Latest Post

 



অ্যাঙ্গোলার খনিতে ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরা পাওয়া গেলো 


উত্তর পূর্ব অ্যাঙ্গোলায় খননকারীরা একটি বড় আকারের দুর্লভ এবং বিশুদ্ধ গোলাপি হীরা পেয়েছেন। বলা হচ্ছে গত ৩০০ বছরে এ ধরনের যত হীরার টুকরো খনিতে পাওয়া গেছে - তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।


ওই খনির অস্ট্রেলিয়ান পরিচালনাকারীরা ১৭০ ক্যারেটের হীরাটির নাম দিয়েছেন "দ্যা লুলো রোজ।" যে খনিতে এটি পাওয়া গেছে তার নাম হচ্ছে লুলো ।


আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রীয় হীরা বিপণন কোম্পানি এটিকে বিক্রি করবে বলে জানানো হয়েছে।

অ্যাঙ্গোলার খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ডিয়ামান্টিনো আজেভেডো এক বিবৃতিতে এই হীরা পাবার খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন।

সাধারণ হীরার তুলনায় গোলাপি রঙের হীরাকে অতি দুর্লভ বলে মানা হয়।

অতীতে এ ধরনের খনিজ হীরা কাটা এবং পালিশ করার পর রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে।

এর মধ্যে একটি হচ্ছে পিংক স্টার নামে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল গোলাপি হীরা - ৫৯ ক্যারেটের হীরাটি ২০১৭ সালে ৭ কোটি ১২ লাখ ডলার দামে বিক্রি হয়েছিল ।


উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এটি আরেকটি নিলামে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এর ক্রেতা মূল্য পরিশোধ করতে পারেনি।


দামের দিক থেকে পিংক স্টারের পরে দ্বিতীয় স্থানে আছে ওপেনহাইমার ব্লু নামে আরেকটি হীরা - যা গত মে মাসে ৫ কোটি ডলারে বিক্রি হয়।


আরো পড়ুন:





বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানির ওপর কতটা নির্ভরশীল ?


আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়াকে এর প্রধান কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়াকেও অন্যতম কারণ হিসাবে বলা হয়েছে।


যদিও কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার মেগাওয়াট। যদিও বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু জ্বালানি সংকটে সেটাও যোগান দিতে পারছেন না দেশের বিদ্যুৎ খাত।

সরকারের সর্বশেষ মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যস্থির করা হয়েছে, তাতে গ্যাসে ৩৫ শতাংশ, কয়লায় ৩৫ শতাংশ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। বাকী ত্রিশ শতাংশ তেল, জলবিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে।


বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত ক্যাপটিভ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।


তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সক্ষমতা থাকলেও গড় উৎপাদন হচ্ছে নয় হাজার মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত একদিনে (১৪ এপ্রিল) সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। কিন্তু জ্বালানি সংকটে সেটা ১১ হাজারে নেমে এসেছে। গত ২৫শে জুলাই দেশে উৎপাদন হয়েছে ১১৮১০ মেগাওয়াট, যেখানে চাহিদা ছিল ১৩৮৫০ মেগাওয়াট।

তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন গলার কাঁটা


বিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ না পাওয়ায় ডিজেলচালিত রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের দিকে জোর দিকে শুরু করে সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেখানেও বড় ধাক্কা এসেছে।


ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে ১০টি, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ১২৯০ মেগাওয়াট। এর বাইরে ৬৪টি কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। এসব জ্বালানির পুরোটাই আমদানি নির্ভর। ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পেছনে প্রতি ইউনিট উৎপাদনে ৩৬ দশমিক ৮৫ টাকা খরচ হলেও সরকার বিক্রি করে মাত্র ৫ দশমিক ০৫ টাকায়। সবমিলিয়ে এই বছর বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।


আরো পড়ুন:



 


ঝিনাইগাতীতে সাড়ে ১২শ, মিটার চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল জব্দ 


যখন সারা দেশে "নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ" এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে 

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ (২৩থেকে২৯জুলাই) পর্যন্ত 

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন চলছিল। এরই ৪র্থ দিনে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ২৬জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১২৫০ মিটার চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়ে তা ধ্বংস করা হয়। যাহার আনুমানিক বাজার মুল্য ১ লক্ষ টাকা। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো. ফারুক আল মাসুদ।


 উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের গজারমারী ও ধলী বিলে এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে এসব জাল জব্দ করে এনে উপজেলা পরিষদের পাশে আগুনে পুড়িয়ে তা ধ্বংস করা হয়। উক্ত অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা,

 মৎস্য অধিদপ্তরের ফিল্ড এসিষ্ট্যান্ট গোলাপ হোসেন, এমরান হোসেন সহ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।


আরো পড়ুন:



 


রাণীশংকৈলে প্রথমবার ইভিএম ভোট দিতে এসে আঙ্গুল ঘষার হিড়িক !


সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ঠাকুরগাঁও রানীংশৈকেলে নন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভোট গ্রহণ। ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আসেন নারী ও পুরুষ ভোটার।

কিন্তু কেন্দ্রে ভোট দিতে আসে দেখেন তাদের আঙ্গুলের ছাপ (ইভিএম মেশিন) নিচ্ছে না।  পরে টিউবওয়েল পাশে বা বিভিন্ন ভাবে আঙ্গুল পরিস্কার করতে দেখা যায়।


আঙ্গুল পরিস্কার করতে দেখা যায় সায়মা  আক্তার (৩৫) নামে এক নারী ভোটারকে।  তিনি বলেন, এইবার প্রথম ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট দিচ্ছি। কিন্তু মেশিন আমার আঙ্গুল ছাপ নিচ্ছে না। সে জন্য আঙ্গুল  ঘসে পরিস্কার করছি। কিভাবে ছাপ নেন না এবার দেখবো।


অন্যদিকে জিল্লুর রহমান নামে আরেক পুরুষ ভোটাকে দেখা যায় মোটরসাইলের পেট্রোল বের করে হাত পরিস্কার করছে। তিনি বলেন, প্রথমবার মেশিনত  ভোট দিবা আসিনু আঙ্গুলের ছাপ নেয় না। ওই তানে গাড়ির তেল দেহেনে হাত পরিস্কার করছু।


উল্লেখঃ ঠাকুরগাঁওয়ে শান্তিপূর্ন পরিবেশে চলছে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন। আজ বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল আটটা থেকে এক যোগে সাতাশটি কেন্দ্রে লাইনে দাড়িয়ে ভোটাররা ইভিএম এর মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।


এ দফায় জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও, বাচোঁর ও নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১২৭ জন, আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করছেন।


তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৬১ হাজার ১৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩১ হাজার ৫৩৮ জন ও নারী ভোটার ২৯ হাজার ৬১০ জন।


এ তিনটি ইউনিয়নেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলার সবকটি ইউনিয়নের মধ্যে বাকি ছিল এ তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।


আরো পড়ুন:






ঝিনাইগাতীতে বিধ্বস্ত সেতু সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে ৬ গ্রামের মানুষ 


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মালিঝি নদীর ড্যাইনেরপাড় বিধ্বস্ত সেতুটি সংস্কার না করায় ৬গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।   সেতুর পাশ দিয়ে  বাঁশের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ওইসব এলাকার জনসাধারণ। জানাগেছে গত ৯ জুন পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে এ সেতুটি বিধ্বস্ত হয়।  ফলে  যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয় ৬ গ্রামের মানুষের। 


মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন  মালিঝি নদীর ড্যাইনের পাড়ে একটি সেতু নির্মানের দাবি উঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। এ বিষয়ে  বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আবেদন নিবেদন ও করা হয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে।  কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়িত  হয়নি। 


নয়াপাড়া, টাঙ্গারীপাড়া,বাইতেগাঁও, হাসলিগাঁও,  কুরুলিয়াকান্দা ও ড্যাইনেরপাড় সহ ৬ গ্রামের শতশত মানুষ এ নদী পারি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু একটি সেতুর অভাবে শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ড্যাইনেরপাড় গ্রামের হামিদ মিয়া বলেন ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাগবে স্থানীয় প্রশাসন গত বছর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে। এ সেতুর উপর দিয়ে দিনেরাতে চলাচল করে আসছিল স্থানীয়রা। 


গত ৯ জুন পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে  সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। এতে এলাকার সাথে উপজেলা সদরের  যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। নয়াপাড়া গ্রামের আনছার আলী বলেন  সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরলে ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা আর চালু করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। পথচারী  মোঃ হাবেজ আলী ও মোহাম্মদ আলী বলেন,  প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত প্রায় দুই মাসেও বিধ্বস্ত সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে   তারা উক্ত বিধ্বস্ত সেতুর পাশ দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে   জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছেন তারা। তবে কোমলমতি শিশু কিশোররা এ সাঁকোতে পারাপার হতে পারে না। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পন্য ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা। 


এবিষয়ে মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  মোজাম্মেল হক বলেন,এখানে একটি  সেতু নির্মান জরুরি প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে 


আরো পড়ুন:



 



অভাবে ৭ মাসের শিশু কন্যাকে বাজারে বিক্রি করে দিলেন বাবা


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সাত মাস আগে সাম্মী নামের শিশুটি জন্ম নেয় এক গরীর বাবার ঘরে।  শাম্মীসহ সে পরিবারে সদস্য ৬ জন।  ছয় সদস্যের পরিবারে সবসময়ই লেগে থাকে অভাব অনটন। আর  অভাবের তাড়নাই ৭ মাস বয়সী শিশু কন্যা সাম্মীকে স্হানীয় বাজারে দত্তক অথবা বিক্রি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর বিক্রি না করার পরামর্শে শিশু সাম্মীকে বাড়ি ফেরত নিয়ে আসেন বাবা মতিউর রহমান মতি।


মতিউর রহমান (৪৬) উপজেলার ৪নং বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের জিয়াবাড়ি দক্ষিণ দুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি একজন দিনমজুর। সারাদিন মাঠে কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনমতে সংসার চলে।  তিন মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও ৭ মাস বয়সী শিশুকন্যা শাম্মীর খরচ জোগাতে পারছিলেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়ে গত রবিবার (২৪ জুলাই)  তার ৭ মাসের শিশু কন্যাকে বিক্রি ও দত্তক দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যান স্থানীয় এক বাজারে।


পরে স্থানীয়রা তাকে ও তার শিশু কন্যাকে বাড়িতে ফেরত আনেন। বড় মেয়ে পারুল (১৪) স্থানীয় এক স্কুলে নবম শ্রেনী, মেজো মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৯) ৩য় শ্রেনী, সেজো মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (৬) বাড়ির পাশে একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করেন।


স্থানীয়রা জানান, মতিউর খুবই হত-দরিদ্র। সন্তানদের ঠিকমতো খাবার ও ভরণপোষণ কাপড়চোপড় কিনে দিতে পারে না। কোন কোন একবেলা খায় তো আরেক বেলা না খেয়ে থাকে। মা-বাবা কখনোই চায় না তাদের সন্তানকে বিক্রি বা দত্তক দিতে। কিন্তু অভাবের সংসার তাদের বাধ্য করেছে। 


সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ২৬ বছর আগে মতিউর রহমানের সঙ্গে নাজমা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের সংসারে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। এভাবে ছেলে সন্তানের আশায় তাদের সংসারে একে একে জন্ম নেয় ৪ কন্যা সন্তান। এখন সেই চার কন্যা সন্তানসহ মোট ছয়-জনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে ৭ মাসের কন্যা সন্তান সাম্মীকে বিক্রয় ও দত্তক দেওয়ার জন্য বাজারে নিয়ে গেছিলেন তিনি। পরে এলাকাবাসী শিশুকন্যা সহ মতিউর রহমানকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন।


প্রতিবেশী রসনা বেগম, রমজান আলী, মুনসুর, নাজমুল, জাহিদ সহ আরো অনেকেই বলেন, মতিউর চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন পার করেন।  সারাদিন কাজ করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চলে না। তার কোন জমি-জায়গা নাই। অনেক সময় তারা না খেয়ে থাকেন। সরকারিভাবে যদি সে সহযোগিতা পায় তাহলে চার মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে পারবে নয়তো তার সন্তানকে দত্তক দিতে বাধ্য হবেন।


বাবা মতিউর রহমান (মতি) বলেন, আমার কোন ছেলে নাই। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি। দিনমজুরি দিয়ে যা আয় হয় সেটা দিয়ে তিন বেলার খাবারই জুটেনা। তাই আমার ছোট মেয়ে সাম্মীকে বিক্রয় ও দত্তক দিতে বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু এলাকার অনেকে তা করতে না দিয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সরকারীভাবে যদি আমাকে সহযোগিতা করা হয় তাহলে আমি আমার চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যেতে পারবো।


মা নাজমা বেগম (৩৯) বলেন, আমার স্বামীর তেমন আয় রোজগার না থাকায় ঠিকমত সংসার চালাতে পারে না। একটা মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ছে। কিছুদিন পর তাকে বিয়ে দিতে হবে। আমাদের কোন সম্পদ নেই। যে সেগুলো বিক্রি করে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে বিয়ে দিব। 

তাই আমার স্বামী আমার সব থেকে ছোট

৭ মাসের কন্যা সন্তানকে মানুষের কাছে বিক্রি  দেয়ার জন্য  বাজারে নিয়ে গিয়েছিল।


তবে মতিউরকে ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জনান ৪নং বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মতি গরিব মানুষ। তার কোন জমি-জায়গা নাই। দিন মজুরি দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সন্তানদের মুখে খাবার দেন। অভাব অনটনের জন্য তার ৭ মাসের কন্যাকে বাজারে বিক্রি করতে যান। এটা খুবই দুঃখজনক। তবে মতিকে কিভাবে সাহায্য সহোযোগীতা করা যায় তার চেষ্টা আমি করব।


এবিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহা. যোবায়ের হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই দরিদ্র পিতা আমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনার জন্য সহযোগিতার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget