Latest Post


ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরে এসেছেন জাতীয় দলের সীমানায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে অপেক্ষমান হিসেবে জায়গা করে নেওয়া শাহরুখ খান এখন স্বপ্নের আঙিনার আরও কাছে গেছেন। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের মূল দলে যে ডাক পেয়েছেন বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান।

আহমেদাবাদে রোববার হবে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে। ম্যাচটির জন্য শনিবার ১৬ জনের দল দিয়েছে ভারত।

ভারতীয় দলে করোনাভাইরাসের ছোবলে দলে সুযোগ পেলেন শাহরুখ। গত বৃহস্পতিবার স্বাগতিক শিবিরে ৭ জনের শরীরে ধরা পড়েন এই ভাইরাসের অস্তিত্ব। ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আইয়ার ও রিজার্ভ তালিকায় থাকা পেসার নবদিপ সাইনি এখন আছেন আইসোলেশনে।

এতজন পজিটিভ হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে দলে যোগ করা হয়েছে ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে। তবে বাধ্যতামূলক তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে প্রথম ওয়ানডের জন্য বিবেচনায় আসেননি তিনি। পারিবারিক কারণে নেই লোকেশ রাহুলও।

ওপেনারদের অনুপস্থিতিতে ইশান কিষানকে দলে যোগ করেছে ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেন, উদ্বোধনী জুটিতে কিষানই হবেন তার সঙ্গী। গত জুলাইয়ের পর এটি হবে ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের প্রথম ওয়ানডে, আর ক্যারিয়ারের তৃতীয়।

প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া শাহরুখ ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ আলোচিত নাম। নজর কেড়েছেন ইনিংসের শেষ সময়ে একের পর এক ছক্কা আর স্নায়ুর চাপ সামলে দারুণ ফিনিশিং দেখিয়ে। সেটির প্রতিফলনই পড়ে গতবছরের আইপিএলের নিলামে। ২০ লাখ ভিত্তিমূল্যের ব্যাটসম্যানকে ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে নেয় পাঞ্জাব কিংস।

আইপিএলে অবশ্য শাহরুখ-ঝড় খুব একটা দেখা যায়নি। ১১ ম্যাচে ১৫৩ রান করতে পারেন কেবল ২১.৮৫ গড়ে। স্ট্রাইক রেট অবশ্য খারাপ ছিল না (১৩৪.২১)।

আগ্রাসনই শাহরুখের সবচেয়ে বড় শক্তি। গত নভেম্বরে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির ফাইনালে যখন শেষ বলে প্রয়োজন ৫ রান, ছক্কা মেরে শাহরুখ শিরোপা এনে দেন তামিলনাড়ুকে।

এরপর ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৭ ইনিংসে ছক্কা মারেন ২০টি। আসরে ২৫৩ রান করেন ৪২.১৬ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ছিল অবিশ্বাস্য, ১৮৬.০২। দুটি ফিফটি করেন টুর্নামেন্টে, একটিতে ৫ ছক্কায় করেন ৩৫ বলে ৬৬, আরেকটিতে ৬ ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৯।

দারুণ সব পারফরম্যান্স করে এবার এলেন তিনি জাতীয় দলে। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আদর্শ মানা শাহরুখ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক থেকে কেবল এক ধাপ দূরে।

প্রথম ওয়ানডের ভারত দল স্কোয়াড: 

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দিপক হুডা, রিশাভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), দিপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, যুজবেন্দ্র চেহেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিষ্ণই, মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণা, আভেশ খান, ইশান কিষান, শাহরুখ খান।


ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম মুখ মঈন আলী। তবে তাঁর স্ত্রী ফিরোজা হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা ফিরোজার বাপের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের জামাই ইংল্যান্ড ক্রিকেটার মঈন আলী।

বিপিএলের চলমান আসরে খেলতে বর্তমানে বাংলাদেশে আছেন মঈন। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের সঙ্গে সিলেট পর্বে খেলতে গিয়েছেন তিনি। 



শ্বশুরবাড়ির এলাকায় গিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত এই তারকা ক্রিকেটার। অনুশীলনের ফাঁকে সেই উচ্ছ্বাসের কথা জানাতে ভুল করলেন না কুমিল্লার হয়ে খেলতে আসা এই ক্রিকেটার।



অনুশীলনের এক ফাঁকে মঈন বলেন, ‘আমার স্ত্রী এখানকার (বাংলাদেশি)। তার বোন এখানেই থাকে, শ্বশুরবাড়ি ঢাকায়। দুই-একদিনের মধ্যেই তারা সিলেটে আসছে। আমার শ্বশুরবাড়ি এখানে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সম্মান। সিলেটে প্রথমবার এলাম। আমার পরিবার সব সময়ই বলে, চলো সিলেট বেড়িয়ে আসি। কিন্তু আমি সময় বের করতে পারিনি। এখানে এসে ভালো লাগছে।’



সিলেটে গিয়ে সেখানকার ভাষাও শেখার চেষ্টা করছেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘আমি কিছু সিলেটি শব্দ পারি। আরো কিছু জানতে পারলে খুশি হতাম। আশা করছি নতুন কিছু শব্দ শিখতে পারব। হোটেলে যারা আছে, তারা আমার সঙ্গে সিলেটি ভাষায় কথা বলে। এজন্য আমাকে চেষ্টা করে শিখতে হবে।’



সিলেট শহরের পীর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ফিরোজার বাবা এম হোসেন। এরপর সপরিবারে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই জন্ম হয় ফিরোজার। এরপর ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা ফিরোজার সঙ্গে বিয়ে হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেটার মঈন আলীর।


উদ্ধারকর্মীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হল, মরক্কোর একটি কুয়ায় চার দিন ধরে আটকে থাকা পাঁচ বছরের শিশুটিকে বাঁচানো গেল না।

বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার রাতে রায়ান ওরাম নামের ওই শিশুটিকে কুয়া থেকে তুলে আনার পরপরই রাজকীয় এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

গত মঙ্গলবার মরক্কোর উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকা তামরতে ১০৪ ফুট গভীর একটি কুয়ায় পড়ে যায় রায়ান। কুয়ার মুখ মাত্র ১৮ ইঞ্চি চওড়া হওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা নামতে পারছিলেন না।

রায়ানের কুয়ায় আটকে থাকার খবর নাড়িয়ে দেয় পুরো মরক্কোকে। হাজার হাজার মানুষ সেই কুয়ার কাছে ভিড় করে। অসংখ্য মানুষ রায়ানের খবরের জন্য নজর রাখেন অনলাইনে।

সামাজিক মাধ্যমে #SaveRyan হ্যাশট্যাগে শিশুটির প্রতি সহমর্মিতা জানান অনেকে। সাড়া মেলে মরেক্কোর বাইরেও থেকেও। 

উদ্ধারকর্মীরা বুলডোজার দিয়ে ওই পহাড়ে কুয়ার সমান্তরালে একটি গর্ত খোঁড়েন। কিন্তু তাতে ভূমিধসের শঙ্কা ছিল। ঝুঁকি এড়াতে সেই গর্তে পিভিসি টিউব বসানো হয়।

শনিবার উদ্ধারকর্মীরা জানান, রায়ানের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তারা। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার পর শিশুটিকে তুলে আনতে পারেন তারা।

শিশুটি কেমন আছে- সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি সে সময়। তবে দীর্ঘ চেষ্টার পর তাকে তুলে আনা সম্ভব হওয়ায় আনন্দ আর স্বস্তি প্রকাশ করেছিল কুয়ার কাছে ভিড় করে থাকা জনতা।

কিন্তু আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে যখন রায়ানের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হল, সবার স্বস্তি পরিণত হয় শোকে। সেই একই হ্যাশট্যাগে টুইটার ভরে ওঠে শোকবার্তায়।

মরক্কোর রাজপ্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “শিশু রায়ান ওরামের প্রাণ কেড়ে নেওয়া মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর তার বাবা-মাকে সাক্ষাৎ দিয়েছেন বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ। কুয়ায় পড়ে রায়ানের মৃত্যুর ঘটনায় বাদশাহ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।”

গত মঙ্গলবার যখন ওই দুর্ঘটনা ঘটে, ওই কুয়াটি মেরামত করছিলেন রায়ানের বাবা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, এক মুহূর্তের জন্য ছেলের ওপর থেকে তার নজর সরেছিল, এর মধ্যেই সর্বনাশ হয়ে গেল। 

মরক্কোর সিভিল প্রটেকশন ডিরেকটরেটের নেতৃত্বে সেদিন সন্ধ্যা থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয় শেফশাওয়েন শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ছোট্ট শহর তামরতের ওই পহাড়ে।

বৃহস্পতিবার কুয়ায় নামানো ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যায়, শিশুটি তখনও জীবিত, তার চেতনাও আছে। উদ্ধারকর্মীরা তার কাছে খাবার, পানি আর অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে সেসব তার কোনো কাজে লেগেছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।  

ওই পহাড়ের বালি আর পাথরের গঠনের কারণে কুয়ার মুখ বড় করে উদ্ধার অভিযান চালানোর সুযোগ ছিল না, কারণ তাতে যে কোনো সময় ধসের আশঙ্কা ছিল। সে কারণে বুলডোজার দিয়ে কুয়ার সমান্তরালে মাটি কেটে বিরাট এক গর্ত খোঁড়া শুরু হয়। শক্তিশালী ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে রাতেও কাজ চলে। 

পুরো সময়টায় সেখানে জড়ো হওয়া হাজারো মানুষ প্রার্থনা করছিলেন রায়ানের জন্য। তারা আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিচ্ছিলেন, ধর্মীয় গান গাইছিলেন। কেউ কেউ তাঁবু খাটিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন।

কিন্তু তাদের সঙ্গে পুরো মরক্কো শোকে ভাসে শনিবার রাতে, যখন রায়ানের মৃত্যুর খবর জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময়ে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে ৯ হাজারের নিচে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৫৬০ জন মারা গেলেন।+

ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জন।

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ১৭ জন। তাদের নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৬৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ দুই হাজার ২৬১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।


শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক চার শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন আর নারী ১৫ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২৩৫ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ৩২৫ জন।

মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে বয়সীদের। এ বয়সের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। এরপর আটজনের মৃত্যু হয়েছে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছিলেন সাতজন, ছয়জন ছিলেন ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

৩১ থেকে ৪০ বছর আর ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিলেন দুইজন করে আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই রয়েছেন ২৫ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন দুইজন করে, খুলনা বিভাগের তিনজন আর রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের আছেন একজন করে।

মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯ জন।


অবশেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছে আপিল বোর্ড। আজ সন্ধ্যায় এফডিসিতে ডাকা এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণ এ পদে জয়ী হয়েছেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আজ শনিবার বিকেল পাঁচটায় এফডিসিতে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য পদে চুন্নুর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে বৈঠকে বসে আপিল বোর্ড।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, দুই নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন ও বি এইচ নিশান, অভিযোগকারী নিপুণ। তবে এ বৈঠকে দুই অভিযুক্ত উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান।

এ ঘটনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি নিয়ে জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে। তবে আপিল বোর্ডের এ রায় মেনে নিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে জায়েদ খানের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি। নিজের বিজয় ঘোষণার পর নিপুণ বলেছেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে।’
















৯২ বছরে শেষ হলো কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের কর্মময় পথচলা।

হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চলে গেলেন উপমহাদেশের সংগীতের এই প্রবীণ মহাতারকা। রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মধ্য মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসসহ বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম খবরটি নিশ্চিত করেছে। নিশ্চিত করেছেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন সান্থানামও।



জানুয়ারি মাসের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হন লতা মঙ্গেশকর। তখন থেকেই ভর্তি ছিলেন মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে। ৮ জানুয়ারি থেকে সেখানেই ছিলেন তিনি। শুরু থেকে চিকিৎসক প্রতীত সামদানির চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।



প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। একসময় কোভিড নেগেটিভ হলেও পরে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি প্রবাদপ্রতিম গায়িকার শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

আশার আলো দেখছিলেন চিকিৎসকেরাও। তবে শনিবার লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক পরিস্থিতির আবার অবনতি হয়। এদিন দুপুরে চিকিৎসকেরা জানান, গায়িকার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন।



শনিবার সন্ধ্যাবেলা বোন লতাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান আশা ভোসলে। তখন থেকে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। ভক্ত, পরিবারের সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন। চিকিৎসকেরাও চেষ্টা করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে যান কিংবদন্তিতুল্য এ শিল্পী।


লতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমেছে ভারত, এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে। বিনোদনজগৎ তো বটেই, লতার মৃত্যুতে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে নানা জগতের মানুষ।

সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচকের হৃদয় তৃপ্ত করে চলা ভারতীয় সংগীতের এই কিংবদন্তি ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন। কিন্তু তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে।

ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে, মারাঠি গান গেয়ে। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম হিন্দি সিনেমার জন্য গান করেন। বসন্ত জোগলেকরের ‘আপ কি সেবা মে’ ছবিতে তিনি ‘পা লাগু কার জোড়ি’ গানটি গেয়েছিলেন। দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দার তাঁকে প্রথম বড় সুযোগ দেন।



‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিল মেরা তোরা’ গানটির পর লতাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। সংগীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ডের ইতিহাস আশা ভোসলের। তিনি গেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার গান। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এ রেকর্ড ছোট বোন আশার হওয়ার আগে ছিল লতা মঙ্গেশকরের। লতা গেয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার গান।

লতা মঙ্গেশকর ৩৬টি ভাষায় গান করেছেন। এর মধ্যে আছে বাংলাও। ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’, ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’, ‘ও মোর ময়না গো’, ‘ও পলাশ ও শিমুল’, ‘আকাশপ্রদীপ জ্বেলে’সহ আরও অনেক বিখ্যাত বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।


২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন।


নাটোরের লালপুরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মাণাধীন কনস্ট্রাকশন কাজের বিলম্বের কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে এই যানজট। 


যানজটের কারণে প্রচুর মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কনস্ট্রাকশনের কাজ অনেকদিন আগে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কাজের কোন গতিবিধি নেই। কারো কোন গুরুত্ব নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া  হচ্ছে না। কনস্ট্রাকশন কোম্পানি গুলোর কাজের বিলম্বের কারণে সাধারণ জনগণের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আর কতদিন এই ভোগান্তি সহ্য করতে হবে সাধারন জনগনের।


যানজটের আরেকটি বড় কারণ হল লালপুরের প্রাণকেন্দ্রে এত ব্যস্ততম শহর হওয়ার পরেও সেখানে কোন ট্রাফিক পুলিশ নেই যে যার ইচ্ছে মত চলাফেরা করতেছে।


যানজটের যেসকল সমস্যা তৈরি হচ্ছে


যানজট আমাদের দেশের অতি পরিচিত দৃশ্য, আলােচিত বিষয় এবং নাগরিক জীবনের এক ভােগান্তির অনুষঙ্গ। রাস্তায় প্রয়ােজনের তুলনায় অতিরিক্ত গাড়ি যখন স্বাভাবিক গতিতে চলতে ব্যর্থ হচ্ছে। 




সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার ত্রুটি যানজটের একটি অন্যতম কারণ। তবে যানজটের প্রধান দুটি কারণ হলাে— অবৈধ রাস্তা দখল এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করা। এই রাস্তার অনেক জায়গা আবার বিভিন্ন অবৈধ দখলদারের হাতে। রাস্তায় দোকানপাট, ময়লার ভ্যান, যত্রতত্র গাড়ি রেখে রাস্তাকে সংকীর্ণ থেকে আরও সংকীর্ণতর করে ফেলা হচ্ছে। 


ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ট্রাফিক আইন অমান্য করার ফলে রাস্তার স্বাভাবিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া চালকের অদূরদর্শিতা, শহরমুখী মানুষের স্রোত, অপ্রশস্ত রাস্তা প্রভৃতি বিষয়ও যানজটের অন্যতম কারণ। যানজট লালপুর বাসীর জীবন থেকে প্রতিদিন প্রচুর সময় কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের মূল্যবান সময়কে আমাদেরই ভুলে যানজটের কাছে হারাতে হচ্ছে। 


কর্মক্লান্তির মধ্যে যানজটে আবদ্ধ থাকা সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতেছে। 





যানজট সমস্যার সমাধান


প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ আইন,আইনের কঠোর প্রয়ােগ প্রভৃতি বিষয় যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। 


শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। যানজট নিরসনে আমাদের সবার সচেতনতা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। উন্নয়নের পথে আমাদের যে যাত্রা, সে যাত্রাকে আরও গতিশীল করতে যানজট সমস্যা সমাধানের কোনাে বিকল্প নেই।


এ বিষয়ে নাটোরের লালপুরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি।

৯:২৬ AM


বহুল আলোচিত সিনেমা ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’। অবশেষে মুক্তি পেলো তার ট্রেলার। আজ শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) ৩মিনিটের এই ট্রেইলারটি মুক্তির পর থেকে ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

আলিয়ার ভক্তদের মন্ত্যবের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। মন্ত্যবেই বুঝা যাচ্ছে তারা কতটা অপেক্ষায় রয়েছেন ছবিটির জন্য।

ট্রেলারে আভাস মিললো, চলচ্চিত্র নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালির আরও এক অসাধারণ সিনেমা হতে যাচ্ছে এটি। এ সিনেমা নিয়ে আলিয়া ভাট এবং অজয় দেবগনের উপর অনেক প্রত্যাশা ছিলো পরিচালকের। ট্রেলার দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে তারা পরিচালক ও ভক্তদের হতাশ করবেন না তারা।

অসাধারণ সব সংলাপ, দৃশ্যায়ন আর আলিয়ার অভিনয় নৈপুণ্যের প্রশংসায় মেতে দর্শক থেকে শুরু করে সিনেমা সমালোচক সবাই। ট্রেলারের একটি দৃশ্যে আলিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের চেয়ে বেশি সম্মান আছে আমার কাছে। জানতে চান কীভাবে? আপনার সম্মান একবার গেলো তো গেলোই। আমি তো প্রতি রাতে সম্মান বিক্রি করি, শেষই হয় না!’

হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর পূর্তিতে, সঞ্জয় লীলা বানসালির ১০তম সিনেমা এটি।

গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়িকে ফেব্রুয়ারিতে ৭২তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার জন্যও নির্বাচিত করা হয়েছে। উৎসবে এ ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। সিনেমাটি ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে।

আলিয়ার আগে যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর মা সোনিও



কামাঠিপুরা মুম্বাই তো বটেই এশিয়ার অন্যতম বৃহত্ পতিতালয়। ১৯৬০-এর দশকে এই পতিতালয়ের সর্দার ছিলেন গাঙ্গুবাই কোঠেওয়ালি। অবৈধ্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকায় পরিচিতি  ছিলেন ‘মাফিয়া কুইন অব মুম্বাই’ হিসেবে।

তাঁর জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘গাঙ্গুবাই কাঠিওয়াড়ি’ ছবি বানিয়েছেন সঞ্জয়লীলা বানশালি।

ছবিতে গাঙ্গুবাঈ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট।

আলিয়ার প্রায় ৪০ বছর আগে তাঁর মা সোনি রাজদানও অভিনয় করেন যৌনকর্মীর চরিত্রে! সেটি ছিলো শ্যাম বেনেগালের বিখ্যাত ছবি ‘মান্দি’।



১৯৮৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে আরো ছিলেন শাবানা আজমি, স্মিতা পাতিল, নীনা গুপ্ত। ছবিটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়, প্রশংসিত হয় বিদেশের বিভিন্ন উত্সবে।

চার দশক পর মায়ের মতো একই ধরণের চরিত্রে আলিয়ার অভিনয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরণের আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, আলিয়ার অভিনয় মাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে কিনা সেটাই এখন দেখার।

‘গাঙ্গুবাই কাঠিওয়াড়ি’ মুক্তি পাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। পতিতার চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি হিসেবে সত্যিকারের কয়েকজন যৌনকর্মীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন আলিয়া।

ছবিতে আলিয়া ছাড়াও অভিনয় করেছেন হুমা কুরেশি, সীমা পাহওয়া। অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে অজয় দেবগনকে।

ছবিটির প্রিমিয়ার হবে এবারের বার্লিন চলচ্চিত্র উত্সবেও।


প্লে অফে জায়গা করে নিতে অপেক্ষায় এখনও কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ এক সেনানীকে পাচ্ছে না মিনিস্টার ঢাকা। 

টুর্নামেন্টের মাঝপথেই দল ছেড়ে যাচ্ছেন আন্দ্রে রাসেল। ঢাকা থেকে ডালাসে গিয়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই মহাতারকা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচটিই হওয়ার কথা ছিল রাসেলের শেষ। কিন্তু বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেস্তে যায় কোনো বল না হয়েই।


দুই দিন বিরতি দিয়ে রোববার থেকে শুরু হবে সিলেট পর্ব। রাসেল বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন শুক্রবার রাতে।

অন্তত ২০ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিপিএলে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট রাসেলের। তবে এবারের আসর তার ভালো কাটেনি খুব একটা। এক ম্যাচে ১৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিলেও অন্য চার ইনিংসে তার রান ৭, ১২, ০ ও ১১।

বোলিং পারফরম্যান্স অবশ্য তুলনামূলকভাবে একটু ভালো ছিল। ৬ ম্যাচে শিকার ৮ উইকেট। তবে ওভারপ্রতি রান দেন প্রায় সাড়ে ৯ করে।


পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত না হলেও রাসেলের মতো একজন থাকা মানে দলের জন্য বড় ভরসা আর প্রতিপক্ষের জন্য সবসময়ই শঙ্কা। সেই ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ হারিয়ে ফেলছে ঢাকা। তবে রাসেলের মতে, ট্রফি জয়ের সামর্থ্য এই দলের আছে।

“আমার শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেল। ‘দ্রে-রাস’ যা করে-বিনোদন দেওয়া, সেটি করতে এবং ভালো খেলে ভালোভাবে বিদায় নিতে মুখিয়ে ছিলাম আমি। তা হতে পারল না বৃষ্টির কারণে। তবে সামনের পথচলার জন্য সবাইকে শুভ কামনা। অবশ্যই কাপ জয়ের মতো দল আছে আমাদের।”


“মিনিস্টার ঢাকার ভক্তদের বলছি, সমর্থন দিয়ে যান এবং অবশ্যই ডালাস থেকে আমি চোখ রাখব। দুঃখজনক যে আমাকে আগেই যেতে হবে, তবে ফিটনেস নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে আমার। এখানে মজা পেয়েছি, দারুণ একদল ছেলের সঙ্গ উপভোগ করেছি। কাপ জয়ের জন্য যা প্রয়োজন, অবশ্যই ওদের সবটুকু আছে। ওদের জন্য শুভ কামনা।”


অনেক আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক আর টানাপোড়েনের পর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে জাস্টিন ল্যাঙ্গার অধ্যায়ের আপাতত সমাপ্তি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন সাবেক এই ওপেনার।

ল্যাঙ্গারের ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ‘ডিএসইজি’ শনিবার সকালে এক বিবৃতিতে জানায় এই সিদ্ধান্ত।

“ডিএসইজি নিশ্চিত করছে যে, আমাদের মক্কেল জাস্টিন ল্যাঙ্গার অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে আজকে পদত্যাগ করেছে। গত রাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এক সভার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর এই মুহূর্ত থেকেই।”

ল্যাঙ্গারের ম্যানেজার জেমস হেন্ডারসন, যিনি রিকি পন্টিং, টিম পেইন ও ক্যামেরন গ্রিনেরও ম্যানেজার, পরে টুইটারে নিজে আরেকটি বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করেন সিদ্ধান্ত। ল্যাঙ্গার তখন ছিলেন মেলবোর্ন থেকে পার্থে যাওয়ার পথে।

ল্যাঙ্গারের সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি ছিল আগামী জুন পর্যন্ত। তবে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা চলছিল কিছুদিন ধরে। গত অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও গত মাসে অ্যাশেজ জয়ের পর ল্যাঙ্গারের চাওয়া ছিল লম্বা সময়ের জন্য মেয়াদ বাড়ানো। কিন্তু হলো উল্টো।

ল্যাঙ্গারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিবৃতিতে জানায়, ল্যাঙ্গারকে আর কিছুদিন দায়িত্বে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।


“জাস্টিনের বর্তমান চুক্তির সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দুঃখজনকভাবে তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।”


ল্যাঙ্গারের মেয়াদ বৃদ্ধির সেই প্রস্তাবিত সময়ে অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও ছিল বলে জানায় বোর্ড। কিন্তু স্বল্প মেয়াদের প্রস্তাব মনে ধরেনি ল্যাঙ্গারের।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরিচালকরা মেলবোর্নে ম্যারাথন এক সভায় বসেন শুক্রবার। ৮ ঘণ্টার সেই সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ল্যাঙ্গারের চুক্তি। গত মাসে অ্যাশেজ শেষ হওয়ার পর এই তিন সপ্তাহে চুক্তি নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের প্রধান বেন অলিভারের সঙ্গে দফায় দফায় সভা হয় ল্যাঙ্গারের।
শুক্রবারের সভা শেষে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিবৃতিতে জানায়, ল্যাঙ্গারের সঙ্গে একান্তে আলোচনা চলছে তাদের এবং আলোচনার ফলাফল জানানো হবে শিগগিরই। বোর্ডের এই বিবৃতির পরদিন সকালেই এলো ল্যাঙ্গারের পদত্যাগের ঘোষণা।


এই ঘটনাপ্রবাহ থেকেই অনেকটা পরিষ্কার, দায়িত্বে থেকে যেতে চাইলেও পরিস্থিতির কারণে পদত্যাগের পথে হাঁটতে অনেকটা বাধ্য হলেন ল্যাঙ্গার। সেটির মূল কারণ, কোচিংয়ের ধরন নিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে যা নিয়ে আলোচনা চলছে গত প্রায় এক বছর ধরে।

গত বছর ভারতের কাছে দেশের মাঠে সিরিজ হারার পর থেকেই ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ের ধরন নিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের অসন্তোষের ব্যাপারটি প্রকাশ্য হতে থাকে। সংবাদমাধ্যমে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয় যা। পরে গতবছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশে সীমিত ওভারের সিরিজের পর পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়ে। ড্রেসিং রুমে ও মাঠের বাইরে ল্যাঙ্গারের কিছু আচরণ, কিছু পরিস্থিতি সামলানোর ধরন এবং তার ‘ম্যান ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে ক্রিকেটারদের মধ্যে।

বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরার পর গত অগাস্টের শেষ দিকে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়টায় কোচের সঙ্গে জরুরি সভায় বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন সেই সময়ের টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন, তখনকার সহ-অধিনায়ক ও এখনকার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও সীমিত ওভারের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।


ওই সভার পর নিজের কোচিংয়ের ধরন পাল্টাতে সম্মত হন ল্যাঙ্গার। নিজে একটু আড়ালে থেকে সহকারী কোচদের সামনে রাখা ও ক্রিকেটারদের ওপর বেশি নির্ভরতার সিদ্ধান্ত হয় আলোচনায়। ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এবং নিজের ধরনের সঙ্গে আপোস করা নিয়ে তখন ৩০টিরও বেশি জুম মিটিং করেন ল্যাঙ্গার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও তখন জানায়, বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজে ল্যাঙ্গারকে সময় দিচ্ছেন তারা।

এরপর ফেভারিটদের কাতারে না থেকেও প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ জয়ের পর সিনিয়র ক্রিকেটারদের কয়েকজন বলেন, এই সাফল্য মূলত এসেছে ক্রিকেটারদের নিজেদের তাড়নায় ও প্রেরণায়।

বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরার পর অ্যাশেজেও ‘ডে টু ডে’ কোচিং থেকে দূরে সরে একটু আড়ালে থেকে ‘রিল্যাক্সড’ কোচিংয়ের ধরন ধরে রাখেন ল্যাঙ্গার। এবারও মেলে সাফল্য, ইংল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া।


পিঠেপিঠি এই সাফল্য ও কোচিংয়ের ধরনে পরিবর্তনের পর ল্যাঙ্গার আশা করছিলেন চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদে বাড়ার। কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে সাদা ও লাল বলের অধিনায়ক ফিঞ্চ ও কামিন্সের নানা মন্তব্যে প্রতিফলন পড়েনি কোচের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের। কামিন্স তো প্রকাশ্যেই বলেন, ল্যাঙ্গারের চুক্তির মেয়াদ মূল্যায়ন করা উচিত।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভাবনাও যে ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক স্রোতে মিশেছে, তার প্রমাণ ল্যাঙ্গারের পদত্যাগে। ল্যাঙ্গারের চুক্তি নিয়ে দুই অধিনায়ক কামিন্স ও ফিঞ্চের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন প্রধান নির্বাহী হকলি। সেই কথোপকথনের প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয় বোর্ডে। সবকিছুর প্রেক্ষিতেই ল্যাঙ্গার বুঝে যান করণীয়। শেষ হয় কোচ হিসেবে তার চড়াই-উৎরাইয়ের অধ্যায়।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভীষণ সঙ্কটের সময়ে ২০১৮ সালে কোচের দায়িত্ব নেন ল্যাঙ্গার। কেপ টাউনে বল টেম্পারিং কাণ্ডে তখন টালমাটাল দল। ল্যাঙ্গারের শুরুটাও হয় প্রচণ্ড বাজে। ইংল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজে সব ম্যাচ হারে তারা। প্রথম টেস্ট সফর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে উসমান খাওয়াজার বীরত্বে ড্র করতে পারলেও আরেকটিতে হেরে সিরিজও হারতে হয়।


পরে দেশে ফিরে ভারতের কাছেও টেস্ট সিরিজ হারে অস্ট্রেলিয়া, যা ছিল দেশের মাঠে প্রথমবার এশিয়ার কোনো দলের কাছে তাদের সিরিজ হার। ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার বিভেদের রেখা ফুটে ওঠে সেখান থেকেই।

পরে ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু ওয়ানডে দিয়ে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়, পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ২০১৯ বিশ্বকাপে খুব আশা না নিয়ে গিয়েও সেমি-ফাইনাল খেলে অস্ট্রেলিয়া। পরে ওই বছর ইংল্যান্ডে অ্যাশেজও ধরে রাখতে পারে তারা।
২০২০ সালে নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানকে উড়িয়ে টেস্টের র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে যায় অস্ট্রেলিয়া। পরে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়েও প্রথমবারের মতো এক নম্বরে ওঠে তারা।


কিন্তু গত বছর আবার তারা দেশের মাঠে সিরিজ হারে ভারতের কাছে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরের বিপর্যয় দিয়ে প্রশ্ন উচ্চকিত হতে থাকে তার ড্রেসিং রুম সামলানোর ধরন নিয়ে।

শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হলো তার জন্য। পরিসংখ্যানে তিনি জন বুকাননের পর অস্ট্রেলিয়ার সফলতম কোচ। কিন্তু ড্রেসিং রুম সামলানোর প্রশ্নবিদ্ধ সামর্থ্য তাকে ঠেলে দিল পদত্যাগের পথে।

অস্ট্রেলিয়ার পকিস্তান সফরের আর এক মাসও নেই। আপাতত ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। পাকিস্তান সফরের আগে দেশেই ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগামী শুক্রবার থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই সিরিজে ল্যাঙ্গারকে আগেই বিশ্রাম দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় ম্যাকডোনাল্ডকে।


রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচে খেলতে নামবে ভারত। সাদা বলের ক্রিকেটের দলনেতা হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই দায়িত্ব নিতে চলেছেন রোহিত শর্মা। এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে ভারতের হাজারতম ওয়ানডে। তার আগে রোহিত জানিয়ে দিলেন, বিরাট কোহলির নেতৃত্বের ধারাই জাতীয় দলে বজায় রাখতে চান তিনি।

নতুন দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নামার আগে রোহিত বলেন, 'কোহলি যখন অধিনায়ক ছিল, আমি সহ-অধিনায়ক ছিলাম। ও যেখানে টিমকে রেখে গেছে, সেখান থেকে আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সমর্থকদের কী প্রত্যাশা খুব ভালো করেই জানি। 

সেই কারণে টিম যাতে একই রকম সাফল্য পায়, সেটা মাথায় রাখতে হবে। এমন নয় যে, আমি টিমের দায়িত্ব নিচ্ছি মানে সব কিছু পাল্টে ফেলতে হবে। যে ভাবে টিম চলছে, সে ভাবেই চলবে। টিমের প্রত্যেকে কিন্তু নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।'

চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে অধিনায়কত্ব করতে পারেননি তিনি। রবিবার আমদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে প্রথম বার সীমিত ওভারের পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ হতে চলেছে রোহিত শর্মার। তার আগে রোহিত জানিয়ে দিলেন, বিরাট কোহলীর নেতৃত্বের ধারাই জাতীয় দলে বজায় রাখতে চান তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে টেস্ট দলেও তাকে অধিনায়ক করা হবে। এ ব্যাপারে রোহিত বলেছেন, 'এই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক দিনের সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া। বেশি দূরে তাকাতে এখনই রাজি নই।'


চলতি পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) টানা চার ম্যাচ হেরেছে বাবর আজমের করাচি কিংস। গতকাল পেশোয়ার জালামির বিপক্ষে ৬৩ বলে ৯০* রানের ইনিংসেও দলকে জেতাতে পারেননি বাবর। ৯ রানে হেরে যায় করাচি।


বাবরের ব্যাটিং নিয়ে তুষ্ট নন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। তিনি মনে করেন, কেউ ২০ ওভার ব্যাট করলে তার দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়া উচিত। পাকিস্তানের একটি স্থানীয় চ্যানেলকে ইনজামাম বলেন, ‘তুমি বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেটার। পুরো ২০ ওভারই ব্যাটিং করেছো। তোমার উচিত ছিল ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া। অন্যথায় পুরো ওভার না খেলে আরো আগেই আউট হয়ে যাও।’


ইনজামাম মনে করেন, সেরা ব্যাটসম্যান হতে গেলে ভালো ফিনিশিং দক্ষতা থাকতে হবে।


যে দক্ষতা এখনো তৈরি হয়নি বাবরের। ইনজামাম বলেন, ‘বড় খেলোয়াড়ের লক্ষণ হলো ম্যাচ ফিনিংশিংয়ে দক্ষ হওয়া।’ ইনজামাম করাচি কিংসের ব্যাটিং সিলেকশন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

গতকাল আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে পেশোয়ার জালমি। ২৮ বলে ৫২* রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন শোয়েব মালিক। জবাবে ৬ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে করাচি কিংস।


৬৩ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ৯০* রান করেন বাবর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে ইয়ান ককবেইনের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ বাবরকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। টানা চার হারে পয়েন্ট তালিকায় তলানিতে বাবরের দল। অন্যদিকে প্রথম চার ম্যাচই জিতেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের মুলতান সুলতানস। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে শীর্ষে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে পেশোয়ারের অবস্থান চার নম্বরে।


ইউক্রেনের অচলাবস্থার মধ্যে শুক্রবার বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রায় দুই বছর পর বেইজিং সফরে যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমাদের সঙ্গে ইউক্রেন ও তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনার কারণে চীন ও রাশিয়া আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচেছ। এবার দুই শীর্ষ নেতার এই বৈঠকের নিন্দা জানালো তাইওয়ান।

স্থানীয় সময় শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাইওয়ানের তরফে জানানো হয়, শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজনের সময় চীন রাশিয়া যে একে অপরের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেটি নিন্দনীয়। একই সঙ্গে চীন সরকার খেলার চেতনাকেও লজ্জা দিচ্ছে।

অলিম্পিক আয়োজনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরুর আগে বৈঠকে বসেন শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চীন। দ্বীপটির জন্য যেকোনো ধরনের স্বাধীনতার বিরোধিতাও করে চীন। বৈঠকে রাশিয়া চীনের এই অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানায়।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দ্বীপটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ বলে চীন ক্রমাগত মিথ্যা দাবি করে আসছে এবং ভুয়া খবর ছড়ানো তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তারা আরও জানায়, এটি শুধু তাইওয়ানের জনগণের প্রতি চীনা সরকারের ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতার পরিচয় নয়। এটি বিশ্বের সমস্ত দেশকে চীনা কমিউনিস্ট শাসনের আগ্রাসন, সম্প্রসারণবাদ এবং শান্তির জন্য ক্ষতিকর ও ভয়ঙ্কর চেহারাকে আরও স্পষ্ট করে।



দেশটির মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বিশ্বের সবার নজর যখন শীতকালীন অলিম্পিকের দিকে, তখন চীন সরকার রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, যেটি কর্তৃত্ববাদেরই বহি:প্রকাশ। তারা এটি করে অলিম্পিকের আয়োজনকে অবমাননা করছে এবং এটি তাইওয়ানের মানুষের কাছে নিন্দনীয়।

যুক্তরাষ্ট্রও এই বৈঠকের কড়া সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উচিত ছিল বৈঠকে ইউক্রেনে উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া।

এবারের অলিম্পিকে তাইওয়ানের চারজন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান প্রবেশ করে। ফলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বেইজিং ও তাইপের মধ্যে।

মজার বিষয় হচ্ছে, তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং চিং-কুও, যিনি অস্থায়ী গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরু করেছিলেন। তিনি রাশিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারতেন। ১৯৩০ সালের দিকে সেখানে কাজ করার সময় একজন রাশিয়ান নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দেশটির এই সাবেক প্রেসিডেন্ট।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget