Latest Post

 


রাণীশংকৈলে প্রথমবার ইভিএম ভোট দিতে এসে আঙ্গুল ঘষার হিড়িক !


সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ঠাকুরগাঁও রানীংশৈকেলে নন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভোট গ্রহণ। ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আসেন নারী ও পুরুষ ভোটার।

কিন্তু কেন্দ্রে ভোট দিতে আসে দেখেন তাদের আঙ্গুলের ছাপ (ইভিএম মেশিন) নিচ্ছে না।  পরে টিউবওয়েল পাশে বা বিভিন্ন ভাবে আঙ্গুল পরিস্কার করতে দেখা যায়।


আঙ্গুল পরিস্কার করতে দেখা যায় সায়মা  আক্তার (৩৫) নামে এক নারী ভোটারকে।  তিনি বলেন, এইবার প্রথম ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট দিচ্ছি। কিন্তু মেশিন আমার আঙ্গুল ছাপ নিচ্ছে না। সে জন্য আঙ্গুল  ঘসে পরিস্কার করছি। কিভাবে ছাপ নেন না এবার দেখবো।


অন্যদিকে জিল্লুর রহমান নামে আরেক পুরুষ ভোটাকে দেখা যায় মোটরসাইলের পেট্রোল বের করে হাত পরিস্কার করছে। তিনি বলেন, প্রথমবার মেশিনত  ভোট দিবা আসিনু আঙ্গুলের ছাপ নেয় না। ওই তানে গাড়ির তেল দেহেনে হাত পরিস্কার করছু।


উল্লেখঃ ঠাকুরগাঁওয়ে শান্তিপূর্ন পরিবেশে চলছে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন। আজ বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল আটটা থেকে এক যোগে সাতাশটি কেন্দ্রে লাইনে দাড়িয়ে ভোটাররা ইভিএম এর মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।


এ দফায় জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও, বাচোঁর ও নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১২৭ জন, আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করছেন।


তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৬১ হাজার ১৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩১ হাজার ৫৩৮ জন ও নারী ভোটার ২৯ হাজার ৬১০ জন।


এ তিনটি ইউনিয়নেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলার সবকটি ইউনিয়নের মধ্যে বাকি ছিল এ তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।


আরো পড়ুন:






ঝিনাইগাতীতে বিধ্বস্ত সেতু সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে ৬ গ্রামের মানুষ 


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মালিঝি নদীর ড্যাইনেরপাড় বিধ্বস্ত সেতুটি সংস্কার না করায় ৬গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।   সেতুর পাশ দিয়ে  বাঁশের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ওইসব এলাকার জনসাধারণ। জানাগেছে গত ৯ জুন পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে এ সেতুটি বিধ্বস্ত হয়।  ফলে  যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয় ৬ গ্রামের মানুষের। 


মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন  মালিঝি নদীর ড্যাইনের পাড়ে একটি সেতু নির্মানের দাবি উঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। এ বিষয়ে  বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আবেদন নিবেদন ও করা হয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে।  কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়িত  হয়নি। 


নয়াপাড়া, টাঙ্গারীপাড়া,বাইতেগাঁও, হাসলিগাঁও,  কুরুলিয়াকান্দা ও ড্যাইনেরপাড় সহ ৬ গ্রামের শতশত মানুষ এ নদী পারি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু একটি সেতুর অভাবে শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ড্যাইনেরপাড় গ্রামের হামিদ মিয়া বলেন ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাগবে স্থানীয় প্রশাসন গত বছর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে। এ সেতুর উপর দিয়ে দিনেরাতে চলাচল করে আসছিল স্থানীয়রা। 


গত ৯ জুন পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে  সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। এতে এলাকার সাথে উপজেলা সদরের  যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। নয়াপাড়া গ্রামের আনছার আলী বলেন  সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরলে ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা আর চালু করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। পথচারী  মোঃ হাবেজ আলী ও মোহাম্মদ আলী বলেন,  প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত প্রায় দুই মাসেও বিধ্বস্ত সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে   তারা উক্ত বিধ্বস্ত সেতুর পাশ দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে   জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছেন তারা। তবে কোমলমতি শিশু কিশোররা এ সাঁকোতে পারাপার হতে পারে না। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পন্য ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা। 


এবিষয়ে মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  মোজাম্মেল হক বলেন,এখানে একটি  সেতু নির্মান জরুরি প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে 


আরো পড়ুন:



 



অভাবে ৭ মাসের শিশু কন্যাকে বাজারে বিক্রি করে দিলেন বাবা


ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সাত মাস আগে সাম্মী নামের শিশুটি জন্ম নেয় এক গরীর বাবার ঘরে।  শাম্মীসহ সে পরিবারে সদস্য ৬ জন।  ছয় সদস্যের পরিবারে সবসময়ই লেগে থাকে অভাব অনটন। আর  অভাবের তাড়নাই ৭ মাস বয়সী শিশু কন্যা সাম্মীকে স্হানীয় বাজারে দত্তক অথবা বিক্রি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর বিক্রি না করার পরামর্শে শিশু সাম্মীকে বাড়ি ফেরত নিয়ে আসেন বাবা মতিউর রহমান মতি।


মতিউর রহমান (৪৬) উপজেলার ৪নং বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের জিয়াবাড়ি দক্ষিণ দুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি একজন দিনমজুর। সারাদিন মাঠে কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনমতে সংসার চলে।  তিন মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও ৭ মাস বয়সী শিশুকন্যা শাম্মীর খরচ জোগাতে পারছিলেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়ে গত রবিবার (২৪ জুলাই)  তার ৭ মাসের শিশু কন্যাকে বিক্রি ও দত্তক দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যান স্থানীয় এক বাজারে।


পরে স্থানীয়রা তাকে ও তার শিশু কন্যাকে বাড়িতে ফেরত আনেন। বড় মেয়ে পারুল (১৪) স্থানীয় এক স্কুলে নবম শ্রেনী, মেজো মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৯) ৩য় শ্রেনী, সেজো মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (৬) বাড়ির পাশে একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করেন।


স্থানীয়রা জানান, মতিউর খুবই হত-দরিদ্র। সন্তানদের ঠিকমতো খাবার ও ভরণপোষণ কাপড়চোপড় কিনে দিতে পারে না। কোন কোন একবেলা খায় তো আরেক বেলা না খেয়ে থাকে। মা-বাবা কখনোই চায় না তাদের সন্তানকে বিক্রি বা দত্তক দিতে। কিন্তু অভাবের সংসার তাদের বাধ্য করেছে। 


সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ২৬ বছর আগে মতিউর রহমানের সঙ্গে নাজমা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের সংসারে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। এভাবে ছেলে সন্তানের আশায় তাদের সংসারে একে একে জন্ম নেয় ৪ কন্যা সন্তান। এখন সেই চার কন্যা সন্তানসহ মোট ছয়-জনের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে ৭ মাসের কন্যা সন্তান সাম্মীকে বিক্রয় ও দত্তক দেওয়ার জন্য বাজারে নিয়ে গেছিলেন তিনি। পরে এলাকাবাসী শিশুকন্যা সহ মতিউর রহমানকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন।


প্রতিবেশী রসনা বেগম, রমজান আলী, মুনসুর, নাজমুল, জাহিদ সহ আরো অনেকেই বলেন, মতিউর চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন পার করেন।  সারাদিন কাজ করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চলে না। তার কোন জমি-জায়গা নাই। অনেক সময় তারা না খেয়ে থাকেন। সরকারিভাবে যদি সে সহযোগিতা পায় তাহলে চার মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে পারবে নয়তো তার সন্তানকে দত্তক দিতে বাধ্য হবেন।


বাবা মতিউর রহমান (মতি) বলেন, আমার কোন ছেলে নাই। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি। দিনমজুরি দিয়ে যা আয় হয় সেটা দিয়ে তিন বেলার খাবারই জুটেনা। তাই আমার ছোট মেয়ে সাম্মীকে বিক্রয় ও দত্তক দিতে বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু এলাকার অনেকে তা করতে না দিয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সরকারীভাবে যদি আমাকে সহযোগিতা করা হয় তাহলে আমি আমার চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যেতে পারবো।


মা নাজমা বেগম (৩৯) বলেন, আমার স্বামীর তেমন আয় রোজগার না থাকায় ঠিকমত সংসার চালাতে পারে না। একটা মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ছে। কিছুদিন পর তাকে বিয়ে দিতে হবে। আমাদের কোন সম্পদ নেই। যে সেগুলো বিক্রি করে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়ে বিয়ে দিব। 

তাই আমার স্বামী আমার সব থেকে ছোট

৭ মাসের কন্যা সন্তানকে মানুষের কাছে বিক্রি  দেয়ার জন্য  বাজারে নিয়ে গিয়েছিল।


তবে মতিউরকে ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জনান ৪নং বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মতি গরিব মানুষ। তার কোন জমি-জায়গা নাই। দিন মজুরি দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সন্তানদের মুখে খাবার দেন। অভাব অনটনের জন্য তার ৭ মাসের কন্যাকে বাজারে বিক্রি করতে যান। এটা খুবই দুঃখজনক। তবে মতিকে কিভাবে সাহায্য সহোযোগীতা করা যায় তার চেষ্টা আমি করব।


এবিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহা. যোবায়ের হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই দরিদ্র পিতা আমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনার জন্য সহযোগিতার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 


আরো পড়ুন:



 


প্রথমবার ইভিএমে ভোট, সংশয়ে রাণীশংকৈলের তিন ইউপি'র ভোটাররা ! 


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও, বাচোর ও নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন হবে ২৭ জুলাই। এখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এভাবে ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ইউনিয়নে মোট ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সাধারণ সদস্য পদে ৮৭ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৫ প্রার্থী আছেন। এ তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬১ হাজার ১৪৮ জন।


নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই গ্রামের নির্মাণ-মিস্ত্রি নিরব হাসান রাজু, বনগাঁও এলাকার কৃষক আমিন, গাজীরহাটের রাজু ইসলামসহ অনেকে বলেন, জীবনে প্রথমবার ইভিএমে ভোট দেবেন। এ নিয়ে তাঁদের বেশ কৌতূহল রয়েছে। তবে তাঁরা এ মেশিনের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কি না, সঠিকভাবে মেশিন ব্যবহার করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের।


একইভাবে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁও গ্রামের দুলাল, কলিগাঁও এলাকার রুহুল আমিন ও হঠাৎ বস্তির ছাত্তার বলেন, এমন মফস্বল এলাকায় ইভিএম দিয়ে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। ভোটের কমপক্ষে এক মাস আগে থেকে ইভিএমের ব্যবহার সমন্ধে ধারণা দেওয়ার জন্য পাড়ামহল্লায় প্রচার চালানো উচিত ছিল। হঠাৎ একটি নতুন মেশিনের মাধ্যমে ভোট দেওয়াটা একটু ঝামেলার। তা ছাড়া কী করে কাকে ভোট দেবেন তা তো আর একদিনে বুঝবেন না।


বাঁচোর ইউনিয়নের আমজুয়ান এলাকার রুহুল কুদ্দুস ও মীরডাঙ্গীর উজ্জ্বল বলেন, তাঁরা শুনেছেন ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় চলে যায়। যদি তাই সত্যি হয় তাহলে তো ভোট দেওয়া আর না দেওয়া সমান। পছন্দের প্রার্থীকে যদি ভোট দিতে না পারেন তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।


এ বিষয়ে হোসেনগাঁওয়ের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দীন (মোটরসাইকেল প্রতীক) বলেন, ‘সাধারণ ভোটাররা জীবনের প্রথম ইভিএমে ভোট দেবেন, তা নিয়ে একটু সংশয় রয়েছে।’


একই ইউনিয়নের আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) এম জি রব্বানী বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দেবেন ঘোড়ায়, ভোট যাবে নৌকায়, এমন প্রচার চলছে ইউনিয়নজুড়ে।’


নন্দুয়ারের চেয়ারম্যান প্রার্থী জমিরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল প্রতীক) বলেন, ‘ভোট কী হবে তা বলতে পারছি না। এমনিতে ইভিএম, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁদের নির্বাচনী বিভিন্ন সভায় ভোটারদের নৌকা ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দিতে নিষেধ করছেন।’


তবে তিন ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিউর রহমান, আব্দুল বারি ও জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ভোট অবশ্যই সুষ্ঠু হবে এবং ইভিএমে কোনোভাবেই কারচুপি করার সুযোগ নেই। আসলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিশ্চিত পরাজিত হবেন বলেই ইভিএম নিয়ে অপপ্রচার করছেন।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন, ‘ইভিএমে ভোট অবশ্যই ভালো হবে। তা ছাড়া ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সমন্ধে ধারণা দিতে ইউনিয়নগুলোতে ইভিএমের প্রদর্শনী চলছে।’


উপজেলার হোসেনগাঁও, বাঁচোর ও নন্দুয়ার ইউপিতে নির্বাচন হবে ২৭ জুলাই। এই তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার আছেন ৬১ হাজার ১৪৮ জন।


আরো পড়ুন:





ঝিনাইগাতীর গজনী পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই,  


ঝিনাইগাতী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশের প্রবেশ পথে  টোল আদায় ঘর নেই । ফলে অবকাশ কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানান জটিলতার পাশাপাশি   চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদারকে। জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত   প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের  লীলাভূমি খনিজ  ও বনজ সম্পদে ভরপুর  ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়। 

এ গারো পাহাড়ের সৌন্দর্যকে   ঘিরে  ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রাকৃতিক প্রেমি জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার প্রায় ৫০ একর পাহাড়ি জমির উপর  গড়ে তুলেন একটি পিকনিক স্পর্ট। মৌজার নামানুসারে এর নামকরন করা হয়  গজনী অবকাশ কেন্দ্র। কেন্দ্রটি গড়ে তোলার পর থেকে  দর্শনার্থীদের ঢলনামে এ অবকাশ কেন্দ্রে। 

সারাদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠে গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রটি।  

 আগত দর্শনার্থীদের কাছ  টোল আদায়ের লক্ষে,উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে রাস্তার পাশে একটি টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা হয়। এ ঘরে বসে  গত প্রায় ২ যুগ ধরে ভ্রমনপিপাষুদের কাছ থেকে টোল আদায় করে আসছিলো উপজেলা প্রশাসন। জানা গেছে, চার দিক থেকে রাস্তা- ঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সামনের টোল আদায় ঘরটি অকার্যকর হয়ে পরে। এছাড়া গত কয়েকবছর ধরে  অবকাশ কেন্দ্রটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে  ইজারা দেয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, এ অবকাশ কেন্দ্র থেকে প্রতিবছর সরকারের ঘরে আসছে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব। 

কিন্তু অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ প্রথে আজো নির্মিত হয়নি টোল আদায় ঘর। ফলে ইজারাদারের লোকদের টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানা জটলা, বিড়ম্বনা ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। গজনী অবকাশ কেন্দ্রের  ইজারাদার মোঃ ফরিদ আহম্মেদ বলেন,গজনী অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পরেছে। অন্যথায়  লোকসানে পড়তে হবে তাদের। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 


আরো পড়ুন:


 



মাংকিপক্স ভাইরাসের প্রকোপের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা


ব্রাজিলের থিয়াগো আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন। থাকেন সাও পাওলো শহরে। কিছু উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার পর জানতে পারলেন যে তিনিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যানের অংশ হয়ে গেছেন।


তার শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা দিয়েছিল সেগুলো হচ্ছে: প্রচণ্ড জ্বর, ক্লান্তি, কাঁপুনি এবং সারা শরীরে ঘা।


কিন্তু যে সমস্যাটি তার কাছে তীব্র হয়ে ওঠে ছিল তা হচ্ছে যৌনাঙ্গ ও তার আশেপাশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং জ্বালাপোড়া করা। তিনি বলছেন তার যৌনাঙ্গের ত্বকে কমপক্ষে ন'টি জায়গায় ঘা তৈরি হয়েছিল।

এর ফলে ব্যথা করতো, এবং প্রচুর চুলকানি হতো," বিবিসি নিউজ ব্রাজিলের কাছে তিনি তার এই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, "পুরো জায়গাটা ফুলে ওঠেছিল, কখনো কখনো মনে হতো ওখানে আগুন ধরে গেছে।"


যে ভাইরাসের কারণে স্মলপক্স হয়, সেই একই পরিবারের একটি ভাইরাস মাংকিপক্স সংক্রমণের জন্য দায়ী। তবে এটি অতোটা মারাত্মক নয়। আক্রান্ত প্রাণী যেমন বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।


মানুষ থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ তেমন একটা দেখা যায় না। তবে কেউ যদি আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তার দেহেও এই ভাইরাসটির সংক্রমণ হতে পারে।


ফেটে যাওয়া চামড়া, চোখ এবং মুখের পাশাপাশি এটি শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত যেসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে- যেমন ফুসফুস, শ্বাসনালী, এসবের মধ্য দিয়েও মানুষের দেহে প্রবেশ করে।


কেউ যদি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়, বিছানা এবং তোয়ালে স্পর্শ করেন তাহলে এসবের মাধ্যমেও রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কিপক্স সম্পর্কে যা জানা যায়

মাংকিপক্স ভাইরাস সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকাতে, আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে রেইনফরেস্ট এলাকায় দেখা যায়।


এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের দুটি প্রজাতি সম্পর্কে জানা যায়- পশ্চিম আফ্রিকান ও মধ্য আফ্রিকান।


এ-দুটো প্রজাতির মধ্যে মধ্য আফ্রিকান ধরনটি একটু মৃদু যা এখন পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে।


এখন যে আফ্রিকার বাইরেও অস্বাভাবিক হারে প্রচুর সংখ্যক মানুষ মাংকিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছে এবং তারা কখনও ওই অঞ্চলে ভ্রমণও করেন নি, সেকারণে ধারণা করা হচ্ছে যে ভাইরাসটি এখন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget