Latest Post

রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক শাওন 
Anwar, President of Ranishankail Online Journalists Association and Shaon, General Secretary


ঠাকুরগাঁওয়ের "রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট আ্যাসোসিয়েশনের" ২০২২-২৪ সালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এতে সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকাশ (বিডি২৪লাইভ.কম) ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ শাওন আলম (উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ.কম) নির্বাচিত হয়েছেন।


৩০ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের  কার্যালয়ে এই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


নির্বাচনের আগে উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনাইদ কবির, অর্থ সম্পাদক নাহিদ রেজা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাজেদুর রহমান, আব্দুলাহ আল সুমনসহ জেলার নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের এই সমাজের দর্পণ বলা হয়। সাংবাদিকের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ত্রুটিগুলো জনসম্মুখে উন্মোচিত হয়। স্বাধীনতার স্বপক্ষে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া গণমাধ্যমের অন্যতম একটি দায়িত্ব। সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে আগাম তথ্য দিয়ে অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুন্দর সমাজ গঠনে অবদান রাখছেন সাংবাদিকরা। জেলার মধ্যে এই সংগঠনটি মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করেছে এবং সংগঠনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাবে বলে আমরা আশা করছি।


আলোচনা সভা শেষে রাত ৯ টার দিকে অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রাণীশংকৈল উপজেলা কমিটিতে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ১৩ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কমিটি ঘোষনা করেন জেলা নেতৃবৃন্দ। 


এতে সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন আকাশ, সাধারণ সম্পাদক পদে খুরশিদ আলম শাওন, সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক বিজয় রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ইসমাম, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হোসেন, অর্থ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ক্রীড়া সম্পাদক এ কে আজাদ কালাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জীবন ও নির্বাহী সদস্য পদে মাসুদ রানা পলক , মোবারক আলী, মোঃ বিপ্লব  নির্বাচিত হন।


সাধারণ সদস্যরা হলেন - ফারুক আহম্মেদ  সবুজ ইসলাম ও খালেদ মাহমুদ সুজন। 

সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ শাওন আলম বলেন, বড় একটি সংগঠনের দায়িত্ব প্রদান করেছে। আমরা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়, বষ্ঠনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে রাণীশংকৈল উপজেলাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। এতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 


সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকাশ জানান, ইতিপূর্বে  সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দুইবার দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি। এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সবসময় কাজ করে গেছে সামনেও কাজ করে যাবে। সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো। সকলেই পুর্বের ন্যায় পাশে থাকবে আশা করছি।


এদিকে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও প্রেস  ক্লাবের সভাপতি মনছুর আলী, রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সাংসদ  অধ্যাপক ইয়াশিন আলী, আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ ক্রীড়াবিদ তাজুল ইসলাম, রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ঠিকাদার আবু তাহের আ.লীগ, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও  বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ । 



আরো পড়ুন:





কেশবপুরে হনুমানের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বেগুনের আবাদ
Eggplant cultivation in Keshabpur to meet Hanuman's food needs


খাবারের সন্ধানে যশোরের কেশবপুরের হনুমানের দল এখন যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেশবপুরসহ পার্শ্ববর্তী মণিরামপুর, অভয়নগর, চুকনগর, কলারোয়ায় তাদের ঘোরাফেরা বেশি। গত কয়েক বছর ধরে হনুমান দলবেঁধে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থাসহ স্থানীয়রা সাধ্যমত তাদের খাবারের ব্যবস্থা করলেও হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন তারা। হনুমান বাড়িতে বা সবজি খেতে ঢুকে উৎপাত চালাচ্ছে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করছেন। তাদের খাদ্যের চাহিদা মটানোর জন্য কেশবপুরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩ শতক জমিতে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে বেগুনের আবাদ করা হয়েছে।


উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক শ বছর ধরে কেশবপুর সদর এবং পাশের ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় ৪০০ বিরল প্রজাতির  কালোমুখো হনুমান বাস করছে। বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চত্বর, হাসপাতাল, পাইলট স্কুল এলাকা, ভোগতীনরেন্দ্রপুর, মধ্যকুল, রামচন্দ্রপুর, ব্রহ্মকাটিসহ ১২টি এলাকায় তাদের বিচরণ রয়েছে।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বনবিভাগ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন হনুমানের জন্য ৫৪ কেজি কলা, ৮ কেজি বাদাম ও ৬ কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়। তবে এতসংখ্যক হনুমানের বিপরীতে ওই খাবার সবার মাঝে পৌঁছায় না। এ জন্য চলতি মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এডিপির অর্থায়নে হনুমানের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বেগুনের আবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই খেত থেকে প্রথমবার ৬ কেজি টাটকা বেগুন তোলা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন নিজ হাতে পরিষদ এলাকায় বিচরণ করা হনুমানদের খেতে দেন। ৩০ থেকে ৩৫টি হনুমানকে টাটকা বেগুন খাওয়ার সময় আনন্দে লাফালাফি করতে দেখা যায়। বেগুন খেতে দেওয়ার সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, চলতি বছর হনুমানের জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে যত্নসহকারে ৩ শতক জমিতে বেগুনের আবাদ করা হয়। মঙ্গলবার প্রথম ওই খেত থেকে ৬ কেজি টাটকা বেগুন তুলে হনুমানদের খেতে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “দুই-তিন দিন পর পর বেগুন উত্তোলন করা যাবে। এ খেতের উৎপাদিত সব বেগুন হনুমানগুলোকে খাওয়ানো হবে।'


কেশবপুরে হনুমানের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩ শতক জমিতে বেগুনের আবাদ করা হয়েছে। ক্ষেত থেকে তোলা বেগুন হনুমানদের খেতে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা।



আরো পড়ুন:




কেশবপুর মঙ্গলকোট  ইউনিয়নের হতদরিদ্র ২৩৮ টি পরিবারের মাঝে চাউল বিতরন
Distribution of rice among 238 extremely poor families of Keshabpur Mangalkot Union


কেশবপুরের মঙ্গলকোট  ইউনিয়নে দুঃস্থ, হতদরিদ্র ২৩৮ টি পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইউনিয়নের দুঃস্থ, হতদরিদ্র ২৩৮ টি পরিবারের মাঝে ২০২১-২০২২ চক্রের ভিজিডি মাসিক প্রতি কার্ডে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণের শুভ উদ্ধোধন করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, ট্যাগ অফিসার হংসপতি, ইউপি সচিব মোখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা রেজাউল খা, ইউপি মেম্বর মোসলেম উদ্দীন গোলদার,  জহির রায়হান, অাব্দুল বারি শেখ, কামরুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দীন সরদার, মুতাহিরুল হক, মনিরুজ্জামান বাচ্চু, লিটন, মমতাজ খাতুন নাসরিন বেগম, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজ উদ্দীন মীরসহ পরিষদের সকল সদস্য ও গ্রামপুলিশগণ।



আরো পড়ুন:




ফেনীতে প্রতিদিন ৭ শতাধিক মানুষকে ইফতার করান মেয়র স্বপন মিয়াজী
In Feni, Mayor Swapan Miyaji made Iftar for more than 700 people every day


ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর ব্যক্তিগত ও পৌরসভার উদ্যোগে প্রতিদিন বিনামূল্যে ৭ শতাধিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।  

জানা যায়, মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন ৫ শতাধিক রোজাদারের জন্য তৈরি করা হয় এইসব  ইফতার। এছাড়াও ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হয় আরও ২০০ মানুষের ইফতার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে মেয়রের ব্যক্তিগত অফিসের সামনে, তার এলাকা ও বিভিন্ন মসজিদে এসব ইফতার বিতরণ করা হয়।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ছয়লেন উড়াল সেতুর এক পাশে রোজাদারদের জন্য অপেক্ষা করেন ফেনী পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর লোক। সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়িচালক ও যাত্রীদের গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয় ইফতার। প্রতিদিন এখানেই বিতরণ হয় তিন শতাধিক প্যাকেট ইফতার। বাকি ইফতারের প্যাকেটগুলো বিতরণ হয় বিভিন্ন মসজিদ, এতিমখানা, এলাকার অসহায়দের মধ্যে।


মেয়র স্বপন মিয়াজী জানান, প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ইফতারের এ আয়োজন প্রতিবছরের ন্যায় শেষ রোজা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।


ইফতারে পূর্ব মুহূর্তে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকেই মহিপাল ফ্লাইওভারের পূর্ব অংশের সড়কে ইফতারের থলে নিয়ে রোজাদারদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন মেয়রের স্বেচ্ছাসেবক টিম। বিভিন্ন গাড়ির চালক ও পথচারী ও যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নানা পদের ইফতারের প্যাকেট ও পানির বোতল।


এছাড়াও ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা ২০০  প্যাকেট ইফতার। পৌরসভা প্রাঙ্গণ ও ট্রাংক রোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গরিব ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এইসব ইফতার।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, রোজাদারদের ইফতার করানো সাওয়াবের কাজ। সেই চিন্তা থেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ক্ষুদ্র আয়োজন।


তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পাশেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। প্রতিদিন এই পথে অসংখ্য যানবাহন ও পথচারী চলাচল করে থাকে। মহাসড়কে রোজাদার গাড়িচালক ও পথচারীরা ইফতার করতে অসুবিধায় পড়েন। তাদের কথা চিন্তা করে বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন করে আসছি। যে কেউ চাইলে আমার কার্যালয়ের সামনে বসে ইফতার করতে পারবেন। যারা নিতে চায় তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে প্যাকেটে।

আরো পড়ুন: তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার

মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, সমাজের সব বিত্তবানরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন তাহলে কোন রোজাদার ইফতারের সময় অভুক্ত থাকবে না।


স্থানীয়রা জানান, মেয়র হওয়ার আগ থেকেই গত কয়েক বছর ধরে তিনি মহাসড়কে যাতায়াতকারী রোজাদারদের ইফতার করিয়ে থাকেন। এছাড়াও পৌর এলাকার কর্মহীন মানুষদের সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। শহরের সবক’টি মসজিদের সামনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য পানির ট্যাঙ্কের ব্যবস্থাও করেছেন মেয়র।


ইফতার বিতরণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাঈন উদ্দিন সুমন বলেন, মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ভাইয়ের অর্থায়নে প্রতিদিন রোজাদার গাড়িচালক ও পথচারীদের মধ্যে ইফতারী বিতরণ করা হয়। সড়কে যাতায়াতকারীরা মেয়রের এ ইফতার পেয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছেন।


মহাসড়কের এক ট্রাকচালক বলেন, মহাসড়কের পাশে বেশিরভাগ মানুষ ব্যবসায় মত্ত থাকে। এক গ্লাস পানিও বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। সেখানে ভিন্ন চিত্র ফেনীর মহিপালের এই জায়গার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এখানে রোজাদারদের ইফতার করানো হয়। এমন উদ্যোগের জন্য তিনি মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রীরা বলেন, এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যাত্রা অবস্থায় থাকা মানুষগুলো ইফতার নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন। ফেনীর মেয়রের এমন উদ্যোগের কারণে সেসব মানুষগুলো উপকৃত হবেন।



আরো পড়ুন:




ফেনীতে ফলের আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় জরিমানা
Feni warehouse was fined for not displaying the price list


ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর অভিযানে ফেনীর মহিপালে ফলের আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় জরিমানা করা হয়েছে।রবিবার মহিপাল ফল আড়তে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ ব্যবসায়ীর ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমা জানান, মহিপাল ফল আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ ব্যবসায়ীর ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।


 এছাড়াও এ সময় হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে ফল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় সচেতনতামূলক প্রচারণা করা হয়।


অভিযানে সহায়তা করেন ফেনী জেলা মার্কেটিং অফিসার হারুন-অর-রশিদ ও সদর মডেল থানা থেকে পুলিশের একটি চৌকস টিম।



আরো পড়ুন:




ফুলগাজীতে উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান
Joint operation of Upazila Administration and Consumer Rights Protection Department in Fulgazi


ফেনীর ফুলগাজীতে উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে বিভিন্ন দোকানিকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় ১৩ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।সোমবার ৪ এপ্রিল দুপুরে ফুলগাজী বাজারে অবস্থিত একটি মুদি দোকান ও ১টি সবজির দোকানে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি ও মূল্য তালিকা আপডেট না থাকার কারনে ২ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা নাসরিন কান্তা।

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

অপরদিকে একই সময়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমার নেতৃত্বে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও পণ্যের মোড়কে তারিখ ব্যবহার না করার অপরাধে ১ টি মুদি দোকান ও ২ টি সবজি দোকানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।


ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা নাসরিন কান্তা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


অভিযান চলাকালে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে  সতর্ক করে ব্যাবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন পাকা ভাউচার ছাড়া কোন ধরনের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় না করে এবং এর ব্যতিক্রম ঘটলে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন। অভিযানে সহায়তা করেন ফুলগাজী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।



আরো পড়ুন:




ফেনীতে ৪ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ
District Detective Police have arrested a drug dealer with 4 kg of cannabis in Feni


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদরের ধর্মপুর ইউনিয়নে বিকন কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ছাদেক মিয়া (৫০) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় চার কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। 


আটককৃত ছাদেক মিয়া কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার কোটেশ্বর এলাকার মৃত রেনু মিয়া ও মৃত আম্বিয়া খাতুনের ছেলে। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

পুলিশ সূত্র জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোমবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এসআই মো: কুতুবউদ্দিন, এসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই এবিএম আশিকুর রহমান ও এএসআই মো: ইমাম উদ্দিন রাজু সহ জেলা গোয়েন্দা  পুলিশের একটি টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী বিকন মডেল কলেজ এর সামনে অভিযান চালিয়ে ছাদেক মিয়া নামে একজনকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে টেপ মোড়ানো দুটি পলিথিন থেকে চার কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়।


জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে ফেনী মডেল থানায় মামলা রুজু করা  হয়েছে।



আরো পড়ুন:




ফরিদপুরের অপ্রচলিত উচ্চমূল্যের ফসল ‘ওটস’ চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে
Faridpur's unconventional high value crop "Oats" has a great potential for cultivation


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিএআরআই) উদ্ভাবিত উচ্চ মূল্যের দানা জাতীয় ফসল ওটস চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ফরিদপুরে। এরই মধ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলার বসু নরসিংহদিয়া গ্রামের মাঠে সরেজমিন গবেষণা বিভাগের তত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে অপ্রচলিত এ ফসলের আবাদে সফলতাও পেয়েছে কৃষি বিভাগ। চর পতিত জমিতে এ ফসল চাষাবাদ করা গেলে একদিকে পতিত জমি কৃষি জমিতে রুপান্তরিত হবে, অন্যদিকে ভাগ্যের পরিবর্তন হবে চরবাসীর।

ফরিদপুরের বসু নরসিংহদিয়া গ্রামের মাঠে কৃষি মিউজিয়ামে ওটস ছাড়াও সমজাতীয় ফসল কাউন ও বার্লির আবাদ করে সফলতা অর্জিত হয়েছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হযরত আলী আগ্রহী কৃষকদের ওটসসহ অপ্রচলিত দানাদার ফসল আবাদে কারিগরি সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, উচ্চমূল্যের এ ফসলটি আবাদে কৃষকদের লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

সরেজমিন গবেষনা বিভাগের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহমেদ জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে অপ্রচলিত দানাদার ফসলের কিছু আধুনিক ও উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যার মধ্যে ওটস, কাউন ও বার্লি উল্লেখযোগ্য। এ তিনটি জাত কম সেচ ও কম উর্বর জমিতে আবাদযোগ্য। 

আর বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার ফরিদপুরের বসু সরসেংহদিয়া এলাকায় এ ফসলগুলোর আবাদ পরিদর্শনকালে জানান, প্রতিবছর দেশে এক শতাংশ করে কমছে কৃষি জমি, তাই পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে  ওটস, কাউন ও বার্লিসহ এ জাতীয় ফসলের আবাদ সম্প্রসারণ করা জরুরী। তিনি জানান, আর বিজ্ঞানীরা ফসলের আধুনিক ও উন্নত জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে। 

আরো পড়ুন: সন্তানের সামনে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলা

নিম্নে অপ্রচলিত দানাদার ফসল ওটস, কাউন ও বার্লির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো।

ওটস :

বিজ্ঞানীদের ভাষায়, ওটস একটি খাদ্যশস্য যা ধান, গম ও যব জাতীয় উদ্ভিদ শস্য। ওটস স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে সমজাতীয় খাদ্য তালিকার প্রায় উপরের দিকে অবস্থান করে। ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার (৮ ভাগ), প্রোটিন (১৩ ভাগ), শর্করা (৫১ ভাগ), এছাড়াও ভিটামিনসহ একগুচ্ছ পুষ্টি উপাদান। বিশেষত ওটসে রয়েছে ভিটামিন-বি যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ওটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন ইত্যাদি যা অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবারের তুলনায় বেশি। ওটসে প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। 

ওটস কোলেস্টেরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ওজন কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়। 

বারি ওটস-১ এর বৈশিষ্ট: বাংলাদেশের সকল এলাকায় চাষ করা যায়, তবে চর এলাকার জন্য বিশেষ উপযোগী।জাতটি ১২৫-১৩০ দিনে পরিপক্ক হয়।প্রতি হেক্টরে জাতটির গড় ফলন ১ চন থেকে ১.২ টন।


কাউন :

প্রায় সব ধরনের মাটিতেই কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি দাড়ায় না এমন বেলে দোঁ-আশ মাটিতে এর ফলন ভাল হয়। ছোট দানা বিশিষ্ট শস্যটি বাংলাদেশের সাধারণত চরাঞ্চলে অথবা কম ঊর্বর জমিতে কম খরচে কাউনের চাষ করা হয়ে থাকে। কাউন দিয়ে তৈরীকৃত এই খাবারগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। 

১০০ গ্রাম কাউনের চাউল ৩৭৮ ক্যালোরি প্রোটিন, ৯ গ্রাম পানি, ৭৩ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪ গ্রাম মিনারেল, ৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি, ৩০০ ক্যালোরি ডায়োটরি ফাইবার, পটাশিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক এ পর্যন্ত মোট ৪টি কাউনের জাত উদ্ভাবন করেছে। 

বারি কাউন-৩ এর বৈশিষ্ট্য: ১২০-১২৫ দিনের জীবনকালের কাউনের এ জাতটি খাট প্রকৃতির হওয়ায় নূয়ে পড়েনা, গাছের পাতাগুলো খাড়া ও অগ্রভাগ সূচালো হওয়ায় পাখির আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাধারণতঃ অগ্রহায়ণ মাসে বীজ বোনা হয়ে থাকে। অন্য ফসলের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে খরিপ মৌসুমেও বীজ বোনা যায়।গড় ফলন আড়াই থেকে তিন টন/হেক্টর। স্থানীয় জাতের চেয়ে ফলন শতকরা প্রায় ৩৫ ভাগ বেশি।

বারি কাউন-৪ এর বৈশিষ্ট্য: জাতটির কাণ্ড দৃঢ়, শক্ত, মজবুত ও অপেক্ষাকৃত খাট হওয়ায় জাতটি সহজে হেলে পড়েনা।হেক্টর প্রতি উৎপাদন ৩.৫৩ টন।জাতটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং ১০৮ দিনে পরিপক্ক হয়। খাদ্য ও পানির চাহিদা কম হওয়ায় খরা প্রবণ ও চরাঞ্চলেও চাষ করা যায়।


বার্লি :

বার্লির স্খানীয় নাম যব। সাধারণত চরাঞ্চলে অনুর্বর জমিতেও স্বল্প ব্যয়ে এর চাষ করা হয়। বার্লি দিয়ে শিশু খাদ্য, ওভালটিন, হরলিক্স প্রভৃতি সুস্বাদু খাদ্য তৈরি হয়। বার্লিতে আমিষ ও শর্করার পরিমাণ ১১.৫০ ভাগ ও ৬৯.৬০ ভাগ। আঁশের পরিমাণ যেখানে গমে ১.৯ ভাগ সেখানে বার্লিতে এর পরিমাণ ৩.৯০ ভাগ। 

বার্লিতে নিয়াসিন (ভিটামিন বি-৩), থায়ামিন (ভিটামিন বি-১), সেলিনিয়াম, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ইত্যাদি খনিজ পদার্থ থাকে। ইহা মানুষের শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধির কাজে লাগে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

বারি বার্লি-৭ এর বৈশিষ্ট্য: জাতটির শীষ ছয় সারি বিশিষ্ট ও দানাগুলো খোসামুক্ত। গাছ খাটো আকৃতির। জীবনকাল ৯০-১০৫ দিন। ফলন: হেক্টর প্রতি ফলনঃ ২.২০-২.৫০ টন।



আরো পড়ুন:




Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget