কুমারখালীতে এক স্কুল ভোটের নিরাপত্তায় ৪০ পুলিশ সদস্য
কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গড়াই মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন - ২০২২ এর ভোট গ্রহণ চলছে। বিদ্যালয়ের চতুর্থতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার এক কক্ষে সকাল ১০ টার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত।
এবার বিদ্যালয়ে ভোটার রয়েছেন ১৫২ জন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দুইটি প্যানেল থেকে মোট ১০ জন অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। শিক্ষক প্রতিনিধির ভোটার সংখ্যা ১২ জন।
এদিকে সুষ্ঠ ভোট গ্রহণের জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) আকিবুল ইসলামসহ অন্তত ৪০ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, একজন সহাকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, দুইজন পোলিং অফিসার ও ১৩ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে নির্বাচনে।
আজ বুধবার বেলা একটায় এতথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপার ভাইজার ও গড়াই মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. আশিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ' কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত ১৩৯ টি ভোট পোল হয়েছে। অন্তত ৪০ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, একজন সহাকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, দুইজন পোলিং অফিসার ও ১৩ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে নির্বাচনে।'
সকালে সাড়ে ১০ টায় সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের চারপাশে পুলিশের অবস্থান রয়েছে। বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় উৎসব মুখোর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রায় অর্ধশতাধিক ভোটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আরো দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রের আশপাশে উভয়পক্ষের শতশত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আনাগোনা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান অরন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গড়াই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি পদের একজন পরিছন্নতাকর্মী, একজন আয়া ও একজন অফিস সহায়ক নামের তিনটি পদ খালী রয়েছে। অবৈধভাবে তিনটি পদে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য হতে পারে।
সেই নিয়োগ বাণিজ্য লুফে নিতে ভোটে ব্যাপক উত্তাপ - উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উভয়পক্ষই মোটরসাইকেল শো ডাউন, মিটিং, মিছিল করছেন। প্রতিটি ভোট গোপনে ও সতর্কতার সাথে প্রায় তিন থেকে দশ হাজার টাকায় বেঁচাকেনা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, ভোটে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান প্যানেলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সাত্তার। উভয় আওয়ামী লীগ নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার বলেন, ' স্কুলে পদ খালি থাকায় নিয়োগ বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি নিয়োগে প্রায় সাত থেকে দশ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়। তাই ভোট জমে উঠেছে। কেউ পাঁচ হাজার কেউ দশ হাজার টাকার প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু ভোট বিক্রি করব না।'
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ' সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'
আরো পড়ুন:
- নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
- Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
- জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
- ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
- ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
- পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে
- Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া
- সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
- ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী