Latest Post

 


কিভাবে একটি প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লিখতে হয়?

প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল একটা আমাজন সাইটের অন্যতম প্রধান অংশ। মূলত এই রিভিউ আর্টিকেলগুলার মাধ্যমেই একজন আর্ন করে থাকে। তাই আপনার প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল ভালো না হলে সেটা থেকে আর্ন করার পসিবিলিটি অনেক কমে যাবে।

এই আর্টিকেলে আমি ভালো প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লেখার কয়েকটি টিপ্‌স বলবো। আমি এই গাইডলাইনগুলো নিজে ফলো করে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। শুরু করার আগে বলে নেই, প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লেখার অনেক ওয়ে আছে, আমি এখানে যেভাবে বলবো সেটাই একমাত্র ওয়ে না। তাই, আপনি চাইলে আরো রিসার্চ করে দেখতে পারেন কোন পদ্ধটি আপনার ভালো লাগে এবং আপনি ফলো করতে চান।


প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল আসলে কি ?

প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল বলতে আসলে বোঝায়, একটা আর্টিকেল যেখানে আপনি একটা প্রডাক্ট সম্পর্কে আপনার ভালো লাগা বা খারাপ লাগা গুলা লিখবেন। মূলত, বলবেন প্রডাক্টটা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি, এটা থেকে আপনি কিরকম ফলফাল পেয়েছেন, কেন এটা ব্যবহার করা লাভজনক ইত্যাদি। সবশষে ওই প্রডাক্টটা কেনার লিঙ্ক (স্পেশাল এফিলিয়েট লিংক) আর্টিকেলে শেয়ার করবেন। ওই লিঙ্ক থেকে কেউ প্রডাক্টটা কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।


কিভাবে প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল লিখবেন ?

প্রডাক্ট রিভিউ আর্টকেল লেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যদি প্রডাক্টটা আসলেই আপনি কিনে থাকেন এবং আপনার সাথে থাকে। এতে আপনার রিভিউটা অনেক বিশ্বাসযোগ্য হবে এবং আপনার কনভার্শন রেট বেড়ে যাবে। এছাড়াও, আপনি একচুয়েলি প্রডাক্টটা ব্যবহার করলে রিভিউ লেখা আপনার জন্য অনেক ইজি হয়ে যাবে। প্রডাক্টটা নিয়ে আপনার মতামত, অভিজ্ঞতা সুন্দর করে লেখলেই ভালো মানের একটা রিভিউ আর্টিকেল পেয়ে যাবেন।


কিন্তু, প্রডাক্টটা একচুয়েলি কিনে রিভিউ লেখার উপায় আমাদের অনেকেরই নেই। আমরা যারা আমাজিন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকি, তারা জানি যে আমাজন এর বেশিরভাগ প্রডাক্ট বাংলাদেশে পাঠানো যায়না। তাই, প্রডাক্ট কিনে দেখার সুযোগ খুব একটা থাকে না।


এখানে কিছু গাইডলাইন দেওয়া আছে যেগুলা আমি ফলো করি একটা রিভিউ আর্টিকেল লেখার সময়।


রিসার্চঃ লেখা শুরু করার আগে, প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো রিসার্চ। প্রপার রিচার্চ একটা ভালো আর্টিকেলের প্রধান শর্ত। রিসার্চ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রডাক্টটা সম্পর্কে ইনফরমেশন নেওয়া যেগুলা ইউজ করে আপনি আর্টিকেল লিখবেন। 

ফার্স্টে আপনাকে আমাজন থেকে যতদূর সম্ভব ইনফরমেশন নিতে হবে। দেখুন আমাজনে প্রডাক্টটা সম্পর্কে কি কি বলা আছে, এর ফিচার্স কি, জেনারেল ডেস্ক্রিপশনে কি লেখা আছে, কাস্টমার রিভিউ কেমন, অন্যান্য কাস্টমাররা প্রডাক্টটা নিয়ে কি কি বলেছে ইত্যাদি। 

এসব থেকে আপনাকে প্রডাক্টটা সম্পর্কে ইনফর্মেশন নিয়ে আর্টিকেলটা লিখতে হবে। এছাড়াও, গুগুলে আপনার প্রডাক্টটা লিখে সার্চ দিন। দেখুন প্রথম ১০টা সার্চ রেজাল্টে কি কি আছে। প্রত্যেকটা সাইটে গিয়ে দেখুন প্রডাক্টটা সম্পর্কে কি লেখা আছে। এখান থেকে আইডিয়া পাবেন কিভাবে আর্টিকেলটা লেখা লাগবে, কি কি ইনফর্মেশন থাকা লাগবে আর্টিকেলে।

আউটলাইনঃ রিসার্চ শেষে যখন আপনার কাছে পর্যাপ্ত ইনফর্মেশন থাকবে প্রডাক্টটা নিয়ে লেখার জন্য, তখন লেখা শুরু করুন। আমার প্রডাক্ট রিভিউ আর্টিকেলে আমি এমন আউটলাইন ফলো করি। প্রথমেই, প্রডাক্টটা যদি কোনো ব্র্যান্ড এর হয়, তখনা আমি ওই ব্র্যান্ডটা সম্পর্কে কিছু কথাবার্তা লিখি। এখানে বলার চেষ্টা করি ব্র্যান্ডটা কেনো ভালো, সবাই কেনো এটার প্রডাক্ট ব্যবহার করে এসব। এছাড়াও ব্র্যান্ডটা নিয়ে আরো জেনারেল কথাবার্তা চাইলে লিখতে পারেন।

এরপর, আমি প্রডাক্টটা নিয়ে লেখা শুরু করি। ফার্স্টেই প্রডাক্টটা সম্পর্কে কিছু জেনারেল কথাবার্তা লিখি। এই প্যারা থেকে আপনার ভিজিটররা একটা আইডিয়া পাবে প্রডাক্টটা সম্পর্কে। এরপর আমি প্রডাক্টটার ফিচার্স, স্পেসিফিকাশন্স, সুবিধা, অসুবিধা, কেন আমি প্রডাক্টটা পছন্দ করি এসব লিখি। প্রত্যেকটা ক্ষত্রেই আমি আলাদা আলাদা সাব হেডিং ইউজ করি, বুলেট পয়েন্ট ইউজ করি যেখানে করা লাগে।

বলে রাখা ভালো, এটা শুধু একটা জেনারেল আউটলাইন। প্রডাক্টের উপর নির্ভর করে অনেক কিছু যোগ হতে পারে, অথবা বাদ দেওয়া যেতে পারে। যেমন, যদি আমি কোনো টেকনিক্যাল প্রডাক্ট নিয়ে লিখি, তাহলে সেটা কিভাবে ইউজ করতে হয়, সেট আপ করতে হয় এসব অবশ্যই লিখবো। আবার যদি কোনো হেলথ রিলেটেড প্রডাক্ট হয়, তাহলে সেটার কোনো সাইড এফেক্ট থাকলে সেগুলা লেখার ট্রাই করবো।


মাল্টিমিডিয়াঃ আমি আর্টিকেলে যেখানে যেখানে প্রয়োজন মনে হয় ইমেজ ব্যবহার করার ট্রাই করি। ইমেজ একটা ভালো আর্টিকেলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ইমেজ না থাকলে আপনার আর্টিকেলটা একদম বোরিং হবে এবং ভিজিটররা পড়ে মজা পাবে ন। 

তাই বেশি বেশি ইমেজ ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। তবে, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ইমেজটা যেন প্রাসংগিক হয় এবং আর্টিকেলটার সাথে যায়। যদি মনে করেন ইমেজটা থেকে আপনার ভিজিটরকে এক্সট্রা ভ্যালু দিবে, তবেই সেটা আর্টিকেলে এড করবেন। 

এছাড়াও, মনে রাখবেন, আমাজন থেকে আপনি ডাইরেক্ট ইমেজ সেভ করে সেটা সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন না, এতে আমাজনের গাইডলাইন ভাংবেন আপনি। আমাজন থেকে প্রডাক্ট এর ছবি নিতে হলে আপনাকে এফিলিয়েট টুলবার (Amazon Associate SiteStripe) থেকে ইমেজ এর কোড নিয়ে সেটা সাইটে বসিয়ে ইমেজ ইউজ করতে হবে।


শেষ কথাঃ 

তো বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানানো হলো প্রোডাক্ট কন্টেন্ট সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের দেওয়া আর্টিকেল পুরোপুরি ভাবে অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে আপনি উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারছেন। ভালো লাগলে অব্যশই কমেন্ট করবেন । আল্লাহ হাফেজ ।

আরো পড়ুন:


 


খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নেবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নেবে। বিএনপি সমাবেশের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করলে ভুল করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

বুধবার  দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত নারী পুলিশের গৌরবময় যাত্রা ও অর্জন ১৯৭৪-২০২২ শীর্ষক বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দর পরিবেশের জন্যই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি দুটি জায়গার কথা বলেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মানিক মিয়া এভিনিউ। তাদের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদি সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া যোগদান করেন, তাহলে তার জামিন বাতিল হবে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালত ব্যবস্থা নেবেন।

আরো পড়ুন:


 


রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড

রাঙামাটির কাউখালীতে শিশুকে ধর্ষণ মামলায় এক বৃদ্ধকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আর ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির নাম মো. গোপাল কৃষ নাথ (৬০)। 

বুধবার দুপুর দেড়টায় রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ ই এম মো. ইসমাইল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকার পক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটার) মো. সাইফুল ইসলাম অভি জানান, ২০১৯ সালে ২১ এপ্রিল রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার মুসলিশ পাড়ার বাসিন্দা গোপাল কৃষ নাথ ওই এলাকার পোয়াপাড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

এ ঘটনার পর কন্যা শিশুটির বাবা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করার পর দীর্ঘ ৩ বছর এ মামলা তদন্ত চলে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৪) (খ) ধারায় আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে ৫ লাখ টাকা ৯০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রদানের জন্য আসামিকে নির্দেশ দেন। অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে বলে গোষণা দেন। 

আরো পড়ুন:


 


রাঙামাটিতে রাস্তায় মোটরসাইকেল থামিয়ে দুজনকে গুলি, একজনের মৃত্যু

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে সুখেন চাকমা (২০) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মিডপয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সজীব চাকমা (২১) নামের আরও এক মোটরসাইকেলচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

নিহত সুখেন চাকমা সাজেক ইউনিয়নের মিডপয়েন্ট গ্রামের মঙ্গল চাকমার ছেলে। গুলিবিদ্ধ সজীব চাকমা একই গ্রামের মঙ্গল চান চাকমার ছেলে। তাঁরা দুজনেই ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে সুখেন নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে মিডপয়েন্ট থেকে দাড়িপাড়া গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। সজীব ওই মোটরসাইকেলের পেছনে বসেছিলেন। মিডপয়েন্ট গ্রাম থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। কিছু বলার আগেই দুর্বৃত্তরা সুখেন ও সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুখেন মারা যান। সজীবকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহন লাল চাকমা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ভুল করে দুই তরুণের ওপর হামলা করেছে। কারণ, দুজনই নিরীহ এবং কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁরা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, ‘গুলিতে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে শুনেছি। পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন:


 


কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন মেন্ডেজ

রাশিয়া বিশ্বকাপে উরুগুয়ের কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পর্তুগালকে। এবার সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো পর্তুগাল। এই হারের ফলে গ্রুপ পর্ব থেকে উরুগুয়ের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস।

তবে পর্তুগাল-উরুগুয়ে ম্যাচের ৪০তম মিনিটে হুট করেই মাঠে শুয়ে কাতরাতে শুরু করেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার নুনো মেন্ডেজ। তাতক্ষণিকভাবে খেলা বন্ধ রেখে মেডিকেল টিমকে মাঠে ডাকেন রেফারি। কিছুক্ষণ মাঠেই চলে চিকিৎসা। তবে এরপরেও খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারছিলেন না পিএসজি ডিফেন্ডার। তাই মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় তাকে। 

নিজ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্যই বিশেষ কিছু। আর সেটা যদি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে, তাহলে তো কথাই নেই; সবাই-ই চেষ্টা করে নিজের সেরাটা দেওয়ার। এ কারণেই হয়তো আবেগটা ধরে রাখতে পারলেন না নুনো মেন্ডেজ। বিশ্বকাপের মঞ্চে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কেঁদেই ফেললেন পিএসজির এ লেফট ব্যাক। 
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় চোট পেয়েছেন মেন্ডেজ। তবে পর্তুগাল দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি এখনো।

আরো পড়ুন:


 


নাটোরে অভিযানে নকল আইসক্রিম, ভেজাল গুড় জব্দ

দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিষ্ঠিত ট্রেড মার্ক ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছিল নকল আইসক্রিম ও ভেজাল গুড়। এমন দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে নাটোর র‌্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ও ভেজাল পণ্য জব্দ শেষে দুই প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ  টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নাটোর র‌্যাব অফিসের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নাটোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তারা জানান, সোমবার রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা বাজারে শ্রাবণী আইসক্রিম ফ্যাক্টরি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া ও ভবানীপুর গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় লালপুর বাজারে শ্রাবণী আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে নকল আইসক্রিম উৎপাদনের দায়ে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও বড়াইগ্রামের আটঘরিয়া ও ভবানীপুর গ্রামে চিনি, চুন, ফিটকিরি, কাপড়ের রঙ ও সোডা মিশ্রিত করে ভেজাল গুড় তৈরির অপরাধে ভেজাল গুড়ের মালিক সলিম উদ্দিন প্রামাণিক (৪৫), আব্দুল মান্নান (৪৫) ও আতিয়ার রহমানকে (৩২) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মোট ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় এক হাজার ৮শ কেজি ভেজাল গুড়, ৯০০ লিটার ভেজাল চিনির সিরাপ, ১০ কেজি চুন, ১০০ গ্রাম কাপড়ের রঙ, ২ কেজি ১০০ গ্রাম ফিটকিরি, ১০০ গ্রাম সোডা জব্দ ও পরে ধ্বংস করা হয়।

জরিমানার ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন:


 


শেরপুরে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

শেরপুরে ১শত পিস ইয়াবা সহ  মো. আনিসুর রহমান (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪, জামালপুর। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার মীরগঞ্জ (০৮ নং ওয়ার্ড)এর আমজাদ হোসেনের ছেলে। ২৭ নভেম্বর রবিবার বিকেলে তাকে স্থানীয় বটতলা পানের বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

র‍্যাব-১৪ জামালপুর এর প্রেস ব্রিফিং সুত্রে জানা গেছে,  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম. এম. সবুজ রানা এর নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি অভিযানিক দল শেরপুর জেলার শেরপুর সদর থানাধীন বটতলা পানের বাজার সংলগ্ন মাহিমা স্যানেটারি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয় ১ শত পিস ইয়াবা সহ |

আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য  ৩০হাজার টাকা। গ্রেপ্তারকৃত আসামী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৮ নভেম্বর সোমবার দুপুরে তাকে শেরপুর কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে  অভিযান অব্যাহত আছে।

এম শাহজাহান ঝিনাইগাতী শেরপুর। 

আরো পড়ুন:


 


কাতারে স্টেডিয়ামসহ বিশ্বকাপ-সংক্রান্ত কাজে কতজন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে?

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ-২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অভিবাসী শ্রমিকদের শ্রমে এই বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, স্টেডিয়ামসহ বিশ্বকাপের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে অসংখ্য অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের অধিকার যেমন- যথাযথ বেতন প্রদান করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ‘মনুষ্য মূল্য’ (হিউম্যান কষ্ট) কী এ নিয়ে একটি বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। যাতে অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুসহ বিভিন্ন প্রশ্নের ব্যাখা দেওয়া হয়েছে। 

কাতারে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা কত, তারা কোন দেশ থেকে এসেছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, কাতারের মোট জনসংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা ৮৮ শতাংশই বিদেশি নাগরিক। দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকের আনুমানিক সংখ্যা ২০ লাখ। এটা কাতারের মোট কর্মশক্তির ৯৫ শতাংশ। গার্ডিয়ানের খবর অনুসারে, প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক কাতারের নির্মাণ কাজে জড়িত। বাকি ১০ লাখ গৃহকর্মী যার অধিকাংশই পুরুষ। এই শ্রমিকদের বড় অংশ ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ এশীয় দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশের নাগরিক।

বিশ্বকাপ আয়োজনে মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা/অবকাঠামো তৈরি  করতে গিয়ে আসলে কতজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন? 

কাতার কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি জানিয়েছে, সরাসরি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে মাত্র ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট নয় এমন ৩৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে অনেকের ধারণা, নিহত শ্রমিকের সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। কারণ, তথ্য সহজলভ্য নয়। ফিফা এবং কাতারি সংস্থাগুলো বিশ্বকাপ সংক্রান্ত নির্মাণকাজ নিয়ে নিজেদের দূরে রেখেছে। তবে এটা ঠিক যে, কর্তৃপক্ষের আনুমানিক ১২ লাখ দর্শকের জন্য প্রস্তুত হওয়ার তাড়া ছিল।

গার্ডিয়ান বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সার্বিকভাবে ১৫ হাজার ২১ জন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালে গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, টুর্নামেন্টের স্বত্ব পাওয়ার পর ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সাড়ে ৬ হাজারের অধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই শ্রমিকরা ঠিক কোন পেশায় ছিল এবং কোথায় কাজ করছিল সেটার তালিকা করা হয়নি। কাতার সরকার বলেছে, বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণে ৩০ হাজার বিদেশি শ্রমিক নিযুক্ত ছিল। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (আইএলও) এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২০ সালে ৫০ জন বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন, গুরুতর আহত হন ৫০০ এবং সামান্য থেকে মধ্যম ধরনের আহত হন ৩৭ হাজার শ্রমিক। 

শ্রমিকরা কীভাবে মারা গেছে?

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাস কাতারে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অধিক তাপমাত্রা অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর প্রধান কারণ, গ্রীষ্মকালীন তীব্র দাবদাহকে দায়ী করে কাতার। জাতিসংঘের শ্রমবিষয়ক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে- দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকরা বাইরে কাজের সময় বছরের কমপক্ষে চার মাস তীব্র দাবদাহের মুখোমুখি হন বলে উঠে আসে। ২০১৪ সালে কাতার সরকারের নিজস্ব আইনজীবীরা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যে অভিবাসী শ্রমিকরা মারা যান, তাদেরকে নিয়ে গবেষণা এবং অপ্রত্যাশিত ও হঠাৎ মারা যাওয়া শ্রমিকদের ময়নাতদন্তের সুপারিশ করে দেশের বিদ্যমান আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেন। যদিও সরকার এখনও আইনজীবীদের এই পরামর্শ বাস্তবায়ন করেনি।

শ্রমিকদের নিয়ে কাতার কী পদক্ষে নিয়েছে ? 

বিগত পাঁচ বছরে কাতার শ্রমিক আইন সংশোধন করেছে। তবে সমালোচকেরা বলেছেন, শ্রমিকদের রক্ষায় এটা যথেষ্ট নয়। অ্যামনেন্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, কাতারের কর্তৃপক্ষ অনেক শ্রমিকের বেতন প্রদানে বিলম্ব করে, অনেক শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয় না, তাছাড়া রয়েছে অনিরাপদ কর্মপরিবেশ। কাতার অনেক শ্রমিকের মৃত্যুর তদন্ত না করে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে গণ্য করেছে।

ফুটবল কর্তৃপক্ষ  কী বলছে?

ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফানতিনো ফুটবল দলগুলোকে ফুটবল খেলায় মনোনিবেশ (ফোকাস) করার আহ্বান জানান। শ্রমিক সংক্রান্ত কাফালা সংস্কারে ফিফা কর্তৃপক্ষ নিজেদের ক্রেডিট দাবি করে। কাতারের সমালোচনা করাকে ‘পশ্চিমাদের ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করেন ফিফা সভাপতি।












Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget