ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে জখম !

 


ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে জখম !


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী ডিগ্রি কলেজের শ্রেণিকক্ষের ভেতরে ঢুকে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে প্রতিবাদ করায় বিশ্বজিৎ নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছেন কয়েকজন যুবক। এ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন আরও দুজন কলেজছাত্রী। 


আজ বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় কলেজের পাশে লাহিড়ী-বালিয়াডাঙ্গী সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম বিশ্বজিৎ তিনি ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার পর তাঁকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 


এদিকে বখাটেদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নানা হুমকির কারণে শিক্ষার্থীরা কলেজে যাতায়াতে নিজেদের অনিরাপদ মনে করছে। 


আহত শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ বলেন, ‘স্থানীয় চারজন বখাটে কলেজের ভেতরে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ছাত্রীদের প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। আজ সকালে লাহিড়ী এলাকার আকাশ, পারফি, মুন্না, মানিক ক্লাসের ফাঁকে কলেজের ভেতরে শ্রেণিকক্ষে এসে শিক্ষার্থীদের ব্যাগে হাত দেয়। ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ করে। তাঁদের কক্ষ থেকে বের হতে অনুরোধ করলে আমার ওপর চড়াও হয়। এরপর আমি দুপুরে কলেজের ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় রাস্তায় আগে থেকে লাঠি-সোঁটা নিয়ে থাকা ওই চারজনসহ প্রায় ১০ জন বখাটে আমাকে লাঠি দিয়ে মারে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমাকে দুজন বান্ধবী উদ্ধার করতে এসে তারাও মারধরের শিকার হয়েছে।’ 


উদ্ধার করতে গিয়ে গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হওয়া কলেজছাত্রী বলেন, ‘বিশ্বজিৎ বখাটেদের ক্লাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিল। এতেই ক্ষেপে যায় ওই চারজন। রাস্তায় মারধরের সময় আমি চেষ্টা করেছি বাঁচানোর। লাঠি দিয়ে বিশ্বজিৎকে মারপিট করার সময় তাঁর পিঠে লাঠিগুলো ভেঙে গেলে তারা দ্রুত চলে যায়।’ 


লাহিড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ইউএনও এবং ওসিকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করেছি। কলেজের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 


এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, ‘কলেজটির অধ্যক্ষ মোবাইলে বিষয়টি অবগত করেছেন। আমি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘কলেজের ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। তাদেরকে আমার দপ্তরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে বলেছি।’ 


আরো পড়ুন:



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget