Latest Post

হোক তা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, ইতিহাস ও পরিসংখ্যান পরিষ্কার জানাচ্ছে- বাংলাদেশ কখনো আইসিসির পূর্নাঙ্গ সদস্য দেশ তথা টেস্ট খেলিয়ে দলগুলোর সঙ্গে খেলে কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি।
এশিয়া কাপ, অস্ট্রেলেশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর বিশ্ব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট তো অনেক দূরে, আজ অবধি আইসিসির পূর্নাঙ্গ সদস্যদের সঙ্গে কোন তিন জাতি টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি টাইগাররা।

ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে ১৯৯৭ সালের এপ্রিলে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে কেনিয়াকে ফাইনালে হারিয়ে আইসিসির চ্যাম্পিয়ন হবার পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যতগুলো তিন জাতি টুনামেন্ট খেলেছে, তার মাত্র একটিতে বিজয়ী হয়েছে।

তবে আগেই বলে রাখা ভাল, সেটা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোন ত্রিদেশীয় সিরিজ নয়। সে সিরিজের রেকর্ড ও পরিসংখ্যান ধর্তব্য হলেও যেহেতু প্রতিপক্ষ ছিল আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশ, তাই টুর্নামেন্টটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে আসর হিসেবে মর্যাদা পায়নি।
এবার যেমন বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর ঠিক ১২ দিন আগে আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি মাশরাফির দল, কাকতালীয়ভাবে ঠিক একযুগ আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপের ঠিক আগে আইসিসির দুই সহযোগি সদস্য কানাডা আর বারমুডার সঙ্গে তিন জাতি আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল।
সময়কাল ছিল ২০০৭ সালের ফেব্রয়ারী মাসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন জাতি আসরে আইসিসির দুই সহযোগি সদস্য বারমুডা আর কানাডার বিপক্ষে জিতেই বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল টাইগাররা। সে আসরে বারমুডাকে ৮ উইকেটে আর কানাডাকে ১৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। তবে সেটা আন্তর্জাতিক আসরের ট্রফি জয় বলে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ বাকি দুই দল বারমুডা আর কানাডা আইসিসির সহযোগি সদস্য।
এছাড়া সেই ১৯৯৭ সাল থেকে তিন জাতি টুর্নামেন্ট খেলে আসছে বাংলাদেশ। প্রথম তিন জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে, জিম্বাবুয়ের মাটিতে। স্বাগতিক কেনিয়া আর জিম্বাবুয়ে ছিল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ফাইনালে ওঠা বহু দূরে একটি ম্যাচও জিততে না পারা টাইগাররা দেশে ফেরত এসেছিল সব ম্যাচ হেরে।
এরপর ১৯৯৮ সালের জানুয়ারী মাসে ঘরের মাঠে স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তানের সাথে ইন্ডিপেন্ডেন্টস কাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ। খুব স্বাভাবিকভাবেই দুই প্রবল প্রতিপক্ষের সঙ্গে পেরে ওঠেনি টাইগারররা। ভারত আর পাকিস্তানই ফাইনাল খেলে। সে আসরেও বাংলাদেশের জয় অধরাই ছিল।
একই বছর মানে ১৯৯৮ সালের মে মাসে ভারতের মাটিতে স্বাগতিক ভারত আর কেনিয়ার সাথে একটি ট্রাইনেশন খেলতে যায় বাংলাদেশ। সেখানেই ১৭ মে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তারপরও ফাইনাল খেলা সম্ভব হয়নি। ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া।
সেটাই শেষ নয়। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে যাবার আগে ঘরের মাটিতে তিন জাতি আসরের আয়োজক হয়েও ফাইনালে দর্শকের আসনে ছিল বাংলাদেশ। সেটা ছিল ১৯৯৯ সালের মার্চে, বিশ্বকাপের আগে ঢাকায় মেরিল কাপে কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে তিন জাতি আসরে বাংলাদেশ সব ম্যাচে হার মানে।
ঐ আসরের ফিরতি পর্বে ২৫ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন মেহরাব হোসেন অপি (১১৬ বলে ১০১)। একই ম্যাচে অধর্শতক উপহার দিয়েছিলেন আরেক ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ (১১৭ বলে ৬৮) ও আকরাম খান খেলেন ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস।
এরপর ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে আবার তিন জাতি আসর টিভিএস কাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেখানেও ফাইনাল ওঠা বহু দূরে জয়ের নাগালই পায়নি বাংলাদেশ। তার দুইবছর পর ২০০৫ সালের জুনে ইংল্যান্ডের মাটিতে ন্যাটওয়েস্ট তিন জাতি টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় টাইগাররা।
ফাইনাল খেলতে না পারলেও সে আসরে ১৮ জুন কার্ডিফে মোহাম্মদ আশরাফুলের অনবদ্য শতরানে অজিদের ৫ উইকেটে হারিয়ে হৈ চৈ ফেলে দেয়ার কাজটি করে টাইগাররা। তিন বছর পর ২০০৮ সালের জুন মাসে আবার দেশের মাটিতে কিটপ্লাই কাপে ভারত ও পাকিস্তানের সাথে তিন জাতি আসরে আবার সব ম্যাচ হেরে বসা। ভারত ও পাকিস্তান ফাইনাল খেলে।
২০০৯ সালের জানুয়ারী ঢাকার শেরে বাংলায় আরও একটি তিন জাতি আসর খেলে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়ে। সেই আসরে প্রথম জিম্বাবুয়েকে পিছনে ফেলে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি টাইগারদের। শ্রীলঙ্কা জয়ী হয় ২ উইকেটে ।
২০১০ সালের জানুয়ারী দেশের মাটিতে আরও এক তিন জাতি আসরে ফাইনালে ওঠা বহু দূরে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ফাইনাল খেলেছিল ভারত আর শ্রীলঙ্কা। এর পর ২০১৭ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি টুর্নামেন্টেও শিরোপা অধরা। চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ অবশ্য ঐ আসরে একবার আইরিশদের (৮ উইকেটে) আর একবার নিউজিল্যান্ডকে (৫ উইকেটে) হারিয়েছিল।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে দেশের মাটিতে তিন জাতি আসরে জিম্বাবুয়েকে দুই বার আর শ্রীলঙ্কাকে একবার হারিয়ে দাপটে ফাইনালে পৌঁছেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি মাশরাফির দল। ট্রফি জিতে নেয় লঙ্কানরা, ফাইনালে টাইগারদের ৭৯ রানে হারিয়ে। মোদ্দা কথা ট্রফি জয়ের আকাল।
এবার আবার আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ। তাও যেনতেনভাবে নয় । একদম দৌর্দন্ড প্রতাপে খেলে। আয়ারল্যান্ডের সাথে রবিন লিগের প্রথম ম্যাচটি ধুয়ে মুছে গেছে বৃষ্টিতে। তারপর আইরিশদের একবার (৬ উইকেটে) আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইবার (৮ ও ৫ উইকেটে) হারিয়ে অপরাজিত অবস্থায় ফাইনালে মাশরাফির দল।
ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং ও ক্যাচিং- সব শাখায় টাইগাররা এ আসরে অন্য দুই প্রতিপক্ষর চেয়ে ভাল নৈপুণ্য উপহার দিয়েছে। টপ অর্ডারে তামিম, সৌম্য, সাকিব, লিটন আর মিডল অর্ডারে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ নিয়মিত রান করেছেন। যখন প্রয়োজন, সে প্রয়োজন মিটিয়েছেন তারা। একই অবস্থা বোলিংয়েও। অধিনায়ক মাশরাফি, সাইফউদ্দীন আর আবু জায়েদ রাহীরা দরকারের সময় ভাইটাল ব্রেকথ্রু উপহার দিচ্ছেন।
এছাড়া গতকাল (বুধবার) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একজোড়া ক্যাচ হাতছাড়া হলেও আগের দুই ম্যাচে সাব্বির, সাকিব ও সৌম্যরা বেশ কঠিন ক্যাচ সহজ করে ধরেছেন। সব মিলে টিম বাংলাদেশ আছে ফর্মের চূড়োয়। বাড়তি কিছু করার দরকার নেই।
এ আসরে আগের তিন ম্যাচে মাশরাফির দল যে ক্রিকেটটা খেলেছে, তা খেলতে পারলেই ব্যস, হয়ত অধরা সাফল্য ধরা দেবে। কারণ আগের তিন ম্যাচের চালচিত্র ও ফল পরিষ্কার বলে দিয়েছে গেইল, আন্দ্রে রাসেলসহ বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ছয় জন ক্রিকেটার ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলে চেয়ে বাংলাদেশ ঢের এগিয়ে।
কাজেই নিজেরা খুব বেশী খারাপ না খেললে আর একটি খারাপ দিন না আসলে প্রথম কোন তিন জাতি টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার পরিষ্কার হাতছানি টাইগারদের সামনে।
সব ইতিবাচক অবস্থার মাঝে হয়ত একটি নেতিবাচক দিক থাকতে পারে। ইনজুরি খুব জটিল বা গুরুতর না হলেও সাইড স্ট্রেইনে আক্রান্ত সাকিব আল হাসানের আগামী কালকের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
যদিও কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে ভেতরের খবর হলো, এখন সাকিবের মত চ্যাম্পিয়ন পারফরমারের ইনজুরি নিয়ে কোনরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট। সম্ভবত সাকিবকে এক সপ্তাহের পূর্নাঙ্গ বিশ্রাম দেয়া হবে।
(jagonews24)

যাওয়ার আগে প্রিমিয়ার লিগের খেলা। ফেরার পরের ম্যাচটি আরো গুরুত্বপূর্ণ। তাই অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াকে লা লিগার ম্যাচের ধারাভাষ্য দিতে যাওয়ার অনুমতি গিতে গরিমসি ছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ইংলিশ কোচ জোনাথনের।
শেষ পর্যন্ত অনুমতি পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার রাতে যাচ্ছেন দুবাইয়ে। আর যাওয়ার সময়ে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত এক জয়ের সুখস্মৃতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে জামাল ভুঁইয়ারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে বিজেএমসিকে।

সাইফের এই দুর্দান্ত জয়ে বড় অবদান তাদের দুই নতুন বিদেশি। ব্রাজিলের আলেজান্দ্রো সেলিন ও উজবেকিস্তানের ওতাবেক গোল করেছেন। গোল করেছেন তাদের পুরোনো বিদেশি কলোম্বিয়ার আন্দ্রেস করডোবা। তিন বিদেশির তিন গোলে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব পেয়েছে প্রিমিয়ার লিগে নবম জয়।
চতুর্থ মিনিটে ওতাবেকের গোলে এগিয়ে যায় সাইফ। ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আন্দ্রেস করডোবা। ৮২ মিনিটে ব্রাজিলের আলেজান্দ্রো সেলিন গোল করলে সহজ জয় নিশ্চিত হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের।১৪ ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের পয়েন্ট ২৯। আর বিজেএমসির এটি ১১ তম হার। মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে এ অফিস দলটি।
(jagonews24)

কুষ্টিয়ায় রবি মৌসুমে বোরো ধান কাটা ও কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কম পেয়ে হতাশ কৃষকরা। গত বছর মৌসুমের শুরুতে ধান বিক্রি হয়েছে ৭৪০ টাকা মণ দরে, সেই ধান এবার বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকায়।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবার বোরোর ফলন ভালো হলেও বাজারে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। দাম না পেলে কষ্ট করে আবাদ করা ধান চাষ থেকে তারা বিমুখ হবেন। বাজার মন্দার বিষয়টি খতিয়ে দেখা অতীবও প্রয়োজন।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় যেকোনো ফসল আবাদের জন্য মাটির গুনগত মান খুবই ভালো। এজন্য কৃষকেরা বেশি পরিমাণ জমিতে ধান আবাদ করে থাকেন। ফলনও ভালো পান। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৯০ ভাগ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ধান চাষ হয়েছিল। আবহাওয়া ভালো ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ করেছে কৃষক। জেলার কয়েকটি বাজারেও নতুন ধান উঠেছে। কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে হাটে হাটে ঘুরছেন।
জেলার মধ্যে ধানের সবচেয়ে বড় হাট সদর উপজেলার আইলচারা ধানের হাট। এখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর চালের মোকাম খাজানগর এলাকার চাল ব্যবসায়ীরা ধান কিনে থাকে। আইলচারা হাটে সপ্তাহের দুই দিন ধান কেনাবেচা হয়। এই হাটে গত বছরের আজকের দিনে (১৩ মে) বোরো ধান মণ প্রতি বিক্রি হয়েছিল ৭৪০ টাকা। সোমবার হাটে বোরো ধানের উঠেছিল মণপ্রতি ৬৮০ টাকা। মৌসুমের শুরুতে এমন দাম পেয়ে হতাশ কৃষক। আইলচারা হাটে ইঞ্জিনচালিত নসিমন ও ট্রলিতে করে কৃষকেরা হাটে ধান নিয়ে হাজির হন।
এ সময় কৃষকেরা বলেন, হাটে ধানের আমদানি বাড়লেও দাম বাড়ছে না। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। তখন আমদানি আরও বেড়ে যাবে, সঙ্গে দাম আরও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর কৃষকেরা দ্রুত টাকা পাওয়ার আশায় ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রির জন্য হাটে ছোটেন।
কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে ঘরে তুলতে (জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে মাড়াই শেষ পর্যন্ত) প্রায় ১৫ হাজার ৮৪৪ টাকা খরচ হয়েছে। ধান ও বিচালি বিক্রি করে ঘরে আসছে প্রায় ১৯ হাজার ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ চার মাস জমিতে খাটুনিতে বিঘা প্রতি প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এই লাভ দিয়ে কিছুই হয় না।
জেলা বাজার তদারকি কার্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার আইলচারা হাটে স্থানীয়ভাবে সরু ধান বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৭৮০ টাকা দরে, মাঝারি ধান বিক্রি হয়েছে ৬৮০ টাকা দরে ও মোটা ধান বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৫৮০ টাকা দরে। কুষ্টিয়ায় মাঝারি ধানের আবাদই বেশি হয়ে থাকে। গত বছরের আজকের দিনে একই হাটে সরু, মাঝারি ও মোটা ধান মণপ্রতি বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ৯৫০ টাকা, ৭৪০ টাকা ও ৬৮০ টাকা দরে। বাজারে দাম বৃদ্ধি না পেলে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন এই কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোমেন জানান, তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। পুরোটায় কেটে ঘরে তুলেছেন। হাটে দাম না পেয়ে হতাশ তিনি। এবার অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোরোর উৎপাদন খরচও পড়েছে বেশি। গত বছর মৌসুমের শুরুতে চড়া দামে ধান বিক্রি করে লাভবান হয়েছিলেন। এবার তা ভিন্ন। এক বিঘায় লাভ হয়েছে মাত্র তিন হাজার টাকা।
একই উপজেলার মিরপুর এলাকার চাষি আশরাফুল হক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রোদে পুড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করতে হয়। অথচ দাম পাওয়া যায় না। লাভবান হয় ব্যবসায়ীরা। কৃষকের দিকে কেউ খেয়াল রাখে না।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক কৃষকদের কৌশলী হতে বলছেন। তিনি বলেন, দাম যেহেতু কম সেহেতু ধান বিক্রি না করে বাড়িতে কয়েকদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন কৃষক। দাম বাড়লে সেসময় বিক্রি করার পরামর্শ দেন তিনি। তবে দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কৃষকের ধানের নায্য মূল্যে নিশ্চিত করতে হাটগুলোতে তদারকি বাড়ানো হবে।
(jagonews24)

আবারও ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ২০১৬ সালে ভালো গ্রাহকদের প্রণোদনা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাংক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কিন্তু ওই নির্দেশনা পরিপালন করেনি কোনো ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারে ভালো ঋণগ্রহিতা চিহ্নিতকরণের বিভিন্ন পদ্ধতি ও তাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, ভালো ঋণগ্রহিতাদের চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট হারে রিবেট দেয়ার মাধ্যমে তাদের প্রণোদনা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হলেও ভালো ঋণগ্রহিতারা ওই সুবিধা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। তাই ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি এখন থেকে নিশ্চিত করতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, কোনো গ্রাহক সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পূর্ববর্তী ৪টি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধ করলে তিনি ভালো গ্রাহক হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে তিনি ভালো গ্রাহক হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
অন্যদিকে মেয়াদি ঋণগ্রহিতার ক্ষেত্রে ঋণ হিসাব বিগত ১২ মাসের সব কিস্তি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হলে এবং সংশ্লিষ্ট বছরের সেপ্টেম্বর মাস ও পূর্ববর্তী ৪ ত্রৈমাসিকে অশ্রেণিকৃত-স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় থাকলে সংশ্লিস্ট গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে বিবেচিত হবেন। কোনো ঋণগ্রহিতার একাধিক ঋণ থাকলে প্রতিটি ঋণের জন্য পৃথকভাবে উল্লেখিত শর্ত পরিপালন করলেই তিনি ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তবে সব ক্ষেত্রেই কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিগত ১২ মাসে কোনো গ্রাহক বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত ঋণ থাকলে ওই গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা প্রদানের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় অনুসরণ করতে হবে এ সংক্রান্ত নীতিমালাও সংযুক্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাস শেষে বিগত ১২ মাসে ভালো ঋণগ্রহিতার সংশ্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে আদায় করা সুদ বা মুনাফার ন্যূনতম ১০ শতাংশ রিবেট সুবিধা প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে প্রতিবছর গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহিতা হিসেবে চিহ্নিত হলে একই রকম সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ভালো ঋণগ্রহিতার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ঋণ সুবিধাও প্রদান করা যাবে।
প্রতিটি ব্যাংকের পর্ষদে অনুমোদিত ভালো ঋণগ্রহিতাদের প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এ সংক্রান্ত সুবিধা প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি শাখায় তা সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
ভালো ঋণ গ্রহিতাদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃক কেইস টু কেইস ভিত্তিতে রিবেট হিসাবায়ন করতে হবে এবং ঋণগ্রহিতার প্রাপ্যতা অনুযায়ী প্রদান করতে হবে। এ সুবিধা পাওয়ার জন্য ঋণগ্রহিতার আবেদন করতে হবে না। ব্যাংক স্ব-উদ্যোগে এ সুবিধা দেবে।
ভালো ঋণগ্রহিতাদের ঋণতথ্য পরবর্তীতে স্ট্যান্ডার্ড থাকা সাপেক্ষে সিআইবিতে স্ট্যান্ডার্ড গুড ব্রোয়ারস (এসটিডি-জিবি) হিসেবে রিপোর্ট করতে হবে। তবে পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন ঋণগ্রহিতাদের জন্য এসব সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বলেও সার্কুলারে বলা হয়েছে।
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী ভালো ঋণগ্রহিতাদের বিশেষ সুবিধা যেমন রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট সুবিধা প্রদান করতে হবে।
সেরা ১০ জন ভালো ঋণগ্রহিতার ছবিসহ তাদের ব্যবসা সফলতার সংক্ষিপ্ত চিত্র ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করার পাশাপাশি স্বীকৃতি প্রদানসহ সম্মাননা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
(jagonews24)

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে দেশটির আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বিভিন্নস্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
কাশ্মীরের গত ৩০ বছরের সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বৃহস্পতিবারের এই প্রাণহানির ঘটনা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জেলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়ি বহরে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর থেকে কাশ্মীরে ব্যাপক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

হামলার জবাব দিতে যেকোনো ধরনের পদেক্ষেপ নেয়ার স্বাধীনতা দেশটির সামরিক বাহিনীকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকে প্রায় প্রত্যেকদিন কাশ্মীরের গ্রামে গ্রামে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে নিরাপত্তাবাহিনী। অনেক সময় সহিংসতার মুখোমুখিও হতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।

নিরাপত্তাবাহিনীকে মোদির এই বিশেষ ক্ষমতা দেয়ার পর পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে জঙ্গি আস্তানায় বিমান হামলা পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিলাপোরা গ্রামে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে পাকিস্তানি এক কমান্ডারসহ জয়েশ-ই-মোহাম্মদের তিন সদস্য ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়।
দিলাপোরা গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে; এমন তথ্য পাওয়ার পর সেখানে অভিযানে যায় সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামের রয়িস আহমদ দার নামের এক যুবককে একটি বাড়িতে তল্লাশির জন্য পাঠায়।

পরে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
তবে পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, জঙ্গিদের নির্বিচারে ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন আহমদ দার। তাকে তল্লাশি অভিযানে পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী।
(jagonews24)

>> দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট এবং ৯ শতাংশ সুদে পুনঃতফসিলের সুবিধা
>> সুদ দিতে হবে না এক বছর, সময় পাবে ১০ বছর 
>> ছোট, মাঝারি, বড় সব ঋণ খেলাপিরা সুবিধা পাবেন
দেশের ঋণখেলাপিদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খেলাপিরা মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য ১০ বছর সময় পাবেন। এক্ষেত্রে প্রথম এক বছর কোনো কিস্তি দিতে হবে না।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে এই নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে ঋণ খেলাপিরা গণহারে ছাড়ের সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছোট, মাঝারি বা বড়-সব ঋণ খেলাপিই পুনঃতফসিলের সুযোগ পাবেন। ঋণ খেলাপিদের আগের অনারোপিত সব সুদ মাফ করে দেওয়া হবে।

এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ঋণ খেলাপিদের সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রস্তাব পাঠায় বলে জানা গেছে।
‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা’ শীর্ষক সার্কুলারের বলা হয়েছে, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ব্যবসায়ী/শিল্পোদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যাংকের ঋণ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হচ্ছে না এবং সংশ্লিষ্ট ঋণ বিরূপভাবে শ্রেণিকৃত হয়ে পড়ায় ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে উৎপাদনশীল খাতসহ অন্যান্য খাতে স্বাভাবিক ঋণ প্রবাহ বজায় রাখাসহ ব্যাংকিং খাতের বিরূপভাবে শ্রেণিকৃত ঋণ নিয়মিত আদায়ের লক্ষ্যে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরভিত্তিক ঋণ খেলাপিরা সুযোগ পাবেন। ছাড় গ্রহণের জন্য আগামী ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৬ আগস্টের খেলাপির আবেদন করবেন। ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তবে প্রথম এক বছর কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না। আর পুনঃতফসিলকৃত ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ বা ব্যাংকের কস্ট ফান্ডের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে।
খেলাপি ঋণের সুদ ব্যাংক আয় দেখাতে পারে না। তাই পৃথক হিসেবে রাখতে হয়। পৃথক হিসেবে রাখা সব সুদ মাফ করে দেওয়া হবে। এই সুবিধা গ্রহণকারীরা ব্যাংক থেকে আবার নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন। প্রচলিত নিয়ম মেনে সতর্কতার সঙ্গে ঋণ দিতে বলা হয়েছে। নতুন ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলে পুনঃতফসিল সুবিধা বাতিল হবে।
সুবিধা গ্রহণের পর নিয়মিত অর্থ পরিশোধ না করলেও তাদের খেলাপি করা যাবে না। এখানে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ৯টি মাসিক কিস্তির ৩টি এবং ত্রৈমাসিক ৩ কিস্তির ১টি পরিশোধ না করলেও নিয়মিত থাকা যাবে। তবে মাসিক কিস্তির মধ্যে ৬টি ও ত্রৈমাসিক কিস্তির ২টি পরিশোধ না করলে পুনঃতফসিল সুবিধা বাতিল করা হবে।
স্বাধীনতার পর থেকে যারা ঋণ খেলাপি তাদের এককালীন এক্সিট সুবিধা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তাদের খেলাপি ঋণের হিসাব হবে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের এক কালীন হিসাবায়ন ভিত্তিতে।
অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিমেম্বর পর্যন্ত যত খেলাপি ঋণ আছে তার হিসাব করা হবে। কোনো ঋণ খেলাপি যদি মনে করে এককালীন ঋণ পরিশোধ করে খেলাপির তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবেন, তাহলে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে সার্কুলারে।
এতে বলা হয়েছে, ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ঋণ খেলাপিরা ঋণ পরিশোধের জন্য এক বছর পর্যন্ত সময় পাবেন। আগের সব সুদবাবদ পাওনা মওকুফ করা হবে। এককালীন পরিশোধের জন্য সুদহার আরও কম- ব্যাংকের কস্ট অব ফান্ডের সমান। তবে এক বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে সুবিধা বাতিল হবে।
এই এককালীন এক্সিট সুবিধা ও পুনঃতফসিল সুবিধা কার্যকরের ৯০ দিনের ব্যাংক ও গ্রাহকের মামলা স্থগিত করতে হবে। পরবর্তীতে গ্রাহক কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সুবিধা বাতিল করে মামলা পুনরায় চালু হবে।
(jagonews24)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিগগিরই দেশে ৫-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। আগামীকাল (১৭ মে) ‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, সরকার তথ্য-প্রযুক্তিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে। দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। অচিরেই দেশে ৫-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সেবা ব্যবহার করতে শুরু করেছি।

‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’-র এবারের প্রতিপাদ্য ‘ব্রিজিং দ্য স্টান্ডার্ডাইজেশন গ্যাপ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গত দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, প্রায় সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় তথ্য বাতায়ন এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমাদের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা।’
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭ মে ‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
(jagonews24)

রফিকুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ২০১৯ সালের ২৩ মে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মাস্টার ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি। নানাবিধ জটিলতার কারণে ড্রেন নির্মাণের ধীরগতি। যার কারণে দূর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। পৌর শহরের প্রধান সড়কে ড্রেন নির্মাণের সামগ্রী বালু, পাথর, রডসহ অন্যান্য উপকরণ রাখার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির পর স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই ঈদ মার্কেটের ছোঁয়া লেগেছে পৌরসভায়। সে কারণে প্রতিদিন বহিরাগত লোকজনের ভীড় দেখা দিয়েছে চোখে পড়ার মত। ব্যবসায়ীদের দাবি পৌরসভার প্রধান সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হওয়ার কারণে ঈদ মার্কেটগামী গ্রহকরা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সহজে মার্কেটে আসতে পারছে না।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মেহেদুল ইসলাম জানান, জাইকার সহায়তা পুষ্ঠ নবীদেব প্রকল্পের আওতায় পৌরসভায় মাস্টার ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে। ড্রেন নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৮ টাকা এবং বরাদ্দ রয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩১ টাকা।
গাইবান্ধার আব্দুল লতিফ হক্কানী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেন নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলের সমস্ত প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর নিদের্শনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ সামগ্রী সড়কে উপরে রাখার কারণে পথচারীদের একটু সমস্যা হচ্ছে।
পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, নির্মাণ সামগ্রী পৌর শহরের প্রধান সড়কের উপর রেখে কাজ করার কারণে পথচারী এবং স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ক্ষণিকের জন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এনিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যাতে করে নির্মাণ সামগ্রী খোলামেলা জায়গায় জমা রাখার যায় সে ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পথচারীদের দূর্ভোগ লাঘব করা হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে জনগণকে সামান্য কষ্ট মেনে নিতে হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আব্দুল লতিফ হক্কানীর প্রতিনিধি সোহেলা রানা জানান, পৌর শহরের জায়গা প্রসস্থ, বিদ্যুতের খুটি সরানো নিয়ে জটিলতার কারণে ড্রেন নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া নির্মাণ সামগ্রী রাখার মতো পৌর শহরে খোলামেলা কোন জায়গা না থাকায় সড়কের উপরে রাখতে হচ্ছে। সে কারণে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের একটু বেঘাত সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আরও ২ বছর বৃদ্ধি হয়েছে। পৌর মেয়র দ্রুত ড্রেন নির্মাণে জায়গা প্রসস্থ এবং বিদ্যুতের খুটি সরানোর ব্যবস্থা করলে ড্রেন নির্মাণ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
(amadershomoy)

স্পোর্টস ডেস্ক: গতকাল রোববার নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে শেষ হয়েছে আইপিএলের ১২তম আসর। ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে ১ রানে হারিয়ে চতুর্থ বারের মতো শিরোপার মুকুট পড়ে নিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
এই দিনই সম্প্রচারকারী চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। তাদের নতুন ছবি ‘ভারত’-এর প্রচারে এসেছিলেন এই দুই বলিউড তারকা। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্রেট লি। অস্ট্রেলীয় পেসারকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার।

শুরুতেই ক্যাটরিনা কাইফকে ব্রেট লি জিজ্ঞাসা করেন, ‘কোন দলকে সমর্থন করছ?’ ক্যাটরিনা সাফ বলে দেন, ‘অবশ্যই মুম্বাইকে। বরাবরই মুম্বাইয়ের প্রতি আমার ভাললাগা ছিল। তাই মুম্বাই ছাড়া কোনও দলের কথা ভাবতেও পারছি না।’
একই প্রশ্ন করা হয় সালমানকে। ‘ভাইজান’-এর উত্তর, ‘বুঝতে পারছি না কাদের সমর্থন করব। এক দিকে ধোনি ও হরভজন রয়েছে। অন্য দলে যুবরাজ সিংহ। খুবই দোটানায় পড়ে গিয়েছি।’
তাদের প্রিয় দলের বিষয়ে জেনে নেওয়ার পরে সালমানকে ব্রেট লি একটি কাজ দেন। কানে, কানে অস্ট্রেলীয় পেসার তাকে কোনও নির্দেশ দেওয়াতেই সলমন একটি স্কেচ পেন নিয়ে আঁকতে শুরু করেন। ক্যাটরিনাকে বলা হয়, সালমানের ছবির বিষয় আন্দাজ করতে। সালমান বলেন, ‘কী আঁকলাম?’ ক্যাটরিনার উত্তর, ‘টি-শার্ট।’ সেই টি-শার্টের পিছনে সাত নম্বর লিখে সালমান জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা কার টি-শার্ট?’ অনায়াসে ক্যাটরিনার উত্তর, ‘অবশ্যই ধোনির।’
এ বার ক্যাটরিনার কাছে নির্দেশ আসে। বলিউড অভিনেত্রী ডাম্বশারাড করে সালমানকে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করেন। চোখ বুজে সালমানের উত্তর, ‘এটা রোহিত।’ শেষে ব্রেট লি বলেন, ‘এত ব্যস্ততার মধ্যেও কী করে তোমরা ক্রিকেটের এত খবর রাখো?’ সালমানের উত্তর, ‘ক্রিকেট ও বলিউড। এই দু’টো নিয়েই বেঁচে থাকে ভারতবাসী।’
(amadershomoy)

রমজান আলী : অসুস্থ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।
সোমবার তিনি ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। তার পক্ষ থেকে আমি আজ দশ লাখ টাকার চেক স্বজনদের দিয়েছি। তাদের জানিয়েছি, চিকিৎসার সকল খরচ প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সালেহ জামান বলেন, হাসপাতালের বকেয়া বাবদ আজ এই টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীতে চিকিৎসা বাবদ যাবতীয় অর্থ তিনিই দেবেন বলে আমাদের জানােেনা হয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী এটিএম শামসুজ্জামানকে গত ২৬ এপ্রিল গেন্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত এ অভিনেতার শরীরে পরদিনই অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের তিন দিনের মাথায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কেবিন থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয় শামসুজ্জামানকে। দুই দফা লাইফ সাপোর্টে রাখার পর শনিবার সকালে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। মাঝে এটিএম শামসুজ্জামানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার কথা উঠলেও মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা দেশেই তার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে সালেহ জামান জানান।
(amadershomoy)

কামরুল হাসান : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উপক্ষেপণের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছরের এই দিনে (বাংলাদেশ সময় ১২ মে রাত ২.১৪ মিনিটে এবং যুক্তরাষ্ট্র সময় ১১ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশপানে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। মহাকাশে গত এক বছরের পদচারনায় যেমন কাটলো বাণিজ্যিক এ যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১!
বাণিজ্যিক যাত্রায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফলতা সম্পর্কে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, স্যাটেলাইট যাত্রার এক বছর হলেও আমরা বুঝে পেয়েছি গত নভেম্বরে। এর আগে এটি ছিল ফ্রান্সের থ্যালাস এলিনিয়া স্পেসের নিয়ন্ত্রণে। তারা গাজীপুরে গ্রাউন্ড স্টেশনে আমাদের ঢুকতেই দেয়নি।

শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আমরা হাতে পাওয়ার পর থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বাজার ধরতে অনেক দেশে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের স্যাটেলাইট ব্যবহারের জন্য ফিলিপাইন সরকার চুক্তি করেছে এবং যোগাযোগ শুরু করেছে থাইল্যান্ড ও নেপাল। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নৌ-পরিবহন, মৎস্য অধিদফতর এবং কৃষি বিভাগসহ ৩০টির বেশি স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসসিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, আমরা ১৯ মে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করবো, সে দিন থেকেই দেশের সবগুলো টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলো আগে যে দামে ব্যান্ডউইথ কিনত এখন আমাদেও কাছ থেকেও সেই দামেই নেবে। প্রতি মেগাহার্ডজ দুই হাজার ডলার করেই পরিশোধ করবে তারা। প্রতিটি টিভি চ্যানেলের ৪ থেকে ৬ মেগাহার্ডজ লাগে। তাদের কাছ থেকে ৮ থেকে ১২ হাজার ডলার করে পাওয়া যাবে।
শাহজাহান মাহমুদ আরো বলেন, ব্যাংকের এটিএম বুথ আর অনলাইনে অর্থ লেনদেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ১৯ মে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি বুথ এই স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এর পরীক্ষামূলক কাজও শেষ হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সবগুলো এটিএম বুথ কোনো ধরনের ব্রডব্যান্ড সংযোগ ছাড়াই এই স্যাটেলাইটের আওতায় আনা হবে। এতে সাইবার অপরাধও কমে যাবে।
এর আগে, জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর স্বত্ব (মালিকানা) দেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের স্বত্ব শুধু বেক্সিমকো ও অন্য একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়েছে) জবাবে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর স্বত্ব (মালিকানা) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়নি, এটি দেশের জনগণের সম্পত্তি। সে কারণে স্যাটেলাইটের স্বত্ব নিয়ে যেসব কোম্পানি বা ব্যক্তিবর্গের নামে লিজ দেয়ার তথ্য খবরের কাগজ বা গণমাধ্যমে আসে, তা সত্য নয়।
এদিকে সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আগামী সাত বছরের মধ্যে এই খরচ উঠে আসবে বলে মনে করেন উৎক্ষেপণকারী সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)।
(amadershomoy)

মুসবা তিন্নি : তিনি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। মার্কিন অনলাইন শপিং পোর্টাল আমাজনের মালিক। একইসঙ্গে মহাকাশ সংস্থা ব্লুওরিজিনের প্রধান। সেই জেফ বেজোস এবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। সংবাদ প্রতিদিন
বেজোস জানিয়েছেন যে, ২০২৪-এর মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠাবেন তিনি। আর সেই চন্দ্রযাত্রা হবে সেখানে বসবাসের জন্য! চন্দ্রাভিযানের জন্য তিনি যে অত্যাধুনিক, উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন মহাকাশযানের পরিকল্পনা করেছেন, সেটি চাঁদে গাড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জামও বহন করে নিয়ে যাবে। যাতে সেখানে বসতি স্থাপনে কোনও অসুবিধা না হয়।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এই মহাকাশযানের উপস্থাপনা করেন ৫৫ বছরের বেজোস। “এই হল ব্লু মুন, বিশালাকার একটি মহাকাশযানের মডেলের পর্দা উন্মোচন করে ঘোষণা করেন বেজোস। ৬.৫ মেট্রিক টন ওজনের এই যানটি চাঁদের নরম মাটিতে গিয়ে নামবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার সরঞ্জাম ছাড়াও এতে করে মানুষও চাঁদে পাড়ি দেবে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই চন্দ্রযানটি ছাড়াও চার চাকার একটি মুন রোভারও প্রকাশ্যে এনেছেন বেজোস। তিনি নির্দিষ্ট করে কোনও সময়সীমা বা কবে অভিযান হবে, সেটা জানাননি।
তবে ব্লু ওরিজিনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪-এ চাঁদে মানুষ পাঠানোর যে লক্ষ্য স্থির করেছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তাঁরা পরিকল্পনা করছেন। তবে মাত্র তিন বছর আগে কাজ শুরু করায় তাঁরা খুব সতর্ক হয়ে এগোতে চান। পঞ্চাশ বছর আগে মার্কিন মহাকাশচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছিলেন। আবার নতুন করে পৃথিবীর এই উপগ্রহের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে কয়েকটি দেশ।
(amadershomoy)

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছর স্থানীয় বাজারে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বিক্রিতে রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স
জায়ান্ট ওয়ালটন। গত বছর সারা দেশে যে পরিমান এসি বিক্রি হয়েছিল তাদের, তা চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। যা কিনা গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি। এদিকে গ্রীষ্মের প্রখরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডটির এসি বিক্রয়।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের মতে, এসি বিক্রয় বৃদ্ধিতে এই অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বিশেষ অবদান রাখছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ এসি নিয়ে আসা, ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি ঘোষণা, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধা, একচেঞ্জ অফারে যে কোনো ব্র্যান্ডের এসি বদলে ওয়ালটনের নতুন এসি ক্রয়ের সুযোগ এবং ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ১ বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার বা বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
সূত্রমতে, এসি এক্সচেঞ্জ অফারের আওতায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহকরা যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন এসি কিনতে পারছেন। দেশের যে কোনো প্লাজা বা পরিবেশক শোরুমে পুরাতন এসি জমা দিলে গ্রাহক তার পছন্দকৃত ওয়ালটনের নতুন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। এই সুবিধার পাশাপাশি ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোরের আওতায় ওয়ালটন এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই গ্রাহকরা পেতে পারেন পুরো এক বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। রয়েছে মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
এদিকে ওয়ালটন এসি কিনে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনে এসির কলার টিউন সেট করলে এবং ক্রয়কৃত এসি ইনস্টল করার পর ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করলেই মিলছে ১ হাজার টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক। ওয়ালটন এসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানভীর রহমান জানান, এ বছর বাজারে লেটেস্ট প্রযুক্তির এসি নিয়ে আসার পাশাপাশি গ্রাহকবান্ধব অসংখ্য সুবিধা ঘোষণা দেয়ায় এসি বিক্রি হচ্ছে আশাতীত। এরই মধ্যে, ২০১৮ সালে সারা বছর যে পরিমান এসি বিক্রি হয়েছিল ওয়ালটনের, তা এই বছরের প্রথম চার মাসেই বিক্রি হয়েছে। এদিকে গত বছরের প্রথম চার মাসের এসি বিক্রির বিপরীতে এ বছরের একই সময়ে ওয়ালটনের এসি বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ। এখন চলছে এসি বিক্রির প্রধান মৌসুম ‘গ্রীষ্মকাল’। তাই, গরমের
তীব্রতার সঙ্গে এসির বিক্রিও আরো বাড়ছে।
জানা গেছে, এ বছর ১, ১.৫ ও ২ টনের অসংখ্য মডেলের স্পিøট এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ভেনচুরি ও রিভারাইন সিরিজের ১.৫ ও ২ টনের এসিতে এনার্জি সেভিং ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও আইওটি স্মার্ট প্রযুক্তির নতুন মডেল যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ টনের আইওটি বেজড ইনভার্টার স্মার্ট এসির দাম ৭৬ হাজার ৪’শ টাকা, শুধু ইনভার্টার এসির দাম ৭৪ হাজার ৯’শ টাকা ও আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসির দাম ৫৬ হাজার ৯’শ টাকা ধরা হয়েছে।
এদিকে ১.৫ টনের ইনভার্টার স্মার্ট এসি ৬৫ হাজার টাকায়, শুধু ইনভার্টার এসি ৬৩ হাজার ৫’শ টাকা এবং  আয়োনাইজার এসি ৪৯ হাজার ৯’শ টাকায় কেনা যাচ্ছে। এছাড়া ওয়ালটনের ১ টন এসি কেনা যাচ্ছে ৩৫ হাজার ৫’শ টাকায়। ওয়ালটন এসির চীফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, গ্রাহকের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে এসিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার, আয়োনাইজার, টার্বো কুলিং মুড, গোল্ডেন ফিনের মতো বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি যুক্ত করেছেন তারা। ইনভার্টার কম্প্রেসরের টার্বো কুলিং মুড রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে এনে রুমকে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে।
তিনি বলেন, ইনভার্টার প্রযুক্তিতে পিসিবি বা মাদারবোর্ডের মাধ্যমে রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসরের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ, রুমের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি কম্পেসরের গতিও কমে আসে। কম্প্রেসরের এ্যাকুইরেসি এবং কুলিং সিস্টেম-এ নিশ্চিত করেছে সর্বোচ্চ পারফেকশন। কম্প্রেসরে বিল্ট-ইন অটোমেটিক ভোল্টেজ প্রোটেকশন সিস্টেম থাকায় বিদ্যুৎ প্রবাহের বিচ্যুতি বা তারতম্যেও ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
এসির কনডেনসারে মরিচারোধক গোল্ডেন কালার ফিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কম্প্রেসরে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এসব কারনে ওয়ালটনের ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কম্প্রেসরের স্থায়ীত্বও বেড়েছে অনেক। এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিল আসছে কত? ভোল্টেজ লো না হাই? কম্প্রেসর কি ওভারলোডে চলছে?
ওয়ালটনের স্মার্ট এসিতে মিলবে এসবের উত্তর।
স্মার্ট প্রযুক্তি ছাড়াও ওয়ালটন এসিতে সংযোজন করা হয়েছে আয়োনাইজার প্রযুক্তি। যা রুমকে ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করবে। ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরে বাজারজাতকরা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ালটনের রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার। সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
(amadershomoy)

ডেস্ক রিপোর্ট : র‌্যাব-১০ লালবাগ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ঢাকার চকবাজার এলাকা হতে ৪৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। রোববার এই অভিযান পরিচালিত হয়।


আটককৃত আসামিরা হচ্ছে ফখরুল ইসলাম প্রকাশ লিটন, ও মো. বজলু লস্কর, একইদিন কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সৈয়দ ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে পৃথক এক অভিযানে ২৭৫ পিস ইয়াবাসহ মোঃ সিরাজুল হক এবং ফেন্সিডিলসহ মো: সেলিম হক নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। র‌্যাব-১০এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
(amadershomoy)

মাকসুদা লিপি: আশঙ্কা ছিলই। এবার সেটাই সত্যি হল। সরকারিভাবে ভারতীয় ব্যবস্থায় অনিল আম্বানির রিলায়েন্স কমিউনিকেশনকে দেউলিয়া ঘোষণা করল ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল। আজকাল
গেলো ফেব্রুয়ারিতে ঋণ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এই ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয় অনিল আম্বানির সংস্থা। পরে দেউলিয়া সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন নষ্ট হওয়া ৩৫৭ দিন বাদ দেওয়ার জন্য আবেদনও জানায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে আর কমুকে দেউলিয়া ঘোষণা করল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল।

 ফলে কার্যত মাথায় হাত অনিল আম্বানির। আর এই ঘোষণার পরই ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণগ্রস্থ থাকা কোম্পানিকে পরিচালনার জন্য সংস্থার পরিচালনা কমিটিকে উপেক্ষা করে নতুন করে পেশাদারদের নিয়োগ করা হয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ৩১টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাওনাদারদের একটি কমিটি গঠন করতেও বলা হয়েছে ট্রাইবুনালের তরফে। কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের কাছে শেষ শুনানিতে মামলা চলাকালীন দিনগুলি বাদ দেওয়ার আবেদন করেছিল অনিলের সংস্থা। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০১৮ সালের ৩০ মে থেকে ২০১৯ এর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল ও সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ দেওয়ার বিষয়টি। কিন্তু বিচারপতি ভি পি সিং ও আর দুরাইস্বামীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অন্য মামলার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এই মামলার ক্ষেত্রেও তাই হবে। আর বৃহস্পতিবার সেই নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণা করা হল। এর আগে রিলায়েন্স জিও আসার পর থেকেই ব্যবসায় মার খেতে শুরু করে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি।
(amadershomoy)

মাকসুদা লিপি: গ্রীষ্মকালে কাঁঠালের গন্ধে ম ম করবে চারিদিক এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে কাঁঠালের গন্ধ পেলে ডাকা হয় দমকল। এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। ক্যানবেরায় লাইব্রেরিতে কাঁঠালের গন্ধের জন্য যা কাণ্ড ঘটল তা শুনে চমকে যাবেন যে কেউ।

 কাঁঠালের গন্ধ বেরোতেই খালি করে দেওয়া হয় গোটা লাইব্রেরি। মনে করা হয়েছিল কোনও বিষাক্ত গ্যাস বেরোচ্ছে। প্রায় ৫৫০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলকেও। তন্নতন্ন করেও কোনও গ্যাসের হদিস মেলেনি। শেষে জানা যায় কাঁঠাল থেকে বেরোচ্ছে গন্ধ। ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। আজকাল
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় কাঁঠালের গন্ধ নিয়ে নানা ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এমনকী সিঙ্গাপুরে তো কাঁঠালের গন্ধের কারণে একটি সাবওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বঙ্গে কাঁঠাল প্রীতির অন্ত নেই।
(amadershomoy)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget