Latest Post



লিটারে পাঁচ টাকা কমছে ডিজেল-পেট্রোল-অকটেনের দাম


বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

ফলে ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল, কেরোসিন এই চার ধরনের জ্বালানির দাম লিটারে পাঁচ টাকা করে কমছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে এই দাম কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

জ্বালানির দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে রবিবারই ডিজেলের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমিয়েছে সরকার। এর ফলে একটা ধারণা হয়েছিল, ডিজেলের দাম কমানোরও একটা সিদ্ধান্ত আসবে।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান যে - বাংলাদেশে দুয়েকদিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।

আর সোমবার রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করে চার ধরনের জ্বালানির দাম কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।


গত পাঁচই অগাস্ট সরকার ডিজেল ও পেট্রোলসহ সব ধরণের জ্বালানির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।

সেসময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রায় ৪২ শতাংশ বাড়িয়ে লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা করা হয়।

এ নিয়ে অব্যহত সমালোচনার মধ্যে ডিজেলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করে ২৮শে অগাস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।


প্রজ্ঞাপনে আমাদানি শুল্ক কমানোর সাথে সাথে পাঁচ শতাংশ অগ্রিম করও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

* ডিজেল, পেট্রলসহ সমস্ত জ্বালানি তেলের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি

* বিশ্ববাজারের সাথে বাংলাদেশে তেলের দাম সমন্বয় হয় না কেন?


এবং রোববার রাত থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকর হয়েছে।

দাম কমানো নিয়ে যা বলেছিলেন প্রতিমন্ত্রী

বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবারো বেড়ে গেছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এখন মূল্য সমন্বয় করতে হলে সরকারকে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, "যখন ১১৪ টাকা ছিল ডিজেল, তখন ৮ টাকার ওপরে ভর্তুকি ছিল। এখন হয়ত সেই জায়গাটা আরো বাড়বে। কিন্তু তারপরও এটা (আমদানি শুল্ক ও কর) রিডিউস (কম) করাতে দাম কতটা অ্যাডজাস্ট হবে সেটা আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি নাই।"

মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে যাচাইবাছাই চলছে বলে জানান তিনি।

তবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জ্বালানি তেলের দাম কমবে কিনা সেরকম কোনও আভাস দেননি।


বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

কিন্তু গত কিছুদিন ধরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে আসলেও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোন লক্ষণ দেখা যায়নি, সে নিয়েও ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে।

তবে এর মধ্যেই আবারো বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এখন ব্যারেল প্রতি তেল ১৫০ ডলারে উঠে গেছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।


আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সাথে সমন্বয় না করার যুক্তি হিসেবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ধাপে ধাপে দাম বাড়ালে লিটার প্রতি দশ টাকা করে প্রতি মাসেই বাড়াতে হতো।

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন মূলত দুটি কারণে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সাথে প্রতিনিয়ত সমন্বয় করা হয় না।

অভ্যন্তরীণ বাজারে সরকার জ্বালানি তেলের যে দাম ঠিক করে দেয়, সে দামেই ভোক্তা ক্রয় করে।আর এই দাম নির্ধারিত হয় সরকারি সিদ্ধান্তে, বাজারের প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নয়।

দ্বিতীয়ত, সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে তেল কেনে।আর সে চুক্তি হয় মূলত কত জাহাজ ও লিটার তেল কেনা হবে তার ওপর।

ফলে যখন যে চুক্তি হয়, সে চুক্তি অনুযায়ীই তেল পাওয়া যায়- বিশ্ববাজারে দাম যাই হোক না কেন।


Posted by bbc


আরো পড়ুন:



 



চট্টগ্রাম হালিশহরে সুদখোর ‘সুন্দরী’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন


চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে চড়া সুদে টাকা ধার দিয়ে হয়রানি, খালি চেকের পাতা নিয়ে মামলায় ফাঁসানোসহ নানা অভিযোগে কুলসুমা বেগম ওরফে ‘সুন্দরী’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।


শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকালে বড়পোল এলাকার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এতে বড়পোল এলাকার সুন্দরীপাড়া, সাইটপাড়া, মইন্যাপাড়া, নতুনপাড়া ও নিউমুরিং আবাসিক এলাকার কয়েকশ ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ মানববন্ধনে উপস্থিত হোন।


মানববন্ধনে ভুক্তভোগী আল মামুন বলেন, ‘এলাকাবাসীর লোকজন সমস্যায় পড়ে সুন্দরীর কাছে গেলে তিনি প্রথমে টাকা ধার দেন। পরে মাসিক হিসেবে আসল টাকা ভুক্তভোগী সুদসহ পরিশোধ করে দেওয়ার পরও গ্যারান্টি হিসেবে নেওয়া হয় খালি চেক, স্ট্যাম্প। সেসব কাগজ ফেরত না দিয়ে আবারও ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন সুন্দরী। 

তার এমন চাঁদাবাজিতে সহযোগিতা করে স্থানীয় সন্ত্রাসী ঠোঁট কাটা জাহেদ ও হালিশহর থানার ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত আলাউদ্দিন। তাদের দিয়ে ভুক্তভোগীর বাসায়ও হামলা চালানো হয়। টাকা না দিলে জোর করে টর্চার সেলে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন।’


এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে থানার সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে ইয়াবা অথবা অন্য কোনো মামলায় ফাঁসানো হয়।


অপর এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার নেওয়ার পর সুদসহ ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয় তাকে। এরপরও গ্যারান্টি হিসেবে নেওয়া ১০টি খালি চেকের পাতা ওই মহিলা ফেরত দেননি। 

বরং ওই চেকে ১০ লাখ টাকার অংক বসিয়ে আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয় তাকে। ভুক্তভোগীদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলার একাধিক ভিডিও ফুটেজসহ র্যা ব ও পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হলেও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

মানববন্ধনে স্থানীয় এলাকাবাসী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আরো পড়ুন:


 

শেরপুরে শশুরবাড়ীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা 


শেরপুরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে ২৮আগষ্ট সোমবার সকালে। নিহত পারভীন বেগম (৩২) ভাতশালা ইউনিয়নের বয়রা পরানপুর গ্রামের সোহরাব আলীর মেয়ে স্বামী শফিকুল ইসলাম (৩৮)  একই ইউনিয়নের হাওড়া গ্রামের মন মিয়ার ছেলে। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পারভীন ও শফিকুলের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। 


তাদের ৮ বছরের এক মেয়ে ও ৬ বছরের এক ছেলে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে দুই মাস আগে শফিকুলের বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যান পারভীন। সেখানে পৌরসভার নাগপাড়ায় আল বারাকা নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আয়ার চাকরি নেন।

রোববার রাতে শ্বশুর বাড়িতে যান শফিকুল। রাতের খেয়ে সবাই শুয়ে পড়েন। রাতে কোনো এক সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পারভীনের গলা কেটে হত্যা করেন শফিকুল। পরে নিজেও বিষয় পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।


পারভীনের মা জামেলা বেগম বলেন, সোমবার সকালে তার মেয়ে পারভীন এবং জামাই শফিকুলের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে উঁকি দিয়ে দেখতে পান পারভীন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে এবং শফিকুলের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। ৯টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া  বলেন, ‘সুরতহাল শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শফিকুলকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, শফিকুল তার স্ত্রীকে ধারালো কিছু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরো পড়ুন:

 


চট্টগ্রাম মেডিকেলে সেনা গোয়েন্দা সেজে পড়েছে ধরা ভুয়া সদস্য পরিচয়দানকারী সীতাকুণ্ডের যুবক  


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের ভুয়া সদস্য পরিচয়দানকারী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ওই যুবকের নাম রাসেল মো. ইফাত।

 আটক করা হয়।

আটক রাসেল মো. ইফাত (২১) সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ মহাদেবপুর মৌলভিপাড়ার মো. ইসমাইলের ছেলে।

জানা গেছে, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের ‘মনিটরিং অফিসার’ পরিচয়ে ওই যুবক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য ক্রস চেক করে দেখা যায় তিনি ডিজিএফআইয়ের কেউ নন।


এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে অভিযান চালিয়ে রাসেল নামে এক ভুয়া সেনাসদস্যকে আটক করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল ডিজিএফআইয়ের মনিটরিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয়। তার গায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টি-শার্ট ছিল। পরে তার দেহে তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভুয়া আইডি কার্ড পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 

আরো পড়ুন:



 



ঋণের দায়ে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা


বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় ঋণের দায়ে চিরকুট লিখে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন আব্দুল্লাহ (৩৩) নামে এক যুবক।

রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি। আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হাসেম পেয়াদার ছেলে ও নলবুনিয়া বাজারের একজন ফাস্টফুড ব্যবসায়ী।


সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন তালুকদার জানান, শোনা যাচ্ছে আব্দুল্লাহ ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় ভুগছিলেন।


তিনি জানান, চালে দেওয়া কীটনাশক ট্যাবলয়েট সেবন করেন আব্দুল্লাহ। এ সময় স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আব্দুল্লাহকে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

আত্মহত্যার আগে রোববার রাত ১টার দিকে একটি চিরকুট লিখেন।

চিরকুটে ওই যুবক লিখেছেন— আমি মো. আব্দুল্লাহ। আমি মারা গেলে আপনাদের কাছে আমার আবেদন। আমার জমি বিক্রি করে সবার দেনা শোধ করে দেবেন। আমার সম্পত্তি আমার ভাইবোনকে দেবেন না। এর পর যে জমি থাকবে, তাতে আমার স্ত্রী ও মেয়ের থাকবে। তাদের কোথাও তাড়াবেন না। এটি আমার দাবি। সবাই স্বার্থপর শুধু আমি নই।

এর পর স্ত্রীকে— আমি চলে যাচ্ছি, মেয়েকে দেখে রাখিস। ইতি মো. আব্দুল্লাহ।  


শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হবে।


আরো পড়ুন:



 



পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা প্রায় বেড়েই চলছে


স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় নাকাল পাকিস্তান। টানা বৃষ্টি আর এতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির কমপক্ষে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯৮০ জন।


শনিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষত খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানসহ সারা দেশে অন্তত ৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১১৫ জন।

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের জলবায়ুমন্ত্রী শেরি রেহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।’

জুন থেকে অব্যাহত মৌসুমি বৃষ্টি ও বন্যায় ইতোমধ্যে বৈরী আবহাওয়ার রেকর্ড ভেঙেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

জলবায়ুমন্ত্রী শেরি বলেন, ‘পাকিস্তান এখন তার অষ্টম মৌসুমি চক্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যদিও দেশে সাধারণত তিন থেকে চার চক্রে বৃষ্টি হয়।’


এ পরিস্থিতিতে সংকট কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইসলামাবাদ।জাতিসংঘের দুর্যোগ ত্রাণ সংস্থা- ওসিএইচএ বলছে, চলতি গ্রীষ্মে একাধিক বর্ষাচক্র পাকিস্তানে আঘাত হেনেছে। এতে বড় বন্যার কবলে পড়েন বাসিন্দারা। পাকিস্তানজুড়ে চার লাখের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ১ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অবস্থান নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

তবে পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী আহসান ইকবাল বলছেন, কমপক্ষে তিন কোটি মানুষ, যারা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন বন্যায়।


অতিরিক্ত বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিন্ধু প্রদেশ। দক্ষিণের প্রদেশটিতে চলতি বছর আগস্টের গড় বৃষ্টিপাতের প্রায় আট গুণ হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 


কাজে ফিরেছেন সিলেটের চা শ্রমিকরা 


দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করায় খুশি চা শ্রমিকরা। টানা ২০ দিন চলা আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তারা। তবে কয়েকটি বাগানে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় সোমবার থেকে সেসব বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন। 


রোববার সকালে সিলেট মালনীছড়া, লাক্কাতুরা চাবাগান এলাকায় দেখা যায় চা শ্রমিকরা কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কেউ কেউ কাজে ফিরেছেন। এ সময় চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা মজুরিতে খুশি চা শ্রমিকরা। তিনি আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ করেছেন। তাই শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। 


চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা নয়া দিগন্তকে বলেন, সকাল থেকে কিছু বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। আজ কিছু বাগানে সাপ্তাহিক বন্ধ আছে। কিছু শ্রমিক আনন্দ র‌্যালি করে কাজে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চাবাগানে অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে।


গত ৮ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। 


তবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনার আশ্বাসে গত সোমবার দুপুরে শ্রমিকদের একাংশ আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরেন। আরেক অংশ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন। চা শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে সারাদেশের বাগান থেকে চা-পাতা উত্তোলন, কারখানায় প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ থাকে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশের চা-শিল্প।শনিবার চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

পাশাপাশি আনুপাতিক হারে তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে। সবমিলিয়ে দৈনিক মজুরি হবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।  

 

শনিবার বিকেলে গণভবনে চা শ্রমিকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে চাবাগান মালিকপক্ষের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের রোববার থেকে কাজে ফেরার আহ্বান জানান।


শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি বলেন, সব আলোচনার পর যেটি হয়েছে- সেটি হলো শ্রমিকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দিয়েছেন ১৭০ টাকা।

চাবাগান মালিকপক্ষের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহ আলম। 


আরো পড়ুন:

  1. সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
  2. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  3. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  4. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  7. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  8. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  9. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  10. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  11. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget