Latest Post

পতাকা ইস্যুতে মুখ খুললো পাকিস্তান

বাংলাদেশের মাটিতে অনুশীলনের সময় পাকিস্তান দলের পতাকা টাঙানো নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। কয়েকদিন ধরে এ ব্যাপারে নিরব থাকা পাকিস্তান দল এবার তার জবাব দিলেন।

দলটির মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদ্রিস জানান সাকলাইন মুশতাক কোচ বলেই মাঠে পতাকা নেওয়া হচ্ছে।  

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টি পূর্ব সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের কাছে সেদেশের এক সাংবাদিক জানত চান- মাঠে পতাকা নিয়ে যাওয়া নিয়ে বাংলাদেশে যে বিতর্ক হচ্ছে, সে ব্যাপারটি তিনি কিভাবে দেখছেন? যেখানে বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীও পতাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বাবরের হয়ে প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন দলটির মিডিয়া ম্যানেজার। তিনি বলেন, সাকলাইন মুশতাক কোচ হওয়ার পর থেকেই অনুশীলনে পতাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোচ মনে করেন, এটা খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করে। যে কারণে বিশ্বকাপেও পতাকা নেওয়া হয়েছিল। আর কোনো কারণ নেই।


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গত বুধবার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য-জেরা সমাপ্তির পর কারাগারে ফিরে যাওয়ার সময় আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে কাঁদতে দেখা যায়।

আদালতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর পরই গতকাল তাঁর চোখে পানি দেখা গেল। আদালতের কার্যক্রম শেষে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় এজলাস থেকে বের করে আসামিদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কাঁদতে থাকেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, এদিন কাঠগড়ায়ও বেশ ভারাক্রান্ত দেখা গেছে প্রদীপকে। আইনজীবীরা মন্তব্য করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য-জেরার পর থেকেই প্রদীপকে হয়তো বা অনুশোচনায় পেয়ে বসেছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে।

 প্রধানমন্ত্রীর এই কথা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে: মাহমুদউল্লাহ

সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথম রাউন্ডের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে তুমুল সমালোচনায় পড়েন টাইগারদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। 

এরপর সুপার টুয়েলভে একের পর এক হারে সেই সমালোচনা আরো তীব্রতর হয়। যা এখনো চলছে। দেশে ফিরে রীতিমতো বিসিবির তদন্ত কমিটির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। 

তবে এর ঠিক বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাশে দাঁড়ান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যা আশা করেছিলাম, তা হয়নি। আমি কিন্তু আমাদের ছেলে-পেলেদের কখনো হতাশ করি না। তাদেরকে বলি আরো ভালো খেলো, আরো মনোযোগী হও, আরো প্র্যাকটিস করো। আমি এই হতাশা দেখতে চাই না। কয়েকটা খেলা তো তারা খুব চমৎকার খেলেছে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুললেন মাহমুদউল্লাহ। জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর এমন উৎসাহ-অনুপ্রেরণা সবসময়ই দলের জন্য কল্যাণকর।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। আমিও শুনেছি (প্রধানমন্ত্রীর) কথাটা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তার এই কথা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। সত্যি কথা বলতে, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচক একটা মন্তব্য। প্রধানমন্ত্রী সবসময় যেভাবে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, সমর্থন করেন এটা অবিশ্বাস্য। এর জন্য তাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের পক্ষ থেকে এটা নিশ্চিত করবো যে, আমরা যেনো আমাদের শতভাগের বেশি দিয়ে এই সিরিজটা খেলতে পারি। ইনশাআল্লাহ্।’

 


২০২২ সালে ফের বসছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। কিন্তু সেটিতে দেখা যাবে না নিউজিল্যান্ডের যুবাদের। এতে কপাল খুলেছে স্কটল্যান্ডের। বাছাইপর্ব পেরোতে না পারলেও তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল সুযোগ পেয়ে গেল ২০২২ সালের বিশ্বকাপে।  

করোনা মহামারিতে নিউজিল্যান্ডে চলমান বিধিনিষেধের কারণেই এমনটি ঘটতে যাচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডে এখনও করোনা বিধিনিষেধ পুরোপুরি শিথিল হয়নি। কঠোর কোয়ারেন্টিন রীতিতে নমনীয়তা আনেনি তারা। 

দেশের বাইরে যাওয়ার আগে ও বাইরে থেকে কেউ নিউজিল্যান্ডে গেলে এই কঠোর কোয়ারেন্টিন পালন করতে হয়।

কিউই ক্রিকেট বোর্ডের ধারণা, জুনিয়ররা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করলে তাদের অত্যধিক সময় কোয়ারেন্টিনে কাটাতে হবে, যা স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড অংশ নেবে না বলে ঠিক করেছে।

মূলত এ কারণেই আগামী বছরের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে ২০২২ সালের যুব বিশ্বকাপ। ১৪তম আসরে চার গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে ১৬টি দল। আর এবার ১৬তম দল হিসেবে যোগ দিচ্ছে স্কটল্যান্ড।

স্কটল্যান্ড ছাড়াও এই বিশ্বকাপ দিয়ে বিশ্ব আসরে অভিষেক হতে চলেছে উগান্ডার। চার গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে ১৬টি দল।  

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের চারটি দেশ অ্যান্টিগা এন্ড বারবুদা, গায়ানা, সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস ও ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর ১০ মাঠে হবে বিশ্বকাপের সব খেলা।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ-২০২২ এর গ্রুপ-

গ্রুপ এ: বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত
গ্রুপ বি: ভারত, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা
গ্রুপ সি: আফগানিস্তান, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, জিম্বাবুয়ে
গ্রুপ ডি: অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড, শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ

 


মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের ভবিষ্যৎ হলো মেটাভার্স। ত্রিমাত্রিক এই ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় ব্যবহারকারীরা এমনভাবে কথোপকথন চালাতে কিংবা কাজে অংশ নিতে পারবেন, যেন একে অপরের ঠিক পাশেই আছেন। এখন তিনি বলছেন, সে জগতে কেবল দেখা কিংবা শোনা নয়, মিলবে স্পর্শের অনুভূতিও। সে জন্য হাতে থাকতে হবে বিশেষ প্রযুক্তির গ্লাভস বা দস্তানা। সে গ্লাভস কীভাবে কাজ করবে, গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তা-ও দেখিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান দ্য রিয়েলিটি ল্যাবস এই গ্লাভস তৈরি করছে। এরই মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ (প্রোটোটাইপ) দেখিয়েছে তারা, যেটি হাতে থাকলে ভার্চ্যুয়াল বস্তু হাতে নেওয়ার অনুভূতি মিলবে। সমন্বিত অভিজ্ঞতার জন্য ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেটের সঙ্গে গ্লাভসটি বাজারজাত করা হতে পারে। আর ভবিষ্যতে অগমেনটেড রিয়েলিটি (এআর) গ্লাসের সঙ্গে ব্যবহারোপযোগী করে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। এই ভিআর ও এআর প্রযুক্তির সাহায্যেই পরিচালিত হবে ভবিষ্যতের মেটাভার্স।


গতকাল মঙ্গলবার গ্লাভসটির কারিগরি খুঁটিনাটি প্রকাশ করে মেটা। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য অনুযায়ী, ৭ বছর ধরে গ্লাভসটি তৈরিতে কাজ করছে রিয়েলিটি ল্যাবস। তবে কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ গ্লাভস বিক্রি সম্ভব হবে, তা এখনো তাদের অজানা। এক বিবৃতিতে মেটা জানিয়েছে, গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও তাদের লক্ষ্য মূলত আরও সমন্বিত অভিজ্ঞতার জন্য ভিআর হেডসেটের সঙ্গে গ্লাভস যুক্ত করা।

মেটার শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, গ্লাভসটি পরিধানকারীর হাতে এমন অনুভূতি তৈরি করে, যার মাধ্যমে বাস্তব বস্তুর ভর এবং স্পর্শ পাওয়া সম্ভব। গ্লাভসে যুক্ত থাকছে প্লাস্টিকের তৈরি ছোট ছোট মোটর যা অ্যাকচুয়েটর নামে পরিচিত। এগুলোর মাধ্যমেই পরিধানকারীর হাতে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় কোনো কিছু ধরার অনুভূতি মিলবে। সেটা হতে পারে বল ছুড়ে দিয়ে ধরা, আবার কারও সঙ্গে করমর্দন করা। ব্যাপারটা এমন যে দুই বন্ধু ২০০ কিলোমিটার দূরে নিজ নিজ ঘরে বসে থেকেও একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করতে পারবেন। তা-ও আবার যথারীতি হাত নাড়িয়ে।



গ্লাভসটি কাজ করে মাইক্রোফ্লুইডিকসের সাহায্যে, এর মাধ্যমে বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাকচুয়েটরগুলোকে নাড়ানো যায়। পাশাপাশি হ্যান্ড-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছে মেটা।

রিয়েলিটি ল্যাবসের প্রকৌশলী ক্যাথেরিন হিলি বলেন, ‘এখন দক্ষ প্রকৌশলীরা প্রতিটি গ্লাভস আলাদা করে তৈরি করছেন, যেখানে যন্ত্রাংশ তৈরি করে সেগুলো জুড়ে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে হাতে হাতে। সম্ভব হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আধা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বিপুল পরিমাণ এই গ্লাভস তৈরির জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন উৎপাদনপ্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে হবে।’

বায়ু দূষণের মাত্রা ক্রমাগত খারাপ হওয়ার কারণে ভারতে রাজধানী দিল্লিতে কর্তৃপক্ষ সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।

আগামী ২১শে নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের নির্মাণকাজও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পরিবহন এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোর কাজ এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

এছাড়াও শহরে যে ১১টি কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, তার মধ্যে মাত্র পাঁচটি চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।দিওয়ালির উৎসবের পর থেকেই দিল্লির বাতাস বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে।

বাতাসে ক্ষুদ্র কণা

শহরের বাতাসে ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫ এর মাত্রা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপত্তা নির্দেশনায় যত মাত্রার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার চাইতেও বেশি।

মঙ্গলবারে শহরের কোথাও কোথাও এই মাত্রা ৪০০-এর কাছাকাছি, এমনকি এর বেশিও রেকর্ড করা হয়েছে, যাকে "মারাত্মক" বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

বায়ুর গুণগত মান সূচক বা একিউআই অনুসারে বাতাসে এই কণার মাত্রা শূন্য থেকে ৫০ হলে তাকে "ভাল" আর যদি ৫১ থেকে ১০০ হয় তাহলে তা "সন্তোষজনক" বলে বিবেচনা করা হয়।

মুখে মাস্ক পরে বায়ু দূষণের প্রতিবাদ করছে এক ছাত্রী।


এই কণা মানুষের ফুসফুসে ঢুকে গিয়ে মারাত্মকর রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।দূষণের কারণে দিল্লির বেশ কিছু স্কুল গত সপ্তাহেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দিল্লির সরকার এও বলছে যে বায়ু দূষণের মাত্রা কমাতে তারা শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করার কথাও বিবেচনা করছে।

যেসব কারণে এই দূষণ

দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য নানা কারণকে দায়ী করা হয় - যার মধ্যে রয়েছে পরিবহন এবং শিল্প ও কল-কারখানা। এসব থেকে নির্গমনের পাশাপাশি, ধুলা এবং আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী হয়ে উঠেছে এই দিল্লি।

এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে কৃষকরা ফসলের নাড়া পোড়ানোর কারণে শীতকালে দিল্লির বাতাস বিষাক্ত হয়ে যায়। আর এই একই সময়ে দিওয়ালি উৎসবের সময় আতসবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ুদূষণের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

দিল্লি


পরিস্থিতি এবার এতোটাই খারাপ হয়েছে যে আদালতও জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়াও শীতের সময় বাতাসের গতি খুব বেশি না হওয়ার কারণে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে, কারণ এসময় দূষণ বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরে আটকা পড়ে থাকে।এবছর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

সমস্যা সমাধানের জন্য সুপ্রিম কোর্ট "অনতিবিলম্বে জরুরি" ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ও দিল্লির রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর পরই দিল্লিতে বায়ুর গুণগত মানের তদারকি করে যে সংস্থাটি, তারা জরুরি বৈঠকে বসে এবং বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ঘোষণা করে।

ফসলের মাঠে খড় এবং নাড়া পোড়ানোকেও এই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী করা হচ্ছে।


ফসলের মাঠে খড় এবং নাড়া পোড়ানোকেও এই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী করা হচ্ছে।আরো যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দিল্লিসহ প্রতিবেশী ‌আরো কয়েকটি রাজ্য উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে ২১শে নভেম্বর পর্যন্ত ট্রাক প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী ট্রাক এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

এছাড়াও তারা দিল্লি এবং অন্যান্য রাজ্যের বেসরকারি অফিসগুলোকে নির্দেশ দেয় যেন তারা তাদের কর্মীদের ৫০ শতাংশকে বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করে।

তারা আশা করছেন, এর ফলে পরিবহন চলাচল কম হবে যে কারণে নির্গমন ও ধুলার মাত্রাও হ্রাস পাবে।ভারতে এই বায়ু দূষণের সমস্যা শুধু রাজধানী দিল্লির মধ্যেই সীমিত নেই।আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বায়ু দূষণের ওপর যেসব র‍্যাংকিং প্রকাশ করে - তার তালিকায় ভারতের শহরগুলো প্রায়শই স্থান করে নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা সংস্থা এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইন্সটিটিউট বলছে, বায়ু দূষণের কারণে দেশটিতে প্রতি বছর দশ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।


নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকা থেকে বাবা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৌরসভার নাগড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার স্মৃতি সড়কের পাশের একটি বাসার চতুর্থ তলায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতেরা হলো—ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নেত্রকোনার নাগড়া অফিসে কর্মরত আবদুল কাইয়ুম (৩২) এবং তাঁর দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিল। আবদুল কাইয়ুম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরের খামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

ধারণা করা হচ্ছে, সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন তার বাবা। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত আবদুল কাইয়ুমের স্ত্রী সালমা আক্তার বলছেন, নাগড়া এলাকার ওই বাসার চার তলায় প্রায় সাত বছর ধরে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। গতকাল বুধবার প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে পাশের কক্ষে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান সালমা আক্তার। পরে তিনি স্বামী ও সন্তানের লাশ নামিয়ে ফেলেন। পরে সকালে বাসার দরজা খুলে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান তিনি। এরপর এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।

পরে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, সন্তানকে হত্যার পর আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

লালমনিরহাটে ডোবায় ‘মাছ ধরতে গিয়ে পানির নিচে ৬৬ লাখ টাকার’ খোঁজ পেয়েছেন এক ব্যক্তি, যা পরে পুলিশ উদ্ধার করেছে।

৫:৪৯ AM

 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে যে বাসায় থেকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে এটাই তো বেশি। তাকে যে কারাগার থেকে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি, এটা কি যথেষ্ট নয়?

গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলন এবং ফ্রান্সে দ্বিপক্ষীয় সফর নিয়ে আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, যে আপনাকে হত্যা করতে চায়, তাকে আপনি কি ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসবেন? আমাকে মারতে অনেক চেষ্টা করেছে। এরপর খালেদার ওপর আমায় মায়া দেখাতে বলেন। আমার হাতে যেটুকু আছে, তার মাধ্যমে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমার কাছে চান কিভাবে বলেন তো? খালেদা জিয়াকে যে কারাগার থেকে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। এটা কি যথেষ্ট নয়? আপনাকে যদি কেউ হত্যা করার চেষ্টা করত, আপনি কি ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইলেকশন নিয়ে প্রশ্ন করে কিভাবে। জিয়া হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে এসেছে। এরপর তার অন্য নির্বাচনগুলো কি নির্বাচন ছিল? ১৯৮১ সালে নির্বাচনে কী হয়েছিল, তা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলে? ইলেকশন কিভাবে করবে তারা। করতে হলে সাংগঠনিক শক্তি দরকার, তা তো তাদের নাই।

তিনি বলেব, তৃণমূলে এমনভাবে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ, তাতে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারা গ্রেনেড হামলা, গুপ্ত হত্যা ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের নেতারা। তারা ক্ষমতায় এসেছে অস্ত্রের মাধ্যমে।


 ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সুব্রত কুমারসুব্রত কুমার (১৯) নামে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মহানগরীর মাতমডাঙ্গা যশোর থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেনের নিচে পড়ে তিনি নিহত হন।

খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘হতাশাগ্রস্ত হয়ে যশোর থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে কুয়েট ছাত্র সুব্রত কুমার আত্মহত্যা করেছেন। দুপুর ২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত সুব্রত কুমার টাঙ্গাইলের চন্দ্র কুমার পালের ছেলে।’

কুয়েটের উপাচার্য ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সুব্রত ছিল আর্কিটেকচার বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।’

 


টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়ার পথে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নূরসহ দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ড. রেজা কিবরিয়া। বুধবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।


ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতি থাকার পরও আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি তার ফেসবুকের আরেকটি পোস্টে লেখেন হামলায় দলটির ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টিও উল্লেখ করেন এবং থানায় গিয়ে মামলা করবেন বলে জানান।

সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান বলেন, মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।

তিনি অভিযোগ করেন বলেন, কয়েক দফায় দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলসহ আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে করে বের করে নেওয়ার সময় ফের হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনার পর থেকে ভাসানীর মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে সংগঠিত মাজার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
এ সময় তারা কিবরিয়া ও নূরের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
এদিকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাদের পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা করা হয়েছে।


হামলার বিষয়ে অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরোয়ার হোসেন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারে কাছাকাছি পৌঁছার পর ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেন তিনি।


 


ঢাকা: প্রতিবেশী লাইলি আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল কুমিল্লার দেবিদ্বারের ট্রাক্টরচালক আমির হোসেনের (২৫)। লাইলির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের শিশুকন্যা ফাহিমাকে (৫) হত্যা করেন বাবা আমির হোসেন।

পরকীয়া ও আপত্তিকর ঘটনা ধামাচাপা দিতেই লাইলির প্ররোচনায় নিজের সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাবা আমির হোসেন। এমনকি ফাহিমাকে হত্যার পর স্ত্রীকেও হত্যা কিংবা ডিভোর্স দিয়ে লাইলিকে নিয়ে সংসার শুরু করার পরিকল্পনা ছিল তার।

মেয়েকে খুনের পর বাবা নিজেই নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন, বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজি করেন। থানায় জিডি ও মামলা দায়ের করেন। পরে শিশু ফাহিমার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর ব্যবহৃত বস্তার সূত্র ধরে বাবা আমির হোসেনসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‌্যাব-১১)।

গ্রেফতাররা হলেন- শিশুটির বাবা আমির হোসেন (২৫), রবিউল আউয়াল (১৯), রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মোসা. লাইলি আক্তার (৩০) ও সোহেল রানা (২৭)। 

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ৭ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৫ বছরের শিশু ফাহিমা আক্তার নিখোঁজ হয়। ফাহিমার বাবা আমির হোসেন দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ হওয়ার পর ভিকটিমের বাবা আমির ৭ ও ৮ নভেম্বর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে। এমনকি ৮ নভেম্বর ঝাড়-ফুঁক দিয়ে মেয়েকে খোঁজার জন্য একজন ফকির-কবিরাজকেও খবর দেয়।  ১৪ নভেম্বর দেবিদ্বারের এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে কালভার্টের নিচে থেকে নিহত ভিকটিমের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ঘাতক বাবা আমির বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় শিশুটির বাবাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিহত ফাহিমার বাবা আমিরের সঙ্গে গ্রেফতার লাইলির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল।  ৫ নভেম্বর লাইলি ও আমিরকে ফাহিমা আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এতে লাইলি ও আমির উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং লাইলি এই বিষয়টি যেন কেউ জানতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমিরকে চাপ দিতে থাকেন।

লাইলির প্ররোচনায় ৬ নভেম্বর ঘাতক আমির অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ফাহিমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করার জন্য ধারালো ছুরি ও হত্যার পর মরদেহ লুকানোর জন্য দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা সংগ্রহ করেন।  পরে তারা ফাহিমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ৭ নভেম্বর বিকেলে কৌশলে চকলেট কিনে দেওয়া ও বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সোহেল রানার সিএনজিতে করে দেবিদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণে নদীর নির্জন স্থানে ফাহিমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লাইলির উপস্থিতিতে আমির তার মেয়ে ফাহিমার মুখে চেপে ধরে রাখে ও সর্ব প্রথম নিজেই মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আমির। রবিউল ভিকটিমের পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, রেজাউল ইসলাম ইমন ছুরি দিয়ে পায়ে ও শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, সোহেল ছুরি দিয়ে ভিকটিমের পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। পরে বাবা আমির নিজেই ফাহিমার গলায় চেপে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে মেয়েটির মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ইমনের গরুর ঘরে ড্রামে লুকিয়ে রাখে। ৯ নভেম্বর রাতে সোহেল রানার সিএনজিতে করে আমির, রবিউল, ইমন বস্তাবন্দি ফাহিমার মরদেহ দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর কালভার্টের নিচে ডোবায় ফেলে দেয়।

বস্তার সূত্রে বাবাসহ হত্যাকারীরা শনাক্তের বিষয়ে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ফাহিমাকে হত্যার পর গরুর খাবারের ২৫ কেজির একটি বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল মরদেহটি। সেটিই প্রথম আমলে নেয় র‌্যার ও গোয়েন্দার সদস্যরা। বস্তার খোঁজে পার্শ্ববর্তী দুটি গরুর খামারে অভিযানে যায়। সেখানে ইমনের বাবার খামারে গিয়ে ২৫ কেজি গরুর খাবারের বস্তা দেখেন র‌্যাব সদস্যরা। এরপর ইমনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। এরপর একে একে গ্রেফতার করা হয় বাবা আমিরসহ বাকিদের।

বাংলাদেশ সময়: নভেম্বর ১৭, ২০২১

 


ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে মিরপুরে চালকদের একটি অংশ বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর দুইটা থেকে মিরপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রোডের বাস বন্ধ করে দেয় চালকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

মিরপুর-১২, মিরপুর-১০, মিরপুর-১ নম্বরসহ মিরপুর এলাকায় অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাসচালকরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে রামপুরায় অছিম পরিবহনের কয়েকজন যাত্রী ও বাসের কর্মচারীদের সঙ্গে মারপিট হয়। এরআগে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীর সাথেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মিরপুর রোডের বেশ কিছু বাসের কর্মচারীদের সাথে অফিসগামী যাত্রীদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

দুপুর দুইটার দিকে মিরপুরের কালশীতে কয়েকজন যাত্রী একটি বাসের দুই কর্মচারীকে মারধোর করেন বলে জানান বাসের কর্মচারীরা।

এসব ঘটনার জেরে দুপুর থেকে বাস বন্ধ করে দেয় চালকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর থেকে আবদুল্লাহপুরগামী বাসের সকল যাত্রীদের কালশী মোড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে শতশত যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। মিরপুর-১২ নম্বরে গুলিস্তান যেতে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন ফরিদ মিয়া। তিনি বলেন,বাসের জন্য অপেক্ষা করছি এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। বাস আছে কিন্তু সেগুলো বন্ধ।

কয়েকজন যাত্রী জানান, সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও হেলপাররা তাদের মনগড়া ভাড়া আদায় করছে। আর তা নিয়ে অধিকাংশ যাত্রীর সাথেই তাদের কথা কাটাকাটি হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ভাড়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে চালকদের একটি অংশ বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। বাস চলাচল দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।

যাত্রীদের ভোগান্তির কথা ভেবে গত রোববার (১৪ নভেম্বর) থেকে রাজধানীতে সব ধরনের সিটিং সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এরআগে ১০ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।


 বায়ু দূষণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দিল্লি ও লাগোয়া শহরগুলোর স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। খবর এনডিটিভির। 

দিল্লির বায়ু দূষণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে অফিস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া বেসরকারি সংস্থাগুলোর ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাসা থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। 

দিল্লির দূষণের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে করণীয় নিয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে কয়েকদিন ধরেই। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে দিল্লি এবং আশপাশের শহরের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করতে হলো। 

মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)। তবে কোভিডের সময় অনলাইনে যেভাবে ক্লাস চলতো সেভাবেই ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিগত কয়েক বছরে বায়ু দূষণ একটি বড় বিপদ হয়ে সামনে এসেছে। ফসলের অবশিষ্ট জ্বালানো, বাজি, কারখানা আর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া বাহনের সংখ্যা এর প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। 

দিল্লির বায়ু দূষণ এত তীব্র আকার ধারণ করেছে যে, সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে। তবে এই দূষণ শুধু দীপাবলী উপলক্ষে দিল্লিতে বাজি পোড়ানো বা পাঞ্জাব-হরিয়ানায় ফসলের অবশিষ্ট জ্বালানোর কারণেই হয়নি। এর পেছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে।

 
সুদানে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন ক্রমশ বাড়ছে। তারই মধ্যে আল জাজিরার ব্যুরো চিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য সেনা সরকার কিছু জানায়নি। আল জাজিরাও সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

রবিবার কাতারের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুদানে তাদের ব্যুরো চিফকে গ্রেপ্তার করেছে সেদেশের সেনা সরকার। এর আগে তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্যই গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই সাংবাদিক।

সাংবাদিকের নাম আল মুসল্লামি আল কাব্বাশি। রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। তবে পরিবারের আর কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। 

মাসখানেক আগে সুদানে সেনা অভ্যুত্থান হয়। শাসন ক্ষমতা দখল করেন আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। বেশ কিছু মন্ত্রী এবং নাগরিক সমাজের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পরে জাতিসংঘের চাপে চার মন্ত্রীকে ছেড়েও দেওয়া হয়।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই সুদানে নাগরিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশ গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সুদানের বেশ কিছু গণমাধ্যমও তা সমর্থন করছে। গত শনি ও রোববার রাজধানী-সহ একাধিক জায়গায় বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। অভিযোগ, নিরস্ত্র মানুষের বিক্ষোভ বন্ধ করতে তাদের উপর গুলি চালিয়েছে সেনা এবং পুলিশ।

 


সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রবিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। আর এই পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। 

চলতি বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। মোট ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ২৯ হাজার ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। 

সারাদেশে ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি/দাখিল/এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮ জন পরীক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।  

অন্যদিকে, ৭১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ৩ লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ৭৬০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভোকেশনাল পরীক্ষা দিচ্ছে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন।  

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পরীক্ষা শুরু হয়ে থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। এজন্য এবার যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। 

বর্তমানে করোনা আক্রান্তের হার সহনীয় মাত্রায় উন্নীত হওয়ায় পুর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। 

দেড় ঘণ্টায় এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ তিনটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়গুলোর ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হবে।


২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। এই বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১৬৭টি।

এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গ্রুপভিত্তিক বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগে ঢাকা বোর্ডে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩১ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৮১ হাজার ২২৪ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৫৪ হাজার ৫৮৩ জন, যশোর বোর্ডে ৩৭ হাজার ৬০১ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩১ হাজার ৫৭ জন, বরিশাল বোর্ডে ২৫ হাজার ১১২ জন, সিলেট বোর্ডে ২১ হাজার ৬২৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৯ হাজার ৩৬৫ জন ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৪১ হাজার ৮৩৫ জন।

মানবিক বিভাগে ঢাকা বোর্ডে ২ লাখ ৯৫৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭২৫ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৯ হাজার ৩৬১ জন, যশোর বোর্ডে ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৯ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬৫ হাজার ১৫৭ জন, বরিশাল বোর্ডে ৫৯ হাজার ৬৫৬ জন, সিলেট বোর্ডে ৮৯ হাজার ৯৩৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১ লাখ ৯ হাজার ৭০৬ জন ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৭ হাজার ৪৮১ জন।


ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ঢাকা বোর্ডে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭১২ জন, রাজশাহী বোর্ডে, ১১ হাজার ৬১৯ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৮০ হাজার ৯৩০ জন, যশোর বোর্ডে ২৬ হাজার ৫৭২ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬৪ হাজার ৭১১ জন, বরিশাল বোর্ডে ২০ হাজার ২২২ জন, সিলেট বোর্ডে ৯ হাজার ৫৫৫ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৪ হাজার ৩৭৫ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ১১ হাজার ৩৮৬ জন।

বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখ ৬ হাজার ৮৩১ জন, মানবিকে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮২ জন।

২০২১ সালের সংশোধিত ও পুর্নবিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। 

সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে পাঠাবে।

 


চলন্ত বাসের গতি না কমিয়ে জোর করে নামিয়ে দেওয়ায় সড়কে ছিটকে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। অর্ধ শতাধিক সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ, চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানায় সংস্থাটি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তায় ও বাসে ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে সাহায্য চাইছে মরিয়ম। ৯ নভেম্বর সকালে প্রগতি স্মরণির মোড় থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি বাসে উঠে যমুনা ফিউচার পার্কে ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত যায় মরিয়ম। পরে সেখান থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ওঠে সে।

বাসে ওঠার ৫ মিনিট না যেতেই সিটিং সার্ভিসের দোহাই দিয়ে তাকে বাস থেকে নেমে যেতে বলে হেলপার। আর নামার সময় চালক বাসের গতি না কমিয়ে মরিয়মকে নামিয়ে দেয়। এসময় ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় শিশু মরিয়ম।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরের কার‌ওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, আটকের পর চালক রাজু মিয়া ও হেলপার ইমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ৫০ এর অধিক সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে, ঘটনার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসটির হেলপার বুঝতে পারে এক পথশিশু গাড়িতে আছে। তখন সে তাকে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে ,মেয়েটি  যখন গাড়ি থেকে নামতে শুরু করে তখন গাড়িটির গতিবেগ ছিল ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ছিল। গাড়ির চালকের বক্তব্য মতে।

প্রাথমিকভাবে ঘটনায় ধর্ষণের আলামত পায়নি র‌্যাব। তবে ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, বাসে যেহেতু অন্যান্য যাত্রী ছিল হয়ত তাকে ধর্ষণ করা হয়নি। তারপরও ময়নাতদন্ত চলছে কিন্তু মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই সঠিক করে বলা যাবে না।

মরিয়ম খিলক্ষেত এলাকার কুড়াতলীতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো। ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করলেও আর্থিক দুরবস্থায় সাহায্যের জন্য পথে নামতে বাধ্য হয় সে। মরিয়মের মৃত্যুর ঘটনায় ভাটারা থানায় ৯ নভেম্বর সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করে মরিয়মের বাবা রনি মিয়া।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget