Latest Post

 



শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হল উত্তর রাঙ্গুনিয়া হাই স্কুলের নির্বাচন


ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন জাঁকজমকপূর্ণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ জুন) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে। পরে ব্যালট গণনা শেষে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রিজাইডিং অফিসার নুরুল ইসলাম চৌধুরী (উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার) ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য পদে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা পদে একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফুল মালা বেগম।

নির্বাচিতরা হলেন- মো. খোরশেদ আলম ৩০৫ ভোট পেয়ে প্রথম,আলমগীর হোসেন বাবু ২৮০ ভোট পেয়ে ২য়, মীর গোলাম মোস্তফা বাবুল ২৬৯ ভোট পেয়ে ৩য় এবং ফজলুল কাদের ২৩৩ ভোট পেয়ে ৪র্থ স্থানে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হোন। 

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পর্ণ হয়েছে। প্রত্যেক অভিভাবক ভোটারের রায়ের ভিত্তিতে সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৮২০ জন, তন্মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৪৭৬ জন। সরাসরি ভোটে ৪ জন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হোন।

তিনি আরও বলেন, সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ ও সততার সাথে ফলাফল ঘোষণা করা হলো। পাশাপাশি তিনি প্রত্যেক সদস্যকে সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং ভবিষ্যতে সবাইকে স্কুলের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যরা যৌথভাবে বিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগীতা ও ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেন।


আরো পড়ুন:

 


রাজিবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলা,ভাঙচুরের ঘটনায়  সংবাদ সম্মেলন।


রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিরাগত উচ্ছৃংখল ছাত্রদের সন্ত্রাসী হামলা/ভাঙচুর ও  প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। আয়োজনে রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী।আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।


শিক্ষার্থীর পক্ষে বলা হয়েছে, বর্তমান বিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সুন্দরভাবে পরীক্ষা চলছে। এটা নিয়ে আর আতঙ্ক নেই।

আমরা বিভিন্নভাবে জেনেছি পরীক্ষার ফি বেশি নেওয়া হয়নি। বহিরাগতদের উস্কানিতে বিদ্যালয়ে ভাংচুর করায় থানায় মে অভিযোগ করেছিলেন আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আমরা বহিরাগতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

পরিশেষে বিদ্যালয়ের মঙ্গল কামনা করছি।


সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ আজীম উদ্দিন বলেন, সন্মানিত রাজিবপুর উপজেলাবাসী  আজকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি, কিছু বিষয় আপনাদের অবগত করার জন্য। আপনারা জানেন গত (৪ জুন ২০২২) শনিবারে রাজিবপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০ ঘটিকার সময় অর্ধবার্ষিক চলাকালীন অবস্থায় বহিরাগত উচ্ছৃংখল ছাত্র, সাংবাদিক, অভিভাবক আমি ইতি মধ্যে তাদের চিহ্নিত করেছি।


তাদের উস্কানিতে ওগো ছাত্রদেরকে ভুল বুঝিয়ে প্রধান শিক্ষক পনেরশত টাকা নিচ্ছে এই মিথ্যা প্রচার করে ছেলেদের উত্তেজিত করে পরীক্ষার হল থেকে ইউএনোর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ইউএনোর সাথে মত বিনিময় করার আগেই তাদের স্লোগান শিখিয়ে দেওয়া হয়। 

প্রধান শিক্ষক পনেরশো টাকা পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছে আমরা পরীক্ষা দেবো না এছাড়াও শিক্ষকদের নামে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় স্লোগান দিয়ে বিদ্যালয় প্রবেশ করায়। ছাত্ররা বলেছিল আমরা ইউএনও স্যারের সাথে মত বিনিময় করে দেখি কি বলে কিন্তু তাদের কথা মানা হয়নি। উস্কানীদাতারা তাদেরকে বিদ্যালয়ের প্রবেশ করিয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে খাতা পত্র, বিদ্যালয়ের দরজা,জানালা ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েদের রুম থেকে বের করে দেয়। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে এবং আমার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দাবি করে  হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি, পরে দাঁড়াও এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল যে আমি পনের শত টাকা পরীক্ষার ফি নিচ্ছি। কিন্তু আদো একথা সত্য নয়, বানোয়াট, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে।অন্য অন্য স্কুলের সাথে সমঝোতা বজায় রেখে আমরা শিক্ষক মিলায়াতনে শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে পরীক্ষার ফি,সেশন চার্জ ও অন্যান্য ফি নির্ধারণ করে দিয়েছি।

এখানে কিছু সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে টাকা বেশি নেওয়ার, কোথাও দূর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না নিয়ে বা না দেখিয়ে টাকা বেশি নেওয়া মিথ্যা প্রচার করা আইনত শুদ্ধ নয় এটা আমার সম্মানহানি করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক ও বিদ্যালয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমার বিদ্যালয়টি যাতে সরকারিকরণ না হয় তাই তারা চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে তাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তায় মামলা করব।

বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা শান্ত রয়েছে। পরীক্ষার ফি, সেশন চার্জ ও অন্যান্য ফি দিয়ে সতস্ফুর্ত ভাবে তারা পরীক্ষা দিচ্ছে।

আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের সাথে পার্কভিউ হসপিটালের স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি স্বাক্ষর 


চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের  চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাব লিমিটেডের সাথে পার্কভিউ হসপিটালের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বুধবার (৮জুন) পার্কভিউ হসপিটালের বোর্ডরুমে এ সমঝোতা চুক্তির সাইনিং প্রোগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। 

এ চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের সদস্যগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গ পার্কভিউ হসপিটালে সর্বোচ্চ ২৫% পর্যন্ত ছাড় পাবেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাব লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট  খন্দকার এম হেলাল সিআইপি এবং পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।



এসময় চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাব লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী কমিটির সদস্য মো. ওসমান, নুরুল কবির, শাহাদাত হোসেন, জসিম উদ্দিন কুসুমপুরী ও সাজ্জাদ রনি।

এছাড়া উক্ত চুক্তির সাইনিং প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন পার্কভিউ হাসপাতাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম, ল্যাব ডাইরেক্টর ডাঃ আহমেদ রহিম, কমপ্লায়েন্স ডাইরেক্টর ডাঃ সালাহউদ্দিন এমএইচ চৌধুরী, জেনারেল ম্যানেজার তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ, হেড অফ মার্কেটিং জাহেদুল ইসলামসহ হসপিটালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরো পড়ুন:


 



ট্রাকচাপায় দশম শ্রেণীর ছাত্র নিহত, সড়ক অবরোধ বিক্ষুব্ধ জনতার !


ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় মিলন ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণীর ছাত্র নিহত হয়েছে। 

নিহত দশম শ্রেণীর ছাত্র পীরগঞ্জ পৌর শহরের জগথা মাষ্টারপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।



বৃহস্পতিবার (৯জুন) দুপুরে পীরগঞ্জ পৌর শহরের মাষ্টারের মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ দূর্ঘটনা খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল এর প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।



প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র মিলন ইসলাম বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে  মাষ্টারের মোড় এলাকায় বেপরোয়া ভাবে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দেয়।এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অবরোধ চলছিল।



পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল সেখানে পাঠিয়েছেন বলে জানান। 

আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 



ঠাকুরগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল 


জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট  বালক-বালিকা (অনুর্দ্ধ-১৭) এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার বিকেলে (৮ জুন) সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজন ও ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মামুন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো: মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা তারেক আহমেদ বেগ, জেলা ক্রীড়া অফিসার গৌতম কুমার সরকার, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আ’

আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার গুপ্ত বুয়া প্রমুখ। 



এ সময় জেলা ক্রীড়া অফিসের  কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, সদস্য, ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং বিজয়ী এবং বিজীত টিমের খেলোয়াড়েরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ টিমের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।  

ফাইনাল খেলায় (বালক) দলে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা দলে ১-০ গোলে রানীশংকৈল উপজেলা দলকে পরাজিত করে। অপরদিকে (বালিকা)’য় রানীশংকৈল উপজেলা দল ৫-০ গোলে সদর উপজেলা দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।


খেলা পরিচালননার দায়িত্ব পালন করেন আলতাফুর আলিম। সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন, ইউনুস আলী, জুয়েল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আলিফ হোসেন, মো: আপেল, জাকির হোসেন। 

খেলা চলাকালীন সময়ে হাজারও দর্শকের সমাগম ঘটে। ধারা বর্ণনা করেন স্বনামধন্য ধারাভাষ্যকার সুজন খান।

উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টে (বালক-বালিকায়) মোট ৬টি করে দল অংশগ্রহন করে। দলগুলো হলো ঠাকুরগাঁও পৌরসভা , সদর উপজেলা , বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা, হরিপুর উপজেলা, পীরগঞ্জ উপজেলা ও রানীশংকৈল উপজেলা দল।


আরো পড়ুন:


  1. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী



বিপর্যয়ের পরও মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখালেন স্মার্ট গ্রুপের মালিক মুজিবুর রহমান


কঠোর শ্রম-পরিশ্রম ও সময় দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপ।কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন শত শত বেকার যুবকের। কিন্তু হঠাৎ একটি দূর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেছে। এক নিমিষেই শত শত মানুষের আয় রোজগারের কর্মস্থলটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সর্বনাশা আগুনে কেড়ে নিয়েছে (আনুমানিক) ৪৯টি তরতাজা প্রাণ আর শত মানুষের স্বপ্ন। নিঃস্ব করে দিলো কয়েক'শ পরিবারকে। মানুষ পোড়ার গন্ধ আর দগ্ধদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে সীতাকুণ্ডের বাতাস। শোকে বিহ্বল স্বজনহার পরিবার। 

অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় নিজ কোম্পানির হাজার কোটি টাকার আর্থিক বিপর্যয় হওয়ার পরও ঢাকার রানা প্লাজা কিংবা আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টের মালিকের মতো না পালিয়ে হতাহতদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতিগ্রস্থদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে এবং চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে 'নৈতিকতা ও মানবিকতার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত দেখালেন বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক ও স্মার্ট গ্রুপের মালিক মুজিবুর রহমান। 

বলছিলাম গত শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় বিস্ফোরণে ঘটে যাওয়া বিএম ডিপোর পরিচালক ও স্মার্ট গ্রুপের মালিক মুজিবুর রহমান সিআইপির কথা।

শনিবার রাতে তড়িৎ এক বিবৃতিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, এমন সংকটে সবাইকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পাশে থাকার আহ্বান জানান মুজিবুর রহমান। 

বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নৈতিকতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হতাহতদের পাশে থাকব। আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় আমরা বহন করব। এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছে, তাদেরকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। পাশাপাশি সকল হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেয়া হবে।’


ঘোষণা দিয়েছেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনে নিহত ফায়ার সার্ভিসের প্রত্যেক কর্মীর পরিবারকে ১৫ লাখ, অঙ্গহানি হওয়া ফায়ার সার্ভিসের প্রত্যেক কর্মীকে ১০ লাখ, যেসব ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৭ লাখ টাকা এবং যেসব ডিপো কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন প্রত্যেককে ১০ লাখ, অঙ্গহানি হয়েছে এমন কর্মকর্তাদের ৬ লাখ ও আহত ডিপো কর্মকর্তাদেরকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্মার্ট গ্রুপের মালিক মুজিবুর রহমান।

এদিকে আগামী রবি-সোমবারের মধ্যেই প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঘোষিত ক্ষতিপূরণের টাকা নিহত ও আহত পরিবারে পরিশোধ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুজিবুর রহমান সিআইপির পরিচালনাধীন বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ। 

দেশবাসীর প্রতি স্মার্ট গ্রুপের মালিক মুজিবুর রহমান শুধু একটাই আহবান জানান, এমন সংকটে সবাইকে 'মানবিক দৃষ্টিকোণ' থেকে পাশে থাকার।


আরো পড়ুন:

 




এশিয়ার সর্ববৃহৎ গাছে থোকায় থোকায় সুর্যপরী আম, ২ লাখ টাকা বিক্রির আশা ! 


জেলার পাঁচটি উপজেলায় ছড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী অসংখ্য দর্শনীয় বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে আলোচিত ঐতিহ্যবাহী ২৩০ বছরের পুরোনো সূর্যপুরী আমগাছ। ফলে এটি এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় আমগাছের স্বীকৃতি পেয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর সেই আম গাছ থেকে ৮০ থেকে ১০০ মণ আম সংগ্রহের আশা করা হচ্ছে। সুর্যপুরী জাতের এই আম গাছের আম প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সে হিসাবে ৮০ থেকে ১০০ মণ আম ২ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে। 

ভারতের সীমান্তবর্তী উপজেলা বালিয়াডাঙ্গীর হরিণমারী (নয়াপাড়া) গ্রামে বিশাল এ আমগাছটির অবস্থান। প্রায় ২ দশমিক ৫ বিঘাজুড়ে বিস্তৃত সূর্যপুরী গাছটি। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ফুট উঁচু এ গাছের পরিধি প্রায় ৩৫ ফুট।

গাছটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকা লোকজন, গাছের মালিক ও দেখতে আসা দর্শনার্থীদের মতে গত ২০ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি আম ধরেছে গাছটিতে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে প্রায় ৮০-১০০ মণ আম ফলন পাওয়া বলে আশা করছেন গাছটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লোকজন। 



সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে ওঠা ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আজও। গাছটির বিশালাকৃতির কারণে দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি বিশাল একটি ঝাউগাছ। কিন্তু কাছে গেলে ধারণা বদলে যায় সবার। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই আমগাছ দেখার জন্য এখানে ভিড় জমায়।


বর্তমানে থোকায় থোকায় আম ধরেছে গাছটির ডালে ডালে। আমগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছটি লিজ গ্রহণকারী সলেমান আলী নামে স্থানীয় এক আম ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলে। 

স্থানীয়রা গাছটির সঠিক কোনো তথ্য দিতে না পারলেও তাদের মতে, সূর্যপুরী জাতের এত বড় আমগাছ বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। তাই প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন গাছটি একনজর দেখার জন্য। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি থাকে বেশি। জনপ্রতি দর্শনার্থীদের কাছে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা করে টিকিট। টিকিট বিক্রি থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে গাছটির পরিচর্যা করা হয়।



আম ব্যবসায়ী সলেমান আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ বছরের জন্য আম গাছটি তিনি লিজ নিয়েছেন দেড় লাখ টাকায়। চলতি মৌসুমেই লিজের মেয়াদ শেষ হবে। গেল দু বছরে গাছে ভালো আম না আসায় বেশি লাভ করতে পারেনি। তবে এ বছর পুরো গাছে আম ধরায় আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি। 


গাছে থাকা শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০ মণ আম পাওয়া যাবে। বাজারে এই আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সব খরচ বাদ দিয়ে দুই লাখ টাকা বেশি আম বিক্রি করতে পারব।’ 


সূর্যপুরী গাছের মালিক সাইদুর রহমান বলেন, গাছটি আমার বাবার দাদার (প্রপিতামহ) লাগানো। এরপর থেকে আমাদের পরিবারের লোকজনই পরম্পরা এটাকে দেখাশোনা করে। ধীরে ধীরে গাছটি আকারে বাড়তে শুরু করে। গাছটির অদ্ভুত দিক হলো এর ডালগুলো। মূল কাণ্ড থেকে ডাল বেরিয়ে একটু ওপরে উঠে আবারও তা মাঠিতে নেমে গেছে। তারপর আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওপরে উঠেছে। দেখতে অনেকটা নদীর ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু।

গাছের মূল কাণ্ড থেকে বেরিয়েছে ২০টির মতো শাখা। গাছটির শাখাগুলোর দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মতন। গাছের প্রতিটি ডালে চাইলে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়।

দিনাজপুর থেকে পরিবারসহ গাছটি দেখতে এসেছেন জয়নুদ্দিন নামের এক দর্শনার্থী। তিনি বলেন, অনেকের মুখে শুনেছি এই গাছটির কথা। আজ পরিবারসহ এলাম। আসলেই গাছটি অনেক সুন্দর। গাছটির ডালপালা অনেক বড়। অনেক ভালো লাগল গাছটি দেখে। 



সূর্যপুরী জাতের এই গাছটির আম খুবই সুস্বাদু, মিষ্টি ও দেশের ব্যাপক পরিচিতি হওয়ায় বেশ চাহিদা রয়েছে রয়েছে এই গাছের আমের। গাছ থেকে আম ভাঙার আগেই অনেকেই অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকেন লিজ নেওয়া ব্যক্তিকে। তা ছাড়া স্থানীয় সরকারি অফিসে কর্মরত অফিসারগণ নিজ নিজ এলাকায় এই আম কিনে পাঠান। 


বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন জানান, সুর্যপুরী আমের উপজেলা হিসেবে পরিচিত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা। আর এই উপজেলাতেই রয়েছে প্রায় ২৩০ বছরের পুরোনো এশিয়ার সর্ববৃহৎ সুর্যপুরী আমগাছটি। স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী বয়স হলেও গাছটিতে এবার তুলনামূলক ভাবে বেশি আম ধরেছে। যা সবাইকে অবাক করেছে। 

ইউএনও আরও জানান, গাছটির পাশেই একই আঙ্গিকে আরও একটি সুর্যাপুরী আমগাছ বড় হচ্ছে। যেহেতু বড় গাছটির বয়স হয়ে গেছে। তাই ছোট গাছটিকেও যত্নসহকারে বড় করে তোলে বড় গাছটির যে সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য তা ধরে রাখে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে গাছের মালিক ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লোকজনকে।

যেভাবে যাবেন...

ঠাকুরগাঁও শহর থেকে বালিয়াডাঙ্গীর দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। রাণীশংকৈল থেকে ৩০ কিলোমিটার আর বালিয়াডাঙ্গী থেকে দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে হানিফ,শ্যামলি,নাবিল , তাজ সহ বিভিন্ন পরিবহনে ঠাকুরগাঁও যেতে পারবেন। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গী যেতে লোকাল বাস সার্ভিস আছে। লালমনিরহাট বা ঠাকুরগাঁও রুটে চলাচলকারী ট্রেনেও যেতে পারেন। বাসভেদে ভাড়া পড়বে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। আর ট্রেনে ৬৫০ থেকে ১৬০০ টাকা। আর বিমানযোগে যেতে চাইলে ৩৬০০ টাকা সৈয়দপুর পর্যন্ত (টিকিটের দর ওঠানামা করে)। তারপর সৈয়দপুর থেকে বাসে ১০০ টাকা ভাড়া পড়বে। সবশেষ গাছটি দেখতে আপনাকে ২০ টাকায় টিকিট কাটতে হবে।


আরো পড়ুন:




Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget