Latest Post

 



বালিয়াডাঙ্গীর ভ্যানচালক বাবার স্বপ্ন পূরণে উচ্চশিক্ষা চীনে দুই ভাই !


সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার ইচ্ছা ও সন্তানদের স্বপ্ন পূরণে প্রবল আক্ষেপে শেষ সম্বল ১বিঘা (৩৩ শতক) জমি বিক্রি করে দুই ছেলেকে একসাথে চীনে পাঠান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে। দীর্ঘদিন থেকে তিনবেলা খেয়ে না খেয়ে ভ্যান চালিয়ে সন্তানদের খরচ যোগান দিচ্ছেন ভ্যান চালক মকিম উদ্দীন। 


ভ্যানচালক মকিমউদ্দীন শিক্ষিত না হলেও সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে সুদূূর চীনে পাঠিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মকিমউদ্দীন।


বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনের জিয়াংসু ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার অটোমেশন বিভাগ ও  ছোট ছেলে আবুল হাসিম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন।


ভ্যানচালক হলেও মকিমউcদ্দীনেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা যেন এখন বাস্তবতার মুখ দেখছে। নিজে কঠোর পরিশ্রমে ভ্যান চালিয়ে দুই ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন সুদূর চীন দেশে। বর্তমানে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের ভরণপোষণ করছেন তিনি।


মকিমউদ্দীনের পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কয়েক বছর আগে। কষ্টের সংসারে সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় সমাজে এক আলাদা সম্মানের জায়গা তৈরি হয়েছে মকিমউদ্দীনের।


স্থানীয়রা বলেন, বাবা কতটা কষ্টের উপার্জনে ছেলেদের পড়াশোনা করাচ্ছেন, তা বলার মতো নয়। আমাদেরও সন্তান আছে। সবাই এমন হয় না। তবে তারা আমাদের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কষ্ট ও পরিশ্রম করে সব কাজ করা যায়, তারই দৃষ্টান্ত প্রতিবেশী মকিমউদ্দীনের দুই ছেলে। তারা দিন আনে দিন খায়।


 তারা অনেক কষ্ট করে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক অভাবেও তারা সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ রাখেননি। বিষয়টি আসলে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো। আমরা আশা করছি, তারা দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে এলাকা ও দেশসেবায় নিয়োজিত থাকবেন।

মকিমউদ্দীনের স্ত্রী হুসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে।

মেয়ে দুটোকে অনেক কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছি। পৈতৃক এক বিঘা আবাদি জমি ছিল। ছেলে দুটোর জন্য তা বিক্রি করতে হয়েছে। একমাত্র ভ্যানটি আমাদের স  ম্বল। বাবুর বাবার বয়স হয়েছে, তবুও প্রতিদিন ভ্যান নিয়ে বের হন। কোনোদিন তিনি বসে থাকেন না। আজ ছেলেরা  চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করছে। প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়। ছেলে দুটাও অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে সেখানে। আমাদের যত কষ্টই হোক, আমরা তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে চাই।’

 

আর বাবা মকিমউদ্দীন বলেন, ‘আমি ২৮ বছর ধরে পা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসছি। পরে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনেছি। চালাচ্ছি পাঁচ বছর ধরে। অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে পারিনি। তবে আমার ইচ্ছা ছিল আমার সন্তানদের পড়াশোনা করাব। আমার একমাত্র আয়ের পথ ভ্যান। যা হয় তার সবটুকু জমা করে ছেলেদের পাঠাই। আমরা স্বামী-স্ত্রী কখনো খাই, কখনো না খেয়ে থাকি। কাউকে বলা হয় না এ কষ্টের কথা। এভাবেই দিন কাটে।'

 

 মকিমউদ্দীনের বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনে থাকলেও কথা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ২০১৯ সালে ডিপ্লোমা করতে আসি। এখানে পড়াশোনা করতে আসার আগে বাবা তার শেষ সম্বল ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। আমার বাবা মাঝে মাঝেই ফোনে বলে, বাবা, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। আমি আমার বাবাকে সান্ত্বনা দিই, বাবা,  চিন্তা করবেন না। আপনার স্বপ্ন পূরণে ভালোভাবে পড়াশোনা করি। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আপনি একটা সুসংবাদ পাবেন। আমরা আমাদের মেধা দেশের জন্য কাজে লাগাতে চাই।’

 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম বলেন, ভ্যান চালিয়ে ছেলেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন মকিমউদ্দীন, যা দৃষ্টান্ত। উপজেলা প্রশাসন পরিবারের পাশে আছে। তাদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে তাদের সকল সুবিধা দেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি


বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বিষয়টি আসলেই অনুপ্রাণিত হওয়ার মত । ভ্যান চালিয়ে তিনি দুই ছেলেকে চীনে পড়াশোনা করান। এখান থেকে বুঝা যায় যদি মানুষের ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে তবে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। এটি আমাদের জন্য আনন্দায়ক বিষয়ক। যদি কখনো তার প্রয়োজন হয় সহযোগিতার তবে উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাড়াবে। 


আরো পড়ুন:


 



তাড়াশে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আমজাদ হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে আটক করেছে থানা পুলিশ।


শনিবার বিকেলে উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া শেখ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার এসআই আব্দুল রাজ্জাক।


এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় হামকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী চলন বিলের পানিতে শাপলা তোলার জন্য গেলে পার্শ্ববর্তী আমজাদ হোসেন তাকে শাপলা তুলে দেয়ার কথা বলে নৌকাতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে আমজাদ হোসেন তাকে ছেড়ে দেন। তারপর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। 


এ ঘটনা শিশুর বাবা এলাকার লোকজনকে বললে সবাই গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী আমজাদকে আটক করে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।


ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমজাদ এর আগে চারটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।


এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমজাদ হোসেন নামের একজন থানায় নিয়ে আসা হয়েছে । ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো পড়ুন:

 



টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।


পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।


সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল সেখানে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।


প্রধানমন্ত্রী এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এছাড়াও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী এরপর পার্টির সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র সদস্যদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।


পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।


এর আগে শেখ হাসিনা দিবসটির জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান।


প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়েও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে ফুলের পাঁপড়ি বিছিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং সেখানে মোনাজাতে যোগ দেন।


আরো পড়ুন:


 



রাজধানীর লালবাগে কারখানায় আগুন


রাজধানীর লালবাগে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুনটি আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ আগুন লাগে।


ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর ১২টায় লালবাগের চকবাজারের দেবীদ্বার ঘাটে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। 


পরে আগুন একটি রেস্তোরাঁতেও ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লালবাগ, সদরঘাট ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বেলা পৌনে একটায় কথা হয় খালেদা ইয়াসমিনের সঙ্গে।


ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুন প্রথমে প্লাস্টিক কারখানায় লাগলেও পরে এটি ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল বা এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।


আরো পড়ুন:


 



নেকমরদে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় তিন শিক্ষক চাকরিচ্যুত ! 


ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় কর্তৃপক্ষ তিন শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নেকমরদ এলাকার আরএইচ মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে দুজন শিক্ষক একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় প্রতিষ্ঠানের তিন শিক্ষককে অপসারণ করে পরিচালনা পর্ষদ।


ভুক্তভোগী তিন সহকারী শিক্ষক হচ্ছেন কাউসার হাবীব, রাজিউর রহমান ও হারুন অর রশিদ।

ইউএনওকে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক পংকজ সিংহ ও ফরিদউজ্জামান অনেক ছাত্রীর গায়ে হাত ও কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকি এক শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে কৌশলে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত করেছেন। এসব বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া কাউসার হাবীবকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন ফরিদউজ্জামান। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না করে হঠাৎ তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে তিন শিক্ষক দাবি করেন, ছাত্রীরা তাদের সাথে হওয়া নোংরামির কথা আমাদের জানাতো। আমরা সেগুলো প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে জানাতাম। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিত না। তাঁরা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

এদিকে দুজন ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, ফরিদউজ্জামান তাদের গত ২৬ মার্চে বলেন, ‘তোমরা সাতজন আছ, কে আমার রুম পার্টনার হবা?’

এক ছাত্রী বলে, ফরিদউজ্জামান মাঝেমধ্যেই অঙ্ক ক্লাস নেওয়ার সময় বেঞ্চের কাছে এসে পা দিয়ে তার পা চেপে ধরতেন। যখন-তখন সুযোগ পেলে অশ্লীল কথা বলতেন, বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিতেন। এ কারণে সে ঠিকমতো পড়তে আসতে চাইত না। কিন্তু পরিবারের চাপে আসতে হতো।

ওই ছাত্রী জানায়, স্যারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে অনেকে বিশ্বাস নাও করতে পারেন। উল্টো সে আরও বিপদে পড়তে পারেন। এ কারণেই সে এত দিন কাউকে তা জানায়নি।

তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক ফরিদউজ্জামান তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হামিদুর রহমান বলেন, ‘কোনো ছাত্রীর শিক্ষক কর্তৃক শ্লীলতাহানি হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। শিক্ষকেরা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন। এ জন্য তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান তাঁদের অব্যাহতি দিয়েছেন।’

পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘কোনো ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হয়নি। বরং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’

এ বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান তনুজা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

আরো পড়ুন:



 


কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক


কলেজছাত্রকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা নাটোরের কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল সাতটার দিকে নাটোর শহরের বলারিপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী মামুন হোসেনকে (২৩) আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।


নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, বলারিপাড়া মহল্লার নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চতুর্থ তলায় মামুন-খায়রুন দম্পতি থাকতেন। আজ সকাল সাতটার দিকে মামুন আশপাশের বাসার লোকজনকে বলেন, তাঁর স্ত্রী খায়রুন আত্মহত্যা করেছেন। তখন আশপাশের লোকজন তাঁদের বাসার ড্রয়িংরুমে গিয়ে খায়রুনের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা মামুনকে আটক করে রাখেন। মামুন ওই সময় উপস্থিত লোকজনের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নান্নু মোল্লা ম্যানশনের প্রহরী নিজাম উদ্দিন বলেন, গতকাল শনিবার রাতে মামুন-খায়রুন দম্পতির বাসায় শুধু তাঁরাই ছিলেন। রাত দুইটার দিকে মামুন তাঁর কাছ থেকে প্রধান ফটকের চাবি নিয়ে বাইরে যান। ভোর ছয়টার সময় বাসায় ফিরে আসেন এবং সাতটার সময় তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান।


প্রহরীর ভাষ্য, খায়রুনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গলায় দাগ আছে। ড্রয়িংরুমের সিলিং ফ্যানে একটুকরা পোড়া কাপড় দেখা গেছে। কাপড়টির কিছু অংশ মেঝেতেও পড়ে ছিল। পোড়া কাপড়ের ব্যাপারে তিনি ভোরে মামুনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি শোবার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের রুমে শব্দ শুনে এসে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ঝুলতে দেখেছেন। ওড়না খোলার জন্য তিনি তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।


আজ সকালে খায়রুনের চাচাতো ভাই ছবের উদ্দিন বলেন, তাঁর বোন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর এক ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকতেন।


পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় মাসের সম্পর্কের পর গত বছরের ডিসেম্বরে মামুন ও খায়রুন বিয়ে করেন। গত জুলাইয়ে তাঁদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে আলোচনায় আসেন এই দম্পতি।


নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাছিম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষিকার লাশ উদ্ধারের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষ হলে ওই শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।


Content by prothom alo


আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget