Latest Post

 


৯৯ শিশুর মৃত্যুর পর সব সিরাপ বন্ধ করল ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ায় ৯৯টি শিশুর মৃত্যুর পর দেশটির সরকার সব ধরনের সিরাপ ও তরলজাতীয় ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় কাশির সিরাপ খেয়ে ৭০টির মতো শিশুর মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পর ইন্দোনেশিয়া থেকে এমন খবর এল।

দেশটির সরকার জানিয়েছে, কিছু সিরাপে এমন উপাদান পাওয়া গেছে, যা কিডনিতে গুরুতর জটিলতার সৃষ্টি করে। এসব সিরাপ খেয়ে এ বছর ৯৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এসব ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, নাকি আমদানি করা করা—সেটা স্পষ্ট করেনি ইন্দোনেশিয়ার সরকার। 

আজ ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কিডনি জটিলতায় ভুগছে, এমন ২০০ শিশুর কথা জানতে পেরেছেন। তাদের বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে। 
এ মাসের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গাম্বিয়ায় ৭০ শিশুর মৃত্যু সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি সিরাপের বিষয়ে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এসব সিরাপ ভারতীয় একটি ওষুধ কোম্পানির ছিল। এগুলোতে ‘অতিরিক্ত মাত্রায়’ ডাই–ইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া যায়। ‘গুরুতর কিডনি জটিলতার পেছনে সিরাপগুলো কারণ হওয়ার ‘জোর সম্ভাবনা’ রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন আজ বলেছেন, স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত কিছু ওষুধে একই ধরনের রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত পাঁচ বছরের কম ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাম্বিয়ায় যেসব কাশির সিরাপ ব্যবহার করা হয়েছিল, তা এখানে বিক্রি করা হয়নি। একজন মহামারি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যত শিশুর কথা বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হবে।।

গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহামারি বিশেষজ্ঞ ডিকি বুডিম্যান বিবিসি ইন্দোনেশিয়াকে বলেন, ‘আমরা যা জানতে পেরেছি, তা প্রকৃত অবস্থার তুলনায় খুবই কম। যার মানে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

কোন ব্র্যান্ড বা ধরনের সিরাপ শিশুদের অসুস্থতার জন্য দায়ী, তা ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি। তবে সাময়িকভাবে সব ধরনের সিরাপ ও তরলজাতীয় ওষুধ বিক্রি ও ব্যবস্থাপত্রে এ ধরনের ওষুধের নাম লেখা নিষিদ্ধ করেছে।

বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কিছু সিরাপে ডাই–ইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা থাকার কথা নয় বা থাকলেও খুব কম। তবে কত শিশু এ ধরনের ওষুধের কারণে অসুস্থ, তা জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:


 


বিকেলের পর বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং 

মোস্তফা কামাল: আন্দামান সাগরে ১৮ অক্টোবর একটি লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছিল যা উত্তর-পশ্চিম দিকে মানে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়ে ২১ অক্টোবর নিম্নচাপে ও ২৩ অক্টোবর দিনের শুরুতে গভীর নিম্নচাপে এবং এদিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

আজ সোমবার ১০.৩০ মিনিটের সময় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কেন্দ্রের অবস্থান ছিল প্রায় ২১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপরে। ফলে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান ছিল আজ দুপুর ১২ টার সময়।  

আজ সোমবার বিকেল ৫টার পর থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের তথ্য অনুসারে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির ব্যস প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। ফলে গভীর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কেন্দ্র বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে প্রবেশ করলেও একই সাথে খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপর ভারি বৃষ্টি, ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাস, ও উচ্চ জলোচ্ছস এর প্রভাব একইভাবে অনুভূত হওয়ার প্রবল শঙ্কা রয়েছে।

বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার; ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিমিটার;  চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে (বিশেষ করে ফেনী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়) ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। 

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার, রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার এবং রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে ৩০ থেকে ৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৫০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যেহেতু দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে তাই ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে নিম্নচাপের কারণে ওইসব স্থানে পানির সমতল উঁচু হয়ে যাচ্ছে এবং সেসব স্থান থেকে সমুদ্রের পানি চট্টগ্রাম উপকূলে জমা হচ্ছে ও স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রাম উপকূলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ছোট-ছোট ঢেউগুলো একটি অন্যটির সাথে যোগ হয়ে দিনের সময় বাড়ার সাথে-সাথে ঢেউগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে। 

আজ ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে মাবস্যা হওয়ার কারণে বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৭ থেকে ১০ ফুট, খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু এলাকা ও নোয়াখালীর চর অঞ্চলগুলোতে ১০ থেকে ১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হওয়ার প্রবল শঙ্কা দেখা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:


 


নালিতাবাড়ী ভোগাই নদীতে মাছ ধরা উৎসব অনুষ্ঠিত। 

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীতে মাছ ধরা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকায় ভোগাই নদীতে দল বেঁধে মাছ ধরতে   নামেন সৌখিন মৎস শিকারীরা। জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শেষে অক্টোবর নভেম্বর মাস এলে খাল বিল নদ নদীর পানি কমে যায়। 

এসময় সৌখিন গ্রামবাসীরা মিলে পলো, ঝাঁকিজাল, ছিপজাল, ঠেলাজাল, লাঠি ও বিভিন্ন ফাঁদ নিয়ে দলবেঁধে জলাশয়ে মাছ ধরতে  মেতে উঠেন। উপজেলার পাঁচগাও, রাজনগর, দোহালিয়া, সন্নাসীভিটা ও কোননগর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ চারআলী ব্রীজপাড় থেকে মাছ ধরতে নামেন। মাছ শিকারী ও স্থানীয়রা জানান তারা আগে থেকেই নির্ধারন করেন যে কবে তারা মাছ ধরবেন। 

মাছ ধরা উৎসবে অংশগ্রহণকারী পাঁচগাও গ্রামের আহাম্মদ আলী তিনি ৮ কেজি ওজনের একটি আইড় মাছ ধরে শিকারীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা ৪/৫ গ্রামের শিকারী মিলে নিজেদের তৈরি পলো ও জাল নিয়ে জেলার ভোগাই , চেল্লাখলী , মহারশি মালিঝি নদী ও ধলী বিলে বর্ষা শেষে   কার্তিক মাসে দলবেঁধে মাছ ধরার উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। 

এতে কেউ মাছ ধরতে না পারলেও আনন্দ উপভোগ করেন। এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য দলবেঁধে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরার কোন আইন নেই। তবে এ জাতীয় কোন উৎসব করতে হলে আগে  প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। 

ঝিনাইগাতী শেরপুর। 

আরো পড়ুন:


 


ভারতের বোলিং তোপ সামলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাকিস্তানের

ভারতীয় বোলাররা শুরু থেকেই পাকিস্তানি ব্যাটারদের চাপে রাখলেন। ব্যাটিংয়ে নেমে কখনই তেমন স্বস্তিতে ছিল না বাবর আজমের দল। তবে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জোড়া হাফসেঞ্চুরি উপহার দিলেন ইফতিখার আহমেদ আর শান মাসুদ।

ইফতিখার ঝড় তুলে ফিরলেন। শান মাসুদ দায়িত্ব নিয়ে খেললেন একদম শেষ ওভার পর্যন্ত। ফলে বিপদ কাটিয়ে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ১৬০।


মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শুরু থেকেই তাদের চেপে ধরেন ভুবনেশ্বর-অর্শদীপরা। একের পর এক বল মিস হতে থাকে। বারকয়েক হয় আবেদন।

প্রথম ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তারা হারিয়ে বসে অধিনায়ককে। গোল্ডেন ডাক (১ বলে ০) নিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাবর।

অর্শদীপ সিংয়ের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি বাবরের প্যাডে লাগলে আবেদন হয়, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। পাকিস্তান দলপতি অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার লেগ স্টাম্পে আঘাত করতো।

দলীয় ১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেটেরও পতন ঘটে পাকিস্তানের। এবারও সেই অর্শদীপ সিং। ভারতীয় পেসারকে হুক খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে ভুবনেশ্বরকে ক্যাচ দেন রিজওয়ান (১২ বলে ৪)। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩২ রান নিতে পারে পাকিস্তান।


উইকেট টিকিয়ে রেখে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন শান মাসুদ আর ইফতিখার আহমেদ। ১০ ওভারে পাকিস্তানের বোর্ডে উঠে বল সমান ৬০ রান।

১৫ রানেই সাজঘরে ফিরেছিলেন দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। স্বাভাবিকভাবেই খাদের কিনারায় ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে উইকেট টেকানোর চেষ্টা করেন ইফতিখার আহমেদ আর শান মাসুদ।

তাড়াহুড়ো করেননি তারা। দলকে এগিয়ে নিয়েছেন একটু একটু করে। তবে ১২তম ওভারে এসে হঠাৎ যেন খেপে যান ইফতিখার। অক্ষর প্যাটেল বল হাতে নিয়েই পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটারের রুদ্ররূপের সামনে।

অক্ষরের প্রথম চার বলের মধ্যে তিনটি ছক্কা হাঁকান ইফতিখার। ২১ রান তোলা ওই ওভারেই তিনি তুলে নেন ৩২ বলে ফিফটি। তবে তার ঠিক পরের ওভারেই ভয়ংকর এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি।

মাসুদ আর ইফতিখারের ৫০ বলে ৭৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোহাম্মদ শামি এলবিডব্লিউয়ে। ফিফটি করেই আউট হয়ে যান ইফতিখার। ৩৪ বলে গড়া তার ৫১ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা।

ইফতিখার ফেরার পর দ্রুত আরও কয়েকটি হারিয়ে বসে পাকিস্তান। শাদাব খান (৫), হায়দার আলি (২), মোহাম্মদ নওয়াজ (৯) আর আসিফ আলি (২) ফেরেন তাড়াহুড়ো করে। ২৯ রান তুলতেই ৫টি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান।

শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ আর হারিস রউফ ৪ বলে ১ ছক্কায় করেন ৬। শান মাসুদ ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন।

আরো পড়ুন:








 


ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় আবারো রাশিয়ার বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সেদেশের বিদ্যুতের স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।

তিনি বলেছেন, এবার সারা দেশজুড়ে বিশাল আকারে হামলা শুরু করা হয়েছে। ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় এলাকা, পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বের অঞ্চলগুলোতে রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে।এর ফলে সেদেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে কিয়েভ জানিয়েছে।

তবে মি. জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া যেসব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ছুড়েছে, তার বেশিরভাগই তারা ভূপাতিত করেছেন। রাশিয়ার এরকম ব্যাপক হামলা সত্ত্বেও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে না তিনি দাবি করেছেন।

''এখনো আমাদের কাছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন শতভাগ ঠেকানোর মতো প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নেই। আমি নিশ্চিত, মিত্রদের সহযোগিতায় আস্তে আস্তে সেই ক্ষমতা আমাদের হবে,'' শনিবার একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন ইউক্রেনের এই নেতা।

ইউক্রেনের জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, আগের মাসে রাশিয়ার বোমা হামলায় বিদ্যুৎ অবকাঠামোর যতটা ক্ষতি হয়েছিল, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, শনিবার ৩৬টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া, যদিও তার বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভের ডেপুটি মেয়র সের্হাই কিরাল বিবিসিকে বলেছেন, রাশিয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে শীতকালের আগেই ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়া এবং যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়া।

''ইউক্রেনের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে যত বেশি সাফল্য পাচ্ছে, ঘরবাড়িতে থাকা সাধারণ মানুষজনের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে, কারণ বেসামরিক মানুষজনকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য রাশিয়া সবকিছুই করছে। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে হামলা করছে,'' নিউজআওয়ার রেডিওকে তিনি বলেছেন।

শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, সেদেশের খেরসন অঞ্চলের হাইড্রোইলেকট্রিক একটি বাঁধে মাইন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। ওই বাঁধ এখন মস্কোর সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মি. জেলেনস্কি বলেছেন, কাখোভকা নামের ওই বাঁধটি ধ্বংস করা হলে লাখ লাখ মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে।

আরো পড়ুন:


 


খুলনা রেলস্টেশনে ভাঙচুর বিএনপির ১৭০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা

খুলনা রেলস্টেশনে ভাঙচুর এবং পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে খুলনা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে ১৫০ থেকে ১৭০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ বলেন, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে গতকাল শনিবার দুপুরে বিএনপির সমাবেশে আসা অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ১৭০ জন ব্যক্তি খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা করেন। 

ওই সময় স্টেশনের ২৫টি গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। রেলস্টেশন ভাঙচুর, স্টেশনের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভাঙচুর ও হামলা করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, তাই মামলায় অজ্ঞাত বলা হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

খুলনা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা রেলস্টেশনে নিজেরাই সংঘর্ষে জড়ান। পরে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।’

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের সময় রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। বিএনপির সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রেলস্টেশন চত্বরে ভিড় করেছিলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং স্টেশনের বিভিন্ন জানালা-দরজার কাচ ভেঙে ফেলেন। প্রায় আধঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

Content by prothomalo

আরো পড়ুন:


 


খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্রকরে খুলনা রেলস্টেশনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং স্টেশনের দরজার গ্লাস ভাঙচুর করে। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক পুলিশ স্টেশনে অবস্থান নিয়েছে। বিপরীত দিকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে তর্কে জড়ায় আগতরা। এক পর্যায়ে তারা স্টেশনের গ্লাস ভাঙচুর করে। পুলিশকে খবর দিলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘একটা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার এবং পুলিশের এমন তাণ্ডব খুলনাবাসী কখনো দেখেনি। পথে পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাদের আটক করা হচ্ছে। ট্রেনে যারা সমাবেশে এসেছেন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে সমাবেশ ঠেকানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশের এক দিন আগেই নেতাকর্মীরা খুলনায় প্রবেশ করেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আজও আসছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সব নেতা খুলনায় পৌঁছে গেছেন।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget