১০ দফা দাবি না মানলে পুরো ঢাকা শহর অচল করে দিবো আমরাঃ জবি শিক্ষার্থীরা
১০ দফা দাবি না মানলে পুরো ঢাকা শহর অচল করে দিবো আমরাঃ জবি শিক্ষার্থীরা
৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম, আমাদের ১০ দফা দাবি না মানলে পুরো ঢাকা শহরকে অচল করে দিবো আমরা এমনটা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
(রোববার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও ক্যাম্পাসের কাজে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের গ্রেফতারসহ দশ দফা দাবির পরিপেক্ষিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পুরো পুরান ঢাকাতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব আমরা আমাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে । বাতাসে অনেক কথা শুনতে পাচ্ছি কিন্তু আমরা কিছু বলছি না, শুধু বলছি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে দ্রুত হল চাই। শাহিন চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এ ক্যাম্পাসের কাজ দেয়া হোক তাহলে নতুন এ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যেতে পারবো আমরা। আমরা দ্রুত সেখানে একটি থানা চাই। সেই সঙ্গে আমরা বলে দিতে চাই দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাওয়া - আসা করবে তার জন্য দুই গাড়ি পুলিশের প্রয়োজন নেই।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইভান তাহসীব বলেন, 'আমাদের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা কোনো রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে নয় এটা আমাদের মৌলিক আন্দোলন।' শিক্ষার্থীরা একবার মাঠে নেমে গেলে কোনো আন্দোলন কখনো বিপল হয়নি এবং হবেও না কোনোদিন।
এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, আন্দোলন ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনদিনও কোন কিছু হয়নি এবং হবেও না। সুতরাং আমাদের আন্দোলন করতে হবে এছাড়াও কোনো বিকল্প নেই।
নাট্যকলা বিভাগের ১২ তম ব্যাচের সুমাইয়া সুমা বলেন, আমাদের এ ১০ দফা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে না হলে প্রশাসন আবারো ২০১৬ সালের মতো আরেকটা হল আন্দোলন দেখবে। আমরা কেন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হয়ে অবহেলিত হবো বারবার। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি পারেনা কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণ করতে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই আপনারা আমাদের কাতারে চলে আসুন, এখনো সময় আছে নতুবা সময় শেষ হলে শিক্ষার্থীদের হুঙ্কার দেখবেন কিন্তু তখন থামানো যাবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস মাফিয়াদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে কোনো মাফিয়াদের জায়গা হতে দিবে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী। ২০১৮ সাল থেকে আজ চার বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি দেখেনি আমরা। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে একটি ফুটবল টুর্নামেটের আয়োজন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেখানে কোনো খাওয়ার পানি কিংবা বিদ্যুৎ লাইনের ব্যবস্থা করেনি।
সাইদ আরও বলেন, আমরা আগামী বুধবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দিচ্ছি না হলে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রতিটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
মানববন্ধনে বোটানি বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, 'কোথাকার কোন পাতি নেতা কি বলছে, না বলছে আমরা সেটা ভাবছি না'। আমরা ভাবছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন চুপ করে বসে আছে এতদিনে। আমাদের প্রশাসন হয়তো তাদের মৌন সম্মতি দিচ্ছি নতুবা লুতুপুতু করছে একটা পক্ষের সাথে।
রাকিব আরও বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অনেকগুলো আন্দোলন হয়েছে এ ক্যাম্পাসে কিন্তু একটা আন্দোলনের মধ্যেও প্রশাসন কিছুই করতে পারেনি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটা ভেজা বিড়াল তাদের হাইস্কুলে পাঠানো উচিত। তাদের কোনো যোগ্যতা নেই এখানে থাকার। আমাদের মাঠ চলে গেছে, হল চলে গেছে, এখন নতুন ক্যাম্পাসে একইভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
এদিকে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলে নানা স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। ''জবিয়ান একপ্রাণ ভূমিদস্যুরা সাবধান'', ''এসো ভাই, এসো বোন গড়ে তুলি আন্দোলন'',''ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ডাইরেক একশন'',''শাহিনের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে'',''শাহিনের চামড়া তুলে নেব আমরা''বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
মানববন্ধনের অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা এসময় বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে শাঁখারি বাজার মোড় দিয়ে পুরো ভিক্টোরিয়ান পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে আসে। এসময় কিছুক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা সদরঘাটগামী রাস্তা বন্ধ করে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে নানা স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর পুনরায় ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরের পাদদেশে মানববন্ধনও বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম আল্টিমেটাম অর্থাৎ আগামী বুধবারের মধ্যে তাদের ১০ দফা দাবি না মানলে পুরো ঢাকা শহরকে অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবিঃ
১.অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দ্রুততম সময়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
২.সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ দেওয়া
৩.কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদকে গ্রেফতার করতে হবে।
৪. নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা,
৫. প্রথমে হলগুলোর কাজ সম্পন্ন করা
৬. লেকের টেন্ডারের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
৭.ভূমি জরিপের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর জমি নিশ্চিত করা।
৮. প্রকল্পে ছাত্র প্রতিনিধি যুক্ত করা বা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকল্পের সকল
আরো পড়ুন:
- নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
- Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
- জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
- ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
- ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
- পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে
- Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া
- সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
- ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী