Latest Post



মাইকিং করেও কুড়িয়ে পাওয়া টাকার মালিকের সন্ধান মেলেনি


মহাসড়কে পড়ে থাকা টাকা পেয়ে মালিকের খোঁজে ঠাকুরগাঁও শহরে দুই দিন মাইকিং করেছেন শাকির হোসেন ওরফে সৌরভ। কিন্তু প্রকৃত মালিকের খোঁজ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত টাকার প্রকৃত মালিকের খোঁজ না পেলে তা দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।


শাকির হোসেন ঠাকুরগাঁও শহরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় মদিনা মেশিনারিজ নামের ক্রোকারিজের দোকান চালান তিনি। প্রাইভেট কার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ১৮ আগস্ট পঞ্চগড় মহাসড়ক ধরে ফেরার পথে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। 


সে সময় তিনি সেটা তুলে নেন। আশপাশে কোনো পথচারীকে না পেয়ে টাকা নিয়ে তিনি তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসেন। পরে ব্যাগ খুলে সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পান। সেখানে আর কোনো কাগজপত্র ছিল না। ব্যাগটি তিনি নিজের কাছে রেখে দেন।


শাকির বলেন, ‘টাকাটা পেয়ে মনে করেছিলাম, যাঁর টাকা তিনি হয়তো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বা মাইকিং করে খুঁজবেন। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত এমন কিছু না ঘটায় টাকার প্রকৃত মালিকের খোঁজে কী করা যায় ভাবতে থাকি। পরে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের পরামর্শে শনিবার সকাল থেকে ঠাকুরগাঁও শহরে মাইকিং শুরু করি। কিন্তু দুই দিন মাইকিং করেও প্রকৃত মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’


গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত ১৫ জন ওই টাকা তাঁদের দাবি করে শাকির হোসেনকে কল করেন। কিন্তু তাঁরা যে বর্ণনা দিয়েছেন, কুড়িয়ে পাওয়া ব্যাগের সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়নি। শাকির হোসেন বলেন, গতকাল পঞ্চগড়ের এক পাথর ব্যবসায়ী টাকাগুলো তাঁর দাবি করে তাঁকে কল করেছিলেন। সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। এই টাকা নিয়ে তিনি রীতিমতো অস্বস্তিতে আছেন।


টাকার প্রকৃত মালিকের খোঁজ না পাওয়া গেলে টাকাগুলো কী করবেন?—এমন প্রশ্নের জবাবে শাকির হোসেন বলেন, প্রকৃত মালিককে খোঁজার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাতেও খবরটি এসেছে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়েও টাকার মালিকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও দু-এক দিন তিনি অপেক্ষা করবেন। শেষ পর্যন্ত খোঁজ না পেলে দুস্থদের মধ্যে টাকাটা বিলিয়ে দেবেন বলে তিনি ভাবছেন।


টাকা বিলিয়ে দেওয়ার পর প্রকৃত দাবিদার পাওয়া গেলে কী করবেন—জানতে চাইলে শাকির হোসেন বলেন, ‘আমি নিজের গচ্ছিত টাকা থেকে তাঁকে সমপরিমাণ টাকা দিয়ে দেব। আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে কী করা যায়, সে ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ নেওয়ার কথা ভাবছি।’


এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কুড়িয়ে পাওয়া টাকা দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার বিষয়টা সংবেদনশীল। বিষয়টা আমাকে জানতে হবে। তবে আমি মনে করি, টাকাগুলো যেকোনোভাবে সংরক্ষণ করে রাখা ভালো। আর টাকার প্রকৃত মালিক না পাওয়া গেলে টাকাটা রাষ্ট্রের সম্পদ হয়ে যাবে কি না, এটা দেখতে হবে।’


Post by prothom alo

আরো পড়ুন:


 



২১শে অগাস্টের গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশের রাজনীতিকে কোথায় নিয়ে গেল |


ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্টে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে যখন গ্রেনেড বিস্ফোরণ শুরু হয় তখন মঞ্চের কাছেই ছিলেন নাসিমা ফেরদৌস। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের সময়ে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি।


ওই সময়ের ঘটনা মনে করে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "দেখলাম মানুষ পাখির মতো শুয়ে পড়লো। পড়ে গেলো। আমার পায়ের শক্তি নাই যে উঠে দাঁড়াবো। দ্বিতীয় শব্দ হলো, তখন মনে হলো পেটের মধ্যে কিছু ঢুকে গেলো। পেটিকোটের ফিতা ছিঁড়ে গেলো। পাগুলো টুকরো টুকরো হয়ে চলে যাচ্ছে। চারদিকে তাকিয়ে দেখি রক্ত আর রক্ত। লাশ আর লাশ।"


এ ঘটনার জন্য তিনি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারকে দায়ী করেন।


ওই ঘটনায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন আর আহত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির বহু নেতাকর্মী। শুরু থেকেই এ হামলার জন্য তখনকার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারকেই দায়ী করে আসছিলেন শেখ হাসিনা।


খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এ ক্ষোভ নাসিমা ফেরদৌসের একার নয়। বরং শেখ হাসিনা নিজেও বহুবার এটি বলেছেন এবং তার দলের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীই তা বিশ্বাস করেন।


দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন, তার ভাষায়, ওই ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি একটি রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি করেছে যা পরে আরও পোক্ত হয়েছে নানা ঘটনায়।


"এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে তারা এটা করেছে। আদালতের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। এতগুলো ন্যক্কারজনক ঘটনার পরে কিন্তু বিএনপি নেত্রীর ছোটো ছেলে যখন মারা যান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু দরজা বন্ধ করে তারা রাজনীতির যে দেয়াল তারা তৈরি করেছিলো সেটি আরো পোক্ত করেছিলো। যারা প্রতিপক্ষকে খুন করে নিশ্চিহ্ন করতে চায় তাদের সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা হবে আত্মঘাতী," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।


অর্থাৎ ২১শে অগাস্টের ঘটনার জন্য কোন ভাবেই বিএনপিকে মেনে নিতে রাজী নয় আওয়ামী লীগের নেতারা। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও।


যদিও ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের অনেকে এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে পাল্টা দায়ী করে যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন সেগুলোও দল দুটোর মধ্যে বৈরিতা বাড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের ক্ষতি করেছিলো বলেও অনেকে মনে করেন।


এমনকি বিএনপি আমলে এ ঘটনায় করা মামলা নিয়েও নানা নাটকীয়তা গণমাধ্যমে এসেছিলো। তবে আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৮ সালে মামলার যে রায় হয়েছে তাকেও প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছিলো বিএনপি।


ওই মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভার সদস্য লুৎফুজ্জমান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও আরও ১১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ড দেয়া হয়।


তবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলছেন তারা এখনো মনে করেন ২১শে অগাস্টের ঘটনা রাজনৈতিক বিষয়ই নয় এবং এ ঘটনাকে ব্যক্তিগতভাবে নেয়ারও সুযোগ নেই।


"২১শে অগাস্টের ঘটনা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। কিন্তু এটি অরাজনৈতিক। সবার নিন্দা করা উচিত। এটা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধের ঘটনা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যত শক্তিশালী হবে তত এগুলো কমবে। অথচ অনেকেই এসব ঘটনাকে ভিত্তি করে গণতন্ত্রকে আরও দুর্বল করছে," বলছিলেন তিনি।


Post by bbc news

আরো পড়ুন:



 



ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ


স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে এক গৃহবধূকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ।


শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২০ আগস্ট) হরিপুর থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রানীশংকৈল উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকা একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।


মামলা সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া এলাকার ওই নারী গত শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার সাত বছর বয়সী ছেলে মাসুমকে নিয়ে তিনি হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর অটো স্ট্যান্ড হইতে ধর্ষিত (২৮)কে অটোযোগে অপহরণ করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পুর্ব উত্তর পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। 

বাগানে ভিতরে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূর ছেলে মাসুমের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জিম্মি করে তার মাকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে। 


মামলার আসামিরা হলেনঃ হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২২), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ (২১), একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (২২) এবং রকিম ও লসকর নামে অজ্ঞাত দুজন।


পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী দুই সন্তানের মা। গত শুক্রবার বিকেলে হরিপুর উপজেলার রুহিয়া চাপধা এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রানীশংকৈল হয়ে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে রানীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে কয়েক যুবক অটোচালকের যোগসাজশে ওই নারীকে কৌশলে তুলে নিয়ে যায়।


পরে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকার একটি আমবাগানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাত বছরের ছেলের গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখায় ধর্ষকরা। এরপর রাত ১২টার সময় ওই যুবকরা ভুক্তভোগী ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।


এরপর ধর্ষক ফজলুর রহমান ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।পরে ওই ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।


এ বিষয়ে হরিপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে রাতে আদালতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। আদালতের নির্দেশক্রমে তাদের কারাগারের পাঠানো হয়েছে।এছাড়া অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।


এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।


আনোয়ার হোসেন আকাশ ""রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ""


আরো পড়ুন:

  1. সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
  2. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  3. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  4. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  11. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



লক্ষ্মীপুরে ইভটিজিং করায় খোকন উদ্দিন কে ৩ মাসের কারাদন্ড।


লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,,,

সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় বলেন, খোকন দোষ স্বীকার করায় ইভটিজিংয়ের দায়ে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।


স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে খোকন উদ্দিন (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।আজ (২০ আগষ্ট) শনিবার সন্ধ্যায় শহরের তিতাখাঁ জামে মসজিদ এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায়।


জানা যায়, ছাত্রী স্কুল শেষে লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়ির দিকে যাওয়া পথে খোকন ঐ ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। পরে স্কুল ছাত্রী কান্না শুরু করে স্থানীয়রা ঐ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয়।


খোকন তার দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।


সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় বলেন, খোকন দোষ স্বীকার করায় ইভটিজিংয়ের দায়ে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।


আরো পড়ুন:



 



ভারতের রাজস্থানে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল শিক্ষিকাকে


স্কুলে যাওয়ার সময়ে হামলাকারীরা ঘিরে ধরেন ৩২ বছর বয়সী দলিত শিক্ষিকা অনিতা রেগরকে। মারধর করা হয় তাকে। পালিয়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলাকারীরা পৌঁছে যায়। অনেক মানুষের সামনেই তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাকে।


পুলিশ বলছে, মূল অভিযুক্তরা ওই শিক্ষিকা অনিতা রেগরেরই আত্মীয় এবং তার মতো হামলাকারীদের অনেকেই দলিত শ্রেণীরই মানুষ।


ধার দেয়া টাকা চাইতে গেলে ৩২-বছর বয়সী ওই শিক্ষিকাকে আক্রমণ করা হয়, তারপরে পেট্রোল ঢেলে তার দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে মারা যান ওই নারী।


কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নি

যে নির্মীয়মাণ বাড়িতে মিসেস রেগর আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে হামলার সময়ে আরও অনেকে জড়ো হয়েছিলেন, কিন্তু তার গায়ে যখন পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানো হচ্ছে, তখন কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন নি।

দ্বিতীয় এক ভাইরাল ভিডিওতে এটাও দেখা গেছে যে জ্বলন্ত মিসেস রেগরের ভিডিও করছেন কিছু মানুষ, কিন্তু কেউই এগিয়ে আসেন নি তাকে বাঁচাতে।


পুলিশ বলছে, হামলাকারীদের নামে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন মিসেস রেগর, তার ভিত্তিতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু যারা গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তারা এখনও ফেরার।


'পারিবারিক বিবাদ থেকেই এই ঘটনা'

জয়পুর গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট ধর্মেন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, "ওই নারী তার এক আত্মীয়কে কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন যদিও তার কোনও নথিপত্র ছিল না। সেই টাকা শোধ করা নিয়েই একই পরিবারের মধ্যেই ঝামেলা হয় আগে।"


"নিহত নারী অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে মারধর করা হয়েছে। সেসময়ে দু'জন নারীকে গ্রেপ্তারও করি আমরা। তার চারদিন পরে দ্বিতীয় একটি অভিযোগ আনেন মিসেস রেগর, তার ভিত্তিতে আরও দু'জন গ্রেপ্তার হন।


Post by bbc news


আরো পড়ুন:



 



ঝিনাইগাতীতে ইসলামী ফাউন্ডেশনর মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন


মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে।  হাফেজ মাহফুজুর রহমানকে সভাপতি,  মো. আব্দুল কাদিরকে সাধারণ সম্পাদক ও মো. ফজলুল করিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩ বছর মেয়াদী ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। 


১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মডেল রিসোর্স  সেন্টারে এ কমিটি গঠন করা হয়। মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ত করেন, মউশিক শিক্ষক আব্দুস সালাম। 

মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ  বিভাগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদিরের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ  বিভাগের সহ-সভাপতি ও শেরপুর জেলার সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ  বিভাগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মারুফুর রহমান। 


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ  বিভাগের সহ-সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম,মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ  বিভাগের সমাজসেবা সম্পাদক মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ  বিভাগের  সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ময়মনসিংহ  বিভাগের সদস্য  মো. ফজলুল হক, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের ঝিনাইগাতী উপজেলার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।


বক্তারা মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের মাধ্যমে দ্বিনী এলেম শিক্ষা দানে দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তির জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। সারা দেশে প্রায় ৭০ হাজার মউশিক শিক্ষকদেরকে একই প্লাটফরমে সু-সংগঠিত করা। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে সরকারের আদেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। 


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রচার ও প্রসারে সরকারের সমস্যাগুলো তৃর্ণমুল পর্যায়ে পৌঁছাতে সহযোগিতা করা। শিক্ষকদের কল্যাণের জন্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ, দ্বৈব দূর্ঘটনা ও মৃত্যেুকালীণ আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা। মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ-বাংলাদেশ, ইসলামী ভাবধারার পরামর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত করা। শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মর্যাদা রক্ষা করার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও আদর্শ জাতি গঠনে কোমলমতি শিশু ও বয়স্ক লোকদের বুনিয়াদি শিক্ষা স্থায়ী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা ইত্যাদি।


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget