Latest Post

রাজধানীর কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছয় কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা জানিয়েছে দেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ জেএমআই। এদের মধ্যে ইংরেজি মাধ্যমে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল’ পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের দেয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পাঁচজন এবং এই স্কুলের আরেক শিক্ষার্থী অষ্টম বাংলা অলিম্পিয়াডে পুরস্কৃত হয়েছে।



 
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে অনুষ্ঠিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সকল অবিভাবকদের সাথে স্কুলের শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
 
এসময় জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবং জাতি হিসাবে এগিয়ে যেতে গুণগত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।’ শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের জন্য তাদের অভিনন্দনও জানান তিনি।
 
কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ্য আয়শা শরমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়রুজ্জামান, উপদেষ্টা ইয়ারুল কবির প্রমুখ।

(bonikbarta)

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, আমরা বিদেশি সাহায্যের ওপর তেমন নির্ভরশীল নই। আমাদের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। এটা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। আজ শনিবার সিলেটে এনবিআর ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর প্রাক্-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় বাজেটের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ খাত থেকেই আসে। বর্তমানে আয়কর ৩৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর আদায়ের উন্নত একটি মাধ্যম হলো অগ্রিম আয়কর। তবে সরকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর কমানোর চেষ্টা করবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী এক মাসের মধ্যে তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যাংকের বুথ চালু এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু করার বিষয়টি জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, পর্যটকদের ভ্রমণ কর বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা, অগ্রিম আয়কর ও রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে আনা এবং ভ্যাট নিবন্ধন এক দিনের মধ্যেই দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেটের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত ওই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনার গোলাম মো. মুনীর, কর অঞ্চল-সিলেটের কর কমিশনার রনজীত কুমার সাহা, এনবিআর সদস্য (কাস্টমস নীতি) মো. ফিরোজ শাহ্ আলম, সদস্য (ভ্যাটনীতি) আবদুল মান্নান শিকদার, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মৃণাল কান্তি দেব, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. আসলাম উদ্দিন। 
সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ আসন্ন বাজেটে বিবেচনা করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে করের বোঝা না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানো, তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যাংকের বুথ স্থাপন, স্থলপথে পর্যটকদের ভ্রমণ কর বাতিল, প্যাকেজ ভ্যাট চালু রাখা, ফল আমদানির বাধা অপসারণ, শেওলা বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি, অগ্রিম শুল্ক বিধান বাতিল, পর্যটনের বিকাশে হোটেল-রিসোর্টগুলোকে ১০ বছরের কর অবকাশ প্রদান, স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নতুন শিল্প স্থাপনে কর অবকাশ প্রদান। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে ব্যবসায়ীরা ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।
মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। এর মধ্যে বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট হস্তান্তরের ওপর ধার্য ফি থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, ইকোনমিক জোনের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদান, কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর সব পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি, কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে এলসি কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, নিজেদের সম্পত্তি হস্তান্তর সহজীকরণ, প্যাকেজ ভ্যাট চালু রাখা, হাইটেক পার্কের যন্ত্রাংশ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর সব কর প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডলুরা ও বাঁশতলা শুল্ক স্টেশন চালু, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ইকোনমিক জোন ও বিসিক শিল্প এলাকায় প্লট বরাদ্দ, রেলওয়ে খাতে সিলেটের জন্য আলাদা বরাদ্দ প্রদান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো টার্মিনাল ও স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি, শুল্ক স্টেশনগুলোতে আমদানি-রপ্তানিকারকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
মুক্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সহসভাপতি মো. এমদাদ হোসেন। বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন করে বক্তব্য সিলেট চেম্বারের পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, শুল্ক, কর ও ট্যারিফ সাব কমিটির আহ্বায়ক মো. হিজকিল গুলজার, পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি চন্দন সাহা ও মো. আতিক হোসেন, সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. বশিরুল হক, হবিগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক শেখ আনিসুজ্জামান, গণদাবী পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক নুরুল ইসলাম, সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আবুল ফজল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম পাঠান, ফল ও কাঁচামাল আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা চৌধুরী, বিসিক শিল্প মালিক সমিতি গোটাটিকরের সাধারণ সম্পাদক আলীমুল এহছান চৌধুরী, রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজনু মিয়া, সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হক, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ প্রমুখ।
প্রাক্-বাজেট আলোচনায় প্রস্তাব, বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সবার পরামর্শ বিবেচনা করে আগামী বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করব। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, সবার অংশগ্রহণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র থেকে বড় শিল্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। কিন্তু কর আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা এখনো সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারিনি। যে কারণে প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশে মাত্র ২০ লাখ লোক আয়কর রিটার্ন জমা দেন। বিদেশে এই বিষয়টি এত সুসংগঠিত যে কর জালের বাইরে কেউ যেতে পারে না। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান সভায় আরও জানান, ইএফডি মেশিনের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সেন্ট্রাল সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেটা বিতরণ করা হবে। এর মাধ্যমে জানা যাবে কোথায় কোথায় ভ্যাট আদায় হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে বেরিয়ে এসে আমরা কয়েকটি ধাপ করে দেব। এর ফলে ছোট হারেও ভ্যাট আদায় করলে ভ্যাটের হার ও আওতা অনেক বাড়বে।
(prothomalo)

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ৩৫ বছর বয়সী এক সাবেক নারী কর্মী।
শুক্রবার তিনি এই অভিযোগ করেন বলে একাধিক স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার।
সুপ্রিম কোর্টের ২২ জন বিচারককে লেখা চিঠিতে এই নারী বলেন, ২০১৮ সালের ১০ ও ১১ অক্টোবর আমাকে নিজের বাড়িতে ডেকে যৌন হেনস্থা করেন রঞ্জন গগৈ।


তিনি আরও বলেন, আমার কোমর জড়িয়ে ধরে সারা শরীর স্পর্শ করেন তিনি। আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি কিন্তু তিনি আমাকে জোর করে ধরে রাখেন।
দেশটির প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসার পর জরুরি ভিত্তিতে শুনানির ডাক দেন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।
এই বেঞ্চের প্রধান হিসেবে রঞ্জন গগৈ শুনানির সময় বলেন, এই অভিযোগ অবিশ্বাস্য। এই অভিযোগ অস্বীকার করতে গেলে যতটা নীচে নামতে হয়, তার জন্য আমি প্রস্তুত নই।
তিনি বলেন, অবশ্যই এই অভিযোগের পেছনে কোনও একটা শক্তি কাজ করছে, যারা প্রধান বিচারপতির অফিসকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে চাচ্ছে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তাই এই রাস্তা বেছে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০ বছর ধরেচাকরি করার পর এখন আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকা। আমার পিওনের কাছেও এর থেকে বেশি টাকা আছে।
তিনি অভিযোগকারী নারীর বিষয়ে বলেন, যিনি আমার বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ করেছেন, তিনি অতীতে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে/এমকে
(Rtv)

চরম দুর্দিন শুরু হয়েছে দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার নির্ভর এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে চরম তহবিল সঙ্কট। আমানত কমে যাওয়ায় ব্যাংকিং খাতে তহবিল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর। আগে ব্যাংকগুলো যেখানে তহবিল খাটাতে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ধরনা দিতো, এখন ব্যাংকের তহবিলে টান পড়ায় এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তহবিল প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এ সঙ্কট মেটাতে বর্তমান বাজারের তুলনায় উচ্চ সুদেও তহবিল জোগাড় করতে পারছে না কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। সামনে এ সঙ্কট আরো প্রকট আকার নিতে পারে মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা।



আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: খলিলুর রহমান এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় গৃহায়ন তহবিল আবার চালু করার বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে কর রেয়াত সুবিধায় বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিতে হবে। এ বিষয়ে তারা দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আয়কর প্রদান করে সরকারকে। 
একই সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এসব প্রতিষ্ঠান সমস্যায় পড়ার অর্থ হলো মুনাফা কমে যাবে। মুনাফা কমে গেলে সরকার রাজস্ব কম পাবে। একই সাথে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অপর একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, বেশির ভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে চরম আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিলের প্রধান উৎস ব্যাংকিং খাতে তহবিল সঙ্কট শুরু হওয়ার পর তাদের ওপরও এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে। আগে ব্যাংকগুলো যেখানে তাদের উদ্বৃত্ত তহবিল বিনিয়োগ করতে না পারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ধরনা দিতো। বিনিয়োগ চাহিদা না থাকায় ব্যাংকগুলোর তহবিল উদ্বৃত্ত ছিল। তখন ব্যাংকগুলো লোকসান কমাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধার দিতো। এতে সুদ হার কমে এই পর্যায়ে তলানিতে নেমে যায়। যেখানে কলমানি মার্কেট থেকে ২ থেকে ৩ শতাংশ সুদে ধার নেয়া যেতো, তখন কোনো কোনো ব্যাংকের পীড়াপীড়িতে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে তহবিল সংগ্রহ করা হতো ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে। অনেক সময় কম সুদের আমানত নিয়ে বেশি সুদের আমানত পরিশোধ করত। কিন্তু এখন হচ্ছে এর উল্টো। ব্যাংকিং খাতে আমানত কমায় অনেক ব্যাংকেরই এখন তহবিল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে অনেক ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে রাখা তহবিল প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এখানেই বিপত্তি দেখা দিয়েছে। 
এ পরিস্থিতিতে কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান তহবিল সঙ্কট মেটাতে উচ্চ সুদেও আমানত পাচ্ছে না। বেশি সুদ দিয়ে এক প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের বাগিয়ে নিচ্ছে। বছর খানেক আগেও যেখানে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করা যেতো, এখন কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তা সাড়ে ১০ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে আমানত নিচ্ছে। আমানত সংগ্রহে অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামনে সঙ্কট আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। এ বিষয়টি ইতোমধ্যেই গভর্নরের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সামনে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নানামুখী সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, সঞ্চয়পত্রে সুদ হার বেশি হওয়ায় ব্যাংকের আমানত চলে যাচ্ছে সঞ্চয়পত্রে। এতে ব্যাংকের আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। বিপরীতে ঋণের প্রবৃদ্ধি দিন দিন বেড়ে চলছে। প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আমানতের প্রবৃদ্ধির চেয়ে ঋণের প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কথা থাকলেও এটা হচ্ছে উল্টো, যা মোটেও শুভ লক্ষণ নয়। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ ঋণ দেয়া হচ্ছে তা উৎপাদনশীল খাতে যাচ্ছে না। ঋণের অর্থ হয় হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে, না হয় গ্রাহক ঋণ নিয়ে অন্য ঋণ পরিশোধ করছে। অর্থাৎ সঠিক কাজে ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে না। আর ঋণ সঠিক কাজে ব্যবহার না হওয়ায় আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। আর আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য কমে যাচ্ছে। আগে যেখানে উদ্বৃত্ত তারল্য প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ছিল। বছরের শেষ সময়ে এসে তা ৭০ হাজার কোটি টাকায় নেমে গেছে, যার বেশির ভাগই সরকারের কোষাগারে ব্যাংকের অর্থ দীর্ঘ মেয়াদের জন্য আটকে গেছে। 
এ দিকে কমছে আমানত। এতে ব্যাংকিং খাতে আবারও তহবিল সঙ্কট শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই কিছু কিছু ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপোর মাধ্যমে ধার নিচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর। ইতোমধ্যে টাকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে কোনো কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। 

গত বুধবার একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, সুদহার তার কাছে এখন মুখ্য বিষয় নয়, তার দরকার নগদ টাকা। প্রয়োজন মেটাতে তিনি ১২-১৩ শতাংশ হারেও তহবিল সংগ্রহ করতে রাজি আছেন। একটি ব্যাংকের এমডি জানিয়েছেন, আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জোর করে টাকা রাখা হতো, এখন তারই টাকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসছেন। সামনে এ পরিস্থিতি আরো প্রকট আকার দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছেন ওই এমডি। এমনি পরিস্থিতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিকল্প তহবিল সংস্থান ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখছেন না এ খাতের শীর্ষ নির্বাহীরা।
(dailynayadiganta)

রোজকার ব্যস্ত জীবনে সব খেলা তো আর দেখতে পারবেন না। একটু বেছে নিতে হবে। আপনার আকর্ষণ নিশ্চয়ই লাইভ বা সরাসরি খেলাতেই বেশি। কোথায় কি খেলা আছে সেই খোঁজাখুঁজি থেকে আপনার বিশ্রাম এবার। দেখে নিন এই শিডিউল। আর ঠিক করে ফেলুন কখন কোন খেলায় চোখ রাখবেন
 
যদি টিভিতে অন্য কিছু নাও দেখেন, তাও খেলা দেখা আর মিস হবে না। 
 
এক নজরে দেখে নিন আজকের খেলা কোন কোন স্যাটেলাইট চ্যানেলে দেখাবে।


 
ক্রিকেট (আইপিএল)
রাজস্থান রয়্যালস-মুম্বাই ইন্ডিয়ানস

সরাসরি, বিকেল সাড়ে ৪টা, চ্যানেল নাইন, স্টার স্পোর্টস টু
দিল্লি ক্যাপিটালস-কিংস এলেভেন পাঞ্জাব
সরাসরি, রাত সাড়ে ৮টা, চ্যানেল নাইন, স্টার স্পোর্টস টু
ফুটবল (লা লিগা)
সেল্টা ভিগো-জিরোনা   
   
সরাসরি, বিকেল ৫টা, ফেসবুক লাইভ
এইবার-অ্যাথলেটিকো
সরাসরি, রাত সোয়া ৮টা, ফেসবুক লাইভ
ভায়েকানো-হুয়েস্কা
সরাসরি, রাত সাড়ে ১০টা, ফেসবুক লাইভ
বার্সেলোনা-সোসিয়েদাদ  
সরাসরি, রাত পৌণে ১টা, ফেসবুক লাইভ
প্রিমিয়ার লিগ 
ম্যানচেস্টার সিটি-টটেনহাম হটস্পার

সরাসরি, বিকেল সাড়ে ৫টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি টু
উলভস-ব্রাইটন
সরাসরি, রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি টু
নিউক্যাসল-সাউদাম্পটন
সরাসরি, রাত সাড়ে ১০টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি টু
সিরি আ
পার্মা-এসি মিলান

সরাসরি, বিকেল সাড়ে ৪টা, সনি টেন টু
লাৎসিও-কিয়েভো
সরাসরি, সন্ধ্যা ৭টা, সনি টেন টু
জুভেন্টাস-ফিওরেন্টিনা
সরাসরি, রাত ১০টা, সনি টেন টু
ইন্টার মিলান-এস রোমা
সরাসরি, রাত সাড়ে ১২টা, সনি টেন টু
বুন্দেসলিগা 
বায়ার্ন-ব্রেমেন  
      
সরাসরি, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা, স্টার স্পোর্টস থ্রি
ম’গ্লাডবাখ-লাইপজিগ
সরাসরি, রাত সাড়ে ১০টা, স্টার স্পোর্টস থ্রি
(Rtv)

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে সমপ্রতি বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশটির নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছে। 




এই ঘটনার পরে ফেরদৌসের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশে ফিরে এসেছেন ফেরদৌস। কলকাতায় যেই ছবিটির শুটিং করতে গিয়েছিলেন সেই ছবির শুটিং শেষ না করেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে ‘দত্তা’ ছবির শুটিং করতে কলকাতায় গিয়েছিলেন ফেরদৌস।
বোলপুরে ছবির ২০ শতাংশ শুটিং করেছেন। এখনো ছবির ৮০ ভাগ শুটিং বাকি। এই সময় রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েই এখন থেমে থাকলো ছবিটির শুটিং। ফেরদৌসের এই ছবিটির ভবিষ্যত কী? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ করেছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ‘দত্তা’-র ভবিষ্যত অনিশ্চিত বলেই মনে করছেন অনেকেই।

(dainikazad)

লড়াই এখন দিমুখী। চতুর্থ ও পঞ্চম রাউন্ডে যাই ঘটুক না কেন- লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং আবাহনী লিমিটেডের বাইরে আর কারও শিরোপা জেতার সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই। কারণ এ দুই দল পয়েন্ট টেবিলে বাকিদের চেয়ে অনেক ওপরে।

প্রথম পর্বে শীর্ষে থাকা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এখনো রয়েছে শীর্ষেই। দুই ম্যাচ বাকি থাকতে ১৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা আবাহনীর ঝুলিতে রয়েছে ২২ পয়েন্ট। তিন নম্বরে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পয়েন্ট ১৮ হওয়ায় শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও শিরোপা জেতার সুযোগ তাদের নেই। সমান ১৬ পয়েন্ট প্রাইম ব্যাংক ও প্রাইম দোলেশ্বরের। ছয় নম্বরে থাকা মোহামেডানের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট।ভাবা হচ্ছিলো, ২৩ এপ্রিল শেষ রাউন্ড পর্যন্ত সব আকর্ষণ ও উত্তেজনা জিইয়ে থাকবে। সে সম্ভাবনা যে একদম নেই তা নয়। তবে আগামীকাল ২১ এপ্রিল রোববারও সব শেষ হয়ে যেতে পারে। বিকেএসপিতে মোকাবেলা হবে শিরোপা দৌড়ে এগিয়ে থাকা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর।
রূপগঞ্জ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। আর আবাহনী জয়ী হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে দুই দলের শেষ ম্যাচের। নাঈম ইসলাম-শাহরিয়ার নাফীসদের রূপগঞ্জ রোববার জিতে গেলেই পেয়ে যাবে শিরোপার স্বাদ। আর তাদের হারাতে পারলে মোসাদ্দেক-মাশরাফিদের ভাগ্য খুলে যাবে। তখন শেষ ম্যাচে শেখ জামালকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে আবাহনী।
লিগশেষে পয়েন্ট সমান হলে প্রথমে দেখা হবে হেড টু হেড। যেখানে প্রথম পর্বে জিতে আছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সুপার লিগে আবাহনীর জয় মানেই হেড টু হেডে সমান। তখন নেট রান রেটেই নিষ্পত্তি। যেখানে ঢের এগিয়ে আকাশী-হলুদরা।
তাই হিসেব দুই রকম। কাল রূপগঞ্জ জিতলে পরিষ্কার চ্যাম্পিয়ন আর আবাহনী জয়ী হলে পৌঁছে যাবে শিরোপার দোরগোড়ায়। তখন ২৩ এপ্রিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারাতে পারলেই লিগ ট্রফি যাবে ধানমন্ডিতে, আবাহনী ক্লাবে।
(jagonews24)

উত্তরায় একটি ইলেক্ট্রনিক্স শপের বিক্রয় কর্মচারী তৌসিফ মাহবুব। দেখতে খুবই সুদর্শন হলেও তার আছে কান চুলকানোর বদঅভ্যাস। দোকানে ক্রেতারা টিভি-ফ্রিজ সামগ্রী কিনতে এসে তার কান চুলকানো দেখে চলে যেতে থাকে। এদিকে তৌসিফের এই ‘বদ অভ্যাসে’ বিরক্ত হয়ে প্রেমিকা তানজিন তিশাও বার বার আল্টিমেটাম দিচ্ছে ব্রেকাপের! এককথায় কান চুলকানোর কারণে তার জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।





 এমন মজার গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘কটন বার’। দয়াল সাহার চিত্রনাট্যে নাটকটি নির্মাণ করেছেন ইউসুফ চৌধুরী। নাটকটির মূল ভাবনাও তারই। নাটকের নাম ‘কটন বাড’ না হয়ে ‘কটন বার’ কেন জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, দোকানে গিয়ে আমরা ‘কটন বার’ চাই, উঠতে বসতে ‘কটন বার’ বলি। প্রচলিত শব্দ ‘কটন বার’ এজন্যই এ নাম ব্যবহার করছি। কিন্তু প্রকৃত শব্দ হচ্ছে ‘কটন বাড’। ভালোবাসা দিবসে তানজিন তিশার ১৮ টি নাটক প্রচার হয়েছে। প্রতিটি নাটকে তিশা নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। সদ্য বৈশাখে এই অভিনেত্রী জানালেন, তিনি ৮ টি নাটকে কাজ করেছেন। যে কাজগুলোর মাধ্যেমদর্শক তাকে গ্রহণ করেছে। তানজিন তিশা বলেন, ‘কটন বার’ ঈদে প্রচারের জন্য নির্মিত হচ্ছে। মজার গল্প, সহশিল্পী বন্ধু তৌসিফ, ভালো গল্প সবকিছু মিলেছে বলে কাজটি করেছি। সমপ্রতি ঢাকায় নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে ‘কটন বার’ নাটকের। তৌসিফ মাহবুব-তানজিন তিশা ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন নিকুল কুমার মণ্ডল, মনিরা মিঠু, সিয়াম নাসির প্রমুখ। নির্মাতা ইউসুফ চৌধুরী জানালেন, ঈদে এই নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচার হবে।

(dainikazadi)

এবারের আইপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ের দেখা পেয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। গতকাল শুক্রবার রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১০ রানে হারিয়ে এ জয় পায় কোহলির দল।
৫৮ বলে সেঞ্চুরি করে সে ম্যাচে বড় অবদান অবশ্যই কোহলির। কিন্তু সে আলোচনা ছাপিয়ে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয় বিপক্ষ নাইট রাইডার্সের ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের আউটের পর কোহলির উগ্র আচরণের বিষয়টি

খেলা চলাকালেই আন্দ্রে রাসেল যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দেন, ঠিক সে সময় ব্যাঙ্গালুরুর ক্যাপ্টেন কোহলি তার প্রতি আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেন। টিভি পর্দায় উচ্চারণভঙ্গিতে যা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এ আচরণের ব্যাপক সমলোচনা হয়।
এদিকে ২৫ বলে অনবদ্য ৬৫ রানের একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তাই তার প্রতি এমন বাজে আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ক্রীড়ামোদিরা। বিশেষ করে ভারতীয় দলের অধিনায়কের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের আচরণে সমালোচনার বড় ধরনের ঝড়ই বয়ে যায়। তার মতো এত বড় মাপের একজন ক্রিকেটারের যে এ ধরনের আচরণ শোভনীয় হচ্ছে না, তাই বুঝিয়ে দেন তারা।
পরাগ রোহিল্লা নামের একজন টুইটারে লেখেন, কোহলির মতো মানুষের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ আশা করা যায় না। তার তুলনায় রাসেলই বরং মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছে।
টুইটারে দারবে নামের একজন ক্রীড়ামোদি লিখেন, মাঠে কোহলি একজন গ্রেট ক্রিকেটার ঠিক আছে। কিন্তু সেখানে তার আচরণ একেবারেই নিম্নশ্রেণির। 
শ্রুতি সিং লিখেছেন, মানুষকে কিভাবে সম্মান দেখাতে হয় কেউ তাকে শিখিয়ে দিন।
কানিশ রায়না নামের একজন লেখেন, কোহলি ব্যাটসম্যান হিসেবে হিরো, ক্রিকেটার হিসেবে জিরো। তিনি রানমেশিন। কিন্তু রাসেলের প্রতি তার আচরণটা তার সত্যিকারের চরিত্র। এজন্য আমি কোহলিকে অপছন্দ করি।

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবারের খেলায় এবারের আইপিএলের প্রথম জয় পেয়েছে বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যলেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু জয় পেয়েও কিছুটা অস্বস্তিতে আছেন দলের ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। স্লো-ওভার রেটের কারণে তাকে জরিমানা গুনতে হয়েছে।
গতকাল মোহালির পিসিএ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় এবারের টুর্নামেন্টে প্রথমবারের জয় পায় কোহলির দল। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে তারা আট উইকেটে হারিয়ে দেয়।
জানা গেছে, টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন যে ওভার-রেট নীতি রয়েছে তা প্রথমবারের মতো ভঙ্গ করায় কোহলিকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
মোহালিতে টসে জিতে কিংস ইলেভেনকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন কোহলি। প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে পাঞ্জাব করে ১৭৩। ৬৪ বলে ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিস গেইল। তবে পাঞ্জাবের আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় রানের মুখ দেখতে পারেননি। গেইলের ব্যাটেই পাঞ্জাবের রান ১৭৩-এ পৌঁছায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান বিরাট কোহলি ও এবি ডিভিলিয়ার্স। ৫৩ বলে ৬৭ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি। এর পর বেঙ্গালুরুর ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান এবি ডিভিলিয়ার্স। হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনিও। বেঙ্গালুরুকে শেষ দুই ওভারে ২০ রানে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে চার বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় বেঙ্গালুরু। ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ডিভিলিয়ার্স। আট উইকেটে পাঞ্জাবকে হারিয়ে দেয় বেঙ্গালুরু।
এ ম্যাচের আগে ছয় ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার সবার শেষে ছিলেন বিরাট কোহলিরা। পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। অন্য দিকে আট ম্যাচে চারটি জয় ও চারটি হারের মুখ দেখেছে পাঞ্জাব।
(dailynayadiganta)

(প্রিয়.কম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র সিঙ্গাপুরে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
১৯ এপ্রিল, শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, রফিকুল আলম ও ডা. সামন্ত লাল সেন। সংবাদমাধ্যমকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. সামন্ত লাল সেনকে নির্দেশনা দেন শিল্পীর মেডিকেলের সকল কাগজপত্র সিঙ্গাপুরে পাঠানোর জন্য এবং সেখানকার বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার জন্য। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুবীর নন্দী গত রবিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এর পরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে আনার পরই তার গুরুতর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। সিএমএইচের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার তৌফিকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। তার হার্টে বাইপাস অপারেশন হয়েছে। কিডনির সমস্যা আছে।
পহেলা বৈশাখের রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবীর নন্দী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও কন্যা। এরপরই তাকে রাজধানীর সিএমএইচে নেওয়া হয়। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগেই হার্ট অ্যাটাক হয় এই শিল্পীর। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারেআড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
(priyo)

(প্রিয়.কম) নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে মেয়ে মাসাবা, সঙ্গে ক্যারিয়ারসহ নানা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা।
বরাবরই নিজের জীবনকে খোলা পাতার মতো রেখেছেন নীনা। আশির দশকের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রেমে পড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসনের।
প্রেম চলাকালীনই নীনার কোল আলো করে আসে তাদের একমাত্র সন্তান মাসাবা। মাসাবার জন্মের পর অবশ্য ভিভ রিচার্ডসনের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না নীনার। একা হাতেই বড় করেন মেয়ে মাসাবাকে। পরে অবশ্য মাসাবা ও নীনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভিভ রিচার্ডসন।কিন্তু আশির দশকে নীনার পক্ষে সিঙ্গল মাদার হওয়া অবশ্য সহজ ছিল না। অর্থনৈতিক, সামাজিক নানা বাধা পার হয়ে তবেই মাসাবাকে বড় করতে পেরেছেন নীনা।
সাক্ষাৎকারে সেসব নিয়েই কথা বলেছেন ‘বধাই হো’ অভিনেত্রী। শুধু মাসাবেকে নিয়েই নয়, নিজের ক্যারিয়ারে চলার পথে তাকে যেভাবে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে, সেকথাও বলেছেন তিনি।
বলিউডের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব শাহরুখ খান এবং করণ জোহরকে অত্যন্ত খারাপ ও নিচু মনের মানুষ বলে মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী। অবশ্য এ বিষয়টি এক্কেবারেই আক্রমণ করে বলেননি অভিনেত্রী। মজ করেই শাহরুখ-করণ সম্পর্কে এই কথা বলেন তিনি।
নীনার বক্তব্য ছিল ‘বিমানে যখন শাহরুখ-করণের সঙ্গে আলাপ হয় তখন ওরা নিজেই আমায় ফোন নম্বর দিল। তারপর যখনই ফোন করি আর ফোনই তোলে না! খুব খারাপ। শাহরুখ, করণকে ফোন করছিলেন যাতে তারা মাসাবাকে বোঝান যে সে যেন অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে না নেয়। কারণ মাসাবা অভিনয়ে আসুক তিনি চাননি।
নীনার কথায়, মাসাবার শারীরিক গঠন যেমন তাতে সে বলিউডে কখনই কাজ পাবে না, তার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে। পরবর্তীকালে মাসাবা অবশ্য ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নীনা চেয়েছেন তার মেয়ে লেখালেখিটা চালিয়ে যাক। কারণ সে খুবই ভালো লেখে।
(priyo)

প্রিয়.কম) সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবিতে অভিনয় করবেন সালমান খান ও আলিয়া ভাট, বেশ কিছুদিন আগে ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারে প্রকাশ্যে এল ছবির প্লট। শোনা যাচ্ছে ছবিতে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীর চরিত্রে দেখা যাবে সালমানকে এবং আলিয়া অভিনয় করবেন ২০ বছর বয়সী এক যুবতীর চরিত্রে।
এই দুই অসম বয়সী চরিত্রের প্রেমকাহিনী নিয়েই তৈরি হবে এই ছবি। আলিয়া ও সালমানের প্রকৃত বয়সকে মাথায় রেখেই চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক।বানসালির ছবি মানেই বড় বাজেট, সেটের চাকচিক্য। কিন্তু গল্পের প্লটের কথা মাথায় রেখে ফিল্ম বোদ্ধাদের একাংশ মনে করছেন যে এই ছবির মাধ্যমে নতুন ধরনের কাজ উপহার দিতে চাইছেন সঞ্জয়।পদ্মাবত’ বা ‘রামলীলা’র মতো সিরিয়াস প্রেমের আখ্যান ছেড়ে তিনি রোমান্টিক কমেডির হাত ধরতে চাইছেন।
ছবির একটা অংশের শ্যুটিং হবে বারাণসীতে। বাকি অংশের শ্যুটিং হবে আমেরিকার বিভিন্ন লোকেশনে। বরাণসী ছাড়াও হৃষিকেশ ও হরিদ্বারেও কিছুটা শ্যুটিং হতে পারে।
এই প্রথম সালমান ও আলিয়া একসঙ্গে অভিনয় করবেন। তাই এই ছবির নাম ঘোষণার পর থেকেই ভক্তদের কৌতূহল বেশ।
প্রিয় বিনোদন/রুহুল
(priyo)

বাজারদরে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে নিজের হাতে থাকা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের অন্যতম উদ্যোক্তা রাখী দাসগুপ্ত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদানের সুপারিশ করেছে ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ২০ মে বেলা ১১টায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ৫ মে।
সমাপ্ত হিসাব বছরে ঢাকা ব্যাংকের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা। ইপিএস কমলেও গেল হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ২৩ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরে এনএভিপিএস ছিল ১৯ টাকা ৪৮ পয়সা। সে বছরের জন্য ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১৬ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ঢাকা ব্যাংক। এছাড়া ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স রেটিং অনুসারে দীর্ঘমেয়াদে ঢাকা ব্যাংকের ঋণমান ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার ঢাকা ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল  ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা।
(bonikbarta)

এটিএম পরিষেবার সময় কমাচ্ছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক। রাজ্যে বেশ কিছু এটিএম রাত ১০টার পরে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক কর্তারা অবশ্য সরকারি ভাবে সময় কমানোর কথা মানছেন না। যদিও ব্যাঙ্কের কিছু সূত্র এবং এটিএম পরিষেবা দেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি সংস্থা বলছে, প্রধানত খরচে রাশ টানতেই পরিষেবার সময় কমানোর পথে হাঁটছে ব্যাঙ্কগুলি। যার জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এর আগে এটিএমে গ্রাহক পিছু লেনদেনের সংখ্যা কমিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। বাড়ানো হয়েছে পরিষেবার খরচ। এটিএমে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি পরিষেবা নিতে গেলেই দিতে হয় ফি। সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালান্স রাখা বাধ্যতামূলক হয়েছে বেশ কিছু ব্যাঙ্কে। যার নীচে টাকা থাকলে উল্টে গুনাগার দিতে হয় মানুষকে। আর এ বার রাতে এটিএম পরিষেবা বন্ধ থাকার জেরে মানুষের সমস্যা বাড়বে বলেই মত অনেকের। বিশেষ করে যখন রাতে ব্যাঙ্ক খোলা থাকে না। প্রয়োজনে এটিএম-ই ভরসা।
সূত্রের খবর, রাতের দিকে মূলত সেই সব এটিএম-ই বন্ধ করা হচ্ছে, যেগুলিতে নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন। তাদের দাবি, এর মূল কারণ গত পাঁচ বছরে এটিএম পরিচালনার খরচ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়া। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন রয়েছে, এমন কিছু অঞ্চলেও রাতে সুরক্ষার খাতিরে বন্ধ রাখা হচ্ছে এটিএম। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাঙ্ক কর্তা জানান, রাতে যেহেতু এটিএম গ্রাহকের সংখ্যা কম থাকে, তাই তাঁরা ১০টার পরে পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত  নিয়েছেন।• রাত ১০টার পরে বন্ধ এটিএম। 
• যেখানে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, সেখানে বেশি।
কারণ 
• এটিএম চালানোর খরচ বেড়েছে।
• পাঁচ বছরে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
• বেতন বেড়েছে নিরাপত্তারক্ষীর।
• ব্যয়সাপেক্ষ ক্যালিব্রেশন পদ্ধতি 
সূত্রের বক্তব্য
• তিন শিফ্‌টে রক্ষী রাখার খরচ মাসে ৮০,০০০ টাকা। এক শিফ্‌ট বন্ধ রাখলে খরচ বাঁচে। 
• রাতে গ্রাহক কম। তাই খরচ ছাঁটাই সে সময়েই। 
• একটা সময়ে যথেচ্ছ ভাবে এটিএম বসানো হয়েছে। এখন কমাতে হচ্ছে। 
• রাজ্যে গত দু’বছরে এটিএম কমেছে ১,৭০০। এখন এটিএমের সংখ্যা ৯,২০০। 
• দু’বছরে রক্ষী কমেছে ৩,০০০। এখন রক্ষী প্রায় ৭,৫০০।

এটিএম পরিষেবা সংস্থা হিতাচি পেমেন্টস সার্ভিসেসের চ্যানেল ম্যানেজার ইন্দ্রলোহিত রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে গত পাঁচ বছরে নিরাপত্তা রক্ষীদের বেতন-সহ এটিএম পরিচালনার খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শুধু তিন শিফ্‌টে রক্ষীদের খাতেই খরচ হয় মাসে প্রায় ৮০,০০০ টাকা।’’ তাঁর দাবি, সেই কারণেই পরিষেবার সময় কমিয়ে এক শিফ্‌টে রক্ষী তুলে দিয়ে খরচে রাশ টানতে চাইছে ব্যাঙ্কগুলি। অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে রক্ষী।
ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর জানান, গত দু’বছরে রাজ্যে প্রায় ৩,০০০ রক্ষী ছাঁটাই করেছে ব্যাঙ্কগুলি। কমেছে এটিএমের সংখ্যাও। ২০১৭ সালের জুনে রাজ্যে যেখানে এটিএম ছিল ১০,৯২৬টি। এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯,২০০টিতে। সেখানে বর্তমানে মোট রক্ষীর সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের মতো।
তবে বেতন বৃদ্ধির ফলেই যে এটিএম রাখার খরচ বেড়েছে, তা অবশ্য মানতে নারাজ রাজেনবাবু ও ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস। তাঁরা জানান, ‘‘নোট বাতিলের পরে তার আয়তন বদলেছে। এখনও নতুন নতুন আয়তনের নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে। যা এটিএমে ভরে পরিষেবা দিতে হলে মেশিনের ভিতরে নোট রাখার ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে (রিক্যালিব্রেশন) হয়। যার জন্য এটিএম বসানো এবং তা পরিচালন খরচ দ্রুত বেড়েছে।’’ তাঁদের অভিযোগ, এক সময়ে ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই ব্যাঙ্কগুলি যথেচ্ছ এটিএম বসিয়েছিল। এখন সেই সংখ্যাই কমাচ্ছে তারা
(anandabazar)

উন্নত স্মার্টফোনের জন্য ২ বা ৩ গিগাবাইট র‌্যামকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বাজারে এখন দেশী-বিদেশী ব্র্যান্ডের ৪, ৬ কিংবা ৮ গিগাবাইট র‌্যামেরও কিছু ডিভাইস পাওয়া যাচ্ছে। চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা ফোরজির এ যুগে অধিক সক্ষমতার র‌্যাম মোবাইল ডিভাইসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এমন ৩ গিগাবাইট র‌্যামের সাশ্রয়ী কয়েকটি ডিভাইস নিয়ে আজকের আয়োজন—

ওয়াইসিক্স প্রো ২০১৯
ডিজাইন সচেতন তরুণ গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে দেশের বাজারে ওয়াইসিক্স প্রো ২০১৯ স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামের ৬ দশমিক শূন্য ৯ ইঞ্চি ডিউড্রপ নচ ডিসপ্লের ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ হ্যান্ডসেটে ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। এতে এলইডি ফ্ল্যাশ সুবিধার ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ডিভাইসটির স্যাফায়ার ব্লু ও মিডনাইট ব্ল্যাক সংস্করণের দাম ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে ব্যাক প্যানেলে এক ধরনের লেদার টেক্সার দেয়া অ্যাম্বার ব্রাউন সংস্করণটির দাম ১৩ হাজার ৫৯৯ টাকা।
প্রিমো এইচ৮
ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিওচালিত ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ১৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। ফোরজি সমর্থিত ৫ দশমিক ৪৫ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ডিসপ্লের এ হ্যান্ডসেটে ১ দশমিক ২৮ গিগাহার্টজের কোয়াড-কোর প্রসেসর আছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত ডিভাইসটিতে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। বাংলাদেশে তৈরি ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যুক্ত প্রিমো এইচ৮-এর দাম ৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।
প্রিমো আর৫ প্লাস
ওয়ালটনের দেশে তৈরি অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিওচালিত ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ১৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। ফোরজি সমর্থিত ৫ দশমিক ৭২ ইঞ্চি ফুলভিউ এইচডি প্লাস আইপিএস ডিসপ্লের ডিভাইসটিতে ১ দশমিক ৩ গিগাহার্টজের কোয়াড-কোর প্রসেসর রয়েছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত এ হ্যান্ডসেটে ১৩ মেগাপিক্সেলের অটোফোকাস রিয়ার এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ডিভাইসটির দাম ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা।
সিম্ফনি পি১১
সিম্ফনির ৫ দশমিক ৭ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ইনসেল ডিসপ্লের অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাটচালিত ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ৩২ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে আরো ৩২ গিগাবাইট বাড়ানো যাবে। ফোরজি সমর্থিত এ হ্যান্ডসেটে ১ দশমিক ৩ গিগাহার্টজের ৬৪-বিট কোয়াড-কোর প্রসেসর আছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত ডিভাইসটিতে ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ও ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ডিভাইসটির দাম ১২ হাজার ৯৯০ টাকা।
গ্যালাক্সি এম২০
স্যামসাংয়ের এম সিরিজের ফোরজি সমর্থিত ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লের ৩ গিগাবাইট র‌্যামের এ স্মার্টফোনে ৩২ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধা মিলবে, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধিত করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিওচালিত ডিভাইসটিতে ১ দশমিক ৮ গিগাহার্টজের অক্টা-কোর প্রসেসর আছে। ডুয়াল সিম সমর্থিত এ স্মার্টফোনে ১৩ ও ৫ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি-সংবলিত গ্যালাক্সি এম২০ স্মার্টফোনের দাম ১৪ হাজার ৯০০ টাকা।
(bonikbarta)

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget