্থানীয় সরকারের ক্ষুদ্রতম ইউনিট ইউনিয়ন পর্যায়েও তা ছড়িয়ে যাচ্ছে।’
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রমের উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘বিপিও ও হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ বছরে ৫০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। নারী ক্ষমতায়ন আমাদের আরেকটি অগ্রাধিকার। তাই এই ৫০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীর বাইরে আরও ১০ হাজার নারীকে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যদিও আগের ৫০ হাজারের মধ্যেও প্রায় ৩০ শতাংশই নারী।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ।


(dainikamadershomoy)

স্পোর্টস ডেস্ক : বিরাট কোহলির ডাক নাম কী? এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য লোকের অভাব হবে না ক্রিকেটমহলে। কোহলিকে যে ছোটবেলা থেকে ‘চিকু’ নামে ডাকা হয়, সংবাদমাধ্যমের দৌলতে এতদিনে তা জেনে গিয়েছেন সবাই। সম্প্রতি বিরাটকে কিং কোহলি নামেও ডাকতে শুরু করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে, শুক্রবার রাতে কোহলির নতুন এক ডাকনাম আবিষ্কার করেছেন ভক্তরা। এই মুহূর্তে সেই ডাকনাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ চর্চা হচ্ছে।


কোহলির নতুন এই ডাকনাম দিয়েছেন আরসিবিতে তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্স। চোটের কারণে শুক্রবার আইপিএলের ম্যাচে ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআরের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হয়নি এবি’র। মাঠের বাইরে বসেই তিনি দেখেন দলের জয়। তবে, ডি ভিলিয়ার্সকে আপ্লূত করেছে বিরাটের ব্যাটিং। মাঠে নামার আগে সাবেক প্রোটিয়া তারকাকে কোহলি কথা দিয়েছিলেন বড় ইনিংসের। শতরান করে সেই কথা রাখেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি।
ডাগ-আউটে বসে বিরাটের সেঞ্চুরি দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নতুন এক ডাকনামে সম্বোধন করেন এবি ডি। সেটা বেশ মজাদারই বটে। টুইটারে কোহলিকে ‘লিটল বিস্কুট’ নামে অভিহিত করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। কোহলির ‘লিটল বিস্কুট’ নাম মনে ধরেছে সমর্থকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
উল্লেখ্য, ইডেন গার্ডেন্সে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৫৮ বলে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন বিরাট। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর কোহলি শতরানে পৌঁছতে খরচ করেন আরো ১৭টি বল। মূলত বিরাটের ইনিংসের উপর ভর করেই আরসিবি দ্বাদশ আইপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়।-জি নিউজ
(amadershomoy)

চীনভিত্তিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ও ডিভাইস নির্মাতা হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের অভিযোগের তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। এ তালিকায় নতুন সংযোজন ঘটিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। সংস্থাটির অভিযোগ, চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংস্থা হুয়াওয়েকে অর্থের জোগান দেয়। অবশ্য এ অভিযোগ তাত্ক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে হুয়াওয়ে। খবর রয়টার্স।

প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সিআইএ অভিযোগ করেছে চীনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিশন, পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের একটি তৃতীয় শাখা থেকে অর্থ পেয়ে থাকে হুয়াওয়ে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইন্টেলিজেন্স-শেয়ারিং গ্রুপ ফাইভ আইজের সঙ্গে নিজেদের এমন ধারণা বিনিময় করে সিআইএ। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দা বিভাগ ফাইভ আইজের বাকি সদস্য।
বিবৃতিতে নিজেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ন্যূনতম প্রমাণ ছাড়া কোনো বেনামি সূত্রের অনর্থক অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করবে না হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে ছাড়াও সিআইএ এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে এমন একসময় নতুন অভিযোগ উত্থাপিত হলো, যখন কিনা ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ চলছে ও হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়বে। অবশ্য হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও এর প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের কন্যা মেং ওয়ানঝুকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে গত ডিসেম্বরে কানাডায় গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। যদিও ওয়ানঝুর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি কোনো ধরনের অন্যায় করেননি এবং তার বাবাও বারবার বলেছেন, গ্রেফতারের এ ঘটনা পুরোপুরি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নানা অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সতর্ক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, কেন্দ্রীয় তহবিল হারানোর ভয়ে হুয়াওয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বিভিন্ন শীর্ষ পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান। আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান জেডটিইও যুক্তরাষ্ট্রের একই ধরনের রোষানলের শিকার।
জেডটিই চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং ইরান ও উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পণ্য অবৈধভাবে পাচারের সময় ধরা পড়েছে, এমন অভিযোগ উত্থাপন করে কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞার জের ধরে গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই এ সময়ের মধ্যে জেডটিইকে বেশির ভাগ ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছিল। মোট ১৪০ কোটি ডলার জরিমানা দেয়ার বিনিময়ে এ নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পায় জেডটিই।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাগে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক বৈঠকে মিত্র দেশগুলোকে বিনিময়যোগ্য নিরাপত্তা ও নীতিমালা-বিষয়ক পদক্ষেপ গ্রহণে চাপ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ফাইভজি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে আধিপত্য করা হুয়াওয়ের জন্য আরো কঠিন হয়ে উঠবে।
(bonikbarta)

ইতালিতে বাংলা কমিউনিটিতে অবদানের জন্য সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেলেন নারী ব্যবসায়ী লায়লা শাহ। যিনি বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তারায় নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে গড়ে তুলেছেন দেশীয় বস্ত্র প্রতিষ্ঠান লায়লা ফ্যাশন।
সম্প্রতি ইতালির ভেনিসে প্রবাসে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইতালি প্রবাসী ২০ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে লন্ডন থেকে প্রকাশিত বাংলা কাগজ। লায়লা শাহ তার ভালো কর্ম দিয়ে কমিউনিটিতে বিভিন্ন সময় বিশেষ ভূমিকা রাখায় তাকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বাংলা কাগজ কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিটেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতাদের উপস্থিতিতে ইতালির ভাসমান জলকন্যা খ্যাত নগরী ভেনিস শহরে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা কাগজ কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড ২০১৯। অনুষ্ঠানে ইতালির বাংলা কমিউনিটির মধ্যে নানা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সফল বাংলাদেশিদের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট বিশটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
বিশজনের মধ্যে লায়লা শাহ অন্যতম একজন যিনি নারী ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন মহিলা সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে বাংলা কমিউনিটিতে বিভিন্ন সময়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
অ্যাওয়ার্ড পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে লায়লা শাহ বলেন, প্রবাসে বাংলা কমিউনিটিতে মূলত সুন্দর একটি সমাজ গড়ার জন্য ইতালিতে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে কাজ করছি। সেই ২৬ বছরের সুন্দর ও ভালো কাজের অবদান হিসেবে বাংলা কাগজ আমাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এর ফলে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। তাই আমাকে দেওয়া এ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড বাংলা কমিউনিটিকে উৎসর্গ করলাম।
(jagonews24)

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে যেন কথার লড়াইয়ে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার ফের তারা একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। মোদির এক নির্বাচনী বক্তৃতার প্রেক্ষিতে মমতা বলেছেন, হারের আতঙ্কে ভুগে ভুল বকছেন মোদি।

শনিবার মমতার প্রথম নির্বাচনী জনসভা ছিল নদিয়ার পানিঘাটায়। সেখানেই মোদির বুনিয়াদপুরের বক্তব্যের জবাব দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ‘কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হয়। উনি হারাতঙ্কে ভুগছেন। আর রোজ ভুলভাল বকছেন।’
লোকসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে মমতা আর ক্ষমতায় থাকবেন না বলে মোদি যে হুঙ্কার দিয়েছেন, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেছেন, ‘এটা বাংলার নির্বাচন নয়। দিল্লির নির্বাচন। নিজে কী করেছো, তা বলছো না। পাঁচ বছর ঘুরে বেড়িয়েছ। আগে পাঁচ বছরের হিসেব দাও। তার পর ভোট দেব।’
রাজ্য নিয়ে মমতা তার আত্মবিশ্বাস আছে জানিয়ে বলেন, ‘এখানে এলে মোদিকে সরপুরিয়া দেবো। কাঁচাগোল্লা দেব। মিহিদানা দেব। আমরা অতিথি এলে খাওয়াই। কিন্তু ভোট দেব না। আপনারাও ভোট দেবেন না।’
শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদিকে ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। গতকালও তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উড়িষ্যা আর উত্তর-পূর্বে বিজেপি হারবে। ত্রিপুরার একটি আসন না হয় জিতল। অন্ধ্রপ্রদেশে শূন্য, তামিলনাড়ুতে গোল্লা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও গোল্লা পাবে। উত্তরপ্রদেশে এ বার ১৩টি আসনও পাবে না।’
মমতা আরও বলেন, ‘দুই কোটি ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেছে। মোদি বাবুর জবাব চাই। সবার পকেটে ১৫ লাখ টাকা দেবেন বলেছিলেন। কালো ধন নিয়ে এসে। দিয়েছেন কি?’
কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘বাংলার মাটি রবীন্দ্র-নজরুলের মাটি। এ মাটি দাঙ্গা সহ্য করে না। এখানে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না।’
পশ্চিমবঙ্গে পুজো হয় না বলে মোদির অভিযোগের জবাবেব তিনি বলেন, ‘এখানে দুর্গাপুজো হয়, রাস উৎসব হয, লক্ষ্মীপুজো, ঈদ, সরস্বতীপুজো সবই হয়। চৈতন্যদেবও আছেন। মিথ্যা বলার একটা সীমা আছে।’
(jagonews24)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget