Latest Post

রাজশাহী অঞ্চলের আম বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে পরিপক্ক আম্রপালি, ফজলি ও আশ্বিনা জাতের আম। ভালো দামের আশায় অনেক চাষি বাগানে এখনো রেখেছেন হিমসাগর ও ল্যাংড়া।
ঈদের ছুটি শেষে ধীরে ধীরে জমে উঠছে আমের বাজার। টানা তিন বছরের টানা লোকসান কাটিয়ে এবার লাভের আশা দেখছেন চাষিরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাগানে মাছি-পোকার হানায় সেই আশায় গুড়েবালি।
আম চাষিরা বলছেন, মাছি-পোকার বেশি আক্রমণ হচ্ছে হিমসাগর ও ল্যাংড়ায়। গত ২৮ মে হিমসাগর এবং ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া আম নামানো শুরু হয়েছে গাছ থেকে। ফলে এই দুই জাতের আমে মাছি-পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগের উপায় নেই।

এলাকাভেদে এই পোকার আক্রমণ কম-বেশি। অনেকে লাভের আশা বাদ দিয়ে আম নামিয়ে বাজারে তুলছেন। কিন্তু আম্রপালি, ফজলি ও আশ্বিনা আম নামানোর সুযোগ নেই। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ১৬ জুন আম্রপালি ও ফজলি এবং ১ জুলাই আশ্বিনা আম বাজারে উঠবে।
হাতে সময় না থাকায় কীটনাশক প্রয়োগ নিয়েও বেকায়দায় চাষিরা। কোথাও কোথাও কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে চাষিরা বাগানে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এতে বিষক্রিয়া আমে থেকে যাওয়ার শঙ্কা বাড়ছে।


নওগাঁর পোরশা উপজেলার বড়রনাইল এলাকার স্কুলশিক্ষক নাজমুল হোসাইন। ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি ও আশ্বিনা মিলে তার ৮ বিঘা আম বাগান রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পুরো বাগানে দেখা দিয়েছে মাছি-পোকা। পোকা দমনে হিমশিম খাচ্ছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে আম রক্ষার চেষ্টা করছি।
এলাকার অনেক আম চাষি কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন বাগানে। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। পুরো বরেন্দ্র এলাকার আম বাগানজুড়ে মাছি পোকার ব্যাপক আক্রমণ হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যিক এই আম চাষি।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কমিউনিটিভিত্তিক বাগান ব্যবস্থাপনায় জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (রাবি)। জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমের ক্ষতিকর পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা নিয়ে গত বছর থেকে মাঠপর্যায়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বারির কীটতত্ত্ব বিভাগ।
আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে চলমান এই গবেষণাকাজে সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণা কেন্দ্র। এই কাজের সমন্বয়কের দায়িত্বপালন করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ লাক্ষা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জগদীশ চন্দ্র বর্মন।
তিনি বলেন, গত বছর থেকে চাষি পর্যায়ে এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা কাজ চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বামনডাঙা ও শেয়ালা এলাকায়। একই ধরনের গবেষণাকাজ চলছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার উত্তর মনিগ্রাম ও বলিহার এবং চারঘাটের হরিদাগাছি এলাকায়। বারি উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি নিয়ে তিন বছর গবেষণা শেষে তা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা নেয়া হবে।
মূলত আকর্ষণ ও মেরে ফেলা, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ এবং সয়েল গবেষণার সমন্বয় এই প্রযুক্তি। জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক এই প্রযুক্তিতে আমের ক্ষতিকর মাছি পোকা দমন শতভাগ কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে কমিউনিটিভিত্তিক বালাই ব্যবস্থাপনা জরুরি।
সমন্বিত এই প্রযুক্তি প্রসঙ্গে ড. জগদীশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আম পাকার ৪০ দিনে মাছি পোকার আক্রমণ হয়। এপ্রিলের শুরু থেকে মাঝামাঝিতে আম গাছের গোড়ায় ছত্রাক জীবাণু মিশ্রিত ট্রাইকোডার্মা সার প্রয়োগ করতে হবে। একে বলা হয় সয়েল রিসার্চ। এতে মাটিতে অবস্থানকারী মাছি পোকা নষ্ট হয়ে যাবে।

একই সঙ্গে মাছি পোকা আর্কষণে আম গাছের গোড়ায় এবং গাছের ডালে লঘুমাত্রায় আলফা সাইপারমেথ্রিন মিশ্রত আলাদা বিশেষ পেস্ট দিয়ে ফাঁদ দিতে হবে। মাছি পোকা আকৃষ্ট হয়ে এখানে এলেই মারা পড়বে।
মিথাইল ইউজেনল ফেরোমন ব্যবহার করে একই সময় পাততে হবে আলাদা সেক্স ফেরোমন ফাঁদ। বোয়ামে পাতা এই ফাঁদেও প্রচুর পুরুষ পোকা মারা যাবে। এতে বাগানে মাছি পোকার আক্রমণ কমে যাবে অনেকাংশে। তবে সুফল পেতে পুরো এলাকাজুড়ে চাষিদের এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে হবে।
বাঘা উপজেলার উত্তর মনিগ্রাম এলাকার শহিদুল ইসলামের দেড় বিঘা বাগানে এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চলছে। শহিদুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় বছরের মতো এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। প্রথম বছরই আড়াই লাখ টাকার আম বিক্রি করেছিলেন। এবার আম বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ টাকার। এলাকার অনেক আম বাগান মালিক এই প্রযুক্তিতে আগ্রহী হয়েছেন।
বিশেষ এই গবেষণাকাজ চলছে বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশকভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায়।
এই প্রযুক্তি প্রসঙ্গে প্রকল্পটির পরিচালক ও বারির কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, কৃষকরা না জেনে ইচ্ছামতো আম বাগানে কীটনাশক-হরমোন প্রয়োগ করেন। এতে যেমন বাগানের ক্ষতি হয়, তেমনি আমে বিষক্রিয়া রয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।
এক্ষেত্রে মুক্তি মিলতে পারে জৈব রোগবালাই ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনায়। দিন দিন জৈব রোগবালাই ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি জনপ্রিয় হচ্ছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বিষমুক্ত আম উৎপাদনে ঝুঁকছেন চাষিরা। বিষমুক্ত আম রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেবে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং নাটোর জেলায় সর্বশেষ গত ২০১৭-২০১৮ কৃষি বর্ষে ৭০ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে আম বাগান ছিল। তা থেকে আম উৎপাদন হয় ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬১ মেট্রিক টন। এটিই এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা।
এর আগে ২০১১-২০১২ কৃষি বর্ষে রাজশাহী অঞ্চলে ৪২ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে আম বাগান ছিল। তখন আম উৎপাদন হয় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩ মেট্রিক টন। এছাড়া ২০১৪-২০১৫ কৃষি বর্ষে ৫৪ হাজার ৭২২ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয় ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩৬ মেট্রিক টন।
(jagonews24)

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের নেতিবাচক মনোভাবের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে চায় যে এরা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত যাক। মিয়ানমার এদের নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা। আপনারা দেখেছেন আমরা চুক্তি করেছি। সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তারপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগও আছে। কিন্তু ওইভাবে তাদের সঙ্গে সাড়া পাই না। মিয়ানমারই আগ্রহী নয়।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি। ওখানে (কক্সবাজার) ভাগ করা আছে। আমাদের বর্ডার ফোর্স একটা অঞ্চল দেখে, আমাদের পুলিশ দেখে এবং আমাদের সেনাবাহিনী। আমরা বলেছি ওটাকে ক্লাস্টার করে চারদিকে একটা সিকিউরিটি ব্যারিকেড দিয়ে দিতে। সব সময় টহলে রাখতে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এদের সাহায্য করতে আসে বা ভলানটিয়ার সার্ভিস দিতে আসে তাদের সাংঘাতিক আপত্তি ভাসানচরে নেয়ার ব্যাপারে। কক্সবাজারে আরাম আয়েশে থাকে, যা পায় কিছু খায় আর কিছু রাখে। খরচ হয় না। এজন্য তারা… করতে চায় না। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। এত সুন্দর ঘরবাড়ি আমরা করে দিয়েছি তারপরও পছন্দ হয় না।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সবাই জানে, সম্মান করে। বাংলাদেশ থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস থেকে তো আর মুছতে পারেনি। ওই সময় যারা যুবক ছিল, ছাত্র ছিল তারাই এখন বিভিন্ন রাষ্ট্রের ক্ষমতায়। ফলে তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অন্যরকম একটা অনুভূতি আছে। কাজেই সেজন্য সবার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক।’
জাপান সফরে সফল হয়েছি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাপান সফর যেমন আমরা সফল হয়েছি চীনেও হবো। ইতোমধ্যে আমার দাওয়াত ছিল। কিন্তু সেই সময় সম্ভবত আমাদের পার্লামেন্টের ছিল জরুরি কিছু বিষয়। আমরা যেতে পারিনি। আগামী জুলাই মাসে আবার দাওয়াত দিয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট। ৩০ জুন আমাদের বাজেট পাস হওয়ার পর ওখানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সামার সামিট হবে। তারিখটা ঠিক হবে।’
সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকেল ৫টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ড সফরসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
এর আগে ত্রিদেশীয় সফর শেষে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ফিনল্যান্ড সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে হেলসিংকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানটি স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কাতারের দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জুন ফিনিস প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ৫ জুন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
সৌদি আরবে তিনদিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা গত ৩ জুন ত্রিদেশীয় সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য জেদ্দা থেকে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি পৌঁছান।
সৌদি আরবে তিনদিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাদশাহর আমন্ত্রণে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এ ছাড়া তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন এবং মদিনায় প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) রওজা জিয়ারত করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চারদিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ‘ফিউচার ফর এশিয়া’ বিষয়ক নিক্কেই সম্মেলনেও যোগ দেন। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সফরে তিনি জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও গোলটেবিল বৈঠক করেন।
(jagonews24)

প্রত্যাশার মাত্রা যখন বেশি থাকে, তখন প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনাও বেশি হয়। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে এসেছে আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা নিয়ে। দল, ম্যানেজমেন্ট, শুভানুধ্যায়ী তথা গোটা জাতি তাকিয়ে রয়েছে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকদের দিকে।
শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। ওভালে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে মাশরাফির দল। একই মাঠে পরের ম্যাচে জিততে না পারলেও, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪৪ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছে দুর্দান্ত। সে ম্যাচে হার মানলেও লড়াই হয়েছে সমানে সমান।


তৃতীয় ম্যাচটি ছিল কার্ডিফে। যেটিকে ধরা হয় টাইগারদের পয়মন্ত ভেন্যু হিসেবে। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে ২০০৫ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৭ সালে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি ছিল বাংলাদেশের।
এ দুটি স্মরণীয় সাফল্য সঙ্গে থাকলেও শনিবার আর সফলতা ধরা দেয়নি টাইগারদের। বিশ্বকাপের স্বাগতিক ও অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে পারদর্শিতা দেখাতে না পারায় মিলেছে ১০৬ রানের বড় পরাজয়।
প্রিয় দলের এ পারফরম্যান্সে ভক্ত-সমর্থকরা খানিক হতাশ। আশা ভঙ্গের বেদনা গ্রাস না করলেও আশাহত অনেকেই। তবে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, জোফ্রা আর্চারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মানদণ্ডে আনলে, ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে খুব বেশি খারাপ বলা যাবে না।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংটা হয়নি প্রত্যাশামাফিক। এছাড়া দুর্বল ফিল্ডিংয়ের কারণে হয়েছে বেশকিছু রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহীমের খানিক ঝলকানি ব্যতীত আর কেউই তেমন কিছু করতে না পারায়, পরাজয়ের ব্যবধানটা হয়েছে বড়।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খুব কাছে গিয়ে হারা এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় পরাজয়ের পর ভক্ত-সমর্থকরা হয়ে পড়েছেন আশাহত। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্যের ব্যাপারেও জেগেছে সংশয়।
আগেই বলে রাখা ভালো, এখনই শেষ হয়ে যায়নি সবকিছু। গাণিতিক সমীকরণ কিংবা বাস্তব প্রেক্ষাপটে, এখনও শেষ চারে থাকার বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে মাশরাফি বাহিনীর। তবে সেক্ষেত্রে আগামী যে ছয়টি ম্যাচ রয়েছে- তার মধ্যে অন্তত ৪টিতে জেতার প্রয়োজনীয়তা দেখা রয়েছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, বাংলাদেশের পরের ছয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ হলো শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান। এ ছয় ম্যাচের মধ্যে কোন চার দলকে হারাবে বাংলাদেশ? কোন চার দলকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এগুবে বাংলাদেশ?
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। যার শেষ বলে কোনো কথা নেই। এমনকি বলে কয়ে কিছু করা যায় না। অনেক সময় পচা শামুকে পা কাটে আবার প্রায়ই রাঘববোয়ালরাও হার মানে। ফলে বাংলাদেশ কোনো দলকে বলে কয়ে হারাবে- তা আগেভাগে বলে দেয়া সম্ভব নয়।
তবে আপাতদৃষ্টিতে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ- এ চারটি দলকেই হয়তো বাংলাদেশ তাদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ঠিক করে সামনে এগুবে। কারণ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী। তাদের হারানোও হবে বেশ কঠিন।
কাজেই ধরে নেয়া যাক, বাংলাদেশের এখন সেমিতে খেলার মিশন হলো মঙ্গলবার লঙ্কাবধের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়। এতে অবশ্য রয়েছে খানিক দুঃসংবাদ। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় বৃষ্টির কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। হুটহাট নেমে যায় ঝুম বৃষ্টি। ফলে প্রকৃতি বাধা দিলে কাজ হয়ে পড়বে কঠিন। অন্যথায় ম্যাচগুলো খেলতে পারে, এখনো সেমিফাইনালের লক্ষ্যপূরণ সম্ভব বাংলাদেশের।
(jagonews24)

‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়া অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে চড়বেন না, মরলে নিজ দেশের বিমানেই মরবেন’- এমনটি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যত ভিআইপি-ই হোক, যত ভি-ই লাগুক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় লক্ষণীয়, যখনই বিমানে উঠি তখনই একটা ঘটনা ঘটে। একটা নিউজ হয়, নিউজটা কেন হয় আমি জানি না। হয়তো পাসপোর্ট ভুলে যেতে পারে। পাসপোর্ট ভোলা কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু এখানে ইমিগ্রেশনে যারা ছিল, তাদের তো এই নজরটা থাকতে হবে। আমার কাছে খবর যাওয়ার সাথে সাথে আমি বলেছি, ইমিডিয়েট ব্যবস্থা নিতে। ইমিগ্রেশনে কারা ছিল? কেন চেক করেনি? কেন দেখে নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু এখন ইমিগ্রেশনে খুব কড়াকড়ি করতে বলেছি। আমাদের তো এখন সবাই ভিআইপি। তারপর আবার ভিভিআইপি। এরপর বোধহয় আরও ভি লাগবে। যত ভি-ই লাগুক, এরপর আর কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেকের একদম পাসপোর্ট সিল মারা আছে কি-না, তারপর তাদের চেকটা ভালোভাবে হচ্ছে কি-না, এমনকি ভিআইপি ও ভিভিআইপি এনক্লেভগুলোতে তাদের লাগেজ ঠিকভাবে চেক করা হচ্ছে কি-না, সবই দেখা হবে।’
‘এতদিন পরিশ্রম করে, প্লেন কিনে বিমানের অবস্থানটা যখন একটা জায়গায় চলে আসছে; যখন আমি চেষ্টা করছি আমরা আরও কয়েকটা নতুন রুটে যাব, মোটামুটি একটা ব্যবস্থা করে ফেলেছি ঠিক তখনই একেকটা কারণ… এ রকম আসে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটার কারণ, আমার যেটা মনে হয়… এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, আপনারা অনেকেই জানেন তারা এটাকে কীভাবে ব্যবহার করেছে। ছিলই তো না। সেগুলো আমরা যেহেতু একটু ভালোভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেকের পছন্দ হবে না, এটা আমি জানি। কারণ আগে যেগুলো খুব সহজে করতে পারত সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই সিকিউরিটির ওপর একবার ব্রিটিশ আমাদের এমবার্গ দিল, একবার অস্ট্রেলিয়া দিল। সেটাও আমরা মিটআপ করেছি।’
‘এজন্য যখনই আমি যেতে যাই, তখনই একটা ঘটনা। আমার কাছে শত শত মেইল যাচ্ছে। আপনি আইসেন না, বিমান আসবে না। আমি বললাম, বিমান আসবে না মানে? বলে, এটা হয়েছে। আমি বললাম, যা-ই হয় হোক। মরলে নিজের প্লেনেই তো মরব। নিজের প্লেনে মরলে মনে করব, নিজের মাটিতেই মরলাম। আমি আমার বিমানেই যাব। আমি অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে যাব না।’
সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকেল ৫টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ড সফরসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চারদিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
জাপান সফর শেষে তিনদিনের সফরে সৌদি, এরপর গত ৩ জুন ফিনল্যান্ড সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। হেলসিংকি থেকে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
(jagonews24)

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা মিশু সাব্বির। কমেডি ও রোমান্টিক ধাঁচের নাটক-টেলিছবিতে দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি প্রাণ মাঠার একটি বিজ্ঞাপন পিয়া বিপাশার বিপরীতে দেখা গেছে মিশুকে।
বিজ্ঞাপনটির জন্য প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। সেই সুবাদে রয়েছেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। 
ক্যারিয়ারের এই সুসময়ে তিনি বসে গেলেন বিয়ের পিঁড়িতে। পাত্রী নিশাত প্রিয়ম।


আসছে ঈদ উপলক্ষে বিটিভির জন্য নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বিয়ে বিষয়ক জটিলতা’। সেখানেই প্রিয়মকে বিয়ে করবেন মিশু। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শাখার প্রধান সাদিকুল ইসলাম নিয়োগী পন্নীর প্রযোজনায় নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন কচি খন্দকারসহ অনেকেই।
ইশতিয়াক আহমেদের গল্প ও নির্দেশনায় ‘বিয়ে বিষয়ক জটিলতা’ নাটকটি নিয়ে সাদিকুল ইসলাম নিয়োগী পন্নী বলেন, সামাজিক কুসংস্কারের প্রভাব এবং বাস্তবতা এই গল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যার গল্পে দেখা যাবে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এক ছেলেকে জ্যোতিষী পরামর্শ দিবে চব্বিশ বছরের সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করতে।
ছেলে তেমন মেয়ের সন্ধান পায় না। এদিকে পরিবারের চাপে ওই ছেলে শর্ত সাপেক্ষে বিয়ে করে। বাসর রাতেই সে তার বউকে জানায় চব্বিশ বছরের সুন্দরী মেয়ে পেলে আবার বিয়ে করবে। এভাবে নানা জটিলতায় সংসার চলতে থাকে। একসময় সে সুন্দরী মেয়ের সন্ধান পায়।
কিন্তু ততদিনে সে তার বউয়ের প্রেমে পড়ে যায়। যে কারণে আর নতুন করে বিয়ে করা হয় না। কুসংস্কারের বিষয়টি সে বুঝতে পেরে জ্যোতিষীকে শাসিয়ে আসে।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নাটকটি ঈদের দিন রাত ৯টা ৫ মিনিটে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রচারতি হবে।
(jagonews24)

ঈদ বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টেলিভিশন। ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আয়োজন করে টিভি দেখতে বসা এই দেশের বিনোদনের একটা চিরচেনা সংস্কৃতি। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সাজায় ভিন্ন স্বাদের নানা ঈদ অনুষ্ঠানের পসরা। কিন্তু ঈদ আয়োজনে নানা বর্ণিল অনুষ্ঠান সাজিয়েও বিভিন্ন কারণে দর্শক ও জনপ্রিয়তা ঠিক তেমনভাবে পাচ্ছে না টেলিভিশন চ্যানেলগুলো।

বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনা, বাজেট সংক্রান্ত জটিলতা, অনুষ্ঠান ও নাটক-টেলিছবির মানহীনতায় বিরক্ত দর্শক। তারা তাই ঝুঁকছেন ইউটিউবে। সেখানেই খুঁজে নিচ্ছেন আলোচিত বিনোদন। দেখছেন প্রিয় তারকার প্রিয় নাটক ও অনুষ্ঠান।
গেল কয়েক বছরে দেখা গেছে টিভির চেয়ে ইউটিউবেই বেশি জমে উঠছে ঈদ। সেখানেই নাটক-টেলিছবির দর্শক সাড়া বেশি। বিভিন্ন এজেন্সিগুলো ইউটিউবে মনযোগী হচ্ছে। অনেক নির্মাতা ও প্রযোজক ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলছেন ইউটিউব চ্যানেল।
জি-সিরিজ, সিএমভি, ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের মতো গান থেকে মিউজিক ভিডিও প্রযোজনায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলোও ঈদ উপলক্ষে তাদের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণে মজেছে।
ইউটিউব চ্যানেলের এই রাজত্ব দেখে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও ইউটিউবকে প্রাধান্য দিচ্ছে। প্রায় প্রতিটি চ্যানেলেরই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। টিভিতে প্রচারের পর সেগুলোতে আপলোড হচ্ছে নাটক-টেলিছবি বা অনুষ্ঠান।
গেল বছরগুলোর সাফল্যের উৎসাহে আসছে ঈদ উপলক্ষেও ইউটিউবকে ঘিরে ঈদের বিনোদন আয়োজন করা হয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন এজেন্সি, সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, নির্মাতা-প্রযোজকরা তাদের চ্যানেলের জন্য শ-খানেক নাটক নির্মাণ করেছেন। বলা চলে টেলিভিশনের তুলনায় এবার ইউটিউবের দখলে থাকবে নাটক।
অনেকে ওয়েব সিরিজও নির্মাণ করছেন সিনেমার আদলে। সেখানে যেমন রয়েছে বাজেটের চমক তেমনি আছে তারকাদের উপস্থিতিও।
অনুসন্ধান করে দেখা গেল নানা কারণেই নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের কাছে টিভির চেয়ে বর্তমানে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ ইউটিউবের নির্মাণের জন্য পরিমাণ মতো বাজেট মিলছে সহজেই। টিভি চ্যানেলের মালিকরা নাটক নির্মাণের চাহিদা অনুযায়ী বাজেট দিতে চান না। সেক্ষেত্রে ইউটিউবের জন্য নির্মাতাদের মোটা অংকের বাজেটে দিচ্ছেন প্রযোজকরা।
অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীও নাটক-টেলিছবির প্রযোজনায় যুক্ত হচ্ছেন গোপনে। তারা প্রিয় নির্মাতাদেরকে দিয়ে ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে তা বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে নির্মাতারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পান। পাশাপাশি নাটক বিক্রি করার জন্য এর ওর অফিসে ধর্নাও দিতে হয় না তাদের। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজের প্রমো দেখেই ইউটিউব চ্যানেলের মালিকরা সেগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত আসছে ঈদে ইউটিউবে প্রচার হওয়ার তালিকায় আছে অপূর্ব, তানজিন তিশা, সজল, মম, আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, আ খ ম হাসান, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, তিশাসহ দেশের জনপ্রিয় তারকাদের অনেক নাটক-টেলিছবি ও ওয়েব সিরিজ।
তবে এবারের ঈদে ইউটিউব নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এই প্রথমবার জনপ্রিয় এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কোনো নতুন চলচ্চিত্র। আসছে ঈদ উপলক্ষে ইউটিউবে মুক্তি পাবে চিত্রনায়িকা পপির ‘দি ডিরেক্টর’। যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন মারজুক রাসেলকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান কামু।
দিনে দিনে টিভির দর্শক এখন ইউটিউবনির্ভর! টিভির মানুষগুলোও ইউটিউবনির্ভর হয়ে উঠেছেন। এভাবে চলতে থাকলে দেশে টিভি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থান নিয়ে হতাশার সুরই বেজে উঠবে। তবে জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী রাকায়েত মনে করেন, ‘ইউটিউব টিভির চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হতেই পারে। কিন্তু টিভির যে একটা পারিবারিক আমেজ, বন্ধনের আবহ সেটা ইউটিউব দিতে পারবে না। টিভি চ্যানেলগুলো একটু সচেতন হলে, ভালো কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারলে দৃশ্যপট বদলাবে।’
(jagonews24)

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু নতুন মুখ ঠাঁই পাচ্ছেন। দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভূমিধস জয়ের পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, তার একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই তালিকায় কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি।


দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলছে, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় যারা জায়গা পাবেন; ইতোমধ্যে দলের সভাপতি অমিত শাহ তাদের টেলিফোন করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি দলীয় বেশকিছু নেতাকে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দফায় দফায় একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তবে নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পেতে পারেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টায় শপথ অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি ভবন। অনুষ্ঠানে প্রায় আট হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন। শপথে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান সরকারের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে কংগ্রেস দলীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তার মা সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকবেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
(jagonews24)

এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাত দফার ম্যারাথন নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাইসিনা হিলসে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন তিনি।

বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মোদির শপথের পর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহসহ অন্য মন্ত্রীরা শপথ নেন।
কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাইসিনা হিলসে চলছে বিপুল আয়োজন। ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত এই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান হতো রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগের বার মোদির শপথের সময়ই রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারও সেখানেই হচ্ছে শপথের অনুষ্ঠান।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শিল্পপতি, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মিলিয়ে এবার অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র তারকা, ব্যবসায়ী ও অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
(jagonews24)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় এ সদস্যপদ দেয়া হয়। সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে এ পদ দেয়া হয়। কিন্তু এতে অসম্মতি দিয়েছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।


ডাকসুর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে।’
সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডাকসুর বার্ষিক বাজেট সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। পরবর্তীতে নির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বস্ত করেন ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন-সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সভায় উপস্থাপন করা হয়। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
(jagonews24)

২৩ মে, বিবিসি : ব্রিটেনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার জিতেছেন এক আরব লেখিকা। চলতি বছরের ম্যানবুকার পুরস্কার জয়ী এই ওমানি লেখিকার নাম জোখা আলহারথি। তিনিই প্রথম কোনো আরব লেখিকা, যিনি এ পুরস্কার পেলেন।
‘সেলেস্টিয়াল বডিস’ নামের উপন্যাসের জন্য তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। ওমানে সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে চেষ্টা করছেন -এমন তিন বোন এবং তাদের পরিবারকে নিয়ে উপন্যাসের কাহিনী। বিচারকরা লেখিকার ঐশ্বর্যময় কল্পনাশক্তি, লেখার চিত্তাকর্ষক শৈলি এবং কাব্যিক অন্তর্দৃষ্টির প্রশংসা করেছেন।



জোখা আলহারথি সাংবাদিকদের জানান, তিনি রোমাঞ্চিত বোধ করছেন এই ভেবে যে, সমৃদ্ধ আরব সংস্কৃতির জন্য একটি জানালা খুলে গেল। এই লেখার অনুপ্রেরণা এসেছে তার নিজের দেশ ওমান থেকে। কিন্তু তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক পাঠকরাও এই গল্পের যেটি মূল বিষয় -স্বাধীনতা এবং ভালোবাসার মতো মূল্যবোধের সঙ্গে নিজেদের জীবনের মিল দেখতে পাবেন। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে স্যান্ডস্টোন প্রেস। নতুন এই প্রকাশনা সংস্থা মাত্র চারজন কর্মী নিয়ে বছরে ২০ হতে ২৫টি বই প্রকাশ করে। ম্যানবুকার পুরস্কার তাদের প্রকাশনা সংস্থার জন্যও এক বিরাট সাফল্য।
‘সেলেস্টিয়াল বডিজ’ উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে আল-আওয়াফি গ্রামকে ঘিরে। একটি সনাতনী সমাজ থেকে ঔপনিবেশ উত্তর যুগে যে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে ওমান যাচ্ছিল, তিন বোনের মাধ্যমে সেই পরিবর্তন দেখাতে চেয়েছেন লেখিকা। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ওমানিরা কীভাবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।
আলহারথি বলেন, ‘এতে দাসপ্রথার বিষয়টি নিয়েও কথা রয়েছে। আমার মনে হয় এই আলোচনার সবচেয়ে উত্তম জায়গা হচ্ছে সাহিত্য।’ ওমানের কোনো উপন্যাস এটিই প্রথম যা ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছে। ৫০ হাজার পাউন্ডের পুরস্কারের অর্থ জোখা আলহারথি এবং তার উপন্যাসের মার্কিন অনুবাদক মারিলিন বুথের মধ্যে ভাগাভাগি হবে।
লেখিকা জোখা আলহারথি যুক্তরাজ্যের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে তার আরও কিছু বই বের হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে দুটি ছোটগল্প সংকলন, একটি শিশুতোষ বই এবং তিনটি উপন্যাস রয়েছে।

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে বড় জয় পাওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিনন্দন জানান ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা পিটিআই এই তথ্য জানায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘বিশাল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপিকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতের যৌথ অংশিদারিত্ব ইস্যুতে যেসব বিষয় এখনো জমা আছে, ফের ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে মোদি হবেন তার কর্ণধার।’


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তার টুইট বার্তায়। 
উল্লেখ্য, সাত দফায় অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ১৯ মে। লোকসভার ৫৪৫টি আসনের মধ্যে এবার ৫৪২টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার দেশটির সাত দফার নির্বাচনের ফলাফলে মোদির দল বিজেপি একাই তিন শতাধিক আসনে বিজয়ী হয়েছে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন মাত্র ২৭২টি আসন। 

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: মহানগরীর কোতোয়ালি থানার কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন জানান, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।


তিনি বলেন, কাজীর দেউড়ির সার্কিট হাউজ ও শিশুপার্কের আশপাশ থেকে ৫৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ, ৩২ জন শিশু ও ১৪ জন নারী রয়েছেন।
তাদের কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি মহসীন।
প্রসঙ্গত, কাজীর দেউড়ি, আউটার স্টেডিয়াম ও আশপাশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিচরণ বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসে যাকাতের উদ্দেশ্যে তারা চট্টগ্রামে ভিড় করছেন।-ইউএনবি

(dailysangram)

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ বলেছেন, জ্ঞানচর্চা নেতৃত্বকে আদর্শিক ও দৃঢ় করে গড়ে তুলে। অযোগ্য নেতৃত্ব জাতিকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে সক্ষম নয়। আদর্শিক ও সাহসী নেতৃত্ব গঠনে সাহিত্য চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে যেমনি মূল্যবোধ এবং  নৈতিকতার প্রসার ঘটে, তেমনি কাক্সিক্ষত নেতৃত্ব গঠনেও অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন রচিত ‘সমকালীন চ্যালেঞ্জ নেতা ও নেতৃত্ব’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, আবদুল জব্বার, ইয়াছিন আরাফাতসহ সাবেক ও বর্তমান সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ। 


উন্মোচন অনুষ্ঠানে মকবুল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের যুব-সমাজের একটি বিশাল অংশ আজও বিপদগামী। দেশের তরুণ সমাজের অবক্ষয়ের কারণে নিজেদেরকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারের পথে, আসক্ত হচ্ছে মাদকে। ছিনতাই, অপহরণ, গুম, খুন, হানাহানি, নষ্ট রাজনীতি আর সন্ত্রাসে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে যাচ্ছে। উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে গলা টিপে হত্যা করে মূল্যবোধ আর  নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে সব বয়সী মানুষ আজ চলেছে ধ্বংসের পথে। যে ছেলেটির হওয়ার কথা শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী বা প্রশাসক সে আজ হয়ে যাচ্ছে চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা সন্ত্রাসী। একইসাথে এদের মধ্যে থেকেই তৈরী হচ্ছে অনাকাক্সিক্ষত নেতৃত্ব। ফলে যারা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তারা আজ অন্যায় করে ব্যাহত করছে দেশের অগ্রযাত্রাকে। জাতির সার্বিক দূর্ভাগ্যের মূল কারণ অনাকাক্সিক্ষত নেতৃত্ব। এ শুন্যতা পূরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আর কাক্সিক্ষত নেতৃত্ব গঠনে জ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নেই। আদর্শিক ও সাহসী নেতৃত্ব গঠনে সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
তিনি বলেন, সফলতা অর্জন তরুণ প্রজন্মের আকাক্সিক্ষত বিষয়। আর কাক্সিক্ষত তরুণ প্রজন্ম গঠনে চাই প্রত্যাশিত নেতৃত্ব যারা যোগ্যতার সাথে সমকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। এ বইটিতে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জাতির প্রত্যাশিত নেতৃত্ব গঠনে এ বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বইটি তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার খোরাক হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। আমরা আশা করি, তরুণ প্রজন্ম বইটি অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বইটির সাফল্য কামনা করছি। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।
(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:খবরের শিরোনামে আবার মোদির গুজরাট। না এবার রাজনৈতিক কোনো কারনে নয়। শিক্ষার বেহাল দশার কারনে। গুজরাটকে মোদির মডেল রাজ‍্য বানানোর স্বপ্ন মাটিতে পড়ে লুটোপুটি খাচ্ছে। গুজরাটে মাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে যা ঘটেছে দেশের কোনো রাজ‍্যের কখনো এমন ঘটেনি। বলা যেতে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে গুজরাটের এটা শতাব্দীর সেরা ব‍্যর্থতা।মঙ্গলবার গুজরাটের মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক বোর্ডের তরফে প্রকাশ করা হয় দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল। যাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের ৬৩টি এমন স্কুল আছে, যাতে একজন পরীক্ষার্থীও পার করতে পারেনি মাধ্যমিকের গণ্ডি।


 শুধু তাই নয় গত বারের তুলনায় এবার কমছে পরীক্ষায় পাশের হার। চলতি বছরের মার্চ মাসে হয় গুজরাটের দশম শ্রেণির পরীক্ষা। যাতে মোট পাশের হার ৬৬.৯৭ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৬৭.৫ শতাংশ।বোর্ডের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মোট ৮ লক্ষ ২২ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ছিল। যার মধ্যে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৩ জন মাত্র পাশ করেছে। মাত্র ৩৬৬টি বিদ্যালয় এমন আছে যাদের সকল পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। যদিও ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এবার অনেকটাই এগিয়ে গুজরাটে। ৭২.৬৪ শতাংশ মেয়ে পরীক্ষার্থী পাশ করেছে মোদী রাজ্যে মাধ্যমিকে।পাশাপাশি হিন্দি ও গুজরাটি মাধ্যমের স্কুল গুলির তুলনায় ইংরিজি মাধ্যমের স্কুল গুলিত পাশের নিরীখে ভালো ফল করেছে গুজরাটে। মোট ৮৮.১১ শতাংশ ইংরিজি মাধ্যম স্কুলের পরীক্ষার্থীরা পাশ করেছে গুজরাট বোর্ডের পরীক্ষায়। যেখানে হিন্দি মাধ্যেমে ৭২.৬৬ শতাংশ ও গুজরাটি মাধ্যমে সবচেয়ে কম ৬৪.৫৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। জেলার নিরীখে যেমন শীর্ষ রয়েছে দক্ষিণ গুজরাটের সুরাট, তেমনই তালিকার শেষে রয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা ছোটা উদয়পুর।

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: ঘুরে দাঁড়ানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ। নজিরবিহীন বাম বিপর্যয় বাংলায়।একমাত্র যাদবপুর বাদে বাকি সব কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্ত সিপিএম সহ বাম প্রার্থীদের। জেতা দূর অস্ত! একটি আসনেও বামেরা ২ নম্বরে উঠে আসতে পারেনি। একমাত্র মালদা দক্ষিণ আসন ছেড়ে রেখে বাকি ৪১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত যা ট্রেন্ড ছিল, তাতে সব কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পথে বামেদের।


নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগ ভোট পেলে জামানত রক্ষা হয়। যা শতাংশের হিসেবে ১৬ শতাংশের সামান্য বেশি। যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন পেয়েছেন ২০.৯৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ তাঁর জামানত রক্ষা পেল। বাকি কেন্দ্রে জামানত রক্ষা করতে পারেনি বামেরা। মহম্মদ সেলিম এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রায়গঞ্জ থেকে। গতকাল বিকেল ৫ টা পর্যন্ত তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৩.৭৭ শতাংশ। ১০১৪ সালে বামেরা জিতেছিল মুর্শিদাবাদ আসনটি। এবার সেখানে প্রার্থী হয়েছিলেন বদুদ্দোজা খান। তিনি পেয়েছেন ১২.৭৫ শতাংশ ভোট। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে নন্দিনী মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ১১.৩৮ শতাংশ ভোট। দমদম কেন্দ্রের সিপিএমের নেপালদেব ভট্টাচার্য পেয়েছেন ১৩.৭৭ শতাংশ ভোট। বারাকপুর কেন্দ্রের গার্গী চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ১১.৭৬ শতাংশ। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ফুয়াদ হালিম। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬.৪৩ শতাংশ। একদা বাম দূর্গ বলে পরিচিত জলপাইগুড়িতে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ৪.৭৬ শতাংশ ভোট। বোলপুরে রামচন্দ্র ডোম পেয়েছেন ১০ শতাংশ ভোট।
স্বাভাবিকভাবে এই বেনজির ফলে বামেদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ঘনিয়ে আসতে পারে। এত তাদের ঘুরে দাঁড়ানো যে আরও অসম্ভব হয়ে উঠল, তা বলাই যায়।

(dailysangram)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে সরকার ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে। চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে সে দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
এসময় তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি ও নিঃশর্ত মুক্তি চান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে যেসব জাতীয় নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ শিকার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই তিনি রাজনীতি ও ক্ষমতায় এসেছেন।


শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার জমিরউদ্দীন সরকার,আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার ডায়বেটিস কন্ট্রোলে নেই, এমনকি ইনসুলিন নেয়ার পরও তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তিনি বলেন, চিকিৎসা না হলে পরিস্থিতি যা হওয়ার কথা ছিলো তাই হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী এতদিন বাম হাত নাড়াতে পারতো না, এখন ডান হাতও নাড়াতে পারছে না। সাহায্য ছাড়া তিনি বেড থেকে উঠতে পারছে না। তার মাশেল পেশীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে সে মামলায় তিনি জামিন পেতে পারেন। কিন্তু সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

(dailysangram)

 কাজ করছেন কৃষক কুমার দুধবংশী। ছবি: বাংলানিউজ
মৌলভীবাজার: এক সময় খাইছড়া চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন তিনি। কৃষিতে এসে স্বপ্ন আর সম্ভবনার সুফলটুকু নিজ চোখে দেখে কৃষিকেই বেছেনিয়েছেন তিনি। ছেড়েছেন চা বাগানের শ্রমিকের কাজ। তারপর পেছনে ফিরে আর তাকাতে হয়নি তাকে।  
খাইছড়া এলাকার একজন সফল কৃষক তিনি। তার এই সফল কাজে দারুণভাবে উৎসাহিত হয়ে তার তত্ত্বাবধানেই প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন পুরুষ ও নারী শ্রমিক কৃষিতে যোগদান করেছিলেন। এখনও তার এই কৃষিকাজের সফলতা দেখে অনেকে নিজ আগ্রহে কৃষিতে এগিয়ে আসতে চাইছেন।



শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষি কার্যালয়ের সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবেও রয়েছে কুমার দুধবংশীর নাম।
রোববার (১৯ মে) সকালে খাইছড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, কুমার দুধবংশী নিজের ঝিঙ্গাক্ষেতে কাজ করেছেন। শেড পদ্ধিতে শুধু ঝিঙ্গা নয়, অনেক সবজি রয়েছে তার এই ক্ষেতজুড়ে। তারতাজা লম্বা লম্বা ঝিঙ্গাগুলো গাছের ডালে ঝুলে আপন স্বার্থকতার জানান দিচ্ছে। 
এক প্রশ্নের জবাবে কুমার দুধবংশী বাংলানিউজকে বলেন, আট থেকে দশ আগে কৃষিবিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছু সবজি লাগিয়েছিলাম। খুব ভালো হয়েছিলো সেই ফসলগুলো। নিজ হাতে লাগানো সেই ফলসগুলো দেখে দারুণভাবে উৎসাহ লাভ করি। এখন তো পুরোপুরিভাবে কৃষি কাজ করছি। আমার এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ জন কৃষক আছেন, তাদের দলপ্রধান আমি।
 
জায়গার পরিমাণ এবং শ্রমিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মোট জমির পরিমাণ এক কিয়ার (৩০ শতাংশ)। আমার সবজি বাগানে দুইজন শ্রমিক আছেন, তাদের দৈনিক মজুর ২০০ টাকা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তারা কাজ করেন। এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে ঝিঙ্গা, করলা, ঢেড়স, শশা প্রভৃতি। শীতকালে ফলাই আলু, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি লাউ প্রভৃতি।
 সবজিক্ষেতে সার প্রয়োগ প্রসঙ্গে কুমার দুধবংশী বাংলানিউজকে বলেন, আমার প্রতিটি সবজিই বিষমুক্ত। আগে গোবর সার, এমওপি, ইউরিয়া এবং টিএসপি সারগুলো ব্যবহার করতাম। এখন আমাকে কৃষি কার্যালয় থেকে কেঁচো হতে উৎপন্ন জৈব সার দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব এবং মাটি ও কৃষির জন্য দারুণ উপকারী। এই জৈব সার দিলে অন্যকোনো সারের আর প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়াও ‘সেক্স ফেরোমেন’ (কৃত্রিম ফাঁদ) দিয়ে ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড়গুলোকে দমন করা হচ্ছে।
 
উৎপাদিত সফলের বিক্রয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঝিঙ্গাগুলো চৈত্র মাসে লাগানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭/১৮ হাজার টাকা ঝিঙ্গা বিক্রি করেছি। পুরো জৈষ্ঠ্য মাস ধরে এই ঝিঙ্গাগুলো বিক্রয় হলে মোট বিক্রি ২৪ থেকে ২৫ হাজারে গিয়ে দাঁড়াবে। এই সবজি ক্ষেতের ঝিঙ্গাচাষে মাত্র ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা বাংলানিউজকে বলেন, কুমার দুধবংশী আমাদের উপজেলার একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। অনেক পরিশ্রম করতে পারেন তিনি। তার দেখাদেখি এলাকায় অনেক লোক কৃষিতে এসেছেন এবং আমাদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সফলভাবে কৃষিজাত নানান পণ্য চাষাবাদ করছেন।
 
এক সময় কুমার দুধবংশী চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন। আমাদের পরামর্শ মতো কৃষিজাত নানান ফসল উৎপাদন এবং বাজারজাত করে পাল্টে ফেলেছেন নিজের ভাগ্য। এখন পুরোপুরিভাবে কৃষিতে নিয়জিত আছেন তিনি বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
(banglanews24)

ছাত্রলীগ
ঢাবি:
 কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ ও হামলার ঘটনায় বিচার চেয়ে আন্দোলনরত ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন
রোববার (১৯ মে) দিনগত রাতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)  রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।


বিগত কমিটির পরিকল্পনা ও কর্মসূচি সম্পাদক রাকিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের মূল্যায়ন ও মধুর ক্যান্টিনে হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার করার আশ্বাস পেয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।’
এর আগে আন্দোলনরতদের একটি অংশসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন দলের নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউছার এবং ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget