Latest Post

 



রাণীশংকৈলে যায়যায়দিনের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বনামধন্য ও বহুল প্রচারিত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 

অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে

সোমবার বেলা ১১টার দিকে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের আয়োজনে ডিগ্রী কলেজ রোড যায়যায়দিন কার্যালয়ে বর্ষপূর্তির কেক কাটা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

আয়োজিত এ আলোচনা সভায় উপজেলা  আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও কেক কেটে 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত করা হয়।

এসময় যায়যায়দিন পত্রিকার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি স্বাগত বক্তব্য রাখেন। 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক ইয়াশিন আলী, গেষ্ট অব অনার ৩০১ সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা।


বিশেষ অতিথি ক্রীড়াবিদ সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক , সহকারী শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি এমএএস রবিউল ইসলাম সবুজ, উপজেলা আ.লীগ যুগ্ম সম্পাদক আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব।

ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মোবারক আলী’র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন আকাশ, সিনিয়র সাংবাদিক উত্তরা প্রতিনিধি নুরুল হক, উত্তর বাংলা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান বাকি।

সেসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব সাবেক সাধারন সম্পাদক  করতোয়া প্রতিনিধি মোঃ বিপ্লব, সহকারী অধ্যাপক সামসদ আলী সামসুদ্দিন, প্রভাষক প্রশান্ত বসাক, নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জীবন, আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওন প্রমুখ। 


আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 



সীতাকুণ্ডে ডিপো বিস্ফোরণে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন পার্কভিউ হসপিটাল 

চট্টগ্রামে করোনার দুঃসময়ে দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে প্রথম থেকেই নগরীর পার্কভিউ হসপিতাল চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সরবরাহ করে চট্টগ্রামে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। ঠিক গত শনিবার ঘটে যাওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ ট্রাজেডিতে নিহত ও অগ্নিদগ্ধ আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে নগরীর হাসপাতাল গুলোতে যখন ডাক্তারেরা হিমশিম খাচ্ছেন। ঠিক সেই সংকট মুহুর্তে অসহায় আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সবার আগে এগিয়ে এসেছে পার্কভিউ হাসপাতাল।


বিস্ফোরণের দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য হাসপাতাল উন্মুক্ত করে দেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম।

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এই পর্যন্ত পার্কভিউ হাসপাতালে ৫৮ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন। তৎমধ্যে ৪১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। গুরুতর আহত ১৭ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে মহিউদ্দিন (২২) নামের একজনের লাশ আনা হয়েছে। পরে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ০৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।


পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে কনসালটেন্ট ডা. জিয়াউল কাদের, কনসালটেন্ট ডা. মো. মামুন, কনসালটেন্ট ডা. সগীর, কনসালটেন্ট ডা. ইসমাইল, কনসালটেন্ট ডা. আহমেদ রহিম, ইমার্জেন্সি ডিউটি ডাক্তার ও ফ্লোর ডিউটি ডাক্তারের সম্মিলিত টিম শনিবার রাত থেকে রোববার ভোররাত পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন। এখনো পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান আছে।

কিভাবে রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ বলেন, ‘আমরা নিজেদের থেকেই এই ব্যয় বহন করছি। এমনকি ওষুধও আমরা দিচ্ছি। রোগীদের স্বজনরা বলছে এই ব্যয় বিএম ডিপোর পক্ষ থেকে বহন করা হবে। আমরা আপাতত হিসেব রাখছি। এগুলো পরে দেখা যাবে।’

এদিকে গতকাল ৪ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধ মুমূর্ষু রোগীদের খোঁজ নিতে আসেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এবং চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী ও 

সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম এমপি ভর্তি রোগীদের দেখতে আসেন ও খোঁজ খবর নিতে পার্কভিউ হসপিটালে আসেন।

পার্কভিউ হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম বলেন, বিপদে বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। আমি একজন ডাক্তার হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের সবার উচিত মানবিক হওয়া। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। 

প্রসঙ্গত, এর আগে করোনার দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন চট্টগ্রামের এ পার্কভিউ হসপিটাল ও মানবিক ডা. এটিএম রেজাউল করিম। 

উল্লেখ্য, গত (৪ জুন) শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন মারা যান।


আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

 



সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৪০, আহত তিন শতাধিক


সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের পরই ডিপোতে থাকা আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণে কম্পনের আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিলো যে, আশেপাশের এলাকার অধিকাংশ বিল্ডিয়ের কাঁচের গ্লাস ভেঙে যায়। এই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীসহ ৪০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিন শতাধিক। 

সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে এই ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সাথে সাথে কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। ডিপোতে থাকা রাসায়নিক পদার্থবাহী কনটেইনার থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। 



জানা যায়, আগুন একটা কনটেইনার থেকে আরেকটাতে ছড়িয়ে পড়ছে।আর এতে মালবোঝাই এইসব কনটেইনারে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠছে আশেপাশের এলাকা। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫ টা ইউনিট কাজ করছে।



আতঙ্কে এলাকাবাসী এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছেন। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশকয়েক জন কর্মী দগ্ধ হয়েছেন। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল মানবজমিনকে বলেন, ওই কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক পদার্থ ছিলো। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

এই পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরো অনেক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে,  (৫ জুন) ভোরে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। সবমিলিয়ে বর্তমানে ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। তবে সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।




আরো পড়ুন:








বঙ্গবন্ধুকন্যা শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, চাকুরিও দিয়েছেন -তথ্যমন্ত্রী এম. মতিন




তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের জন্য যা করেছে, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি।

শনিবার (৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ শাসন ভেঙে পাকিস্তান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠা হয়নি। জামায়াত ইসলামীকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলো, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে ধর্মমন্ত্রী বানালেন কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।




ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবি বহু বছরের পুরনো। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনো এই দাবি ছিল। উনি আলেম-ওলামাদের নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান মাওলানা আহমদ শফী সাহেব আলেম-ওলামাদের নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন যেনো কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেন।

মন্ত্রী বলেন, অনেকে ভেবেছেন আমাদের নেত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বাস্তবায়ন হবেনা। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। স্বীকৃতি দেওয়ার পর অনেকে বলেছেন স্বীকৃতি দিয়েছেন কিন্তু চাকুরী হবেনা, চাকুরী পেলে বেতন পাবেননা। কিন্তু আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকুরিও দিয়েছেন, তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনার বাইরেও ছিলো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আজকে সারাদেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়াতেও দুই শতাধিক মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতিটি মক্তবের আলেম ৫২’শ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এটি আলেম সমাজ কখনো ভাবেনি। দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিটিতে দু’জন করে শিক্ষক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব গিয়ে আগের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতে হচ্ছেনা।'




আলেমদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি। ব্রিটিশ আমলে দেশ বিভক্ত হয়েছিল মুসলমানদের জন্য একটি দেশ, হিন্দুদের জন্য আরেকটি দেশ। সেই পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে কোন মসজিদ হয়নি।

'জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামের জন্য এবং আলেম ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, আলেমরা অন্যদের কাছে তা দয়া করে বলবেন- এই ফরিয়াদ রইলো' নিবেদন করে তথ্যমন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় ইসলামের খেদমতে কাজের বিবরণ দেন।

ড,. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইসলাম এবং আলেম-ওলামাদের খেদমত করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন ও আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশটিরও বেশি নতুন মসজিদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও হেফজখানায় সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তাও পৌঁছানো হয়েছে। 

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী দরবার-এ-আস্তানা শরীফের পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মেহেরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী।

এছাড়াও মতবিনিময় সভায় অন্যন্যাদের বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও আতাউল গণি ওসমানি, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া নূরুল উলুম কামিল মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা নজমুল হক নঈমী, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. মাওলানা আবদুল মাবুদ, আলমশাহপাড়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাণীর হাট আল আমিন হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম আল কাদেরী, খন্ডলিয়াপাড়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মো. সুলতান, কোদালা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল কাদের, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়দ আইয়ুব নুরী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।


আরো পড়ুন:



 




বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল শিশুসহ ৯ বাংলাদেশি নারী


বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে শিশুসহ ৯ বাংলাদেশি নারী । ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

ফেরত আসা নারীরা হলেন- খুসনা আক্তার, দিলরুবা খাতুন, বিজলী দাস, খুরশিদা খাইবার, চমপা মেনজাম, সোনিয়া আক্তার, রুহান আক্তার, সুমি শেখ, জেসমিন আক্তার। এদের বাড়ি দেশের হবিগঞ্জ, জয়পুরহাট, যশোর, খুলনা, তেরোখাদা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

সোনিয়া আক্তার বলেন, সংসারে অভাব অনটনের কারনে আয় রোজগারের আসায় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পথে ভারতের মুম্বাইয়ে যায়। পরে সেখানে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশে অবৈধভাবে বসবাস করার কারনে পুলিশ তাদের আটক করে জেলা হাজতে পাঠায়। সেখান থেকে নবজীবন নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে শেল্টার হোমে রাখে। দীর্ঘদিন পর আজ দেশে ফিরলাম।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহম্মেদ বলেন, ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার তাদের গ্রহন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।

যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরো পড়ুন:


 





যাত্রী হয়রানি বন্ধে দীর্ঘদিন পর দালালমুক্ত হলো বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন 


 দীর্ঘদিন পর হলেও দালালমুক্ত করা হলো বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশন। চলতি বছরের শুরু থেকেই বহিরাগতদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে পাসপোর্টযাত্রী ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

 

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া যোগদানের পরপরই সাহসী পদক্ষেপের কারণে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন ও সিসি ক্যামেরা। সশস্ত্র আনসার দিয়ে জোরদার করা হয়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টার্মিনালের প্রধান ফটকে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মী, আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখায় প্রবেশ করতে পারছে না স্থানীয় পাসপোর্ট দালালেরা। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের সেবার মান বৃদ্ধি করায় যাত্রীরা দ্রæত ও সুশৃঙ্খল ভাবে নিজেরাই সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন।


যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। করোনা সংক্রমন কমে আসায় যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১০ জন পাসপোর্টযাত্রী। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ৭৭ হাজার ৩২০ জন। আর ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬৩ হাজার ৮৯০ জন পাসপোর্ট যাত্রী।

 

কাস্টমস সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে এক শ্রেণীর লোক দূরদূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছিল। সিরিয়াল ছাড়া তাদের পাসপোর্ট দ্রæত করে দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল ঐ চক্রটি। পাসপোর্ট যাত্রীদের পক্ষ থেকে কাস্টমসে অভিযোগ করলে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। যাত্রীদের সেবার মান উন্নত করতে চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বহিরাগত দালাল উৎখাতে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে টার্মিনাল এলাকায় বহিরাগত কোনো দালাল ঢুকতে না পারে সে জন্য প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।


এদিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে (বর্ডার কার্গো জিরো পয়েন্টে) বহিরাগত অনুপ্রবেশ বন্ধ ও পাসপোর্টযাত্রীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে গত ৩১ মে চেকপোস্ট প্যাসেজ্ঞার টার্মিনাল সম্মেলন কক্ষে বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, উপ-কমিশনার অনুপম চাকমা, এইচ এম আহসানুল কবির, আবদুল কাইয়ুম, বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল, উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার, পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া, চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজুসহ বিজিবি, এনএসআই ও ডিজিএফআই কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান বলেন, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকায় বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পোর্টের লেবাররা তাদের সীমানার মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজ বহন করতে পারবে। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকায় যাত্রীরা নিজেরাই ট্রলি ব্যবহার করে যাতায়াত করবেন। লেবাররা যাতে পাসপোর্টযাত্রীদের হয়রানি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হবে। চেকপোস্টে একটি যাত্রী হেলপ ডেস্ক স্থাপন করা হবে। যাতে যাত্রীরা তাদের যাতায়াতে সর্বত্র সেবা পাবেন। সেই সাথে খাবার ও সুপিয় পানি ও পর্যাপ্ত ট্রলির ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে অসুস্থ ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা যাতায়াতে পাবেন হুইল চেয়ার। 


বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি মোহাম্মাদ রাজু জানান, বর্তমানে প্রতিটি যাত্রীকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে। যাত্রী সেবা বাড়াতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ইতিমধ্যে কাউন্টার বৃদ্ধি করা হয়েছে। আানসার ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টারে সেবা দেওয়া হচ্ছে।


বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, করোনা সংক্রমন কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রী পারাপার। প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে। চেকপোস্টে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে বহিরাগতসহ সকল অবৈধ অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন করতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বর্তমানে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নিরাপদে যাত্রীরা ভারত গমনাগমন করছেন। কোন ধরনের হুমকী ধামকি দিয়ে কাস্টমস এ দালাল প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। ঝামেলামুক্ত ভাবে যাত্রীরা যাতে ভারত যাতায়াত করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাসপোর্ট যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য কাস্টসসের পক্ষ থেকে প্রায় ২০০ ট্রলি দেওয়া হয়েছে।



আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget