Latest Post

জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের মাইলফলকে এসে উঠে দাঁড়াল বাংলাদেশ;  নেতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শপথ নিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীতে জাতিকে শপথ করালেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শহীদের রক্ত এ জাতি ‘বৃথা যেতে দেবে না’। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষের এই আয়োজনে এই শপথ অনুষ্ঠান যখন চলছিল, শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন তার বোন, বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানা।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেন।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে আটটি বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেয় এ শপথ অনুষ্ঠানে।


বর্ণিল আয়োজনে উপস্থিত সবাইকে সঙ্গী করে শপথবাক্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।


“আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব।

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।"

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছরে এসেছে তার আজীন সংগ্রামে গড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণ।

বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দু’দিনের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

এ আয়োজনে দেশবাসীর সঙ্গী হয়েছেন রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের সহযোগী প্রতিবেশী ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দও।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দক্ষিণ প্লাজার অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে মঞ্চে স্বাগত জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

শপথমঞ্চে এসে শেখ হাসিনা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে; ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের প্রতি জানান শ্রদ্ধা; মুক্তিযোদ্ধদের জানান সশ্রদ্ধ সালাম।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত বাবা শেখ মুজিবুর রহমান, মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা কামাল, আরেক ভাই মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও তার স্ত্রী পারভীন জামাল, ছোট ভাই ১০ বছরের শেখ রাসেল, চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, মিলিটারি সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দিন এবং পুলিশ কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি স্মরণ করেন যুবনেতা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, কৃষকনেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবত, তার দশ বছরের ছেলে আরিফ, ১৩ বছরের মেয়ে বেবি, চার বছরের নাতি সুকান্ত, ভ্রাতুস্পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সেরনিয়াবত, ভাগ্নে রেন্টুসহ সেদিন নিহত ১৮ জনের কথা।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘাতকের হাতে নিহত চার জাতীয় নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতিও তিনি শ্রদ্ধা জানান। 

শেখ হাসিনা বলেন, “গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছে, তাদেরকেও আমি স্মরণ করি। যারা নির্যাতিত-নিপীড়িত তাদের শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা অর্জন করি। দীর্ঘ ২৪ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”

শপথের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় স্বাধীনতার পথে বাঙালির দীর্ঘ পথ পরিক্রমার ইতিহার তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বাঙালি জাতি পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করবে এটা পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান মেনে নিতে পারেনি। তাই বাঙালিদের ওপর শুরু করে নিপীড়ন-নির্যাতন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলাদেশের মানুষকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে বলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতি জেলা, মহকুমা, থানা, গ্রামে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

তার ভাষণে তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” 

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্থানে আক্রমণ করে গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে রাতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

“তিনি বলেন: ‘ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা। আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও। সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ কর। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ শত্রুটিকে বাংলার মাটি হতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও’।”

বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণা পিলখানার ইপিআর হেডকোয়ার্টার থেকে সারা দেশে পাঠানো হয়। ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করেন। এরপর একে একে অন্যান্য নেতারা এই ঘোষণা পাঠ করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকাতেও প্রচারিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, “বাঙালিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ মোতাবেক যাঁর যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের পাশে দাঁড়ায় প্রতিবেশী ভারত, রাশিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশ ও সেসব দেশের জনগণ। মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে আমরা পরাজিত করি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের বিজয়।”

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসুন আমরা বাংলাদেশের বিজয়ের এই সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং মুজিববর্ষে শপথ গ্রহণ করব, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা এবং বিশ্বসভায় উন্নত সমৃদ্ধ বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলার জন্য আমরা শপথ নেব।”

সবাইকে নিয়ে শপথ পাঠ করে  সকল মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। শপথ শেষ করেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক সংগঠন ’সুরের ধারা ও হাল আমলের শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের আরেকটি নাম মুজিবর’ গানের মধ্য দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়।



যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে র‌্যাবের ভূমিকাকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, র‌্যাবের ভূমিকায় বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে। র‌্যাব ও এর সাবেক ও বর্তমান সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় এক সপ্তাহ পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত ও গ্রেপ্তার বেড়েছে, কমেছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’

প্রতিবেদনটি দেখতে : https://www.state.gov/reports/country-reports-on-terrorism-2020/bangladesh/

প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, ‘‘২০২০ সালজুড়ে র‌্যাব এবং ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসিইউ)’ কমিউনিটি পুলিশি কার্যক্রম ও সন্দেহভাজন বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উগ্রবাদ মোকাবিলা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করে।’'

ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে তিনটি সুনির্দিষ্ট সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বাংলাদেশে। ওই হামলাগুলোতে কারও মৃত্যু হয়নি। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইএসের মতো আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অর্থবহ যোগাযোগ থাকার তথ্য নাকচ করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সহায়তার দায়ে ২০১৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে তাদের আপিল আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
সীমান্ত ও প্রবেশ মুখগুলোতে নিয়ন্ত্রণ জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত বিস্ফোরক শনাক্তকারী কে৯ দল ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত। কিন্তু বিমানবন্দরে তাদের কোনো স্থায়ী উপস্থিতি নেই।

প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সহযোগিতার কথা উল্লেখ আছে। তবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিষয়ক কোনো সতর্ক ব্যবস্থা নেই বলে এতে উল্লেখ করা হয়।


তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। 

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন তাকে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঢাকা ত্যাগের আগে শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকার রমনায় কালীমন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করেন।

বিজয়ের শতবর্ষ, মুজিববর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বুধবার ঢাকা সফরে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।  রাষ্ট্রীয় এ সফরে ভারতের ফার্স্টলেডি এবং রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, একজন সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজে অংশ নেন ও বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বক্তব্য দেন।


বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে মিরপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শহীদ মুশতাক একাদশ জড়ো করেছে ১৫০ রান।

শহীদ জুয়েল একাদশের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন মাহমুদুল হাসান রানা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সজল চৌধুরী, মেহরাব হোসেন অপি ও মুশফিক বাবু। জিততে হলে শহীদ জুয়েল একাদশকে তাড়া করতে হবে ১৫১ রান।

একনজরে বিজয় দিবস ক্রিকেটের দুই দলের স্কোয়াড

শহীদ জুয়েল একাদশ : মেহরাব হোসেন অপি, রকিবুল হাসান, সজল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, হান্নান সরকার, মাহমুদুল হাসান রানা, হাবিবুল বাশার সুমন, নাসির আহমেদ নাসু, এনামুল হক মনি, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, মুশফিকুর রহমান, মোর্শেদ আলী খান, মনজুরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল গণি।

শহীদ মুশতাক একাদশ : জাবেদ ওমর বেলিম, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিক, এহসানুল হক সেজান, আতহার আলী খান, হাসিবুল হোসেন শান্ত, তারেক আজিজ খান, তালহা জুবায়ের, মোহাম্মদ আলী, সানোয়ার হোসেন, আজহার হোসেন শান্ত ও ফাহিম মুনতাসির সুমিত।

বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম জয় এনে দেওয়ার দুই নায়ক মোহাম্মদ রফিক ও আতহার আলী।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট
 

অর্ধশতক উপহার দিয়েছেন আতহার।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট

নান্নুর ব্যর্থতার দিনে আতহারের ফিফটি, পাইলটের ব্যাটে ঝড়

শট খেলছেন শাহরিয়ার হোসেন।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনকেও অনেক দিন পর ব্যাট হাতে নামতে দেখা গেল।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বিজয়ী শহীদ মোশতাক দল।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বাংলাদেশের প্রথম অর্ধশতকের মালিক আজহার হোসেন ও রফিক।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বাংলাদেশের পতাকা হাতে হাসিবুল হোসেন ও খালেদ মাসুদ।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও ছিলেন মাঠে।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


বহুদিন পর বল হাতে এনামুল হক।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিজয় দিবস ক্রিকেট


হয়তো আরও তিন-চার বছর খেলতে পারতেন। কিন্তু হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতার কারণে একটু আগেভাগেই ফুটবল থেকে সরে যেতে হলো সের্হিও আগুয়েরোকে। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার ৩৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আজ ক্যাম্প ন্যু-তে কান্নাভেজা চোখে ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিলেন

তাঁর বিদায় ঘোষণার পর থেকেই ফেসবুক-টুইটারে তাঁর পুরোনো অনেক গোলের ভিডিও ভাসছে। একসময়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে আগুয়েরোর কোচ ও বর্তমানে ইতালি জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মানচিনি যেমন টুইট করলেন আগুয়েরোর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তটির ভিডিও দিয়ে।


২০১২ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে, সিটির শেষ ম্যাচের যোগ করা সময়ে—৯৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডে যে গোল করে সিটিকে লিগ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন আগুয়েরো। সেটির ভিডিওতে আগুয়েরোকে ‘রাজা’ উপাধি দিয়ে মানচিনি লিখেছেন, ‘কিং কুন (আগুয়েরোর ডাকনাম), তোমার মাঠের বাইরের জীবনের মুহূর্তগুলোও এমনই হোক।’

মানচিনি ‘রাজা’ উপাধি দিয়েছেন। আগুয়েরোর ক্যারিয়ারের স্মৃতিচারণ করে অনেকে তাঁকে গত এক দশকের সেরা স্ট্রাইকারদের একজনও বলছেন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সেরাও বলছেন অনেকে। কিন্তু আসলে আগুয়েরো কোথায় থাকবেন গত দশকের সেরা স্ট্রাইকারদের তালিকায়?

বিদায় জানানোর বেলায় কান্নায় ভেঙে পড়েন আগুয়েরো

লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে হিসাবের বাইরে রাখতে হচ্ছে। সেটি শুধু তাঁরা দুজন ‘অতিমানব’ বলেই নয়। গোলসংখ্যায় অন্য সবাইকে ছাপিয়ে গেলেও দুজনের কেউই প্রথাগত স্ট্রাইকার নন। গত এক দশকের সেরা স্ট্রাইকারদের তালিকা করলে আগুয়েরোর পাশাপাশি আসবে রবার্ট লেভানডফস্কি, লুইস সুয়ারেজ, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, করিম বেনজেমা, গঞ্জালো হিগুয়েইন, হ্যারি কেইন, পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং, এদিনসন কাভানি, মোহাম্মদ সালাহ ও কিলিয়ান এমবাপ্পেদের নাম।

পাঠক, সে তালিকায় সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে আপনার ভোট কি আগুয়েরোর বাক্সেই পড়বে? নাকি অন্য কারও?



অবস্থা দেখে এখন যা মনে হচ্ছে তা হলো, অধিনায়কত্ব হারানোর বিষয়ে বিরাট কোহলির বিবৃতি নিয়ে অখুশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ডের এক কর্মকর্তা। তার দাবি, কোহলি মিথ্যাচার করছেন। খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

এর আগে সম্প্রতি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, কোহলিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটি মানেননি এবং নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ওয়ানডের অধিনায়ক থেকেও তাকে সরানো হয়েছে। কারণ, সাদা বলের ফরম্যাটে দুই অধিনায়ক রাখা কঠিন বলে মত বিসিসিআইয়ের।

তবে গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে আসেন কোহলি। সেখানে আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার বলেন, ‘টেস্ট দল ঘোষণার ঠিক দেড় ঘণ্টা আগে বিসিসিআই থেকে আমাকে কল দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচক আমার সঙ্গে টেস্ট দল নিয়ে আলোচনা করেন। ফোনকল শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি আমাকে জানান, পাঁচজন নির্বাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আমাকে আর ওয়ানডের নেতৃত্বে রাখা হবে না। এ বিষয়ে পূর্বে কোনো আলোচনা হয়নি।’

virat-rohit

এ সময় টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি। বিরাট কোহলি বলেন, ‘যখন আমি বিসিসিআইকে জানাই যে, টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই, তখন তারা সুন্দরভাবেই এটি গ্রহণ করেছে। আমি তাদের বলেছি, এটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।

আমি সেই সময় জানিয়েছিলাম, ওয়ানডে ও টেস্টে নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে চাই। আমার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ছিলাম। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলাম যে, কর্মকর্তা এবং নির্বাচকরা যদি মনে করেন আমার অন্য ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়, তবে তাও ভালো।’

ইন্ডিয়া টুডেকে বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জানাইনি বলে বিরাট কোহলি যে দাবি করেছে তা সে বলতে পারে না। সেপ্টেম্বরেই তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন তাকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়। কিন্তু সে নিজ থেকেই ছেড়ে দিলো। এখন সাদা বলে দুজন অধিনায়ক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল আমাদের জন্য।’

৫:৫৪ AM


নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১ সাল একুশ শতকের তৃতীয় দশকের প্রথম বছর। এই বছর অনেক তারকা অনেক দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। তাদের মধ্যে আলোচিত অনেক তারকা রয়েছেন।

তেমননি কয়েকজন নামকরা তারকার নিচে দেওয়া হলো-


কিম কার্দাশিয়ানের ‘আনলাকি সেভেন’

যুক্তরাষ্ট্রের তারকা অভিনেত্রী, মডেল কিম কার্দাশিয়ানের জন্য বছরটাকে কি খুব ‘শুভ’ বলা যাবে? উত্তরটা সময়ই দেবে হয়ত ভবিষ্যতে। তবে অনুমান করা যায়, র‌্যাপার কানিয়ে ওয়েস্টনের সঙ্গে সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের শেষটা যেহেতু এই বছরেই দেখেছেন, বছরটাকে নিরবচ্ছিন্ন সুখস্মৃতিময় বলতে কিমের নিশ্চয়ই কিছুটা বাঁধবে।


‘স্পেস আর প্রাইভেসির জন্য’ বিচ্ছেদ

বিল গেটস আর মেলিন্ডা গেটস বিয়েবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে এই দুটো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই উল্লেখ করেন এক টুইট বার্তায়। তারা জানান, দীর্ঘ আলোচনার পর দুজনে ঠিক করেছেন, এবার যৌথ জীবনের ইতি টানবেন। বিল আর মেলিন্ডা বলেন, দুজনেই বুঝতে পারছেন, এই সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে এখন দুজনেরই উচিত পরস্পরকে একটু ‘স্পেস’ বা নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা ছেড়ে দেওয়া। গত মে মাসে বিচ্ছেদের খবর জানান তারা।


শাশুড়ি পেটানো বরের সঙ্গে বিচ্ছেদ

জেয়ন মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার পার্টনার জিজি হাদিদের মা ইয়োলান্দা হাদিদকে পিটিয়েছেন। গায়ক জেয়ন অবশ্য অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এক খবরে পিপল ম্যাগাজিন জানায়, জিজি-জেয়নের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

বিফল বাগদান

বাস্কেটবল খেলোয়াড় অ্যালেক্স রডরিগেজের সঙ্গে জেনিফার লোপেজের বাগদান হয়েছিল চার বছর আগে। গত এপ্রিলে জানা যায়, সম্পর্কটা বাগদান আর বছর চারেক একসঙ্গে থাকাতেই শেষ, অর্থাৎ ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে তাদের।

লা লা ছাড়লেন কারমেলোকে

যুক্তরাষ্ট্রের টিভি ব্যক্তিত্ব লালা অ্যান্থনি এনবিএ সুপারস্টার কারমেলো অ্যান্থনির ঘর করেছেন ১১ বছর। একটা সন্তানও আছে তাদের। গত জুনের এক খবরে জানা যায়, লালা নাকি কারমেলোর কাছ থেকে বিচ্ছেদ দাবি করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

‘আধা-বিচ্ছেদ’

তিন বছর আগে ডেট করা শুরু। এরই মাঝে এক সন্তানও হয়েছে এলন মাস্ক আর গ্রিমেস জুটির। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে এলন জানান, ক্যানাডিয়ান গায়িকা গ্রিমেসের সঙ্গে তার ‘সেমি সেপারেশন’ হয়ে গেছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে

৫:৪৯ AM


বলিউডের এ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। গাড়ি কিনতে বেশ পছন্দ করেন এ অভিনেত্রী।

এবার অডি-এ৮ মডেলের একটি গাড়ি কিনলেন এই অভিনেত্রী।  

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) নতুন এ গাড়িটি কিনেছেন কিয়ারা। কালো রঙের গাড়িটির জন্য তাকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় এক কোটি ৫৬ লাখ রুপি।  

এছাড়াও কিয়ার সংগ্রহে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত মডেলের গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএমডব্লিউ এক্স ৫, মার্জিডিজ বেঞ্জ ই-ক্লাস, বিএমডব্লিউ ৫৩০ডি। এই তালিকায় এবার যুক্ত হলো অডি’র নতুন মডেলের গাড়িটি।  

চলতি বছরের আগস্টে অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পায় কিয়ারা অভিনীত সিনেমা ‘শেরশাহ’। সিনেমাটির পাশাপাশি এতে কিয়ারার অভিনয়ও বেশ প্রশংশিত হয়।

২০১৪ সালের ‘ফুগলি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় কিয়ারার। এরপর ২০১৬ সালে ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ও ২০১৯ সালে ‘কবির সিং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন নতুন প্রজন্মের এই অভিনেত্রী।

বর্তমানে ‘যুগ যুগ জিও’ নামের সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন কিয়ারা। রাজ মেহতার পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন বরুণ ধাওয়ান। এছাড়াও কার্তিক আরিয়ানের বিপরীতে ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ও বরুণের বিপরীতে ‘মিস্টার লেলে’ সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।  

৫:৪০ AM

রূপালি পর্দার নায়িকা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নুডলস খাচ্ছেন। অথচ দোকানি তাঁকে চিনতেও পারছেন না। ধীরে ধীরে দোকানের আশপাশে ভিড় জমতে শুরু করল। কেউ কেউ নায়িকাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সেলফি নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করে দিলেন। কিন্তু দোকানির কোনও প্রতিক্রিয়াও নেই। মন দিয়ে পিঁয়াজ-মরিচ সহযোগে নুডলস বানিয়ে চলেছেন। এমন প্লট তো সিনেমাতেই দেখা যায়!গতকাল বুধসন্ধ্যায় দেখা গেল কলকাতার বিধাননগরের ফুটপাতে।

রূপকথার সাক্ষী থাকলেন নুডলস বিক্রেতা কমলাকান্ত দাস। তাঁর ফুটপাতের ছোট্ট দোকানে এসে দু’রকমের নুডলস খেয়ে গেলেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। এক প্লেট নুডলস দোকানে দাঁড়িয়ে খেলেন। আর এক প্লেট নিয়ে গেলেন। কিন্তু দোকানির কোনও বিকার নেই। নিজের কাজেই ব্যস্ত। ওমলেট ভাজছেন, চা করছেন। আর মাঝেমধ্যে গজর গজর করে বলছেন, “বুঝিনা বাবা। সুন্দরী দেখলেই সবাই কেমন হামলে পরে।”

চোখের বালি-র আশালতাকে চিনতে পারেননি কমলাকান্ত ওরফে নান্টু। যখন জানতে পারলেন, তখন আকাশ থেকে পড়লেন। বললেন, “সুচিত্রা সেনের নাতনি আমার দোকানে এতক্ষণ থাকলেন? এত কথা বললেন। মাস্ক খুলে খেলেন। তাও আমি চিনতে পারলাম না!”  আফশোস কমলাকান্তর গলায়। আশপাশের দোকানদাররা অবশ্য মুখ টিপে হাসছেন। 


আর বলে চলেছেন, “তোর দোকানের সেল তো কাল থেকে চারগুণ বেড়ে যাবে রে নান্টু।” চোখে মুখে হাজার ওয়াটের আলো জ্বলে উঠল নান্টুর। জানালেন, একবার দেবকে চা খাওয়ানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। এবার রাইমাকে নুডলস খাওয়ালাম। সত্যি আমি ভাগ্যবান। এখন বুঝতে পারছি, কেন সবাই ছবি তোলার জন্য হামলে পড়ছিল।

দশ মিনিটের নুডলস পর্ব অবশ্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন রাইমা। এদিন বিধাননগরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের উদ্বোধনে এসেছিলেন। বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার আগেই চোখে পড়ে কমলাকান্তর দোকান। তার পরেরটুকু রূপকথা। পরে নৌকাডুবির হেমনলিনী বললেন, “কী করে চিনতে পারবে? আমি তো সাধারণ মানুষের মতোই ব্যবহার করেছি। নুডলসে আরও একটু পেঁয়াজ, মরিচ দাও বলে বায়না ধরেছি।”


সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪১ জনে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আরও ২৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ২৫ হাজার ২০৩ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ০২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৮১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ১১৪ জন।

এর আগে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪ জন মারা যান। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হয় ২৯৭ জনের দেহে।

এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৭ হাজার ৮২২ জন। অন্যদিকে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৭ হাজার ৭৬৮ জন।
 
এর আগে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গিয়েছিল ৭ হাজার ২৭১ জন। অন্যদিকে শনাক্ত হয়েছিল ৬ লাখ ৮ হাজার ৩৮২ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৮২৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯০ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৪ কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫১ জন।
 
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৯০ জনের।
 
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৩ কোটি ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ২২৭ জনের।

আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ২২ লাখ ১ হাজার ২২১ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৮ জনের।
 
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৬৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৭ জন।
 
পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ২৮৬ জন। মারা গেছেন ২ লাখ ৯২ হাজার ৮৯১ জন।
 
আক্রান্তের তালিকায় তুরস্ক ষষ্ঠ, ফ্রান্স সপ্তম, জার্মানি অষ্টম, ইরান নবম এবং আর্জেন্টিনা দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশে অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩১তম।
 
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।


প্রবল শক্তি নিয়ে ফিলিপাইনে আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’। ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির উপকূলের কাছাকাছি চলে আসায় বহু লোককে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, ঝড়ো বাতাস এবং ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এটি আরও শক্তি সঞ্চার করে সুপার টাইফুনে রূপ নিতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা এবং সংযুক্ত কেন্দ্রীয় অংশে আঘাত হানবে ‘রাই’। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি দেখে বোঝাই যাচ্ছে উপকূলীয় এলাকায় এটি ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে। ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে। নাবিক ও মৎস্যজীবীদের বন্দরে অথবা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ঘূর্ণিঝড় রাই সব ধরনের জাহাজের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ বলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

rai

এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র ইতোমধ্যে ‘রাই’-কে সুপার টাইফুন ঘোষণা করেছে। হতাহত এড়াতে ভিসায়েসের ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের আরও ১৭ হাজার লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বহু মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির সরকার।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে দেশটির ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget