Latest Post

 


ঝিনাইগাতীতে বিজয় দিবস পালনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত 

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে  মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে এক  প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা  প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে  অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  ফারুক আল মাসুদ।

এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা  সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবীর, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলী বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম, প্রকল্প কর্মকর্তা  মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুরুজ্জামান আকন্দ, ডিপুটি কমান্ডার সামছুল আলম, উপজেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক আয়শা সিদ্দিকা রুপালী প্রমুখ।  

উপজেলার  বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান,  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, , এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন অংশ গ্রহন করেন।  সভায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে দিনব্যপি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। 

আরো পড়ুন:


 


শেরপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক সংলাপ অনুষ্ঠিত 

শেরপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ডিসেম্বর সোমবার  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ ফরিদুল হক খান, এমপি শেরপুর জেলায় আগমন উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম। পরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সুসজ্জিত একটি চৌকস পুলিশ দল মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। 

পরবর্তীতে শেরপুর জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’  শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হয়।
  
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ ফরিদুল হক খান, এমপি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আতিউর রহমান আতিক, এমপি। 

উক্ত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম।এসময় জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন |

আরো পড়ুন:


 


বীরগঞ্জে কলেজছাত্রী নিহতের ঘটনায় আটক ৬

জমি নিয়ে সংষর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রত্না আকতার নামে কলেজছাত্রী নিহতের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার দিবাগত রাতে বীরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়। 

এর আগে গত রবিবার বিকেলে জমি নিয়ে সংষর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউপির দিস্তাপাড়া গ্রামে বীরগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষার্থী রত্না আকতার (২০) নিহত হয়। পরে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় রবিবার রাতেই নিহতের বাবা মো. আকতারুল ইসলাম বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে ৬ জনকে আটক করে।

মামলা ও আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, নিহত রত্না আকতারের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে প্রতিবেশি রুহুল আমিনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের সাথে মামলা চলমান রয়েছে। বিরোধপূর্ণ সেই জমিতে রবিবার দুপুরে প্রতিপক্ষ রোকেয়া খাতুনের লোকজন জোড়পূর্বক ঘর তুলে। এ সময় তারা বাধা দিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে রত্না আকতারসহ উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রত্না আকতারকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:


 


পড়ে গিয়ে মলত্যাগ করে ফেলেছে পুতিন: নিউইয়র্ক পোস্ট

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোতে তাঁর সরকারি বাসভবনে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। এরপর তিনি সেখানেই মলত্যাগ করেছেন। পুতিনের নিরাপত্তা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই খবরে বলা হয়, ৭০ বছর বয়সী পুতিন সিঁড়ি থেকে পাঁচ ধাপ নিচে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে আঘাত পান। টেলিগ্রাম চ্যানেল সূত্র বলছে, পুতিনের পাকস্থলী ও অন্ত্র ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার পরে তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসের খবর বলছে, গত মাসে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে পুতিনের হাত কাঁপছিল ও ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার নেতাকে ওই বৈঠক চলাকালে অস্বস্তিকরভাবে পা নাড়াতে দেখা গেছে।

নিউইয়র্ক পোস্টের খবর বলছে, পুতিনের পড়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর অসুস্থতা নিয়ে যে গুজব রটেছে, তার সত্যতা আবার প্রমাণিত হলো। সাবেক এক ব্রিটিশ গুপ্তচর বলেছেন, ৭০ বছর বয়সী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘গুরুতর অসুস্থ।’ ইউক্রেনে যা ঘটছে, তাতে পুতিনের অসুস্থতা প্রভাব ফেলছে।

পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে ‘পুতিন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ও খুব অসুস্থ।’

পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে প্রথমবারের মতো খবর প্রকাশ হচ্ছে, তা নয়। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো প্রায়ই পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত বলে খবর প্রকাশ করে। ২০১৪ সালে পুতিনের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরের উপহাস করেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ৯ মাস পার হয়েছে। পুতিন বলেছেন,  ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করায় তাঁর কোনো অনুতাপ নেই।

আরো পড়ুন:


 


নভেম্বরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সংখ্যা কত ?

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৬৩টি। এতে মোট ৫৫৪ জন নিহত ও ৭৪৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে  শিশু ৭১ ও নারী ৭৮ জন।

আজ রবিবার সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৯৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১.৯০ শতাংশ। এতে নিহত হন ২২৯ জন, যা মোট নিহতের ৪১.৩৩ শতাংশ। 
ওসব দুর্ঘটনায় ১২৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২২.২০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৯ জন, অর্থাৎ ১৪.২৫ শতাংশ।

এই সময়ে ৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র:

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২২৯ জন (৪১.৩৩%), বাস যাত্রী ২৮ জন (৫.০৫%), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রামট্রাক-মিক্সার মেশিন গাড়ি আরোহী ৩৪ জন (৬.১৩%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার যাত্রী ৫ জন (০.৯%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯৩ জন (১৬.৭৮%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-ঘাসকাটা মেশিন গাড়ি) ৩১ জন (৫.৫৯%) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-প্যাডেল ভ্যান আরোহী ১১ জন (১.৯৮%) নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৯২টি (৪১.৪৬%) জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৮টি (৩১.৯৬%) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৪টি (১৫.৯৮%) গ্রামীণ সড়কে, ৪৩টি (৯.২৮%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি ১.২৯% সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন:

দুর্ঘটনাসমূহের ৮১টি (১৭.৪৯%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০৬টি (৪৪.৪৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২৬টি (২৭.২১%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৮টি (৮.২০%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১২টি (২.৫৯%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-পুলিশভ্যান ২২.৯৮%, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক-ডাম্পার ট্রাক-ট্যাঙ্ক লরি-মিক্সার মেশিন গাড়ি ৫.৮১%, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স ৩.৩০%, যাত্রীবাহী বাস ১২.৫৪%, মোটরসাইকেল ২৮.৬৬%, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ১৬.১১%, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন-(নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার-ধান মাড়াইয়ের মেশিন গাড়ি-ঘাস কাটার মেশিন গাড়ি) ৭%, এবং বাই-সাইকেল-প্যাডেল রিকশা-প্যাডেল ভ্যান ৩.৫৬%।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:


দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৭৫৭ টি। (ট্রাক ১২৫, বাস ৯৫, কাভার্ডভ্যান ১৮, পিকআপ ৩০, পুলিশভ্যান ১, ট্রলি ১৫, লরি ৬, ট্রাক্টর ৮, ড্রাম ট্রাক ৭, ডাম্পার ট্রাক ৩, ট্যাঙ্কলরি ৩, মিক্সার মেশিন গাড়ি ২, মাইক্রোবাস ১০, প্রাইভেটকার ১২, অ্যাম্বুলেন্স ৩, মোটরসাইকেল ২১৭, থ্রি-হুইলার ১২২ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৫৩ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার-ধান মাড়াইয়ের মেশিন গাড়ি-ঘাস কাটার মেশিন গাড়ি) বাই-সাইকেল ৭, প্যাডেল রিকশা ১৪ এবং প্যাডেল ভ্যান ৬টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:


সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ৪.১০%, সকালে ৩০.০২%, দুপুরে ১৭.৪৯%, বিকালে ১৯.৪৩%, সন্ধ্যায় ১০.১৫% এবং রাতে ১৮.৭৯%।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:


দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ৩০.৬৬%, প্রাণহানি ৩১.৪০%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮.৭৯%, প্রাণহানি ১৮.৫৯%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৯০%, প্রাণহানি ১৪.২৫%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৫০%, প্রাণহানি ৯.৩৮%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.১২%, প্রাণহানি ৬.৩১%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪.১০%, প্রাণহানি ৩.৬১%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.২০%, প্রাণহানি ৯.২০% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৬৯%, প্রাণহানি ৭.২২% ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১৪২টি দুর্ঘটনায় ১৭৪ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৯টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ২৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ময়মনসিংহ জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জ, নড়াইল, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট ও রাঙ্গামাটি জেলায়। এই ৫টি জেলায় ১১টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

নভেম্বরে রাজধানী ঢাকায় ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ২২ জন আহত হন। 

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো:

১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন;
২. বেপরোয়া গতি; 
৩. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা;
৪. বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা;
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল;
৬. তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো;
৭. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা;
৮. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা;
৯. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি;
১০ গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি। 

সুপারিশমালা:

সড়ক দুর্ঘটনারোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ১০টি সুপারিশ করেছে। তা হলো-
১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;
২. চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;
৩. বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;
৪. পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে;
৬. পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;
৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে;
৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে;
৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;
১০.“সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরো পড়ুন:


 


চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি পোল্যান্ড

ফরাসি ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা তারকা মিশেল প্লাতিনি। পরবর্তীতে উয়েফার সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৮০’র দশকে ফ্রান্স দলকে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট মানতো সবাই। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ছিল শীর্ষ ফেবারিট। 

তবে মিশেল প্লাতিনি আর টিগানাদের ফ্রান্সও ছিল ফেবারিটের তালিকায়। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে তারা সেমিফাইনালে উঠে আসে। শেষ চারের লড়াইয়ে পাওলো রোসির ইতালির কাছে হেরে যায় ফ্রান্স। এরপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। মিশেল প্লাতিনি সেই ম্যাচে খেলতে নামেননি। ফ্রান্স ৩-২ গোলে হেরে যায় পোল্যান্ডের কাছে।

চার দশক পর আবারও বিশ্বকাপে মুখোমুখি ফ্রান্স-পোল্যান্ড। এবার নকআউট পর্বের শুরুতেই আজ আল থুমামা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। কী অপেক্ষা করছে এই ম্যাচে! ফরাসিরা কী অতীত পরাজয়ের মোক্ষম একটা প্রতিশোধ নিতে চায়! এই ম্যাচে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সই ফেবারিটের তকমাধারী। অন্যদিকে আছে রবার্ট লেবানডস্কির পোল্যান্ড। বর্তমান বিশ্বের ফুটবল তারকাদের মধ্যে অন্যতম সেরা। ফিফার কাছ থেকেও সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন লেবানডস্কি। 

বল নিয়ে ছুটতে শুরু করলে তাকে থামানো কঠিন। অবশ্য পোলিশ আক্রমণের পুরোধা লেবানডস্কিই। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় পোল্যান্ডের খেলাটা। অন্যদিকে বহু প্রতিভাধারী ফ্রান্স। এই দলে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। মেসি-রোনালদো যুগের পর তাকেই ভাবা হচ্ছে যোগ্য উত্তরসূরি। তবে এমবাপ্পেই ফ্রান্সের ফুটবলে শেষ কথা নন। এখানে আছেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। আছেন ওসমান ডেম্বলেরাও।

পোল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে বেশ সতর্ক ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। তিনি কেবল লেবানডস্কিকে নিয়ে ভাবছেন না। পাশাপাশি পোলিশ গোলরক্ষককে নিয়েও ভাবছেন। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত সব সেভ করেছেন স্কেজেসনি। 

এজন্যই দিদিয়ের দেশম গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পোল্যান্ড দারুণভাবেই ডিফেন্ড করতে জানে। টুর্নামেন্টে তারা নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে। তবে পোল্যান্ড মানেই কেবল ডিফেন্স ভালো তা নয়। 

তাদের আক্রমণভাগের দিকে তাকান। সেখানে লেবানডস্কির মতো তারকা আছেন।’ লেবানডস্কি ছাড়াও পোলিশ গোলরক্ষকের প্রশংসা করেছেন দেশম। ক্যারিয়ারে ২৬টা পেনাল্টি সেভ করেছেন স্কেজেশনি। রেকর্ডটা মাথায় রাখছে ফ্রান্স।
ফ্রান্স-পোল্যান্ড সবমিলিয়ে ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে আট বারই জয় পেয়েছে ফ্রান্স। তিনবার জয় পেয়েছে পোল্যান্ড। বাকি পাঁচবারই ড্র হয়েছে দুই দলের লড়াই। শেষবার পোলিশদের কাছে ফরাসিরা হেরেছে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে। এরপর সাত ম্যাচ খেলে সবকটিতেই অপরাজিত ফ্রান্স।

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিসিয়ার কাছে হেরে গেছে ফ্রান্স। প্রথম একাদশে পরিবর্তন এনে পরাজয়ের শিকার হয়েছেন দিদিয়ের দেশম। তবে সেই পরাজয়টাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তিনি। সাইডবেঞ্চের পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছেন। তাদের সামর্থ্যরে কিছু নথিপত্রও হাতের কাছে রাখলেন। 

পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে নকআউট পর্বে আবার জয়ের পথে ছুটবে ফ্রান্স, এমনটাই আশা করেন দেশম। অধিনায়ক হুগো লরিসও গতকাল এমনটাই বলে গেলেন।

দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হচ্ছে পোল্যান্ড। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালোই ধারণা আছে কোচ মিকনিবিজের। তারপরও নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিয়ে ভালো ফলাফল নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় পোল্যান্ড।

আরো পড়ুন:


 


খালেদা জিয়াকে চাপে রাখা হচ্ছে : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাকে চাপে রাখা হচ্ছে। আমরা ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

আজ রবিবার বিএনপি’র নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন ।

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আমরা সারাদেশে এতগুলো সমাবেশ করেছি। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। শত উসকানির মুখে আমাদের নেতাকর্মীরা ফাঁদের মুখে পা দেয়নি। ঢাকায় যে সমাবেশ হবে সেটাও শান্তিপূর্ণ হবে। ঢাকার গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। 
তিনি আরও বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার করছে। অবিলম্বে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ যাচ্ছি। 

মির্জা ফখরুল আরও দাবি করেন, বিএনপির জনসমাবেশ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য জঙ্গি নাটকের অবতারণা করা হয়েছে। আমি এই ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget