Latest Post




কবে কমবে তেলের দাম,যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী 


আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছিল। গত এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমলেও এখন আর দাম কমাতে চাচ্ছেন না দেশের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। বলছেন, আজ দাম কমালে কাল যদি আবার বাড়ে?


ব্যবসায়ীরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন, ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করার পরই দাম সমন্বয় করা উচিৎ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের নেতৃত্বে গঠিত এ সংক্রান্ত কমিটি ভোজ্যতেলের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে কাজ করছে। 


বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভোজ্যতেল নিয়ে সারাদেশে একটা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দেশে এ পণ্যের বাজারের ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে। ছয় মাস আগে প্রতিটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ৭০০ ডলারে বিক্রি হলেও কিছুদিন আগে তা ১১৫০ ডলারে দাঁড়ায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আবার কমতে শুরু করে।

ব্যবসায়ীদের দাবি রাখতে গিয়ে এ পণ্যের দাম কিভাবে সমন্বয় করা যায় সে বিষয়ে ভাবছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাম নির্ধারণের কমিটিকে বলা হয়েছে তারা যেন চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি মানসম্মত দামের তালিকা করে। অবশ্য কবে নাগাদ তালিকা দেবে তার সময়সীমা বেঁধে দেয়নি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, আজ একটা দাম নির্ধারণ করলে দুদিন পর আবার যদি দাম কমে তখন সমালোচনা হবে। সেজন্য প্রতিমাসে একটি সভা করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবছে মন্ত্রণালয়।


এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সাতদিন পরেই কমেছে। এর জন্য প্রতিনিয়ত ফলোআপ রাখতে হয়। আজ যে পণ্যটা আমদানির জন্য বুক করা হয়, সেটা দেখা যায় আমাদের দেশে আসতে অনেক সময় তিন মাসও লেগে যায়। এসব বিষয়ে নজর রাখতে আমাদের কমিটি, ট্যারিফ কমিশন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটা পথ বের করবো।’


বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘বেড়েছিল শুধু তেলের দাম। আমদানির অন্যান্য খরচ বাড়েনি। সেইসব বিশ্লেষণের জন্যই কমিটি করা হয়েছে। কাজটা এক ঘণ্টায় করা সম্ভব নয়।’ 


উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে ভোজ্যতেল আমিদানিকারকরা দেশে সকল ব্রান্ডের ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতিলিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৪ টাকায়। কমিটি করার মধ্য দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মূলত ব্যবসায়ীদের আরও কিছুদিন বেশি দামে তেল বিক্রির সুযোগ করে দিলেন বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। 


রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ও মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা জানিয়েছেন, ‘চার হাজার ৬০০ টাকা মণ দরের সয়াবিন তেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে চার হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা তো মণপ্রতি ৫০০ টাকা লোকসান দিচ্ছি। এর কী হবে?’


অপরদিকে কারওরানবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আমরা যে দামে কিনি, সে অনুযায়ী বিক্রি করি। প্রতিলিটারে লাভ হয় দুই থেকে চার টাকা। এর বেশি নয়।’


জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের রাজস্ব না কমিয়ে চার স্থানের শুল্কের পরিবর্তে একস্থানে নেওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। ভোজ্যতেলে তিন বা চার স্তরে যে শুল্ক, ভ্যাট, ট্যাক্স নেওয়া হয় সেটা এক জায়গা থেকে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এতে ব্যবসায়ীদের সময় বাঁচবে, হয়রানি কমবে।


তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করে এ শুল্ক এক জায়গায় হওয়া উচিত। সেটার জন্য আরও তৎপর হবো।


মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানোর বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পণ্যের হাত বদলের কারণে যেন বাজারে প্রভাব না পড়ে সেটা দেখতে হবে। বিশেষ করে, খোলা তেলের বিষয়ে। ৭০ থেকে ৭২ শতাংশ খোলা তেল, বাকিটা বোতলজাত। আরও বেশি বোতলজাত করা গেলে দামের হেরফের কম হবে। উৎপাদন পর্যায়ে ২ শতাংশ, তারপরের ধাপে ৩ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৭ শতাংশ লভ্যাংশের কথা আগে থেকেই ঠিক করা আছে।



আরো পড়ুন:



 



বিএনপি আন্দোলনে থাকবে, তবে এখনই বড় কর্মসূচি নয়


জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য সরকারই দায়ী বলে মনে করে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, খাদ্য ও জ্বালানির দাম নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে সংকট, তার সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের মিল নেই। দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে।


বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গুম, খুনসহ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার থাকবে বিএনপি। তবে দলটি এখনই হরতাল বা অবরোধের মতো বড় কর্মসূচিতে যাবে না।


জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং দলের দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ১১ আগস্ট ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং ১২ আগস্ট দেশের সব মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


অন্যদিকে বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিজনিত সংকটও সরকারের সৃষ্ট বলে মনে করে বিএনপি। নেতাদের যুক্তি হলো, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সরকার কেন্দ্র বাড়িয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে জ্বালানির প্রয়োজন হয়, তার জোগান দিতে সরকার দেশীয় ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে একেবারেই উদাসীন ছিল। সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতেই বেশি উৎসাহ দেখিয়েছে। 


কাজটি করা হয়েছে সরকারের ঘনিষ্ঠদের ব্যবসা দিতে। এখন যার খেসারত দিচ্ছে দেশের মানুষ। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক যে সমস্যা, এটা হ্যান্ডেল (সামাল দেওয়া) করা যেত। বাংলাদেশের সমস্যা ভিন্ন। বাংলাদেশে বর্তমানে যে বিদ্যুৎ–সংকট, জ্বালানিসংকট, অর্থনৈতিক সংকট—সব সংকটের মূলে সরকারের চরম দুর্নীতি।’


News by prothom alo


আরো পড়ুন:



 




ঝিনাইগাতীতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জন্মবার্ষিকী পালিত


ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ৮ আগস্ট সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে স্মৃতি চারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


 সরাসরি বিটিভি"র সম্প্রচারিত জীবনী আলোচনা অনুষ্ঠান সকলেই মনোযোগ সহকারে উপভোগ করেন এসময় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম। 


সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফারুক আল মাসুদ এবং আরো উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল আলম ভুইয়া,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির দিলদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফ্লোরা ইয়াসমিন, প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন,উপজেলা আওয়ামীলীগের নেত্ববৃন্দের মাঝে বিশ্বজিৎ রায়,মিজানুর রহমান মিলন,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাহা আলম।


এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার,উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ। আলোচনা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম ও নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচনা সভা শেষ করেন।


আরো পড়ুন:



 



বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যের সাথে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও ঔষধ আটক


বেনাপোলে বন্দরে আবারো আমদানিকৃত পণ্যে মিললো নিষিদ্ধ ঘোষিত ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ। ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট লাইফ ফুটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ আগষ্ট ৮৪০ ব্যাগ মাইক্রোসেল পিটি নামে একটি পণ্য চালান আমদানি করেন। 

যার আমদানি মুল্য ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। (বাংলাদেশি ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা) পণ্যচালানটির রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের রাজস্থানের এসএস ব্লুকেম ইন্ডাস্ট্রি।


কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় একটি ট্রাক (যার নম্বর-নং ডাব্লিউ-বি ৪১-ই-০৯১৮) রোববার সকালে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর বিশেষ গোপন খবরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য বোঝাই ট্রাকটি বন্দর থেকে কাস্টম হাউজে এনে বিভিন্ন সংস্থার সামনে ট্রাকের ত্রিপল খুলে আমদানিকৃত মালের মাথে ৬শ' বোতল ফেনসিডিল এবং বিভিন্ন ধরনের ২২ হাজার ৫১৮ পিস নিষিদ্ধ ঔষধ পাওয়া পায়। সুজুতি এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট পন্য চালানটি খালাশের আগেই কাস্টমের জালে ধরা পড়ে গেল চোরাই পণ্য ভর্তি ট্রাকটি।


বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম- কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে চোরাচালানের মালামাল পাচার করছে। গত ৩ মাসে এধরনের অনেকগুলো চালান আটক করা হয়েছে। ভারতীয় ট্রাকের চালক, আমদানিকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে থানায় ফৌজদারি মামলা রুজু করা হবে।


এর আগে গত ১৫ জুন রাতে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ বাজি, ঔষধ ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।


এদিকে স্থানীয়রা জানান, বন্দরে সিসি ক্যামেরা আর বিভিন্ন সংস্থার নজরদারী এড়িয়ে বৈধ পথে বৈধ পণ্যের সাথে ভারতীয় ট্রাক যোগে প্রায়ই ঢুকছে মাদকের বড় বড় চালান। এসব পণ্যের সাথে সরাসরি ভারতীয় ট্রাক চালকরা অবৈধ অর্থ কামানোর জন্য এ কাজে জড়িত হয়ে পড়ছে। আর ঘটনার সাথে এপার-ওপারের রাঘববোয়ালরা বরাবর থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এ কারণে কোন ভাবে মাদক প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না।


আরো পড়ুন:



 



ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ১ 


ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলা সালান্দর ইউনিয়নে সড়ক দুর্ঘটনায় সেলিম ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যক্তি মারা যান।


সোমবার(৭ আগষ্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে রেডিও সেন্টারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 


নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।


প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক ইসলাম জানান, কোন এক গাড়ির ধাক্কা এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত সেলিম রেডিও সেন্টার এলাকায় রাস্তার পাশে পড়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায়।  আমি তাকে নিয়ে অটো চার্জার যোগ ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি এরপর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দেয়। এতে অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে রংপুরে রেফার্ড করে।

এর কিছুক্ষণ পর সে চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।


এই বিষয়ে বোদা হাইওয়ে থানার ওসি কেরামত আলী জানান, আমরা খবর পেয়ে এসেছি জেনারেল হাসপাতালে লাশের প্রক্রিয়া শেষ করি। তাদের পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। 


ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।










 



পঞ্চম শ্রেণী পাশ না করেই তিনি ডাক্তার ! 


সাইনবোর্ডে নামের আগে পদবি দেয়া আছে ডাক্তার। নিয়মিত দেখছেন রুগী। প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছেনও ওষুধ।

আবার সেই ওষুধ কিনতে হবে সেই ডাক্তারের নিজ দোকান থেকে। যদিও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত।


এভাবেই প্রতিনিয়ত গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে আসছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেহন বাজারের নুরুজ্জামান বাবুল ওরফে বাবুল।


সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে একটি ওষুধের দোকানের সাথেই ডাক্তার চেম্বারের পাশে ঝুলানো একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা, ডাক্তার নুরুজ্জামান বাবুল, ডিএমএফ ঢাকা, মেডিসিন চিকিৎসক। প্রতিদিন সকাল ৮ টা হতে দুপুর ২ টা পপর্যন্ত ও ৩ টা থেকে রাত ৮ পপর্যন্ত রোগী দেখা হয়। এবং এসব বলে এলাকায় চলছে মাইকিং। তবে এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।


বাবুলের কাছে চিকিৎসা নেয়া ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন জানান, আমার প্রচুর জ্বর হয়েছিলো। আমি তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি আমাকে কিছু হাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে দেয়। তবে আমার এক পরিচিত বড়ভাই ওষুধগুলো দেখেই খেতে বারণ করেন এবং আমাকে অন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেই ডাক্তারের দেয়া প্যারাসিটামল খেয়ে আমি সুস্থ হই।


আরেক ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন বলেন, আমি মাথাব্যথার কথা জানিয়ে তার কাছে ওষুধের পরামর্শ চাই। তিনি অনেকগুলা ওষুধ লিখে দেয়। তবে সুস্থতার বদলে আমি আরো অসুস্থ হয়ে পরি। পরে শহরের এক মেডিসিন ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। সেই ডাক্তার পূর্বের খাওয়া সব ওষুধ ভুল ছিলো জানায়।


ওই এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফুর জানান, বাবুল আমাদের সামনেই বড় হয়েছে। আমরা জানি ও প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পার হয়নি। তাই আমরা তার কাছে চিকিৎসা নেইনা। তবে অনেকে অজান্তে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত । চিকিৎসার মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাবধান থাকা উচিত। দ্রুুত এই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যেকোন  বড় বিপদ হতে পারে।


এই বিষয়ে কথা হয়  ডাক্তার পরিচয়দাতা বাবুলের সাথে। ডাক্তারি পড়ালেখা বা কোন প্রকার প্রশিক্ষণের কাগজ দেখতে চাইলে, নেই বলে অকপটে স্বীকার করেন বাবুল। সেই সাথে চেম্বারের পাশে থাকা ওষুধের দোকানের লাইসেন্সও নেই বলে স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, যেখানে ব্যানার করছি সেখানে তারা ভুল করে ডাক্তার লিখে ফেলছে। তাছাড়া এই এলাকার আশেপাশে কোন ডাক্তারও নেই। তাই আমি যা চিকিৎসা দিচ্ছি তাতে মানুষের উপকার হচ্ছে।


এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, চিকিৎসার মত স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিলোনা। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো পড়ুন:



 



হরিপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম করে নিয়োগ দানের অভিযোগ


 ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার তোররা হাফিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির   বিরুদ্ধে নিয়োগ বিধি অনুসরণ না করে অর্থের বিনিময়ে ও অনিয়ম করে পক্ষের লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার  অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দুপুরে সচেতন এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে বৈধ ভাবে নিয়োগের জন্য দাবী জানান।



ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল  ইসলাম বলেন, সম্প্রতি অত্র বিদ্যালয়ে, ১জন অফিস সহায়ক, ১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১জন আয়া ও ১জন নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে অর্থের বিনিময়ে পক্ষের লোকজনকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জমশেদ আলী ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আকবর।


অভিযোগ কারী আব্দুস সোবহান বলেন, এলাকায় যেসব পত্রিকা নিয়মিত আসে না, ঐঈেলসব পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে তথ্য গোপন রেখে এই নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অনিয়ম করে কৌশলে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের  তদন্ত পূর্বক এই নিয়োগ বাণিজ্য বাতিল করে সুষ্ঠু নিয়মে নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার দাবী জানান এলাকাবাসী।


এ বিষয়ে এলাকাবাসী আরো বলেন, এই নিয়োগের জন্যই গত ৪মাস আগে নিজ পক্ষের লোকজন দিয়ে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে জানতে পারলে ক্ষিপ্ত হয়ে আইনের আশ্রয় নেয় এলাকাবাসী। 


এ বিষয়ে তোররা হাফেজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমশেদ আলী বলেন, আমি বৈধ ভাবেই নিয়োগ দিয়েছি। ম্যানেজিং কমিটির সাথে স্কুলের সভা কক্ষে বৈঠক করে স্থানীয় ও জাতীয় প্রত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মধ্য দিয়ে বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়েছে।


হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রায়হানুল মিঞা বলেন, আমি তোররা হাফিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি।


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget