জুন 2022

 


লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত' সৈন্যের সংখ্যা প্রায় দশগুণ বাড়াচ্ছে নেটো


যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট তাদের 'যুদ্ধ করতে প্রস্তুত' এমন সেনা সংখ্যা বিপুল সংখ্যায় বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর নেটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একে সবচেয়ে বড় পুনর্গঠন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।

নেটো জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, এ জোটের ' দ্রুত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত' সৈন্যের সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে প্রায় দশগুণ বাড়িয়ে ৩ লক্ষাধিকে উন্নীত করছে।


এটি একটি নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা - এবং এ সপ্তাহেই মাদ্রিদে একটি শীর্ষ সম্মেলন হবে যেখানে এটা অনুমোদিত হতে পারে।

মি. স্টোলটেনবার্গ বলছেন, ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি রাশিয়ার প্রত্যক্ষ হুমকির পরই এই সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তার কথায়, নতুন এই "সামরিক ব্লুপ্রিন্ট" পূর্ব ইউরোপে নেটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করা হবে।

পোল্যান্ডের আকাশ টহল দিচ্ছে নেটো বাহিনীর অংশ তুরস্কের যুদ্ধবিমানপোল্যান্ডের আকাশ টহল দিচ্ছে নেটো বাহিনীর অংশ তুরস্কের যুদ্ধবিমান

নেটোর এই "র‍্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স" হচ্ছে স্থল, নৌ ও বিমান সেনা ও সরঞ্জামের সমন্বয়ে তৈরি করা একটি বাহিনী - কোন আক্রমণ হলে যাদেরকে দ্রুতগতিতে মোতায়েন করা যাবে। ২০১৪ সালের আগে এ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১৩,০০০ - আর এখন তা বেড়ে ৪০,০০০ হয়েছে।


ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর এই সৈন্যদের ইতোমধ্যেই লাৎভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে উচ্চ-প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়ায় আরো 'যুদ্ধের জন্য তৈরি' সেনাদল মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।


স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তীকালে ২০১০ সালে নেটো জোট রাশিয়ার ব্যাপারে নতুন অবস্থান নিয়েছিল। রাশিয়াকে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে "কৌশলগত অংশীদার" বলা হতো। তবে এখন তা বদলে যাচ্ছে - জানাচ্ছেন মি. স্টোলটেনবার্গ।রাশিয়ার নতুন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র 'সারমাত' কেন পাল্টে দিতে পারে শক্তির ভারসাম্য


পুতিনের মাথায় কী ভাবনা ঘুরছে? জানার চেষ্টায় পশ্চিমা গুপ্তচরেরামানচিত্রে ইউরোপের নেটো জোটভুক্ত দেশগুলো

"নেটো জোটের নিরাপত্তা ও মূল্যবোধের প্রতি সবচেয়ে বড় ও প্রত্যক্ষ হুমকি হচ্ছে রাশিয়া" - বলেন তিনি।তবে নতুন পরিকল্পনাটিতে এই প্রথমবারের মতো নেটো জোটের প্রতি চীনের চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও থাকবে।

মি. স্টোলটেনবার্গ বলেন, নেটো জোটের অগ্রবর্তী প্রতিরক্ষাকে আরো শক্তিশালী করা হবে, জোটের পূর্বদিকের সদস্য দেশগুলোতে যোদ্ধা গ্রুপগুলোকে ব্রিগেড স্তর পর্যন্ত বাড়ানো হবে, আগে থেকে মোতায়েন করা সরঞ্জামগুলোও উন্নত করা হবে।সবসময়ই ইউক্রেনের পাশে থাকবেন জি-সেভেন নেতারাজার্মানির ব্যাভারিয়ায় জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেন প্রসঙ্গই প্রাধান্য পায় আজ।


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভিডিও লিংকে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন । এতে তিনি বলেন, তিনি চান যেন শীতকাল আসার আগেই এ যুদ্ধ শেষ হয়।


আরো পড়ুন:


  1. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী



 


জনের 'বিগ বস’ কিনলে মোটরসাইকেল উপহার! 


১ হাজার ৫৫০ কেজি (প্রায় ৩৭ মনের বেশি) ওজনের 'বিগ বস'কে কিনলেই পাওয়া যাবে একটি পালসার মোটরসাইকেল। 'বিগ বস' নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।


যেকোন উৎসব এলেই দেখা যায় বিভিন্ন পণ্যে অফারের হিড়িক লেগে যায়। কেউ দেন একটার সঙ্গে অন্যটা ফ্রি। আবার কেউ দেন দামে ছাড়। তবে এবারের কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ‘বিগ বস’ নামের একটি ষাঁড়ের সঙ্গে মোটরসাইকেল উপহার দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ষাঁড়টির মালিক।



আসন্ন কোরবানির ঈদে গরুটি (বিগ বস) বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন আফিল উদ্দীন। সে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বাসিন্দা। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি একটি গরু ক্রয় করেন। প্রাকৃতিক খাবার ও ফলমূল খাওয়ানোর পর গরুটি এখন বিশাল আকারের হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে 'বিগ বস'। বিগ বসের ওজন এখন প্রায় ৩৭ মণ। উচ্চতা ৬ ফুট আর লম্বায় ১০ ফুট। 



প্রতিনিয়ত গরুটি দেখার জন্য আফিল উদ্দীনের বাড়িতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও গরুটি কেনার জন্য ছুটে আসছেন অনেকে। তবে দামে না মেলায় কিনতে পারছেন না তারা।


প্রতিবেশী মোকসেদ আলী বলেন, আফিলউদ্দীন গরুটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি কোরবানির ঈদে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।

গরুটি কিনতে আসা ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে গরুটি সম্পর্কে জানতে পারি। তারপরে এখানে গরুটি ক্রয় করার জন্য আসি। মালিক অনেক বেশি দাম চাওয়ায় আমি নিতে পারিনি। 



গরুর মালিক আফিল উদ্দিন বলেন,আমি কোন গরু ব্যবসায়ী নই। শখের বসে এলএলসি জাতের গরুটি ক্রয় করেছিলাম এক বছর বয়সে।পাঁচ বছর ধরে আদর-যত্নে ষাঁড়টিকে লালন করছি। দানাদার ও তরল খাদ্য হিসেবে খইল, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুসি, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুঁড়া খাওয়াই। পাশাপাশি খাওয়ানো হয় বিভিন্ন ফলমূল। এখন বিগ বসের পেছনে প্রতিদিন খাবার লাগে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার। তারপর এটির পেছনে পাঁচ বছর সময় দিয়েছি। গরুকে মোটাতাজা করার জন্য কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করিনি।

এলাকায় যে কয়টা ষাঁড় আছে, সেগুলোর তুলনায় আকারে অনেক বড় হওয়ায় তিনি ষাঁড়টির নাম রেখেছেন 'বিগ বস'।



বিগ বসের দাম কত জিজ্ঞেস করতেই আফিল উদ্দিন বলেন, ‘বিগ বসের' ওজন ১ হাজার ৫০০ কেজির বেশি। তাই দাম চাচ্ছি ৩৫ লাখ টাকা। এই দামে কিনলে বিগ বসের সঙ্গে টিভিএস ব্র্যান্ডের একটি মোটর সাইকেল উপহার দেব।’ এখন পর্যন্ত এটির দাম ২২ লাখ টাকা উঠেছে। 


ষাঁড়ের সঙ্গে মোটরসাইকেল কেন জানতে চাইলে আফিল উদ্দিন বললেন, ‘ঈদের খুশিতে কতজন কতভাবে উপহার দেয়। আমি নাহয় একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে বিগ বসকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।


হরিপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ  বলেন, বিগ বস, নামের গরুটি আমাদের জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির ও বেশি ওজনের গরু। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে প্রায়ই সেটির খোঁজখবর নিই। এবারের কোরবানির হাটে তাঁর বড় আকারের ষাঁড়টি বিক্রির জন্য উঠবে। তিনি ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা

আরো পড়ুন:

  1. ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনকে ভারতের অবস্থান জানালেন মোদী
  2. ইউক্রেন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সঙ্কটের মধ্যে মোদী-বাইডেন এর ভার্চুয়াল বৈঠক আজ
  3. পরশুরামে ৫শতাধিক পরিবারের মাঝে "ঢাকাস্থ'' পরশুরাম সমিতি"র ইফতার সামগ্রী বিতরণ
  4. ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য নিয়ে ২ যুবককে কুপিয়ে হত্যা এবং আহত ১
  5. ফেনীতে ভ্রাম্যমান আদলতের অভিযানে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, ২ ইউপি সদস্য সহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা
  6. ফেনীতে কোটি টাকা মুল্যের ভারতীয় শাড়ি, থান কাপড়, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গাসহ চোরাকারবারী আটক
  7. অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুক্তির ৭১ নিউজের সম্পাদকের ৪৩তম জন্মবার্ষিকী
  8. দাগনভূঞায় প্রেমিককে জানাজায় হাজির করার অনুরোধ জানিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
  9. সোনাগাজীতে নারীদের উত্ত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত


 


শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রুগীরা
৯ বছর ধরে মানসম্মত খাবার পাচ্ছে না


যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রুগীরা দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মানসম্মত খাবার থেকে বঞ্চিত। ২০১২-২০২২ এতটা সময় পেরিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ২৯ শয্যা থেকে বর্তমানে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কমপ্লেক্সের ভর্তি রুগীদের জন্য খাবারের মানের কোন উন্নতি হয়নি স্বাস্থ্য। 

ভর্তি রুগীদের কাছ থেকে ৫ টাকার টিকিট অঘোষিত ভাবে ২০ টাকা নেয়া হলেও ভর্তি রুগীদের খাবারের মানের কোন উন্নতি হয়নি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে। আদালতে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নতুন ভাবে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জটিলতা সুরাহার জন্য এদিকে কোন নজর দেয়ার সময় নেই।

 ফলে ভর্তি রুগীদের খাবারের মান বাজারে সরবরাহকৃত ভোগ্যপণ্যের আর্থিক মানের তুলনায় একেবারে হচ্ছে এমনটি দাবি করেছেন ভর্তি রুগীরা। 

২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রুগীদের জন্য মানসম্মত ভোগ্যপণ্য সরবরাহের জন্য দরদাতা  করে টেন্ডার প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ। 

সকালের নাস্তায় রুগী প্রতি তৎকালিন একটি পাউরুটি যার মুল্য ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা, চিনি যার মুল্য ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা, একটি কলা ও একটি ডিম বরাদ্দ ছিল। দরপত্রের লিখিত তালিকা অনুযায়ী দুইবার (দুপুর ও রাতের) রুগী প্রতি খাবারের বরাদ্দ ছিল ১২ টাকা মুল্যমানের ৩শ’ গ্রাম ওজনের চাউলের ভাত, ১ টাকা ৩০ পয়সা মুল্যমানের ১০ গ্রাম ওজনের ডাল, ৪২ টাকা ৪০ পয়সা মুল্যের ১১৭ দশমিক ৮০ গ্রাম রুই বা কাতলা বা মৃগেল মাছ অথবা ১৩৬ দশমিক ৭৮ গ্রাম মুরগীর মাংস অথবা ৮৮ গ্রাম খাসী ছাগলের মাংস, ১৭০ গ্রাম সব্জি অথবা আলু। 

খাবার রান্নার জন্য রুগী প্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা মুল্যের ১০ গ্রাম সোয়াবিন তেল, ৭০ পয়সা মুল্যের ২০ গ্রাম লবন, ৪০ পয়সা মুল্যের ১০ গ্রাম পিয়াজ, ৬০ পয়সা মুল্যের ৫ গ্রাম রসুন, ১ টাকা ৩০ পয়সা মুল্যের ৪ দশমিক ৬৫ গ্রাম ঝাল, ২ টাকা ২০ পয়সা মুল্যের ২ গ্রাম জিরা, ১ টাকা ১৫ পয়সা মুল্যের ৫ গ্রাম হলুদ এবং ১৬ টাকা মুল্যের ২শ’ গ্রাম কাঠ অর্থাৎ সবমিলিয়ে রুগীপ্রতি দুইবারের খরচ মোট ৮৪ টাকা ৬০ পয়সা । প্রতি সপ্তাহে সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার মুরগীর মাংস অথবা খাসির মাংস এবং অন্যান্য দিন মাছ সরবরাহের নিয়ম থাকলেও দেশী মুরগীর মাংস বা খাসির মাংস আদৌ সরবরাহ হয়না বলে জানা যায়। 

কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের মুল্য দিন দিন উর্ধমুখী হওয়ায় নয় বছর আগের ভোগ্যপণ্যের মুল্যমানে বর্তমান বাজারের ভোগ্যপণ্য ক্রয় করা কতটুকু দুঃসাধ্য তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুগী ভর্তির জন্য ৫ টাকার স্থলে এখন আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা। 

কিন্তু ভর্তি রুগীদের নি¤œমানের খাবারের পরিবর্তনের জন্য কারো কোন দৃষ্টি নেই। চিকিৎসকদের ভাষায় একজন রুগীর জন্য ওষুধের পাশাপাশি ভালো মানের খাবার শরীরের জন্য গুরুত্ব থাকলেও দীর্ঘ ৯ বছরে কেউ কোন দিন চলমান সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায়নি বলে মনে হয়। 

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন এক ঠিকাদারের আদালতে ঠুকে দেয়া মামলার জের ধরে দীর্ঘ ৯ বছর যাবত ভর্তি রুগীদের খাবারের মানের পরিবর্তন আনা সম্ভব হচ্ছে না। আদালতের মামলা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছুই করার নেই।


আরো পড়ুন:


 


শার্শা সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের কর্মচারী ও দলিল লেখক গনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

যশোরের শার্শা সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের স্থায়ী কর্মচারী, নকল নবীশ ও দলিল লেখকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

শার্শা উপজেলার সাব-রেজিস্টার অঞ্জু দাস'র সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শার্শা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, বাঘারপাড়া উপজেলার সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি, নওয়াপাড়া উপজেলার সাব-রেজিস্টার অজয় কমার সাহা ও ঝিকরগাছা উপজেলার সাব-রেজিস্টার নারায়ন মন্ডল।

প্রধান অতিথি নারায়ন চন্দ্র পাল তার বক্তব্যে মুসলিম ও হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের  বিস্তারিত আলোচনা করেন। জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে রেজিস্ট্রি অফিসে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ দলিল লেখকদের আন্তরিক হতে হবে বলে জানান। 

বিশেষ অতিথি শার্শা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম  নামজারিসহ ভূমি অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম ও এসংক্রান্ত বিধি-বিধান নিয়ে আলোচনায় বলেন, নামজারিসহ ভূমি অফিসের সকল কার্যক্রম এখন অনলাইনে সম্পাদন হচ্ছে। সুতরাং সেবা পেতে আসা লোকজন সহজেই ভূমি অফিসের সেবা পাচ্ছে।

 
এছাড়া বাঘারপাড়া উপজেলার সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি বিভিন্ন প্রকার দলিলের প্রচলিত ভুল সম্পর্কে আলোচনা করেন। 

তিনঘন্টাব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শার্শা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, নকল নবীশগন ও দলিল লেখকগন উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:


 



পদ্মা সেতু হওয়াতে বিএনপি খুশি হননি- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী 

আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষের মধ্যে যে আনন্দ-উল্লাস ছিল, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের পথচলায় বাঙালি যেন আজ আবার সেই একইরকম আনন্দ-উল্লাস করছে।'

আজ শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছোট বেলায় ঈদের চাঁদ দেখে আনন্দটা যেমন অনুভব করতাম, আজ ঠিক সেই চাঁদ দেখার চেয়েও বেশি আনন্দ লাগছে। সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

'বাঙালি হার না মানা জাতি' উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যে হার মানি না, সমস্ত ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা দেখিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তার নেতৃত্বে বাঙালি মাথা নত করে না, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে বাঙালি মাথা উঁচু করেই চলতে পারে, সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।'

বিএনপি প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও অভিনন্দন জানালেও বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি, যা দুঃখজনক। সারাদেশের মানুষ পদ্মা সেতু হওয়াতে খুশি হলেও বিএনপি খুশি হয়নি।

আরো পড়ুন:


 



মৃত্যু উপত্যকা রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে ২০ হাজার মানুষ


বিগত ২০১৭ সালে সংঘটিত রাঙ্গুনিয়ার পাহাড় ধস ট্রাজেডি আজও কাঁদায় সেই ইসলামপুর ও দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মানুষকে। ১ বছরেই পাহাড় ধসে মাটিচাপায় মারা গিয়েছে নারী, শিশুসহ ১২৫ জন মানুষ। কিন্তু আজও কমেনি পাহাড়ের পাদদেশে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। কেবল দুর্ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসন কিছুটা তৎপর হয়ে পাহাড়-টিলার পাশে বসবাস না করার জন্য এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেও পরে চুপসে যায়। নেওয়া হয় না ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্র সরানোর কোন উদ্যোগ।

চলতি মৌসুমের গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। 'মৃত্যুর ফাঁদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের জন্য। কিন্তু পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা নেই। এ যেন আরেকটি 'পাহাড় ধস' ট্রাজেডির অপেক্ষা করছে সবাই।


তবে গত শনিবার (১৮ জুন) উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের  পক্ষ থেকে কিছু কিছু পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসতে মাইকিং করা হলেও প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের টনক নড়েনি এখনো।  


জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৯ হাজার একর ও উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ১৫ হাজার একরবনভূমি (পাহাড়) রয়েছে। এসব পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষ। সবাই সেখানে পাহাড় কেটে বসতি গড়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বসবাস করছে, পৌরসভার ইছাখালীর গুচ্ছগ্রাম, জাকিরাবাদ, কাদের নগর, নোয়াগাঁও সহ উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কমিউনিটি সেন্টার, জঙ্গল বেতাগী, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ১নং রাজানগরের সুগারমিল এলাকার রিজার্ভ পাড়া, একাই ইউনিয়নের বগাবিলি এলাকার ১নং ওয়ার্ড ও ৩নং ওয়ার্ড, ১৪নং দক্ষিণ রাজানগরের মোহাম্মদপুর, বাইশ্যাের ডেবা, লেলিঙার টিলা, ১৩নং ইসলামপুরের মঘাইছড়ি, রইস্যাবিল, ১৫ নং লালানগরের চাঁদের টিলা, ছনখোলা বিল, পেইট্ট্যাঘোনা, আগুনিয়া চা বাগান, ২নং হোসনাবাদের নিশ্চিন্তাপুর, ফকিরারটিলা, ফুইট্ট্যােগোদা, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বনগ্রাম, পোমরা, কোদালা, পারুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পারুয়া, সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নের একাধিক পাহাড়সহ ৩০-৩৫টি এলাকায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এসব পাহাড়ি এলাকার অধিকাংশই বন বিভাগের রক্ষিত ও সংরক্ষিত বনভূমি। 


তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধভাবে অসংখ্য বসতঘর গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করেছে পাহাড় কেটে। আর এসব ঘরে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। 

আর বর্ষা মৌসুমে এলেই প্রশাসন অনেকটা মাইকিং করে দায়সারাগোছের প্রচার চালায়। কিন্তু ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরানোর কার্যকরী পদক্ষেপ ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়না। একই সাথে ২০১৭ সালের মতো আরেকটি পাহাড়ধস ট্রাজেডি ঘটার আগেই শুধুমাত্র মাইকিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কঠোর অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান সচেতন মহল। 


এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতী রেঞ্জ কর্মকর্তা খশরুল আমিন বলেন, ‘বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু বসবাসকারীরা তাতে কর্ণপাত করছে না। উচ্ছেদ করার পরও আবার বসতি গড়ছে। তবে লোকবলের অভাবে রেঞ্জের একার পক্ষে এ কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।’


রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী বলেন, 'পাহাড়ে ঝুঁকিতে বাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌর মেয়রসহ উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে স্ব-স্ব ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্ক করতে বলা হয়েছে। চলতি সাপ্তাহে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটাসহ ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে অভিযান চালানো হবে।'


উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ১৩ জুন। ওই দিন ভোরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মগাইছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় অকালে ঝরে পড়েছিল দুই পরিবারের ২২ জনের প্রাণ। 

একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে এক শিশু সহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২ শতাধিক বসতঘর মাটি চাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পাহাড় ধসে মৃত্যুর এ মিছিল দীর্ঘ হলেও পাহাড় থেকে সরানো যাচ্ছে না বসবাসকারিদের।


আরো পড়ুন:


 



পদ্মা সেতু উদ্বোধন: জনসভায় মানুষের স্রোত

পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে মানুষ। জনসভায় এরই মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ। আজ শনিবার (২৫শে জুন) ভোর পৌনে ৬টায় থেকেই জনসভাস্থল মানুষের পদচারণায় মুখরিত হতে শুরু করে।


জনসভায় বিভিন্ন ধরণের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রবেশ করছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। নানা স্লোগানে মুখরিত জনসভাস্থল। পদ্মার কূল ঘেঁষে আয়োজিত এই জনসভায় এরই মধ্যে লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।


পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদারীপুরের শিবচরে কাঠালবাড়িতে আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিবেন তিনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সাক্ষী হতে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের মানুষ।


খুলনার দাকোপ থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় রওনা হয়েছিলেন মোস্তফা মোল্লা। আজ শনিবার ভোরে তিনি পৌঁছেছেন মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িতে। সেখানে আজ দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে হবে সমাবেশ। সেই সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জড়ো হওয়ার কথা আছে। কিন্তু ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে নেমেছে মানুষের ঢল। দক্ষিণের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ আসছেন সমাবেশস্থলে। সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ল এ দৃশ্য। নানা রঙের টি–শার্ট তাঁদের গায়ে। ঢোল-ঢাক-বাঁশি বাজিয়ে আসছেন তাঁরা। নাচতে নাচতে আসছেন, মিছিল করতে করতে আসছেন তাঁরা। অনেকের হাতে ব্যানার, ফেস্টুন।


এমন আরেকজন খুলনার পাইকগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক। গতকাল বিকেলে রওনা হয়েছিলেন বাড়ি থেকে। আজ ভোরে এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আসতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ কষ্ট আনন্দের।’

আজ ২৫ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে ভাষণ শেষে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। অমনি খুলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার।


৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু। মাওয়া থেকে জাজিরা। পদ্মা সেতু সড়ক, রেল, গ্যাস, বিদ্যুতের সংযোগ ঘটাবে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের। নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে আছে সংযোগ সড়ক, রেল সংযোগ, নদীশাসন, পুনর্বাসন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা—নানা প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ জুনের সংবাদ সম্মেলনে জানান, পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২১ জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা।


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget