Latest Post

 



সোমালিয়ায় মার্কিন হামলা, নিহত ১৪


সোমালিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সবাই দেশটির আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর যোদ্ধা। গত রোববার সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় হিরান অঞ্চলে আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাবকে লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়।


সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে এটিই এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।


যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান কমান্ড বা আফ্রিকম বলেছে, তারা ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী হিরান অঞ্চলের রাজধানী বেলেডওয়েনের বাইরে একটি বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। আফ্রিকম জানিয়েছে যে, সোমালিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনীর সমর্থনে পরিচালিত আরেকটি বিমান হামলায় ৪ জন আল-শাবাব সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।


মোগাদিসু-ভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যানালাইসিস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর পরিচালক আবদুর রাহমান শেখ আজহারি ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় সোমালিয়ায় তাদের ভূমিকা বৃদ্ধি করছে। এটা সোমালিয়ায় আবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতির অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমালিয়ায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি প্রত্যাহার করেছিলেন।



সংবাদমাধ্যম বলছে, হাসান শেখ মোহামুদ সোমালিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাাচিত হওয়ার পর সাম্প্রতিক বিমান হামলাগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। এর আগে মোহামুদ অঙ্গীকার করেছিলেন যে, সকল ফ্রন্টে আল-শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে।


তবে নাইরোবিভিত্তিক ফারসাইট আফ্রিকা গ্রুপের সহযোগী পরিচালক ড্যানিয়েল ফারনাড বিশ্বাস করেন, মোহামুদের অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার কারণ নয়। তিনি বলেন, আল-শাবাব ইথিওপিয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম বাড়াচ্ছে, সে কারণে ওয়শিংটন উদ্বিগ্ন।


তিনি আরও বলেন, সোমালিয়ায় বিমান হামলাগুলো ইথিওপিয়ার ভূখণ্ডে শাবাবের অনুপ্রবেশের সাথে সম্পর্কিত বলেও মনে করেন তিনি।


উল্লেখ্য, সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারি আল-শাবাব। সোমালিয়ায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী।


এ কারণে আল-শাবাবের সদস্যরা প্রায়ই দেশটির সামরিক ঘাঁটি, হোটেল ও ব্যস্ত সড়কে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়ে থাকে।


আরো পড়ুন:



 



ভেজাল ওষুধ উৎপাদনে ১০ বছরের জেল


ভেজাল ও লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করলে ১০ বছরের জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘ওষুধ আইন, ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।


প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।


বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।


তিনি জানান, খসড়া আইনে ওষুধ প্রশাসন কেমন হবে, ওষুধ বিক্রি ও আমদানির লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে তার শাস্তি কী হবে সেটাও খসড়া আইনে রয়েছে।


এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘দ্য স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ ও ‘জাতীয় শিল্পনীতি, ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 



মার্কিন রাজনীতিকদের অঘোষিত সফরে আবার উত্তেজনা, যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে পিপলস লিবারেশন আর্মি


পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে, তাদের মহড়া চলছে তাইওয়ানের পেংগু দ্বীপপুঞ্জের কাছে, যার অবস্থান তাইওয়ান প্রণালিতে।


এদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, চীনের এই মহড়া আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।


তিনি বলেন, "আমরা সামরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছি। তাইওয়ানের স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমরা সাধ্যমত সবকিছু করছি।"


তাইওয়ান সফররত মার্কিন সেনেটর এড মার্কি বলেছেন, একটি 'অপ্রয়োজনীয় সংঘাত' এড়ানোর নৈতিক দায়িত্ব তাদের আছে। তাইওয়ান অবিশ্বাস্য সংযমের পরিচয় দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার ১৫টি চীনা বিমান তাইওয়ান প্রণালির মধ্য-রেখা অতিক্রম করে। এই মধ্যরেখাকে দুই দেশের মাঝে অঘোষিত সীমান্ত বলে ধরা হয়।


সেনেটর এড মার্কির নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদল সোমবার তাইওয়ান ত্যাগ করেছে। তবে তারা তাইওয়ান ছেড়ে যাওয়ার পরই কেবল তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের ভিডিও প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশ করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের কোন আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দ্বীপটিকে আত্মরক্ষার জন্য সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।


চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কখনোই তাইওয়ান শাসন করেনি, তবে তারা একথা স্পষ্টভাবেই বলেছে যে দরকার হলে এই দ্বীপটি তারা জোর করে দখল করবে। তাইওয়ানকে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন দেশ হিসেবে চিত্রিত করার যে কোন চেষ্টা চীনকে সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ করে।


যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নীতি হচ্ছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণার যেমন বিরোধী, তেমনি চীন জোর করে তাইওয়ানকে নিজের দেশের অংশ করতে চাইলে সেটারও জোর বিরোধিতা করে।


তবে চীন যদি তাইওয়ানে হামলা চালিয়ে সেটি দখল করার চেষ্টা করে, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষায় সামরিকভাবে এগিয়ে আসবে কিনা- এটি ইচ্ছেকৃতভাবেই তারা ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে।


আরো পড়ুন:

 



বালিয়াডাঙ্গীর ভ্যানচালক বাবার স্বপ্ন পূরণে উচ্চশিক্ষা চীনে দুই ভাই !


সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার ইচ্ছা ও সন্তানদের স্বপ্ন পূরণে প্রবল আক্ষেপে শেষ সম্বল ১বিঘা (৩৩ শতক) জমি বিক্রি করে দুই ছেলেকে একসাথে চীনে পাঠান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে। দীর্ঘদিন থেকে তিনবেলা খেয়ে না খেয়ে ভ্যান চালিয়ে সন্তানদের খরচ যোগান দিচ্ছেন ভ্যান চালক মকিম উদ্দীন। 


ভ্যানচালক মকিমউদ্দীন শিক্ষিত না হলেও সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে সুদূূর চীনে পাঠিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মকিমউদ্দীন।


বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনের জিয়াংসু ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার অটোমেশন বিভাগ ও  ছোট ছেলে আবুল হাসিম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন।


ভ্যানচালক হলেও মকিমউcদ্দীনেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা যেন এখন বাস্তবতার মুখ দেখছে। নিজে কঠোর পরিশ্রমে ভ্যান চালিয়ে দুই ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন সুদূর চীন দেশে। বর্তমানে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের ভরণপোষণ করছেন তিনি।


মকিমউদ্দীনের পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কয়েক বছর আগে। কষ্টের সংসারে সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় সমাজে এক আলাদা সম্মানের জায়গা তৈরি হয়েছে মকিমউদ্দীনের।


স্থানীয়রা বলেন, বাবা কতটা কষ্টের উপার্জনে ছেলেদের পড়াশোনা করাচ্ছেন, তা বলার মতো নয়। আমাদেরও সন্তান আছে। সবাই এমন হয় না। তবে তারা আমাদের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কষ্ট ও পরিশ্রম করে সব কাজ করা যায়, তারই দৃষ্টান্ত প্রতিবেশী মকিমউদ্দীনের দুই ছেলে। তারা দিন আনে দিন খায়।


 তারা অনেক কষ্ট করে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক অভাবেও তারা সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ রাখেননি। বিষয়টি আসলে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো। আমরা আশা করছি, তারা দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে এলাকা ও দেশসেবায় নিয়োজিত থাকবেন।

মকিমউদ্দীনের স্ত্রী হুসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে।

মেয়ে দুটোকে অনেক কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছি। পৈতৃক এক বিঘা আবাদি জমি ছিল। ছেলে দুটোর জন্য তা বিক্রি করতে হয়েছে। একমাত্র ভ্যানটি আমাদের স  ম্বল। বাবুর বাবার বয়স হয়েছে, তবুও প্রতিদিন ভ্যান নিয়ে বের হন। কোনোদিন তিনি বসে থাকেন না। আজ ছেলেরা  চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করছে। প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়। ছেলে দুটাও অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে সেখানে। আমাদের যত কষ্টই হোক, আমরা তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে চাই।’

 

আর বাবা মকিমউদ্দীন বলেন, ‘আমি ২৮ বছর ধরে পা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসছি। পরে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনেছি। চালাচ্ছি পাঁচ বছর ধরে। অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে পারিনি। তবে আমার ইচ্ছা ছিল আমার সন্তানদের পড়াশোনা করাব। আমার একমাত্র আয়ের পথ ভ্যান। যা হয় তার সবটুকু জমা করে ছেলেদের পাঠাই। আমরা স্বামী-স্ত্রী কখনো খাই, কখনো না খেয়ে থাকি। কাউকে বলা হয় না এ কষ্টের কথা। এভাবেই দিন কাটে।'

 

 মকিমউদ্দীনের বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনে থাকলেও কথা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ২০১৯ সালে ডিপ্লোমা করতে আসি। এখানে পড়াশোনা করতে আসার আগে বাবা তার শেষ সম্বল ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। আমার বাবা মাঝে মাঝেই ফোনে বলে, বাবা, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। আমি আমার বাবাকে সান্ত্বনা দিই, বাবা,  চিন্তা করবেন না। আপনার স্বপ্ন পূরণে ভালোভাবে পড়াশোনা করি। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আপনি একটা সুসংবাদ পাবেন। আমরা আমাদের মেধা দেশের জন্য কাজে লাগাতে চাই।’

 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম বলেন, ভ্যান চালিয়ে ছেলেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন মকিমউদ্দীন, যা দৃষ্টান্ত। উপজেলা প্রশাসন পরিবারের পাশে আছে। তাদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে তাদের সকল সুবিধা দেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি


বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বিষয়টি আসলেই অনুপ্রাণিত হওয়ার মত । ভ্যান চালিয়ে তিনি দুই ছেলেকে চীনে পড়াশোনা করান। এখান থেকে বুঝা যায় যদি মানুষের ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে তবে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। এটি আমাদের জন্য আনন্দায়ক বিষয়ক। যদি কখনো তার প্রয়োজন হয় সহযোগিতার তবে উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাড়াবে। 


আরো পড়ুন:


 



তাড়াশে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আমজাদ হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে আটক করেছে থানা পুলিশ।


শনিবার বিকেলে উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া শেখ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার এসআই আব্দুল রাজ্জাক।


এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী চলন বিলের পানিতে শাপলা তোলার জন্য গেলে পার্শ্ববর্তী আমজাদ হোসেন তাকে শাপলা তুলে দেয়ার কথা বলে নৌকাতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে আমজাদ হোসেন তাকে ছেড়ে দেন। তারপর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। 


এ ঘটনা শিশুর বাবা এলাকার লোকজনকে বললে সবাই গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী আমজাদকে আটক করে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।


ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমজাদ এর আগে চারটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।


এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমজাদ হোসেন নামের একজন থানায় নিয়ে আসা হয়েছে । ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো পড়ুন:

 



টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।


পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।


সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল সেখানে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।


প্রধানমন্ত্রী এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এছাড়াও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী এরপর পার্টির সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র সদস্যদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।


এর আগে শেখ হাসিনা দিবসটির জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান।


প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়েও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে ফুলের পাঁপড়ি বিছিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং সেখানে মোনাজাতে যোগ দেন।


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget