Latest Post

 


ভারতের গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু ধসে ১৪১ জনের মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে নদীর উপরে একটি ঝুলন্ত সেতু ধসে মৃতের সংখ্যা দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন মৃতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। এখনো পর্যন্ত ১৪১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজ্যের মরবি শহরের মাচ্চু নদীতে সেতুটি ধসে শত শত মানুষ নদিতে ডুবে গেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে আংশিকভাবে ডুবে থাকা ঝুলন্ত সেতুটিতে বেঁচে যাওয়া মানুষজন ঝুলে রয়েছে।

ঘটনার সময় প্রায় চারশো মানুষ সেতুটির উপরে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত ১৭৭ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।


সেতুটি মেরামতের পর আবার চালু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরই এই ঘটনা ঘটলো। আবার খুলে দেয়ার আগে সঠিকভাবে সেটি পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না সেনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

ঔপনিবেশিক যুগের ব্রিজটি ১৯ শতকে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় নির্মিত হয়েছিল। দুইশ ত্রিশ মিটারের অবকাঠামোটি স্থানীয়ভাবে জুল্টো পুল নামে পরিচিত। এটি ওই এলাকার একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন যে, সেতুটি যখন ধসে পড়ে তখন সেখানে অনেক শিশু ছিল।

দুর্ঘটনার সময় সেতুটিতে ছিলেন এমন একজন প্রতীক ভাসাভা।

তিনি গুজরাটি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোর আওয়ারসকে বলছিলেন যে কীভাবে তিনি পানিতে পড়ে যাওয়ার পর সাঁতরে নদীর তীরে উঠেছিলেন।

তিনি বলেন, "আমি তাদের কয়েকজনকে আমার সাথে টেনে আনতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা ডুবে গেছে বা ভেসে গেছে।"


আর একজন প্রত্যক্ষদর্শী সুকরাম বলেছেন, "অনেক শিশু দিওয়ালির ছুটি উপভোগ করতে সেখানে এসেছিল। অনেক মানুষের চাপে সেতুটি যখন ভেঙে পড়ে তখন তারা একজন আর একজনের উপরে গিয়ে পড়ে।"

কিছু ভিডিওতে ঘটনার সময়কার বিশৃঙ্খলার দৃশ্য দেখা গেছে।

ভেঙে পড়ার ঠিক আগে সেতুটি দুলতে শুরু করে।

অন্ধকারের মধ্যে নদীর তীরে থাকা মানুষজন পানিতে পড়ে যাওয়া মানুষজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।

অন্য আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মানুষ পানি থেকে বাঁচার জন্য অর্ধেক ঝুলে থাকা সেতুটির ওপরের দিকে উঠার চেষ্টা করছেন।

কাছের জেলাগুলি থেকে জরুরি পরিষেবার সদস্যদের উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য পাঠানো হয়েছে।

রাতভর উদ্ধার অভিযান চলেছে।

দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

কি কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে তা ঠিক স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মনে করছে যে, দিওয়ালি উৎসবের ছুটির কারণে সেখানে অনেক বেশি ভিড় ছিল।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পথচারীদের ভিড়ে দিনের বেলায় সেতুটি দুলছিল।

তিন দিনের সফরে তার নিজ রাজ্য গুজরাটে সফরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তিনি এই "দুর্ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত"।

যারা মারা গেছেন তাদের স্বজন এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মি. মোদী।

আরো পড়ুন:


 


ভারতের ‌হারের জন্য কোহলি-রোহিতকে দায়ী করলেন ভুবনেশ্বর

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতের হারের জন্য সরাসরি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উপর দায় চাপালেন সতীর্থ ভুবনেশ্বর কুমার। তার মতে, ভারতীয় ক্রিকেটাররা যদি ফিল্ডিংয়ে সুযোগ নষ্ট না করত, তা হলে খেলার ফল অন্য রকম হতে পারত।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার আইডেন মার্করামের সহজ ক্যাচ ছাড়েন কোহলি। তার পরে মার্করামকেই রান আউটের সুযোগ মিস করেন রোহিত। সেই মার্করামই অর্ধশতরান করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের রাস্তা সহজ করেন।

ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভুবনেশ্বর বলেন, সত্যি, যদি ক্যাচটা না পড়ত, তাহলে ফল হয়তো আলাদা হতো। ক্রিকেটে ক্যাচ ম্যাচ জেতায়। ওটা তফাত গড়ে দিল।
সেই সঙ্গে রান আউটের সুযোগ নষ্ট করার প্রসঙ্গও টেনে আনেন ভুবনেশ্বর। তিনি বলেন, শুধু ক্যাচ নয়, রান আউটের সুযোগও নষ্ট করেছি। অল্প রানের ম্যাচে এই ভুলগুলোর উপর হার-জিত নির্ভর করে।

ম্যাচ হারের দায় এড়াননি ভারত অধিনায়ক রোহিতও। ম্যাচ শেষে রোহিত কোনো অজুহাত দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, কোনো অজুহাত দেব না। সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছি। এরকম ঠান্ডাতে আগেও খেলেছি আমরা। রান আউটের সুযোগ মিস করেছি। আমি নিজেই সহজ সুযোগ পেয়েছিলাম। আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে ফিল্ডিংয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১২তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ ফেলেন বিরাট। দিনের সহজতম ক্যাচ সম্ভবত ওটাই ছিল। কিন্তু বল ধরতেই পারেননি ভারতের সাবেক অধিনায়ক। বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় অশ্বিনকেও। পরের ওভারে মোহম্মদ শামির ওভারে রান আউটের সুযোগ মিস করেন রোহিত। স্টাম্পের কাছে পৌঁছে গিয়েও বল উইকেটে লাগাতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক।

ফিল্ডিংয়ের উপর দায় চাপালেও দলের ব্যাটারদের কোনও দোষ দিচ্ছেন না ভুবনেশ্বর। তার মতে, উইকেটে ব্যাট করা সহজ ছিল না। তিনি বলেন, এই উইকেটে ব্যাট করা অতটা সহজ নয়। এবারের বিশ্বকাপে পার্থে গড়ে ১৪০-এর কাছাকাছি রান হয়েছে। তাই আমরা জানতাম, কম রান করলেও লড়াই করতে পারব।

আরো পড়ুন:


 


পীরগঞ্জে ভুয়া দুই ডিবি পুলিশ আটক ! 

ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জুয়ার আসর থেকে টাকা আদায় করতে গিয়ে আলমগীর ও সুজন 
নামে দু’যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে।

শনিবার রাতে উপজেলার ফুটানী টাউন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আলমগীর ও সুজনের বাড়ি পৌর শহরের মিত্রবাটি মহল্লায়। রবিবার দুপুরে তাদের ঠাকুরগাও আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়, শনিবার রাত ১০ টার দিকে ফুটানী টাউন এলাকায় একটি জুয়ার আসরে গিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে ঐ দুই যুবক। এ সময় তাদের আচরণ দেখে সন্দেহ হলে উভয়কে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। রবিবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আটক দুই ভুয়া ডিবি যুবককে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

আরো পড়ুন:


 


সুপারি পাড়া নিয়ে হত্যার ঘটনায় মা-মেয়ে গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামে মনিরুজ্জামান হাওলাদার (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে নিহত মনিরুজ্জামানের বোন শাহনাজ পারভীনের করা মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪৫) ও মেয়ে রুনু আক্তার (২৫)। তাঁদের আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিন পলাতক। নিহত মনিরুজ্জামান হাওলাদার তাঁদের পাশেই একটি ঘরে থাকতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান হাওলাদার উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের বাড়িতে একা থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে যশোরে থাকেন। মনিরুজ্জামানের সঙ্গে চাচাতো ভাই রুহুল আমিনের বসতবাড়ির সুপারি বাগান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মনিরুজ্জামান বাগানে সুপারি পাড়তে গেলে রুহুল আমিন, তাঁর স্ত্রী হেলেনা বেগম ও মেয়ে রুনু আক্তার তাঁকে মারধর করেন।

রাত আটটার দিকে মনিরুজ্জামানের বোন লাকি বেগমের কাছে রুহুল আমিনের স্ত্রী ফোন করে বলেন, দুপুরে বাড়িতে মারামারি হয়েছে। ঘরের মধ্যে মনিরুজ্জামানের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। 
এরপর রাত নয়টার দিকে মনিরুজ্জামানের দুলাভাই মো. জাহাঙ্গীর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, তাঁর লাশ মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। 

খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘর থেকে মনিরুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করে। পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মনিরুজ্জামানের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনার পরপর রুহুল আমিন আত্মগোপনে চলে যান।

আরো পড়ুন:


 


হ্যালোউইন উৎসবে ভিড়ে চাপা পড়ে নিহত ১৫১ জন |

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোল শহরে হ্যালোউইন উৎসব উদযাপনের জন্য সমবেত হওয়া বিপুল জনতার ভিড়ে চাপা পড়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৫১ জন নিহত এবং আরো ১৫০ জন আহত হয়েছে।

মৃতদের অধিকাংশের বয়স কুড়ির কোঠায় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। মৃতদের মধ্যে তিনজন চীনা নাগরিকসহ ১৯ জন বিদেশি রয়েছেন।


সোলের পুলিশ বলছে এখনো পর্যন্ত ৩৫৫ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

বেঁচে যাওয়া অনেকেই বলছেন, বেশি মানুষ সরু গলিতে জড়ো হয়েছিলেন, একে অপরের গায়ে লেপ্টে ছিল মানুষজন। তারা একসময় আর নি:শ্বাস নিতে পারছিলেন না।

ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর দেশটিতে এটি ছিল উন্মুক্ত স্থানে প্রথম হ্যালোউইন অনুষ্ঠান।

শহরের একজন চিকিৎসক, যিনি ঘটনার সময় চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছিলেন তিনি বলছেন, মৃতের সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছিল যে সেখানে চিকিৎসা সহায়তা দিতে আসা কর্মীরা সামাল দিতে পারছিলেন না।


স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেছেন, "প্রথমে আমি রাস্তায় পড়ে থাকা দুইজনকে প্রাথমিক সহায়তা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সংখ্যা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেল। ভাষায় বুঝিয়ে বলা খুব কঠিন। এই ঘটনার শিকার এতগুলো মুখ পুরো ফ্যাকাসে, আমি তাদের পালস পাচ্ছিলাম না, তাদের অনেকের নাক রক্তাক্ত ছিল।"

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দেশটিতে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেছেন, "আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত। এই শোক কাটিয়ে ওঠা কঠিন।"

"মানুষের জীবন ও তার নিরাপত্তার জন্য নিজের দায়" বোধ করছেন বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতারা এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।

সোল শহরের একটি জনপ্রিয় নৈশ বিনোদন এলাকা ইতেওন-এ হ্যালোউইন উদযাপনের জন্য প্রায় এক লক্ষ লোক সমবেত হয়েছিল বলে খবরে বলা হয়।

এক খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে একজন দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই এলাকার একটি পাহাড়ের ওপরদিকে থাকা লোকেরা নিচে পড়ে গেলে একটি সরু গলিতে থাকা বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটলো তা তারা এখনো জানার চেষ্টা করছে। ঘটনা তদন্তে কাজ চলছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, ওই এলাকায় হাজার হাজার লোকের ভিড় জমে গিয়েছিল এবং ভিড়ে চাপা পড়া থেকে বাঁচতে তারা বড় রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন।

আরো পড়ুন:


 


'নো' বলের নাটকীয়তা, জিতলো বাংলাদেশ

পেন্ডুলামের মতো ম্যাচটা দুলছিল দুই দিকেই। জিততে পারে যে কেউ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। সাকিব বোলিংয়ে আনেন মোসাদ্দেককে। প্রথম ৫ বলে দুই উইকেট নিয়ে ১১ রান খরচা করেন তিনি। শেষ বলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। শেষ বলেও উইকেট পেলেন মোসাদ্দেক। 

আউট ধরে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। কিন্তু রিপ্লাইতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পে আসার আগেই বল ধরে ফেললেন নুরুল হাসান সোহান। ফলে থার্ড আম্পায়ার রিভিউ করে দিলেন নটআউট এবং ঘোষণা করলেন নো বল। ১ রান যোগ করে দুই দলকে আবারো মাঠে নামিয়ে আনা হয় এবং ফ্রি-হিট দিয়ে শেষ বলটি করতে বলা হয়।

 শেষ বলে মুজারাবানি কোনো রান করতে পারেননি। রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৩ রানের নাটকীয় জয়। 

আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এই জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে এই প্রথম একাধিক জয় পেল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এটা বাংলাদেশের সেরা আসর।

রান তাড়া করতে নেমে তাসকিনের ২ ওভারে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। নিজের দ্বিতীয় বলে মাধেভেরকে ফেরান বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার। ৩ বলে ৪ রান করেন মাধেভেরে। তাসকিন তার দ্বিতীয় ওভারে পান আরেকটি উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে সোহানের ক্যাচ বানান তাসকিন। ৮ রান করেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক।

তারপর মুস্তাফিজ ম্যাজিক। আগের দুই ম্যাচে উইকেট পাননি মুস্তাফিজ। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেকে ফিরে পেলেন কাটার মাস্টার। এক ওভারেই তুলেন ২ উইকেট। মিল্টন শুম্বাকে দিয়ে শুরু। এবার শূন্যতেই সিকান্দার রাজাকে পথ দেখিয়ে স্বস্তি এনে দেন গ্যালারিতে। বাংলাদেশের জন্য তিনি হতে পারতেন বড় যম। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরতেই আরেকটি জুটি ভাঙলেন তাসকিন। সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রেজিস চাকাভাকে। তার বিদায়ে ভাঙলো ৩৪ রানের জুটি। সুপার টুয়েলভ পর্বে তাসকিনের এটি অষ্টম উইকেট।

১৯তম ওভারে দুর্দান্ত ব্রেকথ্রু আনেন সাকিব আল হাসান। শন উইলিয়ামস সিঙ্গেল নিতে গিয়ে তার সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন। ৬৪ রানে থামেন তিনি। ১৩তম ওভারে তার ক্যাচ মিস করেছিলেন হাসান মাহমুদ। জীবন পেয়ে ফিফটি তুলে নেন রায়ান বার্ল।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান দুটি ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে এনগারাভার চতুর্থ বলে প্রথম চারের দেখা পায় বাংলাদেশ। শান্ত তার পরের বাউন্ডারি মারেন দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে। কিন্তু সৌম্য সরকার রানের খাতা খুলতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে ডাক মারেন তিনি। মুজারাবানির বলে রেগিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সৌম্যর বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন লিটন। দুই বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর আভাসও দিয়েছিলেন। তবে ষষ্ঠ ওভারে অহেতুক স্কুপে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন লিটন। ১২ বলে ৩ চারে ১৪ রান করেন তিনি। শান্তর সঙ্গে লিটনের জুটি ছিল ২২ রানের। 
দুই উইকেট হারিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার শান্ত ও দলনেতা সাকিব। এ সময় দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৫৪ রান। এরপর শেন উইলিয়ামসের করা বলে মুজারাবারি হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। ২০ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সাকিব।

দলীয় ৯৫ রানে সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন। ৪৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি আসরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম পঞ্চাশ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর বাংলাদেশের কোনো ওপেনারের ফিফটি করলেন। গত ৩১ জুলাই ২০২২, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৫৬ করছিল লিটন দাস।

শেষ দিকে আফিফ হোসেন ১৯ বলের ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান তোলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারবানি এবং রিচার্ড এনগ্রাভা। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা এবং শন উইলিয়ামস।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটকিপার), মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, তেন্দাই চাতারা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্র্যাড ইভান্স, ব্লেসিং মুজারাবানি।

আরো পড়ুন:


 


মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় কলেজ দপ্তরিকে কুপিয়ে খুন

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে এক কলেজ দপ্তরি।

আহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহতের নাম সুলতান হোসেন স্বপন (৫৫)। তিনি শ্যামপুর গ্রামের মৃত আ. হামিদ মিয়ার ছেলে।

শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের ঘুনি সিংজোড়া শহিদ তিতুমির বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন নাগরপুর থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে ঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চার যুবক— রানা, সোলাইমান, আলী ও সাজ্জাদ মাদকসেবন করছিল।

এ সময় নিহতের ছেলে পলাশ ওই চার যুবককে স্কুল মাঠে মাদকসেবন না করার জন্য নিষেধ করেন। এতে মাদকসেবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশকে ধাওয়া করে।

তিনি আত্মরক্ষায় দৌড়ে ওই বাজারে পাসুর চা দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে বসে চা পান করছিল পলাশের বাবা স্বপন।  

এ সময় মাদকসেবী ওই চার যুবক সদল-বলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বপনের ওপর হামলা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আজমির এগিয়ে এলে তাকেও মাদকসেবীরা হামলা করে।

এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বপন ও আজমিরকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরান হোসেন কলেজ দপ্তরি স্বপনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আহত আজমিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত অপর যুবক শিমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নাগরপুর থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ পযর্ন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি, তবে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget