Latest Post

দৈনিকসিলেটডেস্ক: এ বছরের জুলাই থেকে পর্নোগ্রাফির ওপর বৃটেনের নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ১৫ই জুলাই থেকে কোনো ব্যক্তি পর্নো দেখতে চাইলে, তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তার বয়স প্রকৃতপক্ষেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। অন্যথায়, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত কনটেন্ট তার জন্য ব্লক করা হবে। তবে সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে নাগরিকদের ডিজিটাল অধিকার রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। খবরে বলা হয়, নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, যে কোনো বাণিজ্যিক পর্নো ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই করার শক্তিশালী ব্যবস্থা সংযুক্ত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে, তা নিশ্চিত করতে এখন ব্যবহারকারীদেরকে নিজের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। অন্যথায়, নির্ধারিত এজেন্টদের কাছ থেকে পাস কিনে নিতে হবে।

সরকার অবশ্য বলছে, বয়স প্রমাণ করার আরো অনেক পন্থা থাকবে। শুধুমাত্র বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বলে দিলেই হবে না। যদি কোনো পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট এই নিয়ম বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদেরকে যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো পেমেন্ট সেবা পরিচালনা করতে দেয়া হবে না। সরকারের যুক্তি, ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট দেখে শিশুদের মনন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্যই এই নতুন বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। বৃটেনের ডিজিটাল মন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট এখন ইন্টারনেটে এত বেশি যে, শিশুরা খুব সহজেই অনলাইনে সেগুলো পাচ্ছে। বাধ্যতামূলক বয়স যাচাইকরণের যেই পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি আমরা, সেটি বিশ্বে এই প্রথম। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সম্পর্কিত উদ্বেগ ও পর্নোগ্রাফির গ্রাস থেকে শিশুদের রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা- এই দু’য়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে আমরা যথেষ্ট সময় ব্যয় করেছি। আমরা চাই যুক্তরাজ্য হবে শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। এই নতুন আইন আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’
 তবে ডিজিটাল অধিকার রক্ষা কর্মীরা এই নতুন বিধানের কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, নতুন আইনের ফলে ইন্টারনেটের ওপর বড় ধরণের সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হলো। যারা এই নিয়ম মেনে নিজের বয়স প্রমাণ করতে যাবেন, তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। ওপেন রাইটস গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জিম কিলক বলেছেন, ‘সরকারের উচিত মানুষের গোপনীয়তা যাতে সুরক্ষিত রাখা হয় সেজন্য কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা। এসবকে ‘ঐচ্ছিক’ হিসেবে বিবেচনা করাটা বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার শামিল।’ তিনি আরো বলেন, নতুন আইনের ফলে প্রতারকরা অনেক সুবিধা পাবে। কোনো কারণে তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে তা হবে বিপজ্জনক। এর জন্য দায়ী হবে কেবল সরকার। তার ভাষ্য, ‘সরকারকে অবশ্যই আগে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি সুরক্ষিত করতে হবে ও আইনের আওতায় আনতে হবে। নয়তো পরে সরকারের এই নীতির কারণেই অনেক মানুষের পরিচয় প্রকাশ হয়ে যেতে পারে, ক্যারিয়ার বিনষ্ট হবে, এমনকি অনেকে আত্মহত্যায়ও প্ররোচিত হতে পারে।’Facebook
(dainiksylhet)

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের হৃদয়ে বাস করেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসী বন্ধু’ বলেই প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন। আমি জানি প্রবাসীদের অনেক সমস্যা রয়েছে। আর তাই প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মালয়েশিয়ায় সেন্টার ফর এনআরবি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্যাসিফিক রিজেন্সি অভিজাত হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান তার বক্তব্য বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা লগ্নে মুক্তি সংগ্রামসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও রাজনৈতিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব নীতির ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসতে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে দেশের বিভন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে।সম্মেলনে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রবাসীদের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের অবদান অপরিসীম। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিরা সম্মানের জায়গা করে নিয়েছেন।
সম্মেলনে আলোচক হিসেবে ছিলেন-ডিজি এন আইডি ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম এনডিসি পিএসসি, মালয়েশিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল কুদ্দুছ, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার সৈয়দ সাদিক রেজা, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।‘দায়িত্বশীল নাগরিক-সম্মৃদ্ধ দেশ’ শিরোনামে ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ ২০১৯ এর সভা পরিচালনা করেন মালয়েশিয়ার কোতা দামানসারা সেগী ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন সাবা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর এনআরবি চেয়ারপারসন এস এম সেকিল চৌধুরী।
সম্মেলনে প্রবাসীদের সমস্যা ও সম্ভাবনার প্রস্তাব তুলে ধরেন, কমিউনিটি নেতা মাহবুব আলম শাহ, পিএইচডি গবেষক মো. আব্দুর রৌফ শিপলু, কমিউনিটি নেতা সোনাহর আলী রশিদ খাঁন, সাংবাদিক আমাদুল কবির, সাংবাদিক ওয়াহিদ সোহান, এনামুল হক প্রমুখ।

(jagonews24)

সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তিনদিনের সরকারি সফরে ব্রুনাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১০৪৫ ফ্লাইটে ব্রুনাইয়ের দারুসসালামের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার ব্রুনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এসময় সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স (যুবরাজ) আল-মুহতাদি বিল্লাহ বলকিয়া।

বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে প্রধানমন্ত্রীকে নেওয়া হবে সফরকালীন আবাসস্থল এম্পায়ার হোটেল অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ারসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে দুই দেশের মধ্যে কৃষি, সংস্কৃতি ও শিল্প, যুব ও ক্রীড়া, মৎস্য, পশু সম্পদ, জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে।
সফরের প্রথমদিন রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হোটেলের বলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন টানা তিনবারসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাতে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরের দ্বিতীয়দিন সকাল ১১টায় ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নুরুল ইমানের চেরাদি লায়লা কেনচানায় সুলতান বলকিয়া ও রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হবে তিনি।
এরপর সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ব্রুনাই ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর জামে আসর মসজিদ পরিদর্শনে যাবেন তিনি। সেখানে আসরের সালাত আদায় করবেন শেখ হাসিনা। রাতে সুলতানের সরকারি বাসভবন ইস্তানা নুরুল ইমানে সুলতান বলকিয়ার দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরের শেষদিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ব্রুনাইয়ের কূটনৈতিক এলাকা জালান কেবাংসানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে তিনি রয়েল রেজালিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
সফর শেষে এদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৬ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
(dailyinqilab)

বিশ্বকাপ চলাকালীন স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে রাখতে পারবেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। অবশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যদিও প্রথমে শোনা গিয়েছিল, এবারের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নিতে পারবেন সরফরাজরা। তবে শনিবার সেই সম্ভাবনা বাতিল করেছে পিসিবি।পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে খেলায় খেলোয়াড়দের মনোযোগ ধরে রাখতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আগামী ৩০ মে পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের। এর আগে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ রয়েছে পাকিস্তানের। দুই টুর্নামেন্টের উদ্দেশে আগামী ২৩ এপ্রিল দেশটির বিমান ধরবেন সরফরাজ বাহিনী।

ইংলিশদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে ৮৩ দিনের দীর্ঘ সফর। অবশ্য ইংল্যান্ড সিরিজে ক্রিকেটাররা চাইলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে যেতে পারবেন। তবে পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতসহ থাকা-খাওয়ার সমস্ত খরচ তাদেরই ব্যক্তিগতভাবে বহন করতে হবে। এই খরচের কানাকড়িও দেবে না পিসিবি। অধিকন্তু বিশ্বকাপ ক্যাম্পে ঢোকার আগেই তাদের বিদায় জানাতে হবে।
সাধারণত বিদেশ সফরে পরিবার সঙ্গে রাখতে ক্রিকেটারদের অনুমতি দেয় পাক বোর্ড। কারণ, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না। ফলে বছরের বেশিরভাগ সময়ই তাদের বাইরে থাকতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের স্ত্রী, বাচ্চাকাচ্চাদের খরচও বহন করে বোর্ড। তবে বিশ্বকাপে এর ব্যত্যয় ঘটছে।
গেল বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের জন্য ১৫ এবং ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এর পর গেল শুক্রবার সেসব ক্রিকেটারদের ইসলামাবাদের বানি গালার সরকারি বাসভবনে ডাকেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। দীর্ঘ বৈঠকে তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি।
(jugantor)

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখন পুরো দেশের দায়িত্ব সামলাছেন ইমরান খান। তবে দিনশেষে তিনি একজন ক্রিকেটারই। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নিয়ে চিন্তিত বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
উদ্বিগ্ন হওয়াটাও যুক্তিসঙ্গত। সামনে বিশ্বকাপ অথচ এর আগে দল ফর্মে নেই। এরই মধ্যে বৈশ্বিক আসরের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সঙ্গত কারণে অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে তো চলবে না। সামনে আগাতে হবে। তাই বর্তমান ক্রিকেটারদের আশীবার্দ করেছেন ইমরান খান।

এক সাক্ষাৎকারে দলটির প্রত্যেক সদস্যকে শুভকামনা জানিয়ে সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, পুরো জাতি তোমাদের জন্য প্রার্থনা করছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার গর্বই আলাদা। তোমরা জাতীয় দূত। তোমাদের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছেন। তোমাদের ওপর ভরসা করে আছেন।
এতেই ক্ষ্যন্ত হননি ইমরান খান। একইসঙ্গে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে কীভাবে সফল হওয়া যায়, সেই টোটকাটাও বাতলে দিয়েছেন তিনি। তর্কযোগ্যভাবে পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকা বলেন, একজন চ্যাম্পিয়ন ময়দানি লড়াইয়ে নামে দৃঢ় আত্মপ্রত্যয় ও পরিকল্পনা নিয়ে। জয়ের জন্য দলীয় স্পৃহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদের প্রতিভা, খেলোয়াড়ি মনোভাব ও নৈপুণ্য দিয়ে পাকিস্তানের নাম উজ্জ্বল করো।
আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে গড়াবে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয় করা পাকিস্তান বিশ্বমঞ্চে অপ্রত্যাশিত কিছু করে দেখাবে, এমনটাই চাওয়া ভক্ত-সমর্থকদের।
(jugantor)

রাজশাহী:
 বৈশাখী ঝড়-ঝঞ্ঝার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে রাজশাহীর প্রকৃতি। আগুন ঝরানো আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি দশা। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রায় একই তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সেজন্য প্রকৃতির একটু শীতল পরশের জন্য এখন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। 
বৈশাখের দিন যত গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই বাড়ছে। দিনভর সূর্যের অগ্নিবান আর লু হাওয়া, রাতের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার। বৃষ্টির জন্য পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে যেনো হাহাকার পড়ে গেছে। 

আগুন ঝরানো সূর্যের তাপে বর্তমানে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র রোদে পুড়ছে বরেন্দ্রর মাটি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় থেকে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
সাধারণত তাপপ্রবাহ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ফলে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 
জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ থাকলেও বিকেলে তা কমে দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে। ফলে তাপদাহে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। 
ভারী বৃষ্টিপাত না হলে এই তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান আবহাওয়াবিদ রাজীব খান।
(বৈশাখের দিন যত গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই বাড়ছে। দিনভর সূর্যের অগ্নিবান আর লু হাওয়া, রাতের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার। বৃষ্টির জন্য পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে যেনো হাহাকার পড়ে গেছে। 

আগুন ঝরানো সূর্যের তাপে বর্তমানে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র রোদে পুড়ছে বরেন্দ্রর মাটি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় থেকে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 
সাধারণত তাপপ্রবাহ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ফলে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 
জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ থাকলেও বিকেলে তা কমে দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে। ফলে তাপদাহে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। 
ভারী বৃষ্টিপাত না হলে এই তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান আবহাওয়াবিদ রাজীব খান।
(banglanews24)

ঢাকা:
 ডেটা সায়েন্স ও মেশিন লার্নিংয়ে দক্ষতা ও প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে আয়োজিত দেশের প্রথম ডেটাথন প্রতিযোগিতা সফলভাবে শেষ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাব্যাপী এই ডেটাথন প্রতিযোগিতায় ডেটা বিজ্ঞানী ও ডেটা প্রকৌশলী মিলে মোট ৮৪ জন প্রতিযোগী ২১টি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। দেশের শীর্ষ ডিজিটাল সেবাপ্রদানকারী কোম্পানি রবি এ আয়োজন করে।ডেটাথনের আয়োজনে রবির পার্টনার হিসেবে ছিলো গুগল এবং কারিগরি সহায়তায় আজিয়াটা অ্যানালিটিকস।

গত ১৯ ও ২০ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতাটি শনিবার (২০ এপ্রিল) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রবি’র হেড অব কর্পোরেট স্ট্র্যাটেজি রুহুল আমিন। এ সময় রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকরা ইন্সটিঙ্কট দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন। এ দলের সদস্য হিসেবে ছিলেন আবু মোহাম্মদ সাব্বির খান, ইশফাক জামান, নুরেন শামস ও শরিফুল ইসলাম ফয়সাল। ডেটাথনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বেস্ট ফিটেড এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে আউটলায়ারস দল।
অন্যদিকে, দেশে আয়োজিত প্রথম ডেটাথনে সেরা ডেটা বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইশফাক জামান ও নুরেন শামস এবং সেরা ডেটা প্রকৌশলী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. কাইফ হোসেন ও পরিমল চন্দ্র।
বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে দুই লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল পেয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী দল পেয়েছে এক লাখ টাকা। দুই জন সেরা ডেটা বিজ্ঞানী ও দুইজন সেরা ডেটা প্রকৌশলী প্রত্যেকে পেয়েছেন এক লাখ করে টাকা। প্রতিযোগিতায় মোট ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হয়।
চূড়ান্ত পর্বের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন টিএম ফোরাম’র অ্যাম্বাসেডর ফর বিগ ডেটা এনালিটিকস অ্যান্ড কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অধ্যাপক পল মরিসন, রবি’র হেড অব আইটি আসিফ নাইমুর রশিদ, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. সোহেল রহমান এবং হেড অব আজিয়াটা এনালিটিকস পেড্রো উরিয়া রেসিও।
সেমি-ফাইনাল পর্বের বিচারক হিসেবে ছিলেন বুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিফ হাসান রহমান ও মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, আজিয়াটা’র চিফ ডেটা সায়েন্টিস্ট ড. কিরাতপাল সিং, এশিয়া স্কুল অব বিজনেস’র অধ্যাপক উইলেম স্মিত, রবি’র এন্টাপ্রাইজ বিজনেস ইন্টেলিজেন্স’র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিব মুসতাবসির এবং রিসোর্সিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ পারভেজ।
ডেটাথন প্রতিযোগিতায় অংশগহণের জন্য নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৫ মার্চ। এরপর আজিয়াটা এনালিটিকস’র দেয়া নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে মূল্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আগ্রহী প্রার্থীরা। মূল্যায়ন প্রশ্নোত্তরের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্তপর্বে অংশগ্রহণের জন্য ৮৪ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয়।
এরপর আয়োজকরা বাছাইকৃত প্রার্থীদের তালিকা থেকে চারজন করে এক একটি দল গঠন করেন। চূড়ান্তপর্বে মোট ২১টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ডেটা সায়েন্স সম্পর্কিত নানা সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়। এরপর নির্ধারিত কয়েকটি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি দলের যোগ্যতা যাচাই করেন বিচারকরা।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন প্রতি মুহূর্তে যে পরিমাণ ডেটা তৈরি হচ্ছে তাতে আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা আছে; হয় আমরা অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবো অথবা ডেটার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করবো। আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক হচ্ছে দ্বিতীয় পথ বেছে নেয়ার জন্য আমাদের যথেষ্ট জনশক্তি আছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে ১ হাজার ডেটা সায়েন্টিস্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের। এসময় রবি ডেটাথনের মতো উদ্যোগ হাতে নিয়ে আমাদের কাজকে আরো সহজ করে দিয়েছে।
রবি’র সিইও বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির চালিকা শক্তি হচ্ছেন ডেটা বিজ্ঞানী ও ডেটা প্রকৌশলীরা। তারা সেই ব্যক্তি যারা কোন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ডেটাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে রূপান্তর করেন। সরকারি নীতিনির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তারা। তাই দেশে প্রথমবারের মতো ডেটাথন আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশে ডেটা বিজ্ঞানী ও ডেটা প্রকৌশলীদের একটি কমিউনিটি গড়ে উঠবে যারা ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে সহায়তা এবং তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ব দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/এমজেএফ
(banglanews24)

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা করতে আবেদন জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান চায়না মোবাইল। এতে আপত্তি জানিয়েছে মার্কিন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)। সংস্থাটির দাবি চায়না মোবাইলকে কার্যক্রম পরিচালনায় অনুমতি দেয়া হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে। খবর এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চেয়ে ২০১১ সালে আবেদন করে চায়না মোবাইল। এফসিসির চেয়ারম্যান অজিত পাইয়ের বিবৃতিতে চায়না মোবাইলকে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে নিরুৎসাহী করা হয়েছে। এফসিসির উদ্যোগ সফল হলে দীর্ঘ আট বছর ধরে চায়না মোবাইলের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হবে।
গ্রাহকসংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর চায়না মোবাইল। গত ফেব্রুয়ারির হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহকসংখ্যা ৯৩ কোটিতে পৌঁছেছে।
আগামী মাসে ডেমোক্র্যাটস ও রিপাবলিকান মিলিয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এফসিসির কমিটিতে এ বিষয়ে ভোট নেয়া হবে। সেখানে এফসিসির নির্দেশের পক্ষে ভোট পড়লে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়না মোবাইলের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে।
তিনি জানান, অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার উপস্থাপন করা প্রমাণাদির মাধ্যমে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে চায়না মোবাইলের আবেদন বাস্তবিক অর্থে জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন প্রণয়নে ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
(bonikbarta)

বিষয়টা ভীষণ দৃ‌ষ্টিকটু লে‌গে‌ছে। সারেগামাপায় আজ নো‌বেল‌কে এক বিচার‌কের কমন নম্বর দেয়া আমার ভীষণ দৃষ্টিকটু লে‌গে‌ছে। মাথার ভেতর খচখচ কর‌ছে। এমন হ‌লে না লেখা পর্যন্ত আমার স্ব‌স্তি হয় না। তাই লিখ‌ছি। পাশাপা‌শি সারেগামাপা কর্তৃপ‌ক্ষের দৃ‌ষ্টি আকর্ষণ কর‌ছি।প্রথ‌মেই ব‌লি আ‌মি টি‌ভি দেখা প্রায় ছে‌ড়ে দি‌য়ে‌ছি। একসময় কলকাতার দর্শকরা বাংলা‌দেশের অনুষ্ঠান দেখ‌তো, এখন বাংলা‌দে‌শের দর্শকরা ভারত বা কলকাতার অনুষ্ঠান দে‌খে। টি‌ভি না দেখ‌লেও আমি গান শু‌নি। আর সেই কার‌ণে অ‌নিয়‌মিত হ‌লেও প্র‌তি শ‌নিবার ও রোববার রা‌তে সারেগামাপা দে‌খার চেষ্টা ক‌রি। অ‌নেক সময় পা‌রি না। অনেক সময় পা‌রি। যখন পা‌রি তখন আমার কা‌ছে গা‌নের এই অনুষ্ঠানটাকে ম‌নে হয়, সপ্তায় ঘন্টাখা‌নে‌কের স্ব‌স্তি বা রিল্যা‌ক্সেশ‌ন। আর তাই সেখা‌নে কোনো অসামঞ্জস্য দেখ‌লে ব্য‌থিত হই।‌ আজ যেমন হ‌য়েছি।

বাংলা‌দেশের যারা সা‌রেগামাপা দে‌খেন তা‌দের সবার নিশ্চয়ই বাংলা‌দে‌শি শি‌ল্পি নো‌বে‌লের গান ভা‌লো লা‌গে। ত‌বে বল‌তে দ্বিধা নেই সা‌রেগামার চূড়ান্ত প‌র্বে এখন যারা আছেন তাদের সবার গান অসাধারণ। যে কেউ প্রথম দ্বিতীয় হ‌তে পা‌রেন। কিন্তু বিচারক‌দের যেন কারও প্র‌তি পক্ষপা‌তিত্ব না থা‌কে যেমনটা আজ‌কে দেখলাম।
নো‌বেল বরাবরের ম‌তোই অসাধারণ গান গাই‌লো। মহী‌ন ঘোড়াগু‌লির তারারাও যতো আলোকবর্ষ দূরে গানটা এম‌নি‌তেই ভা‌লো গাইলো পাশাপা‌শি সুম‌নের সা‌থে মা‌ঝি দে পাল তু‌লিয়া গানটাও অসাধারণ গাইলো। অনুষ্ঠা‌নের তিনজন বিচারকই নো‌বে‌লের গা‌নের প্রশংসা কর‌লেন। অন্য‌দি‌কে সুম‌নের কিছুটা সমা‌লোচনা কর‌লেন। অথচ কী অবাক কাণ্ড সুমন আর নো‌বেল‌কে একই পাল্লায় মে‌পে দুজ‌নেকই ১০ এ ৯ দি‌লেন সম্মা‌নিত বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য।
(jugantor)

কলকাতায় নায়ক রাজ রাজ্জাক আজীবন স্বীকৃতি সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কবরী সারোয়ার। শনিবার রাতে কলকাতার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একই অনুষ্ঠানে আরেক কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কেও দেয়া হয় আজীবন সম্মাননার স্বীকৃতি।


অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগীতের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন, মুগ্ধ করে দর্শকদের। কলকাতার নানা শ্রেণি-পেশার আমিন্ত্রত অতিথিদের সারিতে তখন বসে বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীরও। মঞ্চে প্রথমে আজীবন সম্মননা তুলে দেয়া হয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে।

এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দীর্ঘ দিনের সহ-অভিনেতা নায়ক রাজ রাজ্জাকের নামের আজীবন সম্মাননা তুলে দেয়া হয় অভিনেত্রী কবরী সারোয়ারের হাতে।

গত বছর এই একই পুরস্কার পেয়েছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, তাই তিনি এবার ছিলেন বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করে অবদানের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি সম্মাননা দেয়া হয় বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার আহমদ আকবর সোহাবানকেও। যদিও তার পক্ষে এই সম্মানা গ্রহণ করে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। পশ্চিমবঙ্গের বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অব কর্মাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

(somoynews)

প্রিয়.কম) দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ২১ এপ্রিল, রবিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’।
ওই দিন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দুই দিনের এই বিপিও সামিট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. বি. এম. আরশাদ হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, বাক্যের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকরি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ২২ এপ্রিল, সোমবার দুই দিনের জমজমাট এ আয়োজন শেষ হবে।
চতুর্থ বিপিও সামিটের যত আয়োজন
এবারের আয়োজনে দুই দিনে মোট ১৩টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ২১ এপ্রিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দুপুর ২টায় বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও অ্যাজ এ ক্যারিয়ার ফর ইয়ুথ অ্যান্ড লেভারাজিং বিপিও ফর ইমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার।
একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘গভর্নমেন্ট প্রসেস আউটসোর্সিং স্টেপস ফরওয়ার্ড’ সেমিনার। দুপুর ২টায় মেঘনা হলে অনুষ্ঠিত হবে বিপিও সামিটের ‘অন স্পট জব ইন্টারভিউ ফর নিউ ইন্টার্নস’ শিরোনামে নতুন চাকরির প্রার্থীদের জন্য একটি আয়োজন।
একই সময় বেলকনি হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘এক্সেস টু ফিন্যান্স ফর বিপিও ইন্ডাস্ট্রি ’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক। চিত্রা হলে দুপুর ২টায় শুরু হবে প্রথম দিনের প্রথম পর্বের শেষ সেমিনার ‘বি২বি নেটওয়ার্কিং সেশন’।
বিকেল ৪টা ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ডায়লগ উইথ দ্য স্টুডেন্টস অন লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল ক্যারিয়ার ইন দ্য অ্যারা অব ফোরআইআর’ শীর্ষক সেমিনার। বিকেল সাড়ে ৪টায় সুরমা হলে ‘অ্যাচিবিং সিঙ্গেল ডিজিট ইন্টারেস্ট রেট থ্রো আউটসোর্সিং’ শিরোনামে রাউন্ড টেবিল আলোচনা। একই সময় বেলকনি হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্রিজিং ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড বিপিও ইন্ডাস্ট্রি জব স্কিল রিকোয়েরমেন্ট’ নামে দিনের শেষ আয়োজন।
দ্বিতীয় দিন ২২ এপ্রিল, সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্টারপ্রেনিওর’ শিরোনামে দিনের প্রথম আয়োজন। একই সময় সুরমা হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিপিও: ইমাজিং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেন্ডস’ শিরোনামে সেমিনার। বেলকনি হলে বেলা ১১টার ‘হেলথ্ কেয়ার আউটসোর্সিং’ শিরোনামে সেমিনার।
দুপুর ২টার সময় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। সুরমা হলে অনুষ্ঠেয় ‘রুরাল বিপিও: দ্য নিউ হরিজন অব ইমপ্লয়মেন্ট ফর ইয়ং ভিলেজার্স অব বাংলাদেশ’ সেমিনারটি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২টার সময় মেঘনা হলে শুরু হওয়া ‘অপোরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব উইমেন ওয়ার্কিং ইন বিপিও’ শিরোনামের সেমিনারটি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯-এর সর্বশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বেলকনি হলে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘আউটসোর্সিং টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস’ সেমিনার এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বলরুমে শুরু হবে চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান।
আয়োজনের লক্ষ্য
বিপিও সামিট ২০১৯ সম্পর্কে আয়োজকরা জানান, দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন।
প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব-দরবারে ইতোমধ্যে পরিচয় পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতকে কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে এবং সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে।
বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। এ ছাড়া আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা, পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে। সময়ের আলোচিত সেবা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গত তিন বারের সফল আয়োজনের পর এবার আরও বড় পরিসরে বিপিও সামিট আয়োজন করা হবে। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।
স্পিকার ও সেমিনার
এবারের আয়োজনে ৪০ জন স্থানীয় স্পিকার, ২০ জন আন্তর্জাতিক স্পিকার অংশগ্রহণ করবেন। এবারের বিপিও সামিটে ১৩টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনের মূল আয়োজনের আগে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজনে সহযোগী
সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে’র আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর আয়োজনে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)-সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
প্রিয় প্রযুক্তি/আজাদ চৌধুরী

প্রিয়.কম) দুই পর্নো স্টার সানি লিওন এবং মিয়া খলিফার নাম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শংকর চক্রবর্তীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাকে।
২০ শনিবার, এপ্রিল রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয় প্রকাশ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের বহু নির্বাচনি অংশের দুটি প্রশ্নের উত্তরে চারটি অপশনের একটিতে দুই পর্নো স্টার সানি লিয়ন এবং মিয়া খলিফার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে এমন অসংলগ্নতায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রশ্নপত্রে কীভাবে পর্নো তারকার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়, তা দেখে রীতিমতো হতবাক অভিভাবকরা।
একটি বহু নির্বাচনি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী? এই প্রশ্নের সম্ভাব্য যে চারটি উত্তর দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পর্নো তারকা মিয়া খালিফার নাম! তবে তার নাম লেখা হয়েছে ‘মিয়া কালিফা’।
আরেকটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘আম-আটির-ভেঁপু’ কার রচিত? এই প্রশ্নের সম্ভাব্য চারটি উত্তরের একটি নাম সানি লিয়ন।
(priyo)

আহমেদ শাহেদ : ন্যায়বিচার পেতে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম- রাজস্ব) পিকে এনামুল করিমের কাছে গিয়েছিলেন নুসরাত জাহান রাফি ও তার মা শিরিন আক্তার। কিন্তু ন্যায়বিচারের পরিবর্তে সে সময় নুসরাতের বিরুদ্ধে ‘নাটক’ সাজানোর অভিযোগ করেন তিনি। এ ছাড়া নুসরাতের মৃত্যুর আগে তার মা শিরিন আক্তারকে হুমকি দিয়ে এডিএম বলেছিলেন, ‘আপনারা প্রিন্সিপাল সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তা প্রমাণ করতে না পারলে আপনাদের বিরুদ্ধে প্রিন্সিপালের লোকজন ৫০ লাখ টাকার মানহানি মামলা করবে।’

জেলার সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন কথায় মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন নুসরাত। শিরিন আক্তার আরও বলেন, ‘অধ্যক্ষের কক্ষে আমার সামনে নুসরাত অজ্ঞান হয়ে গেলে তার মুখে পানি ছুড়ে মেরেছিলেন সোনাগাজী থানার এসআই ইকবাল।’
অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার লোকজনের দেয়া আগুনে পুড়ে নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর পর গত ১৮ এপ্রিল তার মা পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
জবানবন্দিতে শিরিন আক্তার বলেন, ‘৪ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে আমি, আমার মেয়ে রাফি, ছেলে নোমান, মাদ্রাসা কমিটির সভাপতিসহ ফেনী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পিকে এনামুল করিমের অফিসে গিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগটি জানাতে চাই। তখন এডিএম বলেন, এখন কেন এসেছেন? আপনারা তো মামলা করে ফেলেছেন। মামলার করার আগে আসতেন, তা হলে দেখতাম কী করা যায়। এখন মামলায় যা হবে তা-ই হবে।
তখন রাফি এডিএমকে বলেন, আপনি আমার বাবার মতো। আপনি আমার কথাগুলো শোনেন। রাফি মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে তার অভিযোগটি জানানোর চেষ্টা করেন এডিএমকে। তখন এডিএম বলেন, প্রিন্সিপাল তো খারাপ, তা সবাই জানে। তুমি তার কাছে গেছ কেন? উত্তরে রাফি বলেন, আমি তো ইচ্ছা করে যাইনি। পিয়নকে দিয়ে প্রিন্সিপাল আমাকে ডেকে নিয়ে গেছেন। তখন এডিএম বলেন, গেছই যখন, তখন হজম করতে পারলে না কেন? তোমার বাবাকে মাদ্রাসায় বসানোর জন্য এ রকম নাটক সাজিয়েছ?’
এদিকে জবানবন্দিতে দেওয়া নুসরাতের মায়ের এসব তথ্য অস্বীকার করে এডিএম এনামুল করিম গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘ছি! আমি এসব কিছু বলিনি। আমি তো মামলা করায় তাদের ধন্যবাদ দিয়েছিলাম। তারা যেন বিচার পান, সে কথা বলেছিলাম।’
এডিএম ছাড়াও নুসরাতের মা শিরিন আক্তারের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার পক্ষ নিয়ে সোনাগাজী থানার এসআই ইকবাল হোসেনের কর্মকান্ডে কথা।
(amadershomoy)

বাবা মায়ের সম্বল তো সন্তানরাই। কিন্তু প্রযুক্তি বা ইঁদুর দৌড়ের এই সময়ে সম্পর্কগুলোতেও যেন কেমন চিড় ধরে যাচ্ছে। কিন্তু রাখি দত্ত যেন সেই কথাটাকেই উড়িয়ে দিলেন ফুৎকারে। তরুণী বয়সেই নিজের লিভারের ৬৫ শতাংশ দান করলেন বাবাকে। আর রাখির এই কীর্তি প্রশংসা এখন নেট দুনিয়ায়।

সম্প্রতি রাখি আর তার বাবার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দু’জনের পেটেই অপারেশনের দাগ। সাহসী কন্যা রাখি এই বয়সেই নিজের শরীরের সেই দাগ প্রকাশ্যে দেখাতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করছেন না। তথাকথিত সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে রাখি যেন বুঝিয়ে দিতে চাইছে, বাবার জন্য তার মেয়ের এ এক ছোট্ট প্রচেষ্টা মাত্র।
দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছেন রাখির বাবা। কলকাতার চিকিৎসকরা বেশ কিছুদিন ধরেই লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রথমে কলকাতায় বাবার চিকিৎসা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেন রাখি ও তার পরিবারের সদস্যরা।কিন্তু সেভাবে সাড়া না মেলায় বাবাকে নিয়ে যান হায়দরাবাদ। সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন ও সাহসী সিদ্ধান্তটা নেন রাখি। নিজের লিভারের ৬৫ শতাংশ দান করলেন বাবাকে।
লিভার ট্রান্সপ্লেনটেশনের পর তার বন্ধু দিভারচিতা দাস একটি ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে। সেখানেই দেখা যায় রাখি এবং তার বাবাকে, দু’জনের পেটে সেলাইয়ের দাগ। তার বন্ধু এরকম সাহসী পদক্ষেপের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাখিকে।
শুধু তাই নয়, হাসপাতালের চিকিৎসকরাও রাখিকে ‘ব্রেভ গার্ল’ বলে সম্বোধন করেছেন। বহু মানুষের কাছে রাখি এখন অনুপ্রেরণার নতুন মন্ত্র।
(jagonews24)

একসময় ফলের বাজারে বিদেশি ফলের আধিপত্য থাকলেও এখন দেশি ফলের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্যনিরাপত্তার কথা ভেবে মানুষ দেশি ফলের দিকে ঝুঁকছে। গতকাল মিরপুর-১ কাঁচাবাজারে। ছবি: 
  • ফলের বাজার
  • বাড়তে থাকা বিদেশি ফলের আমদানি এ অর্থবছরে কমতে শুরু করেছে
  • বিদেশি আপেলের বাজারে ভাগ বসিয়েছে দেশে উৎপাদিত থাই পেয়ারা

ফলের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিদেশি আপেলের। প্রতিবছর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে বাড়ছিল বিদেশি এই ফলের আমদানি। গত অর্থবছরেও প্রতিদিন গড়ে ৭ লাখ কেজি আপেল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। তবে এ অর্থবছরে আপেল আমদানি কমে নেমেছে দিনে ৫ লাখ কেজিতে।

গত অর্থবছরে ২ লাখ ৫৭ হাজার টন আপেল আমদানি হয়। প্রতি টন ১ হাজার কেজি হিসেবে তা দাঁড়ায় ২৫ কোটি ৭০ লাখ কেজি। তাতে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। শুল্ককর পরিশোধ করে এই আপেল খুচরা ক্রেতাদের হাতে পৌঁছায়। খুচরা বাজারদর হিসাব করে দেখা যায়, শুধু আপেলের বাজারই ৩ হাজার ৮৬০ কোটি টাকার।
বিদেশি আপেলের এই বড় বাজারে ভাগ বসিয়েছে দেশে উৎপাদিত থাই জাতের পেয়ারা। আপেলের চেয়ে দাম কম এবং রাসায়নিকমুক্ত হওয়ায় আপেলের বদলে মানুষ এখন এই পেয়ারা বেছে নিচ্ছেন। আর তাতেই আপেল আমদানি কমে যাচ্ছে বলে কৃষিবিদেরা জানিয়েছেন। আপেলের মতো নাশপাতি ও বিভিন্ন ধরনের সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফলের আমদানিও কমেছে।
দেশে নতুন নতুন জাতের আম, মাল্টা, কমলা, ড্রাগন ফলসহ বিদেশি জাতের ফলের আবাদ হচ্ছে। একসময় সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিদেশি ফলের ওপর নির্ভরতা ছিল। এখন এই সময়ে দেশীয় ফলের সরবরাহ বাড়ছে। তাজা ও রাসায়নিকমুক্ত ফলে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে দেশে ফলের উৎপাদন বেড়েছে ২১ লাখ কেজি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ফল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯৯ লাখ ৭২ হাজার কেজি। পাঁচ বছরের ব্যবধানে গত অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২১ লাখ কেজিতে। এই অর্থবছর শেষেও ফল উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এত দিন ফল উৎপাদন বাড়লেও বিদেশি ফলের আমদানি কমেনি। কারণ হিসেবে কৃষিবিদেরা বলছেন, দেশে গ্রীষ্ম ও বর্ষা ছিল ফল উৎপাদনের ভরা মৌসুম। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ মাসে ফলের উৎপাদন বা সরবরাহ ছিল কম। তাই এই সময়টাতে মানুষকে বাধ্য হয়ে বিদেশি ফল কিনতে হতো। তবে সময় পাল্টেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়ে এই সময়টাতেও ফলের আবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিদেশি ফল বেচাকেনার ভরা মৌসুমেও এখন পাওয়া যাচ্ছে দেশি ফল। এর মধ্যে প্রধান ফল হলো নতুন নতুন জাতের পেয়ারা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, ২০০৫–০৬ অর্থবছরে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই অঞ্চল থেকে এই জাতের চারা নিয়ে আসেন কৃষিবিদ এস এম কামরুজ্জামান। প্রথমে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নাটোরের ঝাউতলা ফুলবাড়ী এলাকায় এই পেয়ারার চাষ শুরু করেন। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এই পেয়ারার চাষ দ্রুত বাড়তে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, ২০১৩–১৪ অর্থবছরে দেশে পেয়ারার উৎপাদন হয় ৩ লাখ টন। গত অর্থবছরে তা দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬ হাজার টনে। পেয়ারার উৎপাদন দ্রুত বাড়ার কারণ হচ্ছে থাইসহ নতুন জাতের পেয়ারার আবাদ বাড়া। দেশে উৎপাদিত পেয়ারার ৭০ শতাংশই থাই জাতের। শুরুতে দাম বেশি থাকলেও ফলন বাড়ায় এখন এর দাম আপেলের চেয়ে কম। নিরাপদ হওয়ায় মানুষের পছন্দ হয়ে উঠেছে পেয়ারার এই জাত।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘সারা বছরব্যাপী ফল উৎপাদন ও পুষ্টি উন্নয়ন’ প্রকল্পের পরামর্শক এস এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, থাই জাতের পেয়ারা গাছে থাকা অবস্থায় পলিথিন মুড়িয়ে রাখা হয়। ফলে কীটনাশক দিতে হয় না, রাসায়নিকও ব্যবহার করতে হয় না। ফলে এই জাতের পেয়ারার প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। দেশে এখন যেভাবে বারোমাসি আম, মাল্টা, কমলা, ড্রাগনসহ বিদেশি ফলের চাষ শুরু হচ্ছে, তাতে তিন–চার বছরের ব্যবধানে আপেল, কমলা, নাশপাতি ও মাল্টার মতো বিদেশি ফলের আমদানিও কমবে বলে মনে করেন কামরুজ্জামান।
বিদেশি ফলের আমদানি কমার তথ্য আছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের হিসাবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আপেল, নাশপাতি, কমলা, মাল্টা ও আঙুর—এই পাঁচটি প্রধান ফল আমদানি হয় ২ লাখ ৮২ হাজার টন। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৫২ হাজার টনে। আমদানি কমায় আট মাসেই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৯ কোটি টাকার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ফল আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ২৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ২ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয়েছে ২৯ কোটি ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে ফলের উৎপাদন ও বৈচিত্র্য বাড়ছে। চাহিদানুযায়ী দেশি ফলের উৎপাদন হলে বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় করে ফল আমদানি করতে হবে না।
(prothomalo)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget